সুন্দর_স্পৃহা #সামিয়া_সারা #psychobasedstory পর্ব-২২

0
5

‼️ Violence alert ‼️
📌📢এলার্ট
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
এতদিন যারা ডার্ক রোমান্স ভাইব পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আজকের পর্বটি পড়ে তা একটু হলেও অনুভব করতে পারবেন । তবে এ পর্বটি সম্পূর্ণ প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য। আমি আলাদা করে সকলকে সতর্ক করে দিতে চাই , যারা অতিরিক্ত ভায়ো*লেন্স, র*ক্ত , খু*ন ,ক্রা*ইম ,কি*লিং ইত্যাদি সহ্য করতে পারেন না,তারা দয়া করে এড়িয়ে যাবেন🥺
📌মানসিকভাবে দুর্বল কেউ দয়া করে এই পর্বটি পড়বেন না📌

#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory

পর্ব-২২

যদি প্রত্যেকের রুমে ক্যামেরা লাগানো থাকে তবে আরিয়ান যা যা কাজ করেছে সবই তো ধরা পড়ে যাবে।

অসহায় চোখে দেখে তাকায় আশিকের দিকে। আশিক তাকে ইশারায় শান্ত হতে বলে। আস্তে আস্তে জানায়,

– আমি দেখছি কি করা যায়।

ও সুন্দরের কাছে গিয়ে বলে,

– বন্ধু ! এসবের কি দরকার ! আমরা এমনি মজা করবো ব্যাচেলার পার্টিতে।

আগুন দৃষ্টিতে সুন্দর আশিকের দিকে তাকায় । সে যেন পুনরায় আগের রূপ ধারণ করছে।

সুন্দর অপেক্ষা করছে বারোটা বাজার । এদিকে সকলে অপেক্ষা করছে তাদের কিভাবে বারোটা বাজবে তা ভেবে।

একটি বড় প্রজেক্টর এনে রাখলো সুন্দর । সব রেকর্ড প্রজেক্টর এর মাধ্যমে বড়পর্দায় দেখানো হবে। বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে অথচ শুনশান নীরবতা কাজ করছে । সকলে খেয়াল করল মাত্র ,যে এতদিন ধরে চলমান অনুষ্ঠানটিকে বাইরের
কোন গেস্ট আসেনি। গত তিনদিন ধরেই শুধু তারাই রয়েছে। এখানে উপস্থিত যে যে সদস্য রয়েছে প্রত্যেকের মনে ভয় কাজ করছে ।

ঠিক বারোটা বাজতেই সুন্দর স্পৃহার কাছে গিয়ে তার পেছনে দাঁড়ালো। পেছন থেকে স্পৃহার কানের কাছে সুন্দর ফিসফিস করে বলল ,

-খুব শখ হয়েছিল বিয়ে করার তাই না?
কী যেন জিজ্ঞেস করেছিলে সাথে ? Jealous! লিহানের নাম ধরে ডেকেছিলে তাই না?

সুন্দরের এমন ভয়ানক হুমকিতে স্পৃহার পুরো শরীর কাঁপতে শুরু করেছে।

এখানে উপস্থিত একমাত্র ফিহা ছাড়া সকলেরই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে । একমাত্র ফিহা অনুভূতিহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। লিহান তার ভাইয়ের এই রূপ দেখে আঁতকে উঠে। তার ভাই যে আবার আগের রূপে ফিরে এসেছে।

সুন্দর এখনো স্পৃহার কাছে দাঁড়িয়ে আছে । নিজের মুখটা আবার স্পৃহার কানের কাছে নিয়ে বলল ,

-স্পর্শ!

স্পৃহা এবার ঝড়ের বেগে তার মাথা ঘুরিয়ে সুন্দরের দিকে তাকালো । নতুন করে সে যে সুন্দরকে চিনেছে সেই সুন্দর এটা নয়!! সুন্দর আবার আগের রূপে ফিরে গিয়েছে ।তবে এতদিন সুন্দর নাটক করছিল?
এর আগে মনে হয়েছিল সুন্দর এত সহজে এমন করার ছেলে
নয় । তাই সে সুন্দরের পরিবর্তনে ওতো টা ভয় পাচ্ছে না যতটা ভয় পাচ্ছে বাকিদের কি পরিস্থিতি হবে তা ভেবে।

স্পৃহার এমন এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকা দেখে সুন্দর আবারো তাকে বলল,

-তুমি একদমই ভয় পেয়ো না স্পর্শ! তোমার সুন্দরের এত
সাহস নেই যে সে এসব বাইরের আবর্জনার সামনে তার
স্পর্শকে কিছু বলবে। তুমি আমাক ব্যক্তিগত সম্পদ। তাই
কোন আবর্জনা তো দূরে থাক কোন মানুষও দেখতে পারবেনা তোমার আমার মধ্যে কি হয়। তুমি শুধু দাঁড়িয়ে দেখ সবার অবস্থা কি হয়।

এই বলে সুন্দর সরতে গেলেই স্পৃহা সুন্দরের হাত চেপে ধরে। সুন্দরের চোখের দিকে তাকিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে ,

“এমন করবেন না ছেড়ে দিন । ”

স্পৃহার এমন দৃষ্টি দেখে সুন্দর তার গাল চেপে ধরে বলে ,

-তোমার এত নরম গাল!!!, আমি চেপে ধরলাম বলে সকালে বুঝে গেল। এমন করো না যাতে সবাই তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। না হয় আবার তাদের জীবনও ধ্বংস হয়ে যাবে!

সুন্দর আরিয়ানের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর সোজা তাকিয়ে বলল,

– আমার টর্চার চেম্বার সম্পর্কে ধারণা তো আছেই। এতদিন ধরে এই বাড়িটাকে টর্চার চেম্বার বানানোর পরিকল্পনা তে ছিলাম। আজ তা হবে।

কথাটি বলে অট্টহাসিতে মেতে ওঠে সুন্দর।

তারপর আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল,

– খুব পরিকল্পনা করছিলি তাই না?
আমার স্পর্শকে পাওয়ার পরিকল্পনা! ওর দিকে যে তাকিয়েছে আমি তার চোখ নষ্ট করে দিয়েছি। আর তুই ওকে নিজের করে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিস! আমি তো তোর জীবনটাই ধ্বংস করে দেবো।

সুন্দরের এমন ভয়ানক হুংকারে উপস্থিত সকলের আত্মা পর্যন্ত কেঁপে ওঠে । লিহান ভয়ে ভয়ে বলে ,

-কিন্তু ভাইয়া আরিয়ান কি করেছে?

সুন্দর ফুটেজ দেখাতে শুরু করলো। আরিয়ান স্পৃহাকে নিয়ে যা যা বলেছে সে সবকিছু সেখানে দেখা যাচ্ছে।
স্পৃহা আর লিহানের মনে আরিয়ানকে নিয়ে সন্দেহ ছিল।
লিহানকে সেদিন ধাক্কা দিয়ে স্পৃহার কাছে ছিল তা লিহান নিজেই দেখেছিল । তাই তারও আরিয়ানের উপর ভীষণ রাগ ছিল । অন্যদিকে স্পৃহার একরাশ ঘৃণা জমেছে আরিয়ানের উপর। তাকে বাজে ভাবে ছুঁয়েছিল এই কথা সে সুন্দরকে আর জানায় না । ওদের দুজনের কোন আপত্তি করা না দেখে সুন্দর আরিয়ান কে একটি চেয়ারে বসায় । তার দুজন গার্ড ডেকে আরিয়ানকে শক্ত করে চেয়ারের সাথে বাঁধে। এদিকে আরিয়ান একটানা বলেই চলেছে ,

-তুই আমার কিছু করতে পারবি না! ** ও বাকা করতে পারবি না!

কথাটি শুনে সুন্দর একটি ছু*রি এনে আরিয়ানের হাতে প্রত্যেকটি নখ খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলতে থাকে। আরিয়ানের বিভৎস চিৎকারে পুরো বাড়ি থমথমে হয়ে যায়। র*ক্তে ফ্লোর ভরে গিয়েছে। এই দৃশ্য স্পৃহা দেখতে পারছে একদমই। চোখ সরিয়ে নিতেই সুন্দর এসে তাকে হাসতে হাসতে বলে ,

-স্পর্শ ! তোমাকে দেখতেই হবে । অন্য কোন দিকে তাকাবে না তুমি । এদিকে তাকাও। না হলে আমি সব শেষ করে দিব। বাকি সকলের জন্য ভুলেও মায়া দেখাবে না ।

স্পৃহা এবার ভয়ে আবার ওই ভয়ানক দৃশ্য দেখতে থাকে। নখ তুলে ফেলার পরে সুন্দর একটি হাতুড়ি এনে আরিয়ানের নখের নিচে নরম মাংসপিণ্ডের অংশে পেরেক বসিয়ে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিতে থাকে। আরিয়ান যত জোরে চিল্লাচ্ছে সুন্দর যেন তত বেশি আনন্দ পাচ্ছে। এদিকে এমন ভয়ানক দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারায় আনিসা। ফিহা দৃষ্টিহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
সুন্দর আরেকজন গার্ড কে আদেশ করলে সে মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত গরম পানি এনে সুন্দরের হাতে দেয়। সুন্দর এক ভয়ানক হাসিতে আরিয়ানের দিকে তাকায়। আরিয়ান এখন আকুতি করে সুন্দরকে জানায়,

-দয়া করে ভাই এমন করবেন না। আমি আপনার স্পর্শের দিকে কোনদিনও আর তাকাবো না।

আরিয়ানের এমন আকুতি মিনতি দেখে সুন্দরের আরো বেশি ভালো লাগছে। স্পৃহা শক্ত করে তার মুখ চেপে দাঁড়িয়ে রইলো । মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হলেই সুন্দর আরো বেশি ভয়ানক হয়ে যাবে। কারো মুখে কোন কথা নেই । শুধু আছে আরিয়ানের চিল্লানোর শব্দ। আরিয়ান আবার বলল ,

-আমি স্পর্শকে কোনদিন দেখবো না।

আরিয়ানের মুখে স্পর্শ নাম শুনে সুন্দরের মাথায় একেবারে রক্ত ওঠে গিয়েছে! আরিয়ানের দিকে ভয়ানক রাগী দৃষ্টি দিয়ে বলল ,

এই শু*য়ো*রের বা*চ্চা কি বললি তুই!

আরিয়ানের থেকে কোন জবাব না নিয়ে সুন্দর মরিচের গুড়াযুক্ত গরম পানিতে দুই হাত ডুবিয়ে দিল।

আরিয়ানের ভয়ানক চিল্লানির শব্দে সকলের গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সুন্দর আবার হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলো ,

-তুই এই মুখ দিয়ে আমার স্পর্শের নাম নিয়েছিস! তাকে ভালোবাসার কথা বলেছিস। তোর এই চোখ দিয়ে তাকে দেখেছিস! সব ঠিক থাকবে ভেবেছিস এরপরও?

কথাটা বলেই একেবারে গরম ফুটন্ত পানি এনে আরিয়ানের গলার ভেতরে ঢেলে দিল সুন্দর। আরিয়ানের চিল্লানোর শক্তিটুকু নেই। শুধু শক্তি নয় ,চিল্লানোর কোন সামর্থ্য তার নেই।

স্পৃহার সকল ফ্রেন্ডরাও এর মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে । একমাত্র ফিহা সেই প্রথম থেকে একই ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ।

এবার সুন্দর ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে আরিয়ানের চোখ দুটো খুলে ঢেলে দিল।

যার একবার জ্ঞান ফিরেছিল এখন তার আবার অজ্ঞান হওয়ার মত অবস্থা। আরিয়ান মুখ দেওয়া ওয়াজ করতে পারছ না । ভয়ানক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সে। সব একেবারে শান্ত হয়ে গেল হঠাৎ করে। ঘন্টাখানেক এই অবস্থায় তাকে রেখে দিল সুন্দর। ভয়ানক একটি রাত প্রায় শেষ হতে চলেছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই আরিয়ানকে তুলে নিচে ফেলে দিল সে।

.

.

এদিকে আনিসারও জ্ঞান ফিরে আসে। নিজের ভাইকে উপর থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে শুনে সে দৌড়ে নিচে যেতে গেলে আশিক ও তার সাথে যেতে যায় । সুন্দর হুংকার দিয়ে বলে ওঠে ,

-আশিক কোথাও যাবি না। যাদের জন্য এ পার্টি তারা না থাকলে পার্টি কী করে হবে?

এ কথা শুনে আশিক থেমে যায় । আনিসাও আশিক কে ফেলে রেখে চলে যায় তার ভাইয়ের কাছে।

আরিয়ানকে ফেলে দিয়েই সুন্দর নিজের হাত পরিষ্কার করে বেশ অনেকক্ষণ ধরে । সে তার হাত এমনভাবে ধুতে থাকে যেন হাতে নর্দমার ময়লা লেগে গিয়েছে। হাত ভালো করে পরিষ্কার করে এসে স্পৃহাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। চুলের মধ্যে নিজের মুখ গুঁজে দিয়ে বেশ লম্বা করে টেনে ঘ্রাণ নেয়। তারপর তাকে সামনে ঘুরিয়ে তার ঠোঁ*টের সাথে নিজের ঠোঁ*ট মিশিয়ে দেয়। সুন্দরের এমন ভয়ানক রূপ দেখে কেউ কিছু বলার সাহসও পায় না । স্পৃহা নিজেও চুপ করে সব সহ্য করে। সুন্দরের এমন কর্মকাণ্ডে স্পৃহা লজ্জায় পড়ে যায়। সকলেও এমন দৃশ্য দেখে মাথা নিচু করে রাখে । অপরদিকে লিহান রাগে ফুঁসছে। সুন্দর সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে,

– আপনারা এখন ঘুমিয়ে পড়ুন। ব্যাচেলার পার্টির বাকি অংশ আবার ঘুম থেকে ওঠার পর শুরু হবে।

সকলে কোন কথা না বলে চুপচাপ চলে যেতে লাগলো। স্পৃহা তাদের সাথে যেতে চাইলে সুন্দর স্পৃহার হাত ধরে তাকে আটকে বলে ,

-আমরা একসাথেই যাব স্পর্শ।

কথা শুনে লিহানও থেমে যায়।

স্পৃহা সুন্দরকে বলে ,

-একসাথে মানে ? আমি না বলেছিলাম বিয়ের আগে আমি আপনার সাথে থাকবো না।

সুন্দর আবার মুচকি হেসে বলে ,

-আমার বোকা স্পর্শ ! এত দিন ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখেও তুমি বোঝনি যে আমি তোমার সাথে ঘুমাতাম। ??!

(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:22

আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖
Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺🙏🏻
Boro hoyeche? Sundar ke ekhono valobashen?🥲
Objection diyen na keu,etodin psycho type kaaj korse,halka dark romance o chilo. Kintu aaj ekdom real dark romance er feel paben. Tobuo keu jodi bolen excess hoyeche,tader uddesshe,

ডার্করোমান্স আপনাকে শিউরে উঠানোর জন্যই। আতঙ্ক ভয় খারাপ লাগা কাজ না করলে ওই ক্যাটাগরিতে গল্পটি রাখতে পারতাম না। সবাই কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন কেমন লেগেছে।
Good morning🥹🫶🏻

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here