শাড়ি টেনে বুকের উপর থেকে সরিয়ে ফেলল তিয়াস।
“এগুলো কি করছো তিয়াস?”
“বয়ফ্রেন্ড বানাবি আর বয়ফ্রেন্ডের সাথে শুবি না এটাতো হবে না।আজকে তোকে আমার সাথে রুম ডেট করতে হবে।সাতটা মাস চরকির মতো ঘুরাইছিস।আজকে তোর ভিডিও ভাইরাল করে দেবো।তারপর তোর এই রুপ কই যায় তাই দেখবো।একবছর ধরে তোর পিছনে ঘুরছিলাম কিন্তু পাত্তা দেছ নাই।তার পর যখন একসেপ্ট করলি তখন নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাইছিস।এবার দেখ তোর কি করি।
“তুই এতো বড় শয়তান আমার আগে জানা ছিলো না।তোকে বিশ্বাস করাটা আমার চরম ভুল ছিলো।ইনান আগেই বলেছিলো তুই খারাপ কিন্তু আমি ওকে বিশ্বাস করি নি।তুই বিশ্বাসঘাতক।”
(ঘন্টাখানেক আগে..
“জান একবার দেখা করো না।”
“কালকেইতো দেখা হলো।”
“তোমাকে আমার প্রতিদিনই দেখতে ইচ্ছা করে।আসো না একবার প্লিজ।”
“কিভাবে আসবো বলো?ক্লাস আছে তো।”
“আমার থেকে তোমার ক্লাস ইম্পর্টেন্ট হয়ে গেলো?”
“না তেমন না।”
“আমি জানি এখন আর তুমি আমাকে ভালোবাসো না”
“না সত্যি বাসি তো।”
“তাহলে আসো না দেখা করি।”
“তোমার সাথে তো আর পারা যাবে না।আসছি আমি।”
“আচ্ছা আসো।”
তারপর ইনশিরা তিয়াসের সাথে দেখা করতে পার্কে চলে গেলো।গিয়ে দেখে তিয়াস আগে থেকেই এসে বসে আছে।গিয়ে তিয়াসের পাশে বসে বলল
“জানো তোমার জন্য কতো ইম্পর্টেন্ট একটা ক্লাস মিস করে এসেছি।”
“ধূর ওইসব ক্লাসতো পরেও করা যাবে।কিন্তু আমি চলে গেলেতো আর ফিরে পাবে না।”
“হুম তা ঠিক।”
“জানো মা তোমাকে দেখতে চেয়েছে।চলো গিয়ে মায়ের সাথে দেখা করে আসি।”
“হঠাৎ মা ডাকলো কেনো?”
“বারে,,তার ছেলের বউকে দেখার শখ হতে পারে না?”
“ও আচ্ছা আমি আদ্রি কে ফোন করে আসতে বলি।”
“কেনো?তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না?”
“না তেমন কিছু না।ওইতো প্রথম প্রথম যাচ্ছিতো তাই আর কি।”
“কিচ্ছু হবে না চলো আমি আছি তো।”
তারপর ওরা চলে আসে এই ফ্য্লাটে।আর এসেই তিয়াস দরজা লক করে দেয় আর তারপর থেকেই ভয়ঙ্কর বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় ইনশিরাকে।)
“এখন বয়ান বন্ধ করে আমার কাছে আয়।”
“মরে গেলেও না।”
তিয়াস ইনশিরার কাছে এগুতে থাকে আর ইনশিরাহ পিছাতে থাকে।কাছে এসেই একটানে ওর শাড়ি খুলে ফেলে।ইনশিরাকে একটানে বিছানায় ফেলে দেয়।তারপর ওর ওপর উঠে ঠোঁটে ঠোঁট মিলানোর চেষ্টা করতে থাকে।ইনশিরাহ প্রাণপণ ছোটার চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু পারছে না।তিয়াস ওর ব্লাউজের হাতা ও ছিড়ে ফেলেছে। ইনশিরার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে তবে কি শেষ রক্ষা হবে না!!ইনশিরাহ হঠাৎ হাতের কাছে একটা ফুলদানি পেলো তাড়াতাড়ি সেটা নিয়ে তিয়াসের মাথায় জোরে একটা বাড়ি মারে।তিয়াস মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে।ইনশিরাহ তাড়াতাড়ি উঠে দরজা খুলতে যায় কিন্তু পারে দরজা বাইরে থেকে তালা লাগানো।ইনশিরা দৌড়ে এসে ফোন নিয়ে বাথরুমে চলে গেলো।তিয়াস বাথরুমের দরজা জোরে জোরে ধাক্কাচ্ছে আর বলছে
“পালাবি কোথায়? তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আয়।নাহলে দরজা ভাঙ্গবো।”
ইনশিরার শরীর অনবরত কাপছে।কাপা কাঁপা হাতে ইনান কে ফোন দিলো।ইনান হলো ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড।ইনান ছাড়া ও আরো দুজন আছে ওরা হলো আদ্রি আর আয়াশ।
কিন্তু একি ইনান ফোন তুলছে না।বেশ কয়েকবার ফোন করার পরও ফোন তুলছে না।আর এইদিকে তিয়াস দরজা ধাক্কাচ্ছে মনে হয় আর একটু হলেই হলেই দরজাটা ভেঙে যাবে।ইনশিরা আর কোনো উপায় না পেয়ে ইনানকে মেসেজ করলো
“দোস্ত কই তুই? বাচা আমারে।তিয়াস ওর ফ্ল্যাটে নিয়া আসছে আমারে আর এখন…….”
আর কিছু লিখার আগেই তিয়াস দরজাটা ভেঙে ফেললো। ইনশিরাহ তিয়াসকে বাথরুমে ঢুকতে দেখে আর কিছু না লিখই মেসেজটা সেন্ড করে দিলো।আর তিয়াস ইনশিরার ফোনটা কেড়ে নিয়ে বাইরে ফেলে দিয়ে আবার টানতে টানতে বিছানায় এনে ফেলল।ইনশিরা মিনতি সুরে বলল
“প্লিজ তিয়াস আমাকে যেতে দাও।আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি।আমি তো তেমাকে ভালোবেসেছিলাম বলো তাহলে কেনো তুমি আমার সাথে এমন করছো?তিয়াস প্লিজ এমন করো না।”
“ধূর তোর সেন্টিমেন্টাল কথা বন্ধ কর।আমি এই ফ্য্লাট টা কিনছি শুধু মাত্র এগুলো করার জন্য। তোর আগেও আরো অনেক মেয়ে এসেছে এখানে।”
“তিয়াস প্লিজ যেতে দাও।আমার বাবা মা অনেক কষ্ট পাবে।”
“তোর মতো আরো অনেকেই আমার কাছে হাত জোড় করেছিলো কিন্তু আমি ওদের যেতে দেই নি।আর তোকেও দেবো না।আমার ইচ্ছা পূরণ করে যাবি।”
“তিয়াস তোমার বোনেরও যদি এমন হয় তুমি মানতে পারবে?”
“আমারতো বোন ই নাই।”
“নিজের বোন নাই তো কি হয়েছে অন্যের বোনকে একটু দয়া করো।বিশ্বাস করো আমি এই কথা আর কাউকে বলবো না।প্লিজ যেতে দাও।
” চুপ একদম চুপ। ”
তিয়াস ইনশিরার উপরে উঠে আবার দস্তাদস্তি শুরু করে দেয়।ইনশিরা প্রাণপণে ওর থেকে ছোটার চেষ্টা করছে।কিন্তু তিয়াসকে আটকাতে পারছে না।অনেক্ষণ দস্তাদস্তি করার পর ইনশিরা পাশে থাকা একটা চাকু নিয়ে তিয়াসের হাতে ঢুকিয়ে দেয়।আর তিয়াস ছটফট করতে করতে সরে যায়।ইনশিরা বের হওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।তিয়াস আবার উঠে ইনশিরাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ঠোট মিলানোর চেষ্টা করছে।প্রায় ঠোট মিলিয়ে ফেলেছে……
চলবে….🍂
#আমি_শুধুই_তোমার🌺
#পর্বঃ০১
#Arshi_Ayat
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের রেসপন্সের অপেক্ষায় রইলাম।কেউ বাজে কমেন্ট কইরেন না।)