হৃদয়ের_ওপারে_তুমি #গল্প_ভাবনায়_ফারজানা_ইয়াসমিন_রিমি (আপু) #লেখিকা_রিয়া_খান #পর্ব_৯

0
521

#হৃদয়ের_ওপারে_তুমি
#গল্প_ভাবনায়_ফারজানা_ইয়াসমিন_রিমি (আপু)
#লেখিকা_রিয়া_খান
#পর্ব_৯

মাথা তুলে তাকানোর কয়েক সেকেন্ডে অভ্রর দৃষ্টি শক্তি যেনো অসাড় হয়ে এলো।মস্তিষ্ক কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কাজ করা বন্ধ করে দিলো।
ফুলের দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আছে অভ্র। আর ফুল সেও একই রকম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে স্ট্যাচু হয়ে আছে।পাশে অনু ফুলের হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলো, অভ্রকে কিছু একটা বলতে যেয়েও থেমে গিয়ে ফুল আর অভ্রর ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করলো।এদের দুজনের ভেতর কিছু একটা যে চলছে সেটা বুঝতে পারছে স্পষ্ট।

অনু হাল্কা করে আলতো হাতে ফুলের হাতের মধ্যে শুঁড়শুঁড়ি দিতেই ফুলের ঘোর কাটলো। অভ্র এখনো একই দৃষ্টিতেই তাকিয়ে আছে,একবারের জন্যও পলক ফেলে নি,যেনো পলক ফেললেই ফুল হারিয়ে যাবে।
ফুল চোখ সরিয়ে দুষ্টুমি করে বললো,
-পড়েনা চোখের পলক! কি আমার রূপের ঝলক!
অনু ফিক করে হেসে দিলো,
অভ্র চোখ পিটপিট করে নজর সরিয়ে ব্লাশিং মুডে উত্তর দিলো,
-এতোটা সুন্দর না লাগলেও পারতে !
-কেনো?কেনো?
-নামের সাথে তোমার রূপটা মিলছে না। ফুল তোমার পায়ের নখের ও যোগ্য না। হুর হলে মানাবে।
-এ জীবনে হায়! আর কতো নাম কামাবো ভাই?
-সত্যি বলছি, তোমার এ সুন্দর্য্য ফুলকেও হার মানায়।আমি পরীকে দেখি নি হুরকেও দেখি নি যা বর্ণনা শুনেছি তাতে হুরের রূপের সাথে তোমার কোনো তফাৎ নেই।

অভ্রর মুখে থেকে এসব কথা বের হচ্ছে অনু বিশ্বাস করতে পারছে না।পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অনু কাশি দিতে লাগলো, যাতে ওর কাশির শব্দে অভ্র বাস্তবতাই ফিরে আসে।

অভ্র চোখ বন্ধ করে একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিয়ে চোখ খুলে তাকালো।
-তোমরা এদিকে কি মনে করে এসেছিলে?
উত্তরে অনু বললো,
-আরে আমি এসেছিলাম তোমার কাছে একটা দরকারে।
-কি দরকার বোন?
-কয়টা ছবি তুলে দাও না।সাজুগুজো করেছি দেখছো না।একটু পর তো সবাই বের হবো জার্নি করে যদি আবার সাজ নষ্ট হয়ে যায়!

– ঠিক আছে চলেন,দিচ্ছি ছবি তোলে।
-চলো ফুল ওদিকটাই যাই।
হাত দিয়ে দেখিয়ে অনু উল্টো ঘুরে যেতে লাগলো,অভ্র ফুলের কাছে ঘেঁষে মাথা নিচু করে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো,
-যাবে আমার সাথে?
ফুল উত্তর না দিয়ে অভ্রর দিকে তাকিয়ে বললো,
-ভাইয়া আপনাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি আপনি এই কথা আর বলবেন না।
-আরে নেগেটিভ নিচ্ছো কেনো। আমি বলতে চাইছি কনের বাড়ি হলুদ দিতে যাবে নাকি আমার সাথে।
ফুল চোখ কুঁচকে তাকালো অভ্রর দিকে, ওদিকটা থেকে অনু অভ্রকে ডাকতে লাগলো,
-ভাইয়া আসো না।
-আসছি ওয়েট।
-চলো তোমারও দুটো ছবি তুলি।
-কেনো?
-তুমি তো আর আমার সাথে যাবে না তাই ছবিই নিয়ে যাই তোমার।
ফুল দাঁতে কিড়িমিড়ি করে রাগ দেখিয়ে বললো,
-ভাইয়া!!

অভ্র হাসতে হাসতে ফুলের সামনে থেকে চলে গেলো।

পেছনে দাঁড়িয়ে ফুল ঠোঁট টিপে মুচকি হেসে দিলো। এটিটিউড এর খাতিরে একটু একটু রাগ দেখাতে হয় ই। রাজপুত্র নিয়ে গেলে কি আর মানা করা যায়?মনে মনে তো রাজিই।

অভ্র অনুর ফটোগ্রাফার হয়ে আছে এই মুহুর্তে। অভ্র ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারে বলে ওর কাছে আসে সবাই।অয়নী, বৃষ্টি, মীরা বের হতেই অভ্রকে সামনে পায় আর অভ্রকে ফোর্স করে ছবি তুলে দেয়ার জন্য।

বাধ্য হয়ে সবার ছবি তুলে দিতে হচ্ছে।অনুকে অভ্র চোখ দিয়ে ইশারা করলো যেনো ফুলকে সাথে নিয়ে ছবি তোলে।
অনু ফুলকে নিয়ে ছবি তোলার পোজ নিলেও অভ্র শুধু ফুলের ছবিই তুলছে।এটা অনু দেখতে পারলে অভ্রর কপালে শনি আছে।

বাড়ির ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে বেশ কয়েকটা ছবি তুললো।

এক ফ্রেমে অভ্ররা সব বন্ধু বান্ধুবী আর ফুল অনুকে নিয়ে ছবি তুললো।এই ছবি গুলো ভিডিও ক্যামেরা ম্যান তুলে দিচ্ছিলো।এরপর আশিক ও এসে ওদের ছবির ফ্রেমে যোগ দিলো।

অভ্র ফুলের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো, সবাই ছবি তোলার জন্য পোজ নিয়েছে এমন সময় ফুলের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে অভ্র বললো,
-যাবে?
ফুল হাসি আটকে চোখ বন্ধ করে ফেলে আর সেই সময় ই ক্যামেরা ম্যান ফটো ক্লিক করে ফেলে।ফুলের এই এক্সপ্রেশন ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়।

শেষ বিকেলের দিকে কনের বাড়ি হলুদ দেয়ার উদ্দ্যেশে বেরিয়ে যায় সব যুবক- যুবতীরা।বাড়িতে থেকে যায় বয়স্ক মুরব্বীরা, শুধু মামা আর ফুপা যায় সাথে।ছেলেদের মধ্যে আশিক থেকে যায়, মেয়েদের মধ্যে সুমাইয়া থেকে যায়।বেচারি এমন সময় প্রেগন্যান্ট যে দেবরের বিয়েতে ঠিক মতো মজাও করতে পারছে না। সুমাইয়ার জন্য কবিতা, সুলতানা, ঐশীও যেতে চায় না, ওকে রেখে খালি খালি লাগবে ভেবে। কিন্তু সুমাইয়া ওদের জোর করে পাঠিয়ে দেয়।

সবাই হলুদ দিতে চলে গেলো কনের বাড়ি।
বিয়ে বাড়ি মানেই ছেলে পক্ষের ছেলেদের উদ্দ্যেশ্য কনের বাড়ির মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করা। অবন্তীর বেশ কয়েকটা কাজিন আছে খুব সুন্দরী, আকাশরা প্ল্যান করলো কোনো মতে আজ ওদের সাথে পরিচয় হয়ে বিয়ের দিন এসে পটানো যাবে। এরা সহজেই পটে যাবে এটা তো শিউর ওদের ফ্রেন্ড সার্কেলের শুধু অভ্রই না প্রত্যেকেই দেখতে খুব সুন্দর আর অবস্থাশালী ঘরের ছেলে মেয়ে।

কিন্তু এইখানে এসে অভ্রর কোনো বদমতলব নেই, ও শুধু ফুলকে আর অনুকে পাহারা দিয়ে রাখছে যেনো এবাড়ির কোনো ছেলে ওদের পিছু না লাগে।

কনের বাড়িতে হলুদ দেয়া শেষ হতেই সন্ধ্যার একটু আগে ওরা বাড়ির উদ্দ্যেশে চলে এলো।আসা যাওয়ার রাস্তা মাত্র ৩০ মিনিটের।এদিকে কোনো জ্যামে না পড়ায় জার্নিতে কোনো সমস্যা হয় না।

ওরা বাড়ি ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায় আর কনের বাড়ি থেকে আসা অতিথীদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুতি নেয়।

মেয়েরা রাস্তায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ফুল চকলেট মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করে।
ভেতরে প্রবেশ করতেই তাদের খাবার দাবারের আয়োজন।

ছেলেরা আশিককে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দেয়। হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলো।
কনের বাড়ির লোক আশিকের গায়ে হলুদ লাগিয়ে কিছুক্ষণ আমোদ ফূর্তি করে চলে যায়। তাদের বিদায় দিয়ে ফুলদের বাড়ির মানুষ নিজেদের মতো করে মজা করতে লাগলো।

কনের বাড়ির লোকেরা চলে যাওয়ার পর হলুদ অনুষ্ঠানে খানিকটা বিরতি নিলো,কিছুক্ষণ পর থেকে ছেলের বাড়ির লোকেরা তাদের ছেলেকে হলুদ দেবে, আর নাচ গানের আসর জমাবে।

বাগানের যে সাইডটাতে বেশি ফুল গাছ সেখানে আরো ফুল কিনে ফটোশ্যুট করার জন্য আলাদা করে সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। ফুলরা ফ্যামিলি ফোটো তোলবে বলে সবাই একসাথে পাশাপাশি দাঁড়ালো। এদের ফটোগ্রাফার অভ্র আর সমুদ্র, ওদের ক্যামেরাতে ছবি তুলছে।

কিন্তু সবার মাঝে ফুল মিসিং খানিকটা দূরে ফুলকে দেখে কবিতা ডাক দিলো,
-পরী!
ফুল পেছনে ঘুরে তাকালো,
-এদিকে আসো।
কবিতা বলার সাথে সাথে ফুল ওদের দিকে আসতে নিলো, সবার সামনে আসতে না আসতেই শুকনো জায়গায় ফুল ধপাস করে পড়ে গেলো,কেউ ভাবতেও পারে নি ফুল এভাবে পরে যাবে।বাপ ভাইরা সামনে থাকতেও ফুল এভাবে ধপাস করে পড়ে গেলো,এটা তো খুবই অগ্রহণীয় ব্যাপার। পরিবেশ একদম থ হয়ে গেলো,ফুল মাথা তোলে উপরের দিকে বাবার চোখের সাথে চোখ পড়তেই ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো।ভাইয়েরা ফুলকে দাঁড়া করালো সাথে সাথে,
-বোন ব্যাথা পেয়েছিস, কিচ্ছু হবে না বোন সেড়ে যাবে।
-অ্যায়য়ায়া আমি বলেছিলাম শাড়ী পড়বো না,জোর করে পড়িয়ে দিলে,তোমাদের জন্য আমি পড়ে গেলাম ইহু ইহি ইহি….. অ্যায়ায়ায়ায়ায়…!

ফুল ভ্যা ভ্যা করে বাচ্চাদের মতো কেঁদে যাচ্ছে অনু সমুদ্র গভীর পর্যবেক্ষণের সাথে ওর কান্না করা দেখে যাচ্ছে, কেমন বাচ্চাদের মতো করে কাঁদছে ফুল।
কাঁদতে কাঁদতে সবাইকে বকছে শাড়ী পড়ার জন্যই পড়ে গিয়েছে বলে ফুল দাবী করছে।
শাড়ীর দোষ দিয়ে কি লাভ। আজ তো প্রথম পড়ে যায় নি, সব সময় শুকনো প্লেসে ধপাস ধপাস পড়ে যাওয়া ফুলের জীনগত সমস্যা। এখন তো ফুল ব্যাথা পেয়ে কাঁদছে না লজ্জা পেয়ে কাঁদছে।
সবাই বলে কয়ে ফুলকে থামালো।বাড়িতে নিয়ে সুলতানা ফুলের শাড়ী খুলে দিয়ে একটা লেহেঙ্গা পড়িয়ে দেয় শাড়ীর মতো করে।চোখের পানি মুছে দিয়ে সাজটা ঠিক করে দিলো,চুলটা যেমন বাঁধা ছিলো তেমন ই রাখা হলো।

আস্তে আস্তে রাত বেড়ে যাচ্ছে হলুদ দেয়ার পর্ব শেষ হতেই, শুরু হলো নাচ গানের অনুষ্ঠান।নাচ গানের জন্য আলাদা একটা স্টেজ করা হয়েছে খুব সুন্দর করে, বড় বড় কনসার্টে যেরকম করে সাজানো হয় সেরকম করে লাইটিং করে সাজানো হয়েছে।এখানে নাচ হবে আর যে গান গাইবে স্টেজে বসে বা দাঁড়িয়ে গান গাইবে।
ফুল,অনু, নিয়াজ, আমান সোফায় বসে আছে আশিকের পাশে।

অভ্র ওদের আছে ওর ফ্রেন্ড সার্কেলের সাথে বসে।হলুদ দেয়ার পর্ব শেষ হতেই নাচ গানের অনুষ্ঠান শুরু হলো। ফুল আর অনু দুজন মিলে অ্যাংকারিং শুরু করলো সবার সামনে।

একটা ঝুড়িতে লটারি রাখা হয়েছে লটারিতে যার নাম আগে আসবে সেই এসে পারফরমেন্স করবে।ফুলের হাতে ঝুড়ি থেকে একটা লটারি আমান হাতে নিলো, আর সেইটা অনুর হাতে দেয়ার পর অনু খুলে দেখলো, সেটাতে মীনা বর্ষার নাম ওরা যৌথভাবে নাচবে ।
এনাউন্সমেন্ট শেষে ওরা এসে “Barso re
megha megha” গানে নাচতে লাগলো।দুজনে খুব সুন্দর করে নাচছে।

ওদের পালা শেষ হতেই এলো আয়মান আর কবিতার পালা, দুজনে জুটি বেঁধে কোনো রকম নাচ করলো।সুমাইয়ার নাম আসতেই বসে বসে সুন্দর একটা গান করলো।

এরকম পর্যায়ক্রমে সবার নাম।আসতে লাগলো, সবাই যে যেটা পারে নাচ গান করে যাচ্ছে বাদল বকুল হাস্য কৌতুক করে।অনেক্ষণ পরে এলো অভ্রর নাম। স্টেজে গিয়ে একটা চেয়ারে বসে হাতে গিটার নিয়ে গান গায়তে শুরু করলো,

তুমি আসবে বলেই
তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি
তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝরে যায়নি
তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি
তুমি আসবে বলেই অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি
তুমি আসবে বলেই চৌরাস্তার পুলিশটা ঘুষ খায়নি
তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই জাকির হুসাইন ভুল করে ফেলে তালে……
…………………………..

অভ্রর গাওয়া গানের সাথে ফুল একদম মিশে হারিয়ে যায়।প্রতিটা সুরের মাঝখানে ডুবে যায়। গান শেষ হতেই সবাই জোরে করতালি দেয়া শুরু করে।আর করতালির আওয়াজে ফুলের ঘোর কাটে, তখন নিজেও সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাত তালি দিতে থাকে। অভ্রর গান শেষ হলেও অভ্র উঠে আসে না কারণ সবাই মিলে খুব রিকুয়েস্ট করে আরেকটা গান শুনানোর জন্য, বাধ্য হয়ে আরেকটা গান গাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও শর্ত দেয় আশিককে বাঁশি বাজাতে হবে সাথে থেকে।আশিক রাজি হয়ে যায় অভ্রর পাশে বসে বাঁশির সুর তুলে,অভ্র গান গাইতে শুরু করলো কণ্ঠস্বর মোটা করে গলা ছেড়ে।

আমার ভিনদেশী তারা,
একা রাতের ই আকাশে।
তুমি বাজালে একতারা,
আমার চিলেকোঠার পাশে।
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে,
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে।
মুখ লুকিয়ে তার বুকে,
তোমার গল্প বলো কাকে?

আমার রাত জাগা তারা,
তোমার অন্য পাড়ায় বাড়ি।
আমার ভয় পাওয়া চেহারা,
আমি আদতে আনাড়ী।……….
……………………..………………………………………………

এতো সুন্দর করে গান গাইছিলো অভ্র সবাই ওর গানের মধ্যে ডুবে যাচ্ছিলো।
একদম অরজিনাল কন্ঠের মতো করে গান গাইছিলো।
গান গাওয়া শেষ হতেই অভ্র উঠে আসে সবাই আবার কড়তালি দিয়ে উঠে।

-বাহ রাজপুত্রটা এতো ভালো গান গাইতে পারে জানা ছিলো না তো! রাজপুত্ররা হয়তো এমনই হয়।সব গুণে ভরপুর। দেখতেও যেমন গুণেও তেমন!

মনে মনে কথা গুলো ভেবে ভেবে যাচ্ছে ফুল।
চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here