🍁আরহাম🍁 #The_Innocent_Boy
#Writer-ফারহানা আক্তার রুপকথা
#পর্ব(৪৯)
_________
কেন জানি আরহামের খুব ভালো লাগছিলো মৃত্তির কন্ঠে গান শুনে। সে চুপচাপ শুনছিলো কিন্তু হঠাৎ মৃত্তি থেমে যাওয়ায় সে পিছনে ঘুরে তাকালো আর ধাক্কা খেল মৃত্তির সাথে।
-আহ্… এখানে কি করছো তুমি? (চিৎকার করে)
-“কি আবার করবো আপনার সাথে একটু ইয়ে মানে” বলেই মুচকি হাসতে লাগলো মৃত্তি। আরহাম চরম বিরক্ত মৃত্তির এমন আচমকা আচমকা কর্মকাণ্ডে তবে কেমন যেন ভালোও লাগে এসব দু,একদিন ধরে ।মৃত্তি আরহামের সামনে থেকে সরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো “আচ্ছা ঐ সময় কি যেন বলছিলেন বউ এর কাজ করা নিয়ে?
-কোন সময়?
-“ঐ তো বললেন না বউ হওয়ার শখ তো কাজ গুলো কেন করছি না?”
-আচ্ছা তো ভুল কি বললাম সকাল হয়েছে সবাই কিচেনে কাজ করছে তুমি কেন যাওনি? (আরহাম)
-আমি তো জানিই না কিচেন কোন দিকে বা সবাই কি করছে কোথায় আছে?(মৃত্তি)
আরহাম স্বাভাবিক স্বভাবে বলল “রুম থেকে বেরিয়ে সোজা ডানের শেষে যে ঘরটা সেটাই কিচেন।” মৃত্তি খুব খুশি আরহাম স্বীকার করছে সে এ বাড়ির বউ।মানে, একটা ব্যপার তো ক্লিয়ার খুব শিগ্রই আরহাম তাকে বউ হিসেবে মেনে নিবে।
মৃত্তি আলতো পায়ে বের হয়ে গেলো রুম থেকে। আরহাম বিছানায় বসে ভাবছে কি হচ্ছে তার সাথে! আজকাল মৃত্তিকে তার তেমন খারাপ লাগে না প্রথমবার মিরহাদের বোন শোনার পর যতোটা খারাপ লাগতো এখন তেমন লাগে না।বরং ভালোই লাগে যখন মৃত্তি পাগল টাইপ কিছু করে বা বলে। এমন ভালো লাগার কারণ কি এই সাইকোটাকে? “ওহ নো ভালোবেসে ফেলবো না তো আবার একে! আমি এতো ভয় পাচ্ছি কেন ভালোবাসলেই কি হবে আজ বাদে কাল আবার বিয়ে তার সাথেই তো।”আরহাম উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবছিলো এটা সেটা। কিন্তু তার মৃত্তির মতো একটা বউ থাকে সে কি কল্পনার জগতে বাস করতে পারে কখনো!
মৃত্তি রুম থেকে বেরিয়ে দো”তলায় কোথাও কিচেন খুঁজে পেলো না। তাই আবার দ্রুত পায়ে হেঁটে রুমে এসেছে। আর আসতেই আরহামের পিছন থেকে শার্ট ধরে একাধারে টেনে যাচ্ছিলো তাই বাধ্য হয়ে তাকে তার ভাবনার জগত ত্যাগ করতে হয়।
-কি হয়েছে এভাবে টানছো কেন এটা কোন ধরনের অসভ্যতা? (আরহাম)
মৃত্তি মুখটা কাঁচুমাচু করে বলল “অসভ্যতার কি হলো? আমি না রান্নাঘর খুঁজে পাচ্ছি না যদি একটু বলে দিতেন।” আরহাম এবার বসা থেকে উঠে সোজা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো মৃত্তিও কিছু বুঝতে না পেরে তার পিছু পিছু গেল। আরহাম নিচ তলায় গিয়ে বাড়ির একেবারে শেষ মাথায় গেলো আর সেখানে গিয়ে একটা রুমের সামনে দাঁড়ালো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা রান্নাঘর। মৃত্তি এবার একটু অবাকই হলো।
” কি আজব লোক মুখে বললেই তো হতো “। বিড়বিড় করে বলল মৃত্তি। কিচেনে মা,বড় মা,ছোট মা,আর শ্বাশুড়ি মা সবাই আছে কেউ সবজি কাটছে, কেউ রুটি বানাচ্ছে, কেউ আবার চায়ের ব্যবস্থা করছে। বাড়িতে বিয়ে বলে উৎসব উৎসব সাজ। সকাল থেকেই বাড়ির সাজসজ্জা চলছে সাথে সবার আমোদও একটু বেশি হচ্ছে। বাড়ির সবচেয়ে ইনোসেন্ট ছেলেটার বিয়ে বলে কথা। পুরো এলাকায় সকালেই রটে গেছে চৌধুরী বাড়ির সবচেয়ে শান্ত পোলাডা একলা একলা বিয়া করছে। শহরের মাইয়া বিয়া কইরা আনছে। আরহাম এর কানেও গেছে কথাটা যখন রোহান কে নিয়ে এলাকায় হাঁটতে বেরিয়েছিলো।তবে এটা রটে যাওয়ার মতোই তো ঘটনা। কেউ কি ভেবেছে প্রেমের বয়সে সমবয়সী বন্ধু -বান্ধব কে প্রেম থেকে বিরত রাখা ছেলেটাই আজ পরিণত বয়সে প্রেম করে বিয়ে করেছে। নিজের থেকে কমপক্ষে আট, দশ বছরের ছোট মেয়েকে। হ্যা, এলাকায় সবাই একযোগে বলে যাচ্ছে এটা প্রেমের বিয়ে নয়তো এমন হুট করে কেন হবে? লোক মুখ আটকানো সম্ভব না এসব ব্যাপার তিল থেকে তাল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আরহাম ভাবছে অন্য কথা, লোকেরা ধরে নিয়েছে আরহাম প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার তো এখন মনে হচ্ছে সে সত্যিই প্রেমে পড়ে যাচ্ছে এই সাইকো মেয়ের। কেমন করে যেন খুব আকর্ষণ করে মৃত্তির চোখ দু’টো।
তুবা চুটকি বাজালো আরহামের মুখের সামনে আর তৎক্ষনাৎই আরহাম এর ধ্যান ভাঙলো।
–কি দেবর মশাই কিচেনের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি স্বপ্ন দেখছেন? বউ কি রাতে আদর সোহাগ কম করেছিলো নাকি যে এখন বউয়ের পিছে একেবারে কিচেনমুখে এসে হাজির হয়েছেন? (তুবা)
— “তোমার কি মুখে কিছু আটকায় না ভাবী! ভাবো আমি কি তোমার বরের মত বউ পাগল নাকি?” কিছুটা লজ্জিত শোনালো আরহামের কন্ঠ আর মৃত্তিও অবাক। এই পাজি লোকটা আবার লজ্জাও পায় না’কি?
সকালের নাস্তা তৈরি হতেই সবাই মিলে টেবিলে খাবার সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। মৃত্তিও শ্বাশুড়িদের দেখাদেখি নিজেও এগিয়ে এলো কাজ করতে। কিন্তু বড় শ্বাশুড়ি মায়ের আদেশ বউ মা বিয়ের আগ পর্যন্ত কোন কাজ করবে না। বিয়ের পরদিন থেকে সব কিছু করতে হবে। আপাতত তাকে ভালো করে মাথায় ঘোমটা দিয়ে টেবিলের সামনে নিয়ে যাওয়া হবে।কারণ ছোট বাবা এখন অব্দি নতুন বউকে দেখেনি। সাথে দু’এক জন মেহমান এসেছে তারাও দেখতে চায় আরহামের বউকে।
নাস্তা শেষে বড় মা নিজে এগিয়ে এসে মৃত্তিকে পরিচয় করিয়ে দিলো।আরহামের মা আজ বড্ড খুশি তবে মিস করছেন নিজের স্বামীকে। লোকটা খুব জলদিই পরপারে চলে গেছে ওনাকে ছেড়ে। কি হতো আর কয়েকটা বছর পাশে থাকলে? এখনও তো নাতিনাতনির মুখটা দেখার সৌভাগ্য হলো না যদিও ছেলের বউ দেখেছে।
চোখের কোণে জল চিক চিক করছে ওনার।
সারাদিন হৈ-হুল্লোড় আর বউ দেখিয়েই কেটে গেলো সবার। আরহাম সকালে যে মৃত্তিকে দেখেছে তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দেখেনি। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমেছে ধরণীতে। আরহাম উসখুস করছে অনেকক্ষণ ধরে কিন্তু কেন তা নিজেই জানে না। মনে মনে মৃত্তিকে খুঁজছে একটু দেখতে। তার শূন্যতা খুব কড়া নাড়ছে বুকের ভেতর।
রোহান সবসময় এখানে আসলে খুব হৈ হুল্লোড় করে সারাদিন। কিন্তু এবার সে সারাদিন চুপচাপ ছিলো। আরহাম যেচে পড়ে অনেক কথা বলেছে কিন্তু তার রেসপন্স খুবই কম ছিলো। তার মনে হতে লাগলো রোহান বোধ হয় মিরহাদকে মিস করছে। মিস তো আরহামও করছে কিন্তু সে তার ভাব-ভঙ্গিতে প্রকাশ করবে না বলেই ঠিক করেছে।
জিনিয়া আর মৃত্তি সারাদিন তুবার সাথে ভালো আড্ডা দিয়েছে। এখন তারা তিনজন বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে আছে। যদিও তুবা বয়সে তাদের থেকে সিনিয়র। তাতে কি! ফ্রেন্ডশিপে বয়স কোন ম্যাটারই না।
রাতে ডিনার শেষে মৃত্তি রুমে চলে এসেছে আর জিনিয়া আজও আরহামের মায়ের সাথে ঘুমিয়েছে। কালও ওনার সাথেই ছিলো।
মৃত্তি একবার আশে পাশে দেখে নিলো আরহাম রুমে নেই। সে দ্রুত বিছানা পরিপাটি করে মাত্রই শুতে যাচ্ছিলো। তখনি আরহাম রুমে ঢুকলো শুধু মাত্র ট্রাউজার পরিহিত। কিন্তু এ’কি! গা খালি। সে তো রুমে এসেছিলো যখন তখন টি শার্ট পড়নে ছিলো। মৃত্তির চোখ আরহামের খালি বুকটাতে পড়তেই সে কেমন শিউরে উঠলো, হালকা একটা ঝাঁকুনি অনুভব করলো। লজ্জা লজ্জাও লাগছে তার কিন্তু আরহামের এ নিয়ে কোন হেলদুল নেই। তাকে এভাবে দেখে কেউ লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছে তাতে তার কোন মাথাব্যাথা নেই।
“আচ্ছা এই ব্যাটা কি বুঝে না এমনে কইরা একটা মাইয়ার সামনে ঘুইরা বেড়ানো অপরাধ। শুধু অপরাধ না ঘোর অপরাধ এই ব্যাটা বোঝে না ক্যা।”মনে মনে বলে চলছে মৃত্তি কথা গুলো।
আরহাম আলমারি থেকে একটা টি শার্ট বের করছিলো তখন আলমারির লাগোয়া মিররে চোখ গেলো।মৃত্তি কেমন স্থির মূর্তির ন্যায় দৃষ্টি নিচু করে বসে আছে। যেন এ ঘরে আরহাম ছাড়া দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি উপস্থিত নেই। আর তার ফোলা ফোলা গাল দুটো স্থির অবস্থায় কেমন ব্লাশ করছে তবে কি সে লজ্জা পাচ্ছে! কিন্তু লজ্জা কেন পাবে ?
— কি হলো তুমি তো ঘুমুতে নিচ্ছিলে তাহলে এরকম হঠাৎ মূর্তি হয়ে রইলে কেন? (আরহাম)
মৃত্তি চুপ কোন জবাব দিচ্ছে না। আরহাম আবার জিজ্ঞেস করলো একই কথা এবার মৃত্তি চোখ উঠালো। আরহামের মুখ থেকে চোখ বুকে যেতেই সে আবারও চোখ নামিয়ে নিলো “কিছু হয়নি আমি ঘুমুচ্ছি ”
-“বসে বসে ঘুমাচ্ছো নাকি…. ” হঠাৎ আরহামের মনে হলো মৃত্তি তার দিকে তাকিয়েই কেমন যেন আবারও ব্লাশ করছে। আরহাম এবার নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেই বোকা বনে গেলো “শিট… আমি খালি গায়ে এজন্যই সে এতো লজ্জা পাচ্ছে । ”
কিন্তু এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে খুব তো বর বর করে আর বরের শরীর দেখে লজ্জা পায়। বাহ্ সত্যি সত্যি বরদের মতো ব্যবহার করলে তো মনে হয় এ মেয়ে আজি পালিয়ে যাবে।আরহাম বিড়বিড় করে বলছিলো তখনই আবার মনে পড়লো সেই রাতের কথা। সেদিনও তো বরদের মত কাছে যেতে সে নিজেই আক্রমণ করেছে যার জন্য আরহামকে নিজেই ছুটে পালানোর চেষ্টা চালাতে হয়েছে। আরহাম এবার কথা গুলো মনে করে একা একাই হাসতে লাগলো। মৃত্তি হালকা একটু ঘাড় উঁচিয়ে আরহামকে দেখলো। এ’কি এই ব্যাটা এমনে হাসে ক্যা ভূতে ধরলো নাকি? মৃত্তির হঠাৎ খেয়াল হলো আরহামের গালের খাঁজ কাটা টোল এর গর্ত দুটো অনেক গভীর হয়ে গেছে। এই লোকটাকে সে প্রথম দেখায় পছন্দ করেছিলো। ভালোবাসা কি বা সে ভালোবাসে কিনা আজও জানে না। শুধু জানে এই দুটো টোল তাকে খুব টানে খুব ইচ্ছে হয় একবার তর্জনী রেখে এর গভীরতা মাপতে। মৃত্তির জীবনের ডিকশনারিতে ভালো লাগার বেস্ট সমার্থক শব্দ হলো কেরাশ(ক্রাশ)। আর এই কেরাশ সে এর আগে বহু ছেলের ওপর খেয়েছে। তার সেই কেরাশ লিস্টে রোহান স্যারও ছিলো। কিন্তু এই লোকটা তার কেরাশ লিস্ট টপকে আরো ওপরে চলে গেছে। আর আজ এই মুহুর্তে তার মনে এক ভয়ংকর ইচ্ছা জাগ্রত হচ্ছে। মৃত্তি যখন বসে বসে এসব ভাবছে আরহাম তখন টি শার্ট গায়ে দিয়ে বিছানায় এসে শুয়ে পড়েছে। রুমের লাইট অফ করে সে একবার মৃত্তি কে দেখে নিলো। সে এখনও মূর্তিমান। তাই চুপচাপ টেবিল ল্যাম্প অন করে শুয়েছে। এবার মৃত্তির যতক্ষণ মন চায় থাকুক বসে তার কি। টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে রুমটাতে মৃত্তি প্রায় আধ গন্টা বসে থাকার পর তার ভাবনায় ছেদ ঘটলো মোবাইলে ভাইব্রেট হওয়ায়। চোখ তুলে একবার আরহাম কে দেখে নিলো সে ঘুমুচ্ছে এবার সে মোবাইল হাতে নিয়ে চেইক করলো। নম্বর অচেনা কিন্তু কই কোন কিছুই লেখা নেই যা আছে শুধু কিছু আশ্চর্যবোধক চিহ্ন!!!!!!!!!!!!!!!!।
মৃত্তি কারো প্রাঙ্ক ভেবে মোবাইলটা রাখতে নিলো তখনি আবার মেসেজ এলো তবে এবার মেসেজটা জিনিয়া করেছে। মৃত্তিকে একটু তার রুমে যেতে বলেছে সেও মোবাইলটা বেড সাইড টেবিলের ওপর রাখলো। তারপর শাড়িটা একটু ঠিক করে টেবিল ল্যাম্পটা অফ করতে আরহামের সাইডে যায়। চোখ পড়ে আরহামের গালে। লোকটা ঘুমের মধ্যেও কি হাসছে নাকি! এখনও টোল দৃশ্যমান তার গালে। কি অবাক কান্ড এই ল্যাম্পের মৃদু হলুদ আলোটায় এই ফর্সা খোচা দাঁড়িওয়ালা গালটা কেমন আকর্ষণীয় লাগছে। মৃত্তি হয়তো ভুলেই গেছে জিনিয়া তাকে ডেকেছে। সে তো টোলের আকর্ষণে সম্মোহিতো হয়ে যাচ্ছে। এবার তার সেই ভয়ংকর ইচ্ছেটা একেবারেই অদম্য হয়ে উঠলো। সে ভালো করে দেখে নিলো আরহামকে।নাহ, ওনি তো পুরোপুরি ঘুমিয়ে গেছেন মনে হচ্ছে। মৃত্তি তার ডান হাতের তর্জনীটা ধীরে ধীরে আরহামের গালের কাছে নিয়ে হালকা করে টোলের মধ্যে রাখলো। আঙ্গুল যখন টোল স্পর্শ করলো মৃত্তি যেন কেঁপে উঠল। তবে ভয়ে নয় এক অন্যরকম এক ভালো লাগায়। আস্তে আস্তে হাতটা আরহামের গালে রাখলো। না সে নড়ছেও না তার মানে কি ওনি পুরো ঘুমে এখন? ভাবতেই মৃত্তি আলতো করে চুমু খেলো। তারপর বসা থেকে সোজা দাঁড়িয়ে গেলো সে।
এ’কি করে বসলো সে মনে হতেই এক ঢোক গিললো। যদি উনি ওঠে এখন বকা দেন! হায় আল্লাহ এইডা কি করলাম বলেই মৃত্তি দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। জিনিয়ার রুমে ঢুকে রীতিমতো সে হাঁপাতে লাগলো।
আরহাম শোয়া থেকে উঠে বসে আছে তার বাম হাত বাম গালে। কি করলো মৃত্তি এটা তাকে চুমু খেলো? সিরিয়াসলি! চুমু তা আবার এতোটা আলতো আদরে। কেমন কেমন অদ্ভুত শিহরণ জাগছে মনে। আপন মনে হেসে উঠলো আরহাম । ভাইব্রেট হলো আবারও মৃত্তির মোবাইল চোখ পড়লো আরহামের তাতে। কোন মেসেজ এসেছে কিন্তু এতো রাতে কে মেসেজ করলো? আরহাম মোবাইলটা হাতে নিয়েছে দেখতে তখনই আবার ঘরে প্রবেশ করলো।
চলবে
(বুঝতে পারতেছি না সারপ্রাইজটা সবার জন্যই সারপ্রাইজ হবে কিনা তবে সেটা রাত ১০ টায় পাবেন। ১০টায় চোখ রাখবেন পেইজে ইনশাআল্লাহ যথা সময়ে পোস্ট করে দিবো)