#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 17…….
,
এভাবে কেটে যায় কয়েকদিন।
তায়ানের পুরো খেয়াল এখন তোয়া রাখছে। আর হাসপাতালে তীব্রের কাজ অনেকটাই শেষ। ও নিয়মিত হাসপাতালে এটেন্ড করে না বেশি প্রয়োজন না পরলে। এতদিন তায়ানের জন্য থাকলেও এখন তার দরকার নেই। কারন তায়ানের সম্পুর্ন দায়িত্ব তোয়া নিয়েছে। আর তায়ানকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে…..
,
,
,
,,
,
,
,
২ দিন ধরে তীব্র বাসায় আছে। ওর বিজন্যাস আর হসপিটালের নিজস্ব কিছু কাজের জন্য ব্যস্ত। তীব্র শাওয়ার নিয়ে বাইরে এলো তখনি একজন স্টাফ এসে ওকে বলল কোন একটা মেয়ে ওর সাথে দেখা করতে এসেছে। কে সেটা তীব্র না জানলেও আন্দাজ করতে পারল। তীব্র আসছি বলে মেয়েটাকে নাস্তা দিতে বলল…. তীব্র একটা ফুলহাতা টি শার্ট পরে বাইরে বেড়িয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল….
— আপনি এখানে আমার মত মানুষের কাছে তা কি মনে করে?
তোয়া ম্যাগাজিন পরছিল। তীব্রকে দেখে তোয়া দাড়িয়ে গেল। তারপর ওকে সালাম দিল। কিন্তু তীব্র ওকে সালামের উত্তর না দিয়েই সোফায় বসে কফি দিতে বলল.……
— প্লিজ বসুন….
ওর কথায় তোয়া একটু হ্যজিট্রেট করলেও বসে পড়ল….
_- হ্যা বলুন কি মনে করে এসেছেন আমার বাড়িতে। আর একা কেন তায়ানকে নিয়ে আসলেই পারতেন। নাহলে আমাকে বলতেন আমি নিজেই চলে যেতাম।
— তার কোনো দরকার নেই। প্রয়োজন যখন আমার তখন নিজেরে আসা উচিত।
— প্রয়োজন তাও আমার কাছে… [ বেশ অবাক হয়ে ]
— Sorry D. Rayhan….. আমি খুব ভালো করেই জানি তায়ানের সাথে আমার এগুলো করা উচিত হয়নি।
— সেটা আপনি আমাকে কেন বলছেন? আপনি তো আমার সাথে কোনো অন্যায় করেনি।
— আমার জন্য আপনাদের অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। আমি জানি তায়ানকে আপনি খুব ভালোবাসেন। আর তাই আপনার থেকেও ক্ষমা চাওয়াটা উচিত। আমার ভুলের মাসুল আপনি দিয়েছেন তাই।
— Its ok ms. Toya….. আমি এমনি এমনি কিছু করিনি। আমার কাজ মানুষের জিবন বাচানো সেখানে তায়ান আমার বন্ধু। আর যদি আপনার ভুলের কথা বলেন তাহলে বলব মানুষ মাত্রই ভুল।
— ধন্যবাদ।
— ধন্যবাদের কিছু নেই। আমি আপনার জন্য অনেক কিছু পেয়েছি ধন্যবাদ তো আমার দেওয়া উচিত।
— মানে….
— মানে কিছুনা। ভুল যদি ভালোর জন্য হয় তাহলে ভুল ই ভাল। ভুল না করলে হয়তো আরো বেশি ক্ষতি হয়ে যেত। মানে আপনি বুঝতেন কি করে আপনি তায়ানকে কতটা ভালোবাসেন।
— হুমম…. আপনি আসলেই খুব ভালো।
হালকা হাসল তীব্র….
— আজ খারাপ হওয়ার কারন নেই তাই আমি ভালো।
— আচ্ছা আজ তাহলে আসি।
— আসুন…
তোয়া কিছু বলতে গিয়েও বলল না। তীব্র তা বুঝতে পেরে নিজেই জিজ্ঞেস করল…..
— তোয়া আপনি কি কিছু বলতে চান?
তীব্রের মুখে কথাটা শোনা মাত্রই তোয়া আর দেরি করল না। এক নিশ্বাসে বলে ফেলল…
— I need your help D. Rayhan….
কথাটা শুনে ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলল তীব্র। ও যেন এর আশাই ছিল….
— আমার হেল্প আপনার চাই। আমি আপনার কি হেল্প করতে পারি।
ধরা গলায় তোয়া বলে উঠল…..
— আমার কাজিন তুরের জন্য।
— তুর। You mean…. তায়ান যেই মেয়েটির কথা বলে আমার মাথা খারাপ করে….
— হুমম… [ মাথা নিচু করে ]
— My god… এখন কি ওর কথা আপনিও বলতে এসেছেন। দেখুন আমি কিন্তু… আর তাছাড়া আপনি বলেছেন মেয়েটি আমার বয়সে অনেকটাই ছোট। আর আমি কোনো মেয়ের ব্যাপারে ইন্টারেস্ট নই আর এরকম বয়সে ছোট কোন মেয়েতে তো একদমি না।
তীব্রের কথার উত্তর নেই তোয়ার কাছে। তীব্র ফান করছে বুঝতে পারলেও কথাটা যেন গায়ের মধ্যে ফুটল….. ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। এটা দেখে তীব্র বলে উঠে…
— please Don’t be hesitate…. I just make fun…..
মাথা নাড়ল তোয়া…
— তা বলুন কি হেল্প চাইতে এসেছেন। আপনাকে দেখে বুঝাই যাচ্ছে ব্যাপারটা কমপ্লিকেট। নাহলে আপনি তায়ানকে নিয়ে আসতেন। যেহেতু ওকে নিয়ে আসেনি তারমানে আপনি ব্যাপারটা তায়ানকে বলেনি।
— হুমম। কারন তায়ান তুরকে খুব ভালোবাসে। আর যেহেতু ও এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় তাই আমি ওকে ব্যাপারটা বলতে পারিনি।
— কি এমন হয়েছে যে আপনি তায়ান বলতে পারছেন না ডিরেক্টরলি আমার কাছে হেল্প চাইতে এসেছেন।
ব্যাপারটা বলতে তোয়ার বিবেকে বাধছে। অনেক ট্রাই করেছে তুরকে খোজার কিন্তু পায়নি। সবার কাছে শুনেছে তীব্র সব ব্যাপারে সবাইকে হেল্প করে। তাছাড়া তীব্রের অনেক দুর সোর্স আছে। ও তুরকে খুজতে হেল্প না করলেও ওর বলাতে যদি পুলিশ আবার ওর বোনকে খোজা শুরু করে তাই বাধ্য হয়েই ও তীব্রের কাছে হেল্প চাইতে এসেছে……
— আমার বোনকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। [ বলেই কান্না করে দেয় ]
— খুজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে…. [ কিছুটা অবাক হয়ে ]
তারপর তোয়া ওকে বিয়ের দিনে পার্লারের ঘটনা থেকে শুরু করে কিডন্যাপিং, নীমী, ননীর ফিরে আসা, ওদের কথা, তুরের বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালানোর সব কথা বলে। এগুলো শুনে তীব্র কিছুক্ষন চুপ থাকে তারপর বলে….
— কিন্তু ওরা যখন বলেছে তুর সেচ্ছায় নিজের বয়ফ্রেন্ডের সাথে চলে গেছে সেখানে আমি কি করতে পারি।
— কারন আমি জানি তুর কোনো ছেলের সাথে যায়নি। আর না ওর কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিল।
— আপনি বা এতটা সিউর হয়ে কিভাবে বলছেন? এখনকার ছেলেমেয়েরা সব কথা বড়দের বলে না।
— সেটা হতেই পারে। কিন্তু আপনি ভাবেন তো ওর যদি সেচ্ছায় ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে যাওয়ার হতো তাহলে ওর বিএফ ওকে কিডন্যাপ করার পর কেন গেল? আর গেলই যখন তাহলে আমার বিয়ের দিন কেন গেল? যেখানে ও জানত ওকে ছাড়া আমি বিয়ে করব না।
— পুলিশ কি বলেছে?
-_ পুলিশ প্রথমে নাবালিকা ভেবে ওকে খুজলেও কিছুদিন আগে ওর ১৮ বছর পুর্ন হয়েছে তাই তারা বলেছে যেহেতু ও এডাল্ট আর সেচ্ছায় যাওয়ার আলামত ওরা পেয়েছে তাই ওদের আর কিছু করার নেই। আমরাও অনেক ট্রাই করেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি…..
— বুঝলাম। কিন্তু এটা বুঝলাম না এতে আমি কি করতে পারি আমি তো আর আইনের লোক নই।
তীব্র তোয়াকে দেখে যা বুঝেছে মেয়েটি অতন্ত্য বুদ্ধিমতি। সব দিকে খুব বেশি খেয়াল করে। আর এটাও বুঝতে পারছে তোয়া যা করেছে সবটা ইচ্ছে করে৷ নিজের ইচ্ছায় বিয়েটা করতে চেয়ে তায়ানের ওরকম অবস্থা করেছে। আর নিজেই বিয়েটা ভেঙে দিয়েছে।
ও চলে যাওয়ার পর তীব্র খামটা হাতে নেয় ।
-_ শষ্যের মধ্যে যদি ভুত থাকে কিভাবে তাড়ানো যায়। যে আমার কাছে বন্দীনী তাকে খোজার দায়িত্ব আমি নিলাম। very interesting…. দেখা যাক কাহিনী কতদুর এগোয়….
নিজের রুমে গিয়ে খামটা খুলে ছবিটা হাতে নেয়…. ছবিতে নিষ্পাপ বাচ্চা মেয়ের একটা হাস্যজ্জল ছবি। চেহায়ার বাচ্চামির ভাবটা এখনো যায়নি। যেকোনো মানুষ মায়ায় পরে যাবে। তীব্র ছবিটা থাকা তুরের গালে আলত স্লাইড করে। এতটা নিষ্পাপ একটা ফুল ওর কাছে ভাবতেই একটা প্রশান্তির আভা ফুটে উঠে তীব্রের মুখে……
-_- এই জীবনে তুরকে আর দেখা হবে না তোমাদের। তুর আর কয়দিনের মধ্যে নিজেকেও ভুলে যাবে। ওর মন মতিষ্কে শুধু একজন থাকবে আর তা হচ্ছে তীব্র….. তাহলে এই ফ্যামিলি, পরিবার এদের দিয়ে কি করবে যখন সারাজিবন থাকতে হবে আমার সাথে আমার বন্দীনী হয়ে। তুরকে আমি এমন ভাবে লুকিয়ে রাখব ওকে ছোয়া তো দুরে থাক দেখতেও পারবে না।
বলেই ছবিটায় আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই ছবিটা আগুনে ঝলসে যায়।
— আমি পারলে সবার মন থেকে তুর নামটাই মুছে ফেলতাম কিন্তু তা আমার সাধ্যের বাইরে। কিন্তু তুরের মন থেকে ওর অতীত মুছে ফেলা আমার সাধ্যে। তুরের নিজের বলতে কিছুই থাকবে না। আমি শব্দটা বলতে তুর আমাকে চিনবে এই তীব্রকে চিনবে….
তারপর খামের ভিতরে থাকা ডকুমেন্টস গুলো দেখে সেগুলো তুলে রাখে…
তখনি তীব্রের কাছে একটা ফোন আসে। তীব্র কলটা চেক করতেই দেখে কুরিয়ার সার্ভিসের…..
—- হ্যালো.।।
— স্যার আপনি যে মেডিসিন আনতে দিয়েছিলেন সেটার পার্সেল আপনার হসপিটালের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
কথাটা শুনেই তীব্রের মেজাজ গরম হয়ে যায়। ও ফোনের মধ্যে চিতকার করে বলে উঠে আমি সেটা আমার বাড়িতে বা অফিসে পাঠাতে বলেছি।
— সরি স্যার। এতক্ষনে তা পৌঁছে গেছে।
— deem it…
তীব্র আর একমুহূর্ত অপেক্ষা করল না হাসপাতালে চলে গেল। নিজের কেবিনে গিয়ে পার্সেল খোজার চেক করতেই কেউ সেটা ওর সামনে ধরে….
_ আপনি কি এটা খুজছেন ড. রায়হান….
কন্ঠস্বরটা শুনে তীব্র নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়। রাগে টেবিলটাকে আকড়ে ধরে। যে ভয়টা করছিলো সেটাই সত্যি হলো। পার্সেলটা অরুনের হাতে পরে গেছে। অন্যকাউকে যা হোক বোঝানো যাবে কিন্তু অরুন। আর ও যে পার্সেল খুলে দেখেছে তা তীব্র জানে।
— আমার পার্সেল তোর কাছে কেন? আর অন্য কারো জিনিসে হাত দিতে নেই তুই জানিস না।।
পার্সেলটা নিতে চাইলে অরুন হেশে দেয়।
— হাসালিরে। সামান্য পার্সেলের জন্য এত রাগ। সে যাই হোক। এই মেডিসিনটা কার জন্য…..
— সেটা তোর না জানলেও চলবে।
— রায়হান তুই ভুলে যাচ্ছিস আমি একজন ডক্টর। আর তাই আমি জানি কোন মেডিসিন কি কাজে লাগে। এটা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ একটা মেডিসিন। আর খুব বেশি দামী। আর হসপিটালে এমন রোগী নেই যার এটা দরকার। তাহলে..…..
— আমার সব ব্যাপারে তোকে নাক গলাতে হবে। আমার দরকার তাই। এখন পার্সেলটা দিয়ে বেড়িয়ে যা।
অরুন আর কিছু না বলে চলে যায়।
— কেউ না চিনলেও আমি তোকে চিনি। তুই নিজেকে যেমনটা দেখাস তুই তেমন না। আর এটাও জানি আমি কতটা সঠিক তাও আমি জানি।
তীব্র মেডিসিনটা নিয়ে চলে গেল।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
পরের ২দিন নিজের সব কাজ গুছিয়ে নেয় তীব্র। বিগত ১ মাস ধরে তুরের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই তীব্রের। ও আবার তুরের কাছে যাবে। সমস্ত কাজ শেষ করে রাতে ফ্লাইটে ও তুরের কাছে যায়……
,
,
,
,
,
,
,,
,
,
প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে। কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে কারা আপনারা? তুর কান্না করে কথা গুলো বলছে কিন্তু কালো টি-শার্ট পরা ভয়ংকর লোকদুটো তুরের কোন কথাই শুনছে না।
কিছুক্ষন আগে তুর তীব্রের দেওয়া ড্রাইনিং এ নিজের মনে হাটছিল কিন্তু তখনি কোথা থেকে লোকদুটো এসে তুরকে জোর করে নিয়ে যেতে লাগল। লোকদুটো নিজেদের ভাষায় কি বলাবলি করছে কিছুই বুঝতে পারছে না শুধু এতটুকু লোকদুটো ওকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চায়। তখনি হোটেলের সেই লোকগুলোর কথা তুরের মনে পরে। তারমানে কি নিজের স্বার্থ হাসিলের পর তীব্র ওকে নিজের কাছে রাখতে চায় না। ছুড়ে ফেলতে চায় তুরকে। তাই এই লোকগুলো নিয়ে যেতে চাইছে তুরকে। এতটাই খারাপ- আর এতটাই নিষ্টুর.…..
তুর নিজেকে বাচানোর আপ্রান চেষ্টা করছে। লোক দুটোর কাছে ওর শক্তি ব্যর্থ তবুও নিজেকে বাচানোর প্রচেষ্টায় তুর।
ওরা তুরকে বাইরে নিয়ে যেতে ধরে ঠিক তখনি তীব্র আসে…… তীব্রকে দেখে লোকগুলো তুরকে ছেড়ে দেয়। লোকগুলো ছেড়ে দেওয়ার কারনে তুর সামনের দিকে তাকায়….. তীব্রকে দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারে না। ও কোনকিছুর খেয়াল না করেই দৌড়ে তীব্রের পা জড়িয়ে ধরে। তীব্র এমন কিছুর আশা করেনি। তারপর তীব্রের জড়িয়ে অঝোরে কান্না করে বলতে থাকে……
— প্লিজ তীব্র আমাকে ওইগুলোর কাছে ফিরিয়ে দেবেন না। এর চেয়ে ভালো আমাকে মেরে ফেলুন। আমি একজনের ছোয়া নিয়ে বেচে আছি কিন্তু অন্য আমাকে স্পর্শ করলে…… [ অঝোরে কাদতে লাগল তুর ] প্লিজ আপনি যা বলবেন আমি তাতে রাজি। কিন্তু তবুও আমাকে……
তুরের কথাগুলো তীব্রের কানে বারি খাচ্ছে। তুর এসব বলবে ধারনা ছিল না ওর। একটা মানুষের প্রতি কতটা বিদ্বেষ থাকলে এগুলো বলা যায় ভেবে পায় না তীব্র….
ও জোর করে তুরকে পা থেকে ছাড়িয়ে টেনে তোলে। তুর তখনো হাত জোর করে মিনতি করে চলেছে। তীব্রের প্রচন্ড রাগ লাগছে। ও তুরকে ঝাকায়…..
— তুর এসব কি বলছ? শান্ত হও। শোনো আমার কথা।
তুর কোনো কিছুই শুনছে না। কোনো জ্ঞান নেই ওর শোনার মতন। এটা দেখে তীব্র ওকে খব জোরেই ঝাকায়। কিন্তু তাতেও কোনো হেল দোল দেখেনা। তুরের নিশ্বাসের গতি আরো বাড়তে থাকে। তীব্র তখনি তুরকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে নেয়।
এবার তুর নিজের ভর ছেড়ে দিয়ে অঝোরে কাদতে থাকে।
তীব্র লোকগুলোকে ইশারা করতেই ওরা চলে যায়। আর তুরের কান্না বন্ধ করতে না পেরে তীব্র তুরকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যায়। তুর তখনো ওকে জড়িয়ে ধরে কাদছে…..
,
,,
,,,
,
,
,
তীব্র ওকে বিছানায় নামাতেই তুর দুরে সরে যায়। এটা দেখে তীব্র কোনোকিছু করে না।
এভাবেই বেশ কিছুক্ষন কেটে যায়। তীব্র দেয়াল গেশে বসে আছে আর তুর কাদছে একটু দুরে। তীব্র নিজের চোখে হাত দিয়ে রেখেছে। আর ওর কান্না শুনছে…..
হঠাৎ করেই তুর বলে উঠে….
— সেদিন রাতের পর আপনার মনে হয়েছে আপনি আমাকে ভালোবাসতে পারবেন না। আমি শুধুই আপনার কাছে মোহ…..
হিচকি তুলে বলে নিরব থেকে আবার বলল…
— আপনি যদি আমার সাথে থাকতে না তবে প্লিজ আমাকে আমার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিন। কিন্তু আমাকে ওই লোকগুলোর কাছে দেবেন না প্লিজ। দরকার হলে আমাকে মেরে….….
আর কিছু বলতে দিল না তীব্র। এতক্ষন সহ্য করলেও বাকিটা যেন তীব্রের সহ্যের মত না। তরকে নিজের কাছে টেনে ওর ঠোঁটে ডুব দিল তীব্র। এই প্রথম এতটা গভীর ভাবে স্পর্শ করল তীব্র ওকে। তুর নিজেকে ছাড়াতে চাইলেও পারল না। তীব্র ওকে নিজের মাঝে মিশিয়ে নিল।
কিছুক্ষন পর ছেড়ে দিলে তুর নিজের দিকে তাকিয়ে হিচকি তুলতে থাকে। তীব্র ওর চুলগুলো হাতে পেচিয়ে ওর মাথাটা নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরে…..
— তোমার সাথে কি হবে বা হবে সব আমি ডিসাইড করব। সেটা তোমার কাছ থেকে শুনতে চাইনি আমি। তবে তোমাকে একটা সুখবর দিয়ে রাখি এত সহজে না তুমি না আমার থেকে যাচ্ছ আর না আমি তোমাকে ছাড়ছি…….
,
,
,
,
,
,[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]
Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr
।