#শেষটা_সুন্দর
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব___০৩
‘তোরা দুজন একরুমে দরজা বন্ধ করে কি করছিলি রে?তরী, তুই বরযাত্রীর সাথে যাসনি?’
তরী তৎক্ষনাৎ উত্তর দিতে পারলো না।তার হাত পা কাঁপছে।চেহারায় বিধ্বস্ত ভাব!মমতাজ বেগমের সন্দিহান দৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁর হাত ধরে রুমের ভেতর টেনে নিয়ে গেল সে।জানালার দিকে এগিয়ে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
‘ফুপি, নির্ঝর ভাই!’
নির্ঝরকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে মমতাজ বেগম তব্দা মেরে গেলেন।নির্ঝরের হাত দুটো রক্তে রঞ্জিত!তিনি মুহুর্তে সব বুঝে ফেললেন।মন কু ডাক গাইছে।একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে চোখের সামনে যেন!তিনি দ্রুত মেঝেতে বসে নির্ঝরের মাথাটা উঁচু করে বললেন,
‘তরী,নির্ঝরের কি হয়েছে?এই নির্ঝর!কথা বল।কি হয়েছে?’
নির্ঝর আধ খোলা চোখ মেলে এক পলক মমতাজ বেগমকে দেখলো।বিড়বিড় করে কিছু একটা বলার চেষ্টা করে ঝিমিয়ে গেল।
তরী হাতের কাছে থেকে একটা ওড়না এনে কম্পমান হাতে নির্ঝরের পাশে বসে মাথাটা শক্ত করে বেঁধে দিল।ফুপির দিকে চোখ পড়তে চোখের দৃষ্টি অসহায় হয়ে আসলো।যেন বলতে চাইছে,ভুল হয়ে গেছে আমার!এতটা আঘাত করতে চাইনি!
মমতাজ বেগম তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেলে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে অনেক কিছু বুঝে ফেললেন।কিন্তু?তার মন সায় দিচ্ছে না।নির্ঝরকে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছে।নির্ঝর তো এমন ছেলে নয় যে তরীকে একা পেয়ে কিছু করে বসবে!নাহ!এটা হতেই পারে না।
তিনি আর গভীর চিন্তায় গেলেন না।নির্ঝরকে হসপিটালে নিতে হবে।ঝটপট উঠে দাঁড়িয়ে নির্ঝরকে উঁচু করার চেষ্টা করলেন।সফল হলেন না।নির্ঝরের ভারী শরীর একা সামাল দিতে না পেরে তরীর দিকে চেয়ে বললেন,
‘কি হয়েছে সব আমি পরে শুনবো তরী।নির্ঝরকে ধর এখন।হাসপাতালে নিতে হবে।তাড়াতাড়ি!’
‘হুঁ!’
তরী শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুঁজে নির্ঝরের ডান হাতটা নিজের কাঁধের পাশ দিয়ে গলা পর্যন্ত এনে চেপে ধরলো।আরেক হাতে নির্ঝরকে আগলে ভাঙা গলায় বলল,
‘চলো ফুপি!’
দুজন দু পাশ থেকে ধরে অনেক কষ্টে সিঁড়ি দিয়ে নামাল নির্ঝরকে।গেটের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মনে পড়লো নির্ঝরকে ডাক্তারের কাছে নিবে কিভাবে।কোনো গাড়ি চোখে পড়ছে না।তরী ছলছল দৃষ্টিতে নির্ঝরের দিকে তাকালো।নির্ঝরের চোখ আধ খোলা।তার দিকেই তাকিয়ে আছে।ঠোঁটের কোণে এখনো স্মিত হাসি।যেন সে আশপাশের পরিবেশ, তাকে নিয়ে এত ব্যস্ততা চরম উপভোগ করছে।
তরীর চোখের জল এখনো শুকায়নি।মুখে ভেজা একটা পানির ধারা এখনো স্পষ্ট।সে চোখ চোখ ছোট ছোট করে নির্ঝরের দিকে তাকাতে ফুপির কন্ঠ কানে এলো।মমতাজ বেগম চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠলেন,
‘এখন কি হবে রে তরী?কোনো গাড়িটাড়ি তো চোখে পড়ছে না।বাড়ির গাড়িও নেই।সবাই বিয়ে বাড়িতে যার যার গাড়ি নিয়ে গেছে।’
‘ফুপি তুমি নির্ঝর ভাইকে সামলাও।আমি গাড়ি নিয়ে আসছি।’
নির্ঝরকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে একছুটে তিন রাস্তার মোড়ের দিকে এগোল তরী।তরীর আঁচল কোমড় থেকে খুলে পড়েছে।সেটা এখন ধূলোয় বিছানো রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।তরীর চেহারা বিধ্বস্ত।প্রচন্ড শকের মধ্যে আছে যেন।তার সেই উদ্ভ্রান্ত চেহারা দেখে বুক কেঁপে উঠলো মমতাজ বেগমের।
মোড়ের দিকে সিএনজি থাকার কথা।তরী সেদিকেই দৌঁড়াচ্ছে।তাকে বেশিদূর এগোতে হলো না।কিছুদূর যেতে খালি সিএনজি পেয়ে গেল।দ্রুত সেটাতে উঠে পড়লো।গেটের সামনে থেকে নির্ঝর আর ফুপিকে উঠিয়ে কাছের প্রাইভেট হসপিটালের দিকে রওনা দিল।
_________________
‘তরী, তোর গলায় খামচির দাগ কেন?রক্ত বের হয়েছে।’
মমতাজ বেগমের তীক্ষ্ণ কন্ঠে চমকে উঠলো তরী।চকিতেই দু হাত গলায় চলে গেল।সম্পূর্ণ গলায় হাত দুটো বিচরণ করলো।কোথায় খামচির দাগ?আর খামচির দাগই বা কেন থাকবে?
সে মিনমিন করে বলল,
‘কোথায় ফুপি?’
মমতাজ বেগম চোখের ইশারা করতে তরী ডান হাতটা কাঁধের কাছে নিয়ে গেল।হাতের স্পর্শ লাগতে কাঁধের কাছে হালকা জ্বলুনি অনুভব করলো।আঙুলের ডগা দিয়ে স্পর্শ করে আঙুলটা সামনে মেলে ধরে দেখলো বিন্দু বিন্দু রক্ত!সে চমকে গেল।এখানে কাটলো কখন?
সে অবাক হয়ে বলল,
‘এখানে কাটলো কিভাবে?জানি না তো!’
‘জানিস না নাকি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিস?’
‘কি বলছ ফুপি?’
‘এদিকে আয়।বোস তো!’
মমতাজ বেগম একটা দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে তরীর হাত ধরলেন।হসপিটালের বারান্দার চেয়ারে বসে পড়লেন পাশাপাশি।তিনি হিসাব মিলাতে পারছেন না।মাথার ভেতর অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।তরী মেয়ে মানুষ।ওর সাথে ভয়ংকর কিছু ঘটলে বা কেউ চেষ্টা চরিত্র করলে সেটা ওর জন্য দূর্বীসহ হয়ে উঠবে।মন থেকে কিছুতেই মুছতে পারবে না।ও ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়বে।মেন্টালি সিক হয়ে যাবে।আবার মনে হচ্ছে নির্ঝরের মতো ছেলে তো তরীর সাথে ধস্তাধস্তি করতে পারে না।
এসব প্রশ্নের উত্তর একমাত্র তরী দিতে পারবে।তিনি মাথা ঘুরিয়ে একবার হসপিটালের ৩০৭ নাম্বার কেবিনের দিকে তাকালেন।এই কেবিনে নির্ঝরের চিকিৎসা চলছে।ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে তরীর দিকে ঘুরে আশ্যস্তের সুরে বললেন,
‘তরী মা!কি কি হয়েছে সব আমায় সঠিক করে বলতো!কোনো বাদ রাখবি না।’
তরীর আবার চোখ ভিজে উঠলো।ঠোঁট কামড়ে কান্না থামানোর চেষ্টা চালিয়ে গেল।মিনিট দুয়েক পর কম্পিত কন্ঠে সবটা খুলে বলল।নির্ঝরের ছবি তোলার ঘটনা থেকে শুরু করে সবটা!চোখের কোণ বেয়ে পানির ধারা গড়িয়ে পড়লো তরীর।ফুপিকে মৌনাবস্থায় দেখে বুক কেঁপে উঠলো তার।সে কি ভুল কিছু করে ফেলেছে?নিঃশব্দে পরা চোখের জল এবার কান্নায় রূপ নিল।ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
‘নির্ঝর ভাই আমার গাল চেপে ধরেছিল।মুখটা খুব কাছে এনেছিল।ভয় পেয়ে আমি আঘাত করে ফেলেছি।এতটা জোরে করতে চাইনি ফুপি!কিভাবে যেন এতটা জোরে হয়ে গেছে!আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম ফুপি। প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছিলাম ফুপি।’
তরীর কান্নার বেগ বেড়ে যেতে মমতাজ বেগম তাকে দু হাতে বুকে জড়িয়ে নিলেন।তাঁর চোখের কোণে পানির আভাস টের পেলেন।তরীর কান্নারত মুখ তাঁর অতি প্রিয় কোনো মুখ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বার বার।সেই প্রিয় মুখটিও যে সেদিন এভাবে কান্না করেছিল।তাঁকে জড়িয়ে বার বার বলেছিল,
‘বুবু,আমার দোষ নেই।বুবু আমি ভয় পেয়েছি।আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছি।’
মমতাজ বেগম তরীর মুখটা সামনে এনে চোখের জল মুছে দিলেন।তাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেন।মলিন হেসে বললেন,
‘সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি সব ঠিক করে দিবো!কিচ্ছু চিন্তা করিস না তুই!’
মুখে বললেও তিনি জানেন তরী তবুও চিন্তা করতে।এই ছোট্ট ব্যাপারটা ওর মনে প্রচন্ড প্রভাব ফেলেছে।সহজে ভুলবে না সে।এই ছোট্ট দূর্ঘটনা দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়া করে ফিরবে ওকে।কেউ কাছে গেলেই ওর নির্ঝরের রক্তাক্ত মুখটা চোখে পড়বে।এমনই তো হয়েছিল তার ছোটবোন মিনুর সাথে।ছোট্ট কিশোরী মিনু!তরীর বয়সী প্রায়।এরকম একটা ছোট্ট ঘটনা তার সাত রঙা পৃথিবীটা উলোটপালোট করে দিয়েছিল।পাগল হয়ে গিয়েছিল সে।একটা পর্যায়ে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে এই দুনিয়া ছেড়ে, তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
তরীর মুখটা ছোটবেলা থেকে মিনুর সাথে অনেকটা মিলে যায়।হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় এটা তো ছোট্ট মিনু!মমতাজ বেগম তরীকে আবার বুকে জড়িয়ে ধরলেন।তরী প্রচন্ড নরম মনের মানুষ।মিনুর মতো দেখতে হলেও তিনি তরীর ভাগ্য মিনুর ভাগ্যের মতো হতে দিবেন না।কিছুতেই না!
_____________
মমতাজ বেগম কেবিনে ঢুকে দেখলেন নির্ঝর অনেকটা সুস্থ।বালিশে হেলান দিয়ে আধ শোয়া হয়ে আছে।তার বাম হাতে পুশ করা স্যালাইনের বোতল প্রায় খালি হয়ে এসেছে।তিনি এগিয়ে গিয়ে নির্ঝরের কাছাকাছি টুল টেনে বসলেন।নির্ঝরের মুখে হাত বুলিয়ে স্মিত হাসলেন।চিন্তিত কন্ঠে বললেন,
‘এখন কেমন লাগছে রে বাবা?মাথায় ব্যথা করে?’
নির্ঝর সংকোচ নিয়ে বলল,
‘না বড় মা!সুস্থ হয়ে গেছি।’
মমতাজ বেগম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।নির্ঝরের আঘাতটা অল্পের উপর দিয়ে গেছে।ডাক্তার বলেছে গুরুতর কিছু নয়।তবুও এক জায়গা দুটো স্টিচ দিতে হয়েছে।আরেক জায়গা ফুলে ফুটবলের মতো হয়েছে।মলম লাগিয়ে মাথা ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
নির্ঝর হঠাৎ লজ্জিত কন্ঠে বলল,
‘বড় মা তরী কোথায়?’
‘বাইরে!দোকানে খাবার কিনতে পাঠিয়েছি।’
নির্ঝর আর কথা খুঁজে পেল না।কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে মাথা নিচু করে বলল,
‘আসলে বড় মা বিষয়টা যেমন ভাবছেন তেমন নয়।আমি শুধু একটু ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম।ফিনিশিং টা এমন হবে ধারণার বাইরে ছিলে পুরো।’
‘নির্ঝর শোন!তরী গ্রামের মেয়ে।ছোটবেলা থেকে গ্রামেই বড় হয়েছে।ও আর দশ-বিশটা মেয়ের মতো এতো বুদ্ধিমতী বা ম্যাচিউরড না!ওর উনিশ বছর প্রায় শেষের দিকে।কিন্তু চিন্তা চেতনা এখনো শিশু সুলভ।বড্ড নরম মনের মানুষ ও!এখনো কলেজ পাস করে উঠতে পারেনি।তাছাড়া একই বয়সের গ্রামের মেয়েদের ধ্যান ধারণা শহরের মেয়েদের ধ্যান ধারণার থেকে কয়েক গুণ কম থাকে।বয়সের তুলনায় ওরা আস্তে ধীরে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়।বন্ধ ঘরে একা একটা ছেলে মানে ওদের কাছে আতংক!প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি যন্ত্রণা।বুঝতে পেরেছিস তো?তরী এখনো ট্রমার মধ্যে আছে।’
‘হুঁ বড় মা!দুঃখীত আমি।’
মমতাজ বেগম অত্যন্ত বিচক্ষণ ও শিক্ষিত মানুষ।মানুষ মাপা তার কাছে খুব সহজ।কারো মুখের দিকে তাকিয়ে চট করে মনের কথা পড়ে ফেলতে পারেন তিনি।কারো দিকে কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেই মুখের উপর থেকে পর্দা সরে যায় যেন।তিনি কিছুক্ষণ সূক্ষ্ম দৃষ্টি মেলে নির্ঝরের দিকে চেয়ে রইলেন।আচমকা প্রশ্ন ছুঁড়লেন,
‘তুই তরীকে ভালোবাসিস নির্ঝর?’
প্রশ্ন শুনে নির্ঝর চমকে উঠলো।চোখে মুখে বিস্ময় এসে ভর করলো।তৎক্ষনাৎ সে উত্তর দিল না।তার দৃষ্টি আটকে গেল কেবিনের দরজার উপর।সবুজ পর্দার আড়ালে মায়ার চাদরে মোড়ানো একটা মুখের উপর।অপরাধীর মতো ছলছল দৃষ্টি মেলে তারই পানে চেয়ে আছে মুখটি।মেয়েটির কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম এতদূর থেকেও যেন মুক্তোদানার মতো চকচক করছে।তার চোখের দৃষ্টি হয়তো মেয়েটির সহ্য হলো না।হালকা করে পর্দা নড়ে উঠলো।প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি উধাও হয়ে গেল।সেদিকে তাকিয়ে থেকেই নির্ঝর বলল,
‘বড় মা আমি তরীকে বিয়ে করতে চাই।’
মমতাজ বেগমের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।তিনি জানতেন নির্ঝর এমন সিদ্ধান্ত নিবে।তাঁর পর্যবেক্ষণ কখনো ভুল হতে পারে না।তিনি নির্ঝরের স্যালাইন মুক্ত হাতটা চেপে ধরে বললেন,
‘এখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হবে প্রায়।আমি সব ব্যবস্থা করছি।আজ রাতের মধ্যে তোদের দুটোকে বিয়ে পড়িয়ে দিবো।কাল একসাথে দুই ভাইয়ের বৌভাত হবে!’
তিনি হাসিমুখে কেবিনের বাইরে এলেন।বারান্দায় মুখ কাঁচুমাচু করে তরী দাঁড়িয়ে আছে।হাতে খাবারের প্যাকেট আর পানির বোতল।তিনি এগিয়ে গিয়ে হাসিমুখে বললেন,
‘তরী, খাবারগুলো নিয়ে নির্ঝরকে খাইয়ে দিয়ে আয় তো।আমি তোর জীবন ভাইয়ার সাথে কথা বলে আসি।’
তরী বিস্ফারিত নয়নে বলল,
‘না ফুপি।আমি কিছুতেই ভেতরে যাবো না।তুমি যাও!খাবার গুলো দিয়ে আসো।উনি অনেক ক্ষণ হলো না খেয়ে আছে।’
‘তরী,নির্ঝর আমার দেখা সেরা ছেলেগুলোর মধ্যে বেস্ট।আমি ওকে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি।অত্যন্ত ভালো মনের ছেলেটা।তোদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।কিছুদিন সময় দে।নির্ঝরকে ঠিক বুঝতে পারবি।যা তো এবার!খাবার গুলো দিয়ে চলে আয়।আমি আসছি!’
তরীর মাথায় হাত বুলিয়ে মমতাজ বেগম ব্যাগ থেকে ফোন বের করলেন।একটা নাম্বার ডায়াল করে কানে ধরে তিনি করিডোর ধরে হেঁটে গেলেন।তরী কেবিনের দরজার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো দীর্ঘক্ষণ।একটা সময় মনের সাথে যুদ্ধ করে সামনের দিক পা বাড়াল।দুরুদুরু বুকে দরজা ঠেলে কেবিনের ভেতরে ঢুকলো।
(চলবে)
রাতে বোনাস পার্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো।তবে কেউ অপেক্ষা করবেন না।দিলে এমনিতে পেয়ে যাবেন।ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।🧡