বিস্তৃতির_মাঝে_তুমি_আমি #পর্ব_৬ ( অতীত -১) #লেখিকা_অনামিকা_তাহসিন_রোজা

0
14

#বিস্তৃতির_মাঝে_তুমি_আমি
#পর্ব_৬ ( অতীত -১)
#লেখিকা_অনামিকা_তাহসিন_রোজা

রান্নাঘরে সমস্ত তরকারির বাটি ঠিক করছেন রাজিয়া রহমান। তার পাশাপাশি হাতে হাতে কাজ করে দিচ্ছে নুরা ও অহনা। নাহিদ একপাশে বসে বসে আপেল খাচ্ছে। হুট করে রাজিয়া রহমান বলে উঠলেন,
“সে কি! আমি তো খেয়ালই করিনি! রিয়াদ কেন নেই রে? ও তোদের সাথে আসেনি? ”

নাহিদ আপেলে কামড় বসিয়ে বলল,
“না আন্টি আমাদের সাথে আসেনি। আসলে কেসের কাজ ছিল তো। চিন্তা করবেন না। আসার সময় ওকে ফোন দিয়েছিলাম। এক্ষুনি চলে আসবে হয়তো।”

বলতে না বলতে রিয়াদ এসে হাজির হলো রান্নাঘরে। এসেই রাজিয়া রহমান কে বলল,
“আসসালামু আলাইকুম আন্টি! কেমন আছেন? ”

“এইতো চলে এসেছে,ভালো আছি বাবা। তোমারি অপেক্ষায় ছিলাম। এসো বসো।”

রিয়াদ একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল,
” ব্যাপার কী আন্টি? ড্রয়িং রুমে দেখলাম আহমেদ স্যার এবং ম্যাম চুপচাপ বসে আছে। কোনো কথাবার্তা নেই। দেখে যেনো মনে হচ্ছে, শোক দিবস পালন করছে।”

নাহিদ একটা শ্বাস ফেলে বলল,
“ভাবলাম একা রেখে আসলে একটু কথাবার্তা হবে, তা না! বসে বসে শোক দিবস পালন করছে! বসে বসে ঝগড়া করলেও তো হয়!”

সমস্ত রান্না করা তরকারি সাজিয়ে রাজিয়া রহমান একটু সস্তির শ্বাস ফেলে চেয়ারে বসলেন। হঠাৎ করেই নুরা বলে উঠলো,
” আচ্ছা আন্টি, একটা প্রশ্ন করব? কিছু মনে করবেন না!”

রাজিয়া রহমান বলেন,
” হ্যাঁ মা বলো, কিছু মনে করব কেন? বল কি বলবে?”

নাহিদ ও রিয়াদও উৎসুক হয়ে তাকিয়ে রইল নূরার প্রশ্ন শুনতে। নুরা বেশ অস্বস্তি নিয়ে বলল,
“না মানে আসলে,,, আহমেদ স্যার এবং ম্যাম……..”

এটুকু বলতেই রাজিয়া রহমানের মুখ কালো হয়ে যায়। অহনা ও একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।
নুরা বলতে থাকে,
“আসলে স্যার তো অনেক ভালো মানুষ। স্যারের মত মানুষ হয় না! মিডিয়াতেও যেমন সবার কাছে উনি অনেক সমাদৃত, তার থেকেও বেশি বাস্তব জীবনে উনি অনেক বেশি অমায়িক! তাও কেন ম্যাম স্যারকে পছন্দ করে না? আর অহনা আপুর কাছে শুনলাম ম্যাম আর স্যার এর নাকি অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন কী এমন হয়েছে যে এমন হয়ে গেল?”

নাহিদ হাতে থাকা আপেলটা সাইডে রেখে বলল,
“গুড কোয়েশ্চন নুরা! এটা আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ম্যামকে কখনো বলার সাহস হয় নি।”

রিয়াদও বলল,
“হ্যাঁ আন্টি, বিষয়টা আমারও খুব জানতে ইচ্ছা করে। আসলে হয়েছিল টা কি? এই অহনার বাচ্চা সব জানে কিন্তু আমাদেরকে বলে না।”

অহনা অপ্রস্তুত হয়ে বলল,
” নাহ্, ম্যাম আমাকে তেমন কিছুই বলেনি। ম্যামকে আমি তিন বছর ধরে চিনি। এই তিন বছরে যা যা হয়েছে তা আমি সবকিছু জানি। কিন্তু এর আগের অতীত সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। শুধুমাত্র ম্যাম আমাকে একদিন বলেছিল যে, ম্যামের নাকি স্যারের সাথে সম্পর্ক ছিল, সেটা মনে হয় ভার্সিটি লাইফে। কিন্তু এর পরে কী হয়েছে? ম্যাম এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেনি।”

রাজিয়া রহমান সবার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন আর বললেন,
” সে তো অনেক বড় কাহিনী!”

নুরা স্বভাবতই অনেক বেশি চঞ্চল।তাই এই বিষয়ে সে কোন রকম ভনিতা না করে বলল,
” আন্টি প্লিজ বলুন না.। খুব জানতে ইচ্ছে করছে। এখনই বলুন প্লিজ।”

অহনা, রিয়াদ এবং নাহিদও সহমত পোষণ করলো। তারাও শুনতে চায় আসলে ঘটনাটা কী? রাজিয়া রহমান বলে উঠলেন,
” না না আমি এগুলো বলতে পারব না।এখন আমার সে অতীতের কথা আর মনে করতে ইচ্ছা করে না!”

কিন্তু বাকিরা মানল না। রাজিয়া রহমান প্রথমে রাজি না হলেও সবার জোরাজোরিতে তিনি বলতে রাজি হলেন।

“আচ্ছা,আমি তোমাদের বলবো। কিন্তু তোমাদের কথা দিতে লাগবে, আমি যে তোমাদের সব বলেছি, এটা এখনি আহমেদ ও রোজা কে বলবে না।”

সবাই রাজিয়া রহমানের কথায় রাজি হল। একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলতে শুরু করলেন,

“এই গল্পটা জানতে হলে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে যখন আহমেদ এবং রোজা একে অপরের চিনতো না,,,,,,,,,,,,,,,

( অতীত)
চার বছর আগে…………
““““““““““““““““““
আহমেদের অতীতের আগে তোমাদের আগে জানা দরকার রোজার অতীত টা! তোমরা এখন যেভাবে রোজা কে দেখছো, রোজা আসলে এমন ছিল না! সে অনেক ভিন্ন ছিল। এখন তোমরা যে রোজা কে দেখছো সে অনেক কঠিন ব্যক্তিত্বের! কিন্তু আগে বরং সে অন্যান্য মেয়েদের থেকে একটু বেশি নরম ছিল! রোজার পরিবারটা অনেক মধ্যবিত্ত ছিল। রোজার মা একজন হাই স্কুলের টিচার ছিল। রোজার যখন ১২ বছর বয়স, তখন তার মা এক্সিডেন্টে মারা যায়। তার বাবা রমজান ইসলাম, একজন গাড়ি ড্রাইভার ছিল। কোন এক কারণে তার বাবাও প্যারালাইস্ড হয়ে যায় এবং তার দুই পা একদম অচল হয়ে যায়। রোজা তার বাবা-মার একমাত্র সন্তানই ছিল। যখন রোজার বাবা এরকম অচল হয়ে গেল, তখন মাত্র ১৭ বছর বয়সেই রোজাকে পুরো পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল। পুরো পরিবার বলতে তো শুধু একমাত্র তার বাবাই ছিল। তার বাবার খরচ চালানো ওষুধপত্র, তার নিজের পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু মিলিয়েই রোজার অনেক কঠিন জীবন যাচ্ছিল। সে তবু হার মানেনি। তোমরা হয়তো একটা কথা জানো না, রোজা অনেক ভালো গান পারে। শুধুমাত্র আহমেদই না, রোজাও অনেক ভালো গান করতে পারে। সে মাঝে মাঝেই এই গান গেয়ে টাকা উপার্জন করেছে। কিন্তু কোন রকম বড় সিঙ্গারেরে সপ্ন দেখেনি। বিভিন্ন ক্লাব, বার, রাস্তা ঘাট অথবা ছোট ছোট অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠান এসবে গান গেয়েই রোজা টাকা উপার্জন করেছে। এছাড়াও রোজার বাবার কিছু জমি ছিল গ্রামে। সে জমিতে রোজা তার চাচাদের সাহায্য নিয়ে অনেক ফসল লাগিয়েছিল। ফসল খুব একটা লাভ না করলেও লস হয়নি। সেখান থেকে কিছু টাকা আসতো। তবে এই সমস্ত কিছু দায়িত্ব একমাত্র রোজার উপর ছিল। কিন্তু যতদিন যাচ্ছিল ততই রোজার পড়াশোনা খরচ, তার বাবার ওষুধ বেড়েই চলেছিল,যেটা রোজার পক্ষে চালানো অসম্ভ ছিল। যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হলো তখন সে আরও বেশি সমস্যায় পরতে থাকলো। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। রোজা একজন বান্ধবী ছিল, নাম হলো হুমায়রা! হুমায়রা তেমন একটা বড়লোক ছিল না! সেও রোজার মত মধ্যবিত্ত ছিল। আসলে রোজার টাকা না থাকার কারণে তার কোন রকম ভালো বন্ধুবান্ধব ছিল না। জানোই তো আজকাল টাকাই সব!!! যাইহোক তো এমন করে একদিন ভার্সিটিতে সেমিস্টারের ফিস চাওয়া হলো। যেটা রোজা পক্ষে দেওয়া খুবই অসম্ভব ছিল। ভার্সিটির ফিস জমা দেওয়ার তারিখের আগের দিন!!! যেটা ছিল রোজার জীবনের এক নতুন মোড়!!!

সোনালী সকালে রোজা ভার্সিটি বারান্দায় বসেছিল। সে সময় হুমায়রা আসলো। আর কাঁধে হাত দিয়ে বলল
“কি ব্যাপার? মন খারাপ কেন?”

রোজা চিন্তিত স্বরে বলল
” সেমিস্টারের ফিস চেয়েছে শুনেছিস?”

হুমায়রা একটা শ্বাস ফেলে বলল,
” হুম শুনেছি।”

রোজা আবারো একইভাবে বলল,
” পনেরো হাজার টাকা!! আমি এতো টাকা কোথায় পাবো? এই মাসের শেষে আমি এত টাকা এখন কোথায় পাবো বলতো? মাসের শুরুতে বাবার ঔষধে অনেক খরচ হয়ে গেছে। গ্রাম থেকে চাচা এখনো ফসল বিক্রি করে টাকাটা পাঠায়নি। আমি এখন এর মধ্যে এত টাকা কোথায় পাব বল?”

হুমায়রা বলল,
” আমার কাছেও টাকা নেই জানিস! নাহলে আমি তোকে দিতে পারতাম। আমি নিজেই চিন্তায় আছি। মা অনেক কষ্ট করে ধারদেনা করে ১৫০০০ টাকা দিয়েছে। আগামী মাসে চলতে খুব কষ্ট হবে আমাদের।”

রোজা হাত কচলাতে কচলাতে বলল,
” আমি কী করবো বলতো? সেমিস্টারের টাকাটা না দিলে এখন এক্সামে বসতে দেবে না।”

হুমায়রা কিছু বলতে পারল না। চুপ রইলো।

সেই রাতে রোজার একটুও ঘুম হয়নি। সারারাত টাকা কোথায় পাবে, এই চিন্তায় সে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলো। অনেক চিন্তাভাবনা করেও সে কোনো উপায় খুঁজে বের করতে পারলো না। অজান্তে তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। রোজা কোনোরকম উপায় না পেয়ে শেষে একটা মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা মেঘলা সকাল। প্রতিদিনের মতো হাজারো ছাত্রছাত্রী ছুটছে, কারও ক্লাস আছে, কারও ল্যাব, আর কারও সামনে সেমিস্টারের ফি জমা দেয়ার কঠিন বোঝা। এই চাপে আজ রোজা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। টাকা নেই, বাড়িতে জানাবারও উপায় নেই। কতদিন যে সে খাবারের পয়সাও ঠিকমতো জোগাড় করতে পারছে না!

মাথায় শুধু একটাই চিন্তা—এই দারিদ্র্য, অপমান, অসম্পূর্ণতা থেকে মুক্তি পাওয়া। একটা মুহূর্তের জন্য মনে হলো, সব সমস্যার সমাধান হতে পারে যদি সে শেষটা বেছে নেয়। ভার্সিটির মূল ফটকের পাশে বড় সিঁড়িটার দিকে তাকিয়ে ছিল রোজা। যেন সেটা তার জীবনের শেষ পথ, আর সেই পথের শেষে একটা গভীর অন্ধকার।

রোজার চোখে পানি, বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে গেছে। ফি জমা না দিতে পারলে আর পড়াশোনা করতে পারবে না, স্বপ্নগুলো একে একে ভেঙে যাবে। পৃথিবীটা যেন ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে তার সামনে। পা দুটো কাঁপছে, হাত দুটোও যেন আর শক্তি পাচ্ছে না। নিঃশব্দে ফিসফিসিয়ে বলল, “আর পারছি না, আমি ক্লান্ত।”

ঠিক তখনই, দূর থেকে একজন ছেলে তাকে লক্ষ্য করল। হ্যাঁ সেই হলো আহমেদ। সেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু রোজাকে সে আগে কখনো দেখেনি। আজ হঠাৎ কেন যেন তার চোখ আটকে গেল রোজার দিকে। রোজার দৃষ্টি, তার অবস্থা দেখে আহমেদের মনে কিছু একটা সন্দেহ হলো। যেন কষ্টে ভেঙে পড়েছে মেয়েটা! তার হাব ভাব মোটেই ঠিক লাগছে না তার!

রোজা যখন ফটকের সিঁড়ির কিনারায় দাঁড়িয়ে এক পা সামনে বাড়াচ্ছিল,, তখনই আহমেদ বুঝতে পারল আসলে রোজার মনোভাব টা কি?? আহমেদ বলে উঠলো, “শিট্! এই মেয়ে ওখানেই দাঁড়াও!”
আর এক মুহূর্ত দেরি না করে আহমেদ দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে রোজার হাতটা ধরে ফেলল। টেনে নিয়ে এলো রোজাকে! রোজা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,
” ছাড়ুন! ছাঁড়ুন আমাকে! আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না! ছেড়ে দিন! আমাকে কেন ধরেছেন? ছাড়ুন!”

“এই মেয়ে কী করতে যাচ্ছিলে তুমি?” আহমেদের কণ্ঠে হতবাক হওয়ার সাথে সাথে রাগও ছিল।

রোজা চমকে উঠে তার দিকে তাকালো তার এক হাত ধরে থাকা সুদর্শন পুরুষের দিকে। রোজার চোখে নীরবতার সঙ্গে মিশে ছিল হতাশা আর অসহায়ত্ব।

“আমাকে ছেড়ে দিন… “কাঁপা গলায় বলল রোজা।

রোজার কথায় আহমেদ যেনো আরো বেশি রেগে গেল। সে রোজার হাতটা আরো বেশি জোরে চেপে ধরে বলে উঠলো,
” এই মেয়ে,পাগল হয়ে গেছো নাকি তুমি? এদিকে তাকাও! দেখে তো তোমাকে এই ভার্সিটির মনে হচ্ছে! কী করতে যাচ্ছিলে হ্যাঁ ? মাথা ঠিক নেই নাকি?”

আহমেদের ধমকে রোজা একটু কেঁপে উঠলো। এরকম অচেনা অজানা ব্যক্তির ধমক তার কাছে একটু বেশি ভয়ানক মনে হলো! রোজা তার চেপে ধরে থাকা হাতটার দিকে তাকিয়ে করুন কন্ঠে বলল,
“হাতে ব্যথা লাগছে তো,,,,,, ছেড়ে দিন! ”

আহমেদ ব্যঙ্গ করে বলল,
” ওখান থেকে পড়ে গেলে ব্যথা লাগতো না? ম’রে গেলে ব্যথা থাকত না?

রোজা নীরব থাকলো। তার ভীষণ রকম কান্না পাচ্ছে! ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টায় আছে সে!

আহমেদ আবারো রেগে জোরে বলে উঠলো,
“তুমি আ’ত্ম’হ’ত্যা করতে যাচ্ছিলে? মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমার? একবারও ভেবেছ কী হতে পারতো?এটা সমাধান নয়! তুমি কী ভুল করতে যাচ্ছিলে! তুমি নিজের জীবনের কতটা মূল্য, সেটা কি একবারও ভেবেছ? নিজের জীবনের মূল্য নেই তোমার? ম’রার খুব শখ!”

রোজা কোনো উত্তর দিচ্ছে না। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে তার কান্না আটকাতে ব্যর্থ হলো। হু হু করে কাঁদতে শুরু করল সে। অঝোরে পরতে থাকলো এতদিনের জমিয়ে রাখা চোখের পানি!!!

রোজার চোখে পানি দেখে আহমেদ যেন একটু নরম হলো। ছেড়ে দিল চেপে ধরে থাকা রোজা হাতটা! নিজেকে একটু ধাতস্ত করে আহমেদ নরম কন্ঠ জিজ্ঞেস করল,
“নাম কী তোমার?”

রোজা চোখের পানি মুছে আমি যদি এক পলক তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,
“রোজা!”

আহমেদ একবার রোজাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখে বলল,
“পুরো নাম?”

রোজা এবারও হাত কচলাতে কচলাতে বলল, “আফরোজা জেরিন রোজা!”

আহমেদ এবার ফটাফট প্রশ্ন করতে থাকলো,
” কোন ইয়ারে তুমি? কোন ডিপার্টমেন্ট? বাসা কোথায় তোমার? বাবা কী করে?”

এতগুলো প্রশ্ন এক সেকেন্ডের মধ্যে রোজার এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে গেল। সে তার ভেজা চোখের পাপড়ি নাড়িয়ে দুবার পলক ফেলল, যেনো তার অপর প্রান্তে বিস্ময়কর কিছু আছে!!!!

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

নোট: এখন থেকে কয়েক পর্ব আহমেদ এবং রোজার অতীত চলবে🌸 পাঠকগণ অতীতের এখানে নায়িকার নতুন নাম দেখে কেউ বিচলিত হবেন না। এই নামটাই তার আসল নাম।কিন্তু পরবর্তীতে তার নাম বদলে গিয়েছে। কেন বদলে গিয়েছিল? সেটা এই অতীতেই জানতে পারবেন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here