#স্বপ্ন_কেনার_দামে
#দ্বিতীয়_খন্ড
৪
“রিদম, এমন ভেটকি মাছের মতো মুখ করে আছিস কেন? ঝগড়া হয়েছে?” ফয়সাল রিদমকে ঘরের এককোনায় নিয়ে প্রশ্ন করে।
“নাহ্ তেমন কিছু নারে। তবে তোর বুদ্ধিতে অরণীকে এভাবে বিয়ে করা উচিত হয়নি। ও এখনো অনেক ইম্যাচুয়র। রিক্তা বা তোর বন্ধুর প্রেমিকার মতো না।অনেক বেশি সেকেলে। তুই আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে এখন সবার সাথে মিলে মজা নিচ্ছিস।”
“আরে তুই এইজন্য মন খারাপ করছিস। স্যরি দোস্ত। আমরা তো সবাই ফান করছিলাম। তুই নিজেই তো ওকে নিয়ে এত সিরিয়াস ছিলি। আর ও তোর কাছে ধরা দিয়েও দিচ্ছিল না। তাই তোর ভালো চেয়ে সাহায্য করছি। এমন কত বিয়ে ক্যাম্পাসে হয়, ক্যাম্পাসেই শেষ হয়ে যায়। পাশ করে দু’জন দুদিকে। মাঝখানে বৈধ ভাবে দু’জনই সঙ্গ উপভোগ করে।”
“অরণী এমন মেয়ে না। এটা তো আমি জানতাম। আমি কী বলছিলাম বিয়ে করবো? তুই এমন ভাবে বুঝালি যে আমারও ব্রেনওয়াশ হয়ে গেল। আমি ওকে সত্যিই পছন্দ করতাম। এখনো করি। ওকে পাওয়ার সাধ ছিল ঠিকই, কিন্তু এভাবে না।”
“হইছে। তোর এত অভিযোগ হলে চলে যা শালা। একটা মেয়েকে কনট্রোলে আনতে পারিস না। আর ভাব নিস। তুই আসলে না মর্দ। আসল পুরুষ হলে একটা মেয়ে এভাবে তোকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায়?”
ঘরের অপরপাশে কেউ রিদম আর ফয়সালের কথা কাটাকাটি খেয়াল করে না। সবাই বেশ আমদে আছে। পরিবেশটাই হাসিখুশি এখন। কোমল পানীয়র সাথে এলকোহলের মিশ্রণ সবাইকে কেমন ফুরফুরে করে দিয়েছে। বিদেশি ফলের জ্যুস হিসেবেই মেয়েদের হাতে ড্রিংকস তুলে দিয়েছে ফয়সালের স্কুল ফ্রেন্ড রাসেল। মদ বললে মেয়েগুলো ভড়কে যাবে, তাই অযথা মজা নষ্ট করতে চায় না। ফয়সাল আর রাসেল খাচ্ছিল বিয়ার আর ভদকার মিশ্রণে বানানো ককটেল। অন্য বন্ধু লাবিব ভদকা নেওয়ার সাহস করছে না, আপাততঃ হানিকেইন বিয়ারেই চুমুক দিচ্ছে। ককটেল বানানোর দায়িত্ব রাসেলের। মেয়েদের চোখের আড়ালে রুমের একপাশে কাউন্টারে ড্রিংস বানিয়ে গ্লাসে গ্লাসে সবার হাতে দিচ্ছে। রিদমের এসব অভ্যাস নেই। তাছাড়া অরণীর সাথে বাজে ব্যবহার করে কেমন খারাপ লাগছে। এখন মনে হচ্ছে না এলেই হতো। দুই সপ্তাহ পর এফসিপিএস পরীক্ষা। এসময় বই থেকে মাথা ওঠানোর অবসর পাওয়া যায় না। এফসিপিএস হয়ে গেলে মাসে মাসে ভাতা পেত বিশ হাজার, সাথে চেম্বারের জব মিলে কিছু একটা আয় হতো। খুব বেশি না হোক অরণীর পরিবারের সামনে দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। একদম হাভাতে ছেলের কাছে কেউ মেয়ে কেন দেবে! আসলে তার প্রেম করাই উচিত হয়নি। বাবা বিদেশ থেকে চলে এসেছেন সেই কত বছর আগে। অবিবাহিত পিঠাপিঠি ছোট বোন যার বিয়ে দিতে হবে। আয়ের উত্স বলতে পুরানো আমলের বাড়ির দুটো ইউনিটের সামান্য ভাড়া। আর তার উপর বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে সচ্ছল ভবিষ্যতের আশা করে থাকা মা। নিজের জীবনই যেন বাংলা সিনেমার কোন নায়কের কঠিন সংগ্রামের ইতিহাস! আর সে গিয়েছে বড়লোকের ফুটফুটে আদুরে, দিন দুনিয়া না বোঝা শুধু লুতুপুতু ভালোবাসা চাওয়া অরণীর প্রেমে পড়তে। যার কাছে এখনো প্রেম মানে জোছনা রাতে হাতে হাত রেখে গল্প করা, বর্ষায় প্রেমিকের সাথে বৃষ্টিতে ভেজা, মান অভিমানে পর একরাশ গোলাপ আর স্যরি কার্ড নিয়ে মান ভাঙানো। তাও যদি মেয়েটা রুম ডেটে রাজি হতো, সময়টা জলে যেত না। আজকাল তো এসব স্বাভাবিক ব্যাপার। এই যে ফয়সাল কেমন গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে কটেজে একান্ত সময় কাটিয়ে নিলো। অথচ এই জায়গায় অরণী হলে আসতেই রাজি হতো না। বিয়ে করে মনে হয় যেন ফেঁসেই গেল। প্রেমের সময় যেমন শত শর্ত ছিল, ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না। এখনো একই ন্যাকামি। আর দশজনের জন্য যা স্বাভাবিক, অরণীর জন্য সেসবই যেন অনুচিত। মনটা তাই খাট্টা হয়ে গিয়েছে সবকিছু মিলে। এই আড্ডা, আয়োজন, পানীয় কিছুই আর টানছে না। ঢাকা ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে এখনি।
সবার দিকে চোখ বুলিয়ে নিজেকে এখানে বেমানান মনে হয়। এরা কমবেশি সবাই সচ্ছল পরিবারের সন্তান। ওর মতো মধ্যবিত্ত বন্ধুকে সাথে রেখে ফয়সাল টাকা উড়িয়ে মজা পায়, কারণ তাতে ফয়সালের সামর্থ্য, শক্তি আরও বেশি করে প্রকট হশ। আজ এই মুহূর্তে অরণীর বলা কথাগুলো ভীষণ সত্যি মনে হচ্ছে।
***
রিক্তার বাবা সোলায়মান সাহেব দোকানের ক্যাশে বসে আছেন। ওনার দোকানের নাম “জাহানারা জেনারেল স্টোর”। মায়ের নামে দোকান। এলাকার সবচেয়ে পুরানো মুদি দোকান, আয় খারাপ না। মুদি পণ্যের পাশাপাশি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সদাই-পাতিও রাখেন। কয়েকবছর আগে পাশে ছোট আরেকটা দোকান নিয়েছেন, সেখানে ক্রোকারিজ পণ্য উঠিয়েছেন। দুই মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে ওনার সচ্ছল পরিবার। প্রাচুর্য নেই, কিন্তু অভাবও ছিল না। মেয়েরা সুন্দরী, পড়ালেখায় ভালো। কখনো পুত্র সন্তানের জন্য আফসোস করেননি। ইচ্ছে ছিল মেয়েদের এই মফস্বল শহর থেকে বের করে জীবনে বড় করে গড়ে ভুলবেন। আর তাই অনেকে মানা করলেও রিক্তাকে একা শহরে পড়তে পাঠিয়েছেন। আর কিছু দিন পর মেয়েটা ডাক্তার হবে। ভালো পাত্রের সন্ধান করছেন। রিক্তা সুন্দর, ডাক্তার হচ্ছে, তাই ভালো প্রস্তাব আসছে বিয়ের, দেখেশুনে বিয়ে দিতে পারলে নিশ্চিন্ত। এখন শুধু অন্য মেয়েকেও ভালো কোথাও পড়ানোর ইচ্ছে। সবমিলিয়ে ওনার থাকার থাকার কথা নির্ভার। অথচ পড়ন্ত বিকেলে ক্যাশের সামনে বসে থাকা মুখটায় কেমন চিন্তার ছায়া।
গত কয়েকদিন ধরে এক পরিবারের সাথে রিক্তার বিয়ের প্রাথমিক কথাবার্তা আগাচ্ছিলেন, এখনো কিছু ঠিক হয়নি। মাত্রই দুই পরিবারের একে ওপরের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছিল। পাত্র সরকারি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। ভেবেছিলেন রিক্তার পরীক্ষা শেষে আগাবেন। কিন্তু গতকাল ওনারা জানিয়েছেন ওনারা আগাতে চাইছেন না। উড়ো খবর পেয়েছেন, ছেলে রিক্তার কলেজে খোঁজ খবর নিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। রিক্তা নাকি কলেজে ইদানীং বেশ উশৃংখল চলাফেরা করছে। অবশ্য এই খবর কিছুদিন আগেই পেয়েছেন ভাইয়ের কাছে। কলেজে পাঠিয়েছিলেন ছোট ভাইকে। রিক্তা চাচার সাথে ঠিক মতো কথাই বলেনি। পোশাকে, চলনে সবকিছুতেই বেশ বদলে গিয়েছে রিক্তা। পড়াও নাকি অমনোযোগী এখন।
সামনে পরীক্ষা। গতকাল খুব বোঝালেন এই সময়টা যেন একটু মন দিয়ে পড়ে। আর তো কয়টা দিন। মনে হয় কথাটা শুনেছে। আজ গ্রুপ স্টাডি করতে অরণীর বাসায় গিয়েছে। অরণীকে ফোন দিয়েছিলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত অরণীর বাসায়ই রিক্তা থাকবে বললো। অরণী মেয়েটা ভালো, পরিবারটাও ভালো। অরণীর সাথে বন্ধুত্ব থাকলে রিক্তার নষ্ট হওয়ার কথা না। তবু তিনি বুঝতে পারছেন যে তার মেয়েটা খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিষয়টা সোলায়মান সাহেব টের পাচ্ছেন। ইদানীং ফোন দিলেই শুধু নানা বাহানায় টাকা চাইতে থাকে। খরচের হাত অনেক বড়ো হয়েছে। সেদিন ছোট মেয়ে রিয়া ফেসবুকে রিক্তার ছবি দেখাচ্ছিল। আসলেই বাড়ির মেয়েটা হঠাৎ যেন শুধু আচরণে নয় দেখতেও অনেকটা বদলে গিয়েছে। এতদূর ভালোভাবে পড়াশোনা করিয়ে আনার পর, এই শেষ মুহূর্তে মেয়েটা কোন কষ্ট না দেয়, সেই চিন্তায় তিনি আচ্ছন্ন হয়ে আছেন। ফোনের রিংটনের শব্দে চিন্তার জগতে ছেদ ঘটে। আননোন নাম্বার থেকে ফোন। কলটা রাখার পরমুহূর্তে ফ্যাকাসে মুখে তাড়াহুড়ো করে দোকান থেকে বের হয়ে যান।
****
কাঁদতে কাঁদতে অরণী কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল বলতে পারে না। ঘুম ভাঙে মায়ের ডাকে। চোখ খুলে হঠাৎ বুঝতে পারে না এখন কী দিন না রাত। রিদমের সাথে যখন কথা হয়, ঘড়িতে তখন তিনটা বেজে সতের মিনিট। অমিয়র স্কুল ডে সিফটে, তাই ঐ সময় ও স্কুলে থাকে, বাসায় আসতে আসতে প্রায় ছয়টা বেজে যায়। অরণীর মা হুমায়রা তখন ভাতঘুম দিয়েছিলেন, আর দাদী গতকাল ছোট ফুপুর বাসায় গিয়েছেন। আজ তাই বাসায় অরণী আর মা ছাড়া কেউ নেই।
“আম্মু, বিকেল হয়ে গিয়েছে?”
“বিকেল কী রে, এখন প্রায় সাড়ে ছয়টা বাজে। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিলি? এখন চোখমুখ ফুলে কী অবস্থা হয়েছে। ওঠে যা, হাতমুখে পানি দে। নামাজও কাজা করেছিস।”
অরণী মনে মনে স্বস্তি অনুভব করে। মা ভেবেছে ও পড়তে পড়তে বই নিয়ে ঘুমিয়েছে। কান্না করেছে বুঝলে আরও দশটা প্রশ্ন করতো। তবে লম্বা সময় কান্না করায় মাথাটা কেমন দপদপ করছে। কড়া করে এককাপ চা খেতে হবে। ফোনটা বালিশের নিচে রেখে ঘুমিয়েছিল। ইচ্ছে করে আর বের করে না। কড়া করে এককাপ চা খায়। ঔষধের বক্সটা খুলে একটা মাইগ্রানিল ট্যাবলেট বের করে নেয়। ইদানীং বাসায় টুকটাক বিয়ের আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। দিন দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। আর তো কিছুদিন। অরণীর পরীক্ষা শেষ হলেই বাবার ঠিক করা পাত্র মাহিদের সাথে বাগদান হবে। মাহিদ সাহেব ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে, অরণী একসেপ্ট করেনি। লোকটা দেখতে শুনতে খারাপ নয়। হয়তো আজ রিদমের সাথে হৃদয় বাঁধা না পড়লে এইসময় বরং মাহিদই চিন্তার জগত জুড়ে থাকতো। অচেনা অজানা লোকটার জন্য হয়তো তখন টান অনুভব করতো। কিন্তু এখন মস্তিষ্ক আর মন জুড়ে রিদমের বসবাস। যত রিদম হেলা করছে, ততই যেন অরণী ওকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। হঠাৎ বিয়েটা রিদমের কাছে এখন যতটা বাচ্চামি মনে হচ্ছে, অরণীর কাছে ততটাই তা পরম সত্য।
বাবা অফিস থেকে এখনো ফেরেননি, ফুপুর বাসায় গিয়েছেন অরণীর দাদীকে নিয়ে আসতে। মাথা ব্যথার বাহানা দিয়ে অরণী তাই রুমের বাতি নিভিয়ে বসে আছে দক্ষিণের বারান্দায়। হাসনাহেনার মাতোয়ারা গন্ধ সাথে এই শীত শীত আবহাওয়াটা চমৎকার লাগছে। কিন্তু কিছুই উপভোগ করা হচ্ছে না। কোথা থেকে যেন একরাশ অভিমানের মেঘ জমেছে হৃদয়ের আকাশে। রিদমকে ভালোবাসে বলেই রিদমের বিরক্তিতে পরিণত হতে চায় না। বোঝাই যাচ্ছে এখন রিদম অরণীর সাথে কথা বলতে আগ্রহী না। অরণীর কাছে যা চায় রিদম, অরণী তা দিতে পারে না। আর তই হয়তো রিদমের বুকে অরণীর কান্না ভেজা চোখ আবেগের ঢেউ তৈরি করতে পারছে না। রিদমের তৃষিত ঠোঁট চায় অরণীর ঠোঁটে আশ্রয়। ডুব দিতে চায় অরণী নামক গভীর ভালোবাসার জলাশয়ে। আর তা দিতে রাজি নয় বলে কী অরণী এখন গ্রীষ্মের দুপুর ফেটে যাওয়া মাঠের মতো শুষ্ক! অরণীর হাসি, অরণীর কান্না, মোনাজাতের দুটো হাতে শুধু রিদমকে চাওয়া, এসব কিছুই কী আর রিদমকে স্পর্শ করে না! অরণী তো শরীর সর্বস্ব প্রেম চায়নি। একটু সময় চেয়েছে। সময় যখন আসবে সে নিজেই নিজেকে রিদমের কাছে সমর্পণ করবে। কিন্তু অতটুকু সময় আসার আগেই কী রিদমের কাছে ব্রাত্য হয়ে গেল!
***
রাত দশটার খবরটা বাবা টিভিতে জোরে জোরেই শোনেন। অরণী মায়ের সাথে টেবিলে খাবার দিচ্ছে। দাদী আর বাবা বাসায় ফিরে এসেছেন। এই সময় অরণী শুয়ে থাকলে, বা মন খারাপ চেহারা করে থাকলে দাদীর প্রশ্নের হাত থেকে নিস্তার পাবে না। তাই মুখ স্বাভাবিক রেখেই হাত চালায়। হঠাৎ টিভির একটা খবরে কানে যেতে চোখ চলে যায় পর্দায়। সংবাদ পাঠিকা বলছেন, “ঢাকার আশেপাশে গড়ে ওঠা কিছু রিসোর্ট নিয়ে বহুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল। সমাজের বিত্তশালী গোষ্ঠীর উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য যেন এক স্বর্গরাজ্য। যেখানে অবাধ মাদক ব্যবহার ও অবৈধ ভাবে নারী এসকোর্ট নিয়ে রিসোর্টে আসা খুব স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমনি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিজান চালায় পূর্বাচল ও শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি রিসোর্টে। সেখানে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, নারী সঙ্গী এমনকি হালের ভয়ানক মাদক এলএসডি নিয়ে ধরা পড়েন বেশকিছু যুবক যুবতী।”
ক্যামেরায় ভেসে উঠেছে অনেকগুলো অপরিচিত মুখের সাথে ফয়সাল, রিক্তার পরিচিত মুখ দুটোও। ‘রিদম কোথায়!’ মনের অজান্তে এই প্রশ্নই ঝড় তুলে দেয় অরণীর মনে।
“এই মেয়ে তোর বান্ধবী রিক্তা না?”
হুমায়রা বেগম চিনে ফেলেন রিক্তাকে। অরণী মাথা নাড়ে। বাসার সবাই হতবাক হয়ে টিভি স্ক্রিণে তাকিয়ে থাকে আর অরণী ছুটে যায় ফোনের কাছে।
(চলবে)