‘সুদর্শন শঙ্খচিল’
[২৯]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
গতরাতে ইচ্ছের আব্বু বাসায় এসেছেন। মূলত ইচ্ছেদের
সিলেটে নিয়ে যাওয়া জন্য উনার এই আগমন। যদিও ওদের যাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু হুট করে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে। রনিতের সাহায্য নিয়ে উনাদের গোছগাছও প্রায় শেষ। ইচ্ছের ওর আব্বুকে পেয়ে রুম থেকে আর বের হয়নি। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে, ইচ্ছে ওর আব্বুকে খুঁচিয়ে উঠাল। তার বায়না সে এখন ঘুরতে বের হবে। মেয়ের জেদের কাছে হার মেনে ইচ্ছের আব্বু ইচ্ছেকে নিয়ে বের হল। ইচ্ছে ওর বাবার আঙ্গুল ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটছে। সাথে তোতাপাখি মতো কথার ফুলঝুঁড়ি তো আছেই। ইচ্ছের আব্বু মেয়ের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসলেন। দুই বছর আগে, ইচ্ছের আব্বু আম্মু পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। দুই পরিবারের কেউ আজও তাদের মেনে নেয়নি। আর না কারো সঙ্গে উনাদের যোগাযোগ হয়েছে। এখন মেয়েটাই উনাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। মেয়েকে নিয়ে উনারা বেশ সুখে আছেন। ইচ্ছে হঠাৎ হাঁটতে হাঁটতে একটা ডোবার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। তারপর আঙ্গুল দিয়ে একটা ব্যাঙ দেখিয়ে বলল,”বাবা, ব্যাংগেল মা বাবা আল বুন্দু আচে?”
ইচ্ছের আব্বু হেসে বললেন, “হুম আছে! ওর বাবা মা আর বন্ধু বাসায় ঘুমাচ্ছে।” ইচ্ছে বড়দের মতো মাথা নাড়িয়ে আবার হাঁটতে লাগল। একটুপরে, আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বলল,”বাবা, আমলা পাকির মতো আকাশে উলব।” ইচ্ছের বাবা মেয়ের কথার উত্তর খুঁজতে লাগলেন। তখন একটা কুকুর ছানা ঘেউ ঘেউ করে উঠল। ইচ্ছে,”বাবা পালাও” বলে বাসার দিকে দৌড়াতে লাগল। ইচ্ছের আব্বুর মেয়েকে কোলে তুলে দৌড়ে বাসায় ঢুকে গেল। কুকুর ছানাটা ওদের পিছু নিয়ে দৌড়ে এসে গেট বন্ধ দেখে ঘুরে চলে গেল।
সকাল আটটায় বাস। তাই সাড়ে সাতটায় ইচ্ছেরা রেডি হয়ে নিল। উনারা তুরাগ এবং প্রত্যয়দের থেকে বিদায় নিতে গেল। সবার সঙ্গে দেখা হলেও প্রত্যয়ের সঙ্গে ইচ্ছের দেখা হল না। প্রিয়ম ইচ্ছেকে কোলে নিয়ে আদর করে উপহার দিল। এই তোতাপাখিটা চলে যাবে, তাই সবার মন খারাপ। তুয়া ছলছল চোখে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে বলল,”আবার বেড়াতে আসবি তো ?” ইচ্ছে ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল। তারপর ইচ্ছে সবার দিকে তাকিয়ে বলল,”প্রত্তুয় কুথায়? আমার সাতে কথা বলবে না?” প্রত্যয়ের আব্বু ইচ্ছেকে কোলে নিয়ে এক হাজারের টাকার নোট দিয়ে বললেন,”ইচ্ছেবুড়ি, প্রত্যয় তো বাসায় নেই। হসপিটালে জুরুরী কাজে আটঁকে গেছে।” ইচ্ছে টাকাটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে বলল,”আচ্ছা।” তারপর ওরা রনিত পলকসহ সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। এই তোতাপাখিটার সাথে ওদের দেখা হবে কি না? কারো জানা নেই। প্রিয়ম বেলকনিতে এসে ইচ্ছেদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। দুষ্টুটা এসে আর বলবেনা,”কানাচুর দাও, তুমি খালাপ প্যালা প্রিউুম।”
তুয়ারা সবাই একসঙ্গে সকালের নাস্তা করতে বসেছে। আজকে ওরাও বসুন্ধরার ফ্ল্যাটে চলে যাবে। প্রত্যয়ের সময় নেই। তাই ওরা সবাই গোছগাছ করে নিয়েছে। পরে এসে বাকি জিনিসগুলো নিয়ে যাবে। আটটার দিকে প্রিয়মের ফোনে কল আসল, তখন সে খাচ্ছিল। প্রিয়ম রুমে গিয়ে কল রিসিভ করলে জামিল বলল,”ছোট ভাই দ্রুত হসপিটালে চলে এসো, একটা সমস্যা হয়ে গেছে।” প্রিয়ম আংকিত কন্ঠে বলল,”ভা ভাইয়া ঠিক আছে?” জামিল কথা না বাড়িয়ে প্রিয়মকে আসতে বলে কল কাটল। প্রিয়ম হাত ধুয়ে বাইকের চাবি নিয়ে বের হচ্ছিল। তখন ওর আব্বু বললেন, “এখন কোথায় যাচ্ছ? একটুপর, আমাদের তো বের হতে হবে তো।” প্রিয়ম যেতে যেতে,”আব্বু তুমি সবাইকে নিয়ে যাও, আমি পরে আসছি।” বলে দৌড়ে নেমে বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল।
রনিত পলককে সাবধানে থাকতে বলে অফিসে চলে গেল। পলককে একা বাসায় রাখা ঠিক হবেনা, এজন্য বাচ্চার কথা সবাইকে জানিয়েছে। আর পলকের মাকে এখানে থাকার কথা বলেছে। কালকে বিকালে রনিত পাঁকা টমেটো এনেছে। কারন পলক বিটলবণ দিয়ে টমেটো খেতে বেশ পছন্দ করে। পলক পুরো রুম হেঁটে হেঁটে টমেটো খাচ্ছিল। তখন রনিত ওর ফোনে কল দিল। হঠাৎ পলকের হাত ফসকে টমেটো টা পরে গেল। পলক বিরক্ত হয়ে টমেটো না তুলে আগে রনিতের কল রিসিভ করল। পাঁচ মিনিট কথা বলে, পলক ফোনের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে গিয়ে টমেটোর উপরের পা ফেলল। টাইলস্ করা মেঝেতে পা পিছলে পরার সময় ধরার কিছু পেল না। ফলস্বরূপ মেঝেতে আঁছড়ে পরে, ‘ওহ মা’ বলে চিৎকার করে উঠল।
পলক প্রচন্ড ব্যথায় পেট চেপে ধরে ছটফট করতে লাগল। ফোনটা দূরে ছিঁটকে পরাতে হাত বাড়িয়ে ফোনের নাগাল সে পেল না। পেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পলকের ব্লেডিং শুরু হল। প্রায় দুই ঘন্টা পর, রনিত পলকের আর খোঁজ পাচ্ছে না। সে অনবরত ফোন দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু ফোন সুইচ অফ দেখাচ্ছে। ইচ্ছেরাও নেই, যে পলকের কাছে পাঠিয়ে খবর নিবে। রনিত ব্যাপারটা অফিসে জানিয়ে বাসার পথে রওনা দিল।
প্রিয়ম হসপিটালে পৌঁছে বাইক রেখে দৌড়ে ভেতরে প্রবেশ করল। তারপর জামিলের কাছে গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,”জামিল ভাই আমার ভাইয়া কোথায়? ভাইয়া ঠিক আছে?” জামিল প্রিয়মকে হাঁপাতে দেখে প্রত্যয়ের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে বসাল। তারপর বলল,” হসপিটালে একটা সমস্যা হয়েছে। কালকে রাতে একটা ছেলেকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল। ছেলেটা হার্টের পেশেন্ট ছিল। ডক্টর আহমদ ওটিতে ছিল আর ডক্টর সাফাত ছিল ছুটিতে। তাই জরুরী ভাবে প্রত্যয় স্যারকে ডাকা হয়েছিল। প্রত্যয় স্যার এসে ছেলেটার চিকিৎসা শুরু করে। ছেলেটা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়াতে ওর অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছিল। ওটিতে নেওয়ার আগে, নিয়ম অনুযায়ী নার্সরা ওর শরীরের থাকা তাবিজ/মাদুলী খুলে ফেলেছিল। গ্রামের মানুষ জ্বিন ভূতের কারবার ভেবেছিল। তাই এতোদিন ছেলেটার চিকিৎসা না করে কবিরাজ দেখিয়েছে। কবিরাজ টাকা খেয়ে একাধিক মাদুলী দিয়েছে। ছেলেটার শরীরে বাহু, গলা, আর কোমরে মোট আটটা মাদুলী ছিল। মাদুলী খুলে বাড়ির লোকের হাতে দেওয়া হয়েছে। ছেলেটার হার্ট ব্লক হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে এসে চিকিৎসার কাজে লাগেনি। ফলে সারারাত মৃত্যু সঙ্গে লড়াই করে, আজ সকালে মারা গেল। প্রত্যয় স্যার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে উনারও কিছু করার ছিল না। কিন্তু এখন ছেলেটার বাড়ির লোক ঝামেলা শুরু করেছে। তারা বলছে, মাদুলী খুলে ফেলাতে ছেলেটা মারা গেল। এখন সব দোষ প্রত্যয় স্যারের, স্যার নাকি সঠিক চিকিৎসা করেনি।” প্রিয়ম সবটা শুনে বলল, “ভাইয়া কোথায়?” জামিল বলল,”ওটিতে আছে, তিন ঘন্টার আগে বের হবেনা। ওই ছেলের বাড়ির লোকও ওটির বাইরে আছে।” প্রিয়ম জামিলকে নিয়ে ওটির কাছে গেল।
রনিত দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে থমকে দাঁড়িয়ে গেল। পলক সেন্সলেস হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। রনিত দ্রুত পলককে কোলে তুলে হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল। রনিত পলককে প্রত্যয়ের হসপিটালে হসপিটালের ভর্তি করল। কিন্তু
প্রত্যয়ের খোঁজ করে রনিত পেল না। হঠাৎ প্রিয়মকে দেখে রনিত ওকে সবটা জানাল। প্রিয়ম রিসিপশনে বলে দিল বেস্ট চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। প্রিয়মের হুকুম পেয়ে নার্স আর ডক্টর মিলে দ্রুত পলকের চিকিৎসা শুরু করল। কিন্তু পলকের মিসক্যারেজ এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জটিলতা দেখা দিল। পলকের শরীরে রক্ত কম। তার উপরে অপরিপক্ব বয়স, গর্ভধারণ, আবার মিসক্যারেজ। সব মিলিয়ে পলক মৃত্যু সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে।
তারপর প্রিয়ম ওটির কাছে গিয়ে দাঁড়াল। ওই ছেলের মা কাঁদছে আর প্রত্যয়কে অভিশাপ দিয়ে বলছে,”ওই ডাক্তারের মায়ের বুক খালি হোক। ওই ডাক্তার আমার বুক খালি করল রে। ওই ডাক্তার যেন জ্বলে পুরে মরুক রে।” প্রিয়ম উনার কাছে গিয়ে বলল,”এক মা হয়ে আরেক মাকে এই অভিশাপ দিচ্ছেন? এই বিবেক আপনার?” হঠাৎ একটা ছেলে প্রিয়মের কলার ধরে বিশ্রী গালি দিয়ে বলল,”**** পোলা হিরো সাজতে এসেছিস? যা ভাগ এখান থেকে।”
প্রিয়ম ছেলেটার নাক বরাবর স্বজোরে ঘুষি বসিয়ে দিল। জামিল কোনোরকম পরিবেশ সামলে প্রিয়মকে নিয়ে বাইরে গেল। ওইদিকে রনিত পাগল হয়ে গেছে। সে রক্ত যোগাড় করতে পারছেনা। প্রিয়ম শুনে ওর বন্ধুদের ডাকল। রনিত বাড়ির লোকরাও শুনে চলে আসল। এদিকে পলকের শরীর রক্ত শূন্য হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। ওর শরীরে রক্ত নিচ্ছে না। রনিত লোকলজ্জা ভুলে শব্দ করে কাঁদতে লাগল। একটু পরে ডক্টর এসে জানাল,”পেশেন্ট রেসপন্স করছেনা, সরি।”
রনিত কথাটা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল। অনাকাঙ্ক্ষিত কথাটা শুনে যেন ওর মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিল। রনিত এই খবরটা নিতে পারল না, সেন্স হারিয়ে ফেলল। আর অপরিপক্ব বয়সে বিয়ে, বাচ্চা, অসাবধানতা পলককের প্রাণটা গেল। বাস্তবতার কড়াঘাত বড়ই নিষ্ঠুর। তবুও আমরা মানতে বাধ্য। কারন জীবন কারো গড়া নিয়মে জীবনে চলে না। জীবন চলে বাস্তবতার কড়াঘাতে পৃষ্ঠ হতে হতে।
(এমনটা না করলেও পারতাম, জানি তাও করতে হলো। এখন কেউ যদি বলেন আর গল্পটা আর পড়বেন না। তাহলে বলব, এটা আপনাদের ব্যাপার। গল্পের মূল থিম আনার জন্য এমনটা করতে বাধ্য হয়েছি।)
দুই ঘন্টা পর প্রত্যয় ওটি থেকে বের হল। ওই ছেলেটা প্রত্যয়কে দেখে বলল,”তুই আমার বোনকে বিধবা করেছিস। তোর নামে আমি কেস করব।”প্রত্যয় নার্সকে ডেকে একটা কাগজ নিয়ে ওদের দেখিয়ে বলল,”এই পেপারে আপনারা সাইন করেছিলেন। এই সাইন মানে, পেশেন্টের কিছু হলে ডক্টর বা হসপিটাল কর্তৃপক্ষ কেউ দায়ী নয়। তাহলে এখন ঝামেলা করছেন কেন?” তখন একজন মহিলা তেড়ে এসে বললেন,”দু’অক্ষর শিখে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। আমরা কিছু বুঝিনা, আমরা কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি?” প্রিয়ম রেগে দূরে দাঁড়িয়ে বলল,”ঘাসে মুখ দেন অথবা গোবরে, এটা আমাদের দেখার বিষয় না। ফাউল কাহিনী না করে বিদায় হন।”
মৃত ছেলেটার মা কাঁদতে কাঁদতে বলল,”বাবা রে, তুমি ক্যান মাদুলীডা খুইল্লা ফেলাইলা রে। কবিরাজ কইছিল ওডা না খুলতে রে।” প্রত্যয় উনার সামনে বসে সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন,”আন্টি, চিকিৎসা সময় এসব এলাও করা হয় না। হার্টের চিকিৎসাতে বৈদ্যুতিক যত্নপাতি ব্যবহার করা হয়। এসব থাকলে অনেক সময় দূর্ঘটনা ঘটে। তাই নিয়ম অনুযায়ী খুলতে হয়, আর মৃত্যু তো স্বয়ং আল্লাহর হাতে।”
প্রত্যয়ের কথাটাতে পরিবেশ শান্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই মার খাওয়া ছেলেটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলল,” মিষ্টি কথায় মন ভোলানো হচ্ছে? তুই আমার বোনকে বিধবা করেছিস। এখন তোকে আমার বোনের সব দায়িত্ব নিতে হবে।” ছেলেটার কথাটা বলতে দেরী, কিন্তু প্রিয়মের লাথি দিতে দেরী করেনি। সে পর পর তিনটে ঘুষি আর একটা লাথি দিয়ে বলল, “ভেবেছিস, তোর থার্ড ক্লাস কথা মেনে নিব। বোনের দায়িত্ব নেওয়ার ভয়ে এখন ডক্টরের ফাঁসাচ্ছিস। মনে করেছিস কিছু বুঝিনা।”
প্রিয়ম কথাটা ভুল বলেনি। এটাই ছিল তাদের ঝামেলা সৃষ্টির মূল কারণ। আর এখানকার কেউ এদের উষ্কেছে। এবং বুঝিয়েছে, বোনকে প্রত্যয়ের ঘাড়ে গছালে রাজা আর রাজত্ব দু’টোই তাদের। বোকা লোকগুলো উষ্কানিমূলক কথা শুনে তাই করছিল। কিন্তু মধ্যেখানে ধরা খেয়ে গেল।প্রত্যয় প্রিয়মকে থামিয়ে ওর চেম্বারে নিয়ে গেল।
আর প্রিয়ম যাওয়ার আগে ছেলেটাকে বলে গেল,”চেচাঁমেচি বাইরে গিয়ে কর, বাস্টার্ড। নয়তো তোদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিব।”
To be continue……!!
( আবেগ দিয়ে নয়,মস্তিষ্ক দিয়ে বুঝে গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইল।)