📌📢এলার্ট
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
‼️Violence alert ‼️
#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory
পর্ব-২৬
স্পৃহার পোশাক পরিবর্তন করে বিছানায় শুইয়ে দিল সুন্দর। তারপর তার পাশে নিজে আধ শোয়া অবস্থায় অফিসের জন্য কিছু জরুরী কাজ করতে থাকলো। পায়ের ওপর ল্যাপটপ রেখে বাঁ হাতে কাজ করছে আর ডান হাতে স্পৃহার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে স্পৃহা চোখ মেলে তাকায়। তার পাশে সুন্দরকে দেখে আবার ছিটকে দূরে সরে যায়। হঠাৎ করে স্পৃহার এমন সরে যাওয়ার কারণে সুন্দরও অবাক। এদিকে স্পৃহার নিজের গায়ে তার অন্য পোশাক দেখে সে আরো বেশি হতভম্ব। সাথে সাথে সে মাথায় হাত দিয়ে দেখে তার চুল ভেজা। নিজের শরীরে পাগলের মত হাত দিয়ে সুন্দরের দিকে তাকালো ।সুন্দর দৃষ্টি শান্ত রেখে বলল ,
-কি হয়েছে স্পর্শ ! এত ভয় পাচ্ছ কেন?
-আমি তো এই ড্রেসটি পড়েছিলাম না । আর আমার চুল ভেজা কেন?
সুন্দর দাঁতে কামড় দিয়ে মুচকি হাসে।
স্পৃহা এবার চেঁচিয়ে উঠলো,
-কি করেছেন আপনি আমার সাথে! একদম হাসবেন না ।বলুন!
-বলছি । কাছে এসো ।
-খবরদার আপনি আমার কাছে আসবেন না । আপনাকে দেখলে আমার ঘৃণা হয় !
সুন্দর এবার শক্ত করে স্পৃহার হাত চেপে ধরল। স্পৃহাকে তার নিচে ফেলে আবার জিজ্ঞেস করল,
– আমাকে দেখে তোমার কী হয় ?
স্পৃহা চোখ বুজে বলল ,
-ঘৃণা হয় আপনাকে দেখে । আমার ঘৃ……
ওর কথাটার বলতে দিল না সুন্দর । নিজের দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরলো স্পৃহার ঠোঁট।
কিছুক্ষণ পরে স্পৃহাকে ছেড়ে দিল সুন্দর। বললো,
-এতোকিছু দেখেও তোমার সাহস কমছে না স্পর্শ!
-কমবে না। মে*রে ফেলুন তাই।
-উহ্,তোমায় তো আমি নিজের সাথে রেখে মারব! রোজ এমনিতেই ম*রবে!
স্পৃহার মুখ দিয়ে তাপ বের হচ্ছে যেন সুন্দরের এসব কথা শুনে। স্পৃহার মুখের দিকে তাকিয়ে একটু থেমে সুন্দর আবার নিজের ঠোঁট কামড়ে বলল ,
-নাভিতেও কারো তিল থাকে! Very interesting!
সুন্দরের এমন কথা শুনেই স্পৃহা দুহাতে নিজের পেট চেপে ধরল । বিস্ফোরিত নয়নে তাকালো সুন্দরের দিকে। সুন্দর জানলো কি করে তার বিউটি স্পট কোথায় কোথায় রয়েছে!
স্পৃহার ভিষণ অস্বস্তি বোধ হচ্ছে । নিজের পেটে খামচে ধরলো সে । ভীষণ কান্না পাচ্ছে সুন্দর কি করেছে তার সাথে এটা ভেবে। ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদে দিল নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে। স্পৃহার গোলাপী ঠোঁট তীর তীর করে কাঁপতে লাগলো। সুন্দর তার একেবারে কাছে গিয়ে বলল ,
-তোমায় আমি দেখব না তো কি অন্য কেউ দেখবে?
কাঁদছো কেন ?
স্পৃহা জবাব দিল না । সুন্দর এবার একটু হুমকি দিয়ে বলল ,
-চোখের পানি যেন নিচে না পড়ে!!
বলতে বলতেই স্পৃহার দু ফোটা চোখের পানি সুন্দরের ল্যাপটপের উপর। সুন্দর স্পৃহার দিকে তাকিয়ে বলল ,
-বলেছিলাম না চোখের পানি যেন নিচে না পড়ে ?
বলেই ল্যাপটপটা দুভাগ করে ভেঙে ফ্লোরে আঁচরে ফেলল। স্পৃহা একেবারে হা হয়ে সুন্দরের দিকে তাকায় । সুন্দর তাকে সাবধান করে বলল ,
-আগেই বলেছিলাম আবারও বলছি তোমার চোখে যেন পানি না দেখি।
স্পৃহা তাড়াতাড়ি করে চোখ মুছে নিল । তার এত তাড়াহুড়ো দেখে সুন্দর কাছে গিয়ে বলল,
-That’s good Sporsho! I love this awareness
স্পৃহা নিস্পলক তাকিয়ে রইল সুন্দরের দিকে। সুন্দর একটু থেমে আবার বলল,
তুমি কি জানো, তোমার শরীরে যে কয়টি তিল রয়েছে প্রত্যেকটি অনন্য। একেবারে আকৃষ্ট করে নিজের কাছে টেনে নেয়। ঠিক তেমন কাজ করে চুম্বক শক্তি ।
সুন্দরের এসব কথা শুনে স্পৃহার অস্বস্তি আরো বেড়েই চলেছে । নিজের ওড়নাটা টেনেটুনে ঠিক করে চেপে রইল।
স্পৃহার ওড়না ঠিক করা দেখে সুন্দর মিষ্টি হেসে বলল,
– বাহ্। এক্কেবারে বেস্ট তিলটা কোথায় ছিল জান? তোমার…
কথা শেষ করার আগেই স্পৃহা সুন্দরের মুখ চেপে ধরল।
-No please
সুন্দরের ঠোঁটে স্পৃহা তার হাত দিয়ে স্পর্শ করেছে ! বিষয়টি বুঝতে পেরে স্পৃহা তার হাত সুন্দরের মুখের উপর থেকে সরিয়ে নেয় । বিছানা থেকে উঠে যেতে গেলে সুন্দর তার হাত ধরে হেচকাটান দেয়। নিজেকে সামলাতে না পেরে স্পৃহা সুন্দরের উপর গিয়ে পরে। সামনে চুলগুলো এসে কপালের ওপর পড়তেই সুন্দর হাত দিয়ে তা সরিয়ে দিয়ে বলে ,
-কই যাচ্ছো আমাকে রেখে?
স্পৃহার মনের মধ্যে দোটানার ঝড় বইতে থাকে । কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ,
-ওয়াশ.. ওয়াশ রুমে।
-এখন যাওয়া যাবেনা । আমি যখন বলব তখন যাবে।
-But it’s emergency!
-এবারের মত যাও । কিন্তু আমার কাছে অনুমতি না নিয়ে তুমি কিছু করবে না। আগে জিজ্ঞেস করবে । আর আমি যদি বলি তবে এটা করবে। তার আগে নয় । যদি রাজি থাকো তবে এখন ছেড়ে দেবো । রাজি?
স্পৃহা তড়িৎ বেগে বলে দিল,
– রাজি!
.
.
.
ওয়াশরুমে গিয়েই নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকলো সে । পুরো শরীরের জায়গায় জায়গায় র*ক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে।
.
.
.
.
.
কাল স্পৃহার হলুদের অনুষ্ঠান। সব ঠিক আছে শুধু বর চেঞ্জ
হয়ে গিয়েছে। এতদিন লিহান কে ভেবে সব আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ থেকে সুন্দরের জন্য সব আয়োজন।
হলুদের আগে এসে সুন্দরের সাথে স্পৃহার বিয়ে হবে এ বিষয়ে মাত্র তিনজন ব্যক্তি জানতো । তার মধ্যে দুজন হল সুন্দরের বাবা ও মা। সুন্দর নিজেই তিনজনকে সব জানিয়েছিল তার কাজ সফল করার জন্য। এদিকে স্পৃহার মনটা ভীষণ খারাপ । নিজেকে দেখে তার অনেক লজ্জা লাগছে । কারো দিকে তাকিয়ে সে কথা বলতে পারছে না । ফুল হাতার ড্রেস পড়েছে । ওড়না দিয়ে নিজেকে যত সম্ভব ঢেকে রেখেছে । না হলে বাইরের
মানুষের কাছেও লজ্জার সম্মুখীন হতে হবে তার। আয়োজনের মাঝে আরো একজনের মনটাও ভীষণ খারাপ । সে হচ্ছে লিহান । সুন্দর স্পৃহার মন খারাপ দেখে দুষ্টু হাসি দিলো । কারণ স্পৃহা লজ্জায় মন খারাপ করে রয়েছে । অন্যদিকে লিহানের মন খারাপ তার চোখ এড়ালো না ।
লিহানের দিকে তাকিয়ে বলল ,
-আর মাত্র তিন দিন ! আমি চাই আমার ভাই আমার বিয়ে দেখুক।
সুন্দরের এত সুন্দর কথার মাঝে কি ভয়ানক হুমকি লুকিয়ে রয়েছে তা শুধু ফিহা বুঝতে পেরেছে।
ফিহার এমন ভয়ার্ত দৃষ্টি দেখে তাকে একটু আলাদা ডেকে সুন্দর বলল ,
-লিহানের পিটিএসডি রয়েছে। কিন্তু , কিন্তু, কিন্তু এই বিষয়ে তোমার মুখ খুলতে হবে না। এতোদিন যেভাবে সাহায্য করেছ এখনো সেভাবেই সাহায্য করবে। আশা করি আমার ভয়ানক রূপ তোমাকে আর দেখতে হবে না।
একটু থেমে আবার বলল,
-যা ওষুধ দিয়েছিলাম তা ওর ড্রিঙ্কসে দিয়েছিলে?
-জ্বী..
-Good. আর ৩দিন ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকলেই হবে। তারপরেই জীবন্ত লাশ!
এই বলে ভয়ানক হাসিতে হেসে ওঠে সুন্দর।
(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:26
আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖
Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺
Sobar comment dekhte chai🥺🫶🏻💝(by the way,Lihan Beche thakbe🙂)