#গোধূলির_রাঙা_আলোয়
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্ব-০৬
বেলকনিতে রেলিঙের উপর হাত রেখে শূন্য দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে শুদ্ধ। মনটা একদমই ভালো নেই তার, সবকিছু তিক্ত লাগছে। এতোকিছু করেও তিয়াসার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না।
কফি চলবে ?
কারো আওয়াজে পাশে তাকালো শুদ্ধ। উৎসা এক মগ কফি এগিয়ে দিয়েছে তার দিকে। শুদ্ধ মুচকি হেঁসে কফির মগটা হাতে নিলো।
ধন্যবাদ।
উৎসা বললো, আপনি হাঁসতেও পারেন ?
আমি হাঁসতে পারি না, এটা কেনো মনে হলো তোমার ?
হাসতে দেখি না তো আপনাকে, তাই।
হাসতে কোনো কারণের প্রয়োজন হয়, অকারণে হাসা পাগলের লক্ষণ।
উৎসা মুচকি হাসলো তবে কিছু বললো না। শুদ্ধ চুপচাপ কফির মগে চুমুক দিলো।
উৎসা হঠাৎ বললো, টেনশনে আছেন ?
শুদ্ধ কিছু না বলে জোড় পূর্বক একটু হাসলো। শুদ্ধ মন খোলে কথা বলতে পারে না। নিজের ভেতরের আনন্দ বা কষ্ট নিজের মধ্যেই রাখে।
উৎসা আবার বললো, টেনশন করবেন না ভাবির খোঁজ পাওয়া যাবে।
শুদ্ধ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, মুগ্ধ আর মিশু দু’জনকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। তবে কখনো সেটা প্রকাশ করিনি। মুগ্ধ এই প্রথম আমার কাছে কিছু চেয়েছে আর সেটা আমি দিতে পারছি না। এই প্রথম নিজেকে ব্যর্থ মনে হচ্ছে।
উৎসা মুচকি হেসে বললো, পৃথিবীর প্রত্যেকটা ঘটনার একটা ভালো আর একটা খারাপ দিক থাকে। কোনো ঘটনায় হয়তো আপনার ক্ষতি হয়েছে আবার দেখা গেলো সেই একই ঘটনায় অন্যকারো উপকার হয়েছে। তবে হয়তো সেটা আপনি কোনোদিন জানতেও পারলেন না। তিয়াসা ভাবির সাথে মুগ্ধ ভাইয়ার এই দুরত্বটা হওয়া প্রয়োজন ছিলো। দুজন দু’জনকে ছাড়া অচল সেটা সহজে উপলব্ধি করতে পারবে এই দুরত্বে।
শুদ্ধ অবাক হয়ে তাকালো উৎসার দিকে আর বললো, বয়সের তুলনায় তুমি একটু বেশি ম্যাচিউরড। এতটা গভীরভাবে আমি চিন্তা করে দেখিনি। তোমার বয়সের মেয়েরা বাস্তবতার চাইতে আবেগে সবকিছুর বিচার করে বেশি।
উৎসা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, আহ্লাদে নয় বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। তাই সবকিছু আবেগ দিয়ে নয় বাস্তবতা দিয়ে বিচার করি।
শুদ্ধ ভ্রু কুঁচকে বললো, মানে ?
উৎসা রহস্যময় হেসে বললো, শুভরাত্রি, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। ডক্টর মানুষ হয়ে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেই আপনার।
শুদ্ধর উত্তরের অপেক্ষা না করে রুমে চলে গেলো উৎসা। শুদ্ধ তখনো তাকিয়ে আছে উৎসার যাওয়ার পানে। শুদ্ধ অবাক হচ্ছে মেয়েটার আচরণে। একই বয়সের তামান্না যেখানে এখনো এতোটা ছেলেমানুষ, সেখানে এই মেয়েটার মধ্যে একদমই বাচ্চামো নেই। প্রতিটা কথায় আছে গভীরতা।
উৎসা হঠাৎ ফিরে এসে বললো, আমাকে এতো ভদ্র মনে করার কারণ নেই। আমি সময়ের সাথে নিজেকে খুব সুন্দর করে মানিয়ে নিতে পারি। এখানে নতুন তাই ভদ্র থাকছি।
শুদ্ধ হতভম্ব উৎসার কথায়। এখনই সে নিজে নিজে ভাবছিলো মেয়েটার মধ্যে বাচ্চামি নেই আর পরক্ষণেই তাকে ভুল প্রমানিত করলো। উৎসা যেভাবে এসেছিলো সেভাবেই আবার রুমে চলে গেলো।
শুদ্ধ মুচকি হেসে বললো, মেয়েটা সত্যি রহস্যময়।
পরক্ষণে নিজেকে শাসিয়ে বললো, শুদ্ধ তুমি কেনো মেয়েটার প্রতি এতো ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছো। মেয়েটা বয়সের দিক থেকে তোমার অনেক ছোট, নিতান্তই বাচ্চা।
শুদ্ধ উৎসাদের রুমের দিকে একবার তাকিয়ে নিজের রুমে চলো গেলো। সত্যি অনেকটা রাত হয়ে গেছে, ঘুমানো প্রয়োজন এবার।
৬.
সকালে সবাই একসাথেই ব্রেকফাস্ট করলো। শুদ্ধ মুগ্ধকেও নিজের সাথে নিয়ে এসেছিলো কিন্তু মুগ্ধ খাবার নাড়াচাড়া করা ছাড়াও মুখে দিয়েছে কয়বার সেটা বলা মুশকিল। শুদ্ধ হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো। একটা সরকারি হসপিটালের ডক্টর শুদ্ধ। জয়েন করেছে খুব বেশিদিন হয়নি, তবে নিজের কাজের প্রতি অত্যন্ত সিনসিয়ার। উৎসা আর তামান্না ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো। আপাতত তারা এই বাসাতেই থাকবে ঠিক করেছে। একটা রিকশা ডেকে তাতে উঠে পরলো। তামান্না আশপাশটা দেখছে আর চকলেট খাচ্ছে। এদিকে উৎসা ফেসবুকে নিউজফিডে ঘুরাঘুরি করছে।
হঠাৎ কিছু চোখে পড়তেই উৎসা চেঁচিয়ে বলে উঠলো, তাম্বু।
উৎসা এমনভাবে চিৎকার করেছে ভয়ে তামান্নার হাতের চকলেট পরে গেছে আর রিকশাওয়ালা মামাও রিকশা থামিয়ে তড়িঘড়ি করে নেমে পড়েছে।
তামান্না রেগে উৎসার দিকে তাকিয়ে বললো, এমন করে কেউ চিৎকার করে ? এখনই ভয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাচ্ছিলো আমার। কী হয়েছে তোর ?
রিকশাওয়ালা মামাও বললো, আমিও ভয় পাইয়া গেছি, কী হইলো আফা ?
উৎসা ফোনের দিকে তাকিয়েই বললো, তিয়াসা ভাবি।
তামান্না চোখ বড় বড় করে বললো, হোয়াট ? কোথায় তিয়াসা ভাবি ?
তামান্না আশেপাশে তাকিয়ে কথাটা বললে উৎসা নিজের ফোনটা তামান্নার সামনে ধরে। ট্রাভেলার্স বিডি নামক একটা পেইজ থেকে সাজেক ট্যুরের গ্রুপ ছবি পোস্ট করেছে মিনিট দশেক আগে। সবার সাথে দাঁড়ানো তিয়াসাকে চিনতে অসুবিধা হলো না তামান্নার
চোখ বড় বড় করে বললো, ও মাই গড। এটা তো সত্যি তিয়াসা ভাবি কিন্তু ভাবি সাজেক গেলো কীভাবে ? এখনই মুগ্ধ ভাইয়াকে জানাতে হবে।
উৎসা একটু চিন্তা করে বললো, মুগ্ধ ভাইয়াকে জানানো ঠিক হবে না। কোনোকিছু চিন্তা ভাবনা না করে হুট করে সাজেক রওনা হয়ে যাবে। কিন্তু মুগ্ধ ভাইয়ার শারীরিক বা মানসিক কন্ডিশন ঠিক নেই, রিস্কি হয়ে যাবে।
তামান্না চিন্তা মগ্ন হয়ে বললো, তাহলে কী করবো এখন ?
উৎসা বললো, তোর শুদ্ধ ভাইয়ার হসপিটাল চিনিস ?
তামান্না বললো, হ্যাঁ চিনি তো কিন্তু হসপিটাল দিয়ে কী হবে ?
হসপিটাল দিয়ে কিছু হবে না। তবে ডক্টর আরফান সাদিক শুদ্ধকে দিয়ে অনেক কিছুই হবে। রিকশাওয়ালা মামাকে হসপিটালের ঠিকানা বল।
তামান্না হসপিটালের ঠিকানা বললে রিকশাওয়ালা সেদিকে রওনা হলো। বেশি সময় লাগলো না হসপিটালে পৌঁছাতে। রিকশা ভাড়া মিটিয়ে ভেতরে চলে গেলো দু’জনেই। রিসিপশন থেকে শুদ্ধর কথা জানতে চাইলে রুম নাম্বার বলে দিলো। হসপিটালের গন্ধ একদমই সহ্য হয় না উৎসার কিন্তু বাঁধ্য হয়ে আসতে হলো। উৎসা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে হসপিটাল। নিজের কোনো সমস্যা হলেও সয্য হওয়া পর্যন্ত হসপিটালে যায় না। অদ্ভুত বিষয়, সে নিজে হসপিটাল পছন্দ করে না আর যাকে পছন্দ হলো সে কিনা প্রয়োজনে চব্বিশ ঘণ্টাও হসপিটালে কাটায়। চেম্বারের সামনে গিয়ে দেখলো ভালোই রোগীর ভীড়। সরকারি হসপিটালে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি হয়। যে ব্যক্তি সিরিয়াল নাম্বার ডাকছে তার কাছে গিয়ে তামান্না নিজের পরিচয় দিলো। লোকটা সাথে সাথেই শুদ্ধকে কল দিয়ে জানালো তার বোন এসেছে দেখা করতে। শুদ্ধ একটু বেশি অবাক হলো তামান্না আর উৎসার কথা শুনে। ভার্সিটি থাকার টাইমে হসপিটালে কী করছে ভেবে পায় না। শুদ্ধ পরের রোগী না পাঠিয়ে ওদের পাঠাতে বলে। লোকটা ওদের দু’মিনিট বসতে বলে। উৎসা আর তামান্না একপাশে গিয়ে বসে।
উৎসা বললো, আমার গা গুলিয়ে আসছে ফিনাইলের গন্ধে।
তামান্না বললো, তাহলে আসতে গেলি কেনো ?
কেনো আসলাম তুই বুঝতে পারছিস না ?
তামান্না কিছু না বলে চুপচাপ বসে রইলো। মিনিট পাঁচেক হতেই ওদের ডাক পরলো। দু’জনে উঠে শুদ্ধের চেম্বারে চলে গেলো।
তামান্না ভেতরে গিয়ে আশপাশটা দেখে বললো, ভাইয়া তুমি এতো ভালো ভালো প্রাইভেট হসপিটালের অফার ছেড়ে, এই সরকারি হসপিটালের জব নিলে কোন শখে। চেম্বারটা তো অনেক ছোট।
শুদ্ধ বিরক্ত গলায় বললো, আমি টাকা ইনকাম করার জন্য ডক্টর হইনি বরং মানুষের সেবা করার জন্য হয়েছি। এখন তোরা নিশ্চয়ই আমার চেম্বার পরিদর্শন করার জন্য এখানে আসিসনি। ভার্সিটি বাদ দিয়ে এখানে কেনো এসেছিস ?
উৎসা বললো, তামান্না তুই বাজে কথা কম বল, আমি বুঝিয়ে বলছি সবটা।
তামান্না মুখ গোমরা করে বললো, যা বল।
শুদ্ধ উৎসার দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালো আর উৎসা নিজের ফোন শুদ্ধের সামনে ধরলো। স্কিনে তাকিয়ে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো শুদ্ধর।
চকিত গলায় বললো, তিয়াসা ?
উৎসা মুচকি হেসে বললো, হুম।
শুদ্ধ ফোনটা নিয়ে একটু ঘেঁটে দেখতেই সবটা বুঝে গেলো। পেইজ থেকে নাম্বারটা নিজের ফোনে তুলে নিলো।
উৎসার দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতার সুরে বললো, ধন্যবাদ।
উত্তরে উৎসা মুচকি হাসলো আর শুদ্ধও। তামান্না ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে দু’জনের দিকে। দু’জনের দৃষ্টি কেমন গোলমেলে লাগছে তার কাছে। পরক্ষণেই নিজের ফালতু চিন্তা মনে করে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললো। কারণ দুজনকেই সে ভালো করে চিনে। দু’জনেই নাম্বার ওয়ান নিরামিষ, এই একটা দিকে তাদের অনেক মিল।
শুদ্ধ একটু গলা পরিষ্কার করে বললো, মুগ্ধকে এখন কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই। কোনোকিছু চিন্তা না করেই রাওনা হয়ে যাবে। এটা কবে তোলা পিকচার আর এখনো ওরা সাজেকেই আছে নাকি সেখান থেকে মুভ করেছে সব জানতে হবে। আমি সব খবর নেওয়ার ব্যবস্থা করছি, এখনই বাসায় কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই।
তামান্না আর উৎসা দু’জনেই মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
এখন তোমরা ভার্সিটি চলে যাও, আমি দেখছি ব্যাপারটা।
তামান্না হুট করে বললো, ভাইয়া তুমি এতো কৃপণ কেনো ? একটু চা কফিও অফার করলে না।
শুদ্ধ মুচকি হেসে বললো, হসপিটালে খেতে পারবি ? দেখে তো মনে হচ্ছে শ্বাস নিতেই কষ্ট হচ্ছে।
শেষের কথাটা উৎসার দিকে তাকিয়ে বললো শুদ্ধ। উৎসা মাথা নিচু করে ফেললো শুদ্ধর কথা শুনে।
এখন যা, আমি তোদের ট্রিট দিবো রেস্টুরেন্টে।
তামান্না খুশি হয়ে বললো, ওকে।
তামান্না বেড়িয়ে গেলে উৎসা শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বেড়িয়ে গেলো। বিনিময়ে শুদ্ধ মুচকি হাসলো। ওরা চলে যেতেই শুদ্ধ কাউকে কল করে সবটা বুঝিয়ে বলে আবার রোগী দেখতে লাগলো।
৭.
গোধূলির রাঙা আলোয় সেজেছে চারপাশ। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে মন্দ লাগছে না। তিয়াসা ভেবেছিলো এতদূরে এসে মুগ্ধর স্মৃতি একটু ভুলে থাকতে পারবে। কিন্তু প্রতিটা মুহূর্তে মনে হচ্ছে এখন মুগ্ধ সাথে থাকলে সবটা হয়তো অন্যরকম হতো। এই তো এখন মনে হচ্ছে, এই গোধূলি লগ্নে মুগ্ধর কাঁধে মাথা রেখে সূর্যাস্ত দেখার অনুভূতিটা নিশ্চয়ই জীবনের শ্রেষ্ঠ একটা অনুভূতি হতো। গালে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পাশ ফিরে তাকালো তিয়াসা।
তোরা মোলায়েম গলায় বললো, যাকে ছেড়ে থাকতে পারবি না তার থেকে দূরে এলি কেনো ?
তিয়াসা তোরার কাঁধে মাথা রেখে বললো, পৃথিবীর সবচেয়ে তিক্ত অনুভূতি, ভালোবাসার মানুষের অবহেলা। আমি দূরে থাকলে যদি সে ভালো থাকে তাহলে থাকুক না। আমি তাকে দোষী মনে করি না। বিনা অপরাধে এতকিছুর জন্য দায়ী হতে হলে আমিও হয়তো এমনই করতাম। তবে আমি তো তাকে ভালোবাসি তাই সহ্য করতে খুব বেশি কষ্ট হতো।
একটা গান শুনছিস তোরা,
পর মানুষে দুঃখ দিলে….দুঃখ মনে হয় না,
আপন মানুষ কষ্ট দিলে….মেনে নেয়া যায় না,
আপন মানুষ কষ্ট দিলে….মেনে নেয়া যায় না!
সবার একজন মনের মানুষ….প্রাণের মানুষ থাকে,
মন প্রাণ উজাড় করিয়া….ভালবাসে তাকে।
ভালবাসে যে যাহাকে…..কষ্ট যেন দেয় না,
আপন মানুষ কষ্ট দিলে….মেনে নেয়া যায় না,
পাথরের আঘাতে কেহ…..খুশিতে হাসে,
ফুলের আঘাত পেয়ে কেহ….কেঁদে ধুলায় মিশে !
পাথরের আঘাত সয় বুকে….ফুলের আঘাত সয় না;
আপন মানুষ কষ্ট দিলে….মেনে নেয়া যায় না !
ভালবাসলে স্বার্থ ভুলে….ভালবাসিও,
ভাল যারে বাসিয়াছ….ভালবেসেই যাইও
গান টুকু গেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো তিয়াসা।
কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বললো, আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি মুগ্ধ, খুব ভালোবাসি। আপনাকে ছেড়ে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। এই বিশুদ্ধ বাতাস আমার কাছে বিষাক্ত মনে হচ্ছে, এক একটা শ্বাস নিতে খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে।
তিয়াসার কথাগুলো পাহাড়ে আঘাত করে প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো। তোরা তিয়াসাকে বুকে আগলে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলো। একটু দূরে দাঁড়িয়ে কেউ ক্যামেরা বন্দী করলো তিয়াসার গান আর প্রত্যেকটা কথা। সাইড থেকে করায় চেহারা স্পষ্ট নয়, তবে প্রতিটা শব্দ সুস্পষ্ট।
চলবে,,,,
আগের পর্ব
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/493286695726441/