রংধনুর_আকাশ #লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ পর্ব-৩৯

0
628

#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-৩৯

৬৩।
সকালে নাস্তার টেবিলে বসে আছেন আরিয়া ফেরদৌস। তার দুই পাশে মাহাথি ও মাফিন। সূচনা সবাইকে নাস্তা দিয়ে নিজেও খেতে বসেছে। হঠাৎ আরিয়া ফেরদৌস বলে উঠলেন,
“ফাতেমা আমাকে ফোন করেছে, জিজ্ঞেস করছে মাফিন আর স্বস্তিকার বিয়ের দিন তারিখ কবে ঠিক করছি। এখন তো স্বস্তিকার পরীক্ষা শেষ। ভাবছি কি আগামী মাসেই বিয়ের আনুষ্ঠানিক পর্ব শেষ করে ফেললে ভালো হবে। আর এর পরের মাসেই তো মহুয়া আর মারিয়ার পরীক্ষা। আর পরীক্ষার পর হয়তো মারিয়াকেও তুলে দিতে হবে।”

মাফিন শেষ কথাটি শুনে বলল,
“মারিয়াকে এখন কেন তুলে দেবো? ওদের না বলে দিয়েছিলে, একেবারে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরই অনুষ্ঠান করবে?”

“হুম, কিন্তু প্রহরের মা-বাবা হয়তো এতোদিন অপেক্ষা করবেন না।”

“এতোদিন কোথায়? মাত্র সাত-আট মাসও কি অপেক্ষা করা যায় না?”

“দেখো, মাফিন। যতোটুকু আমি প্রহরের বাবা-মা সম্পর্কে জেনেছি, তারা খুবই সাধারণ মানুষ, আর তাদের চিন্তাধারাও উন্নত। আমি মনে করি, মারিয়াকে তারা নিজের মেয়ের মতোই দেখবে। আচ্ছা, এখন এই বিষয়ে আমি তাদের কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত দেই নি। তাই আপতত এই বিষয়টা নিয়ে কথা না বললে ভালো হয়। এখন আমাকে স্বস্তিকা আর তোর বিয়ে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।”

মাহাথি বলল,
“মা, আমরা না হয় তাদের সামনাসামনি বসেই এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করি।”

“ঠিক বলেছিস। আমি আগামীকালই ফাতেমা আর রিয়াজ ভাইয়ের সাথে দেখা করবো। আর আমার সাথে তুই আর তোর মামা যাবি। ফায়াজ ভাইকে আমি আজ রাতেই জানাবো।”

এরপর আরিয়া ফেরদৌস নাস্তা খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন। এদিকে মাফিন এখনো নাস্তার টেবিলে বসে আছে। আজ অনেকদিন পর তার খুব শান্তি লাগছে। ভাবতেই ভালো লাগছে, খুব শীঘ্রই স্বস্তিকা তার কাছে চলে আসবে।
একমাস আগেও কিন্তু স্বস্তিকার প্রতি মাফিনের ভালো লাগা সৃষ্টি হয় নি। স্বস্তিকার বারবার ফোন দেওয়া, এটা-ওটা জিজ্ঞেস করা, অবুঝ কথাবার্তা সবকিছুই মাফিনের ন্যাকামো মনে হতো। কিন্তু ইদানীং সে এসবে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার এসব কথা ওতোটাও বিরক্ত লাগে না, আবার ভালোও লাগে না। কারণ মাফিন চায়, তার বউ খুব বুদ্ধিমান ও দায়িত্বশীল হবে। কিন্তু স্বস্তিকা অনেক অবুঝ মেয়ে আর দায়িত্ব নেওয়ার মতো তার মধ্যে কোনো পরিপক্বতা আসে নি। তবে সে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না। কারণ তার বোন মারিয়াও অনেকটা অবুঝ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। যদিও মারিয়া বয়সে স্বস্তিকার চেয়ে অনেক ছোট। হয়তো বয়স কম হওয়ায় তার মধ্যে পরিপক্বতা আসে নি। তবুও এখন তো তার বিয়ে হয়েই গেছে। তাই এখন মাফিন এতোটুকুই জানে, সে যদি স্বস্তিকার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলে, দেখা যাবে মারিয়ার স্বভাব নিয়েও প্রহর প্রশ্ন তুলবে। যা মাফিন কখনোই মেনে নিতে পারবে না। তাই সে নিজেই মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে, স্বস্তিকা এমনই। আর পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব আলাদা। সবার আচার-আচরণের মধ্যেই পার্থক্য আছে। আর তাই হয়তো স্বস্তিকা ও মাফিনের মধ্যে এতোটা অমিল।

দিনশেষে মাফিন হয়তো বুঝতে পেরেছে স্বস্তিকা ভিন্ন, তবুও অযোগ্য নয়। ঠিক তেমনিই কি প্রহরও মারিয়ার ভিন্নতা মেনে নিয়ে তাকে যোগ্য ভাবতে পারবে?

অফিসে ঢুকেই নাহিদের মুখোমুখি হলো আরিয়া। নাহিদ তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
“আজ এতো তাড়াতাড়ি?”

আরিয়া ফেরদৌস বললেন,
“কেন তাড়াতাড়ি আসলে, তোমার সমস্যা কোথায়?”

“আরেহ, সমস্যা কেন হবে? এমনিতেই জিজ্ঞেস করলাম। তুমি তো আবার নির্দিষ্ট সময়েই আসো। এর আগেও না পরেও না।”

“কিছু কাজ ছিল। তাই আগে চলে এসেছি।”

আরিয়া ফেরদৌস কথাটি বলে সামনে এগুতে লাগলেন। নাহিদ হোসেন তার পিছুপিছু এসে আমতা আমতা করে বললেন,
“আজকে যদি দুপুরে…”

আরিয়া ফেরদৌস দাঁড়িয়ে গেলেন। আর সাথে সাথেই নাহিদ হোসেন চুপ হয়ে গেলেন। আরিয়া ফেরদৌস বললেন,
“আমতা-আমতা করছো কেন? সোজাসুজি বলো!”

নাহিদ হোসেন হালকা হেসে বললেন,
“আজ দুপুরে যদি একসাথে লাঞ্চ করতাম তাহলে!”

“তাহলে?”

“এই আর কি!”

“কি আর কি!”

নাহিদ হোসেন এবার মাথা নেড়ে বললেন,
“না কিছু না।”

আরিয়া ফেরদৌস আবার হাঁটতে লাগলেন। নাহিদ মনে মনে বললেন,
“অর্ধেক কথা তো বলেই দিয়েছিলাম, তাও কি বুঝলো না আমি কি বোঝাতে চেয়েছি?”

আরিয়া ফেরদৌস তার কেবিনের সামনে এসে দরজা খুলতে খুলতে পেছনে তাকিয়ে বললেন,
“পাশের রেস্টুরেন্টের খাবারটা ওতোটা ভালো না। তবে অন্য কোথাও যাওয়া যায়৷”

নাহিদ হোসেন কথাটি শুনে খুশি হয়ে সামনে এগিয়ে আসতে যাবেন, তখনই আরিয়া ফেরদৌস কেবিনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। নাহিদ কেবিনের দরজার সামনে মাথা ঠেকিয়ে বললেন,
“এই মেয়ে তো একদম কচ্ছপের মতো। বাইরে শক্ত ভেতরে নরম। তবে তার চাল-চলন বাঘিনীদের মতো। আর শেষ কথাটিও টুপ করে বলে পট করে চলে গেলো। দ্বিতীয় কথা বলার সুযোগটাও আর দিলো না।”

এদিকে মারিয়া আজ কলেজে দুইটা বিষয়ের কোচিং ক্লাস করতে এসেছে। নিবিড় প্রতিদিনই কলেজের কোচিং ক্লাসগুলো করে, কিন্তু মারিয়া বাসার পাশেই কোচিং করে বিধায়, তার সাথে নিবিড়ের খুব কম দেখা হয়। তাই আজ অনেকদিন পর মারিয়াকে দেখে নিবিড় অনেক খুশি হলো। মারিয়া ব্যাগ থেকে ছাতা বের করছিলো, তখনই নিবিড় তার সামনে এসে দাঁড়ালো। মারিয়া ব্যাগের দিকে তাকিয়ে থাকায়, সে প্রথমে নিবিড়কে খেয়াল করে নি, তাই সে নিবিড়ের অনেকটা কাছে চলে এলো। যখনই নিবিড়কে দেখলো, তখনই কয়েক পা পিছিয়ে গিয়ে বলল,
“তুই এভাবে মুখের উপর চলে এলি কেন? দূরে যা, দূরে যা!”

নিবিড় মলিন মুখে বললো,
“এভাবে তাড়িয়ে দিচ্ছো কেন? মনে হচ্ছে আমার কোনো ছোঁয়াচে রোগ আছে!”

“রোগ থাকুক বা না থাকুক, দূরত্ব রেখে চলা উচিত।”

“হঠাৎ এমন রিজার্ভ হয়ে যাচ্ছো!”

“বিয়ে হয়ে গেছে আমার। ভুলে গেলি নাকি?”

“উহুম। এই সত্যটা নিয়েই তো বাঁচতে শিখছি। এই সত্যটা আমাকে অনেক শক্তি দেই।”

মারিয়া ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “কিভাবে?”

নিবিড় মুচকি হেসে বললো, “সিক্রেট!”

“বল না।”

“তাহলে চলো, কোথাও বসি। ক্লাস তো শেষ। এতো তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে কি করবে?”

মারিয়া কিছু একটা ভেবে মুচকি হেসে বলল,
“ওহ তাই তো। আজ তো আর ক্লাস নেই। বাসায়ও তো কেউ নেই।”

কথাটি বলেই মারিয়া দৌঁড়ে একপাশে চলে গেলো। নিবিড় কিছুই বুঝতে পারলো না। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। এদিকে মারিয়া মনে মনে ভাবলো,
“আজ প্রহরকে বাইরে লাঞ্চ করার জন্য বলবো। একসাথে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে না হয় বাসায় চলে যাবো। আর যতোদূর জানি, আজ তার অফিস ছুটি। তাহলে তো বিকেল পর্যন্ত একসাথে সময় কাটানো যাবে।”

মারিয়া সাথে সাথেই প্রহরকে ফোন করলো। এদিকে প্রহর বাতিঘরে বসে বই পড়ছে আর কিছুক্ষণ পর পর এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। কারণ আজ মহুয়াও বাতিঘরে আসবে। গতকাল কথার ফাঁকে ফাঁকে সে মহুয়ার বাতিঘর যাওয়ার সময় জেনে নিয়েছিলো। আর আজ সেই সময় অনুসারেই প্রহর চলে এসেছে। হঠাৎ মহুয়াকে দেখেই প্রহর দাঁড়িয়ে গেলো। তখনই মারিয়ার ফোন এলো। প্রহর এক প্রকার বাধ্য হয়েই কল ধরলো। মারিয়া বলল,
“মিস্টার বর, আপনি এখন কোথায়?”

মারিয়ার কন্ঠ শুনেই প্রহরের মনে অস্থিরতা বাড়তে লাগলো। সে ক্ষীণ কন্ঠে বলল, “কাজে আছি।”

মারিয়া বলল,
“কিন্তু আজ তো আপনার ছুটি।”

“ছুটির দিনেও আমার কিছু কাজ থাকে।”

“ওহ, ভাবছি কি, আজ না হয় আমরা বাইরে লাঞ্চ করি!”

প্রহর কথাটি শুনে ব্যস্ত কন্ঠে বললো,
“না, না, আমি অনেক ব্যস্ত আছি। অন্য একদিন।”

কথাটি বলেই প্রহর কল কেটে দিলো। মারিয়ার উত্তরের অপেক্ষা করলো না। কল কেটে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রহরের অস্থিরতা আরো বাড়তে লাগলো। বারবার কানে বাজছে মারিয়ার কন্ঠ, “মিস্টার বর, আপনি এখন কোথায়?”

প্রহরের বুকটা কাঁপছে। সে বন্ধ বইটা হাতে নিয়েই পাশে থাকা টুলের উপর বসে রইলো। হঠাৎ মহুয়া তাকে দেখে বলল,
“ভাইয়া, আপনি এখানে?”

প্রহর মহুয়ার কন্ঠ শুনে আরো বেশি অস্থির হয়ে গেলো। মহুয়া আবার জিজ্ঞেস করলো,
“আপনার শরীর খারাপ!”

প্রহর কাঁপা কন্ঠে বললো,
“হঠাৎ কেমন যেন লাগছে।”

মহুয়া চিন্তিত হয়ে বলল,
“কি বলছেন, ভাইয়া?”

কিছুক্ষণ পর,
কাছের একটা ফার্মাসিতে প্রহরকে নিয়ে এসেছে মহুয়া। আপতত প্রহরের রোগ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে পারলেই হয়তো বাকীটা বোঝা যাবে। এদিকে প্রহরও কিছু বলছে না।

ফার্মাসির দোকানদার প্রহরের ব্লাড প্রেশার মাপার পর বললেন,
“উনার তো হাই ব্লাড প্রেশার আছে।”

মহুয়া চিন্তিত মুখে বলল,
“কি করবো এখন!”

তিনি একটা টেবলেট এগিয়ে দিয়ে বললেন,
“আপতত এই ওষুধটা অর্ধেক করে খেলে হয়তো ভালো হবে। আর বাকীটা ডাক্তার দেখানোর পর বোঝা যাবে। উনি হয়তো কোনো মানসিক চাপে আছেন। আর এলকোহল বা নেশাদ্রব্য খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এখনই বন্ধ করতে হবে। ভাইয়ার বয়স তো বেশি মনে হচ্ছে না। পারিবারিকভাবে হয়তো এই সমস্যাটা আছে।”

প্রহর মাথা নেড়ে বোঝালো, তার পারিবারিকভাবেই এই সমস্যা আছে। মহুয়া এবার প্রহরকে বলল,
“ভাইয়া, আমি কি মারিয়াকে বলবো?”

প্রহর মাথা নেড়ে বলল, “না, প্লিজ।”

“তাহলে আপনাকে তো আপতত এই ওষুধটা খেতে হবে। চলুন পাশে কোথাও বসে খাবার খেয়ে নিন। তারপর ওষুধটা খাবেন। খালি পেটে খেলে আবার সমস্যা হবে।”

এরপর মহুয়া প্রহরকে নিয়ে পাশের একটা রেঁস্তোরায় গেলো, আর খাবার অর্ডার করলো। প্রহর চুপচাপ বসে আছে। তার এখনো অস্থির লাগছে। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছে না। সে মারিয়ার সাথে প্রতারণা করতে পারবে না। আর মহুয়াকেও ভুলতে পারছে না। এই মুহূর্তে তার নিথর হয়ে বসে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই।

খাবার আসার পর মহুয়া খুব যত্নের সাথে প্রহরের প্লেটে এটা-ওটা তুলে দিতে লাগলো। হঠাৎ মহুয়ার চোখ আটকে গেলো, সামনে থাকা দুইজন মানুষের দিকে। মহুয়াকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে প্রহর মহুয়ার দৃষ্টি অনুসরণ করে পেছনে ফিরে মারিয়াকে দেখে অবাক হয়ে গেলো। মারিয়ার পাশে নিবিড় দাঁড়িয়ে আছে। মহুয়া কিছু বলতে যাবে, তখনই মারিয়া প্রহরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,
“আমি তো ভেবেছিলাম, আপনার কাজ আছে। নয়তো আপনাকে ফোন করে বলতাম, একসাথে লাঞ্চ করার কথা।”

প্রহর চুপ করে রইল। মারিয়া নিবিড়কে দেখিয়ে দিয়ে বলল,
“আমার ক্লাসমেট নিবিড়।”

তারপর নিবিড়কে উদ্দেশ্য করে বলল,
“উনিই হচ্ছেন আমার মিস্টার বর, যার কথা তোকে বলেছি। আর ওকে তো চিনিসই আমার চান্দু।”

এরপর মারিয়া আবার প্রহরকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“আজ আপনি বরং আপনার শালিকাকে সময় দিন। আর আমি আমার বন্ধুর সাথে লাঞ্চ করে নিই।”

কথাটি যেন সবার কানে খুব কড়া ভাবেই আঘাত করেছে। হয়তো মারিয়ার বলার ধরনটাই আঘাত করার মতো ছিল।

মারিয়া নিবিড়কে নিয়ে পাশের আরেকটা টেবিলে গিয়ে বসলো। মারিয়ার দৃষ্টি বাইরে। এদিকে নিবিড় মারিয়ার চোখ দেখেই পুরো ঘটনা আন্দাজ করে ফেলেছে। কিন্তু এই মুহূর্তে নিবিড় শুধু মারিয়ার দৃষ্টি দিয়েই চিন্তা করছে। তবে সে নিজের দৃষ্টি দিয়ে চিন্তা করে ধারণা করলো, হয়তো মারিয়া যা ভাবছে, তা ভুল। কিন্তু সে মারিয়াকে এই ব্যাপারে কিছুই বললো না। কারণ এক ক্ষেত্রে সে মনে মনে খুশি হয়েছে। যদি এই সূত্র ধরেও সে মারিয়ার মনে জায়গা নিতে পারে, তাহলে তো মন্দ হবে না। আবার মারিয়ার বিষন্ন চোখ দেখে তার কষ্টও হচ্ছে। কিন্তু এই পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর। তাই আজ নিবিড়ও একটু স্বার্থপর হতে চায়। একটু স্বার্থপর হয়েও যদি মারিয়াকে পাওয়া যায়, তাহলে তো বাকী বসন্ত সে স্বার্থহীন ভাবে ভালোবেসে জীবন কাটাতে পারবে।

চলবে–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here