#অবরুদ্ধ_নিশীথ
#তেজস্মিতা_মুর্তজা
৩১.
জয় কপালে হাত রেখে সালাম দিলো মুস্তাকিনকে। মুচকি হাসল মুস্তাকিন, “বসুন। হালচাল ভালো?ʼʼ
-“খারাপ থাকার জন্য যে বিশেষত্বটা দরকার, সেইটা আমার নাই। খারাপ থাকে ভালো মানুষেরা। আমি খারাপ মানুষ।ʼʼ
অন্তূ আবার এসে বসতে বাঁধা দিলো জয়, “উহহহু। ভেতরে যাও, আরমিণ। দ্রুত তৈরি হয়ে এসো। তোমার এক্সাম আছে।ʼʼ
অন্তূ নিষেধ শুনেই বরং বসে পড়ল, “দুটোয় এক্সাম। এগারোটা বাজছে।ʼʼ
জয় ক্ষণকাল মেঝের দিকে চেয়ে থেকে বলল, “আজ পরীক্ষা পিছিয়েছে। বারোটায় পরীক্ষা।ʼʼ
-“হঠাৎ!?ʼʼ
জয় বলল, “আজ শেষ পরীক্ষা। ভার্সিটিতে কিছু ঝামেলা হয়েছে, পরীক্ষার সময় পিছিয়েছে।ʼʼ
-“তো আপনি এ কথা এভাবেই সবার বাড়ি বাড়ি ও হলে গিয়ে জানিয়ে আসছেন?ʼʼ
-“তুমি অনুমতি দিলে তাই হবে। ভার্সিটির সব ছাত্রীগুলারে বিয়ে করব, এরপর সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসব। একটু জামাই আদরও পাওয়া হবে।ʼʼ
-“অনুমতি আছে। করে ফেলুন।ʼʼ
মুস্তাকিন চুপচাপ বসে ছিল। জয়ের মনে হলো, তার দ্বারা এর চেয়ে বেশিক্ষণ ভদ্র আচরণ করা অসম্ভব। সে বিশাল বড় হেসে মুস্তাকিনকে বলল, “তো মুস্তাকিন সাহেব, কী কাজে এসেছিলেন, সেসব যাক। আমার মনেহয় আপনার কাজ শেষ। এখন আসত পারেন। আমার বউডার পরীক্ষা আছে তো, বাইর হইতে হবে। ফর্মালিটির চোটে উঠে যাইতে পারতেছে না। ভদ্রলোকের মেয়ে তো। আপনি গেলে তবেই উঠে তৈরি হত যেতে পারবে।ʼʼ
অন্তূ চোখ বুজল। তামাশা তৈরি করতে জয়ের কোনো পূর্বপ্রস্তুতির দরকার পড়ে না। কিছুটা লেহাজ, সংকোচ নেই তার মাঝে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, মুস্তাকিন খুবই স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে গেল। জয় একাই বসে রইল। কেউ উঁকি দিয়েও দেখল না জয়কে সেই ঘরে।
অন্তূ কিছুক্ষণ পর তৈরি হয়ে সামনে এলো। তার চোখ ফোলা, নাক লাল হয়ে আছে। কেঁদেছে সে।
-“বোরকা কই, তোমার?ʼʼ
-“চলুন, দেরি হয়ে যাচ্ছে।ʼʼ
-“বোরকা পরে এসো। বসছি আমি।ʼʼ
অন্তূ খুব সাবলীলভাবে মাথা নেড়ে বলল, “চলুন।ʼʼ
জয়ের স্বর বদলে গেল, “আমি উঠলে এমন একটা থাপ্পর মারব, কান দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হয়ে যাবে।ʼʼ
-“আচ্ছা, মারুন। তবে তাড়াতাড়ি। যত তাড়াতাড়ি মারা শেষ হবে, আমরা তত তাড়াতাড়ি বের হতে পারব।ʼʼ
জয় উঠে দাঁড়াল অন্তূর সামনে, “বোরকা না পরে কী প্রমাণ করতে চাইতেছ?ʼʼ
-“আমি কিছু প্রমাণ করতে চাইছি না। ওই দায়িত্ব আপনার ছিল। তা আপনি খুব ভালোভাবে পালন করেছেন। আর কিছু প্রমাণ করার নেই।ʼ
-“এই শালির মেয়ে! এইজন্য তুই ল্যাংটা হয়ে বাইরে যাবি?ʼʼ
-“যার ইজ্জত নেই, তার ঈমান নেই। আর ঈমান হলো পোশাক। সেই হিসেবে আমি ল্যাংটাই।ʼʼ
-“তোর যুক্তিরে চুদি আমি, শালি। যা বললাম, কর।ʼʼ
-“যুক্তির সাথে খারাপ কাজ না করে তার প্রেক্ষিতে পাল্টা যুক্তি দিলেও পারেন। ঘরে পরপুরুষ ঢোকানো মেয়েলোক বোরকার মতো সম্মানিত পোশাক পরবে না।ʼʼ
জয় চার আঙুলে অন্তূর গাল চিপে ধরল, “আমার কোনো কর্মে আমার জীবনে আফসোস হয় নাই। তা করানোর চেষ্টা করলে মেরে পুঁতে রেখে যাবো। আমার সামনে দুঃসাহস দেখিয়ে কম ভোগান্তি পোহাসনি। আগে যেভাবে চলতি, সেইরকম চলবি। বোরকা পরে আয়।ʼʼ
-“এটা আমার বাড়ি। আম্মু-ভাবী পাশের ঘরেই আছে। আপনি আমার সাথে এমন করে তাদের কষ্ট দিচ্ছেন। শুধু শুধু আমার ভেতরে জেদ বাড়ছে, কী লাভ?ʼʼ
জয় গাল ছেড়ে গলা চেপে ধরল, দুই হাত দিয়ে। অন্তূর শ্বাসনালি আঁটকে এলো।
জয় বলল, “তোর ভয় লাগে না আমাকে, না? কোনো একদিন একদম শ্বাস আঁটকে মেরে ফেলব, শালীর মেয়ে। আমারে কি বালব্যাটা মনে হয় তোর? আমি আমার মুখের ওপর কথা বলা সহ্য করা ভুলে গেছি বহুবছর। কেউ কথা কয় না, সেই সাহস রাখিনি কারও ভেতরে। তুই বলিস, একমাত্র তুই। ক্যান? তোরে কি বেশি প্রশ্রয় দেই আমি? নয়ত ভয় লাগে না ক্যা তোর আমারে।ʼʼ
অন্তূ কথা বলার প্রয়োজন মনে করল না। জয় নিজে গলা ছেড়ে দিলো। অন্তূর চোখের শিরায় রক্ত উঠে এসেছিল।
জোরে কয়েকটা শ্বাস ফেলল অন্তূ। গলা শুকিয়ে গেছে, পানি খাওয়ার দরকার। অন্তূর বড় দুর্দিন এসেছে। তার আব্বুর ঘরে ঢুকে কেউ তাকে আঘাত করে। কিন্তু অন্তূর কান্না পেল না। অসহায়দের কাঁদতে নেই।
সাদা রঙা একটা সেলোয়ার-কামিজ পরনে, সাদা ধবধবে ওড়না মাথায়-গায়ে জড়িয়ে ফাইইলটা হাতে ধরে বেরিয়ে গেল অন্তূ। গলাটা ব্যথা হবে খুব। কণ্ঠনালিতে চাপ লেগেছে, মাথায় চাপ অনুভূত হচ্ছে।
অন্তূ গলির ভেতরে অনেকটা এগিয়ে গেছিল। জয় বড় বড় পা ফেলে অন্তূর সামনে গিয়ে দাঁড়াল, “পেছনে গাড়ি দাঁড়ায়ে আছে। রাস্তাঘাটে মার খাস না আমার হাতে।ʼʼ
অন্তূ হেসে উঠল, “হুশ! রাস্তাঘাটে দেহব্যবসায়ী হিসেবে কত খ্যাতি অর্জন করেছি কোনো হিসেবে আছে আপনার? চারদিকে তাকান, দেখেছে জানালা-দরজা সবকিছুর ফাঁকে জোড়া জোড়া চোখ আমায় দেখতে মগ্ন। মার খেলে কী?ʼʼ
-“গাড়িত্ যায়ে বসো।ʼʼ
-“হেঁটেই যাব আমরা।ʼʼ
-“রাস্তাঘাটে ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিস?ʼʼ
যতদূর পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, লোকে কেউ কেউ নিজেদের পায়ের কাছে থুতু ফেলছিল। ঘুসুর ঘুসুর করছিল, ‘নষ্টামি করা স্বামী নিয়া দেখো কেমনে ঢ্যাংঢ্যাং কইরা রাস্তায় বাইর হইছে, আর এই জয় ছেড়াডা এত শয়তান.. খাটাশ..ছেড়া…ʼ
বিভিন্ন ধরণের কথা আসছিল। আজ আর শুধু অন্তূকে বলা হয়নি, শুনতে হলো জয়কেও। জয়ের হাত-পায়ে শিরশির করছিল। বেশ কয়েকবার অনিয়ন্ত্রণে চলে গিয়ে আবার সামলে নিলো নিজেকে।
মোড়ের ওপর তারা দুজন দর্শনীয় বস্তু হলো সবার কাছে। লোকে গাড়ি থামিয়ে হলেও তাদেরকে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করছে না। করা উচিতও না। ক’দিন আগে জয় আমির নষ্টামি করে ধরা পড়ে এই মেয়েটাকে বিয়ে করেছে। দেখা দরকার। জয়ের ইচ্ছে করল অন্তূকে জবাই করে ফেলতে। তার মনে হলো, এই পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যই অন্তূ হেঁটে এসেছে।
অন্তূ একটা রিক্সা ডাকলো, “ভার্সিটির গেইটে নামিয়ে দেবেন।ʼʼ
জয় লাফ মেরে উঠে বলল, “থানার দিকে গাড়ি ঘোরান, মামা।ʼʼ
অন্তূ তাকালো। জয় না তাকিয়েই বলল, “তোমার পরীক্ষা দুপুর দুটোয়।ʼʼ
—
রাত এগারোটা। কনকনে শীতের রাতে খালি পায়ে মেঝেতে দাঁড়িয়ে থাকা সাহসিকতার ব্যাপার। তরুর ভেতরে আজ সেই সাহস এসেছে। হু হু করে শীতল বাতাস নাকে-মুখে ঢুকছে।
তরু দাঁড়িয়ে রইল বারান্দার গ্রিল ধরে। তুলি ঘরের ভেতরে কোয়েলকে ঘুম পাড়াচ্ছে। জয়ের গান গাইতে গানতে ঢুকল,
—তুমি মা হারা ছেলে জাহানারা ইমামের, একাত্তরের দিনগুলি, তুমি নকশি কাঁথার মাঠের জসিমউদ্দীনের মুঠো মুঠো মাটির ধুলি…
তুলি গম্ভীর মুখে তাকাল, “গান যখন ভুলভাল নিজের মনের মতো গাইবি, তখন নিজে গান বানিয়ে গাইতে পারিস না?ʼʼ
জয় আরও জোরে চ্যাঁচালো, “তুলি, ও তুলি, ও তুলি তুলি তুলিরে, দোলনায় উঠে আমি দুলি, গাছের ওই ডাল ধরে ঝুলি…ʼʼ
তুলি রেগে উঠল, “চিৎকার করলে লাত্থি মারব একটা, বের হ আমার ঘর থেকে। বাবু ঘুমাচ্ছে, যা বের হ।ʼʼ
জয় বারান্দায় গিয়ে তরুর পাশে দাঁড়াল। তরু চমকে উঠল, “কিছু লাগবে আপনার? ডাকলেই হতো আমাকে।ʼʼ
-“শোন তরু! তোকে এমন একটা যোগ্য পাত্রের কাছে বিয়ে দেব, তুই তখন আমায় ভেবে গান গাইবি,
—চলে গেছো তাতে কী, নতুন একটা পেয়েছি, সরকারী চাকরিজীবী।ʼʼ
পোলের আলো এসে অন্ধকার দূর করেছে বারান্দার। সৈ আলোয় তরুর ছলছলে চোখদুটো সজল হয়ে উঠল।
জয় গ্রিলের ওপর একটা ঘুষি মারল, “চোখের মায়ায় বাঁধার চেষ্টা? শীট, শীট ম্যান! বাঁধা পড়ার সিস্টেম নাই ভেতরে।ʼʼ এরপর বাচ্চাদের মতো করে আহ্লাদ করার নাটক করে বলল, “আমি পাখি ঘর বুঝিনা রে…ʼʼ
তরু হাসল, “তবুও ঘর বাঁধলেন, না বুঝেই বাঁধলেন।!ʼʼ
-“ঘর বাঁধিনি। এক জঙলি-বিলাইকে খাঁচায় পুড়ছি, সেইটাও পরিকল্পনাহীনভাবে। তুই দেখিস নাই ওই শালীরে, শালী একদম ফায়ার, দেমাগ দেখলেই ভয় লাগে…ʼʼ
-“আজ দেমাগী না হয়ে হেরে গেলাম নাকি!ʼʼ
-“জিতে গেলি। কারণ তুই আমায় পাসনি।ʼʼ
-“খুব সুন্দরী সে?ʼʼ
-“মানুষ হিসেবে তোর মতো সুন্দর না। শালীর তেজ খুব বেশি।ʼʼ
-“আর রূপ?ʼʼ
-“হ….সুন্দর আছে।ʼʼ
-“আচ্ছা। এত সাফাই গাইতে হবে না। শুনুন, না পেতে পেতে এমন অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমি, আজকাল চেয়ে কিছু পাওয়ার কথা ভাবলেও খুব ভয় লাগে, যেন কোনো অস্বাভাবিকতা তা। ছোট থেকে বাপের আদর পাইনি, মায়ের কোল, আঁচল কিছুই পাইনি। নিজের একটা ঠিকানা পাইনি, হুট করে আপনাকে পেয়ে গেলে সামলাতে পারতাম না। চা খাবেন আপনি? আদা-চা খেতে ইচ্ছে করছে। আমার জন্য বানাতে যাচ্ছি , আপনার জন্য বানাবো?ʼʼ
তরু চলে যায় জয়ের সামনে থেকে। জয় চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। তুলি এসে বসল পেছনে বেতের মোড়ায়।
আজকাল জয়ের মনেহয়, সে পাপ করে। আগে মনে হয়নি। আগে মনে হতো, ওসব ক্ষমতা। ক্ষমতা আছে, করবেই, এসব তার স্বাধীনতা। কিন্তু আজ ব্যাপারটা অনুশোচনারও নয়। তরুর প্রতি যে স্নেহ এবং মায়াটা কাজ করে, সেটা খুব জ্বালাতন করছে।
পররক্ষণেই মনে পড়ে, অনুশোচনা হতেই পারে। পাপ বেশি হলে অনুশোচনা হয় মাঝেমধ্যেই, তবে সেটাকে ধরে রেখে পাপ করা থামানো উচিত নয়। হামজা ভাই বলেছে। পাপ জয়ের রক্তকণিকায় মিশে গেছে। তা ছেড়ে দিলে চলবে? এ চলবে, যতদিন না নিঃশ্বাস থামে।
জয় চলে এলো। তুলি অন্ধকারচ্ছন্ন বারান্দার কোণায় বসে থাকে। আজ কতগুলো মাস বাপের বাড়ি এসে পড়ে থাকা মেয়েটার চোখদুটো উদাস। জয়ের সাথে কথা বললে ভালো লাগে। জয় ছাড়া আর কারও সাথে সংলাপ বাড়ে না তার। চাপা স্বভাব। কিন্তু জয়ের ঠ্যাস মারা, কপট কটূক্তিতেও তুলির ভেতরে শান্তি কাজ করে। পাগল জয় ঠ্যাস মারতে মারতে সমস্যাটা শুনে নেয়, এরপর ধমকে উঠে আরেকটা গালি দিয়ে কান্না থামায়। কিন্তু আজ জয় নিজেই অশান্ত, ওকে থামিয়ে নিজের বিষাদ চাপাতে ইচ্ছে করল না তুলির।
রাত দেড়টায় দাবার বোর্ড নিয়ে বসল জয়। অনেকক্ষণ দেখল বোর্ডটাকে। এলোমেলোভাবে ইচ্ছেমতো একেকটা ঘুটিকে আরেকটা দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলো। হামজা এসে বসে পাশে। জয় না তাকিয়ে হেসে উঠল, “বউ রেখে আমার কাছে আসছো রাত দুপুরে। মতলব তো ভালো ঠেকে না।ʼʼ
হামজা কষে একটা ঘুষি মারল বাহুতে। বোর্ডটা ঘুরিয়ে নিলো নিজের দিকে। ঘুটি সাজাতে সাজাতে হঠাৎ-ই স্বর বদলে বলল, “সব সয়, বদনামি ছাড়া। সেটাই কানে আসছে তোর বদৌলতে। তোকে কী করা যায়, তুই বল।ʼʼ
-“কোথায় শুনলে বদনামি?ʼʼ
-“আরমিণ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে দশ গ্রামে।ʼʼ
জয় ভ্রু কুঁচকায়। আজ যে সে তা নিজে প্রত্যক্ষ করেছে, সেটা চেপে গিয়ে বলে, “কোন খা-ন-কির চেংরা কী বলে বেড়াচ্ছে? ওই বাড়িতে আছে, লোকে কথা শোনাচ্ছে। এই বাড়ি আসলে তো আর কোনো শুয়োরের বাচ্চার সাহস হবে না কথা শোনানোর! সামনের শুক্রবার তুলে আনতেছি…এরপর দেখব কোন সম্বন্ধির পোলার পেছন চুলকায়.. ʼʼ
-“শিওর!ʼʼ
-“হ। আমি দেখবার চাই, কোন বা-ই-ঞ্চ-দে-র জয় আমিরের ঘরের বউকে কথা শোনানোর হিম্মত হয়। আমি জাস্ট এইটা দেখার জন্য হলেও তুলে আনবো। ওই বাড়ি, চেংরী শালী পড়ে আছে, কথা তো শুনবেই। এইডা তো আমার দোষ না। কিন্তু সমস্যা হলো, লোকজন খুব উড়াউড়ি করতেছে। আচ্ছা, আমি কি মরে গেছি? এরা আমায় আজকাল পাত্তা দিচ্ছেনা। যা তা করে বেড়াচ্ছে। আর আমিও সহ্য করে যাচ্ছি। ঠিক করতেছি? শ্যাহ! লোক দামই দিচ্ছেনা আজকাল।ʼʼ
হামজা ঘরে ঢুকল। রিমি হামজার পাঞ্জাবী ইস্ত্রি করছিল। অলস ভঙ্গিতে বিছানায় শুয়ে বলল, “তোমার ভাই-চাচারা হাত-পা ধুয়ে আমার পিছনে লেগেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকের সাথে দ্বন্দ করতেই যদি দিন যায়, আর সব পার্টি সামলাবো কখন?ʼʼ
রিমি হাত থামিয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল হামজার দিকে। তখনই তড়াক করে উঠে বসে হামজা, রিমির হাত থেকে ইস্ত্রি কেড়ে নিয়ে কপাল টান করে, “পাঞ্জাবী পোড়াবে? এত বেখেয়ালী হয়েছ কবে?ʼʼ
চলবে..
[ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন]