#জলছবি
পার্ট_৩২
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া
.
নবনী আরমানের হাত ধরে বসে রইলো হসপিটালের কড়িডোরে। প্রচন্ড অস্থির হয়ে আছে। নোলকের জ্বরে নবনীর মারাক্তক ভয়। মেয়েটার জ্বর হলে ভয়ানক ভাবে হয়। প্রতিবারই হসপিটাল ভর্তি করাতে হয়। এক জ্বরে মাস কাটিয়ে দেয়। নবনীর শরীর হিম হয়ে আছে অজানা আতংকে।
আরমান বলল,”চিন্তা কোরো না। ঠিক হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।”
নবনী ভীত চোখে চাইল। নোলকের জ্বরের মাত্রা এতো বেশি ছিলো যে ভয় পেয়ে আরমানকে কল করেছিল নবনী। তারপর নোলককে হসপিটাল আনলো। আরমান যথাসম্ভব অভয় দিচ্ছে নবনীকে। কিন্তু আদরের বোনের এহেন অবস্থাতে কী অভয়ে শান্ত হয়?
ইশান আদ্রকে নিয়ে হসপিটাল এলো ভোর সকালে। আরমানের কল পেয়েই ছুটে আসে।
নোলকের জ্বরের প্রকোপ তখনও কমেনি একটুও।
ডক্টর কেবিনের ভেতর থাকায় সকলে বাহিরেই ছিল। ইশান নবনীকে জিজ্ঞেস করলো,
“কিভাবে কী হলো ভাবি?”
নবনী বলল,
“কাল কোথাও বেড়িয়েছিলো। বাড়ি ফিরলো বৃষ্টিতে ভিজে। বৃষ্টিতে ভিজলেই ওর জ্বর হয়। ও তো জানতো, তবুও কেন এমন ভিজেছে আমি কিছুই জানি না!”
ইশান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চাইলো আদ্র’র দিকে। এবং বুঝতেও পেরে গেলো আদ্র’র সাথে রাগ হয়েই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেছে নোলক। আদ্র’র প্রতি চাপা রাগ হলো ইশানের।
আদ্র তা বুঝতে পারলো না যদিও। সে চেয়ারে বসা ছিলো। কেমন উদভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছে। তেমন গরম নেই তবুও অনবরত ঘামছে। শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলো,
“জ্বর কী খুব বেশি?”
ইশান তিক্তিতা নিয়ে বলল,
“বোকার মতো কথা বলছিস কেন আদ্র? হসপিটাল কাউকে কখন আনা হয়? তুই কি দিন দিন বোকার স্বর্গে চলে যাচ্ছিস?”
আদ্র চুপ রইলো।
আরমান আদ্র’র কাছে বসে খুব নিচু কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“নোলককে তুই কিছু বলেছিস?”
আদ্র জিজ্ঞেস করলো,
“আমি ওকে কী বলবো? আমার তো ওকে কিছু বলার নাই।”
“আসলেই কিছু বলার নাই?”
আদ্র চুপ করে রইলো। কিছু জবাব না দিয়ে পাল্টা জিজ্ঞেস করলো,
“এসব কেন জিজ্ঞেস করছো আরমান ভাই?”
“না, এমনি। মনে হলো আর কি! কিছু মনে করিস না।” বলল আরমান।
তবে সত্যি হলো, নোলকের বিছানার পাশে আদ্রকে উদ্দেশ করে কিছু খাপছাড়া লেখা দেখা। আদ্র বিভ্রান্ত হবে ভেবে তা আর উল্লেখ করলো না।
ডক্টর বেড়িয়ে যাওয়ার পর আদ্র ইশানকে বলল,
“আমাকে একটু নোলকের পাশে নিয়ে যাবি, দোস্ত?”
ইশান তখনও রেগে। বলল,
“কী দরকার? কোনো দরকার নাই।”
আদ্র বলল,
“প্লিজ?”
আদ্রর প্রতি এতো রাগ শেষ কবে হয়েছিলো মনে করতে পারে না ইশান! ইশান একবার আদ্র’র দিকে তাকালো তারপর নিয়ে এলো।
আদ্রকে নোলকের পাশে বসিয়ে ইশান বেরিয়ে এলো। বেরোনোর সময় আরো একবার তাকালো। এখানে আসার কারণ কী আদ্র’র?
নার্স আদ্রকে বলল, “প্যাশেইন্টকে ডিস্টার্ব করা যাবে না একদমই।”
আদ্র বলল,”করবো না।”
“দু’মিনিট পর বেড়িয়ে আসবেন।” বলে নার্স বেড়িয়ে গেলো।
অনেক বেশি ঝাপসা দেখতে পাওয়া দৃষ্টি, প্রায় দেখতে না পাওয়ার মতোই। সেই দৃষ্টিতেই অনুধাবন করে হাত বাড়াতেই নোলকের হাতের সন্ধান পেলো। এই হাতে ক্যানোলা লাগানো নেই। এত গরম! আদ্র শিওরে উঠলো। কী ভীষণ ছোট লাগলো, নিজের কাছে নিজেকে! অমন বৃষ্টির মাঝে পাঠানো কী খুব প্রয়োজন ছিল? এত কেয়ারলেস!
মনটা খুব ভার হয়ে গেলো।
নোলকের হাতটা আলতো করে নিজের হাতে নিলো। তারপর নিজের গালে ঠেকালো। খুব করুন করে বলল,
“তোমার এত তেজ নোলক! তেজে পুরো শরীর জ্বালিয়ে দিচ্ছো, জ্বালিয়ে দিচ্ছো আমায়! এখন আমার কী হবে নোলক, এখন আমার কী হবে?
কেন কিচ্ছু বুঝতে চাওনা বলো? এত অবুঝ কেন তুমি, নোলক? চলে যেতে বললাম বলে বৃষ্টিতে ভিজে এতোটা পথ গেলে? এতো অভিমান, এতো রাগ? এমন কেন তুমি, নোলক? ঠিক এই কারণেই তোমায় আমি সায় দিতে পারি না! ভয় হয়!
আমার তেজস্বিনী! আই এম স্যরি! আই এম স্যরি! কষ্ট হচ্ছে, নোলক? আমারও কষ্ট হচ্ছে! একটু বকো তো প্লিজ! খুব করে বকে দাও।”
এরপর হাত ধরেই কিছুক্ষণ বসে রইল আদ্র। তারপর কি মনে এলো কে জানে! আদ্র নিজের অনুভূতির বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে এলো। চোখে, মাথায় প্রচুর যন্ত্রনা হতে লাগলো।
নিজেকে সামলে নিয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করেই কেবিন থেকে বেড়িয়ে এলো। ইশানকে বলল,
“আমি বাসায় চলে যাচ্ছি, তুই থাক।”
ইশান খুব অনুভব করলো আদ্রর অনুতাপ। এমনকি আদ্র’র নিজের অসুস্থতার পরও এমন নিস্তেজ হতে দেখেনি ইশান! রাগ এবার মায়ায় পরিনত হলো। বলল,
“চল।”
“তোর আসতে হবে না। আমি একা যেতে পারবো। তুই থাক এখানে।”
“ফাইজলামি করিস? চুপচাপ হাঁট!”
আদ্র আর কথা বাড়ায় না। তার কথা বলতে ভালো লাগছে না।
সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আদ্র আচমকাই বলে বসলো,
“আমার প্রতিবন্ধকতা আমার অনুভূতি মেরে ফেলেছে দোস্ত। আজ খুব আফসোস হচ্ছে, নিজের খামখেয়ালি নিয়ে। একটা অনিশ্চিত জিবনে আটকে আছি এখন, ওকে কী করে জড়াই? নোলক আমার লাইফে আরো আগে এলো না কেন বল তো? আর সহ্য হচ্ছে না কিছু!”
ইশান শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলে একজন অনুভূতি চেপে রাখার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হওয়া মানুষকে। এদিক দিয়ে নিজেকে ইশানের সফল মনে হলো!
.
কেটে গেলো পাঁচদিন। নোলকের অনেকখানি স্বাভাবিক হয়েছে তখন। ইশান দিন এবং রাতের সিংহভাগ-ই হসপিটালে ছিলো এই পাঁচদিন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেদিনের পর থেকে আদ্র আর হসপিটাল আসেনি! এমনকি ইশান কয়েকবার বলার পরও না। বাসায় যতক্ষণ থাকে ইশান পুরোটা সময়-ই নোলককে নিয়ে কথা বলে। আদ্র শুধু নিরব হয়ে শোনে। কোনো প্রতিক্রিয়া করে না, নোলকের কাছেও আর যায় না। শুধু কী যেন ভাবে। কী ভাবে?
আজ বাসায় ফিরবে নোলক। হসপিটাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। সকলে এসেছে, কিন্তু যাকে নোলক খোঁজে সে আসেনি। এই পাঁচদিনের একদিনও আদ্রকে দেখতে না পেয়ে খুব বেশি অনুভূতিতে আঘাত পায় নোলক। নিষ্প্রয়োজন মনে হয় নিজের অনুভূতিগুলোকে। অভিমানের জের ধরেই কাউকে জিজ্ঞেসও করেনা, করার প্রয়োজনও বোধ করে না। কিন্তু অভিমানের ঘটটা ঠিকই ক্রমশ পূর্ণ হতে থাকে। অস্বাভাবিক শান্ত হয়ে সকলের শাসন বারন শোনে। চোখ, মন টলমল করে!
নোলকে বাসায় নিয়ে আসা হয় বিকেলের দিকে। বাসায় তখন ফয়সাল, লুবনা, নিষাদ, সৃজন, শ্রেয়া সহ সাবাই উপস্থিত। আরমান খাবার-দাবার নিয়ে উপস্থিত হলো কিছুক্ষণ বাদেই। নবনীকে টেনে একপাশে নিয়ে আসে। নবনী বিরক্তি প্রকাশ করে বলে,
“হচ্ছেটা কী?”
আরমান সুন্দর হেসে বলে,
“কেমন আছো বউ?”
নবনী বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বলে,
“কী অদ্ভুত কথা! সরুন তো, অনেক কাজ আছে!”
আরমান ব্যাথিত হওয়ার মতন করে বলে,
“সবসময় এমন দূরদূর কেন করো বলো তো? মাঝে-মধ্যে একটু ভালোটালোও তো বাসতে পারো না-কি?”
“আপনি কী পাগল হলেন?”
আরমান একগাল হেসে সহজ সিকারক্তির মতো করে বলল,
“পুরোনো পাগল আবার নতুন করে কী পাগল হবে? সেই কবেই তো পাগল করে ছেড়ে দিলা! মাঝে-মধ্যে একটু দয়া-মায়া দেখাতে তো পারো এই পাগটার প্রতি! কী নিষ্ঠুর বউ তুমি, নবনী!”
নবনী মিষ্টি করে হাসলো। তারপর ‘ধুর’ বলে আরমানকে ঠেলে চলে এলো। আরমান নিজের জায়গাতে দাঁড়িয়েই মৃদুমন্দ হাসে।
সবাই ভীষণ ফুরফুরা মেজাজে আছে। নোলকের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সকলের চিন্তা কমলো বৈকি।
নোলক অসুস্থ হওয়ার দুদিন আগেই ফয়সাল রিলিজ পেয়েছিলো হসপিটাল থেকে। তাকে ডক্টর অনেক রেস্ট্রিকশন দিলেও সে সেসবের ধার ধারছে বলে বোধ হচ্ছে না। এতো নিয়ম মানা ছেলে তো সে নয়। ঠিক আগের মতোই বহাল-তবিয়তে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। যদিও পেটে মাঝে-মধ্যে ব্যাথা অনুভব করে। প্রকাশ করে না অবশ্য।
নোলক চুপ করে শুয়ে রইল আর সকলে তার আশেপাশে নানান কথার ঝুলি খুলে বসলো। নিষাদ বলল,
“ভাইরে ভাই! তোরা যেমনে সিরিয়াল ধরে অঘটন ঘটিয়ে হসপিটাল দখল করছিস, চিন্তায় আছি এরপর কার সিরিয়াল!”
সৃজন বলল,
“মিঙ্গেল কমিটি চিন্তায় থাক, আর আমার মতো সিঙ্গেল কমিটির সদস্যদের নো চিন্তা ডু ফুর্তি।” বলেই পৈচাশিক হাসি দিলো।
শ্রেয়া মুখ বাঁকিয়ে বলল,”এহহ! আসছে আমাদের মহান মানব! সবাই তারে দুই টাকার লজেন্স দাও!”
সৃজন বলল,”দেখ বালিকা? শান্তিতে আছো, শান্তিতে থাকো। উল্টা-পাল্টা কথা কহিয়া, অশান্তি তৈয়ার করিবে না। নচেৎ আমার হস্তের থাবড়া খাইয়া তোমার মগা বয়ফ্রেন্ডের কাছে গিয়া পড়িবা। মগায় কী আর তোমারে বাঁচাইতে পারবো?”
শ্রেয়া রেগে গিয়ে বলল,
“ও’কে টানছিস ক্যান, আজব!”
সৃজন ব্যাঙ্গ করে বলল,
“ওরে আমার ‘ও-কে’!”
সবাই কলকল ধ্বনিতে হেসে উঠলেও নোলক তখনও নির্লিপ্ত। ফয়সাল লক্ষ্য করে বিষয়টা। কিন্তু কিছু বলে না। অসুস্থ বলেই আপাতত এড়িয়ে যায়।
সন্ধ্যার আগে আগে সবাই যে যার বাড়ি আর হোস্টেলের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়। লুবনা আর ফয়সাল বের হয় সবার শেষে। ফয়সাল লুবনাকে চিনেই না টাইপ ভাব করে রিকশা থামিয়ে নিজে একাই উঠে পড়ে। লুবনা প্রথমে মনঃক্ষুণ্ণ হলেও পরে স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজেও উঠে বসে। ফয়সাল বিরক্তি প্রকাশ করে বলে,
“ইশশ! মটু! নাম বলছি, নাম।”
লুবনা কপাল কুঁচকে বলে,
“পারবো না। তোর নামকরা রিকশা নাকি?”
“লাত্থি মাইরা ফালামু, নাম কইছি। ভালো কথা কানে যায় না? চটকনা না খাইতে চাইলে নাম।”
লুবনার রাগ লাগে। ‘বেয়াদপ’ বলে নেমে যেতে চাইলে ফয়সাল টেনে ধরে বসায়। লুবনা বসে অবাক হয়ে চায়। ফয়সাল কিছু হয়নি টাইপ ভাব করে রিকশাওয়ালাকে বলে,
“মামা চলেন।”
রিকশা চলতে শুরু করে। ফয়সাল লুবনার ‘ওর দিকে তাকিয়ে থাকা’ দৃষ্টিতে দৃষ্টিপাত করে বলে,
“তোরে জাস্ট মেরে ফেলতে মন চায়। কেন এতো জ্বালাস বল তো?”
“আমি তোরে জ্বালাই?”
“হুম।”
লুবনা মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফয়সাল সেই মুখে চেয়ে মিটিমিটি হাসে। লুবনার কাধ অব্দি ছড়িয়ে থাকা লালচে ছন্নছাড়া চুলগুলো উড়ে এসে ফয়সালের মুখে পড়ে।
ফয়সাল লুবনাকে আরো রাগাতেই বলে,
“এহ! গরুর লেজের মতো চুল, আর হনুমানের মতো মুখ। কি বিচ্ছিরি দেখাচ্ছেরে তোরে!”
লুবনা টলমলে দৃষ্টিতে ফয়সালের দিকে চাইলো তারপর মুখ ফিরিয়ে রিকশাওয়ালাকে বলল,
“এই মামা রিকশা থামান, আমি নেমে যাব।”
ফয়সাল পাল্টা বলে,
“এই মামা, থামাবা না।”
লুবনা রাগে কড়মর করে বলে,
“এই মামা? না থামালে কিন্তু আমি চলন্ত রিকশা থেকে লাফ দিব, বলে দিলাম।”
“এই মামা? থামালে কিন্তু আমি লাফ দিবো।” ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি ফয়সালের।
রিকশাওয়ালা বিপাকে পড়ে রিকশা থামিয়ে বলল,
“আপনেরা আমার ভাড়া দিয়া নাইম্মা যান। হেরপর ঝগড়া বিবাদ যা করন লাগে করেন।”
লুবনা নেমে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে।
ফয়সাল ভাড়া মিটিয়ে দৌঁড়ে গিয়ে লুবনার হাত ধরে কাছে টেনে আনে। তারপর বলে,
“কী ড্রামা করতে পারিস রে তুই! তুই তো ড্রামাতে ন্যাশনাল এওয়ার্ড ডিজার্ভ করিস।”
“ছাড় বলছি, ছাড় ফলতু।”
ফয়সাল এবার লুবনাকে শক্ত করে ধরে বলে,
“একটা থাপ্পড় দিয়ে ‘ছাড়াছাড়ি’ অফ করে দিবো, ফাজিল। একদম রাগ দেখাবি না আমার সাথে। কী বিচ্ছিরি দেখায় জানিস?”
“হু।”
ফয়সাল হেসে ফেলে বলে,
“শোন? তোর বড়লোক বাপ আর ভাই যেন খোঁটা দিতে না পারে, নিজেকে সেই পজিশনে নিব আগে, ইনশাআল্লাহ। তারপর তোরেই বিয়ে করমু। ওয়েট করতে পারবি ততদিন?”
লুবনা মুখ তুলে চায়। কী অদ্ভুত তৃপ্তি সারা মুখজুরে! ‘চোখে জল, মুখে হাসি’ টাইপ মুখ করে খুব দ্রুত মাথা নাড়ল। ছোট্ট করে বলল,
“হু।”
ফয়সাল লুবনার হাত ছেড়ে দিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলে,
“ভালোবাসি না কিন্তু।”
লুবনা মিষ্টি করে হেসে বলে,
“আমিও বাসি না! তুই একটা বেয়াদপ। বেয়াদপকে ভালোবাসতে নেই।”
ফয়সাল লুবনার মাথায় চাটি মেরে বলে,
“তুই তো হুনুমান। লাফাতে লাফাতে রিকশা থেকে নেমে গেলি, এখন রিকশা না পেলে তোর খবর আছে!”
লুবনা হাসলো বিপরীতে। কী দুচ্ছাই টাইপ ব্যবহার ছেলেটার! তবুও এতো ভালো কেন লাগে, কে জানে!…..(চলবে)
(গল্পের সমাপ্তি সন্নিকটে।)