#আপনিময়💓তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 17………
.
.
.
ইহান: হুমম ভালো থাকবেন…. আর আপনার মনের মত কাউকে নিয়ে সংসার বাধবেন। যাকে আপনার হাসবেন্ড হিসেবে মেনে নিতে সমস্যা না হয়… So misss. Sorry misss. Ex ihan…. ভালো থাকবেন……
বলে ইহান মোবাইল টিপতে টিপতে বেড়িয়ে গেল ইহান চলে যেতেই আনহা মেঝেতে বসে পড়ল। নিজেকে কেমন জানি লাগছে আনহার কাছে। কোনো অনুভুতি পাচ্ছে না আনহা। কি ঘটে গেল আনহার জিবনে। সত্যি কি ইহান ওকে ছেড়ে দিল……..
আনহা: সত্যি কি তোর লাইফে আমার আর কোনো জায়গা নেই ইহান। আমি নাহয় তোকে ভালোবাসি বলতে পারিনি কিন্তু তুই তো আমাকে ভালোবাসতি। এখন এতটাই বিরক্তির কারন হলাম তোর কাছে যে আমাকে এই ঘরে থাকতে দিতে তোর কষ্ট হচ্ছে।৷।
এভাবেই একভাবে বসে থেকে আনহা সারাটাদিন পার করে দেয়…..
,
,
,
,
,,
,
,
ড্রাইভার ইহানের কাছে ফোন দেয়……..
ইহান: ম্যাম কি চলে গিয়েছে…..
ড্রাইভার: না স্যার তাইত আপনারে ফোন দিলাম। আনহা মেডাম তো এখনো নিচে নামে নাই। ওইযে আপনি যাইতে বলছিলেন। আমি সকাল থেকে ওনার জন্য অপেক্ষা করছি কয়েকবার ডাকছিও কিন্তু ওনি নিচে নামেন নাই…….
ইহান: ওনাকে ডাক। যদি না আসে তখন আমাকে বলো…….
ড্রাইভার: আচ্ছা স্যার…….
,
,
,
,
,,
তারপর ড্রাইভার রুমে গিয়ে দেখে আনহা মেঝেতে একভাবে বসে আছে…………
ড্রাইভার: মেডাম….
আনহা:……
ড্রাইভার: ও মেডাম…..
আনহা এবার ড্রাইভারের দিকে তাকায়….
ড্রাইভার: স্যার আপনাকে বাসায় দিয়াইতে বলছে। আমি সেই সক্কাল থাইকা আপনার জন্য দাড়াই আছি আপনি কি যাবেন না???
আনহা:……..
ড্রাইভার: না গেলে স্যাররে বইলা দিমু আপনি যাইবেন না।
আনহা:……
ড্রাইভার: মেম কিছু তো কন নাইলে আমার চাকরি চইলা যাইব। স্যার আপনারে আপনার বাড়িতে দিয়াতে বলছে……..
কিন্তু আনহা কোনো রিসপন্স করল না। ওকে কিছু বলতে না দেখে ড্রাইভার ইহানকে কল দিল…….
ইহান: হ্যা বলো…..
ড্রাইভার: মেম তো কিছুই বলল না। যাইব কিনা জিজ্ঞেস করতে চোক্ষের পানি পরতে দেখলাম। মনে হয় যাইতে চায় না।
ইহান: ওকে আমি আসছি… 😡😡😡 [ প্রচন্ড রেগে ইহান গাড়ি নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গেল ]
,
,
,
,
,
,,
,
,খুব দ্রুত বাসায় এসে ইহান নিজের রুমে গেল। রুমে গিয়ে ইহানের মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল। সকালে ইহান আনহাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিল আনহা সেই জায়গায় সেইভাবেই বসে আছে…….
ইহান শব্দ করে রুমে ঢোকার কারনে আনহা বুঝতে পেরে ওর দিকে তাকায়….
আনহা: ইহান…..
ইহান ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আনহাকে খুব জোরে টেনে তুলে ওকে দেয়ালে ছুড়ে মারে। যার কারনে দেয়ালের সাথে বাড়ি খেয়ে প্রচন্ড ব্যাথা পায় আনহা। ব্যাথায় কুকড়ে উঠে……. সেদিকে ইহান কোনো খেয়াল না দিয়েই আনহাকে খুব শক্ত করে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নেয়…..
আনহা: কি করছিস লাগছে আমার…..
[ ইহানকে ছাড়াতে ছাড়াতে কিন্তু ইহানের শক্তির কাছে পরাজিত হয়। বরং ইহান আনহাকে আরো জোরে চেপে ধরে দেয়ালের সাথে…………
ইহান: আপনি এখনো এখানে কি করছেন😡😡😡
আনহা: ছাড় তুই আমাকে আমার লাগছে….
ইহান: সেটা আমার দেখার বিষয় না Miss.Ex Ihan Ahmad……[ দাতে দাত চেপে আনহার অনেকটা কাছে গিয়ে ]
আনহা: আমি বুঝতে পারিনি আমার এখানে থাকাতে তোর এতটা প্রব্লেম হতে পারে। যদি জানতাম তাহলে চলে যেতাম…. [ ইহানকে ধাক্কা দিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করল ]
কথাটা শুনে ইহানের রাগটা আরো বেড়ে গেল।
ইহান: হুমম সমস্যা বলেই তো আপনাকে সেই সকালে চলে যেতে বলেছি যাতে আপনার এই মুখটা আমাকে দেখতে না হয়।।।।
আনহা: সেটা বুঝতেই পারছি। আর এটাও যে আমার কত বড় ভুল হয়েছে….. আমার সকালে চলে যাওয়া উচিত ছিল…….
ইহান: বুঝতে যখন পেরেছেন তখন আমার মুখ না দেখে চলে যান। আপনার জন্য আপনার ভালোবাসার মানুষ অপেক্ষা করছে। আপনার দেরি হলে তাদের কষ্ট হবে। তার কাছে তো আপনাকে যেতে হবে। তা সে কি একজন ই…..
আনহা: ইহান….. মুখ সামলে কথা বল…..
ইহান: আওয়াজ নিচে মিস আনহা…. ভুলে যাবেন না আপনার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। আর এটা আমার বাড়ি। ভদ্রতার খাতিরে এখনো আপনি আমার সামনে দারিয়ে আছেন………
আনহা: এটাকে ভদ্রতা বলছিস….
ইহান: অসভ্যতা আপনি এখনো দেখেনি। আর আমি আপনার সাথে যে ভদ্রতা করছি আপনি সেটুকু ডিজাভ করেন না।😡😡😡 নাহলে এতক্ষনে আপনি…….
আনহা: চুপ কর ইহান….. আমাকে যেতে দে। মাফ চাইছি তোর কাছে ভুল হয়ে গেছে আমার চলে যাচ্ছি…… [ কান্না করে দিয়ে ]
ইহান: এই ন্যাকা কান্না আমাকে আর দেখিয়ে লাভ নেই আনহা। ভোলাতে পারবেন না। [ আনহার চোখের পানি আঙুল দিয়ে নিয়ে ]
আনহা: আমি কোনোদিন না তোকে ভোলানোর চেষ্টা করেছি আর না কোনোদিন করার প্রয়োজন হবে……..
ইহান: এখনো এতটা attitude… কিভাবে পারেন আপনি??? এতকিছুর পরও শুধুমাত্র নিজের জেদটা বজায় রাখার জন্য আপনি…. আপনার কাছে একটা মেয়ে হয়ে সংসার করার মত কিছুই নেই। যেটা আছে সেটা হচ্ছে useless কতগুলো ego & attitude….. যা নিয়ে আর যাই হোক সংসার করা যায় না।
আনহা:…….
ইহান: বেবি মিসক্যারেজ হওয়ার পরও আমি ভেবেছিলাম আপনাকে আর আমাদের সম্পর্ককে একটা সুযোগ দিব কিন্তু ভুল ছিলাম কারন বিগত ৩ মাসে আমার সাথে থাকার মত কোনো উৎসাহ আপনার মাঝে দেখিনি…….
আনহা ইহানের কথা শুনে ওর দিকে তাকায়…..
ইহান: yes miss anha…. কিন্তু আপনার মুখে একটা বারের জন্য শুনলাম না আপনি আমার সাথে থাকতে চান। এই ইহান আহমেদ জন্য মরে যাবে না। আপনার চেয়ে হাজার গুন বেটার কাউকে আমি ডিভাজ করি……
আনহা: আমি তোকে বলিনি আমার সাথে থাকতে তাহলে.….
কথাটা শুনেই ইহান আনহার গাল চেপে ধরে।
ইহান: তাইত ডির্বোস দিয়েছি আপনাকে। কারন আপনি আমার সাথে এখনো থাকতে চান না।।।
আনহা: ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি। এভাবে আমার সাথে মিসবিহেভ না করে আমাকে যেতেদে…..
ইহান: ভদ্র ভাবেই সকালে যেতে বলেছিলাম কিন্তু আপনার ভালো লাগেনি এতে আমার কি করার আছে……
আনহা: আর পারছি না আমি লাগছে আমার….. যেতে দে……
তারপর ইহান আনহাকে ছেড়ে দেয়…….
ইহান: ওকে তাহলে যান….
আনহা আর কিছু না বলেই চোখ মুছতে মুছতে বেড়িয়ে যেতে নেয়। তখনি ইহান আনহার হাতটা ধরে…… আর আনহা ইহানের দিকে ফিরে তাকায়….. ইহান নিচের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে…..
আনহা:…….. [ জিজ্ঞাসুর দৃষ্টিতে ইহানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ]
এভাবে কিছুক্ষন থাকার পর ইহান আনহাকে নিজের মধ্যে টেনে আনে…. খুব বাজে ভাবেই আনহাকে টাচ করে।
ইহান: আচ্ছা যাবার আগে একটা সত্যি কথা বলুন তো। আপনার কি একবারের জন্য মনে হয়না যে আপনি আমার সাথে থাকতে চান। আমার সাথে সংসার করতে চান…… যদিও এই কথাটা উত্তরটা আমার জন্য মেটার করে না। শুধু জানার ইচ্ছে ছিল আপনি কি ভাবেন। আর কেমন মেয়েকেই আমি ভালোবেসেছিলাম……. যার নিজের সম্পর্কের জন্য কোনো মায়াই হয়নি৷৷
আনহা:…..
ইহান: সে যাই হোক…. এখন আপনি চাইলেও আমি আপনার সাথে থাকব না।।। তবে আপনার জন্য একটা গুড নিউজ আছে…..
আনহা:…… [ জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে ইহানের দিকে তাকায়…… ]
ইহান: আমিও কিছুক্ষন আগেই জেনেছি….
আনহা: কিহহহ….
তারপর ইহান একটু মুচকি হেশে আনহার কানের কাছে যায়। তারপর বলে…..
ইহান: আপনার লাভার যার জন্য আপনি আমাকে ছেড়ে যেতে চেয়েছেন তার কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে….. [ মুচকি হেশে আনহার চুল সরিয়ে ]
আনহা অবাক হয়ে ইহানের দিকে তাকায়….
ইহান: আমাকে এভাবে দেখে লাভ নেই। আমি এবার কিছুই করিনি। ইনফ্যাক্ট আমি নিজেও শকড। আমার বউ মানে এক্স বউ যাকে পাওয়ার জন্য এতকিছু করল সে কিনা বিয়ে করতে যাচ্ছে। তা কেমন লাগছে আপনার। নিশ্চয়ই খুব ভালো…..
আনহা:…….
ইহান: আর কাকে বিয়ে করছে জানেন?? আচ্ছা শুনুন ওর অফিসের কলিগ সুন্দরী মারিয়াকে…. যার ধারে কাছেও জাননা আপনি…..
আনহা:…….[ মাথা নিচু করে ]
ইহান: আর এমনিতেও যে মেয়ের মিসক্যারেজ হয়েছে। ডির্বোস হয়েছে তাকে কেই বা নিজের স্ত্রী হিসেবে চাইবে। তাছাড়া বয়স তো কম নয়…. তা এখন কি করবেন??
আনহা:……
ইহান: আগে জানলে আপনাকে ডির্বোস দিতাম না। কারন এখন তো আপনার যাওয়ার জায়গায় নেই… কারন আদ্র তো আপনাকে বিয়ে করবে না।
আনহা: আমায় নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না।
ইহান: কেন নতুন কেউ আছে নাকি…..
আনহা: আর কতভাবে অপমান করবি তুই আমাকে। এবার তো রেহাই দে…
ইহান: [ রেহাই তো আপনি মৃত্যুতে পাবেন । এটা তো কেবল শুরু আপনাকে যে আরো অনেকিছু দেখতে হবে তবেই আমার শান্তি। ভেবেছিলাম এমনি ছেড়ে দেব কিন্তু আপনার এই ইগো বাধ্য করল আপনার পাপ্তিটা আপনাকে বুঝিয়ে দিতে ]
আনহা: আমি চলে গেলে সব সমস্যা মিটে যাবে তোর…. আমার জন্য কাউকে ভাবতে হবে না।
ইহান: হুমম যাওয়ার আগে এই রুমে আপনার যা যা আছে সবকিছু নিয়ে যাবেন। একটা সুতো যেন পরে না থাকে…….
আনহা: ঠিক আছে….
ইহান: আরেকটা কথা এর পর আমার কাছে আসার বৃথা চেষ্টা করবেন না। কারন আপনার ফ্যামিলিও তো একটা ডির্বোসিকে ঘরে রেখে দেবে না……
আনহা: ভয় পাস না। আমি ফিরব না তোর লাইফে… যদি কোথায় যাওয়ার জায়গা না থাকে তবে নিজেকে শেষ করে দেব তবুও এখানে আসব না। তুই নিঃচিন্তে থাক…
ইহান: আমি এসে যেন আপনাকে না পাই। আমি আপনার বাসায় ফোন করে বলছি আপনি যাচ্ছেন…..
আনহা:……
[ তারপর ইহান চলে যায়। আর আনহা একটা একটা করে নিজের সমস্ত কিছু নিয়ে ইহানের রুম আর ওর লাইফ থেকে যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে আসে। আসার আগে ভালোভাবে নিজের সংসারটাকে একবার দেখে নেয়….. কিন্তু মায়াটায় না জড়াতে চাইলেও যেন কাটিয়ে উঠতে পারছে না আনহা। তবুও সবটা ফেলে চলে আসে……
ড্রাইভার ওকে ওর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে চলে যায়……. আনহা বাসায় ঢোকার সময় কিছু শুনতে পায়…. বুঝতে বাকি থাকে না এটা ওর বাবার গলা…….
বাবা: ওই মেয়ে যেন কোনোভাবেই এই বাড়িতে না আসে। তাহলে কিন্তু আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।
মা: ও আমাদের একমাত্র সন্তান তাছাড়া ও যাবেই বা কোথায়….. [ কাদতে কাদতে ]
বাবা: কোথায় যাবে তা জানিনা। কিন্তু যে মেয়ে বিয়ের পর আরেক ছেলের জন্য নিজের স্বামীকে ছেড়ে দেয় নিজের বাচ্চাকে মারতে চায়। সেই মেয়ে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো.।।।।
কথাটা শুনে আনহার বুকে মোচর দেয়।
বাবা: ও যেখানে খুশি যাক কিন্তু এখানে যেন না আসে…….
মা: চুপ করো তুমি আগে ওকে আসতে দেও.।।। তাছাড়া আনহার কথাও তো শোনা উচিত…..
বাবা: কি শুনব বলত… ইহান ছেলেটা এতটাই ভালো ও এখন পর্যন্ত আনহার নামে কিছু বলে নি। কিন্তু আমি যা শোনার শুনেছি তাও আবার হাসপাতালে…..
মা: যাই হোক ওকে আগে আসতে দেও…
বাবা: ও আসার আগে যেন আল্লাহ আমাকে নিয়ে নেয়…… আমাকে যেন ওই মেয়ের মুখ দেখতে না হয়….
আর শুনতে পারল না আনহা। ও চলে আসে ওখান থেকে।
আনহা: আর কোন মুখে যাব আমি ওখানে। আমি চাইনা বাবা তোমাদের কিছু হোক ভুল যখন আমার তার মাসুল ও আমি দেব। নিজ হাতে যখন সবটা শেষ করিছি তখন তার দায় ও আমি নিজেই নেব। এই জিবনের বোঝা আর কাউকে বহন করতে হবে না।
.
.
.
.
.
….
..
..
আনহা পথের মাঝ বরাবর হাটতে থাকে। প্রায় অনেক রাত হয়ে এসেছে….. আর আনহা নিজের জীবনের সমীকরণটা মেলাতে থাকে। কোথায় যেন মিলতে গিয়েও মিলছে না।
আনহা: কি অদ্ভুত মানুষের জীবন। পাওয়া জিনিসের চাওয়াটাও যেন পুরন হয় না। সবটা যেন নিজে থেকে খেলে নিজে এসে চলে যায়…. ইহানকে হারিয়ে আজ সবটা হারিয়ে ফেললাম।
আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে আনহা…… চোখটা বন্ধ করতে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পরে…..
আনহা: কোথায় যাব আমি??? সবটাই তো ছেড়ে এসেছি। ইহান, বেবি আর সাথে আমার বাবা মাও। যা একসময় আমার ছিল আজ কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু হারিয়ে গেল।
কিছুক্ষন নিজের মনে ভাবে আনহা……
আনহা: আচ্ছা দোষ কি সবটা আমার ছিল। এতে কি অন্য কারো কোনো দোষ ছিল না। যার শাস্তি আমাকে একা পেতে হচ্ছে। কোথায় যাব আমি??? এভাবে আর যাই হোক একা একটা মেয়ে বেচে থাকতে পারে না। তাছাড়া ইহান ঠিকি বলেছে একটা ডির্বোসি মেয়েকে কখনো সমাজ মেনে নেয় না। আর আমি এভাবে থাকলে এই সমাজের কিছু লোক আমাকে ভালো থাকতে দেবে না…….. এখন কি করব আমি???
……. কিছুই ভেবে পায় না আনহা….
আনহা: আমি কি ইহানের কাছে ফেরত যাব। ইহান এতকিছুর পরও কি মেনে নেবে আমাকে। তাছাড়া ও তো বলে দিয়েছে ও আমার মুখ দেখতে চায় না। তাহলে কোন মুখে যাব আমি ওর কাছে। আমি গেলে কি ও আমাকে ফিরিয়ে দেবে…….
[ তখনি ইহানের তখনকার বলা কথা মনে পরে ]
আনহা: আমি কারো জিবনের বোঝা হয়ে কখনো থাকিনি। আর কোনোদিন থাকতে চাই না। নিজের বোঝা কাউকে দেওয়ার চেয়ে এই শরীরটাকে বোঝা থেকে মুক্তি দিয়ে দেব আমি….. আমি আমার কথা রাখব ইহান তোর কাছে হয়তো আর আমার ফেরা হবে না….. [ দুচোখের পানি ঝরতে থাকে…. ]
তারপর আনহা নিজের আশেপাশে খেয়াল না করেই রাস্তার মাঝ দিয়ে হাটতে থাকে। অনেক রাত হওয়ার কারনে তেমন গাড়ি নেই। আর যা চলছে তা প্রচন্ড গতিতে…..
আনহা আপন মনে হাটছে রাস্তার মাঝ দিয়ে তখনি রাস্তায় আনহার পিছন থেকে বিশাল এক ট্রাক গাড়ি আসতে থাকে…. কিন্তু আনহার ওদিকে খেয়াল থাকে না। রাতের কারনে ট্রাক ড্রাইভার আনহারকে দেখতে পায় না। হঠাৎ আনহা নিজের পিছনে প্রচন্ড আলোর ঝলকানি দেখতে পায়……..
কিছু বুঝে উঠার আগেই আনহার কাছে সবটা ঝাপসা হয়ে আসে…… কিছু একটার সাথে প্রচন্ড গতিকে ধাক্কা খেয়ে আনহা সেখানেই লুটিয়ে পড়ল….. মুহুর্তের মধ্যে চোখটা বন্ধ হয়ে গেল আনহার আর কিছু বলতে পারল না……
শুধু বড় কয়েকটা দীর্ঘ শ্বাস পরে থাকল আনহার…………..
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,,
,
,
,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]