#পথান্তরে_প্রিয়দর্শিনী
#মম_সাহা
পর্বঃ পঁচিশ
শান্ত, নিবিড় সকাল। নিধির বলা কথাটার পর সকাল যেন আরও নির্জীব রূপ ধারণ করলো। দর্শিনী থম মেরে বড় বৌদির ভারী, ভরাট,গোলগাল মুখটার দিকেই তাকিয়ে আছে। মুখটা কী বড্ড অচেনা হয়ে গেলো কয়েকদিনে! আর আচরণটা তো একদমই চেনা যাচ্ছে না।
নিধি মাথা নত করে দাঁড়িয়ে আছে। কথাটা যে ভুলবশত তার মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে তার মুখমন্ডল। দর্শিনী কতক্ষণ চুপ থেকে ছোট্ট শ্বাস ফেলে বললো,
“আমার জন্য কীভাবে হলো এমন? যদি একটু বিশ্লেষণ করতে তবে খুশি হতাম।”
“আহা মা,তোমার বৌদি ভুলবশত বলে ফেলেছে। মন মেজাজ খারাপ তো তাই। তুমি বরং হাত মুখ ধুয়ে এসো। এতটা পথ জার্নি করাটা তোমার শরীরের পক্ষেও তো ক্ষতিকারক। যাও মা,আগে ফ্রেশ হও।”
প্রতাপ সাহার কথায় স্পষ্ট কথা ঘুরানোর আভাস। হয়তো তার বড় ছেলের বউয়ের এমন কথা সেও প্রত্যাশা করে নি।
“না বাবা,বড়দি তো কোনো ভুল বলে নি। এটা তো ঠিকই,দর্শিনীর জেদের কারণে আজ এত কিছু ঘটাচ্ছে ঐ হরমোহন। দর্শিনী যদি জেদ না করতো তবে আপনিও একটা সময় পর মিইয়ে গিয়ে জমিটার ঝামেলা শেষ করে দিতেন। আজ আমাদের বাড়ি ছাড়া হতে হতো না, আর না আমাদের স্বামীদের এত নির্মম দশা দেখতে হতো নিজ চোখে।”
নিপার চোখে মুখে উপচে পড়া অসহায় রাগ। কণ্ঠনালীতেও রাগের আভাস। দর্শিনী খানিকটা সময় চুপ রইলো। বুঝতে আর বাকি রইলো না এটা হরমোহনের কাজ। হরমোহনের নামটা মাথায় খেলে যেতেই শরীর শক্ত হয়ে এলো। লোকটা কতটা নির্দয় ভাবতেই ঘিন ঘিন করে উঠলো তার শরীর। আগের চেয়ে দ্বিগুণ হলো রাগের পাল্লা। না,এবার আর ছাড় দেওয়া যাবে না ঐ মানুষটাকে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। কাঠের চেয়ারটা থেকে সে উঠে দাঁড়ালো। গম্ভীর কণ্ঠে বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমি পুলিশ স্টেশন যাবো, বাবা। তুমি কী যাবে? এখনই এর একটা ব্যবস্থা না নিলে বড় কিছু হয়ে যাবে।”
প্রতাপ সাহা যেন জানতো তার মেয়ে এমন কিছুই করবে। তাই তার মুখে বিচলিত ভাব দেখা গেলো না। মুখ তার বরাবরের মতনই শীতল। অথচ উপস্থিত সবাই দর্শিনীর আচরণে খানিকটা ভড়কে গিয়েছে।
“কোথাও যেতে হবে না আপনার। দরকার হলে আমি আর দৃষ্টান্ত যাবো কাকার সাথে। এতটা পথ জার্নি করে এসেছেন,এবার বিশ্রাম নেন।”
মৃত্যুঞ্জয়ের বাক্যখানায় প্রবল অধিকারবোধ স্পষ্ট। কিন্তু তার অধিকারবোধ মাখানো বাক্য কতখানি দর্শিনীকে ছুঁতে পেরেছে তা দর্শিনীর চোখ মুখ দেখে বুঝা মুশকিল।
নিপা বিরক্ত হলো। বিরক্ত মাখানো কণ্ঠ নিয়েই বললো,
“দর্শিনী,তোমার আচরণ দেখে আমি অবাক হচ্ছি। আমাদের এত ক্ষতি দেখেও তোমার মন শান্ত হচ্ছে না? আর কী ক্ষতি চাইছো তুমি আমাদের? তোমার ভাই দুইটার নাজেহাল অবস্থা। মাথার উপর ছাঁদ নেই। একটু দয়া করো আমাদের উপর। আর কাঁদা ছোড়াছুড়ি করো না। ক্ষতি আমাদেরই হবে। গেলে তো আমাদেরই যাবে,তোমার তো কিছুই হবে না। নিজের সংসার তো খেয়েছো,এখন এ সংসারটাও কী ধ্বংস করতে এলে?”
নিপার তীক্ষ্ণ কথায় টনক নড়লো দর্শিনীর। বিষ্মিত,বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে রইলো অপর নারীর দিকে। মানুষটা তাকে এভাবে বলতে পারলো?
নিপার কথার বিপরীতে জোড়ে ধমকি দিলো সুমন। প্রদীপ খানিক চোখ রাঙিয়ে উঠলো। অতঃপর আদুরে স্বরে বোনকে বললো,
“তোর যাওয়ার প্রয়োজন নেই, বনু। সুমন যাবে বাবার সাথে। আর দৃষ্টান্ত, মৃত্যুঞ্জয় ওরা তো আছেই। আমি তো এখন হাঁটতে পারছি না, নাহয় আমিও যেতাম। তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খা। যা।”
“আজ আমার জন্য তোমাদের এ অবস্থা তাই না,বড়দা ছোটদা?”
দর্শিনীর কথায় প্রবল অভিমান। এই যেন চোখ থেকে বৃষ্টি নামবে ভাব। নিধি মাথা নত রেখেই স্বামীর দিকে তাকিয়ে দর্শিনীকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“আমার কথাকে ধরে এত কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি আপন ভাবতো তাহলে এভাবে একটা কথাকে ধরে বসে থাকতো না। আসলে পরকে কী কখনো আপন করা যায়! সেটাই আজ ও প্রমাণ করে দিলো। ছোট থেকে মায়ের স্নেহে বড় করেছি অথচ আজ আমার একটা কথা ওর কাছে বড় হয়ে গেছে।”
নিধির কথার ধরণে তাজ্জব বনে গেলো সবাই। দর্শিনী ডুকরে কেঁদে উঠলো। সব মানা যায়, কিন্তু আপন মানুষের কথার আঘাত হজম করা যে অনেক কষ্টকর। প্রদীপ ঘর কাঁপিয়ে ধমক দিয়ে উঠলো নিজের সহধর্মিণীকে। অসুস্থ শরীরেই চেঁচিয়ে বললো,
“কোন সাহসে তুমি আমার বোনের সাথে এমন আচরণ করছো? তোমার বাপের বাড়িতে আছি বলে কী সাপের পাঁচ পা দেখেছো? একদম এ ভুল করো না নিধি। আমরা কাপুরুষ না যে বউয়ের কথা হজম করে বোনকে কাঁদতে দেখবো। অভদ্র মেয়ে।”
প্রদীপের ধমকে রান্নাঘর থেকে নিধির মা রমলা, দর্শিনীর মা সরলা, নিধির কাকীমা ছুটে আসলো। নিধির বাবা কলপাড়ে ছিলো,সেও ছুটে আসলো। রমলা ব্যতিব্যস্ত হয়ে মেয়ে জামাইকে বললো,
“কী হয়েছে,বাবা? এত চিৎকার চেঁচামেচি করছো কেনো? তোমার শরীর তো আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। শান্ত হও,বাবা।”
প্রদীপ ততক্ষণে রণমুর্তি ধারন করেছে। নিজের স্ত্রীর আচরণ গড়গড় করে শাশুড়ির সামনে ঢেলে দিয়েছে। নিধি তখন ঘরের এক কোণায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে। রমলা সবটা কথা শুনে ছোট স্বরে নিধিকে ধমক লাগিয়ে দেয়। বিষ্মিত কণ্ঠে বলে,
“তোরে আমি এসব শিখিয়েছি রে নিধু? কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা, অভাগী মেয়েটাকে তুই এসব বললি? কীভাবে পারলি রে? মেয়েটার সংসার হারিয়ে একটু আশ্রয়ের খোঁজে তোদের দরজায় এসেছে আর তোরা কিনা এসব বলছিস? ছিঃ। নিপার তো বরাবরের স্বভাব দর্শিনীকে ছোট করা তাই বলে তুই ও? আজ আমার লজ্জা হচ্ছে। মানুষ তো কুকুর বিড়ালের প্রতিও এত আক্রোশ প্রকাশ করে না, আর ও তো জলজ্যান্ত মেয়ে। কীভাবে ওরে এত কথা শুনালি?”
মায়ের তাচ্ছিল্যে নিধিও মুখে আঁচল চেপে কেঁদে দেয়। বিবাহিত নারীদের বড় অলংকার তার স্বামী। সেই অলংকার আজ বিধ্বস্ত প্রায়,কীভাবে সেটা সহ্য করবে সে একটা নারী হয়ে? কিন্তু আজ তার মনের অবস্থা বোঝার মতন কেউ নেই। কী ভাগ্য!
নিধির কাকী এক হাতে নিধির বাহু জড়িয়ে নিধির মায়ের দিকে তাকিয়ে ছোট কণ্ঠে বললো,
“আহা দিদি,বকবেন না তো ওরে। ছোট মানুষ ও। দর্শিনী অভাগী হলে ও কী অনেক সুখে আছে? শ্বশুর বাড়ি ছাই হলো,স্বামী বিছানায়, গ্রামবাসীর কটু কথা সব তো দুই বউকেই সহ্য করতে হয়। ওরাও তো মানুষ। তাই মুখ ফসকে বলে ফেলেছে। তা ছাড়া বিবাহিত ননদ,ননসকে বাড়িতে রাখলে এমন সমস্যা হবেই সংসারে।”
নিধির কাকীর শেষের কথায় কিছু একটা ছিলো যা ঘৃণা ধরালো দর্শিনীর শরীরে। দর্শিনী বাবা-ভাইদের দিকে তাকালো। তাদের সোনার সংসারে আজ ফাটল দেখা দিচ্ছে তার জন্য। এটা যে তার কাছে কত লজ্জাজনক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু এই নিরবতার মাঝে কথা বলে উঠলো সরলা। মুখে তার কাঠিন্য ভাব। মেয়ের দিকে শক্ত চোখে তাকিয়ে অতঃপর নিধির কাকীকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“কী করবো বলেন বেয়াইন? মেয়েকে কী আর আমরা ফেলে দিতে পারি? সংসারে এমন ঝামেলা হবে বলেই প্রথম থেকেই মেয়েটার সাথে জন্তুর মতন আচরণ করেছি যেন ও চলে যায়। কোথায় যাবে সেটা ওর ব্যাপার কিন্তু এ বাড়িতে যেন না থাকে। কিন্তু মেয়ে আমার কূল কিনারা খাওয়া। ওর যে আমরা ছাড়া যাওয়ার জায়গা নেই সেটা আমার মাথাতেই ছিলো না। এখন সন্তানকে কী আর আমরা ফেলতে পারবো বলেন? সেদিন মৃত্যুঞ্জয় পরের ছেলে হয়ে যখন আমার মেয়েকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে আসলো তখন আমার গালে পড়া জুতার বারিটার কথা বোঝানোর মতন না। যে মায়ের বটবৃক্ষ হওয়ার কথা ছিলো,সে মা হয়েছিলো বাবলা কাটা। মেয়েটা বাড়িতে এসেছে দু’মাস হলো। কিন্তু এ দু’মাসে ও ঠিক কয়টা মাছের টুকরো খেয়েছে আমি হিসেব করে বলতে পারবো। কারণ ও কেবল তরকারির ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে নিতো। আমি দেখেও দেখতাম না। সবার আগে ভাত খেতো বলে ওর ভাইরা,বাবাও দেখতো না। বড়বৌ হয়তো টের পেয়ে মাঝে মাঝে ওকে বকতো, ছোট বউ কিছু বলতো না। গরম লাগলেও মেয়েটা পাখা ছেড়ে বসতো না কারেন্ট বিল বেশি এলে যদি বৌদিরা বা আমি খোটা দেই সেই ভয়ে। এমনকি নিজের সন্তানের কথাও আমাদের কাছে লুকিয়ে গেছে ভয়ে। এবার ভাবেন আমরা কেমন মানুষ! উপরে উপরে সবই সুন্দর দেখতে। অবশ্য এখনও আমি চাই না ও আমাদের সাথে থাকুক কিন্তু একটা গতি না করে তো আমরাও ওকে ছাড়তে পারছি না। মানুষ তো কুকুর বিড়ালের প্রতিও মায়া দেখায় যেখানে ও আমাদের জলজ্যান্ত মেয়ে।”
এমন সময় দর্শিনীর মায়ের এমন কথা যেন হজম করতে কষ্ট হচ্ছে সবার। দর্শিনীর বাবা মেয়ের দিকে তাজ্জব বনে তাকিয়ে রইলো। তার মেয়েটা এত বড় হয়ে গেলো যে বাবার চোখে ধূলো দেওয়া শিখে গেছে? সেও তো তাহলে ব্যর্থ বাবা। যে বাবা মেয়ের সঠিক যত্ন নিতে পারে নি। সেও তো মেয়ের প্রতি উদাসীন হয়েছে তাই তো মেয়ের খোঁজ রাখে নি। কই,বিয়ের আগে তো এমন ছিলো না সবটা। মেয়েকে সে পাশে বসিয়ে খাওয়াতো। মেয়ে আগে খেয়ে নিলে জোড় করে দু এক লোকমা ভাত খাওয়াতো। কিন্তু কই,এ দুইমাসে প্রথম দিন ছাড়া আর একদিনও তো সে একাজটি করে নি। বিবাহিত মেয়ে সংসার ভেঙে এসেছে বলেই কী এতটা উদাসীনতা ছিলো বাবার! লজ্জায় প্রতাপের মাথা নুইয়ে গেলো। রমলা দর্শিনীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো৷ মৃত্যুঞ্জয় কেবল দাঁড়িয়ে দেখলো এক হতভাগা মেয়েকে। এ দেশেই সে দেখলো একটা মেয়ের এমন পরিণতি। তাদের দেশে আর যাই হোক এত অবহেলা দেখে নি সে।
রমলা নিধিকে আরও কয়েকটা কথা শুনিয়ে বেরিয়ে গেলো। বিমল সাহা মানে নিধির বাবাও তার পিছে পিছে গেলো। তৃণা ছুট লাগালো বাবার পিছে। সবাই তখন গবেষণা করতে ব্যস্ত। কীভাবে হরমোহনকে শাস্তি দেওয়া যায়। সরলা নিজের ছেলের হাত পা বুলিয়ে দিচ্ছে। নিধিকে ধরে তার কাকী ও নিপা দাঁড়িয়ে আছে।
তৃণার ছুট লাগানো দেখে ভ্রু কুঁচকালো দর্শিনী। সেও ধীর পায়ে রমলাদের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। জানালা দিয়ে রমলার ঘরে উঁকি দিতেই সে হতভম্ব হয়ে গেলো। রমলার গালে হাত। তৃণারও দু গাল ফুলে আছে। বিমল সাহা রমলার দিকে আঙ্গুল তাক করে বলছে,
“পরের মেয়ের প্রতি এত দরদ তোমার? একদম লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেবো বজ্জাত মহিলা।”
এবার তৃণাে চুলের মুঠি চেপে ধরে বললো,
“বেশি বড় হয়েছিস তুই না? উড়তে শিখেছিস? আমার মুখে মুখে তর্ক? তোরও পাখনা কাটার ব্যবস্থা আমি করেছি। তোর বিয়ে ঠিক করেছি আমি। নিজেকে প্রস্তুত কর। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষবো না আমি।”
দর্শিনীর অবাকে পালা যেন শেষই হচ্ছে না। বিমল মেসো মশাইয়ের এ কী ব্যাবহার? আর তৃণার বিয়ে!
_
ড্রয়িং রুমে বিহঙ্গিনী বসে আছে। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। এতদিন পর মেয়েকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন নিলয় কুমার। বিহঙ্গিনীও বাবার পিঠ আঁকড়ে ধরলেন। মোহনা নিজের মেয়ের দিকে টলমলে দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। যতই হোক সে তো মা। মায়া রান্নাঘর থেকে লেবুর শরবত এনে বিহঙ্গিনীর দিকে এগিয়ে দিয়ে হাসি হাসি মুখে বললেন,
“এই নেও ননদিনী। শরবত টা খেয়ে নেও।”
বিহঙ্গিনী ধীর হাতে শরবতটা নিলো। মায়ার দিকে তাকিয়ে কুটিল হেসে বললো,
“বাব্বা,এখনো যাও নি এ বাড়ি ছেড়ে? আমি তো ভাবলাম এ বাড়িতে তোমার মেয়াদ বেশি দিন না। তা আমাকে ফিরতে দেখে নিশ্চয় অখুশি হয়েছো তাই না?”
বিহঙ্গিনীর কথার ধরণে বিপ্রতীপ সহ সবাই ভ্রু কুঁচকালো। মায়া হাসি হাসি মুখেই বললো,
“ওমা,অখুশি হবো কেনো? এমনেতেও তোমাকে ছাড়া তত মজা লাগছিলো না। বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো।”
“ওহ্ তাই নাকি? তা আমি চলে যাওয়ার সময় আটকালে না কেনো? ছাঁদ থেকে তো দারুণ ভাবে আমার চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে চোখ জুড়াচ্ছিলে।”
বিহঙ্গিনীর কথা যেন বিস্ফোরণ ঘটালো। মোহনা অবাক কণ্ঠে বললো,
“কী! এ মেয়ে দেখেছিলো তুই যাওয়ার সময়?”
#চলবে