বিসৃতির_মাঝে_তুমি_আমি #পর্ব_৫ #লেখিকা_অনামিকা_তাহসিন_রোজা

0
13

#বিসৃতির_মাঝে_তুমি_আমি
#পর্ব_৫
#লেখিকা_অনামিকা_তাহসিন_রোজা

রোজা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে চোখ বন্ধ করে একটা বড় শ্বাস নেয়,যেন নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অহনা বিষয়টা বুঝতে পেরে বলে,
” ম্যাম, চলুন যাই।”

রোজা অহনার দিকে তাকিয়ে বলে,
“মামনি কাজটা ঠিক করছে না অহনা। মামনি বারবার আমাকে বাধ্য করছে অতীতের মুখোমুখি হতে।আমি চাচ্ছি না,তবুও আমাকে বাধ্য করচ্ছে।”

অহনা মাথা নিচু করে চুপ রইলো। রোজা কে কিছু বলে সান্তনা দেওয়ার মতো কোনো বাক্য তার কাছে নেই। গাড়ি পার্ক করে একে একে নাহিদ ও নুরাও আসলো। নুরা এসে বলল,
” কি হলো ম্যাম? চলুন যাই।”

নাহিদেরও চোখ গেল সামনে থাকা পার্ক করা গাড়িটার দিকে। সে মুখ ফসকে বলে দিল,
“আরেহ! এটা তো আহমেদ স্যারের গাড়ি! ”

রোজা নাহিদের দিকে শক্ত চোখে তাকালো। সঙ্গে সঙ্গে নাহিদ চুপসে গেল।তার তো মনেই ছিল না যে এখানে রোজা আছে। উত্তেজনার বশে বলে দিয়েছে। রোজা আবারো সামনে থাকা গাড়িটার দিকে তাকিয়ে বললো,
“নাহিদ, গাড়ি বের করো। চলো ফ্লাটে ফিরে যাব।”

অহনা বলে উঠলো,
“ম্যাম এটা ঠিক হবে না। আন্টি কত আশা করে আপনাকে ডেকেছে। এখন এইভাবে,,,,,”

রোজা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো,
” অহনা তুমি বুঝতে পারছ না যে এটা একটা প্ল্যান! আমাকে ইচ্ছে করে মামনি এরকম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলছে। সত্যি সত্যি যদি আমাকে খাওয়ানোর জন্য ডাকত বা আমাকে মিস করছে, অনেকদিন পর দেখবে, এমন মনোভাবে যদি ডাকতো, তাহলে শুধুমাত্র আমাকে একা থাকত। শুধু শুধু আমার অতীতকে এভাবে টেনে আনতো না। এই লোকটাকে ডাকত না! ”

একটু থেমে রোজা আবারও বলল,
” মামনি ইচ্ছে করে এমন করছে! ”

নাহিদ আমতা আমতা করে বলল,
” ম্যাম আন্টি অনেক কষ্ট পাবে! চলুন আমরা যাই! আপনাকে স্যারের সাথে কোনো কথা বলতেই লাগবেনা।
আমরা জাস্ট যাব, টেবিলে বসবো, খাবো,আন্টির সাথে কথা বলবো, চলে আসব! ব্যাস! আর কিছু লাগবে না! আন্টির কথা একবার অন্তত ভাবুন।”

নাহিদের কথায় যুক্তি আছে, রাজিয়া রহমানের কথা ভেবে রোজা নিজেকে ধাতস্থ করল।তারপরে সবার উদ্দেশ্যে বলল,
” চেয়েছিলাম আজকে একটু অনেক বেশি সময় কাটাবো মামনির সাথে। কিন্তু এখন সেটা আর আজকে হচ্ছে না। গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে চলে আসব। বেশিক্ষণ থাকবো না বলে দিলাম।”

রোজার কথায় সবাই উপর-নিচ মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিল। সে সে যেতে চেয়েছে এটাই অনেক!

<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>

আহমেদ আরাম করে সোফায় বসে আছে, হাত দুটো মাথার পেছনে, চোখে একটা তীব্র আত্মবিশ্বাস। তার বসার ভঙ্গি থেকেই বোঝা যায়, সে এখানে বসার একেবারেই অভ্যস্ত, যেন বাড়ির মালিকই সে। অথচ, এ বাড়িতে তার কোনো অধিকার নেই। মনে মনে আহমেদ ভাবলো,
” কীসের অধিকার নেই? অবশ্যই অধিকার আছে! মামনি বলেছিল এই বাড়ি রোজার নামে লিখে দেবে। রোজা যেহেতু আমার, তাহলে বাড়িটাও আমার! আমরা আবার আলাদা নাকি! আমাদের দুটি দেহে একটি প্রাণ!”

সামনের টেবিলে ছড়িয়ে রাখা কয়েকটা ম্যাগাজিন, অর্ধেক খাওয়া কফির মগ। বাইরে হালকা বাতাস বইছে, জানালা দিয়ে চাঁদের আলো ফিল্টারের মতো ঢুকছে ঘরে, কিন্তু আহমেদের মুখে কোনো নড়াচড়া নেই। একটু আগে এসে বাড়ির সদর দরজা একদম খুলে দিয়ে এসেছে। আহমেদ জানে যে একটু পরে এখানে এসে হাজির হবে তার কাঙ্খিত ব্যক্তি, রোজা! এবং এসেই যে তুলকালাম কান্ড বাধাবে সেটাও সে জানে!
একটু আগে রাজিয়া রহমান আহমেদকে কফি খেতে দিয়ে রান্না করতে গিয়েছে। আর যাওয়ার আগে সতর্ক করে বলে গেছে,
” রোজা আসলে ওর সাথে একদম ঘাড় তেরামি করবি না সাদ! মেয়েটা অনেকদিন পর আমার বাসায় আসছে। এমনিতেই তোকে দেখলে রেগে যাবে।”

আহমেদ খুব ভাব নিয়ে বলে দিয়েছে,
” মামনি তুমি টেনশন নিও না তো। তোমার বান্ধবীর মেয়েকে কীভাবে টাইট দিতে হয় সেটা আমার খুব ভালো করে জানা আছে। কিন্তু ভালবাসি দেখে কিছু করতে পারছি না! না হলে কবেই ওকে মাথায় তুলে এক আছাড় মারতাম।”

আহমেদের চিন্তাভাবনার মাঝেই মুহূর্তে দরজা খুলে বাড়িতে প্রবেশ করে রোজা। দৃঢ় পদক্ষেপে ঘরে ঢুকেই আবারো থমকে যায় সে। আহমেদ তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে রইলো রোজার দিকে। নাহিদ ও অহনা আহমেদকে দেখেই যেন খুব খুশি হলো। তারা প্রথম থেকেই আহমেদকে অনেক পছন্দ করে।প্রথমত তার গানের অনেক বড় ফ্যান, এর পরে যখন তাদের সাথে পরিচিত হয়েছে তখন আহমেদের অমায়িক ব্যবহারে তারা সবাই মুগ্ধ হয়েছিল। নূরা তো লাফাতে গিয়েও রোজার দিকে তাকিয়ে আর লাফালো না। নাহিদ এবং অহনা দুজনেই ভদ্রভাবে বলল,
” আসসালামুয়ালাইকুম স্যার! কেমন আছেন?’

রোজা ওদের দুজনের এমন ভদ্রতা দেখে নাক কুচকালো। এত ভদ্রতা দেখানোর কি আছে!
আহমেদ সুন্দর করে হেসে বলল,
” খুব ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। তোমরা কেমন আছো? ”

সবাই হাসিমুখে বলল,
” অনেক ভালো আছি স্যার। ”

নূরা একটু মিনমিন করে বলল,
” স্যার আমি আপনার অনেক বড় ফ্যান।আমাকে একটা অটোগ্রাফ দিবেন?”

রোজা ভ্রু কুচকে তাকালোর নূরার দিকে। কিন্তু সে তো রোজার সেই দৃষ্টি দেখতে পেল না। আহমেদ বলল,
” সিওর! কেন নয়? শুধু অটোগ্রাফ কেন, ফটোগ্রাফও নিয়ে যাও.।”

নুরা যেন আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল। সে টইটই করে আহমেদের কাছে গেল। আহমেদ সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালো। নূরা তার কোটের পকেট থেকে একটি ছোট নোটবুক বের করল। এরপর একটি কলম আহমেদের দিকে এগিয়ে দিল। আহমেদ সুন্দর করে একটা অটোগ্রাফ দিয়ে দিল। নুরা অবাক হয়ে বলল,
” স্যার আমার নাম জানলেন কিভাবে?”

আহমেদ মুচকি হেসে বলল, ” ম্যাজিক! ”

অহনা হেসে বলল,
“আসলে তুমি যখন আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়েছিলে তখন আমি স্যারকে জানিয়েছিলাম তোমার কথা। আসলে নতুন কেউ জয়েন হলে বা আমাদের গ্রুপে কোন কিছু হলে আমরা স্যারকে সব জানাই।”

রোজা সাথে সাথে ফট করে তাকালো অহনার দিকে। বিষয়টা বুঝতে পেরে অহনা তো এবার একটা শুকনা ঢোক গিলল। রোজা বিড়বিড় করে বলল,
” বিশ্বাসঘাতকের দল! ”

একটু পর আহমেদ নূরার ফোনে তার সাথে একটা সেলফি তুলে দিল। তাদের এসব কাহিনী দেখে রোজার মাথায় আগুন ধরে যাচ্ছিল! শেষমেষ রোজা এবার বলল,
“অহনা কাউকে বলে দাও যে এটা তার নিজের বাড়ি না, যে পায়ের উপর পা তুলে এখানেই বসে থাকবে।”

আহমেদ রোজার কথা শুনে ভ্রু উঁচালো। অহনা ইঙ্গিতটা বুঝতে পেরে বললো,
“ম্যাম,আমরা ডাইনিং এ গিয়ে একবারে বসি। সোফায় স্যার বসে থাকুক।”

আহমেদ সাথে সাথে বলল,
“আরে! তোমরা গিয়ে বসবে কেনো? এখনই কি খাওয়া-দাওয়া হবে নাকি! আর অহনা তুমিও কাউকে একটু কষ্ট করে বলে দাও যে আমার মামনি অনেক বড়লোক। তার এখানে একটা সোফা নেই। অনেকগুলো সোফা আছে। খালি সোফা গুলোতে কেউ বসতে পারে। কেউ বসলে আমি মাইন্ড করবো না।”

বলেই আহমেদ একটু সাইড করে বসলো। রেগে মেগে রোজা কিছু বলতে নেই সেখানেই রাজিয়া রহমানের আগমন ঘটে। সবাই কে এখানে দেখে সে এসে বলে,
” অবশেষে তোমরা চলে এসেছ! তোমাদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে তো আমার খাবারই ঠান্ডা হয়ে গেলো!”

রাজিয়া রহমান কে দেখে রোজা আহমেদের কথাটা ভুলে গেল। মুচকি হেসে তার সামনে এসে দাঁড়ালো।

“কেমন আছো মামনি?”

রাজিয়া রহমান অভিমানি কন্ঠে বলল,
“তুই আর ভালো থাকতে দিলি কই? ”

রোজা মুচকি হাসলো। তারপর বলল,
” এতদিন পর এসেছি,একটু আদর যত্ন করবে না? এমন অভিমান করে থাকবে?”

রাজিয়া রহমান ফিক করে হেসে ফেললেন।রোজাকে বুকে টেনে নিলেন, মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
” তুই ঠিক আছিস তো? সবকিছু ঠিকঠাক? ”

নাহিদ বলে,
” আন্টি আপনি সবসময় এই কথাটা কেন বলেন বলুন তো?”

রাজিয়া রহমান হেসে বলে,
“রোজা তো আর যেই সেই কাজ করে না! জীবন মরনের মাঝে কাজ করে, কখন কি হয়ে যায় কোন গ্যারান্টি আছে? সব সময় কতটা ভয়ে থাকি আমি ওকে নিয়ে!”

অহনা এবার নুরাকে নিয়ে আসলো রাজিয়া রহমানের সামনে।আর বলল,
” এই যে মামনি এই মেয়েটা আমাদের নতুন মেম্বার। নাম হলো নূরা”

রাজিয়া রহমান এমনিতে অনেক মিশুক। নুরাকে দেখে তার বেশ পছন্দ হলো। এরপর সবাই মিলে আরো অনেকক্ষণ আলাপ করল। নূরার সাথে ইতিমধ্যে রাজিয়া রহমানের অনেক মিল হয়ে গেল। এরপরে রাজিয়া রহমান কিছু একটা ভেবে সবাইকে বলল,
” রোজা তোরা এখানে একটু বস।আমি একটু রান্নাঘরে যাই। নুরাকেও নিয়ে যাই। ওর সাথে আরো গল্প করব।”

নুরাও বেশ খুশি হলো।

এদিকে কথাটা শোনা মাত্রই নাহিদের মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। সে তার পা দিয়ে অহনার পায়ে একটা টোকা দিল।এরপরে ইশারা করে কিছু একটা বোঝালো। অহনা ইঙ্গিতটা ধরতে পেরে বলল,
“ও হ্যাঁ! আন্টি আমিও আপনাদের সাথে অনেক গল্প করব। অনেক দিন ধরে গল্প হয় না! কি বলিস নাহিদ? আমরা আন্টির সাথে জমিয়ে গল্প করব আর আন্টিকে রান্নাতেও সাহায্য করব।”

নাহিদ বলল,
” হ্যাঁ অবশ্যই! চলুন আমরা যাই।”

তারপর রোজা কে উদ্দেশ্য করে নাহিদ বলল,
” ম্যাম আপনি এখানে সোফায় বসুন। আমরা আসছি। আর এমনিতেও আপনি সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। এখন একটু বসে বিশ্রাম করুন। ”

রাজিয়া রহমান যেন বেশ চালাকির সাথে ধরে ফেললেন তাদের মনোভাবটা। নাহিদের কথা শুনা মাত্রই কেউ এখানে এক মিনিটও থাকল না।সবাই দুম করে উধাও হয়ে গেল! রোজা নিজের মতামতটা প্রকাশ করারও সময় পেল না।

রোজাও তো কম চালাক না। তাদের চালাকিটা বেশ ভালো করেই ধরতে পেরেছে সে। মনে মনে সে বলল,
” দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষে রেখেছি আমি!”

রোজা আড় চোখে আহমেদের দিকে তাকালো।আহমেদ আর একটু সাইডে গিয়ে বসলো এবং রোজা কে উদ্দেশ্য করে বলল,
“সোফাতে বসতে পারো। ”

রোজা ভ্রু কুচকে তাকালো। তার দৃষ্টি দেখে আহমেদ বলে উঠলো,
“আমার পাশে বসতে বলিনি। আমার সামনের সোফাতে বসো। ”

আহমেদের দিকে এক নজরে তাকিয়ে, সে চুপচাপ সোফার এক কোণে বসে পড়ল। আসলেই রোজা অনেক ক্লান্ত ছিল। এই কারণে কোন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। মনে মনে পন করল এই লোকটার সাথে একটা কথাও বলবে না!

কিছুক্ষণ পর কি একটা ভেবে রোজা হঠাৎ আহমেদের দিকে এক নজর তাকালো। আশ্চর্যের বিষয় এই যে আহমেদ তার দিকেই তাকিয়ে ছিল। রোজা তাকালেও আহমেদ চোখ সরায় না! কিছু মুহূর্তের জন্য তাদের চোখে চোখ পড়ে, যেন সময় থেমে যায়। কিন্তু সেই মুহূর্ত দ্রুত পেরিয়ে, রোজার মুখে কঠোর এক রাগী অভিব্যক্তি দেখা যায়। চোখে ঝলকানো রাগ, ঠোঁটের কোণে কঠোরতা— সে এমনভাবে তাকাচ্ছে, যেন চিরকাল তাকে অপছন্দ করতেই শিখেছে।

কিছুটা হতবুদ্ধি হয়েও আহমেদ নিজের জায়গা ছেড়ে নড়ে না, বরং সেই একই অবজ্ঞার ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে রোজার দিকে। রোজার মুখে পরিষ্কার রাগ আর অভিমানের ছাপ। অনেক বছর আগে, তারা দু’জনেই একে অপরের জীবন ছিল, অথচ এখন তাদের সম্পর্ক শুধুই ভেঙে যাওয়া অতীত। কিন্তু দু’জনের মনে এই মুহূর্তে সব পুরনো স্মৃতি ভেসে উঠতে থাকে।

রোজার মন এতোটাই তপ্ত, যেন সে এখনই কিছু বলতে চায়, কিন্তু নিজের ভেতরকার অনুভূতি চেপে ধরে। তার ভিতরে যত রাগ, অভিমান, সব কিছু চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে আহমেদের শান্ত, নির্বিকার মুখ দেখে। যতই সে বাইরে বলুক আহমেদকে ঘৃণা করে,কিন্তু সত্য হলো এই যে সে এখনো এই মানুষটাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।তার হৃদয় বলছে এইমাত্র আহমেদের কাছে ছুটে গিয়ে তাকে জাপ্টে ধরতে! কিন্তু মস্তিষ্ক এবং বিবেক বাধা দিচ্ছে! মস্তিষ্ক মনে করিয়ে দিচ্ছে তার সেই অতীতের কথা! বিবেক স্পষ্ট স্বরে বলে দিচ্ছে কোন একজনের স্বার্থপরতার কথা!

একটা অদৃশ্য টান দু’জনকেই একে অপরের দিকে আকর্ষণ করছে, অথচ মুখে সেটা প্রকাশ করতে পারে না কেউই। তাদের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা আবেগের সেই গোপন প্রবাহ এখন তাদের শাসন করছে, কিন্তু মুখে বেরোনোর ভাষা নেই। ঘরে এক ধরনের নীরব টানাপোড়েন— চুপচাপ তবু তীব্র, গভীর আর অসমাপ্ত।

কিছুক্ষণ পর রোজা মুখে এক ধরনের ব্যঙ্গের হাসি এনে বলে,
“ আজ এখানে না আসলেও পারতেন আপনি মিস্টার সাদ আহমেদ!”

আহমেদও মুচকি হেসে কাঁধ ঝাঁকিয়ে নির্বিকার গলায় জবাব দেয়,
“কেন? পুরনো অনুভূতি জেগে উঠছে?”

রোজা ফট করে তাকালো আহমেদের চোখের দিকে। আবার সময়ের মধ্যে চোখ ফিরিয়ে আনলো। আহমেদের চোখের দিকে সে আগে থেকেই কোনভাবে তাকাতে পারে না। এরপরে রোজা বললো,
” অনুভূতি বলতে কোনো জিনিস আমার নেই! একসময় ছিল। কিন্তু এখন কোনো ধরনের অনুভূতিই আমার মনের মধ্যে নেই।”

আহমেদ নির্বিকার চোখে তাকিয়ে রইলো রোজার দিকে। আবারো নীরবতা বিরাজ করলো সেই স্থানে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

Note: আগামীকাল অতীত উন্মোচন করব পাঠকগণ❤️🤧 আগামী কয়েকটা পর্ব হয়তো বা অতীত নিয়েই থাকবে👀🦋 আসলে ওদের অতীত অনেক বড়🫠

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here