অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু #written_by_Nurzahan_Akter_Allo #part_05

0
835

#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#part_05

–” ইংলিশে স্টার বাংলাতে যার মানে হলো
তারকা/নক্ষত্র। তাই স্টার অর্থাৎ নক্ষত্রের মাঝেই তোমার খোঁপার সৌন্দর্যটা আবদ্ধ করে দিলাম।” (মুচকি হেসে)

তিতিক্ষার এবার যায় যায় অবস্থা। নক্ষত্র তিতিক্ষার লজ্জায় রাঙা মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে।তিতিক্ষা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।মৃদু বাতাসে তিতিক্ষা সামনের চুল গুলো মাঝে মাঝে নড়ে উঠছে।
নক্ষত্র আশে পাশে একটা বার চোখ বুলিয়ে নিলো।
ছাদটা আহামরি সুন্দর ভাবে সাজানো নেই।তবে মোটামোটি সুন্দর বলা যেতে পারে।নক্ষত্র ওর পকেটে দুই হাত রেখে বললো,
–“চলো এবার আমরা নিচে যায়।”

তিতিক্ষা নক্ষত্রের কথা শুনে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো।দু’জন মিলে নিচে গেল।মামনি তখন ড্রয়িংরুমে ছিলো।বিভা সোফাতে বসে ছিলো।তনুকা ওর রুমে।নক্ষত্র এসে সোফাতে বসলো।মামনি নক্ষত্র কে দেখে মুচকি হাসলো।তিতিক্ষা ওখানে আর না দাঁড়িয়ে ওর রুমে চলে গেল।নক্ষত্র মামনিকে বললো,
–“মামনি আমার এবার যেতে হবে।”

মামনি নক্ষত্রকে এখন যেতে দিতে নারাজ। নক্ষত্র বুঝিয়েও মামনিকে রাজি করাতে পারলো না।
মামনি নক্ষত্রকে যেতে তো দিলোই না।বরং আহানকে ডেকে নক্ষত্রকে তিতিক্ষার রুমে পাঠিয়ে দিলো।তিতিক্ষা কেবল ঢকঢক করে পানি খেয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখে ওর সামনে নক্ষত্র দাঁড়িয়ে।হুট করে নক্ষত্র সামনে চলে আসায় তিতিক্ষা ভয় পেয়ে দু’পা পিছিয়ে যায়।নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে তিতিক্ষা সদ্য পানি খাওয়া গ্লাস থেকে পানি খেলো।নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“আমি যদি এখন তোমার বেডে বসি তাহলে কি তুমি মাইন্ড করবে?”

তিতিক্ষা মাথা নাড়িয়ে না বললো। নক্ষত্র তখন
তিতিক্ষার বেডের উপর আধশোয়া হয়ে বসলো।তখনই নক্ষত্রের ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো।নক্ষত্র ফোনটা রিসিভ করে কথা বলতে শুরু করলো।তিতিক্ষা রুম থেকে যাওয়া জন্য এক পা বাড়াতেই ওর ওড়নাতে টান পড়লো।তিতিক্ষা সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে গেল।

তনুকার উডবি হাজবেন্ড রায়হান। তনুকা রায়হানের সাথে কথা বলছে।আহান দৌড়ে এসে তনুকার গায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো।তনুকা ভয় পেয়ে চমকে উঠলো।আহান তখন ওর সব দাঁত বের করে হাসতে আরম্ভ করলো।তনুকা উঠে আহানের পিঠে দুম করে কিল বসিয়ে দিলো।আহান তখন গলা ফাটিয়ে তনুকাকে বললো,
–“উফ!মুটকি আপু তুমি আমাকে এত জোরে মারলে কেন?”
তনুকা রাগী চোখে আহানের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“বেশ করেছি। তুই হুট করে এসে আমাকে ভয় দেখালি কেন?”
আহানও ওর গলার জোর বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

–“আমিও বেশ করেছি।রায়হান ভাইয়া এই মুটকিকে বিয়ে করবেন না।রাক্ষসীর মত সারাদিন খায় আর মুটকি হয়।একে বিয়ে করলে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে গরীব হয়ে যাবেন।এটা হলো আমাদের বাসার ছোট খাটো হাতি একটা।”

আহানের কথা শুনে তনুকা আর এক ঘা বসানোর আগেই আহান দৌড় দিলো।যদিও যাওয়ার আগে তনুকার চুলে টান দিয়ে গেছে আহান। তনুকা তখন বিরবির করে আহানকে বকা দিলো।ফোনের ওপাশে থাকা রায়হান হেসে দিলো দুই ভাইবোনের ঝগড়া করার কথা শুনে।

তিতিক্ষা ঢোক গিলে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকালো।তিতিক্ষা ভেবেছিলো কিছু সাথে হয়তো ওর ওড়না আটকে গেছে।কিন্তু না নক্ষত্রই তিতিক্ষার ওড়নার একটা কোণা ধরে আছে।তিতিক্ষা ওড়না ধরে রেখেই সে ফোনে কথা বলাতে ব্যস্ত।কথা বলা শেষ করে নক্ষত্র ফোন কেটে তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,

–“আমাকে একা রেখে কোথায় যাচ্ছো তুমি?”

তিতিক্ষা মৃদুস্বরে বললো,

–“রুমের বাইরে।কেন কিছু লাগবে আপনার?”

তিতিক্ষার কথা শুনে নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে এক নজর তাকিয়ে বললো,

–“হুম। আপাতত তোমার থেকে কিছুক্ষণ সময় পেতে চাই।”

নক্ষত্র তিতিক্ষাকে এটা ওটা জিজ্ঞাসা করছিলো।তিতিক্ষা তখন সেগুলোর উত্তর দিচ্ছিলো।এরপর দুপুরে লাঞ্চ সেরে নক্ষত্র চলে গেছে।নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষার জন্য শীতের যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো পাঠিয়েছে।বাসার সবার জন্যও অনেক কিছুই আছে।তিতিক্ষা নক্ষত্রের আম্মুকে ফোন দিয়ে কথা বলে নিলো।কালকে রাতেও তিতিক্ষার আম্মুর সাথে কথা হয়েছে।উনিও বলেনি যে আজকে নক্ষত্র আসবে।সবাই চেয়েছিলো নক্ষত্রকে হুট করে দেখে তিতিক্ষা সারপ্রাইজড্ হবে।কিন্তু কেউ এটা ভাবেনা যে এমন সারপ্রাইজ তিতিক্ষার জন্য হার্ট এট্যাকের মত অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। তিতিক্ষা অদ্রি আর নক্ষত্রের আব্বুর সাথে কথা বললো।এরপর বউ শাশুড়ি মিলে অনেকক্ষণ গল্পও করে ফোন রাখলো।

আজকে চারদিন হলো নক্ষত্র লন্ডনে গেছে। ফোন কল আর মেসেজে তিতিক্ষার সাথে নক্ষত্রের কথা হয়েছে।তিতিক্ষার আম্মু তিতিক্ষাকে ফোন দিয়ে বার বার বলে দিয়েছে। যে তিতিক্ষা যেন নক্ষত্র সহজ ওর আব্বু আম্মুরখোঁজ নেয়।তিতিক্ষার এখন তেমনভাবে কোন পড়াশোনা চাপ নেই।তবুও পড়াগুলো এগিয়ে রাখে। যাতে পরে চাপটা বেশি না পড়ে।নবিন এক সপ্তাহের জন্য ছুটি এসেছে।বাসাটা আরো চনমনে হয়ে উঠেছে।ভাই বোন গুলো আড্ডা, খুনশুটি,সাথে মামনি হালকার উপর ঝাপসা করে বকা।সকালে বেলা উঠে ইউনিভার্সিটি, দুপুরে এসে খেয়ে ঘুমানো,বিকেলে আড্ডা, সন্ধ্যায় নক্ষত্রের সাথে কথা বলা,পড়তে বসা,আর ঘুমানোর আগে নক্ষত্রের ছবি দেখে ওর কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়া।এসব মিলিয়ে তিতিক্ষার দিন কাল ভালোই যাচ্ছে।

সন্ধ্যার একটু আগে মামনি হুট করে তিতিক্ষাকে জামা কাপড় গুছিয়ে নিতে বললো।তিতিক্ষা মামনিকে জিজ্ঞেস করলো,
–“কেন মামানি?”
মামনি তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“এক সপ্তাহের জন্য তুই সিলেটে যাচ্ছিস।”

তিতিক্ষা অবাক হয়ে মামনির দিকে আছে।মামনি তিতিক্ষার ব্যাগে জামা কাপড় গুছিয়ে দিচ্ছে।মামনি ব্যাগ গুছাতে গুছাতে তিতিক্ষাকে রেডি হয়ে নিতে বললো।তিতিক্ষা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রেডি হতে চলে গেল।তিতিক্ষা জারুল ফুলের কালারের একটা থ্রিপিস পড়ে নিলো।রেডি হয়ে মাথাতে হিজাব পড়ে, গায়ে লাল আর কালো সংমিশ্রণের শাল জড়িয়ে নিলো।বাইরে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।আর তিতিক্ষা শীত কাতুরে ওর অল্পতে ঠান্ডা লাগে যায়। তিতিক্ষা
একবারে রেডি হয়ে দাঁড়াতেই,নিচে থেকে গাড়ির হর্ণ বেজে উঠলো। মামনি তিতিক্ষাকে নিয়ে নিচে চলে গেল।নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষা দেখে মুচকি হেসে কপালে একটা আদর দিলো।তিতিক্ষার আর কিছু বুঝতে বাকি রইলো না।

মামনি সবাইকে বার বার উপরে যেতে বললোও কেউ গেল না।নক্ষত্রের আম্মু মামনির থেকে বিদায় নিয়ে তিতিক্ষাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।অদ্রি তিতিক্ষাকে দেখে জড়িয়ে ধরলো।নক্ষত্রের আব্বু ড্রাইভারের পাশে বসা।নক্ষত্রকে গাড়িতে দেখতে না পেয়ে তিতিক্ষা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।গাড়ি ছুটছে তার গন্তব্য অনুসারে।মিসেস আবরার তিতিক্ষাকে বললো,
–“আমরা সিলেট যাচ্ছি। তুই তো এখন ফ্রি আছিস এজন্য ভাবলাম তোকেও সাথে করে নিয়ে যায়।”
তিতিক্ষা উনার কথা শুনে মুচকি হাসলো। তিতিক্ষা
জিজ্ঞেস করলো,
–“হুট করে সিলেট কেন আম্মু?”
মিসেস আবরার তিতিক্ষার মুখে আম্মু ডাক শুনে খুব খুশি হয়েছেন।সেটা ওনার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। উনি তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললেন,
–“আমার মা অসুস্থ এজন্য দেখতে যাচ্ছি।”

তিতিক্ষা আর এই ব্যাপারে কথা বাড়ালো না।তবে তিন জনে মিলে অনেকক্ষণ গল্প করলো।অদ্রি ওর নানু বাড়ির গল্প বললো।নক্ষত্রের আম্মু নক্ষত্রের দুষ্টুমির কথাও বললো।মিস্টার আবরারও ওদের সাথে যোগ দিয়ে অনেক কথায় বললো।তিনটা মেয়ে একসাথে বসে থাকবে। আর সেখানে কোন গল্প হবেনা।এটা তো অবিশ্বাস্য ঘটনা। গল্প করতে করতে অদ্রি আর নক্ষত্রের আম্মু ঘুমিয়ে পড়েছে।তিতিক্ষা জানালার দিতে তাকিয়ে রাতের আকাশ দেখছে।যদিও শীতের কারনে গাড়ি গ্লাসটা তুলে দেওয়া। তারপরেও দেখতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।আবছা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বেহায়া চাঁদটাও মনে হচ্ছে ওর সঙ্গ পেতে চাচ্ছে।ওদের সাথে সাথেই চুপিচুপি চাঁদটা যাচ্ছে । চাঁদটার থেকে একটু দুরে আবছাভাবে একটা নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে।মিটমিট করে জ্বলে সে তার উপস্থিতিটা জানান দিচ্ছে।
তিতিক্ষা চাঁদটার পাশে নক্ষত্রটার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসলো।তখনই ওর ফোনে মেসেজের টোন বেজে উঠলো।তিতিক্ষা ওর ফোনের আসার মেসেজটা ওপন করে দেখলো নক্ষত্রের মেসেজ,

–“এই যে আমার ঘুমপরীটা আপনি কি ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন?”

নক্ষত্রের মেসেজ দেখে তিতিক্ষা মুচকি হেসে ছোট্ট করে মেসেজ করলো,
–“না।”

এরপর নক্ষত্র তিতিক্ষার মেসেজ পেয়ে আবার মেসেজ করলো।মেসেজ টোন আবার বেজে উঠতেই
তিতিক্ষা ওর ফোনটা সাইলেন্ট করে নিলো।না হলে মেসেজের টোনের শব্দে সবার ঘুম ভেঙে যেতো।কিছুক্ষণ এভাবেই দুজনের কথাবার্তা চলতে থাকলো।কথা বলতে বলতে তিতিক্ষা একটা সময় ঘুমিয়ে পড়েছে।তিতিক্ষা আর মেসেজ না পেয়ে নক্ষত্র বুঝে নিয়েছে তিতিক্ষা ঘুমিয়ে গেছে।নক্ষত্র বালিশের উপর ভর দিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে আছে। ফোনে তিতিক্ষার একটা পিক বের করে দেখছে আর মুচকি হাসছে।এই পিকটা ওদের এনগেজমেন্টের দিনের তোলা।নক্ষত্র যখন তিতিক্ষা ফিসফিস করে বলেছিলো যে,

–“এমন মায়াবী অনায়াসে কাউকে ঘায়েল করা কাজল কালো দু’নয়নে অশ্রুর ফোঁটা বড্ড বেমানান। প্রিয় থেকে প্রিয়তরও মানুষটার চোখে অশ্রু দেখলে যে কোন একজনের কলিজাটাও যে কেঁপে ওঠে।এটা কি কেউ বুঝে?” (আদুরে সুরে ধীর কন্ঠে)

এই কথাটা বলার পরে তিতিক্ষা যে অবাক চোখে নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে ছিলো।চোখে মুখে বিষ্ময়ের ছাপ স্পষ্ট।কাজল কালো চোখের কোণে একফোঁটা
অশ্রুবিন্দু জমে আছে।নাকের উপরে বিন্দু বিন্দু ঘাম। যে ঘামার্ত নাকের সৌন্দর্যটা নক্ষত্রের মাতোয়ারা করে তোলে।নক্ষত্রে দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকানোর এমন মুহূর্তটাকে রুহান ক্যামেরা বন্দী করেছিলো।আর সেই পিকটাই এখন নক্ষত্র দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।নক্ষত্র মুচকি হেসে তিতিক্ষার নাকে আলতো করো টোকা দিয়ে আদুরে সুরে বললো,

–“এই যে প্রাণ প্রিয়সী।আপনি কোন মায়াপরী নাকি মায়াজাল বলুন তো? আপনার মায়াজাল তো আমাকে তো অদৃশ্যভাবে আঁকড়ে ধরেছে।তিতিক্ষা নামক মায়াজালে যে আমি খুব মারাত্মকভাবে জড়িয়ে গেছি।”

সকাল ৬ টার দিকে নক্ষত্রের আম্মুর ডাকে তিতিক্ষার ঘুম ভাঙ্গে।তিতিক্ষা পিটপিট করে চোখ খুলে তাকায়। নক্ষত্রের আম্মু বলে ওরা নাকি সিলেটে পৌঁছে গেছে।সকালে বেলা শীতটা একটু বেশিই মনে হচ্ছে। তিতিক্ষা ওপর শালটা গায়ে জড়িয়ে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হলো।চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলো। অদ্রি আর মিস্টার আবরার তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।তিতিক্ষাও প্রতিউত্তরে হাসলো।মিস্টার আবরার আর মিসেস আবরার সামনে এগোলো। অদ্রি আর তিতিক্ষা গল্প করতে করতে আসছে।

সকাল বেলা হালকা একটু একটু কুয়াশার দেখা মিলছে।শীতের সকালে সূর্যটা আড়মোড়া ভেঙে উঠতেও যেন আলসেমি করে।এজন্য বুঝি সূর্য মামা পূর্বাকাশে রক্তিম আভা ছড়িয়ে একটু দেরীতেই তার উপস্থিত জানান দেন।পাখিরা কিচিরমিচির শব্দ করে জানান দিচ্ছে সকালের আলো ফোঁটার বার্তা।ঘাসের উপর কুয়াশার বিন্দু বিন্দু হয়ে জমে আছে।সবুজ ঘাসের উপর সাদা একবিন্দু শুভ্র জলকণা।আর জলকণা গুলোকে দেখে যেন মনে হচ্ছে রুপোর এক একটা ফোঁটা।

তিতিক্ষার আব্বু ফোন দিয়েছে। তিতিক্ষারা সিলেটে পৌঁছে ছে কি না এটা জানার জন্য? তিতিক্ষা উনাদের জানিয়ে দিলো ওরা পৌঁছে গেছে। সাথে তনুকাকেও ফোন দিয়ে জানিয়ে দিল ওদের পৌঁছানোর কথা। এরপর অদ্রি তিতিক্ষাকে নিয়ে বাসার ভেতর প্রবেশ করলো।তখনই একজন ভদ্রলোক তিতিক্ষা দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলে উঠলো,

–“উ মা কিতা খয়রায়?”

তিতিক্ষা কথাটার মিনিং টা ঠিক বুঝতে পারেনি।এজন্য বোকার মত অদ্রির দিকে তাকালো। অদ্রি তিতিক্ষার তাকানোর মানে বুঝতে পেরে মিটিমিটি হাসছে।তখনই একজন ভদ্রমহিলা তিতিক্ষার সামনে এসে দাঁড়ালো।উনি হাসি হাসি মুখে তিতিক্ষার থুতনী ধরে বললো,

–“ওমা কিতা সুন্দরী ফুরি গো?”

To be continue….!!
(কেমন হচ্ছে জানালে খুশি হবো।আর নিজে পড়ুন আর অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here