#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_38
🍁🍁
মিষ্টুঃকালকে ওদের ভেমরুল থেরাপি দিবো!কালকে আমাকে একজন ভেমরুল দিয়ে যাবে বলছে।কালকে রেডি থাকিস… কালকে আর মিস হবে না বলে দিলাম।(শয়তানি হাসি দিয়ে)
–
তারপর মিতু আর মিষ্টু কলেজে ফিরে গেল! আর দুজন মিলে ক্যাম্পাসে ফিরে একটা গাছের নিচে বসলো। মিতু মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বুঝলো মিষ্ঠুর কিছু একটা ভাবছে! মিতু মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বললো…
–
মিতুঃকি করে ভাবছিস?কিছু নিয়ে টেনশন করছিস নাকি?
মিষ্টুঃ আচ্ছা মিতু ভেমরুলে কামড়ালে কি কিছু হয়!
মিতুঃহুমম!ভেমরুলে কামড়ারে নাকি খুব ব্যাথা হয় আর জর ও আসে।আর বেশি ভেমরুলে কামড়ালে তো মানুষ নাকি মারাও যায়..
মিষ্টুঃতাহলে ওদের ভেমরুলের কামড়ই খাওয়াবো কারন ওদের মত মানুষদের ভেমরুল থেরাপিটাই ঠিক আছে।
মিতুঃতা ঠিক!আচ্ছা তোর মন খারাপ কেন তাই বলো তো?
মিষ্টুঃ আম্মু আর ভাইয়ার সাথে কতদিন কথা বলি নি।ওদের জন্য বুক ফেটে কান্না আসে জানিস!শুধু রাসেলের জন্য মন খুলে কাঁদতেও পারি না।কারন আমি কাঁদলে রাসেল খুব কষ্ট পায়। (মন খারাপ করে)
মিতুঃখুব ভালবাসিস তাই না ভাইয়াকে!
মিষ্টুঃহুমম! আর ওর মত ছেলেকে ভাল না বেসে থাকা যায় না রে!রাসেলের মন -মানসিক, চিন্তা ভাবনা গুলো দেখে আমি মাঝে মাঝে খুব অবাক হয় জানিস!আর সত্যি বলতে আমাকেও রাসেল খুব ভালবাসে! আর সেটা আমি বুঝি।
মিতুঃদোয়া করি তোরা যাতে সব সময় এভাবে থাকতে পারিস সারাটা জীবন।
–
তারপর ওরা যে যার বাসায় চলে যায়!১ টার দিকে রাসেল বাসায় এসে দেখে ডায়নিং টেবিলে খাবার সাজানো। রাসেল মিষ্টুকে জিজ্ঞাসা করলো কে রান্না করছে! রাসেল জানায় যে একটা বুয়া ঠিক করছে উনিই এসে রান্না করে দিয়ে গেছে!মিষ্টু রাসেলকে এটা বলে না যে! বুয়া রাখার প্রধান কারন মিষ্টু চাই রাসেলকে নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতে!আর বুয়ার থেকেই মিষ্টু রান্না শিখার ট্রেনিং নিবে।।তারপর দুইজন সাওয়ার নিয়ে খেয়ে নিলো।রাসেলের একটু রেস্ট নিয়ে আবার অফিসে চলে গেল আর মিষ্টু আবার ঘুমিয়ে পড়লো…
–
পরেরদিন সকালে…
রাসেল আর মিষ্টু দুজনেই খুনশুনি করতে করতে ব্রেকফাস্ট রেডি করলো আর খেয়ে নিলো।রাসেল মিষ্টুকে কলেজের গেটে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল!মিতু কলেজের গেটেই মিষ্টুর জন্য ওয়েট করছিলো!রাসেল বাই বলে চলে যেতেই মিষ্টু আর মিতু রাবেয়ার কাছে যাওয়া জন্য হাটতে শুরু করলো!মিতু খেয়াল করলো মিষ্টুর হাতে একটা কৌটা আছে…মিতু মিষ্টুকে জিজ্ঞাসা করলো..
–
মিতুঃতোর হাতে এটা কিসের কৌটা রে মিষ্টু?আর কৌটা নিয়ে কি করবি তুই?
মিষ্টুঃআরে বোকা এটার মধ্যেই তো ভেমরুল আছে!আজকে কোন রকম ভাবেই ভেমরুল থেরাপি মিস করা যাবে না।
মিতুঃতার মানে তুই সত্যি সত্যি ওদের ভেমরুল থেরাপি দিবি(অবাক হয়ে)
মিষ্টুঃহুম মিষ্টু যা বলে সেটাই করে। (শয়তানি হাসি দিয়ে)
–
তারপর ওরা রাবেয়াদের ওখানে গেল।মিষ্টু আবিদের কাছে গিয়ে আবিদের গাল ধরে টেনে বললো..
মিষ্টুঃওলে আমাল বাবু টা লে!আদর খাওয়া জন্য বসে আছো বুঝি!আর ওয়েট করতে হবে না এই যে ভেমরুল মহাদয়দের নিয়ে চলে এসেছি।এখনই তোমাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিবে(মিষ্টি করে হেসে)
আবিদঃউমম্ উমমম্ উমম্ (মাথা নাড়িয়ে না বলছে)
মিষ্টুঃএরা এখন তোমাকে অনেক অনেক আদর করবে!আর হ্যা একদম নড়াচড়া করবে না কেমন।ওদের মনমত হুল ফুটাতে দিবে! আর একদম নড়াচড়া করে ওদের কাজে বাঁধ সৃষ্টি করবে না কারন ওদের কাজে নাকি বাঁধা দিলে ওরা খুব রেগে যায়…
রাবেয়াঃউমম্ উমম্ (না বলছে)
মিষ্টুঃও রাবেয়া ডালিং আজকে একটা নতুন খেলা হবে এখানে দেখবে না।আরো তোমরা এত নড়াচড়া শুরু করছো কেন?না দিতেই এমন করছো….
মিতুঃকি খেলা রে মিষ্টু??
মিষ্টুঃআবিদের ইয়ে vs ভেমরুল।আজকে দেখবো কার কত জোর কেমন।আমি আর তুই দর্শক হা হা হা
মিতুঃ বাহ্ দারুণ খেলা তো…আমি এর আগে এমন খেলা দেখি নি তারাতারি শুরু কর।
মিষ্টুঃওকে!হা হা হা
–
মিষ্টু আবিদের দিকে না আসতেই আবিদ খুব নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছে!মিষ্টু মিতুকে বললো যাতে আবিদের ইয়েতে ভেমরুল দিয়ে দেয় বাট মিতু করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে না বললো।মিতু না করলো তাই মিষ্টুই এই মহৎ কাজের দায়িত্ব নিলো!মিষ্টু আবিদের কাছে এগিয়ে আসতেই আবিদ ভয়ে ঘামতে শুরু করছে সাথে নড়াচড়া তো আছে!মিষ্টু আবিদের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে নিলে আর চোখ বন্ধ করে আর আবিদের প্যান্টের দিকে হাত বাড়ায়।মিষ্টু হাত বাড়াতেই কেউ একজন সাথে সাথে মিষ্টু হাত ধরে নেয়!মিষ্টুর কাছে বাধা দেওয়ার জন্য মিষ্টু রেগে তাকায় কে ওর হাত ধরলো সেটা দেখার জন্য!মিষ্টু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখে রাসেল ওর হাত ধরে আছে…মিষ্টু সাথে সাথে উঠে দাড়ায়।
–
মিষ্টু রাসেলের দিকেই তাকাতে দেখে একটু দুরে আয়ান,শুভ্র, জয় আর মুহিত দাড়িয়ে! মিষ্টু কি বলবো বুঝছে না! এভাবে ধরা খাবে সেটা কল্পনা করে নি।মিষ্টু কিছু একটা ভেবে মুহিতের সামনে গিয়ে দাড়ালো মাথা নিচু করেই! আর মিতুর থেকে ফোন নিয়ে দেখাতে চাইলো যে মিষ্টুরা নির্দোষ ছিলো। মিষ্টু কিছু বলার আগেই মুহিত মিষ্টুকে জড়িয়ে ধরে আর দুইভাইবোনই কেঁদে দেয়।কতদিন পরে ওদের দেখা তাই দুইভাইবোন নিজেদের সামলাতে পারে নি!মিষ্টু মুহিতে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই যাচ্ছে… আর বার বার বলছে ও নির্দোষ।মুহিত মিষ্টুকে কাঁদতে নিষেধ করছে আর কান ধরে নিজেও সরি বলছে.. এতদিন ভুল বুঝে দুরে সরিয়ে রাখার জন্য।
–
রাসেল আবিদ আর রাবেয়ার হাতের বাঁধন খুলে দেয়!রাসেল আবিদকে দাঁড় করায় আর বলে…
–
রাসেলঃভাই নিজের চাওয়াকে পবিএ রাখো দেখবে আল্লাহ তোমার চাওয়া জিনিস টাকে তোমাকেই একদিন পাইযে দিবো।এভাবে ভুল পথ অবলম্বন করে কোন জিনিস পাওয়া যায় না! আর সেটা পাওয়া গেলেও পরে সেই ভুলের মূল্য জীবন দিয়ে হলেও চুকাতে হয়। তোমাদের মেরে ফেলতেও আমার হাত কাঁপতো না কারন তোমার আমাদের সাথে ইচ্ছা করে জেনে বুঝে অন্যায় করছো!আমাদেরকে সবার কাছে খারাপ বানিয়েছো।আর হ্যা তুমি তো ডাক্তার তাই না?তোমাকে এসব মানায় না নিজেকে সুধরে নাও! এটা তোমার জন্যই ভালো হবে!তোমাদের আমি মাফ করে দিয়েছি কারন তোমরা যথেষ্ট শিক্ষা পেয়েছো!আর মিষ্টু নিজে হাতে সেটা দিয়েছে তাই আমি আর মুহিত তোমাদের ছেড়ে দিলাম।
আবিদঃহুমম!মাফ চাওয়ার মুখ আমার নাই তাও বলবো যদি পারো তো মাফ করে দিও(হাত জোড় করে)
রাসেলঃ হুমম! আবিদ একটা কথা মনে রেখে সত্য কখনোই চাপা থাকে না!মিথ্যের রাজত্ব কিছু দিনের বাট সত্যের রাজত্ব সারাজীবনের।তোমরা কিছুদিনে জন্য আমাদের সবার থেকে দুরে সরিয়ে রাখছো বাট আজকে সব সত্যের প্রকাশ ঘটলো।আর রাবেয়া খালা আপনার নিজের ঘরেও একটা মেয়ে কথাটা মনে রাখবেন।
রাবেয়াঃ আমি সত্যি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি!এতদিন আমি টাকা দিয়ে সব বিচার করতাম।তোমরা আমাকে মাফ করে দিও!আজকে নিজের ছেলেকে চোখের সামনে কষ্ট পেতে দেখে বুঝছি আমি কতটা নিম্ন মানে কাজ করছি তোমাদের সাথে…
–
মুহিত আয়ানদের বলে রাবেয়া আর আবিদকে বাসায় পৌঁছে দিতে!আর ওদের চিকিৎসার সব দায়ভার মুহিত নেয়! আবিদ আর রাবেয়া মুহিত আর মিষ্টুর থেকে মাফ চাই! মুহিত রাবেয়াকে বলে এই মারের কথা যদি তারা পুলিশকে জানায় তাহলে ওরাই ফেসে যাবে! কারন মিষ্টুর কাছে এখন সব প্রমান আছে।
–
রাসেল মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলে..
রাসেলঃআমি তোমার এই প্ল্যানের কথা রাজশাহীতে এসে ধরতে পারছি!আর আবিদকে কিডন্যাপ করার জন্য যে লোক গুলো পাঠিয়েছিলে তারাই আমার লোক!এমনকি তোমার মার খাওয়ার পর আমিই আয়ান আর শুভ্র কে পাঠাতাম যাতে আবিদের ব্যাথা কমানোর স্প্রে করতে।আর ব্যাথা না কমলে ওরা তো তোমার মারের চোটে মারাই যেত তাই না।তবে
মিষ্টু আমরা কেউ কল্পনা করিনি তুমি এভাবে গল্পের মোড়টা ঘুরিয়ে দিবে।
–
মুহিত গিয়ে রাসেলকে জড়িয়ে ধরলো!আর মিষ্টুর মুখে বিশ্ব জয় করা হাসি ফুটলো।তবে এখানে সবার অজানা একটা কথা, সেটা হচ্ছে মুহিত আর রাসেলের যোগাযোগ কখনোই বন্ধ হয় নি!রাসেল প্রতিনিয়তো মিষ্টুর কথা মুহিতকে জানাতো!আর মুহিতের বিশ্বাস ছিলো রাসেল এত নিম্নমানের কাজ করবে না আর মিষ্টু তো নয়ই বাট ওরা যে ভাবে ফেঁসে গিয়েছিলো তাতে মুহিত যদি রাসেলের বা মিষ্টুকে সাপোর্ট করতো তাহলে হিতে বিপরীত ও হতে পারতো!কারন ওরা একটা সমাজে বাস করে!আর পাড়া-প্রতিবেশি অনেকেই জেনে গিয়েছিলো আর কটু কথা বলতে শুরু করছিলো।এজন্য বন্ধু আর বোনের কথা ভেবে সব মেনে নিয়েছিলো।মুহিত আয়ান ইশারায় বলে আবিদের বাসায় পৌঁছে দিতে!তারপর আয়ানরা ওদের বাসায় পৌঁছে দিতে চলে যায়..
–
মুহিত মিষ্টুর কপালে আদর দিয়ে বাসায় যেতে বলে!মিষ্টু রাসেলের দিকে তাকায়। মুহিত মুচকি হেসে ওদের দুজনকে ধরেই বাসায় নিয়ে যায় আর ওর আম্মুকে সব সত্যি টা জানিয়ে দেয়।ওর আম্মু রাসেল আর মিষ্টুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে আর দুইজনের কপালে আদর দেয়।তারপর মিষ্টুকে এতদিন পর ওর বাসায় এসেছে তারাতারি সব ঘুরে ঘুরে দেখছে।তারপর কুট্টুশকে দেখে ওকে কোলে নেয় আর ইচ্ছেমত চটকাতে চটকাতে ছাদে চলে যায়।মুহিতের আম্মু রাসেলকে বসতে বলে..
–
আম্মুঃরাসু আমাকে মাফ করে দিস তোকে আমি তোকে অনেক শুনিয়েছি বাবা!সেদিন আমার মাথা ঠিক ছিলো না..(চোখের পানি মুখে)
রাসেলঃমামনি আগের কথা আর তুলো না তো!ওইটা দুঃসপ্ন ভেবে ভুলে যাও।(মুহিতের আম্মুর কোলে মাথা দিয়ে)
–
রাসেলের তো আপন বলতে এরাই!রাসেল এখন চাই এদের নিয়ে ভালো থাকতে।রাসেল ওর বাসার সব কথা মুহিতদের জানায় আর এটাও বলে যে এখন রাসেল মিষ্টুকে নিয়ে রাজশাহীতেই সেটেল হতে চাই।এই কথা শুনে মুহিত আর ওর আম্মু খুব খুশি হয়।ওরা কথা বলতে বলতেই আয়ান আসে আর রাসেলের উপর হামলে পড়ে!মুহিত আম্মু সবাই উদেশ্য করে বলে..
–
আম্মুঃআয়ান তোরাও এসেছিস ভালো করছিস!আমি একটা কথা ভাবছি শোন তোরা..
আয়ানঃহুমম বলো!আমরা শুনছি
আম্মুঃসেদিন তো রাসেল আর মিষ্টু বিয়েটা খারাপ একটা পরিস্থিতির চাপে পড়ে হয়েছিলো।ওদের জন্য কেউ মন থেকে দোয়া করতে পারে নি তাই আমি ভাবছি আবার ওদের বিয়ে দিতে।আর সেটা আগামী বৃহস্পতিবার দুইদিন পরে,,
,
মুহিতঃহুমম এটা ঠিক বলছো আম্মু! তাই হবে..
রাসেলঃএসবের আবার কি দরকার মামনি?বিয়ে তো বিয়েই তাই না।
আম্মুঃতুই কোন কথা বলবি না!আমরা যা বলবো তাই হবে।আর আমাকে আর মামনি না এবার থেকে আম্মু ডাকবি।মনে থাকবে তো..
রাসেলঃহুমম মনে থাকবে (মুচকি হেসে)
জয়ঃতবে ওরা দুইজন এখন থেকে আলাদা থাকবে! বিয়েটা না হওয়া পযন্ত।
রাসেলঃকেন?এটা কেমন আবদার শুনি?????(করুন চোখে তাকিয়ে)
শুভ্রঃ কেন? এর উওর পরে দিমু। রাসেল এখন থেকে ওর বাসায় থাকবে এটাই ফাইনাল।এই বাসায় আর আসতে পারবে না।
জয়ঃমামনি তুমি আর এই বিষয়ে কথা বলো না প্লিজ! ওকে এবার বাগে পাইছি।
আম্মুঃআচ্ছা!তোরা শুধু শুধু রাসেলের পেছনে লাগছিস কেন বলতো?আর ও বাসায় একা একা কি করবে?
আয়ানঃমামনি প্লিজ!!!! তুমি কিছু বলো না আমাদের উপর সব ছেড়ে দাও না!প্লিজ প্লিজ
আম্মুঃওকে! ওকে! তোরা গল্প কর আমি রান্না করবো।আজকে সবাই দুপুরে খেয়ে যাবি কেমন, (এখন ওরা দুষ্টুমি করবে তাই উনি ওখানে থেকে সরে যাচ্ছে)
সবাইঃওকে!!!!!
–
মুহিতের আম্মু উঠে যেতেই জয় রা রাসেলকে ঘিরে ধরে আর বলে….
জয়ঃ রাসেল সত্যি করে বলতো ভাই! এটা তোর ১ম বাসর নাকি ২য় বাসর হবে।তুই এখনো ইয়ে আছিস তো..😜
শুভ্রঃহুম! হুম আমিও শুনতে চাই..
আয়ানঃ শুরু থেকে বল তো! আমিও শুনতে চাই..
রাসেলঃমুহিত এদের কিছু বল না ভাই!এরা কি শুরু করছে?এরা পাগল হয়ে গেছে দেখ এগুলো কি বলে??
জয়ঃমুহিত কি বলবে রে শালা?তুই বল তোর ইয়ে হয়েছি কি?
শুভ্রঃতুমি এবার আমাদের হাত থেকে ছাড় পাবে না বন্ধু…দেখো তোমাকে কেমন প্যারা দেয়।হা হা হা
মুহিতঃ তোরা ওর পেছনে লাগছিস কেন রে?আর ওর বউ যে আমাদের বোন সেটা কি ভুলে গেছিস নাকি শালারা?তোদের লজ্জা করে না এসব বলতে??
জয়ঃচুপ শালা!বেশি কথা বললে আগে তোর ইজ্জতের ফালুদা করবো দেখিস!!!তারপর এই যে আমাদের এই নতুন জামাইয়ে টা..হা হা হা (রাসেলের গাল টেনে)
রাসেলঃতোরা এসব কি শুরু করলি ইয়ার?তোদের লজ্জা করে না এসব কথা বলতে..
জয়ঃ ওই লজ্জা জিনিসটা আমাদের কোনদিনই ছিলো না!তবে রাসেল বেবি এবার তোমাকে বাসর ঘরে কে ঢুকতে দেয় তাই দেখব..
আয়ানঃএবার বাসরের কথা ভুলে যাও মনু!
–
রাসেল অসহায় দৃষ্টিতে মুহিতের দিকে তাকিয়ে আছে!আর মুহিত বুঝে গেছে আয়ানরা রাসেলকে এখন ছাড়বে না আর মুহিত মিষ্টুর বড় ভাই সো এসব কিছু শুনতেও পারবে না!মুহিত আর উপায় না পেয়ে উল্টো ঘুরে হাটা দিলো।আর বেচারা রাসেল মুহিতের চলে যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে রইলো..
চলবে..
(রেসপন্স চাই কিন্তু..)