#প্রেমরোগ-২৮
#তাসনিম_তামান্না
ঘুম ভাঙ্গতেই কুয়াশা নড়চড় করতে পারছে না তাকে সাপের মতো পেচিয়ে আছে কিছু। পিটপিট করে চোখ খুলে প্রচন্ড মাথা ব্যথায় মাথায় হাত দিলো মুখের সামনে তুষারের ঘুমন্ত মুখ। শাট লেস হয়ে ঘুমিয়েছে। কুয়াশা কোনো কিছু না ভেবেই ভয়ে চিৎকার দিলো। তুষার একলাফে উঠে বসে চোখ কোচলে হাই তুলে মাথা চুলকে বলল
” সকাল সকাল কি শুরু করলে বলো তো ”
কুয়াশা কাল রাতের কথা ভেবে মাথা দিলো আবছা আবছা মনে পড়লো কাঁদো কাঁদো গলায় বলল
” আপনি এটা করতে পারলেন? ”
তুষার ভ্রু যুগল কুঞ্চিত হলো প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
” কি করেছি? ”
কুয়াশা তেতে উঠে বাজখাঁই গলায় বলল
” কি করেছেন বুঝতে পারছেন না। এভাবে আমার সুযোগ নিতে পারলেন? ”
তুষার এবার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ইনোসেন্ট ফেস করে বলল
” আমি কি করলাম? যা করার তো তুমি ই করলে ”
কুয়াশা ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে বলল
” আমি কি করেছি? ”
তুষার মুখ টিপে হেসে সিরিয়াস মুখ করে বলল
” তুমি তো সারারাত আমার ওপর কি কি জানি করলে ছিঃ ছিঃ মুখে আনতেও লজ্জা লাগছে। তুমি যে এতো রোমান্টিক জানতাম না তো আমার মতো ইনোসেন্ট একটা ছেলেকে পেয়ে এভাবে সুযোগ নিলে? ”
কুয়াশা তুষারের কথায় শুকনো ঢোক গিলছে। ছলছল চোখে তাকিয়ে বলল
” আমার কিছু মনে পড়ছে না ”
” তুমি ওসব অ শ্লী ল দৃশ্য পট মনে করতে চাও? ছিঃ”
কুয়াশার খেয়াল হলো তুষার মিটমিট করে হাসছে নিজের দিকে দেখলো জামাকাপড় ঠিক আছে যা বুঝার বুঝে গেলো দাঁতে দাঁত চেপে বলল
” শ য় তা ন ছেলে তুই অ শ্লী ল না হলে রাতে এঘরে থাকিস লজ্জা লাগে না ”
” আমি লজ্জা পেয়ে কি করবো? লজ্জা তো নারীর ভুসন। তুমি যা করলে কাল রাতে… ”
কুয়াশা রেগে তুষারের গ লা টি পে ধরলো। বলল
” যা করেছি বেশ করেছি আবার করবো ”
তুষার হেসে বলল
” তাই চলো তাহলে শুরু করা যাক ”
কথাটা বলে কুয়াশাকে ঠেলে বিছানায় শুয়ে দিয়ে ওষ্ঠ জোড়া মিলিয়ে দিলো… কুয়াশা হতভম্ব হয়ে বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে রইলো… জমে ফ্রিজ হয়ে গেছে নড়াচড়া শক্তি টুকু পাচ্ছে না। কাল রাতেই দৃশ্য পট চোখের সামনে ভেসে উঠলো কুয়াশাই তুষারের ঠোঁটে চু!মু খেয়েছিলো… তুষার কুয়াশার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো কিছুক্ষণ পর থেমে গিয়ে গায়ের কোট শার্ট খুলে কুয়াশাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো কুয়াশা আদো আদো চোখে সবটা অবলোকন করলো।
তুষার কয়েক মিনিট পর কুয়াশা কে ছেড়ে দিলো কুয়াশা তখনো বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে তুষারে দিকে। তুষার মুখ টিপে হেসে বলল
” তোমার ঠোঁ ট কিন্তু সেই টেস্টটি চকলেটের মতো খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে কি সফট এক দিন সত্যি সত্যি খেয়ে ফেলবো ”
কথাটা বলে চোখ টিপ দিয়ে লাফিয়ে উঠে চলে গেলো। কুয়াশার হুঁশ আসতেই ঠোঁটে হাত দিয়ে বিরবির করে বলল
” রাক্ষস একটা আমার ঠোঁ ট টা খেয়ে ফেলবে বললো। আমি না হয় কাল হুঁশ ছিল না তাই ওমন করেছি তাই বলে এভাবে স্বজ্ঞানে আমাকে ইয়ে করলো না মানে চু!মু খেলো? সকালে দাঁত মাজে নাই ইয়াক ছিঃ ”
কুয়াশা উঠে সাওয়ার নিলো। চুল মুছতে মুছতে ড্রাইংরুম এসে তুষারকে ব্রেকফাস্ট রেডি করতে দেখে বলল
” আজ অফিসে যাবেন না? ”
” না। বাই দ্যা ওয়ে সাওয়ার নিলে কেনো? আমাদের তো রাতে চু!মু ছাড়া কিছুই হয় নি। তুমি কি এর থেকে বেশি কিছু আসা করছিলে ”
কুয়াশা রেগে তুষারের দিকে টাওয়াল ছুঁ ড়ে মা র লো তুষার ক্যাচ ধরে হাসলো কুয়াশা বলল
” অ স ভ্য ই!ত!রা!মি করছিস আমার সাথে সবসময় আমার সব কিছু তেই দোষ খোজা বন্ধ করেন ”
” উহুম বন্ধ করবো না এটার মধ্যে একটা মজা আছে ওটা তুমি বুঝবে না আর আমার অ স ভ্য তা মি শুধু আমার বউয়ের সাথে… ”
ওদের কথার মাঝে কলিং বেল বাঝলো তুষার দরজা খুলতে গেলো কুয়াশাও কৌতুহল বসত পিছনে পিছনে গেলো এই ক’দিন হলো আসছে কখনো এবাড়িতে কাউকে আসতে দেখে নি। দোলনা নিয়ে এসেছে ২টা কুয়াশার খুশি দেখে কে লোকগুলো দোলনা দুইটা সেট করে দিয়ে চলে গেলে। কুয়াশা বলল
” আপনাকে এতো গুলো থ্যাংকিউ ”
” তুমি খুশি? ”
” হ্যা ”
” কিন্তু আমি শুধু থ্যাংকিউয়ে খুশি না আমার তো অন্য কিছু চাই ”
” কি চাই বলুন আমার কাছে থাকলে অবশ্যই দিবো”
তুষার এগিয়ে আসতে আসতে ঠোঁটে হাত দিয়ে দেখালো কুয়াশা ভয়ে দৌড়ে রুমে দরজা বন্ধ করে বসে রইলো তুষার শব্দ করে হেসে উঠলো বলল
” টেস্ট টা ভুলতে পারছি না বার বার পেতে ইচ্ছে করছে ”
” আমার পিছনে না লাগলে আপনার হয় না কি খেয়েছেন বলুন তো ”
” বউয়ের চু!মু খেয়েছি ”
কুয়াশার কাল রাতের কথা মনে পড়লো ও কি-না তুষারকে নিজের ইচ্ছে… এখন তুষার এটাই সুযোগ নিচ্ছে বার বার… না চাই তেই কুয়াশা হেসে ফেললো তার ই তো বর। কুয়াশা দরজা ওপাশ থেকে বলল
” আপনি অফিসে যান ”
” তাড়িয়ে দিচ্ছো? ”
” হ্যাঁ “.
” কিন্তু আমি তো যাবো না বউয়ের কাছে থাকবো। বউ আমাকে লু ই চ্ছা বলছিল কাল আমি লু ই চ্ছা মিতে পিএইচডি করছে। তার বউয়ের ওপরে আজ সারাদিন এপ্র্যালই করবো ”
” শ য় তা নে র হাড্ডি আমি আজ ঘর থেকেই বের হবো না ”
” খাবা না? ”
” না ”
” কেনো? আমার চু!মু তেই পেট ভরে গেছে? ”
” আপনি একটু থামবেন? সকাল থেকে চু!মু চু!মু করে যাচ্ছেন। আমার ভুল হয়েছে আমাকে মাফ করে দেন ”
তুষারের হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তুষার বিরবির করে বলল ” জব্দ করতে পেরেছি আজ ”
তুষার আজ সারাদিন কুয়াশাকে এটা ওটা বলে জ্বালিয়ে মে রে ছে। কুয়াশা বিরক্ত হলেও তুষার কে দমাতে পারি নি।
চলবে ইনশাআল্লাহ