‼️ Violence alert ‼️
📌📢এলার্ট
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
এতদিন যারা ডার্ক রোমান্স ভাইব পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আজকের পর্বটি পড়ে তা একটু হলেও অনুভব করতে পারবেন । তবে এ পর্বটি সম্পূর্ণ প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য। আমি আলাদা করে সকলকে সতর্ক করে দিতে চাই , যারা অতিরিক্ত ভায়ো*লেন্স, র*ক্ত , খু*ন ,ক্রা*ইম ,কি*লিং ইত্যাদি সহ্য করতে পারেন না,তারা দয়া করে এড়িয়ে যাবেন🥺
📌মানসিকভাবে দুর্বল কেউ দয়া করে এই পর্বটি পড়বেন না📌
#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory
পর্ব-২৪
আশিকের পায়ের নিচের মাংস পুড়ে গিয়েছে। আশিককে এই অবস্থাতেই বেশ অনেকক্ষণ রেখে দেয়ার পরে সুন্দর তার পায়ের নিচ থেকে কয়লা সরাতে নির্দেশ দিল। লোহার বক্সটি তার পায়ের নিচ থেকে সরানোর পর সুন্দর আশিকের চুলের মধ্যে হাত মুঠ করে দিয়ে তার মাথা উঁচু করলো। আশিকের শরীর ঘেমে ভিজে পানি পড়ছে। ক্লান্ত চোখে সুন্দরের দিকে তাকালো। আস্তে আস্তে করে সুন্দরকে কি যেন বলল। সুন্দর মিষ্টি হাসি দিয়ে তাকে বলল,
– না পালালে এতোটুকু শাস্তি বেশি পেতি না।
আশিক কোন জবাব দিল না। পায়ের মাংস যেন গলে গলে পড়ছে। কিছুক্ষণ পরে আশিক আবার কিছু একটা বলতে চাচ্ছিল সুন্দর মাথা ঝুঁকে তার কথা না শুনে গার্ড একজনকে বলল ও কি বলছে শুনে জানাতে। গার্ডটা তার কান আশিকের মুখ বরাবর নিতে আশিক ক্লান্তির সুরে ফিসফিস করে বলতে থাকলো,
-আমাকে আরিয়ানের থেকেও বেশি শাস্তি দিচ্ছে । কেন?
সুন্দরের গার্ড উঠে সুন্দরকে জানালে সে চুপ করে থাকে ।
আশিক আবারও হাতের ইশারায় গার্ড কে নিচে ঝুঁকতে বলে।
এরপর ফিসফিস করে বলে,
– আমি তো শুধু আরিয়ানের সত্য লুকিয়ে ছিলাম ।তোমাদের বসকে জিজ্ঞেস কর আমায় কেন এত শাস্তি দিচ্ছে?
সুন্দর আর বেশিক্ষণ না থেকে চলে গেল তার রুমে।
.
.
.
.
চাঁদের আলো এসে স্পৃহার মুখে পড়েছে ।তার মুখটা ভীষণ মায়াবী লাগছে । সুন্দর দেখে বারান্দার পর্দা টেনে দিল। চাঁদের আলো তার স্পর্শকে স্পর্শ করেছে এটাও সুন্দরের সহ্য হচ্ছে না। স্পৃহার পাশে বসে বেশ অনেকক্ষণ তার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইল সুন্দর । তারপর স্পৃহার একটা হাতের উপর শুয়ে তার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিল। রোজ রাতের মত গলায় ভালোবাসার চিহ্ন আঁকতে শুরু করলো। স্পৃহার গলায় যে তিলটি রয়েছে তার মোহে বারবার আকৃষ্ট হয়ে পড়ে সুন্দর।
নিজেকে আটকে রাখার চেষ্টা করলেও কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব
হয় না। গলার তিলটার উপর বেশ গভীরভাবে দাঁত বসিয়ে
দিল সুন্দর । ব্যাথায় স্পৃহা তার চোখ পিটপিট করে তাকানোর চেষ্টা করেও তাকাতে পারল না। এদিকে সুন্দর স্পৃহা কে নিজের সাথে এমন ভাবে মিশিয়ে নিয়েছে যেন স্পৃহার শরীরের এক একটি হার অপর হারের সাথে মিশে যাচ্ছে ।অনেক শক্ত করে জাপটে ধরে রয়েছে সে। এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ে সুন্দর তার স্পর্শের
স্পর্শে।
.
.
.
.
স্পৃহার ঘুম ভাঙলে সে দেখতে পায় সুন্দর তাকে জড়িয়ে
রেখেছে। সে সুন্দরের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করে কিন্তু তার শক্তির সাথে পেরে ওঠে না। এদিকে সুন্দর একেবারে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে। যেন একটু হালকা হলেই স্পৃহা পালিয়ে যাবে।
অনেকক্ষণ ধরে সুন্দরকে ডাকার চেষ্টা করছে । হিশ হিশ শব্দ করে সে সুন্দরকে ডাকছে আর মোচরা মুচরি করছে। সুন্দর এক চোখ খুলে তার দিকে তাকিয়ে বলল ,
-সাপের মত করো না তো!
ঘুম ঘুম গলায় সুন্দরের এত ডিপ ভয়েস শুনতে আরো বেশি নেশাক্ত লাগছে। স্পৃহা এত কাছ থেকে কোন পুরুষের ছোঁয়া পেয়ে আর এমন কণ্ঠস্বর শুনে নিজের মধ্যে থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তার পেটের উপর সুন্দরের হাত। সেদিকে তাকাতেই সুন্দরের হাতের ভেইনস দেখতে পায়। হঠাৎ করে তার গলা শুকিয়ে আসে। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে ঢোক গেলে। এখন উল্টাপাল্টা কিছু ভাবা যাবেনা, নিজের হুঁশে ফিরতে রাগ দেখানোর মত মেকি স্বরে বলল,
-আমাকে সাপ মনে হয় ?
তুমি তো সাপের মতোই শব্দ করছ । আবার সাপের মতো করে মোচরাচ্ছো। ঘুমতে দাও ।
-এখন ঘুমাতে হবে না । আমাকে উঠতে দিন !
-উঠে কী করবে ?
তাই বলে সুন্দর আবার চোখ বন্ধ করে ফেলল । স্পৃহা আবার তাকে একইভাবে ডাকতে থাকে । তখন সুন্দর একটু হেসে বলে ,
-নাম ধরে ডাকো , না হলে ছাড়বো না।
স্পৃহা সুন্দরের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো। তার থেকে এত বড় বয়সের একজন মানুষকে সে কিভাবে নাম ধরে ডাকবে। জবাব দিল ,
-আমি নাম ধরে ডাকতে পারবো না আপনাকে।
এবার সুন্দর স্পৃহার গাল জোরে করে চেপে ধরল ।
-লিহানের নাম মুখে নিয়েছিলে কিভাবে?
সে কথা মনে পড়ে সুন্দরের মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে উঠলো।
স্পৃহার থেকে আর কোনো জবাব না নিয়েই তাকে ছেড়ে দিল। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে দেখে স্পৃহা একইভাবে বিছানায় বসে রয়েছে। সুন্দর আবারো ওয়াশরুমে গিয়ে তার ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে স্পৃহার কাছে এসে বলল ,
-হা কর।
সুন্দরের হঠাৎ এমন কথার মানে বুঝতে না পেরে তার দিকে তাকিয়ে রইল স্পৃহা । স্পৃহার প্রতিক্রিয়া এমন দেখে সুন্দর নিজেই তার গাল ধরে মুখ হাঁ করালো । তারপর সে নিজেই দাঁত মাজিয়ে দিল। সুন্দরের এমন কর্মকাণ্ডে স্পৃহা চমকিত । সে মুখ থেকে ব্রাশ বের করতেই বলল,
-আমি নিজেই ব্রাশ করতে পারি।
-জানি স্পর্শ । কিন্তু আমি যেভাবে করালাম এভাবে করতে না।
-এর থেকে বেশি ভালো করে করতাম ।
সুন্দর একটু ঝুঁকে স্পৃহার মুখ বরাবর এসে বলল ,
-ব্রাশটা যে আমার।
স্পৃহা এবার ঝাড়ি মেরে উঠে দাঁড়ালো।
-আপনার এই ধরনের বাজে কাজ করতে খারাপ লাগে না ? এর আগের দিনেও আপনি ইচ্ছে করে এরকম করেছিলেন তাই না?
– হ্যাঁ অবশ্যই ! এটা বুঝতে এত টাইম লাগলো। ?? তুমি ভীষণ বোকা স্পর্শ ! ভীষণ। আমি চাই আমাদের দুজনের একটি মাত্র ব্রাশ থাকুক। আর তুমি তো আমারই ! অভ্যাস তো করতেই হবে বলো?
সুন্দরের কোন কথার জবাব না দিয়েই সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল স্পৃহা । বারবার নিজের মুখ ধুতে থাকলো।
এদিকে বাইরে থেকে সুন্দর বমি করার শব্দ পেয়ে জোরে জোরে দরজে ধাক্কাতে লাগে। বেশ কিছুক্ষণ পরে স্পৃহা দরজা খুলতেই সুন্দর কোন অপেক্ষা না করেই তার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিল ।
মিনিট দশেক পরে ছেড়ে দিয়ে বলল ,
-কর এখন বমি ! একই তো হলো , তাই না?
.
.
.
.
সকলে এখন উপস্থিত আশিকের সামনে । সকলের দৃষ্টি আশিকের দিকে । কি ভয়ানক অবস্থা হয়েছে তার!
স্পৃহা কে সামনে দাঁড় করিয়ে দিল সুন্দর। তার সামনে আশিকের পায়ের চামড়া পুড়ে কালো হয়ে খসে খসে পড়ছে। এ দৃশ্য দেখে স্পৃহা নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে । সুন্দর তার দিকে তাকিয়ে বলে ,
-তাকাও স্পর্শ।
এমন সাধারণ একটা কথা অথচ স্পৃহা জানে সুন্দরের এ কথা অমান্য করার পরিনাম কি ভয়ানক হতে পারে। সে চোখ মেলে তাকালো। বিড়বিড় করে বলল ,
-ওনাকে এত বেশি শাস্তি না দিলেও চলত।
সুন্দর স্পৃহার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে ,
-জোরে বল স্পর্শ।
স্পৃহা এবার জোরে বললো,
-ভাইকে বেশি শাস্তি হয়ে দেওয়া হয়ে যাচ্ছে না? তিনিতো আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন নি।
স্পৃহার মুখে এমন কথা শুনে সুন্দর একটি চিকন রড নিয়ে আশিকের কাঁধে রাখল। রডটি আশিকের কাঁধের মাংসে অবস্থান করছে। আশিক ব্যথায় চোখ মুখ বন্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে রইল । সুন্দর স্পৃহার থেকে তাকিয়ে বলল,
– মায়া হচ্ছে ? আরো বেশি দেখাও মায়া।
এবার স্পৃহা কিচ্ছু বলল না । সে এসব আর নিতে পারছে না। সুন্দর রডটা দিয়ে আশিকের শরীরের মাংস ভেদ করে ক্ল্যাভিকলে ঢুকিয়ে দিল। রডটি আশিকের হাড় ভেঙে তার শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে । র*ক্তে ভিজে উঠছে তার শরীর। এক টানে ক্ল্যাভিকলের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার রোডটি বের করে নিল সে। এবার গড়গড় করে পড়ছে র*ক্ত। ওই একই রড দিয়ে আশিকের হাতের উপরে অংশে গেড়ে দিল সুন্দর । তার হাত চেয়ার এর সাথে এখন আটকে রয়েছে । সকলেরই চোখ বন্ধ। কারো মুখে কোন কথা নেই । এত নীরবতার মাঝে শুধু শোনা যাচ্ছে আশিকের ভয়ানক চিৎকার। কিছুক্ষণ পর সুন্দর সকলের দিকে তাকিয়ে বলল,
-তোমরা ভাবছো কী দোষের জন্য আমি এত শাস্তি দিচ্ছি! এখন তোমাদের জানাই , ওর শাস্তি অনেক বাকি আছে। মূল খেলাটা পেছন থেকে ও খেলেছে আমার স্পর্শকে নিজের করে পেতে চাওয়ার জন্য । চক্রান্ত করেছে!
সকলে এবার আশিকের দিকে তাকালো । এসব কি বলছে ? আসলেই কি সত্যি?
সুন্দর আশিকের কাছে গিয়ে হাতে গেড়ে থাকা রডটি নাড়াতে নাড়াতে বলল ,
-কিরে বল সবাইকে!
আশিক এবার কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,
– হ্যাঁ আমি স্পৃহা কে ভালবাসতাম। ওকে পাওয়ার জন্য আরিয়ানকে ফাসিয়েছিলাম প্রথমে। তারপর লিহানকে।
(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:24
আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖
Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺🙏🏻
30 tarikh page tar 1 month hobe🥺 Apnara ektu beshi beshi share diyen,Sobaike invite korben,jate 1k o khub taratri hoye jay🥺🥺🥺
Ar eto violence e kharap lagche? Etodin apnader hero shanto chilo,ekhon to voyanok hobei👀na hole ar dark hoy ki kore!!