★মেজেস্টার স্বামী★
part-9
writer- sarmin
মেজেস্টার,,,,,,,জাকে ভালবেসেছি সে আমার ভালবাসা – ভরসা রাখেনি
আমি,,,,,,,,তা হলে আমার সাথে এ নাটকিয়তার মানে কী
মেজেস্টার,,,,,,নাটকিয়তা তুমি ও কম করনি মেঘ।
আমি,,,,,,,মানে আমি আপনার সাথে কী এমন করলাম
বুঝলাম না।
মেজেস্টার,,,,,সে বুঝে তোমার লাভ নাই।
ওনি আমার মুখে বালিস মেরে আমায় নিচে ঘুমাতে বলেন।আমি আর ভাষা খুজে পেলাম না,সুধু চোখ দিয়ে পানি নিরবে বয়েই চলেছে।
আমি কখন ঘুমিয়ে পরলাম জানা নেই,ঘুম থেকে উঠে দেখি মেজেস্টার স্যার ঘরে নেই।আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম।
নিসি,,,,,কি বেপার ভাবি রাত কেমন কাটলো।
আমি ওকে কোন উত্তর দিতে পারলাম না,
নিসি,,,,জি হলো ভাবি কথা বলছনা কেন নাকি লজ্জা পেলে।
আমি,,,,,নানা নিসি এমন কিছু না। আসলে ভাবছি তুমি কালকে আমাকে বললে তোমার ভাইয়ার বউ দেখা হবে না,সেটা কেন।
নিসি,,,,,,আসলে ভাবি ভাইয়া না একটা মেয়ে কে অনেক ভালবাস তো,আর ঐ মেয়েটা ভাইয়া কে বিয়ে না করে অন্য একটা ছেলে কে বিয়ে করে নেয়। আর ভাইশা ওকে ভোলে থাকার জন্য বিদেশে চলে যায়।
মা- বাবা তো ভাইয়ার জন্য প্রায় মরে যাওয়ার অবস্তা,
তার পরে প্রায় পাচঁ বসর পর ভাইয়া দেশে আসে, বাবা ইস্টক করা কথা শুনে।
বাবা- মা সত বার বলার পরেও ভাইয়া বিয়ে করার জন্য রাজি হয়নি। তার পরে হটাত একদিন খাবার টেবিলে
বসে তোমাদের বিয়ের কথা জানায়।
বাবা- মা তো খুসি তে আত্তহারা ভাইয়ার বিয়ের কথা সোনে।
বাবা তোমাকে বাসায় নিয়ে আসার কথা জানায়।কিন্তু ভাইয়া বলে তোমার বাড়ি থেকে নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, তাই বাবা নিজে যেয়ে তোমায় নিয়ে আসে।
আমি,,,,,,আচ্ছা নিসি মেয়েটা কে সে কি তুমি জান।
নিসি,,,,,,না ভাবি, তবে মেয়েটার একটা ছবি আমি ভাইয়ার মোবাইলে ওয়াল পেপারে দেখেছি।মেয়ে টা দেখতে কিছুটা তোমার মত, আমি ত প্রথমে ভেবে ছিলাম তুমিই সেই মেয়ে পরে জখন শুনলাম তুমি HSC পরীক্ষা দেও তখন ভালাম সে তুমি না কারন সেই মেয়ে টা নাকি ভাইয়ার ক্লাস মেন্ট ছিল।
আমি,,,,,,,তাহলে সেই মেয়েটা তোমার ভাইয়া কে বিয়ে করলোনা কেন।
নিসি,,,,,,,তা তো আমি জানিনা ভাবি বরং ভাইয়া ও জানে না মেয়েটা এ মন কেন করলো।
আমি আর কিছু না বলে রুমে চলে আসলাম,আজ নিজেকে খুব অপরাদি মনে হচ্ছে।আমার জন্য একটা মানুষের ভালবাসার জগত নস্ট হয়ে গেল।
এমন সময় মেজেস্টার স্যার এর আগমন,
আমি,,,,,,আপনি কোথায় ছিলেন।
মেজেস্টার,,,,,,তোমার বাসায় জাব রেডি হয়ে নাও।
আমি,,,,,,,কেন।
মেজেস্টার,,,,,,তোমার বাবা ফোন দিয়েছে, তোমার মা তোমায় দেখতে চায়।
আমি তো খুসি তে আত্ত হারা,মা কে দেখতে খুব মন চাইছে, মায়ের কেছে সব কস্ট সেয়ার করলে মনে হয় কিছুটা সান্তি পাব।
আমি আর মেজেস্টসর স্যার আমাদের বাড়ি চলে আসলাম, আমি মা কে ধরে খুব কান্না করলাম, মা আমার কান্না দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলোনা।
আমি নিজি কে সামলে,,,,মা তুমি সুধু কান্নাই করবে নাকি আমাদের ভিতরে জেতে দিবে।
মা,,,,,আচ্ছা বাবা আয় বাবা তুমি ও আসো, আমি রুমে চলে গেলাম, মেজেস্টার স্যার বাবা এক সাথে বসে কথা বলেন।
আমি,,,,,,মা আপু কোথায় আপুকে দেখছি না।
আমি খেয়াল করলাম মেজেস্টার স্যার চারদিকে তাকিয়ে দেখছে আলো আপু কই।
আমি ভাবলাম হয়তো ফ্রেন্ড তাই। হয়ত আপু কে খুজছে।
মা,,,,,আলো বাসায় নেই,ওর কোন বান্ধবীর বাসায় গেছে,
তার কিছুক্খন পরে আলো আপু আসলো মেজেস্টার স্যার আপুকে দেখে কেমন আছে ওর স্বামী কই,,,,,,,ইত্যাদি জিগ্গাস করে,
খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই ঘুমাতে জায়, আমি রুমে যেয়ে দেখি মেজেস্টার স্যার রুমে নেই,ভাবলাম হয়তো
ছাদে গেছেন, আমি ঘুমিয়ে গেলাম। মধ্য রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।কিন্তু মেজেস্টার স্যার এখন রুমে আসেনি, তাই আমি ছাদে গেলাম গিয়ে যা দেখলা
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো।
মেজেস্টার স্যার আর আলো আপু এক সাথে জরিয়ে আছে।
মেজেস্টার স্যার বলছে,,,,আলো কে তুমি আমায় একা করে চলে গিয়ে ছিলে,আমি আজও তোমায় ভালবাসি,I love you আলো। আমি তোমায় ছারা বাচবো না।
চলবে,,,,,,,,,,,