দেশলাই – ৬ষ্ট পর্ব

0
340

দেশলাই – ৬ষ্ট পর্ব

লেখকের কথা
——————–
রাফসান ঘুম থেকে উঠে আড়মোড় ভেঙে চারদিকে তাকাতেই বিস্মিত হয়ে গেল। তার পাশে কেবল শফিক হোসেন শুয়ে আছে। আর কেউ নেই। তাহলে বাকীরা গেল কোথায়?
– ‘শফিক, এই শফিক, উঠ বেটা বাল উঠ।’
শফিক পাতলা কম্বল সরিয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বলল, ‘কি রে? ডিউটির সময় হয়ে গেছে না-কি?’
– ‘আরে না, ডিউটি টাইম হয়নি। কিন্তু বাকীরা কোথায় গেল রে?’
– ‘মানে?’
– ‘দেখ, এখানে তো কোনো কাপড়-চোপড় নেই। ওরা সবাই কোথায় গেল?’

শফিক কোনো সদুত্তর দিতে পারলো না। তবুও আমতা-আমতা করে বললো, ‘ওরা ক’দিন থেকে নেপাল বর্ডার পাস হওয়ার জন্য দালালদের সঙ্গে কথা বলতে শুনেছি৷ কিন্তু আমাদের ফেলে চলে যাবে ভাবিনি তো।’
– ‘চলতো ক্যান্টিন দেখে আসি।’
দু’জন হন্য হয়ে চারদিকে খোঁজেও কোনো সন্ধান না পেয়ে ফোর ম্যান অনিমেষকে গিয়ে ডেকে তুলে বলল, ‘আমাদের লোকদের তো খোঁজে পাচ্ছি না দাদা।’
ফোর ম্যান লাফ দিয়ে উঠে। দিলশাদদের মোবাইলে কল দেয়। নাম্বার বন্ধ দেখায়।
তাদের সঙ্গে এসে চারপাশ দেখে বলল,
‘তোমরা বাঙালি কি মাদারচোদ দেখেছিস বাড়া? কাল রাতেই এ মাসের পেমেন্টের সঙ্গে অগ্রীম টাকা নিয়েছে। আজই পালিয়ে গেল। এখন আমি কন্ট্রাক্টরকে কি জবাব দেবো বল? আমার গুদ মেরে চলে গেল মাইরি।’

শফিক চমকে উঠে বলল, ‘কি? পেমেন্ট নিয়ে পালিয়েছে? তাইলে আমাদের পেমেন্ট কই?’

– ‘তোদের সবার পেমেন্ট সহ অগ্রীম টাকা নিয়েছে।’

শফিক মাথায় হাত দিয়ে বসে রইল। অনিমেষ বিমল মুখে পুরে সিগারেট টানছে। রাফসান কোনো কথা বলতে পারছে না। এখনে আসার আগে এতো ঝামেলায় পড়বে বুঝতে পারেনি৷
ভেবেছিল মানুষ মিডলইস্টেও তো গিয়ে কাজকর্ম করে। সুতরাং ইন্ডিয়া কিছুদিন কাজ করে ঘুরে-ফিরে চলে যাবে। বাড়িতে তার দমবন্ধ লাগছিল। বারংবার ইচ্ছা করছিল যেদিকে দু-চোখ যায় চলে যাবে। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়া এখানে এসে বুঝতে পারে কি ভুলটাই না করেছে। ইন্ডিয়ান পুলিশরা এখন বাঙালি ধরতে পারলেই সর্বনাশ। এমনিতেই বহুকাল আগে থেকে আসামে বসবাসরত বাঙালিদের নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে ঝামেলা চলছে। অথচ তারা সয়ং পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশী৷
অনিমেষ সিগারেটে শেষ টান দিয়ে বলল, ‘তোদের তো রান্নাবান্না হয়নি। ক্যান্টিনে চা-টা খেয়ে কাজে চল। কাকাকে আমার নামে লেখে রাখতে বলিস।’

বছর খানেক আগে বাসর রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মেইন রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে রাফসান। চারদিকে ঘন কুয়াশ পড়েছে। একা একা হাঁটছে৷ এই পাকা রাস্তা গিয়ে লেগেছে মহাসড়কে। তাদের গ্রাম পেছনে ফেলে মীরাপুর এসেছে। তখনই দেখতে পেল চারজন লোক গল্প করতে করতে তাকে পেছনে ফেলে সামনে চলে গেল। সবার সঙ্গে একটা করে ব্যাগ। রাফসানও আনমনে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটতে থাকে।
চারজন থেকে বয়স্ক একজনের ফোন এলো। সে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অন্যদের বলল, ‘ফোর ম্যান কল দিছে।’
তারপর রিসিভ করে বলল, ‘আদাব দাদা। কেমন আছো?’
তাদের ফোনালাপের কিছুই বুঝতে পারলো না রাফসান। ফোন রেখে লোকটি অন্যদের বলল, ‘ফোর ম্যান বলছে আরও লোক হলে ভালো হতো। মাত্র চারজনকে এতো খরচা করে নিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।’
একজন বলল,
— ‘লোক কোথায় পাবে৷ বেশি হলে তো ভালোই ছিল। পাসপোর্ট ছাড়া একটা দেশে কাজ করতে যাবো৷ দেশের মানুষ বেশি থাকলে সাহস থাকে৷ আগেরবার আমরা পনেরোজন এক সঙ্গে ছিলাম।’

রাফসান কিছুই বোঝেনি। শুধু এটা বুঝতে পারছে এদের লোক দরকার। তারও দরকার দূরে, বহুদূরে কোথাও চলে যাওয়া। বাড়িতে দমবন্ধ হয়ে আসছে। ইচ্ছে করছে চোখ যেদিকে যায় চলে যেতে।
পেছন থেকে বলল, ‘এইযে ভাই। আপনারা কোথায় যাবেন। লোক লাগলে আমারে নিতে পারেন।’

তারা পেছন ফিরে তাকায়। বিড়িতে লম্বা একটা টান দিয়ে একজন বলল, ‘আপনি ইন্ডিয়া যাবেন? দেখে তো কাজকাম করবেন বলে মনে হয় না।’

– ‘করবো ভাই। আপনারা যেখানে যাচ্ছেন আমাকে সঙ্গে নিন।’

ওরা চারজন মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে বলল, ‘বাড়ি কোথায়? আর এখনই এভাবে রাস্তা থেকে চলে যাবেন না-কি?’

– ‘বাড়ি বকুল পুর। আমি এভাবেই চলে যাব।’

– ‘বর্ডার পাস হয়ে একেবারে মুম্বাই যেতে তো পনেরো হাজারের উপরে টাকা লাগবে। টাকা এখন কোত্থেকে পাবেন?’

– ‘টাকা তো দিতে পারবো না।’

– ‘না দিতে পারলেও নেয়া যাবে। ফোর ম্যান টাকা দিয়ে নেবে৷ কিন্তু প্রথম মাসের পেমেন্ট থেকেই কাটিয়ে রাখবে।’

– ‘সমস্যা নেই। আমি যাবো।’

সেদিনই এই চারজনের সঙ্গে রাফসান যশোর বেনাপোল চলে যায়। দলপতি দিলশাদ দালালকে ফোন করলে বাস স্টেশন থেকে অফিসে নিতে দালাল আসে। দালাল দেখতে বেশ ভদ্রলোক। মুখে দাড়ি। মাথায় টুপি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। রাতে তাদেরকে বর্ডার পাস করাতে পারলো না। পরের পুরোটা দিনও চলে গেল বর্ডারের লাইন ক্লিয়ার হচ্ছে না। ইতোমধ্যে বর্ডার পার হওয়া বাবত মাথা পিছে সাত হাজার করে টাকা নিয়েছে। রাফসান সহ তারা পাঁচজন। দু’জন ছাড়া বাকী তিনজন ইন্ডিয়া প্রথম যাচ্ছে। টাকা মার যাওয়া নিয়ে তারা খানিকটা চিন্তিত, তবে রাফসান ভাবলেশহীন।
সন্ধ্যায় হঠাৎ দালাল এসে বলল, ‘ব্যাগ-প্যাক নিয়ে আসো।’
তারা সবাই বের হলো।
দালাল বললো, ‘সিএনজিতে ব্যাগ রাখো। আর এই নাও টোকন। কলকাতা চাইলে দেবে।’
সিএনজিতে তারা উঠলো। সিএনজির সামনে এবং পেছনে বাইক৷ বাইককে অনুসরণ করে সিএনজি একটা গলি দিয়ে ঢুকলো। একজন বিজিবিকে সামনের একটি দোকানে দেখা গেল। বাইক ওয়ালা গিয়ে সালাম দিয়ে কথা বলে ব্যস্ত রাখলো। তখনই সিএনজি পাস হয়ে গেল। খানিক দূরে গিয়ে বললো নামো সবাই। আমার পেছন পেছন আসো। গাছ-গাছালিতে এদিক অনেকটা জঙ্গলের মতো। তবুও বাড়ি-ঘর আছে। সবার অগোচরে চুপিচুপি তাদেরকে জঙ্গলের ভেতরের একটি বাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে রাফসান অবাক হয়ে খেয়াল করলো ঘরভর্তি মানুষ। সবাই অন্ধকারে চুপচাপ বসে আছে। তাদের নতুন সঙ্গী দু’জন ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। একজন ফিসফিস করে দিলশাদকে বলল, ‘সীমান্ত রক্ষীরা দেখতে পাইলে কি গুলি করবো?’
দিলশাদ সাহস দিয়ে বলল, ‘আরে না। এরকম কিচ্ছু হবে না। ভয় পাইছ না।’
অন্ধকার চোখ সয়ে যাওয়ার পর দেখা গেল বেশ কয়েকজন মেয়েও আছে। ওরাও ইন্ডিয়া যাবে। যুবতী, মধ্যবয়সী মহিলা। খানিক পর দু’জন লোক এসে বললো, ‘রাস্তায় পানি আছে, মোবাইল, পার্স ব্যাগে ভরে চুপচাপ পেছন পেছন আসো। হাঁটার সময় আওয়াজ যেন না হয়। আর বিএসফের গাড়ি দেখলে দাঁড়িয়ে দৌঁড় দেয়া যাবে না। কনুই মেরে শুয়ে শুয়ে যেতে থাকবে।’
সবাই বুক দুরুদুরু বুকে বেরুলো৷ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটছে। দালালরা নিয়ে লাইনের লোকদের হাতে দিয়ে চলে গেলো। ওরা ডান-বাম, সামন-পেছন থেকে খেয়াল করে নিয়ে যাচ্ছে। কখনও কোমর আবধি পানি। জঙ্গলের পর জঙ্গল৷ জমির পর জমি। কোথাও দৌড়িয়ে, কোথাও লুকিয়ে রেখে প্রায় ঘন্টা খানেক হাঁটিয়ে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার সিমান্তের কাছাকাছি এসে লাইন ম্যানরা ঝোপঝাড়ের আড়ালে সবাইকে বসতে বললো। সীমান্তের ওপারে বাতি জ্বলছে।
আচমকা ভারতের বিএসএফের গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেল। ভয়ে একজন আরেকজনকে জাপ্টে ধরে কাঁপছে। বিড়বিড় করে বিপদের দোয়া পড়ছে, ‘লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা সুবহানাকা ইন্নি কোনতু মিনা-জালিমিন। রক্ষীরা ওপার থেকে চারদিকে টর্চ লাইটের আলো মারে। লাইনের লোক অস্ফুটে সবাইকে বলছে, ‘চুপচাপ বসে থাকো।’
নীরব নিস্তব্ধ রাতে একজন আরেকজনের বুকের ধুকপুকানি যেন শুনতে পাচ্ছে। খানিক পর বিএসএফ চলে যায়। একজন এসে বলল, ‘তাড়াতাড়ি আসো আমার সঙ্গে।’
সবাই পেছনে ছুটলো। কাটাতারের দুই পাশে মই লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। সবাই তাড়াতাড়ি করে মই বেয়ে কলকাতার লাইনের লোকদের হাতে চলে যাচ্ছে। রাফসানের আগে একজন মহিলাকে পাছা ঠেলে মই পার করিয়ে দিলো। সবাই ওপারে চলে যাওয়ার পর জঙ্গলে নিয়ে বলল, ‘এখানে চুপচাপ বসো।’ তারপর দেখা গেল একদল ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশেও মই বেয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত পার করার পর্ব চুকিয়ে তাদেরকে গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটাতে লাগে। চারপাশ ঘিরে রাখা অন্ধকার। বাতিও জ্বালানো যাচ্ছে না। কেউ আছাড় খেয়ে পড়ছে। কেউ কেউ পেছনে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে। লাইনের লোকরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পুনরায় খোঁজে নিচ্ছে। মহিলারা আর কতদূর বলে কান্না জুড়তে গেলেই লাইনের লোক লাত্থি মারার ভঙ্গিতে তেড়ে আসছে। সিমান্ত এরিয়ায় চারদিকে বর্ডার গার্ডের আনাগোনা। তাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে ঘন্টা কয়েক হাঁটিয়ে নিয়ে গেল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বনগাঁর কাছাকাছি এক জঙ্গলে। সেখানকার জঙ্গলের ভেতরের একটি অন্ধকার খুপরি ঘরে তাদেরকে রাতে ঘুমোতে দিল। যারা প্রথম এসেছে তাদের ভয়ে বুক ধুকপুক করছে। একজন আরেকজনের সঙ্গে নানান বিষয়ে ফিসফিস করছে। এখানে বেশিরভাগ পুরুষ মানুষ যাচ্ছে কাজের জন্য৷ কেউ যাচ্ছে কলকাতায় আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে। কেউ কেউ ইন্ডিয়া থেকে যাবে অন্য দেশে। আর যুবতীরা বেশিরভাগই দেহ ব্যবসায়ী। খানিক্ষণ যেতেই পুরাতন ছেলেরা মেয়েদের পাশ ঘেঁষতে শুরু করল। অনিচ্ছার ‘ছাড়েন’ শব্দও শোনা যাচ্ছে। খানিক পর আবার ধস্তাধস্তি আর গোঙানির শব্দ।
রাফসান সবকিছু উপেক্ষা করে একপাশে গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে গেল।

ভোরে লাইনের লোক এসে টোকন চায়। দিলশাদ তাদের টোকন দিলো। একজন লাইন ম্যান বললো তোমরা পাঁচজন আমার পেছন পেছন আসো। তাদেরকে নিয়ে দিলো কলকাতার দালালের হাতে। দালাল লোকটি লম্বা হালকা-পাতলা। চোখে সাদা ফ্রেমের চশমা। ক্লিন সেভ। সাদা চুল৷ দেখতে প্রাইমারী স্কুলের হেড মাস্টার লাগে। তাদেরকে আলগা নিয়ে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খানিক্ষণ বক্তব্য দিলো। জানালো কথাবার্তা খুব সাবধানে বলতে হবে। বাঙালি বুঝতে পারলেই লোকজন থানায় ফোন দিয়ে ধরিয়ে দেবে। তাছাড়া ইন্ডিয়ার আদার কার্ড পাসপোর্ট বানিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে যেসব দেশে ভিসা পাওয়া যায় না ইন্ডিয়া থেকে যাওয়া যাবে। ইন্ডিয়া থেকে সকল দেশে যেতে টাকাও অনেক কম লাগে। বাংলাদেশী অসংখ্য মানুষ ইন্ডিয়া থেকে এভাবে যায়। সুতরাং যেতে চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে।

তাদেরকে বনগাঁ থেকে বাসে করে হাওড়া রেলস্টেশনে নিয়ে গেল। এই পুরো রাস্তা রাফসান চোখবুঁজে ঘুমিয়েছে। অন্য চারজনের মধ্যে দু’জন নতুন। তারা এই দিনেদুপুরেও ভয়ে চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছে। চারদিকে পুলিশ ঘুরঘুর করছে। দালাল ট্রেনের টিকেট কেটে দিয়ে প্লাটফর্ম দেখিয়ে দিয়ে চলে যায়৷ কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেল। ভীড়ের কারণে তারা ট্রেন মিস করে ফেললো। চারদিকে পুলিশ হাঁটছে। পরের ট্রেন কখন আসবে তারা জানে না। এই টিকিট দিয়েই যাওয়া যাবে না-কি নতুন করে কাটতে হবে তাও জানে না৷ যদি নতুন টিকেট কাটতে হয় তাহলে মহাবিপদ৷ কারণ তাদের কাছে ইন্ডিয়ান কার্ড নেই৷ দালালকে যে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইবে সিমও নেই। এখানকার কার্ড ছাড়া সিম কিনতেও পাওয়া যায় না। দিলশাদ কয়েকজন যাত্রীকে ট্রেনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো। এরা কেবল বলল, ‘কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন মশাই।’
কিন্তু কাউন্টারের পাশে দালাল নিষেধ করেছে যেতে। সেখানে ক্লাবের ছেলেরা নজরদারি করে অবৈধ বাংলাদেশীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
দিলশাদ তাকিয়ে দেখলো তাদের থেকে খানিকদূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। লোকজন টিকিট দেখিয়ে ট্রেন সম্পর্কে জেনে নিচ্ছে। দিলশাদ সাহস করে পুলিশের দিকেই এগিয়ে গেল।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here