#প্রেমের_ধাঁরায়
#পর্বঃ২২+২৩
#লেখিকাঃদিশা_মনি
ধৃতি পাটোয়ারী বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু দূরে চলে আসে। তার সামনে এখন এক সমুদ্র অসহায়ত্বের ছায়া। যে আশ্রয়স্থল টুকু তার কপালে জুটেছিল তাও যেন আজ তার সামনে থেকে চলে গেল। এদিকে ধৃতি সামনে পা বাড়াতে যাবে এমন সময় তার সামনে এসে দাঁড়ালেন মালিনী পাটোয়ারী। মালিনী পাটোয়ারী কে দেখে ধৃতি অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নিল। মালিনী পাটোয়ারী ধৃতির সামনে হাত জোর করে বললেন,
“আমায় তুমি ক্ষমা করে দিও ফুল। আজ আমার কর্মের দোষে তোমার এই অবস্থা। আমার জন্যই তোমাকে আজ এভাবে অপমানিত হতে হলো সবার সামনে। আমার আগেই উচিৎ ছিল আরশাদকে সমস্ত সত্য টা বলা। তাহলে হয়তো আজ এই পরিস্থিতি এসে দাড়াত না। এভাবে হয়তো সবার সামনে তোমায় প্রতারক প্রমাণিত হতে হত না।”
ধৃতি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,”আমি আপনাকে অনেক ভরসা করেছিলাম আন্টি। ভেবেছিলাম আপনি আমার শুভাকাঙখী, আমার জীবনে মায়ের শূন্যস্থানটা আপনি পূরণ করেছিলেন। আমি আপনাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি এবং সেই শ্রদ্ধা এখনো অক্ষুণ্ণ আছে। কিন্তু আমি আপনার থেকে এটা আশা করি নি। আপনি কেন আরশাদ সাহেবের থেকে সমস্ত সত্যটা লুকাতে গেলেন? আপনার এহেন কাজের জন্য আজ আমাকে এই দিন দেখতে হলো। এভাবে সবার সামনে…আপনার একটু দূরদর্শী হওয়ার দরকার ছিল। আমি তো এই বিয়েতে রাজিই ছিলাম না আন্টি। শুধুমাত্র আপনার কথায় রাজি হয়েছিলাম। আপনি যখন আমায় বলেছিলেন যে, আপনি আরশাদ সাহেব কে আমার অতীতের সমস্ত সত্যটা বলেছেন তখনই আমি এই বিয়েটা করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু আপনি এটা কি করলেন? আমাকে এবং আরশাদ সাহেব কে দুজনকেই ঠকালেন। মিথ্যা বলে আমাকে বিয়েতে রাজি করালেন আর আজ তার ফলশ্রুতিতে ঐ আরহাম আমাকে এভাবে সবার সামনে অপদস্ত করল!”
মালিনী পাটোয়ারী বলেন,”আমি আরশাদকে এটা বলেছিলাম যে তোমার অতীতে অন্ধকার কিছু সত্য আছে। ও আমায় বলেছিল তোমার অতীত ওর কাছে কোন ম্যাটার করে না। আর সেজন্যই…”
“এটা কোন কথা হতে পারে না আন্টি। আপনি এভাবে অর্ধসত্য বলে ঠিক করেন নি। আপনার অন্তত এই বিষয়ে স্বচ্ছতা দেখানো উচিৎ ছিল। কারণ এটা অনেক স্পর্শকাতর একটা বিষয়।”
“বুঝতে পারছি ভুলটা আমারই,,তাই তো তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি ফুল। আমার জন্য আজ আবারো তোমার জীবনটা অনিশ্চয়তার দিকে চলে গেল।”
“আমার জীবন নিয়ে আমার আর কোন চিন্তা নেই। এই জীবনের মায়া তো আমি সেদিনই ভুলে গেছিলাম যেদিন….যাইহোক, সেসব দিকে না যাই। আমার মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপর বিশ্বাস এখন অটুট আছে। আর তাই আমি কোন কিছুতেই ভয় পাবো না। ঐ আরহাম শান্তকে আমি আর ভয় পেয়ে চলব না। উনি কি ভেবেছেন? আমার জীবনটাকে বারবার উনি অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে পার পেয়ে যাবেন? যদি উনি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আমি এবার ওনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। প্রয়োজনে আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের জন্য ওনার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ব। উনি যখন আগুন নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছেন এবং সেই আগুনে ক্রমান্বয়ে ঘি ঢেলে চলেছেন তাহলে এবার সেই আগুনে ওনার নিজেরও পোড়ার সময় এসে গেছে। আমি এবার সবকিছুর শেষ দেখে ছাড়ব।”
মালিনী পাটোয়ারীও ধৃতির এই সাহস দেখে খুশি হন। তিনি বলেন,”তুমি একদম ঠিক পথে হাটছ। আমি আছি তোমার পাশে। কিন্তু..ডাক্তার যে বলল,রিপোর্টটা সত্য তার মানে কি..”
ধৃতি চোখ বন্ধ করে নিজের পেটে হাত রেখে বলে,”হ্যাঁ, এটাই সত্য। আমার জীবনের সবথেকে তিক্ত সত্য এটা। ব্যাপার না, সামনে যে লড়াই আমি লড়তে চলেছি সেই লড়াইয়ে এটাও একটা বড় ধাপ হবে।”
মালিনী পাটোয়ারী বলেন,”কিন্তু এখন তুমি কোথায় যাবে?”
“আল্লাহর তৈরি এই বিশাল পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও আমার জাগয়া ঠিকই হয়ে যাবে। আপনি কোন চিন্তা করবেন না।”
“আমি চিন্তা করব না তো তোমার জন্য কে চিন্তা করবে? শোনো,তোমাকে পথে পথে ঘুরতে হবে না। এই নাও, এটা হলো আমার বাপের বাড়ির ঠিকানা। এখানে আমার বাবা-মা থাকেন। আমার দুই ভাই,এক ভাই থাকে বিদেশে আরেক ভাই তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকে। আমার মা-বাবা একাই বাড়িতে আছেন। আমি আমার বাবার সাথে ফোনে কথা বলেছি। উনি তোমায় আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছেন। তুমি ওনার কাছে গিয়ে আপাতত থাক।”
“কিন্তু..”
“কোন কিন্তু নয়। মনে করো এটাই আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত। তোমার কিছু হয়ে গেলে যে আমি কখনোই নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। তাই আমি চাই, তোমার মাথা গোজার অন্তত একটা ঠাঁই হোক। আর আমার বাবা তোমাকে আইনি নানান সাহায্যও করতে পারবে। আমার ভাই তো দেশের বড় একজন উকিল, তার ছেলেও তরুণ উকিল হিসেবে যথেষ্ট নামডাক করেছে। তোমার এই অসময়ে তারা তোমার সাহায্য অবশ্যই করবেন। আমার বাবা-মা একদম মাটির মানুষ। তুমি গেলেই বুঝতে পারবে। তাই এই নিয়ে কোন চিন্তা করো না। দেখবে ওনারা তোমাকে একদম আপন করে নেবে।”
মালিনী পাটোয়ারী এভাবে আশ্বাস দেয়ার পর ধৃতি অনেকটা ভরসা পায়। সে মালিনী পাটোয়ারীর হাত থেকে ঠিকানাটা নিয়ে বলে,”আমার জন্য দোয়া করবেন আন্টি, আমি একটা বড় যুদ্ধে নামতে চলেছি। এই যুদ্ধে আমি যেন জয়লাভ করতে পারি। অন্যায়কে যেন পরাজিত করতে পারি।”
“আমার দোয়া সবসময় তোমার সাথেই থাকবে। বিজয়ী হয়ে ফিরে আসো। আর এই নাও এখানে কিছু টাকা আছে। না করবে না
এই টাকাটা তোমার কাজে লাগবে।”
ধৃতি আর না করে না৷ মালিনী পাটোয়ারীর থেকে বিদায় নিয়ে সে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। এখন সে যেন আবার নতুন দিশা খুঁজে পেল। এই দিশা তাকে কোন দিকে নিয়ে যায় এখন সেটাই দেখার।
★★
ধৃতি শহর থেকে কিছুটা দূরে একটা বনেদী বাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটা মফঃস্বল এলাকায় অবস্থিত হলেও এর আভিজাত্যে কোন কমতি নেই। বিশাল এক এরিয়া জুড়ে অবস্থিত এই বাড়ি। ধৃতি ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে কলিং বেল বাজায়। কিছু সময় পর কেউ একটা এসে দরজা খুলে দেয়। ধৃতি সামনে তাকাতেই এক অতীব্র সুদর্শন শুভ্র পুরুষকে দেখতে পায়। বেশ লম্বা, সুঠামদেহী, সুপুরুষ চেহারার পুরুষটির শরীরে উকিলের পোশাক। ধৃতি এক মুহুর্তে ভড়কে যায়। পুরুষটি ধৃতিকে দেখে বলে,
“জ্বি, কে আপনি?”
ধৃতি বলে
,”আমি ধৃতি। মালিনী আন্টি আমাকে এখানে পাঠিয়েছে।”
এমন সময় পেছন থেকে একজন বয়স্ক মহিলা বলে ওঠেন,
“কে এসেছে দাদুভাই?”
পুরুষটি বলে ওঠে,
,”উনি বলছেন ওনার নাম ধৃতি, ফুফু নাকি ওনাকে পাঠিয়েছেন।”
মতিয়া বিবি ধীর পায়ে এগিয়ে আসেন। এসেই ধৃতিকে দেখে একগাল হেসে বলেন,”
“তাহলে তুমি সেই মেয়ে যাকে মালিনী পাঠিয়েছে?”
ধৃতি মাথা নাড়ায়। এরইমধ্যে মতিয়া বিবির স্বামী তথা মালিনী পাটোয়ারীর বাবা আলমগীর পাটোয়ারী এগিয়ে এসে বলেন,
“এই তাহলে সেই সিংহী! যে এক নতুন লড়াইয়ে নেমেছে! মালিনীর এই কাজে আমি অন্তত গর্বিত। এতদিনে আমার মেয়েটা সাহস দেখাতে পেরেছে। এতদিন মুখ বুজে স্বামীর ঘর করে এসেছে, নিজের ভালোর কথা ভাবে নি। ওকে আমি কতবার বলেছি ঐ গুলশেনারা বেগম আর আশরাফের মুখে ঝাটা মেরে চলে আসতে কিন্তু ও নিজের ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তা করল না। উলটে নিজের শাশুড়ীর চাপে আমাদের সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করল।”
মতিয়া বিবি বলেন,”
“আহ! থাক না সেসব কথা। এসব কথা তুলে আর কি হবে?”
আলমগীর পাটোয়ারী বলে ওঠেন,
“কেন বলব না? আমার অতীতের ক্ষত যে এখনো শুকায় নি গিন্নি। তোমার মনে নেই? আজ থেকে ২০ বছর আগের কথা। যখন ঐ শয়তান আশরাফ আমার মেয়েকে ছেড়ে নিজের ছোট ছেলেটার কথা না ভেবে নিজের অন্য স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে জীবনযাপন করতে লাগল। সেই সময় তো আমি আমার দুই ছেলেকে নিয়ে গেছিলাম মালিনীর কাছে। বলেছিলাম এখানে চলে আসতে। আমাদের কিসের কমতি ছিল? চাইলে ওকে আরো ভালো কোন বনেদী ঘরে বিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু মালিনী আমাদের কথা না শুনে ওর শাশুড়ীর কথা শুনল। রাগে ক্ষোভে সেদিন চলে আসার পরই তো আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এ জীবনে আর কখনো ওর সাথে কথা বলব না। এর পর তো মালিনী কত বার আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইল, ওর ভাইয়েরা তুমি ওর সাথে কথা বললেও আমি ওর সাথে কোন কথা বলিনি। কিন্তু আজ এত গুলো বছর পর যখন ও আমায় ফোন করে বলল, ওর নিজের জন্য না অন্য একটা অসহায় মেয়ের জন্য আমার কাছে সাহায্য চায় এবং সেই মেয়ের জীবনের কঠিন লড়াই গুলো তুলে ধরল তখন আমি আর না করতে পারলাম না। আমি গলে গেলাম। আমার মেয়ের এতদিনে সাহস হয়েছে এই ব্যাপারটা আমায় মুগ্ধ করল। তাই তো আমি নির্দ্ধিধায় বলে দিলাম, ঐ মেয়েকে যেন আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। ঐ মেয়ের সব দায়িত্ব আমি নিতে রাজি আছি। তা এই তো সে মেয়ে। এই মেয়ের দায়িত্ব এখন আমার। আমি এই মেয়েকে বিচার পাইয়ে দিয়ে তবেই শান্তি পাব। দাদুভাই, তুমি আমাকে সাহায্য করবা তো?”
নিজের দাদুর মুখে এহেন কথা শুনে উকিল বেশে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশ পাটোয়ারী বলে ওঠে,
“হ্যাঁ, আমি রাজি।”
ধৃতি আকাশের দিকে তাকায়। হাস্যোজ্জ্বল এই পুরুষের চোখে যেন এক অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস। ধৃতির যেন খুব ভালো লাগে সেই আত্মবিশ্বাস। হঠাৎ করে আকাশও ধৃতির দিকে তাকায়। যে কারণে তাদের চোখাচোখি হয়ে যায়। ধৃতি ইতস্তত বোধ করে চোখ সরিয়ে নেয়। কিন্তু আকাশ চেয়েই থাকে ধৃতির দিকে। ধৃতির মাঝে সে যেন বিশেষ কিছু খুঁজে পায়। এই ইনোসেন্ট টাইপ মেয়েটার অসীম সাহসের কথা সে তার দাদার মুখে শুনেছে। কিন্তু তার নাম শোনা হয়নি জন্য চিনতে পারে নি। এবার একদম নিজের চোখে দেখে নিলো। আকাশ ধৃতির উদ্দ্যেশ্যে বলে,
“আমি আপনার পাশে আছি এই লড়াইয়ে। যে বা যারা আপনার সাথে অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে এর শাস্তি পেতে হবে। আর এটাই আমার ওয়াদা।”
ধৃতি অনেক আশা নিয়ে তাকায় আকাশের দিকে। আলমগীর পাটোয়ারী বলেন,
“আমার দাদুভাই কিন্তু এই শহরের তরুণ প্রজন্মের সেরা উকিল। তুমি ওর উপর ভরসা রাখতে পারো। ও তোমাকে ন্যায়বিচার দিয়েই ছাড়বে।”
মতিয়া বিবিও বলেন,
“হুম। আমার দাদুভাই পারবেই।”
★★
আরশাদ নিজেদের কক্ষে বসে ছিল। তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল নানান চিন্তা। কিছুক্ষণ আগেই গুলশেনারা বেগম এসে তার কাছে ধৃতির নামে একগাদা বিষেদাগার করে গেছে। সব কথা আরশাদ নীরবে শুনেছে কিন্তু তার মনে সেসব কথার কোন প্রভাবই পড়ছে না। বরং তার অবচেতন মনে কোথাও একটা অনুশোচনা তৈরি হচ্ছে ধৃতিকে এভাবে অবিশ্বাস করার জন্য,তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য৷ আরশাদ এসবই ভাবছিল এমন সময় হঠাৎ করে মালিনী পাটোয়ারী তার কক্ষে চলে আসেন। তাকে দেখে আরশাদ বলে,
“তুমি!”
“আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি আরশাদ। তোমার থেকে ধৃতির সত্য লুকানো আমার ঠিক হয়নি। আজ আমার একটা সত্য লুকানোর ধৃতির জীবনটা এভাবে এলোমেলো করে দিল। আমার জন্যই ধৃতিকে সবার সামনে অপদস্ত হতে হলো এমনকি তুমিও ধৃতির উপর ভরসা হারালে।”
আরশাদের মাথায় জেদ চেপে বসে। সে বলে,
“আমি আর ঐ বিশ্বাসঘাতক ধৃতির নামে কোন কথা শুনতে চাই না। বেটার হবে যদি তুমি এই নিয়ে কিছু না বলো।”
মালিনী বলে,
“তুমি অনেক বড় একটা ভুল করছ আরশাদ। দেখবে একদিন তুমি এর জন্য অনেক আফসোস করবে। কিন্তু সেদিন আর এই আফসোস করে কোন লাভ হবে না। ধৃতিকে তুমি সেদিন একবারে চিরতরে হারিয়ে ফেলবে। সেদিন কিন্তু কেদেও কুল পাবে না।”
বলেই মালিনী পাটোয়ারী বেরিয়ে যান৷ আরশাদ তার বলা কথা গুলই ভাবতে থাকে। আর বলে,
“আম্মুর কথাই কি তাহলে ঠিক? আমি কি কোন ভুল করলাম।”
কিন্তু মুহুর্তেই তার ইগো জেগে ওঠে এবং সে বলে,
“ঐ চরিত্রহীন মেয়ের কথা আমি ভাবব না। ও একটা প্রতারক।”
মুখে এসব বললেও সে নিজের মনকে মানাতে পারছিল না। ফলে দ্বন্দ বিদ্যমান ছিল তার মনে।
★★
আরহাম শান্ত তার বাবা আশরাফ পাটোয়ারীর সাথে নিজের জয় সেলিব্রেশনই করছিল এমন সময় আরহামের সেক্রেটারি এসে তাকে বলে,
“বস, একটা খারাপ খবর আছে। আপনার নামে ঐ ধৃতি রে**ইপ কেস করেছে। আপনার নামে এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।”
আরহাম শান্ত রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলে,
“কাজটা ও ভালো করল না। খেলার দান কিভাবে ঘোরাতে হয় তা আমি খুব ভালো করেই জানি।”
চলবে ইনশাআল্লাহ ✨