‼️ Violence alert ‼️
📌📢এলার্ট
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
এতদিন যারা ডার্ক রোমান্স ভাইব পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আজকের পর্বটি পড়ে তা একটু হলেও অনুভব করতে পারবেন । তবে এ পর্বটি সম্পূর্ণ প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য। আমি আলাদা করে সকলকে সতর্ক করে দিতে চাই , যারা অতিরিক্ত ভায়ো*লেন্স, র*ক্ত , খু*ন ,ক্রা*ইম ,কি*লিং ইত্যাদি সহ্য করতে পারেন না,তারা দয়া করে এড়িয়ে যাবেন🥺
📌মানসিকভাবে দুর্বল কেউ দয়া করে এই পর্বটি পড়বেন না📌
#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory
পর্ব-২৫
আশিকের মুখে এমন কথা শুনে লিহান ও স্পৃহা দুজনেই হতভম্ব । কিন্তু আশিক তো স্পৃহাকে চিনেই না। স্পৃহা এবার সুন্দরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো । তার দিকে তাকিয়ে নিচু গলায় বলল ,
-কিন্তু সে আমাকে চিনল কিভাবে?
সুন্দর এবার গলা ফাটিয়ে বলে ,
-আশিক তোমাকে ভালবাসত তোমাকে দেখে না বরং আমার থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।
সকলে একথা শুনে অনেক অবাক । কারণ লিহান ও আরিয়ান স্পৃহাকে দেখেই পছন্দ করেছিল । আশিক মাঝখানে স্পৃহাকে সুন্দরের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পছন্দ করেছে ভাবতেই সকলে একে অপরের মুখের দিকে তাকালো । লিহান আস্তে আস্তে বলল,
-তোমার থেকে কিসের প্রতিশোধ?
সুন্দর বলল,
– আশিক রাজনীতি করতো । আমি ওর সে সময় অনেক ভালো বন্ধু ছিলাম বলে ওকে বুঝেছিলাম এসবের মধ্যে না যেতে। ও ও ও আরো বেশি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে । মারামারির সাথে সবসময় থাকতো । তাই আমি ওর ভালোর জন্য কলেজে জানিয়ে দিয়েছিলাম । এ ব্যাপারে ওর পরিবারের কাছে জানিয়ে দিয়েছিলাম।
পরবর্তীতে ভার্সিটিতে এসে আমরা আলাদা হয়ে যাই ।
ওর সাথে আমার আবার দেখা হলে ও আমাকে জানায়
আমার সেদিনের সে ডিসিশন এর জন্য আজ ও অনেক ভালো পর্যায়ে রয়েছে। আমি সেদিন ওর ওখানে গিয়ে বুঝেছিলাম আসলে ওর সফল হয়নি । বরং আরো বেশি খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় , ও যে রাজনীতির সাথে গভীরভাবে যুক্ত হয়েছে তাও বুঝেছিলাম । তাই আমি ওকে নিয়ে খোঁজ খবর নেই।
সুন্দর আশিকের দিকে তাকিয়ে বলল,
– তুই আমার সাথে শত্রুতা করেছিস ভালো কথা । কিন্তু তা আমার উপর দিয়ে গেলে তুই আজ বেঁচে যেতি। মাঝখানে আমার স্পর্শ কে এনে ভুল করেছিস। অনেক বড় ভুল। শুধু এজন্যই আর তোর মৃ*ত্যুর শা*স্তি দিব। তাও ভয়ানক কষ্ট দিয়ে।
আশিক কিছু একটা বলতে যাবে তার আগে সুন্দর তাকে ধরে জিহবা কেটে দিল। আশিকের চিৎকারের কোন ক্ষমতা নেই। তার মুখ দিয়ে র*ক্ত পড়ছে!
গার্ডদের ইশারা দিয়ে সুন্দর তাকে এখান থেকে সরিয়ে দিতে বলল। এবার সুন্দর লিহানের কাছে এসে বলল,
-আমার প্রিয় ছোট ভাই ! বড় ভাবিকে পছন্দ করে এখন অনুভূতি কেমন?
লিহান প্রায় সুন্দরের পায়ে পড়ে গেল। আকুতি করে বলল ,
-আমার ভুল হয়ে গিয়েছে ভাইয়া । ক্ষমা করে দাও । আসলে আমি এর মধ্যে জড়াতে চাইনি । কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন সব হয়ে গিয়েছে ।তখন আমি জানতামও না যে তুমি ওকে পছন্দ কর প্লিজ ভাইয়া।
লিহানের এত আকুতি মিনতি শুনে সুন্দর তাকে উঠিয়ে বলল,
-আমাকে মারার প্ল্যান করেছিলি যে ! তখন মনে হয়েছিল না আমি তোর ভাই?
লিহানের মুখে এবার কোন কথা নেই।
সুন্দর এখান থেকে বেরিয়ে গেল ।একে একে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে যায় সুন্দরের পেছন পেছন । আরিয়ানকে সে মৃ*তপ্রায় অবস্থায় কিন্তু জীবিত ছেড়ে দেয়। কিন্তু আশিককে কোন ভাবেই এর জীবিত রাখবে না। বাইরে গিয়ে পাগলের মত হাসতে থাকে সুন্দর। এখন পরিকল্পনা করছে কিভাবে আশিককে মা*রবে সে।
পা*গল এর মত হাসতে হাসতে স্পৃহার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। দুই হাত নেড়ে নেড়ে স্পৃহাকে বলে,
-আমার প্রিয় স্পর্শ! আশিক কে কীভাবে মারব বল তো?
স্পৃহা কোন জবাব দেয় না। সুন্দর আবার বলে,
-তুমি যেভাবে বলবে ওকে সেভাবেই মারব। দেরি করে না সোনা!
স্পৃহা এবার ও কিছু বলে না। সুন্দর দুই টুকরো কাগজে কিছু একটা লিখে স্পৃহার সামনে নিয়ে বলল,
– একটা তুলো।
স্পৃহা অসহায় দৃষ্টিতে সুন্দরের দিকে তাকায় । তার চোখে পানি চলে এসেছে । সে সুন্দরকে বলে ,
-আমাকে দয়া করে এত শাস্তি দিয়েন না । আমাকে মাফ করে দিন । ছেড়ে দিন প্লিজ ।
সুন্দর আরো বেশি হাসতে থাকে । হাসতে হাসতে স্পৃহাকে বলে ,
-এখন কেন স্পর্শ ? যখন লিহানের সাথে বিয়েতে রাজি হয়েছিলে ? আমাকে তুমি কষ্ট দিয়েছো ! এখন তুমিও কষ্ট পাও। দুটো কাগজের মধ্যে তুমি যদি একটি না তোলো তবে আমি দুভাবেই মা*রবো আশিককে । তাড়াতাড়ি তুলো।
স্পৃহা বাধ্য হয়ে একটি কাগজ তুলে।
-Great! এখন বল কি লেখা আছে কাগজটিতে? খুলে দেখো !
স্পৃহার হাত কাঁপছে । সে কিছুতেই কাগজটি খুলতে চাইছে না। সুন্দর আবার ধমকে বলল,
– দেরি করো না । তাড়াতাড়ি একটি কাগজ কাগজ খুলো ।
স্পৃহা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে কাগজটি খুলল ,
তাতে লেখা রয়েছে,
“পুরো শরীরে অ্যাসিড মেরে সে অবস্থাই
মাটিচাপা দেওয়া”
এমন ভয়ানক শাস্তি দেখে স্পৃহার আত্মা কেঁপে উঠল। সকলের চোখে পানি । কেউ যেন এ ভয়ানক শাস্তি নিজের চোখে দেখতে পারবে না । মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে সবাই।
এমন দৃষ্টি দেখে সুন্দর বলে উঠলো ,
-ওর শাস্তি এমনই হওয়া উচিত । ও একটা বিশ্বাসঘাতক। ও আমাকে খু*ন করতে চেয়েছিল । আমার জানের চেয়েও প্রিয় আমার স্পর্শকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল। আরিয়ান আর লিহানকে প্রলোভন দেখিয়েছে । তাই আরিয়ানকে আমি বেশি কোন শাস্তি দেই নাই । কিন্তু আশিককে ছাড়বো না।
কথাটি শেষ করেই সুন্দর হাসতে হাসতে গিয়ে বড় কাঁচের জারে করে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিয়ে এলো।
একটু একটু করে আশিকের শরীরে দিতেই তার একেবারে পুড়ে যাচ্ছে। চামড়া খসে খসে পড়ছে। চিল্লানোর ক্ষমতা না থাকায় বর্তমানে চারদিকে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে। স্পৃহার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়ার সাথে সাথে লুকিয়ে চোখ মুছে নেয়।
সুন্দর স্পৃহার পাশে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে । গার্ডদের বলে আশিককে যেন মাটি চাপা দিয়ে দেয়। সুন্দরের স্পর্শ পেতেই স্পৃহা বারবার আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছে। জোর করে সুন্দরকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে সে। স্পৃহার এমন কর্মকাণ্ড দেখে সুন্দর হুট করে তার ঠোঁটের মধ্যে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
আশিকের এমন অবস্থা দেখে এবং তার এ অবস্থা যে করল তাকে কিছুতে সহ্য করতে পারছে না স্পৃহা , ঘৃণা লাগছে!
তার সাথে মাংস ,র*ক্ত পোড়ার বিকট গন্ধ। নিজের কাছ থেকে সুন্দরকে ধাক্কা দেয় সে। সুন্দর এত শক্ত করে জাপটে ধরে রয়েছে যে এক চুলও নড়াতে পারল না। তাই সুন্দরের উপরেই বমি করে দেয় সে।
একসময় ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়ে । সুন্দরকে বলে ,
-আমি ম*রে যাচ্ছি । এবার মাফ করে দিন অন্তত…
সুন্দর স্পৃহা কে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যায় । এবার লিহান চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। স্পৃহার প্রতি কোনো ভালোবাসা কাজ করছে না । বরং মনে হচ্ছে শুধু একটা কথা, “নিজের জীবন বাঁচানো ফরজ”
সুন্দর স্পৃহাকে কোল থেকে নামালো সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে । কারণ সে যে হাত দিয়ে আশিককে শাস্তি দিয়েছে সে হাত দিয়ে তার স্পর্শকে কোলে নিয়েছে । তাই এখন স্পৃহার শরীর আগে পরিষ্কার করতে হবে। নাহলে যে আশিকের মতো আবর্জনা তার স্পর্শের গায়ে লেগে থাকবে!
স্পৃহার কোন জ্ঞান নেই । ওয়াশরুমে গিয়ে পানি ছেড়ে দিল সুন্দর। ভেজা শরীরে তার পোশাক ভিজে লেপ্টে রয়েছে। এমন ভয়ানক ফিগারে বারবার আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে সুন্দর বরাবরের মতোই। বাথ ট্যাবে স্পৃহা কে শুইয়ে তার পোশাক ছেড়ে দিল শরীর থেকে। একেবারে নিখুঁত এক শরীরের প্রত্যেকটি ভা*জে চোখ আটকে রয়েছে সুন্দরের। আজ তার নিজের ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। পা*গলের মত স্পৃহার পুরো শরীর জুড়ে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো।
সুন্দর স্পৃহা কে নিয়ে যাওয়ার পরেই বাকি একটি কাগজের টুকরো লিহান তুলে । তাতে লেখা ছিল ,
“শরীরে এসিড মেরে জীবিত অবস্থায়
আগুনে পোড়ানো”
লেখাটি পড়ে লিহানের শরীর কেঁপে ওঠে । নিজেই মনে মনে আওড়াতে থাকে,
-এই শাস্তি কি তবে আমার এর জন্য অপেক্ষা করছে?
(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:25
আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖
Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺🙏🏻
Ami kintu onek valo meye🥺Maramari ami pochondo e kori na. Sobaiii comment o korben kintu👀
Ar apnader o ami onek valobashi🫀
Trauma te achen? Thik kore felbo 🥹