হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৪৭

0
644

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪৭
.
🍂
.
—“”” উপসস খুব লাগলো মি. খান কি করবো বলুন হাতে তো আর কোন অপশন’স ছিলো না তাই আপনাকে আঘাত করতে হলো….”””(মোহনা)

—“” আপনি মেহবুবের বোন হয়ে কি করে নিজের ভাই কে মারতে পারেন…?? এক বার ও কি হাত কাপলো না???”””মোহনার হাতে রক্ত লেগে আছে তাই ফারুক ধারনা করে নিলো ও মেরেছে তার বন্ধু কে…

ফারুকের কথা শেষ হওয়ার আগে ফাহাদ এসে আবার ও লোহার রড দিয়ে ফারুকের মাথায় বাড়ি মেরে বলে……..

—“” হ্যা আমরা ওর ভাই বোন তবে সৎ ভাই বোন আমাদের বাবা এক হলেও মা আলাদা,,, যার জন্য সব রকম সুভিধা থেকে আমরা সবাই বন্চিত হয়েছি,,, ফিরে এসেছি আমাদের প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার জন্য,,, কতো প্লানিং করতে হয়েছে এই দিন টার জন্য এ্যাট লিস্ট অবশেষে দিন টা এলো,,,, আর একটা কথা শুনে রাখ ওকে আমরা ঘৃনা করি বুজতে পেরেছিস তুই শুধু মাত্র ঘৃনা করি … “”

ফাহাদ চিল্লিয়ে ফারুক কে মারতে থাকে… ফারুক ফাহাদ কে আটকানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি… আলিয়া ভয় পেয়ে সোফার পিছুনে লুকিয়ে পরে মোহনা আলিয়া কে দেখতে পেয়ে ,,পিছুন থেকে আলিয়ার চুলে মুঠি ধরে টেনে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয় ,,,ফারুক ফাহাদ কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আলিয়ার কাছে দৌড়ে আসে……

—“”” মামুনি তুমি ঠিক আছো লাগেনি তো তোমার ….?? “””সারা মুখে চুমু দিয়ে বলতে লাগলো ফারুক….. সেই মুহূর্তে মোহনা আলিয়া কে ফারুকের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে ফারুকের বুক বরাবর লাথি মারে ফারুক ছিটকে পরে… ফাহিম মেহবুব আর মেহরিমার রুমে গিয়ে লকার ভেঙে নগদ টাকা, গয়না , প্রোপার্টির পেপারস গুলো নিয়ে আসে …..ফাহিম পেপারস গুলো চেক করে দেখে ফাহাদ মোহনা আর ওর ভাগের সম্পত্তির পেপারস ,,,ওদের প্রোপার্টির পেপারস ছাড়া আর কোন পেপারস নেই,,,, এটা দেখেই ফাহিমের মাথা খারাপ হতে গেল মেহবুবের রক্তাক্ত শরীলের উপর ছুড়ি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে….

—“” কুত্তার বা** বল বাকি পেপারস গুলো কোথায় রেখেছিস বল???”””(ফাহিম)

—“” আহা ভাইয়া কি করছো … মেহবুব কে তো আমি নিজ হাতে শেষ করলাম তুই আবার কেন আঘাত করছিস..??””(মোহনা)

—“”” বনু এই কুত্তার বা** বাকি প্রোপার্টির পেপারস অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছে… এই দেখ…(পেপারস গুলো দিলো মোহনার হাতে)

মোহনা পেপারস দেখায় ব্যাস্ত হয়ে পরলো সে সুযোগে আশিকুর আইরিনের দিকে তাকিয়ে এক জঘন্য গালি দিয়ে আইরিনের মুখ চেপে ধরে নিচের গেস্ট রুমে ঢুকে গেল .. আইরিনের সাথে ধস্তাধস্তির সময় এক পর্যায়ে আশিকুর আইরিন কে থাপ্পোর মারে আইরিন থাপ্পোর খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে … আশিকুর শয়তানি হাসি দিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে থাকে ,,,, আইরিন নিজেকে বাচানোর জন্য শো পিচ , বাজ ছুরে মারতে থাকে আশিকুরের দিকে কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে বাচাঁতে পারলো না আইরিন,,,, হায়নার মতো ঝাপিয়ে পরলো ওর উপর………….

—- “”ভাইয়া এটা কিসের পেপারস দেখ তো..??””(মোহনা)

—“”” ফাহিম ভালো করে দেখে ,,,খুশিতে চোখ মুখ চিক চিক করতে লাগলো … বনু এই তো সোনার খাজানা পেলাম মনে হয়…””(ফাহিম)

—“”” কিহ খাজানা কিসের খাজানা??? আর এটা কার পেপারস মেহবুবের??”””

—“”” নাহ বনু্ এই পেপারস গুলো মেহবুবের না এটা মেহবুবের বন্ধু বিজনেস পাটনার ফারুক খানের .. …””””

কথাটা শুনে মোহনার ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠল ……

—“” বনু একটা সমস্যা আছে..?? ফারুক হারামজাদা সব সম্পত্তি ওর মেয়ে আলিয়ার নামে করে দিয়েছে …ওর ২২ বছর পূর্ন হলে সব সম্পত্তি ওর নামে হয়ে যাবে ,,আর ২২ বছর পূর্ন হবার আগে যদি ওর কিছু হয়ে যায় বা মৃত্যু হয় তাহলে সব সম্পত্তি ট্রাস্টে চলে যাবে …..”””

—“”” ওয়াট তাহলে কি করবি ??””

—“” কিছু তো একটা করতে হবে কিন্তু তার আগে এদের কে শেষ করে দিয়ে লাস গুলো সরিয়ে ফেলতে হবে…”””

ফাহিম মেহবুব আর মেহরিমার ডেড বডি এক পাশে রেখে ফারুকের কাছে এগিয়ে গেল মোহনা ফাহিম,,, ফাহাদ অলরেডি ফারুকে মারছে…. মাথায় আঘাত লাগায় ফারুক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে…. আলিয়া চোখের সামনে এতো রক্তাক্ত অবস্তায় সবাই কে দেখে আলিয়া শক্টডের ভিতর চলে যায়…. হঠাৎ করে চোখ পরে গেস্ট রুমের দিকে……
.
🍂
🍂
🍂
.
—-“” হেই ব্রো মিহু কেমন আছে ..??””(আসলাম)

—“” খুব ভালো আর হ্যা থ্যান্কস মিহুর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পাগলি টা আনতে যেতে হবে ,,, “”

—“” আনতে যেতে হবে মানে সিস্টার কোথায় আছে..??”

—“” শপিং মলে আসার আগে মিহু বায়না ধরে ছিলো মিসেস সেনের বাড়ি যাবে… মিসেস সেনের ছেলে সৌরভের সাথে খেলবে….””(মেঘ)

—“” হা হা হা বাচ্চা মেয়ে …খেলার সাথি পেয়েছে একজন …””

—“” হ্যা !! চল ওকে নিয়ে আসি তারপর বাড়িতে যাবো…….আমার প্রেয়শী হয়তো এখন মুখ ফুলিয়ে বসে আছে … “”””(আলিয়ার মুখ ফুলিয়ে আছে এটা কল্পনা করে মেঘ হেসে ফেললো)

মেঘ আসলাম কে নিয়ে গাড়ি করে ঝড় বৃষ্টি অপেক্ষা করে মিসেস সেনের বাড়ির দিকে বেরিয়ে গেল…..
.
.
.
—“”” মাম্মাম ….”””(চিৎকার করে অজ্ঞান হারালো আলিয়া)

মোহনা আলিয়ার দিকে একবার তাকিয়ে গেস্ট রুমের দিকে চোখ দিতে দেখে আশিকুর আইরিনের গলা চেপে ধরে আছে আইরিন হাত পা ছুড়াছুঁড়ি করছে এক পর্যায়ে হাত পা ছুড়াছুঁড়ি বন্ধ করে দেয় তখন আশিকুর আইরিনের উপর থেকে সরে যায়,,, আইরিন বস্ত্র হীন হয়ে পরে আছে … মোহনার বুজতে বাকি নেই আশিকুর কি করেছে আইরিনের সাথে আর আলিয়া কেন জ্ঞান হারালো…. মোহনা দাতঁ মুখ খিচে আশিকুর কে গালি দিতে দিতে আশিকুরের দিকে এগিয়ে গিয়ে ঠাসসস করে এক থাপ্পোর বসিয়ে দিলো আশিকুরের গালে……..

—“”” হাউ কুড ইউ , হাউ কুড ইউ আশিক ,,, তুমি আমাকে ভালোবাসো তাহলে এটা কেন করলে ?? ইউ চিট মি আশিক,, ইউ চিট মি…..ইউ এ্যাভ টু পে ফর ইট আশিক “””(মোহনা)

—“” নো নো বেবি আমি তোমাকে চিট করেনি ,, আমি তো যাষ্ট ওকে একটু শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম…নাথিং এলস “”(মোহনা কে মেনেজ করার জন্য বললো আশিকুর)

—“” যাষ্ট স্যাট আপ আশিক দ্রত কাপড় পরে নিয়ে বাইরে এসো লাশ গুলোর ব্যাবস্তা করতে হবে তারপর মম কে সবটা জানাতে হবে আফটারল প্লান টা তো মমের তাই না….”””

ফাহাদ মোহনা মিলে ফারুকের পেটে ছুড়ি চালিয়ে দেয় … মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে ফারুক…. ফারুকের মৃত্যু হয়েছে এটা কনফার্ম হয়ে ,,,,মেহবুব মেহরিমা আর আলিয়ার বাবা মায়ের ডেড বডি গুলো নিয়ে বাগানে গর্ত করে পুতে ফেলার জন্য কিন্তু তার আগেই একটা গাড়ি ঢুকতে দেখে মোহনা ফাহিম ফাহাদ আশিকুর ভয়ে চমকে ওঠে …. লাশ না পুতে দ্রুত বাড়ির পিছুন থেকে বেরিয়ে যেতে নিলে মোহনা ফাহিমের আলিয়ার কথা মনে পরে তখনি মোহনা ফাহিম বাড়িতে ঢুকে আলিয়া কে খুজতে থাকে ..কিন্তু কোথাও না পেয়ে ভয় পেয়ে যায় মোহনা …. বাহিরে বেরিয়ে এসে দেখে আলিয়া পাগলের মতো রাস্তা দিয়ে ছুটছে…. সামনে থেকে একটা কার আসছে ,,,গাড়ির আলো চোখে পরতে আলিয়া চোখে হাত দিতে গাড়িটা এসে আলিয়া কে ধাক্কা মারে ,,,গাড়ির ধাক্কায় দুরে ছিটকে পরে আলিয়া…. মোহনা অন্য গাড়ি নিয়ে অপসাইট থেকে এসে আলিয়া কে তুলে নিয়ে বেরিয়ে পরতে …মেঘের গাড়ি প্রবেশ করে ….. মেঘ মিহু আর আসলাম কে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখে পুরো বাড়ি ফাঁকা ফ্লোরে রক্তের স্রোত পা দিলে হয়তো এখুনি পা পিচলে পরে যাবে…… মেঘ আসলাম ঘাবড়ে যায় এতো রক্ত দেখে ,,, মিহু ভয়ে মেঘের হাত চেপে ধরে আছে…. মেঘ পুরো বাড়িতে মম ড্যাড কে খুজে না পেয়ে মেঘের নজর বাড়িতে লাগানোর সি সি ক্যামেরার দিকে চোখ যায়… মেঘ মিহু কে আসলামের কাছে রেখে সি সি ফুটেজ দেখার জন্য কন্ট্রোল রুমে চলে গেল ……

রাগে ঘৃনায় মেঘের হাত পা কাঁপছে ,,, নিজের মম ড্যাডের মৃত্যু চোখের সামনে স্কিনে দেখে মেঘ যেন মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলে … কিন্তু তারপর পর পর মেঘ দেখে আলিয়ার চোখের সামনে আলিয়ার বাবাকে খুন করে তার মা কে আশিকুর টানতে টানতে গেস্ট রুমে নিয়ে যায় …. মেঘ সহ্য করতে না পেরে দেয়ালে ঘুশি মারে কয়েকবার তারপর বাচ্চাদের মতো কাঁদতে থাকে,,,, আসলাম মেঘের কাধে হাত রাখতে মেঘ আসলাম কে জরিয়ে ধরে কাদঁতে থাকে,,,, ব্রো কাম ডাউন পুরো ভিডিও টা ভালো করে দেখুন কোথায় আছে আঙ্কেল আন্টি??? ,,,, মেঘ আসলাম কে ছেড়ে দিয়ে চোখ মুখ কঠিন করে মেঘ পুরো বাড়ির সি সি ফুটেজ চেক করে দেখে মেঘের মম ড্যাড আম প্রেয়শীর পাপা মাম্মামের লাশ বাগানে পরে আছে….. মেঘ দৌড়ে বাগানে চলে এসে দেখে ,,, সবার প্রান হীন দেহ নিথর দেহ পরে আছে…….. মেঘ কি করবে বুজতে পারছে না ,,,, সকাল হতে মেঘ মিহু কানাডা পাঠিয়ে দেয়….. তারপর মেঘ একাই সব টা সামলে সবার লাশ দাফনের ব্যাবস্তা করে…… মিহুকে মেঘ কানাডায় দু বছর রেখে নেপালে পাঠিয়ে দেয় সেখানে মিহু নাম পাল্টে থাকতে লাগলো…..মেঘ ধিরে ধিরে পালটে যেতে লাগলো আন্ডারওয়ার্ল্ডের কিং য়ের সাথে মেঘের পরিচয় হয় ,,,মেঘ আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন হয়ে ওঠে ধিরে ধিরে কিং য়ের জায়গা নিয়ে নেয় মেঘ হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর এক কিং যার সামনে কেউ টিকে থাকতে পারে না….

আলিয়া কে বিডি তে আনার আগে ইতালির ছোট হসপিটালে আলিয়ার ট্রিটমেন্ট করানো হয় তখনি জানতে পারে মোহনা … আলিয়া তার সমস্থ স্মৃতি ভুলে গেছে … মোহনা খবরটা শুনে মনে মনে ভিষন খুশি হলো ,,,মোহনা আলিয়াকে তার আসল নামে ডাকতো ফারহা যাতে ভবিষ্যৎতে প্রোপার্টি হাতিয়ে নিতে…. ফারহা কে বুঝানো হলো মোহনা আর আশিকুর তার বাবা মা , আদিল ওর ছোট ভাই ,,, শুরু হয়ে গেল বাবা মা হওয়ার অভিনয়…….

***বতর্মানে…………

মেঘ ফারহার চোখে অতিতের এক ঝলক ভেষে উঠলো… ফারহা চোখ মুচে মেঘ কে বলে…..

—“”” মেঘরাজ আমি আজ তোমার কাছে কিছু চাইবো তুমি দিবে আমায়???””(ফারহা)

—“” এনেথিং ফর ইউ প্রেয়শী যাষ্ট টেল মি ,,ওয়াট ইউ ওয়ান্ট…???””(মেঘ)

—“”” আমি এখন বের হবো তুমি আমাকে বাধা দিতে পারবে না,,আর ওই জানোয়ারের গায়ে তুমি একটাও ফুলের টোকা দিবে না প্রমিস করো…”””(ফারহা)

ফারহার কথা শুনে মেঘ অবাক ,, কিছু বলতে যাবে মেঘ কে কিন্তু ফারহা হাতের ইশারায় মেঘ কে থামিয়ে দিয়ে বলে…..

—“”” মেঘ আমাকে কিছু বুঝাতে এসো না ,, তুমি হ্যা অথবা না বলো বারতি কোন কথা নয়..”””(ফারহা)

ফারহা মেঘের চোখের দিকে তাকিয়ে আর পার্মিশন নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করলো না ,,, মেঘের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল….. মেঘ হা করে ফারহার চলে যাওয়া দেখছে ,,,মেঘ বুজতে পারছে না ফারহা হঠাৎ করে কোথায় এভাবে রেগে চলে গেল …. ফারহা বের হতেই ফারহার সামনে বারো থেকে পনেরোটা BMW কার এসে থামে… মেঘ ছাদ থেকে সব টা দেখছে … গাড়ি থেকে কালো কোট প্যান্ট সানগ্লাস পরা লোক দেখে মেঘের কাছে গার্ড মনে হচ্ছে ,,, লোকটা গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা খুলে দিতে ফারহা গাড়িতে উঠে বসলো ,,,,মেঘের চোখের সামনে দিয়ে ফারহা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো …………ফারহা মেঘের চোখের সীমানা পার হতেই মেঘ ও গাড়ি নিয়ে ফারহার পিছুন পিছুন বেরিয়ে পরলো………
.
.
.
#চলবে…………… 🙄🙄🙄

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here