#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_১২
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
জেরিন বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর শুরু করে দেয়।
জেরিনে বাবা আফজাল সাহেব ভাংচুরের শব্দ পেতেই মেয়ের রুমে চলে আসলেন।
জেরিনকে বুকে চেপে ধরে,,,,,,, কি হলো আম্মুটার হঠাৎ ভাংচুর করছো যে।কেউ তোমায় কিছু বলেছে।শুধু একবার তার নামটা বলো আম্মু। তাকে একমাসের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবো।
জেরিন বাবার বুকে কান্না করতে করতে,,,,,, বাবা আমি ফাহাদ কে চাই।ওকে আমার কাছে এনে দাও।ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
আজকে ফাহাদকে একটা গাইয়া টাইপের মেয়ের কোমর জড়িয়ে ধরতে দেখেছি। ওই মেয়েকে আমি শাস্তি দিতে চাই। যেন আমার ফাহাদের দিকে আর ফিরে ও না তাকায়।
আফজাল সাহেবঃ ঠিক আছে আম্মু। তোমার কথামতো তাই করা হবে। তুমি এখন শান্ত হও।
জেরিন বাবাকে জড়িয়ে ধরে,,,,,, লাভ ইউ বাবা।
ওনি মুচকি হেসে রুম থেকে চলে গেলেন।।
★
ঝিনুক ফেইসবুক স্ক্রোল করছে। এমন সময় অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো।
ফোন রিসিভ করতেই…….
হ্যা…….লো সুন্দরী।
ঝিনুকের বুঝতে বাকি রইলো না কার ফোন।
ঝিনুকঃ আপনি আমার ফোন নাম্বার পর্যন্ত চলে গেলেন।সাহস তো কম না।
রওশানঃ আহ্ সুন্দরী রাগ করছো কেন।ফোন নাম্বার পাওয়া তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়।
ঝিনুকঃ আপনার আর কাজ নেই বসে বসে মেয়েদের ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করা ছাড়া।।
রওশানঃ সুন্দরী তোমায় কি তোমার মা কোনোদিন মধু খাওয়ায় নাই।সবসময় এমন মরিচের মতো কথা বলো কেন।একটু মিষ্টি করে কথা বলতে পার না।
ঝিনুকঃ আমি মিষ্টি করে কথা বলতে পারি না।
রওশানঃ ধানিলংকা সুন্দরী।
ঝিনুকঃ খুব খারাপ হবে যদি আবার আমায় ধানিলংকা বলতে শুনেছি।
রওশানঃ ধানিলংকা…… ধানিলংকা…… ধা……
ঝিনুক রেগে ফোন কেটে দিল…….।।।
রওশানঃ যাহ্ বাবা ফোন কেটে দিলো।
ঝিনুকঃ এই অসভ্য ছেলেটা ভার্সিটিতেও শান্তিতে থাকতে দেয় না।এখন আবার ফোন নাম্বার…… ধ্যাত কোনদিন জানি পাগলা গারদে যেতে হয় আল্লাহ ই ভালো জানে।
★
রওশান মোবাইল বুকে চেপে শুয়ে…….আহ কি শান্তি লাগছে সুন্দরীর সাথে কথা বলে।
মনটা একদম ফুরফুরে লাগছে।
এমন সময় ওর মোবাইল বেজে উঠল,,,,,,
ধ্যাত এখন আবার কে ফোন করলো।
লারা কেন ফোন করলো আবার এর ড্রামা সহ্য করতে হবে।
ফোন রিসিভ করতেই……..রওশান তোর ঝিনুকের সাথে কিসের এত মাখামাখি ।
রওশানঃ তোর সমস্যাটা কোথায় আমায় বল।তোর জন্য কি আমার কারো সাথে কথা বলা যাবেনা নাকি।
লারাঃ না কথা বলা যাবে না।তুই শুধু আমার।আর আমার সাথেই কথা বলবি।
রওশানঃ পাগল তুই। কি বলছিস এইসব আমি তোর মানে তুই কি বুঝাতে চাইছিস।
লারাঃআই….লাভ…..ইউ..রওশান..।।
রওশানঃ পাগল হয়ে গেছিস তুই লারা। আমি তোকে কোনোদিন ওই চোখে দেখি নাই।আমি শুধু তোকে বন্ধুর নজরে দেখি। দয়া করে এইসব পাগলামি বন্ধ কর।
লারাঃ তাহলে কি তুই গাইয়া মেয়েকে ভালোবাসিস।
রওশানঃ ওর একটা নাম আছে। ঝিনুক।। আর ওকে তোর কোন দিক দিয়ে গাইয়া মনে হয়। ওর সম্পর্কে একটাও বাজে কথা বলবি না।
ফোন কেটে দিল রওশান।
লারা কান্না করতে করতে রুমের সব জিনিসপএ ভাংচুর করতে থাকে।
লারাঃ আমি তোকে ছাড়বো না ঝিনুক। কালই তোর শেষ দিন।আমার থেকে রওশানকে তুই কেড়ে নিলি।এত বড় কলিজা তোর। তোকে আমি অনেক কষ্টদায়ক মৃত্যু দিবো।
★
লাবিবা জাহিদের ছবি বুকে নিয়ে শুয়ে আছে।
লাবিবা জাহিদের ছবিটি মুখের সামনে এনে কপালে একটা চুমু খেলো।
লাবিবাঃ কবে বুঝবি তুই জাহিদ। আমি তোকে পাগলের মতো ভালোবাসি।তোকে ছাড়া আমি বাঁচব না।আর না তোকে অন্য কারোর সাথে সহ্য করতে পারবো।অন্য কারোর সাথে দেখার আগে আল্লাহ যেন আমার মৃত্যু দেয়।
তখনি কলিং বেল বেজে উঠল……
লাবিবা
ভীষণ বিরক্ত হলো….. এখনই কারোর আসতে হলো।
লারা দরজা খুলতেই সারপ্রাইজইড হয়ে গেল।
লাবিবাঃ জাহিদ তুই।
জাহিদঃ হ্যাঁ আমি। কেন আসতে বারন নাকি।
লাবিবা লজ্জামিশ্রিত মুখে জবাব দিলো……..না সমস্যা হবে কেন।তুই যখন ইচ্ছে আসতে পারিস।
জাহিদঃ বাহিরেই দাঁড় করিয়ে রাখবি।ভিতরে যেতে দিবি না।
লাবিবা দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়ালো।
আর জাহিদ আরাম করে সোফায় বসলো।
জাহিদঃ আমাকে এক কাপ কফি করে দেতো।
লাবিবা লক্ষি মেয়ের মতো কপি এনে দিলো।
লাবিবাঃ কেমন হয়েছে।
জাহিদঃ ভালো।
লাবিবা মন খারাপ করে….. শুধু ভালো।
জাহিদ কফির মগটা টি-টেবিলে রেখে লাবিবার হাত ধরে একটানে নিজের কোলে বসিয়ে দিল।
লাবিবা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ঠোঁট কামড়াঁ কামড়িঁ করছে।
আর জিহাদ সেই লজ্জা মিশ্রিত চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ করেই জাহিদ লাবিবার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।
লাবিবা অপ্রস্তুত হয়ে পরলো।জাহিদ যে এমন কিছু করবে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।
জাহিদের তো হুস নেই সে তো তার মায়াবিনীর ঠোঁটেই ব্যাস্ত।
জাহিদ লাবিবার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে দুই গালে হাত রেখে.নেশালো কন্ঠে বললো ……..🌺ভালোবাসি মায়াবিনী🌺।।
লাবিবা যেন তার দুকানকে বিশ্বাস করতে পারছে না ঠিক শুনেছি তো।
লাবিবাঃ তু…..তুই মজা করছিস তাই না।
জাহিদ লাবিবার কপালে অধর চুইয়ে দিয়ে,,,,,,, আমি সত্যিই বলছি…….🌺ভালোবাসি মায়াবিনী🌺………।।
লাবিবা জাহিদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে…… আমি ও তোকে 🌺ভালোবাসি জাহিদ🌺। যেদিন প্রথম তোকে দেখেছিলাম সেদিন থেকেই তোকে……
জাহিদঃ হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবেনা। এখন কান্না থামান মেম।।
আর হে এখন থেকে তুমি করে বলবে। অন্য কিছু বললে খবর করে ছাড়ব তোমায়।…..
লাবিবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে……🌺 পাগলি একটা🌺…..।।।
[অবশেষে এক জুটির মিল করিয়ে দিলাম]
চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]