#তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর (২৮)
অফিসে গিয়ে নবনী জানতে পারলো অফিস থেকে তাদেরকে তিন দিনের একটা ট্যুরে নেওয়া হবে।যার সম্পূর্ণ খরচ কোম্পানি বহন করবে।শফিক আহমেদ এবং মাসুমা বেগমের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে এই ট্যুর। এবং সেখানেই তাদের এনিভার্সারির অনুষ্ঠান করা হবে।
নবনী ডেস্কে বসে কাজ করছে।কিছুক্ষণ পর পর মাথা তুলে মেঘের কেবিনের দিকে তাকাচ্ছে। দুএকবার দুজনের চোখাচোখি হচ্ছে। এরমধ্যে শিমলা কল দিলো।
অনেকদিন পর শিমলার কল পেয়ে নবনী লজ্জা পেলো কিছুটা। অনেক দিন ধরে নবনী শিমলাকে কল দেয় না।দিবে দিবে করে দেওয়া হয় না। কে জানে, শিমলা হয়তো রেগে আছে।
কল রিসিভ করতেই শিমলা উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো, “নবনী, আমি আর তুমি কিন্তু একসাথে বসবো বাসে,কেমন? ”
নবনী আমতাআমতা করে বললো, “আমি যাবো কি-না তা তো এখনো শিওর না। ”
শিমলা অবাক হয়ে বললো, “কি বলো তুমি? তোমার জন্য এতো প্ল্যান মেঘের, তুমি না গেলে কিভাবে হবে!”
নবনী হতভম্ব হয়ে বললো, “আমার জন্যে প্ল্যান মানে?”
শিমলা ষড়যন্ত্রের ভঙ্গিতে বললো,”তুমি একদিন কথায় কথায় আমাকে বলেছিলে তোমার কখনো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি।তোমার ভীষণ ইচ্ছে জাফলং যাবার।আমি ও তখন মেঘকে বলেছিলাম।মেঘের সেটা মনে আছে।
মামা মামীর এনিভার্সারি উপলক্ষ্য করে মেঘ তাই প্ল্যান করলো জাফলং যাবার।শুধু তোমার ইচ্ছে পূর্ণ করতেই অফিসের সব স্টাফ,নিজেদের সব আত্মীয়স্বজন নিয়ে জাফলং যাবার প্ল্যান করেছে। প্লিজ নবনী, তুমি অমত করো না।”
নবনী হতভম্ব হয়ে বসে রইলো। ফোন রাখতে যেতেই দেখে মেঘ মেসেজ দিয়েছে, “এক গ্লাস পানি দরকার। ”
নবনী রিপ্লে দিলো না।মেঘের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো, এই যে এতো ভালোবাসা, এতো যত্ন,এসব কতোদিন থাকবে?
এটা কি সত্যিই ভালোবাসা না-কি ক্ষণিকের মোহ!
এসব যদি অভিনয় হয়,তাহলে নবনী কি সহ্য করতে পারবে?
নবনী কি আরো একবার হৃদয় ভাঙ্গার যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবে?
মেঘ নবনীর চিন্তিত মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেই চিন্তায় পড়ে গেলো। এই মেয়েটা হঠাৎ করে এরকম কি ভাবছ?
মেঘ উঠে এলো কেবিন থেকে। নবনীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে ব্যাকুল হয়ে জিজ্ঞেস করলো,”নবনীতা, কি হয়েছে তোমার? আমাকে বলো নবনীতা? তোমাকে এরকম ফ্যাকাসে লাগছে কেনো?”
নবনীর কান্না এলো।মেঘকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো নবনী। মেঘ দিশেহারা হয়ে গেলো নবনীর কান্না দেখে,নবনীর চেয়ারের পাশে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো ফ্লোরে। তারপর ব্যাকুল হৃদয়ে বারবার জিজ্ঞেস করতে লাগলো নবনীকে।
মেঘের ব্যাকুল স্বর প্রায় সবাই শুনতে পেলো।নবনী কান্না থামাতেই মেঘ উঠে দাঁড়ালো। নবনী মেঘের এরকম ব্যাকুলতা দেখে কিছুটা লজ্জা পেলো।নিজের কান্নাকাটির জন্য নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। ইমোশনাল হয়ে কান্না করে ফেলেছিলো কিন্তু তাতে মেঘ যে এরকম রিয়েক্ট করবে নবনী ভাবে নি।লজ্জায় নবনীর মাথা কা/টা গেলো।
রক্তিম হয়ে নবনী বললো, “আপনি এরকম ব্যস্ত হচ্ছেন কেনো?”
মেঘ বিষণ্ণ হয়ে বললো, “তুমি কাঁদলে যে আমার পৃথিবী এলোমেলো হয়ে যায় নবনী।তোমার মুখে হাসি না থাকলে আমার পুরো পৃথিবীতে মেঘের ঘনঘটা দেখা দেয়।”
নবনী জিজ্ঞেস করলো, “এই ব্যাকুলতা, এই টান,এই ভালোবাসা কতোদিন থাকবে?
এক সময় যদি বদলে যায়? ”
মেঘ উত্তর দিলো, “মেরি জান,যদি কখনো এরকম হয় তবে মনে রেখো এই পৃথিবী থেকে ভালোবাসা শব্দটা উঠে গেছে। সেদিন আর গাছেরা ভালোবেসে ফুল ফুটাবে না,পাখি ভালোবেসে গান শুনাবে না,নদী ভালোবেসে সাগরে মিশে যাবে না।যতোদিন এসব স্বভাবিক নিয়মে চলবে,ততদিন এই মেঘ ও তোমাকে পাগলের মতো ভালোবেসে যাবে।নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত এই ভালোবাসা কমবে না।”
নবনী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো।
লাঞ্চের সময় নবনী ক্যান্টিনে যেতেই দেখতে পেলো কর্ণারের টেবিলে ছোট একটা ঝটলা।৪-৫ জন মেয়ে মাথা এক করে হাসাহাসি করছে।
নবনী আশেপাশে তাকালো।সবাই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে।কেউ মনোযোগ দিয়ে খাবার খাচ্ছে,কেউ ফোনে কথা বলছে আর খাচ্ছে,আবার কেউ কেউ চ্যাটিং করছে।
কেউ-বা ফাইল নিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে,পাশে গরম কফির মগ ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে।
নবনী একটা স্যান্ডউইচ আর একটা কফি নিয়ে মাঝখানের টেবিলে বসলো।নবনী জানে সিসি ক্যামেরায় মেঘ নবনীর দিকে তাকিয়ে আছে। তাই সেভাবেই বসলো যাতে মেঘের দেখতে অসুবিধা না হয়।
আশেপাশে কোথাও তামিম অথবা নিতুকে দেখা যাচ্ছে না। নবনী কিছুটা চিন্তিত হলো।নিতু মেয়েটার জন্য নবনীর মনে কেমন একটা মায়া জন্মেছে।মেয়েটাকে দেখলেই মনে হয় যেনো নবনীর ভীষণ চেনা।নবনী আগে অবাক হতো খুব।যেই মেয়েটার জন্য তার সংসার ভেঙেছে সেই মেয়েটার সাথে সে কেমন নির্দ্বিধায় হেসে কথা বলছে।বস্তুত সবার চাইতে বেশি ভালো লাগছে তার সাথে কথা বলতে।
এখন অবশ্য নবনীর অবাক লাগে না।নবনী বিশ্বাস করে, তার জন্য উত্তম কিছু ছিলো বলেই আল্লাহ তামিমের জীবন থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন।
নয়তো কি নবনী কখনো এরকম পাগল করা ভালোবাসা পেতো?মেঘকে কখনো ভালোবাসতে পারতো?
ভালোবাসার এই অংশ তো নবনীর কাছে আজীবন অজানা থেকে যেতো।
খাবার শেষ করে নবনী বের হতে যেতেই শুনতে পেলো গোল হয়ে বসে থাকা সব ক’টা মেয়ে সমস্বরে হেসে উঠেছে। নবনী পিছনে ফিরে তাকালো।
দেখলো ওরা সবাই নবনীর দিকে তাকিয়ে কিছু বলছে আর হাসছে।
পাত্তা না দিয়ে নবনী চলে গেলো ক্যান্টিন থেকে।
অফিস ছুটির পর নবনী বাসের জন্য দাঁড়ালো। মেঘ এসে নবনীর পাশে দাঁড়ালো। নবনী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি এখানে কেনো?”
মেঘ হেসে বললো, “কি জানি,বুকের ভেতর কেমন আনচান করছে বারবার। তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে ভীষণ। তাই ছুটে এলাম।আজকাল নিজেকে আঠারো বছর বয়সী তরুণ মনে হয়, সদ্য যে ভালোবেসেছে কাউকে।”
নবনী আর কথা বাড়ালো না।লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। মেঘের এসব কথা নবনীকে রক্তিম করে তোলে। নবনীর নিজেকে খোলা ফসলের মাঠ মনে হয়, যেখানে বাতাস হয়ে মেঘ নবনীর সর্ব অঙ্গে শিহরণ তুলে যায়।কেঁপে কেঁপে উঠে নবনী তখন।
কিছুক্ষণ উসখুস করে মেঘ বললো, “নবনীতা, অফিস থেকে জাফলং ট্যুরে যাবে,আমাদের সিইওর এনিভার্সারি উপলক্ষ্য করে।
অফিসের সবার যেতে হবে।আমি ভীষণ খুশি হবো তুমি যদি আমার সাথে গাড়িতে করে যাও।”
নবনী হাসলো মেঘের কথা শুনে।জাফলং কেনো যাওয়া হচ্ছে তা শিমলার থেকে নবনী জেনেছে।মেঘকে সেসব না বলে নবনী বললো, “অন্য সবাই কিভাবে যাবে?”
মেঘ বললো, “বাস নেওয়া হবে সবার জন্য। ”
নবনী বললো, “অন্যরা যেভাবে যাবে আমি ও সেভাবেই যাবো।পার্সোনাল কোনো সুবিধা আমি চাই না।”
মেঘ আশাহত হলো কিছুটা। নবনী বললো, “আচ্ছা, ট্রেনে যাওয়া যায় না? আমার ট্রেনে চড়া হয় নি কখনো। ”
মেঘ বললো, “তুমি বললে তো আমি তোমার জন্য ফ্লাইটে যাবার ব্যবস্থা করতে ও রাজি, ট্রেন সেখানে কি আর ব্যাপার। ”
নবনী মেঘের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বললো, “এতো ভালোবাসা? ”
মেঘ দু পা এগিয়ে এসে বললো, “অনেক ভালোবাসা।”
নবনীর ভীষণ কাছে গিয়ে মেঘ দাঁড়ালো, জেন্টস পারফিউমের ঘ্রাণ নবনীর নাকে ভেসে এলো। কি মাতাল করা একটা স্নিগ্ধ ঘ্রাণ।নবনী পিছিয়ে গেলো দ্রুত।এই মাতাল করা ঘ্রাণ নবনীর সহ্য হচ্ছে না।
মেঘ মুচকি হেসে বললো, “ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে রাঙিয়ে দিতে চাই নবনী।”
————–
তামিম সারা দিনে আর বাসায় ফিরে নি।ফোন ও অন পায় নি নিতু তামিমের।এই পর্যন্ত প্রায় ৭৮ বার ট্রাই করেছে নিতু।বিষণ্ণ হয়ে নিতু নিজের রুমে ফ্লোরে বসে রইলো। নিতুর নিজেকে কেমন অচেনা বলে মনে হয়। একটা মানুষের ভালোবাসা পাবার জন্য সে এতো অস্থির হয়ে আছে ভাবতেই নিতুর কান্না পায়।
শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটার জন্য নিতু এতো উতলা হয়ে উঠেছে তা কি সেই মানুষটা কখনো জানতে পারবে?
সারাদিন নিতুর এভাবেই কেটেছে বুকের ভেতর দমবন্ধ করা যন্ত্রণা নিয়ে কাউকে বলতে পারে নি নিতু এই অসহ্য যন্ত্রণার কথা।
সন্ধ্যায় তাহেরা বেগম বাসার রুমে বসে নিতুকে ডাকলেন। তারপর কঠোর স্বরে বললেন, “কুরবানির ঈদ চলে এসেছে জানোই তো,তোমার বাবা মা’কে কি বলেছ গরু কেনার কথা? ”
নিতু অবাক হয়ে বললো, “আমার বাবা মা গরু কিনবে না-কি কিনবে না সেটা তাদের ব্যাপার। সেখানে আমি কথা বলতে যাবো কেনো?”
তাহেরা বেগম দাঁত কিড়মিড়িয়ে বললেন, “কেনো,তোমার বাবা মা জানে না মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে প্রথম কুরবানির ঈদে গরু পাঠানোর প্রচলন রয়েছে? এমনিতেও তো তোমার বাবা মা কোনো দায়িত্ব পালন করছে না।রমজানের ঈদে ইফতার আইটেম,সেমাই চিনি এসব কিছুই পাঠালো না,আমাদের সবার জন্য পোশাক ও পাঠালো না।এবার কুরবানির ঈদে গরু না পাঠালে ভীষণ খারাপ হবে।”
নিতু হেসে জিজ্ঞেস করলো, “এতো বছর বুঝি আপনারা রমজানে ইফতার না করে থাকতেন?নাকি আপনাদের বাসায় কখনো সেমাই আনা হয় নি,সেই সামর্থ্য আপনাদের নেই?অনেক সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আছে এখন,যারা মানুষকে এসব দিয়ে থাকে রমজানে,এতো অভাব হলে সেখান লাইনে দাঁড়ালেই পারতেন সবাই মিলে।
এত বছর কি আপনারা পোশাক পরতেন না ঈদের দিন, তাহলে আমার বাবার বাড়ি থেকে পোশাকের অপেক্ষায় থাকার মানে কি?
আর আমার বাবার বাড়ি থেকে পাঠানো গরু দিয়ে আপনার কুরবানি দিতে হবে কেনো?আপনার যদি সামর্থ্য না থাকে আপনি কুরবানি দিবেন না।এতো বছর কি আশেপাশের লোকজন আপনার জন্য গরু কিনে পাঠাতো না-কি? ”
তাহেরা বেগম অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন,”মুখে চ্যাটাংচ্যাটাং কথা বলা ছাড়া আর কি জানো?
বিয়ের পর মেয়ের বাড়িতে খাট, ফার্ণিচার,নানা জিনিসপত্র দেওয়া লাগে যে এসব কি জানে না তোমার বাবা মা।তোমার বাবা মা কি শুধু এটাই জানে কিভাবে মেয়েদের বেতনের টাকায় ভাগ বসাতে হয়?
ফকিন্নির ঘরের মেয়ে বউ করে আনার এই এক সমস্যা। এরা ক্লাস মেইনটেইন করে চলতে জানে না।”
নিতু মুচকি হেসে বললো, “আপনারা বুঝি এতোদিন ফুটপাতে ঘুমাতেন,তাই ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে ফার্নিচার দিয়ে ঘর সাজাবেন সেই আশায় বসে ছিলেন।আপনি এতো বছর সংসার করেও নিজের সংসার নিজের মন মতো সাজান নি কি ছেলেদের শ্বশুর বাড়ির আশায়?
তাহলে তো বলতে হয় আসলে ফকিন্নি আপনি নিজেই।যে অন্যের বাড়ির জিনিসপত্র আশা করে থাকে।আমার বাবা মা আমার উপার্জনের টাকা নেয়।আপনার বা আপনার ছেলের এক পয়সা ও সেখানে নেই।আমার টাকা আমার বাবা মায়ের জন্য সম্পূর্ণ বৈধ,তাদের হক আছে এই টাকায়।বরং আপনার কোনো অধিকার নেই আমার টাকায়,আমার বাবার বাড়ি থেকে ফার্নিচার আশা করার।”
সামিম পত্রিকায় মুখ গুঁজে হাসতে লাগলো নিতুর কথা শুনে। তাহেরা বেগম বলার মতো কথা খুঁজে না পেয়ে বললেন,”বেয়াদবের মতো মুখেমুখে তর্ক শিখেছ,সংসার করা তো শেখো নি।কেমন বউ হলে স্বামী দুই দিন, একরাত বাসায় ফিরে নি অথচ সে বেহায়ার মতো ৩ বেলা খাবার গিলছে।স্বামীর চিন্তা মাথায় নেই তার।আমার সাথে আবার তর্ক করতে বসেছে।”
নিতু বিরক্ত হয়ে বললো, “আপনার মতো আমি। যেমন মা হলে আপনি একটু আগে জানতে পারলেন আপনার ছেলে গতকাল সকালে বাসা থেকে বের হবার পর আর বাসায় আসে নি।আপনি মা হয়ে নির্বিকার থাকতে পারলে আমি বউ হয়ে কেনো পারবো না?বউ হয়েছি বলে কি সব দায় আমার একা’র? ”
তাহেরা বেগম লজ্জা পেলেন শুনে।মেয়ের বিয়ের উত্তেজনায় তার মনেই ছিলো না বড় ছেলের কথা।একটু আগে সামিম পত্রিকা পড়তে বসে তাকে জিজ্ঞেস করলো তামিম বাসায় নেই কেনো।তখন তিনি সামিমের থেকে জেনেছেন তামিম যে গত সন্ধ্যায় বাসায় আসে নি।
তিনি ভেবেছেন নিতু জানে না এটা তিনি যে একটু আগে এই খবর পেয়েছেন। এখন দেখতে পেলেন এই মেয়ে সব শুনেছে।এর কান খরগোশের কানের মতো মনে হয়।
তামিম বাসায় ফিরলো রাত সাড়ে ১০ টায়।
তামিমকে দেখে বাসার সকলে চমকে গেলো। নিতুর হাত থেকে পানির গ্লাস মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেলো।
চলবে……..?
রাজিয়া রহমান