#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_31
🍁🍁
বাবাঃ মিষ্টু মা আমার এই ছেলেটা বড্ড অভিমানী জানিস!ও কষ্ট পেলে ওর বুক ফেটে যায় তাও ও মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলে না।আমি তোদের এইভাবে দেখে কতটা যে খুশি হয়েছি আর শান্তি পেয়েছি তোদের বলে বোঝাতে পারবো না।মা রে আমার ছেলেটাকে কষ্ট দিস না ও জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে! আমিই ওর ভাল করতে গিয়ে খারাপ করে ফেলছি ওর নতুন মা এনে দিয়ে! মা রে তোরা সারাজীবন দুজন দুজনের পাশে থাক ভালো থাক এটাই দোয়া করি সবসময় (কথা গুলো বলে চোখ মুছলেন)
মিষ্টুঃবুইড়া ছেলেটা কাঁদতেও পারে (পরিবেশ টাকে গম্ভীর করে দিতে চাই না তাই)
বাবাঃ খুব পাকা হয়েছিস তাই না (মিষ্টু কান ধরে টেনে)
–
আরো কিছুক্ষন ওরা আড্ডা দিয়ে চলে গেল!রাসেলের রুমের বারান্দায় গিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে মিষ্টু আর মনে মনে বলছে..
মিষ্টুঃআমার আমি ভাইয়া আর আম্মু দুরে সরিয়ে বুঝতে পারছি পরিবার কি?রাসেল আমি চেষ্টা করবো তোমাকে একটা সুন্দর পরিবার উপহার দেওয়া জন্য! কি ভাগ্য আমার! আমার পরিবার ভেঙে দিয়েছি আমি আর এখানে এসে আরেকটা পরিবার গড়ার চেষ্টা করছি।জানিনা কতটুকু সফল হতো পারবো! তবে আমি চেষ্টা করবো…. আমি জানি রাসেল তুমি আর বাবা চাও আর পাঁচ জনের মত তোমাদের বাসাটাও আড্ডা হাসি খুশি এসব হোক।
–
রাসেল মিষ্টু পেছনে দাড়িয়ে আছে প্রায় ৩মিঃ! মিষ্টু এত গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলো যে সেটা খেয়ালই করে নি।রাসেল মিষ্টুকে ডাকে আর নিচে ডিনারের জন্য যেতে বলে!মিষ্টু মাথা নেড়ে হ্যা বুঝায় আর রাসেলের চোখের আড়ালে মিষ্টু ওর চোখের পানি আড়াল করে নেয়!তবে সেটা রাসেলে চোখ এড়িয়ে যায় নি।ওরা ডিনারের জন্য নিচে যায় আর সবাই এক সাথে খেতে বসে আর দুইটা সার্ভেন্ট বেড়ে দিচ্ছে! রাসেলের আম্মু মিষ্টুকে দেখে রাগে গজগজ করছে বাট রাসেলের বাবার জন্য কিছু বলতে পারছে না।রাসেলের বাবা সবাইকে উদেশ্য করে বলে…
–
বাবাঃতোমাদের সাথে আমার কিছু কথা আছে?
রোজঃ আম্মু আমি গেলাম!আমার খাওয়ার শেষ
বাবাঃএক থাপ্পড়ে তোমার সব দাঁত ফেলে দিবো!আমি বলেছি তোমাদের সাথে কিছু কথা আছে তারপরেও তুমি চলে যাচ্ছো মানে কি?(রোজ এর দিকে তাকিয়ে)
রোজঃবাবা তুমি আমার সাথে এমন বিহেভ করতে পারো না?
বাবাঃতোমার থেকে আশা করি আমার এখন বিহেভ শিখতে হবে না! বসো বলছি?
বাবাঃকালকে থেকে সবাই সকালে ৭ঃ০০ তেব্রেক ফাস্ট আর ৯ঃ০০ তে ডিনার এক সাথে করবে! আর যে থাকতে পারবে না সে আর খাবার পাবে না!
আম্মুঃকি?আমি এত সকালে উঠতে পারবো না।
রোজঃআমিও পারবো না..
মিষ্টুঃআপনাদের উপর নামাজ ফরয় হয়নি এখনো?আই মিন ৭ বছর হয়নি এখনো (রোজ আর রোজের আম্মুর দিকে তাকিয়ে)
আম্মুঃএই মেয়ে এক থাপ্পড়ে তোমার সব দাঁত ফেলে দিবো আমাদের বিষয়ে কথা বললে।আমাদের কোন বিষয়ে কথা বলার অধিকার আমি তোমাকে দেয় নি..
রাসেলঃ আম্মু মিষ্টু ভুল কিছু তো বলে নি!তাহলে এভাবে কথা বলছো কেন?
বাবাঃহা হা হা মিষ্টু মা তুই হাসালি আমাকে?এরা পড়বে নামাজ…
আম্মুঃরাসেল তুই ওই মেয়েটার জন্য আমার সাথে তর্ক করছি?
রাসেলঃওই মেয়েটা আমার ওয়াইফ আর ওর নাম মিষ্টিু। তাই ওই মেয়েটা না বলে ওর নাম ধরে ডাকবে। ওই মেয়েটা এই কথাটা শুনতে ভালো দেখায় না কারন ওর একটা সুন্দর নাম আছে।আর বড় কথা মিষ্টু রাসেল তওসীফের বউ তাই না..
রোজঃ বাহ্ বাহ্ বউ আসতে না আসতেই রুপ বদলে ফেলছিস হা হা হা
মিষ্টুঃ রোজ তোমার আম্মু আমার শিক্ষা নিয়ে কথা তুলছিলো বাট আজকে তো দেখছি উনি নিজের মেয়েকেই শিক্ষা দিতে পারে নি।নিজের ভাইয়াকে কে ভাইয়া বলে ডাকতে হয় সেই কমন সেন্সও দেখছি তোমার নাই…
রোজঃআমাকে একদম উপদেশ দিতে আসবে না(রেগে গিয়ে)
বাবাঃ রোজ মিষ্টু তো ভুল কিছু বলে নি!আর মিষ্টুকে তুমি ভাবি বলে ডাকবে। আর ভুলে যেও না রাসেল তোমার বড় ভাই।
–
সবাই খেয়ে যে যার রুমে চলে গেল!মিষ্টু রুমে গিয়ে রাসেলের সামনাসামনি দাড়িয়ে রাগী চোখে জিজ্ঞাসা করলো..
মিষ্টুঃআপনি কি কোথাও যাচ্ছেন?
রাসেলঃহুমম আজকে অফিসে যাবো কিছু কাজ আছে?কেন কিছু বলবে?
মিষ্টুঃবাসায় ফিরবেন কখন?
রাসেলঃকাজ শেষ হলেই চলে আসবো?কেন?
মিষ্টুঃএমনি…
–
রাসেল চলে গেল আবার ফিরে এসে মিষ্টুর সামনে এসে দাড়িয়ে মিষ্টুর দুই গালে হাত দিয়ে বললো
রাসেলঃ সাবধানে থেকো!আমি কাজ শেষ করেই চলে আসবো
।
মিষ্টুঃহুমম (অবাক হয়ে)
–
রাসেল চলে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে গেল!রাসেলের খুব ইচ্ছে করছিলো মিষ্টুর কপালে ভালবেসে একটা আদর একে দিতে বাট নিজেকে বোঝালো এটা করলে মিষ্ঠু কষ্ট পেতে পারে!তাই রাসেল নিজেকে সামলে নিলো।মিষ্টু নিচে গেল তখন রাসেলের আম্মু মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলছে..
–
আম্মুঃবড় লোক ছেলে পেয়ে লোভ সামলাতে পারিস নি তাই না।
মিষ্টুঃখালামনি এমনকিছু বলবেন না যাতে আপনাকে শ্রদধা করতে আমাকে দুবার ভাবতে হয়।
আম্মুঃ কে চাই রে তোর শ্রদধা?তোদের মত মেয়েরা শরীর দেখিয়ে ছেলেদের মাথা ঘুরিয়ে দেয় আর বড় ছেলে দেখে গলায় ঝুলে পড়ে।
মিষ্টুঃআপনি কি তাহলে আপনার মেয়ে এজন্য শট শট ড্রেস পড়ান যাতে কারো গলায় ঝুলে পড়তে পারে।
আম্মুঃতোর মত আমার মেয়ে এত সস্তা না যে যার তার গলায় ঝুলে যাবে।
মিষ্টুঃ সো তো সময় বলে দিবে!
–
মিষ্টু বাগানে গিয়ে হাটছে আর ভাবছে রাসেল আম্মুটা আসলেই খুব খারাপ একটা মহিলা।মিষ্টু মিতুকে ফোন দিয়ে কথা বলে সবার খোঁজ নিলো!মিষ্টুর সময় কাটছে না তাই রাসেলের রুমে গিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়াতেই দেখে একটা বাচ্চা ছেলে দুই হাত দিয়ে চোখ ডলছে আর কাঁদছে! মিষ্টু বাচ্চাটাকে দেখে বিড়ালের মত করে ডাকলো বাচ্চাটা বিড়ালের ডাক শুনে মিষ্টুর দিকে তাকালো।মিষ্টু বাচ্চাকে মুখ ভেংচি দিলো…বাচ্চাটি কান্না বন্ধ করে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে আছে..
–
মিষ্টুঃতোমার নাম কি?
বাচ্চাটিঃমেঘ! তোমার নাম কি?
মিষ্টুঃআমার মিষ্টু!তুমি আমার বন্ধু হবে
বাচ্চাঃতুমি কে?রাসেল আংকেল এর বারান্দায় কি করছো?
মিষ্টুঃআমি তোমার রাসেল আংকেলের বউ!হা হা হা
মেঘঃআংকেল বিয়ে করছে কবে?আমাকে তো বলে নি..
মিষ্টুঃআমাকে তুলে এনেছে আমার বাসায় থেকে!😭
মেঘঃরাসেল আংকেল এত দুষ্টু!আমি বকা দিবো তুমি কেদো না কেমন।
মিষ্টুঃওকে!বাট তুমি কাঁদছো কেন?
মেঘঃআমাকে দাভাই পিটুনি দিসে তাই আমি কাঁদছিলাম।
মিষ্টুঃকেন তোমাকে পিটুনি দিলো কেন?
মেঘঃআমি বউমনির চুল নিয়ে খেলতে খেলতে দাভাইয়ের পায়ের সাথে চুল বেঁধে দিসি।দাভাই উঠতে গিয়ে বউমনির চুলে টান লাগছে আর বউমনি তখন ব্যাথা পেয়েছে।পরে আমাকে ধরে ওরা দুজন মিলে উতমা ক্যালানি দিসে..😭
মিষ্টুঃওহহ!বাট চুল তোমার দাভাইয়ের পায়ে চুল বাধলে কি করে?
মেঘঃদাভাইয়ের পায়ের কাছে বসে বউমনি টিভি দেখছিলো!আমার বউমনির চুল অনেক বড় তো তাই বাঁধতে সমস্যা হয়নি।বাট পরে ওরা কি করে যেন বুঝে গেছে…তারপর ঠাস্ চুস,,, উতমা ক্যালালো।যদিও লবউমনির জন্য দাভাই মারতেই পারে নি।মারার আগেই তো আমি চিৎকার করে কান্না শুরু করছিলাম।
মিষ্টুঃআরে ব্যস! তোমার তো সেই বুদ্ধি..
মেঘঃহুম আমি জানি তো..
–
মিষ্টু আর মেঘ বসে বসে তো সেই গল্প করছে!রাসেল বাসায় চলে রুমে ডুকে দেখে মিষ্টু কার সাথে যেন কথা বলছে! রাসেল বারান্দায় গিয়ে দেখে মেঘ। মেঘ রাসেলকে দেখে বলে..
মেঘঃতুমি এমন করে চিটিং করতে পারলে আংকেল?
রাসেলঃকেন রে? আমি তোকে কি করছি?
মেঘঃতুমি বিয়ে করছো তাও আবার আমাকে না বলে।
রাসেলঃহা হা হা! তুই তো বললি আমাকে মেয়েকে তুই বিয়ে করবি তাই বিয়ে করে নিলাম।
মেঘঃওহ তাই তো।ওকে ওকে তাহলে টাকা দাও
রাসেলঃকেন?কিসের টাকা?
মেঘঃবিয়ে করছো ট্রিট দিবে না!নো চিটিং..
রাসেলঃতা কত টাকা দিতে হবে?
মেঘঃপাচশ দাও
রাসেলঃএতটুকু পুচকে তুই পাঁচশ টাকা দিয়ে কি করবি?
মিষ্টুঃআমিও ট্রিট চায় আপনার বিয়ের 😜
মেঘঃ হা হা হা দেখছি বন্ধু আমার দল।এবার এক হাজার দাও।
রাসেলঃ এক টাকাও দিতে পারবো না কাউকে। যা ভাগ
–
রাসেল উল্টো ঘুরতেি মিষ্টু রাসেলের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ওয়ালেট বের করে নেয়!আর ওয়ালেট থেকে টাকা বের করে পাঁচশ নোট মেঘ দেয় আর মিষ্টু এক হাজারের নোট তিনটা বের করে নেয়।রাসেল হা করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে!মেঘ হাসতে হাসতে নিচে বসে পড়ছে আর মিষ্টু রাসেলের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে…মেঘ হুট করে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলে..
–
মেঘঃ বন্ধু আমার হয়ে তুমি কাকুকে একটা হামি দিয়ে দাও তো!আমার আংকেলটা খুব শক পেয়েছে হা হা হা
–
মিষ্টু মেঘের এমন কথায় খুব লজ্জা পায়!মিষ্টু রুমে চলে যায়।রাসেল মিষ্টুর চলে যাওয়া দেখে হাসতে লাগলো তারপর মেঘের সাথে রাসেল কিছু সময় গল্প করে রুমে চলে আসে।রাসেল রুমে এসে মিষ্টুর দিকে একটা শপিং ব্যাগ এগিয়ে দেয়! মিষ্টু ব্যাগ নিয়ে দেখলো মেয়েদের বাসায় পড়া স্যান্ডেল,চুলের কাটা থেকে শুরু করে বেশ কিছু কসমেটিকসও আছে!মিষ্টু পেছনে ঘুরে দেখে রাসেল সোফাতে বসে ফোন টিপছে!মিষ্টু কোমরে দুই হাত দিয়ে রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলে..
–
মিষ্টুঃজীবনে কয়টা প্রেম করছেন?
রাসেলঃমানে?
মিষ্টুঃবাংলা কথা বুঝতে কষ্ট হয় নাকি?
রাসেলঃএকটাও করি নি! সেই সৌভাগ্য আমার হয় নি..
মিষ্টুঃকেন?দেখতে তো কোন দিক দিয়েই কম না তাহলে প্রেম করেন নি কেন?ঢপ মারার জায়গা পান না তাই তো…
রাসেলঃতোমাকে মিথ্য্যা বলে আমার লাভ নাই!প্রেম করি একটা কারনেই..
মিষ্টুঃকি কারন সেটাই তো জানতে চাইছি?কথা প্যাচান কেন?
রাসেলঃপ্রেম করিনি আমার বউয়ের হক নষ্ট করতে চাইনি তাই!যার সাথে রিলেশন করবো তার হাত ধরতে ইচ্ছা করবে,তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করবে,তাকে ভালবেসে তার কপালে আদর দিতে ইচ্ছে করবে,এগুলো করলে তো আমার বউটা শুনলে কষ্ট পাবে এজন্যই প্রেম করি নি।
মিষ্টুঃ সত্যি তো..(কোমরে হাত দিয়েই..)
রাসেলঃহুমম (মুচকি হেসে)
মিষ্টুঃওকে মানলাম।
রাসেলঃতবে আগে করি তো কি হয়েছে?এখন করবো কারন প্রেম করলে নাকি অনেক কিছু শিখা যায়।তাই ভাবছি একবার..
মিষ্টুঃ কেন? কেন? আপনি এখন প্রেম করবেন কেন?
রাসেলঃপ্রতিটা মানুষের জীবনে একবার করে প্রেম করা দরকার জানো তো!তাই আম মি
মিষ্টুঃ তাই না!!!!!!( রাসেল চুল দুইহাত দিয়ে মুঠো করে ধরে ঝাঁকিয়ে)
রাসেলঃ আহহহ্ মিষ্টু লাগছে!আমি বউয়ের সাথে প্রেমে করার কথা বলছি অন্য কারো সাথে প্রেম করার কথা বলি নি!আজ জীবনেও বলবো না চুল ছাড়ো… (চুল ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
মিষ্টুঃতোর প্রেমের ভূত ছুটিয়েই ছাড়বো!
–
রাসেল উঠে দাড়িয়ে মিষ্টুর দুই হাত দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে মিষ্টুর চোখে চোখ রাখে!রাসেল আজকে মিষ্টুর চোখে অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছে। মিষ্টু ওর হাত ছুটানোর চেষ্টা করছে আর রাসেলের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।রাসেল হুট করে মিষ্টুর কপালে একটা আদর একে দেয়!মিষ্টু চোখ বড় বড় করে রাসেলের দিকে তাকিয়ে থাকে..।
–
মিষ্টু এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখা রাসেল মিষ্টুকে ছেড়ে দেয়!মিষ্টু রাসেলের পায়ের উপর পারা দিয়ে গটগট করতে করতে চলে যায়! রাসেল পা ধরে লাফাতে থাকে।মিষ্টু আশ পাশ না তাকিয়ে গটগট করে হাটতে হাটতে নিচে চলে যায় আর রাসেলের বাবার সাথে ধাক্কা খায়….রাসেলের বাবা তখন মিষ্টুকে বলে..
বাবাঃকি রে মা কি হয়েছে?এভাবে রেগে আছিস কেন?
মিষ্টুঃভ্য ভ্য আ আ আ আ! তোমার লুচু পোলা আমাকে কিস করে দিসে 😭
চলবে…
(গল্পে বেশি বেশি রেসপন্স চাই….)