বিস্মৃতির_মাঝে_তুমি_আমি #পর্ব_১ ( সূচনা পর্ব ) #লেখিকা_অনামিকা_তাহসিন_রোজা

0
19

” আমি তোমাকে অন্তত এক রাতের জন্য হলেও চাই আহমেদ! I badly need you!” বলার সাথে সাথেই একটা শক্তপক্ত হাতের চড় পড়ল জেবার গালে! জেবা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকালো কঠিন চোখে তাকিয়ে থাকা আহমেদের দিকে! এই প্রথম জেবাকে কোনো পুরুষ প্রত্যাখ্যান করলো। সে তো ভেবেছিলো রাত কাটানোর কথা বললে আহমেদ রাজি হবে।

অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে সে বলল,
” তুমি….আমায় মারলে আহমেদ?”

আহমেদ হুংকার দিয়ে বলে উঠলো,
” শাট আপ! আর একটা ফালতু কথা শুনতে চাই না আমি। তোর সাহস হয় কী করে আমাকে এমন কু প্রস্তাব দেয়ার! ইন্ডাস্ট্রি তে সবাইকে এক রকম মনে হয়? এখনি আমার চোখের সামনে থেকে দুর হো তুই! ”

” তুমি আমার সাথে তুই তোকারি করচ্ছো ?”

আহমেদ কিছু না বলে দুই আঙুল দিয়ে কপাল ঘষলো, যেনো নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছে।

জেবা মাথা নাড়িয়ে বলল,
” অসম্ভব! আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না! ভালোবাসি আমি তোমাকে।”

আহমেদ অন্য দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যে হাসলো, আর বলল,
” ভালোবাসা! লাইক ভালোবাসা মন দিয়ে হয়, দে’হ দিয়ে নয়! আর আমাকে ভালোবাসা শেখাস না তুই! ভালোবাসা কী সেটা আমি তোর থেকেও বেশি ভালো জানি! কারণ আমিও তো কাওকে প্রচন্ড পরিমাণে ভালোবাসি!”

জেবাও তাচ্ছিল্যে হেসে বলল,
” যাকে তুমি ভালোবাসো সে তো তোমার দিকে ফিরেও তাকায় না।”

আহমেদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে শক্ত কন্ঠে বলল,
” That’s none of your business! আর আমি তোর সাথে কেনো এতো কথা বলচ্ছি আজব! তুই কে আমার সম্পর্কে কথা বলার! চোখের সামনে থেকে দূর হো! শুধু শুধু সময় নষ্ট করচ্ছিস আমার! Just get out! ”

“কিন্তু আমি…..”

জেবা কিছু বলার আগেই আহমেদ গলা উঁচিয়ে হাঁক ছুঁড়লো,
” সৌরভ ! সৌরভ!”

সৌরভ হলো আহমেদের খুব বিশ্বস্ত একজন সহকারী! বলা যেতে পারে একাধারে আহমেদের ম্যানাজার, অ্যাসিসট্যান্ট আবার বডিগার্ড। গত তিন বছর ধরেই সে আহমেদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সৌরভ এতিম হওয়ায় আহমেদ গায়ক হওয়ার পর তার ভোরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছিলো, আবার কাজও দিয়েছিলো। এই কারণে সৌরভ আহমেদকে খুব শ্রদ্ধা করে! খুব বিশ্বস্ত হওয়ায় সে আহমেদের সমস্ত ব্যাক্তিগত কথা জানে! এমনকি সে এখন আহমেদের জন্য জীবন টাও দিতে প্রস্তুত।
এতক্ষণ সৌরভ দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে জেবা আর আহমেদের কথা শুনচ্ছিলো। কিন্তু ভয়ে ভেতরে যেতে পারেনি। সে তো জানেই আহমেদের রাগের কথা! আহমেদের ডাক শুনে সৌরভ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ভেতরে যায়,যাতে আহমেদ ভাবে সে অনেক দূরে কোথাও ছিলো।

হুড়মুড় করে ঢুকেই সৌরভ বলে,
” আমায় ডাকছিলেন স্যার!”

আহমেদ আঙুল দিয়ে জেবাকে দেখিয়ে দিয়ে বলে,
” আমার স্টুডিও তে এই মেয়েকে ঢোকার পারমিশন দিয়েছো কেন?”

সৌরভ জানে এই জেবাকে আহমেদ একদম সহ্য করতে পারে না। তাও জেবার জোরাজোরিতে সে বাধ্য হয়েছে। আসলে জেবা হলো একজন অভিনেত্রী। কিন্তু খুব একটা সফল সিনেমা সে করতে পারে নি। তার করা প্রথম সিনেমা হিট হলেও পরে তার অহংকার ও খারাপ চরিত্রের জন্য সব সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে! এখন অনেক ডিরক্টর তাকে বিনা শর্তে নিতে চায় না! তবুও এখনো জেবা চেষ্টায় আছে হিট সিনেমা করার! এর জন্য সে অসৎ উপায়ও অবলম্বন করেছে! মিডিয়ার সবাই এখন তার চরিত্র সম্পর্কে জানে। গত দুমাস ধরে সে এবার আহমেদের পেছনে পড়েছে! যদিও আহমেদ গায়ক, কিন্তু সে আহমেদকে প্রথম দেখাতেই পাগল হয়ে গিয়েছিলো! তাই নানা ভাবে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করলেও বরাবরের মতোই ব্যর্থ! আহমেদ এর আগে শুধু তাকে সাবধান করলেও আজ তো রীতিমতো আহমেদের স্টুডিও তে এসে হাজির হয়েছে সে! এই কারণে রাগের মাথায় গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হলো সে।

সৌরভ আমতা আমতা করে বলে,
“স্যার উনি তো……আসলে আমি বলেছিলাম আপনি ব্যাস্ত! তাও আমার কথা শোনে নি স্যার!”

আহমেদ বলল,
” আমি ব্যাস্ত থাকি আর না থাকি! এই চ’রি’ত্র’হী’ন মহিলাকে তুমি ঢুকতে দেবে কেনো? এটাকে বের করো এখান থেকে! এক্ষুনি!”

জেবা জোরে বলে উঠলো,
” তুমি আমাকে এভাবে অসম্মান করতে পারো না আহমেদ!তুমি ভুলে যাচ্ছো যে আমিও একজন মিডিয়া পার্সোনালিটি! আমি চাইলেই তোমার গানের ক্যারিয়ার একদম শেষ করে দিতে পারবো।”

আহমেদ তার কথা পাত্তা না দিয়ে সৌরভকে উদ্দেশ্য করে বলল,
” তোমার এই মাসের অর্ধেক বেতন কাটা সৌরভ!”

সৌরভ করুণ চোখে তাকালো, সে তো জানে যে আহমেদ কখনোই এই কাজ করবে না।শুধু তাকে ভয় দেখানোর জন্যই এসব বলচ্ছে। গত তিন বছরে এই কথা সে হাজার বার শুনেছে। কত বার এমন হুমকি পেয়েছে! কিন্তু মাস শেষে সর্বদাই পুরো বেতন হাতে পেয়েছে, বরং মাঝে মাঝে বিনা কারণে বোনাসও পায় সে! কিন্তু আহমেদের রাগের কথা মাথায় রেখে সে দ্রুত কয়েকজন ফিমেইল স্টাফদের ডাকলো এবং জেবাকে স্টুডিও থেকে বার করালো।

আহমেদ তার চেয়ারে চোখ বুঁজে গা এলিয়ে বসে পড়লো! তার কানে এখন জেবার বলা একটা কথাই বাজচ্ছে,
” যাকে তুমি ভালোবাসো সে তো তোমার দিকে ফিরেও তাকায় না!”
আহমেদ বিড়বিড় করে বলল,
” একবার ফিরে তাকাও না প্লিজ !”

পরিবেশ একটু শান্ত হওয়ার পর সৌরভ মিনমিন করে বলল,
” স্যার কি আমার ওপর রাগ করেছেন?”

আহমেদ চোখ খুলে শান্ত কন্ঠে বলল,
” এক কাপ কফি এনে দাও সৌরভ। মাথা ব্যথা করচ্ছে!”

সৌরভ মাথা নাড়িয়ে তাড়াতাড়ি চলে যেতে চাইলে আহমেদ ডেকে উঠলো,
” সৌরভ শোনো,,,,,!”

” জ্বী স্যার!”

আহমেদ সোজা হয়ে বসে বলল,
” আজ কি তোমার ম্যাম দেশে ফিরবে সৌরভ ?”

সৌরভ কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটু নমনীয় হয়ে বলল,
” জ্বী স্যার।ওদিকে খোঁজ নিয়েছিলাম। রিয়াদ ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে আমার। একটু পরেই নাকি ম্যাম ল্যান্ড করবে।”

আহমেদ কিছু একটা ভেবে বলল,
” গাড়ি বের করো। প্রোডিউসারকে বলে দাও যে আমি কাল উত্তরার কনসার্টের পর গান রেকর্ডিং করব! এখন ক্লান্ত লাগচ্ছে। বাড়িতে যেতে চাচ্ছি।”

সৌরভ মাথা নেড়ে বলল,
“ওকে স্যার।”

<<<<<<<<<>>>>>>>>>>

এই সকালে মিষ্টি রোদের মাঝে এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে নাহিদ। হাতে তার একটা ফুলের বুকে আর আরেক হাতে ঝুলে আছে একটা সুন্দর হরেক রকম ফুলের মালা ! চতুর্থ বারের মতো হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নাহিদ বলল,
” ম্যাডাম কি প্লেনের ভেতরেই মারপিট শুরু করলো নাকি?”

গাড়ির ভেতর থেকে রিয়াদ ফোন স্ক্রোল করতে করতে বলল,
” ম্যাডামের সামনে বলিস এটা! কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গু’লি করে দেবে!”

নাহিদ একটা ঢোক গিলে বলল,
” আর ভয় দেখাস না ভাই! এমনিতেই ভয়ে আছি।”

ড্রাইভিং সিটের পাশে বসে থাকা নূরা সরল কন্ঠে বলে উঠলো,
” তোমরা এভাবে বলচ্ছো কেনো? ম্যাডাম কি অনেক রাগী?”

রিয়াদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“নাহ্ রাগী বলতে তেমন না! আসলে ম্যাডাম অনেক ভালো আর নরম মনের একজন। বাইরে থেকে শক্ত হলেও ভেতর থেকে উনি আমাদের থেকেও নরম!কিন্তু…প্রকাশ করে না!”

নাহিদ উৎফুল্লে বলে উঠলো,
” উমম…যেমন নারকেল! ”

তিনজনে একসাথে হেসে উঠলো। রিয়াদ নূরাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
” তুমি তো নতুন। ম্যাডামের সাথে তো কাজ করো নি। কয়েকদিন থাকো, তারপর বুঝতে পারবে। প্রথম প্রথম একটু ভয় লাগবে কিন্তু পরে ঠিকই বলবে যে ম্যাডামের মতো ভালো মানুষ দুটো নেই!”

তাদের কথার মাঝেই এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলো অহনা। তাকে আসতে দেখে নাহিদ বলল,
“কীরে ? খবর নিলি ?”

অহনা গাড়িতে হেলান দিয়ে বলল,
“আর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ল্যান্ডিং হবে। আসলে ফ্লাইট টেইক অফ করতে নাকি লেইট হয়েছিলো!”

এটা শুনেই রিয়াদ ফোন পকেটে ঢুকিয়ে গাড়ি থেকে বের হলো, নূরাও বের হলো।
অহনার দিকে তাকিয়ে নাহিদ বলল,
” কীরে অহনা? তুই আবার মুখটা এমন ঝুলে রেখেছিস কেনো?”

অহনা ছোট্ট একটা স্বাস ফেলে বলল,
” টেনশন হচ্ছে রে! ম্যাডামের জন্য খুব টেনশন হচ্ছে!”

রিয়াদ অহনার মাথায় গাট্টা মেরে বলল,
” তোর আবার কীসের টেনশন? তুই তো ম্যাডামের সবচেয়ে বিশ্বস্ত আর পছন্দের! ম্যাডাম কত বিশ্বাস করে তোকে!”

অহনা বলল,
“নারে! সেটা না! আসলে …খবর পেলাম জেকে নাকি গতপরশু দেশে ফিরেছে!”

রিয়াদ অবাক হয়ে বলল,
” কীহ্!!! জাভেদ রায়ান দেশে এসেছে!”

নূরা ভাবুক হয়ে বলল,
” জাভেদ রায়ান টা কে?”

অহনা চোখ বড় করে তাকিয়ে রিয়াদকে বলল,
” আস্তে! কী করছিস তুই? পুরো নাম নিচ্ছিস কেনো? পাব্লিক প্লেস এটা ! যে কেও শুনে ফেলবে!”

নাহিদ ভয়ে ভয়ে বলল,
” সর্বনাশ করেছে রে! এই খবর কি ম্যাডাম পেয়েছে? ”

অহনা ঠোঁট ভিজিয়ে বলল,
” হয়তোবা পেয়েছে। আর এই কারণেই ম্যাডাম ওখানকার কেইস পেন্ডিং রেখেই দেশে ফিরচ্ছে! নাহলে এতো তাড়াতাড়ি তো আসার কথা ছিলো না! ”

রিয়াদ মাথা চুলকে বলল,
“যাহ্ বাবা! আমি তো ভেবেছিলাম ম্যাডাম মনে হয় স্যারের জন্য দেশে ফিরচ্ছে! সৌরভকেও খবরটা দিলাম। ভাবলাম অবশেষে মান অভিমানের পালা শেষ হবে!”

অহনা বলল,
” আহমেদ স্যার?”

রিয়াদ বলল,
” হ্যাঁ,, তাছাড়া আর কে!!”

অহনা দুদিকে মাথা নেড়ে বলল,
” উহু, ম্যাডামকে তিন বছর ধরে চিনি রে রিয়াদ! এতো সহজ হবে না! স্যার দেশে আসার এক সপ্তাহ পরেই তো ম্যাডাম কেসের অযুহাতে পাকিস্তান গেলো! আর এই যে এখন ঐ খবর পেয়ে দেশে আসচ্ছে! নাহলে আরো দেরিতে আসতো! তবে স্যার যেহেতু এখন ঢাকাতেই আছে, তাই কিছু একটা হতেই পারে! স্যারও তো ম্যাডামের থেকে কম না! আর কিছু হলেও মন্দ হবে না। আমি খুশিই হবো।”

নাহিদ বলল,
” আর এমনিতেও জেকে এর দেশে আসার খবরে যদি ম্যাডাম দেশে এসে থাকে তাহলে আর দেশের বাইরে যাবে না! তাই আহমেদ স্যারের জন্য এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ!”

নূরা উৎফুল্লে বলে উঠলো,
” আহমেদ!!! মানে জনপ্রিয় গায়ক সাদ আহমেদ রহমান!”

রিয়াদ বলল,
“হুম উনিই। উনার গান আমার খুব পছন্দের!”

নূরার চোখ চকচক করে উঠলো,
” ও মাই গড!!!!উনি তো আমার ফেভারিট সিঙ্গার! এত্তো জোস কন্ঠ! দেখতেও যা হ’ট !!হায়য়! আমি তো বারবার প্রেমে পড়ে যাই! আমার দুই বছরের ক্রাশ উনি!!!!”

রিয়াদ খুকখুক করে কেশে উঠলো,
” ইয়ে…সে তো উনি আমারো খুব পছন্দের! কিন্ত এখন ওসব ক্রাশ ট্রাশ বাদ দাও বুঝলে! ভুলে যাও! প্রেম তো দূরের কথা! যা এখানে বললে তা আর ভুলেও উচ্চারণ করো না!

নাহিদ হেসে বলল,
” বিশেষ করে ম্যাডামের সামনে তো ভুলেও আহমেদ স্যারের কথা বলোনা! আজকেই তোমার চাকরি খেয়ে ফেলবে! আবার যদি শোনে প্রেমে পড়েছো, তাহলে মনে করো দুনিয়াতে তোমার আর জায়গা নেই! এখন আবার জানতে চেও না যে কেনো? আস্তে আস্তে সব জানবে।”

নূরা এবার ফিসফিস করে বলল,
” এই জাভেদ রায়ান টা আবার কে অহনা আপু?”

অহনা ছোট শ্বাস ফেলে বলল,
” কিছুদিন যাক! এটাও জানতে পারবে। আজ আগে ম্যাডামকেই ভালো করে অবজার্ভ করো। এখন থেকে তো আমাদের সাথেই ম্যাডামের হয়ে কাজ করতে হবে।”

নূরা বাধ্যের মতো মাথা নাড়লো। সপ্তাহখানিক হয়েছে সে সিক্রেট পুলিশ টিম “এজেআর” গ্রুপে জয়েন করেছে। পুলিশে জয়েন করার সাথে সাথেই তাকে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে এই গ্রুপে নিয়োগ করা হয়েছে। সবাই তার থেকে অনেক সিনিয়র।

তাদের কথা বলার মধ্যেই কিছুক্ষণ পর ফ্লাইট ল্যান্ডিং এর অ্যানাউন্সমেন্ট শোনা গেলো। সবাই খুব দ্রুত সজাগ হয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো এয়ারপোর্টের দিকে! রিয়াদ নিজের শার্টের কলার ঠিক করলো, অহনা নিজের চুল বেঁধে নিলো। এদিকে নাহিদ তো দাঁত কেলিয়ে ফুলের মালাটা উঁচু করে রাখলো। ম্যাডাম আসলেই এই ফুলের মালা দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে ম্যাডামকে খুশি করাটাই তার মূল উদ্দেশ্য!

#বিস্মৃতির_মাঝে_তুমি_আমি
#পর্ব_১ ( সূচনা পর্ব )
#লেখিকা_অনামিকা_তাহসিন_রোজা

⚠️বি:দ্র: যারা ট্রেইলার পড়েন নি, তাদেরকে আমার পেজ থেকে ট্রেইলার টা পড়ে আসার অনুরোধ করচ্ছি। ট্রেইলার না পড়লে গল্পটা বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।💜🥀

চলবে……..?

🍁Note: পাঠকগণ, অবশেষে একটা নতুন গল্প লিখতে শুরু করলাম।💝 যারা ন্যাকা নায়িকা পছন্দ করেন না😗 এটা তাদের জন্যই! এখানে নায়িকা ভালোই স্ট্রং পার্সোনালিটির হবে! কেমন লাগলো জানাবেন?💝 আপনাদের পছন্দ না হলে পরের পর্ব দেবো না!🤧

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here