#শুনলাম_বসন্ত_নাকি_আবার_এসেছে
#লেখিকা_সিনথিয়া_জাহান
#পর্বঃ১৫
পৃথিবীতে আধার ঘনিয়ে এসেছে ৷ দুই প্রবীণ দম্পতি নিজেদের সুখ দুঃখের আলাপ চারিতা করছে , পুরনো দিনের সোনালী অতীতের কথাগুলো স্মরণ করতেও ভুলে যাচ্ছে না ৷ ওদের স্মৃতিচারণে বাধা পড়ে মেয়ের আওয়াজে,,,
বাবা মাম্মা একটু দরজা টা খোলো ৷ আমি একটা গ*ন্ডগোল পাকিয়ে ফেলেছি ৷
তুবা বিচলিত কন্ঠে কথাটা বলল ৷ রাইশা আর তানজিদ একে অপরের দিকে ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে দরজা খুলে দিল ৷ তুবা দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে অস্থিরভাবে ভিতরে প্রবেশ করে পায়চারি করতে লাগল ৷ রাইশা মেয়ের হাত টেনে ধরে বলল,,,
কতবার বলেছি দাঁত দিয়ে নখ কাটবে না? বাসায় কি নেইলকাটার নেই? তুমি যে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে দাঁতগুলো পাথরের মতো শক্ত করেছো সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে না ঠিক আছে?
ছাড়ো তো মাম্মা ৷ আগে আমার কথা শোনো ৷ একটা সমস্যা বাধিয়ে ফেলেছি ৷
জীবনে তো ওই একটা জিনিস ই করতে পারো তুমি মা ৷
তানজিদ রাইশাকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েকে আশ্বস্ত করে বলল,,, কি হয়েছে মামনি? খুলে বলো ৷ প্যা*নিক করার দরকার নেই ৷ আমি আছি তো ৷
তুবা বড় একটা শ্বাস ফেলে বলতে লাগল,,,, বাবা আমি ওই সাইক্রিয়াটিস্টের ক্যাবিনের কাচের ডোর ভেঙে ফেলেছি ৷
রাইশা অবাক হয়ে বলল,,, ভেঙে ফেলেছো মানে? তোমার শরীরে এতো শক্তি কবে থেকে হলো?
সেটা তো আমারও প্রশ্ন মাম্মা ৷ এতো শক্তি কোথা থেকে এলো!
তানজিদ মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলল,,, ঠিক আছে সমস্যা নেই ৷ স্বাধীনের কাছে মাফ চেয়েছো মামনি?
তুবা দাঁত বের করে বলল,,,, না ৷ আমি তো স্বীকার ই করিনি যে আমিই ভেঙেছি ওটা ৷ তোমার ওই পাগ*লা ডাক্তার ভেবেছে বাতাসের চাপে ভেঙে গেছে ৷
তানজিদ আর রাইশা আহাম্মক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাল ৷ তুবা পুনরায় ব্যস্ত কন্ঠে বলে উঠল,,,,
বাবা বাবা তুমি উনাকে ক্ষ*তিপূরণ দিয়ে দিও কেমন? আমি স্বীকার করতে পারব না কারন আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে ৷ প্লিজ বাবা প্লিজ ৷ আর উনাকে এটাও স্পষ্ট করে বলে দিবে যেন এই টপিক আমার সামনে না তোলে নাহলে কিন্তু আমি পরকালে গিয়ে হিসাব নিব বলে দিলাম ৷
তানজিদ ফোঁস করে শ্বাস ফেলে বলল,,,ঠিক আছে মামনি ৷
তুবা রুম থেকে বেরোতে বেরোতে বলল,,, মনে যেন থাকে বাবা ৷ আমি কিন্তু পরকালে গিয়ে এর হিসাব দিতে রাজি না ৷ আমি মানুষের থেকে হিসাব নিব কিন্তু মানুষ আমার থেকে হিসাব নিবে এমন কাজ আমি ভুলেও করতে চাই না ওকে?
মেয়ের গমনপথের দিকে তাকিয়ে তানজিদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,,,, জীবনে যেই জিনিস টা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভ*য়ে ছিলাম সেই জিনিসটাই আমার সাথে হলো ৷
রাইশা অবাক হয়ে বলল,,, কি চিরকুমার স্বামী?
কি আবার? তানিয়া ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে আমার মেয়েটাকেও নিজের মতো হিসাবধারী বানিয়ে দিয়েছে ছ্যাহ!
রাইশা জোরে হেসে উঠল, হাসতেই থাকল ৷ তানজিদ কপাল কুঁচকে বউয়ের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবারও দীর্ঘশ্বাস ফেলতে লাগল ৷
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
জিম পকেটে দু হাত গুজে মাথা নিচু করে ক্যাম্পাস দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ৷ সেদিকে একপলক তাকিয়ে আয়েশা তুবাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,
একে ঠিক কি শা*স্তি দিতে পারে তুবা?
ওই স্পেশাল পানিসমেন্ট টা পেয়েছে নাকি?
হ্যাঁ তাও আবার কোন স্যারের কাছে জানিস?
তুবা স্বাভাবিক মুখভঙ্গিতে বলল,,, না ৷
আয়েশা কপাল কুঁচকে বলল,,, আমি জানি তুই জানিস না তাই বলে মুখের উপর এভাবে না বলবি?
হ্যাঁ ৷
আয়েশা তুবার মাথায় চা*টি মে*রে বলল,,, বারিশ স্যার ৷
তুবা মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে চোখ দুটো বড় বড় করে বলল,,, তাহলে তো অবস্থা ঝাকানাকা ৷ এই ছেলের উপর দিয়ে না জানি কি কি গিয়েছে! ওহ ভালো কথা এই ছেলে টা তোকে সেই ফাস্ট ইয়ার থেকে লাইন মা*রে তাই না আপু?
আয়েশা চোখমুখ কুঁচকে বলল,,, হ্যাঁ সেই ব*লদ টাই এটা ৷ বাদ দে ওটার কথা , চল ক্যান্টিনে যাই ৷ প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে ৷
********************************
ভাই রে ভাই কাল পুরো বিকেল টাইম টা মানে টানা ৬ ঘন্টা বারিশ স্যার আমাকে দিয়ে ‘আমি আমার সম্পূর্ণ ধ্যান জ্ঞান ক্লাসের লেকচারের উপর দিব’ এই লাইন টা বিরতিহীনভাবে লিখিয়ে নিয়েছে ৷
জিমের ফ্যাকাশে মুখে বলা কথাটা শুনে ওর বন্ধু জিহাদ বলে উঠল,,, ক*ষ্ট পাস না ভাই ৷ এটা তাও কম ছিল ৷ আমি তো ভেবেছিলাম বারিশ স্যার তোকে উল্টো লটকিয়ে পা’ছায় সপাত সপাত বা*ড়ি মে*রেছে!
জিম নিজের চুপসে যাওয়া ডান হাতটা পকেট থেকে বের করে বলল,,, এটা তোর কাছে কম মনে হয়েছে? আমাকে দিয়ে ওই লেকচার মুখস্থ করিয়ে নিলেও তো হতো তাই না? কাল থেকে আমার হাতটা মুখ লুকিয়ে চিক্কুর করে কান্না করতেছে ৷ লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছে না এমনকি আমাকেও দেখাচ্ছে না! ভেবে দেখেছিস পরিস্থিতি কতটা প্রতিকূলে?
জিহাদ ওর হাতটা টেনে নিয়ে বলল,,, এগুলো তোর আঙুল? আমার তো মনে হচ্ছে আমি কোনো গ*ন্ডারের রসকষহীন হা*গা দেখছি!
জিম তড়িৎ বেগে নিজের হাতটা জাহিদের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পকেটে পুড়ে ওর সাথে তর্কাতর্কি করতে লাগল ৷ দুজনে আরো বেশ কিছু কথা বলল ৷ ওরা ক্যান্টিনে বসে কথাগুলো বলছিল ৷ ওদের উল্টোদিকে যে আয়েশা আর তুবা বসে আছে সেটা ওরা খেয়ালই করেনি ৷ ওদের কথোপকথন শুনে আয়েশার খাবার নাকে মুখে উঠে গেছে ৷ অন্যদিকে তুবা হাত কামড়ে ধরে হাসি আটকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷
আয়েশার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ৷ একটা পানির বোতল নিয়ে ওরা বাইরে চলে গেল ৷ আয়েশা চোখে মুখে পানি দিয়ে খানিকটা পানি খেয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করল ৷ তুবা অবশেষে জোরে জোরে প্রাণ খুলে হাসতে হাসতে বলল,,,
আজকের সর্বোচ্চ বিনোদন পেয়ে গেলাম ৷ আর বারিশ স্যারের বুদ্ধির জবাব নেই ৷ কি ইউনিক শা*স্তি মাই আল্লাহ!
আয়েশাও হাসতেছে কিন্তু চোখ দুটো এখনও লাল হয়ে আছে ওর ৷ হাসির মাঝে ওরা খেয়ালই করেনি ওদের পিছনে কেউ একজন এসে দাঁড়িয়েছে ৷ খেয়াল হতেই ওরা হাসি থামিয়ে সামনের ব্যক্তিটিকে সালাম দিল ৷ বারিশ সালামের জবাব দিয়ে শান্ত স্বরে বলল,,,
তোমাদের ক্লাস নেই? আই থিংক ক্লাস বাদ রেখে তোমরা দ্বিতীয়বার এমন হাসাহাসি করবে না রাইট?
দুজনেই একসাথে বলে উঠল,,,জ্বি স্যার ৷
বারিশ পাশ কাটিয়ে যেতে ধরে একটু থেমে বলল,,, ভ্যা*ম্পায়ারের চোখ লাল হয় শুনেছিলাম কিন্তু মানুষের লাল চোখ স্বাভাবিক না ৷
বারিশ চলে গেল ৷ আয়েশা চোখ সরু করে বলল,,, দেখলি কেমন প্যাঁচিয়ে কথা বলে এই ভাচা? সরাসরি বললেই তো হতো “আয়েশা তুমি ঠিক আছো? তোমার চোখ লাল কেন? একটু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেও” তা না স*ন্ত্রাসীগুলোর মতো সাবধান করল! এটাকে এক কথায় হুম*কিও বলা যায়!
তুবা হেসে উঠে বলল,,, বারিশ স্যারের থেকে এর চেয়ে ভালো কথা আশা করিস কিভাবে? চল চল ক্লাসে যাই নয়তো এবার এসে আমাদেরও ৬ ঘন্টা বসিয়ে রেখে ননস্টপ হাসতে হাসতে বলতে বলবে ‘ক্লাসের সময় করিডোরে দাঁড়িয়ে নো হাসাহাসি’ ৷
আয়েশা ওর কথায় হেসে উঠল ৷ হাসি থামিয়ে দুজনে নিজেদের ক্লাসের দিকে এগিয়ে গেল ৷ কিছু একটা মনে পড়তেই আয়েশা বলে উঠল,,,
ওহ হ্যাঁ তোর মনে আছে ওই বাচ্চাটাকে যার সাথে আমাদের পার্কে দেখা হতো রোজ ৷
হ্যাঁ হ্যাঁ ওই দু*ষ্টু বাচ্চাটা ৷ তার কি হয়েছে?
ওই বাচ্চাটা নাকি জেদ করেছে আমার কাছে ছাড়া আর কারো কাছে টিউশন পড়বে না ৷ আপু টা আমাকে জোর করেনি কিন্তু কন্ঠে আকুলতা ছিল ৷ বাচ্চাটাকে অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি ৷ তাই উপায় না পেয়ে আমাকে রিকোয়েস্ট করেছে ৷
তুই কি সিদ্ধান্ত নিলি আপু? ভার্সিটির পড়া কমপ্লিট করে বাচ্চাটাকে পড়ানোর সময় বের করতে পারবি?
এমনভাবে বলছিস যেন আমি এমনিতে পড়া কমপ্লিট করতে পারি? ওই পড়াশোনা আমার দ্বারা হবে না ৷ আমি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিব ভাই ৷ তবে আপুর রিকোয়েস্ট টা আমি ফেলব না ৷ আজ বাবার সাথে কথা বলব ৷
ফাস্ট ইয়ারের ক্লাস এসে যাওয়ায় তুবা বিদায় জানিয়ে নিজের ক্লাসে চলে গেল আর আয়েশা থার্ড ইয়ারের ক্লাসের দিকে অগ্রসর হলো ৷
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
চারতলার হাসান ভিলার প্রথম তলায় প্রবীণ দুই দম্পতি থাকে, দ্বিতীয় তলায় মেয়েরা, তৃতীয় তলায় ছেলেরা আর চতুর্থ তলায় গেস্টরুম আর একটা মস্ত বড় লাইব্রেরি আছে ৷ সাজিদ এখন সেই লাইব্রেরিতে বসে চোখে চশমা দিয়ে বই পড়ছে ৷ মেহমেত সাজিদের বিপরীত পাশে মুখ হা করে ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ এসেছিল বই পড়তে কিন্তু ঘুম ওকে ধো*কা দিয়ে দিয়েছে ৷
মাম্মার থেকে বাবার অবস্থান জেনে নিয়ে আয়েশা লাইব্রেরিতে চলে আসল ৷ সাজিদের দিকে এগিয়ে গিয়ে আস্তে করে বলল,,,
বাবা ৷
সাজিদ বই থেকে চোখ সরিয়ে সামান্য হেসে বলল,,, হ্যাঁ বড় আম্মুজান ৷
তোমার সাথে কিছু কথা ছিল ৷
সাজিদ বইটা দুরে সরিয়ে, চোখ থেকে চশমা খুলে বলল,,, নির্দ্বিধায় বলতে পারো বড় আম্মুজান ৷
বাবা আমি একটা টিউশন করাতে চাচ্ছি ৷
সাজিদ শান্ত চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকল ৷ বাবার দৃষ্টি দেখে আয়েশা ব্যস্ত হয়ে বলতে লাগল,,,
এমনটা ভেবো না যে এতে আমার পড়াশোনার ক্ষ*তি হবে ৷ আমি ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত টা নিয়েছি বাবা ৷
ভুল বুঝলে আমাকে ৷ আমি কি কখনো তোমাদের পড়াশোনা নিয়ে চাপ দিয়েছি? তোমাদের মন যা সায় দিবে তাই করবে ৷ কিন্তু বড় আম্মুজান তুমি যদি হাত খরচের টাকার জন্য এমনটা করতে চাও তাহলে আমার আপত্তি আছে ৷ কেননা আমি বেঁচে থাকতে আমার মেয়েকে কোনো ক*ষ্ট করতে দিব না আমি ৷
জানি তো বাবা ৷ আসলে একটা বাচ্চা নাকি আমার কাছে ছাড়া কারো কাছে পড়তে রাজি হচ্ছে না তাই আপু রিকোয়েস্ট করেছে পড়ানোর জন্য ৷
তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই ৷ আমার বড় আম্মুজান নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভেবে আমি অনেক খুশি ৷ এর মাধ্যমেও তুমি অনেক কিছু শিখতে পারবে ৷
আয়েশা খুশি হয়ে বাবাকে জরিয়ে ধরে বলল,, ইউ আর দা বেস্ট বাবা ৷
আয়েশা হাস্যজ্জ্বল মুখে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে যেতে লাগল ৷ সাজিদ মুচকি হেসে সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পুনরায় বই পড়তে লাগল, মেহমেত এখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ দুনিয়া উল্টে গেলেও ওর ঘুম ভাঙবে না ৷
আয়েশা লাইব্রেরি থেকে বেরোতেই যাবে এমন সময় সাভাশ লাইব্রেরির অন্যদিকে থেকে বলে উঠল,,, কেন শুধু শুধু একটা বাচ্চার পড়াশোনার ক্যারিয়ার ধ্বং*স করে দিতে চাচ্ছিস? তোর কাছে পড়লে ওই বাচ্চা কিভাবে পড়াচো*র হওয়া যায় সেই শিক্ষা ছাড়া আর কোনো শিক্ষা পাবে বলে মনে হয় না!
আয়েশা ভ্রু কুঁচকে বলল,,, সেটা পরের কথা কিন্তু তোর মতো মানুষ লাইব্রেরিতে কি করছে? তোর মাথায় কোনো গ*ন্ডগোল হয়েছে নাকি? নয়তো এখানে আসার তো কথা না ৷
সাভাশ কিছু বলার আগেই কিছু পড়ে যাওয়ার বি*কট শব্দ শুনে দু ভাইবোন চট জলদি ভিতরের দিকে চলে গেল ৷ কিন্তু গিয়ে পুরো আহাম্মক হয়ে গেল ৷ মেহমেত চেয়ার থেকে ধপাস করে মেঝেতে পড়ে গেছে ৷ আশ্চর্যের বিষয় ও এখনও ঘুমিয়েই আছে ৷ তার চেয়েও বড় কথা পড়ে যাওয়ার পর ঘুমের ঘোরে ও একটা কথা বলে পুনরায় আগের মতো গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল ৷ কথাটা ছিল,,
Whatever…
চলবে,,,,,