পোড়া লাশ
৪র্থ ও শেষ পর্ব
গল্পের ক্যানভাস কল্পনার জগতে
তোমার সব প্রশ্নের জবাব আগামী অমাবস্যাতে পাবা।”
প্রাইভেট নাম্বার থেকে এই ম্যাসেজটা আসলো।আমি সাথে সাথে মাহিমকে দেখালাম।মাহিম দেখে অবাক।
-মাহিম,আমি এখানে সবকিছু জানতে এসেছি এই নাম্বারের লোকটা জানলো কিভাবে?
তাহলে তিনিই কি সব মানুষ গুলোকে পুড়িয়ে মারছেন?
কিন্তু লোকটা হত্যা করলে এই মহিলা ও মেয়ে কেন আমার সামনে আসছে?
মাহিম প্লিজ হেল্প মি!সেদিন মাহিমের সাথে বাসায় আসার পথে ঘটলো এক বড় অঘটন।একটা গর্তে পা পড়ে মচকে গেলো।প্রচণ্ড ব্যথায় কোকরাতে থাকলাম।
বাড়ি এসে সেই আগের মতো অফিস থেকে লম্বা ছুটি।যতদিন না ব্যথা সারে ততদিনের ছুটি দিলো।কয়েকদিন পার হওয়ার পরে পায়ে ব্যথা থাকা সত্ত্বেও বাকি আরেক বন্ধুর খোঁজে বের হলাম।কিন্তু কেউ বলতে পারে না বাকি বন্ধুটি কে?
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার পরিচয় মিললো।তার বাসাতেও সেম সমস্যা। বাইরের কারো সাথে তাদের ছেলেকে কথা বলতে দিবে না।
অনেক আঁকুতি করার পরে আমাদের অনুমতি দেয়া হলো।একটা অন্ধকার রুমে ছেলেটা এককোণে বসে আছে।আমাদের ঢোকা দেখেই বলতে থাকলো,
-আমাকে মারবেন না প্লিজ।আমি কিছু করিনাই।সব ওদের দোষ।ওরা প্ল্যান করে এগুলো করেছে।আমাকে ছেড়ে দিন!
ছেলেটার কাছেও ভালো করে যাওয়া গেলো না।সে হাত পা ছুড়তে থাকলো।বুঝলাম কিছু একটা নিয়ে সে ভীত।আমি তাকে দূর থেকে প্রশ্ন করলাম,
-সেদিন কি হয়েছিলো তোমাদের সাথে।আমাকে কিছু বলো!
ছেলেটা শুধু বলতে থাকলো,
-আমি কিছু করিনাই।আমাকে ছেড়ে দিন।
ছেলেটার নাম সিয়াম।তার মায়ের কাছে এরকম ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই বললো,
-আমার ছেলেটার কি হলো জানিনা!খালি বলে মা ওইখানে ওই মহিলা দাঁড়িয়ে।আমাকে নিতে এসেছে।মা আমি যাবোনা।
-মহিলা কে?ওকে জিজ্ঞাসা করেন নাই?
-জানিনা মা,হঠাৎ করে আমার ভালো ছেলেটার কি যে হলো।ওর বন্ধুরা তো সবাই মারা গিয়েছে।আমার ছেলেটা বাঁচবে কিনা
আল্লাহ জানে।
-আল্লাহর উপরে ভরসা রাখুন।
সেদিনের মতো চলে আসলাম।সিয়ামের মা কে বলে আসলাম,সিয়ামের অবস্থা ভালো হলে আমাদের জানাতে।
তখনো আমার মাথা থেকে প্রাইভেট নাম্বার আর আগন্তুক ছেলেটার কথা সরেনি।আবারো ওই বাড়িটাতে গেলাম।জিজ্ঞাসা করলাম ছেলেটার ব্যাপারে।তিনি বললেন,
-তোমারে মিথ্যা বলে কি লাভ?আমার ছেলেটা আজ প্রায় দশ মাস নিখোঁজ।
-তো সেদিন কেন বললেন আপনার ছেলে বেঁচে নেই?
-যে ছেলের ৮ মাস কোনো খোঁজ থাকেনা।তাকে মৃত বলবোনা,কি বলবো?
কথাগুলো বলেই মহিলা কান্না শুরু করলেন।তার কাছ থেকে আর কিছু শোনা যাবে না।আমি তাই তার রুমে প্রবেশ করে কিছু পাই কিনা দেখতে লাগলাম।
ছেলেটা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে পড়ালেখা করতো।আইডি কার্ডে সব লেখা।
একটা ভবিষ্যত ইঞ্জিনিয়ার হঠাৎ করে কেন গায়েব হবে?না অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে।
একদিন ফোন আসলো সিয়ামের বাড়ি থেকে।সিয়াম নাকি স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে।আমি সেদিন আনার গেলাম।সিয়ামের সাথে কথা হতে থাকলো।শুধু বলতে যাবে সেদিন কি হয়েছিলো, তখনই সিয়ামের গলার স্বর চেঞ্জ হয়ে গেলো।মূহুর্তের মধ্যে রুমের বাল্ব একবার জ্বলতে একবার নিভতে শুরু করলো।পুরোটা রুমে পোড়া মাংসের একটা ঝাঝালো গন্ধ বিদ্যমান হয়ে গেলো।শুধু আমি আর সিয়াম ওই রুমে।রুমের দরজাটাও বাইরে থেকে আটকানো,খোলা যাচ্ছে না।
-তুই একেও বাঁচাতে পারবি না!কোনোভাবেই না।নিজের ক্ষতি করতে না চাইলে আশা ছেড়ে দে।
সিয়াম একটা মহিলার ভয়েসে এভাবে বলতে থাকলো।
-কিন্তু সিয়াম আমাকে বলেছে, সিয়াম কিছু করে নি?
-অন্যায় যে করে আর অন্যায় সে সহে দুজনেই সমান অপরাধী।
এ কথা বলার পর সিয়ামের দেহ শুন্যে ভেসে গেলো।সে ছাদ বেয়ে উলটো হয়ে হাঁটতে শুরু করলো।আমি আয়তুল কুরসী পড়া শুরু করলাম।পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে রুমের দরজা খুলে গেলো।
সিয়ামের মা রুমে ঢুকে সোজা বারণ করে দিলো আমি যেন আর সিয়ামকে ডিস্টার্ব না করি।
চলে আসলাম সিয়ামদের বাড়ি থেকে।আর মাত্র ১৫ দিন পড়ে অমাবস্যা।আমাকে যা করার এর ভিতরেই করতে হবে।
মাহিমকে বললাম এইবার অমাবস্যাতে সে যেন আমার সাথে থাকে।মাহিম রাজি হয়ে গেল।
কিছুদিন যাবত মাথা থেকে এসব রেখে শান্তিতে থাকতে চাচ্ছিলাম।এক কাপ কফি নিয়ে মনের অজান্তে কখন যে বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়েছি তা খেয়ালই করিনি।সেই ছেলেটা শিষ বাজাতে বাজাতে রাস্তার ধার দিয়ে এগিয়ে চলছে।তার পিছনে আবছা অবয়ব দেখা যাচ্ছে।ভয়ে গায়ের কাঁটা শিউরে উঠলো।
তখনি কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।কিন্তু মনে হচ্ছিলো তিন বা চারজন মানুষ আমার রুমে হাঁটাহাঁটি করছে।আমি মুখ থেকে কাথা সরাতেই আমার খাটসহ আমাকে শুন্যে ভাসিয়ে নিল।আমি জোরে জোরে চিৎকার করছি,কিন্তু আমার আবারো গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিলো না।আমি আবারো আয়তুল কুরসি পড়ার পরে পরিস্থিতি একটু শান্ত হলো।বুকে ফুঁ দিয়ে দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে থাকলাম।কখন যে দুচোখের পাতা এক হয়েছে তা জানিনা।মুখের উপর গরম নিঃশ্বাস পড়ার শব্দে ঘুম ভাঙলো।চোখ মেলে তাকাতেই আমি যা দেখলাম, সেটা যে দেখবো তা আমি জীবনেও ভাবতে পারিনি।সেই মহিলাটা আমার পাশে শুয়ে আছে।
যথারীতি আবারো সেন্সলেস হয়ে গেলাম।একা বাড়ি হওয়াই যদি আমি চিৎকার করেও থাকি হয়তোবা কেউ শোনে নাই।
সেদিন সকালে মাহিমের সাথে সব শেয়ার করলাম।মাহিম আমাকে বললো,
-অন্যের জন্য টেনশন করে কি লাভ সুমনা?
১০জনের ৯ জন মারা গিয়েছে,কেউ তাদের বাঁচাতে পারেনি।তুমি পারবা?আশা ছেড়ে দাও!
-কি যে বলো,আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।
অমাবস্যার আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে।আমি আর মাহিম দুজনেই অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি।আগে থেকেই সিয়ামের বাড়ির আশপাশে অবস্থান নিয়েছি।যাতে সিয়াম বের হলে তাকে আটকানো যায়।
.অমাবস্যার রাতে সিয়াম তার রুমের পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলো।আমরাও পিছনের দিকে থাকায় সহজে তাকে দেখতে পেলাম।আমরা তার পিছন পিছন হাঁটতে থাকলাম।সে একটা ঘড়ের মধ্যে হাঁটছিলো।কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা মন্দিরটার দিকে চলে যেতে থাকলো।
কিন্তু হঠাৎ করে সিয়াম তার গতিপথ পরিবর্তন করে একটা পরিত্যাক্ত বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলো।আমরা মনে করলাম আমাদের উপস্থিতি টের পেয়েছে হয়তোবা।
পিছনে তাকিয়ে দেখি মাহিম নেই।আমার মনের কোনে তখন চারদিকের ভয় জমতে থাকলো।মূহুর্তের মধ্যে কোথায় গায়েব হয়ে গেলো।এবার আমি কাকে খুঁজবো?
সিয়াম ক্রমশই দূরে যেতে থাকলো এবং এক সময় সে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।আমি মাহিমকেও খুঁজে পেলাম না।আমাকে অসহায় মনে হচ্ছিলো তখন।
অনেক সময় ধরে খুঁজেও মাহিমকে পেলাম না।
হঠাৎ গরুর ডাক শুরু হয়ে গেলো।আমি দৌঁড়ে মন্দিরটার দিকে গেলাম।পথে আমার সামনে সাপ থেকে শুরু করে অনেক কিছু আসতে থাকলো।আমি যত দোয়া দরুদ পারি সব পড়তে থাকলাম।একসময় মন্দিরটার কাছে চলে গেলাম।গরুর ডাক তখনো স্পষ্ট।
হ্যাঁ, বটগাছটার গুহার মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।আর জানালা মতো কাটা অংশের দিক থেকে গরু ডাকার শব্দ আসছে।
তখনই দেখি পাশ থেকে মাহিমের গলা শোনা যাচ্ছে।কাকে যেন ধরে মাহিম চিল্লাচ্ছে।আমি সেদিকটাই এগিয়ে গেলাম।দেখি মাহিম একজনকে জড়িয়ে ধরে আছে।আমি কাছে গিয়ে টর্চ ফেলতেই তাকে চিনে ফেললাম।এ তো সেই ছেলেটা, যে আমাকে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে বলতো।
এ এখানে কি করে?গল্পটা ভালো লাগলে পেইজটি ফলো করে রাখুন তাহলে পরবর্তী এমন ধরনের গল্প পর্ব পোস্ট করলে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে।
ভালোমতো পাকড়াও করে ধরতেই সে দূর্বল হয়ে গেলো।এদিকে গরুর ডাকটাও আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেলো।
আমাদের সামনে সেই মহিলা ও তার মেয়ে বার হাজির হলো।জয়ের হাসি দিতে থাকলো।বিদঘুটে হাসি দিয়ে বললো,
-আমি বলেছিলাম না,কাউকে বাঁচাতে পারবি না।আমি আমার কথা রেখেছি।
কথাটা বলেই দুজনেই হাওয়ায় মিলে গেলো।
আর চলে যাওয়া স্থানে কিছু ছাই পড়ে থাকতে দেখা গেলো।
আমি দৌঁড়ে বটগাছটার ভেতরে ঢুকলাম।একটা পিতলের তৈরী গরুর আকৃতি দাঁড়িয়ে আছে।তার পেটের নীচ থেকে এখনো ধোয়া বের হচ্ছে।
এবার মাহিম ছেলেটাকে ধরে থাপ্পড় দিয়ে বললো,
-বল কাহিনী কি?
কিন্তু সে কোনোমতেই বলতে চায় না!আমি রিকুয়েস্ট করার পরে সে বলতে শুরু করলো,
-ছেলেগুলোর দশজনের একটা ফ্রেন্ডসার্কেল ছিল।তারা ছিনতাইয়ের কাজে যুক্ত ছিলো।সেদিন ছিলো অমাবস্যার রাত।ওই দশবন্ধু সেদিন রাতে মহিলাকে ধরে।মহিলা কিছু দিতে না চাইলে ছেলেগুলো মহিলাটির গলা চেপে ধরে।সাথে বাচ্চা মেয়েটিও ছিলো।সে বাধা দিলে তাকেও গলা টিপে হত্যা করা হয়।
তারপর তারা ভয়ে লাশদুটিকে ফেলে চলে আসতে চায়।কিন্তু তাদের ভেতরের একজন বলে আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে।এভাবে ফেলে রেখে গেলে হাতের ছাপ বড় একটা সমস্যা হতে পারে।তাই সে লাশটাকে পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু সচরাচর মানুষ যেভাবে পোড়ায় সেইভাবে তারা পোড়ায় না।ছেলেটা এর জন্য বেছে নেয় ‘ব্রাজেন বুল’ পদ্ধতি। সে কিছুদিন আগেই জিনিসটা সংগ্রহের জন্য কিনে রাখে।এভাবে কাজে লেগে যাবে ভাবতে পারে নাই।তারপর সিয়াম বাদে সবাই এতে সায় দিয়ে মহিলা ও তার বাচ্চাটিকে এই পিতলের তৈরী ষাড় আকৃতির জিনিসটার ভিতরে রেখে পুড়িয়ে হত্যা করে।মহিলা ও বাচ্চা দুজনের মধ্যে তখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো।আগুনে পোড়ানোর ফলেই তারা মারা যায়।
-কিন্তু এই মহিলার সাথে আপনার সম্পর্ক কি?আর আপনি এখানে কেন?
-প্রতিটা হত্যাই আমি করেছি।এই মেয়েটি ছিলো আমার স্টুডেন্ট।খুব ভালোবাসতাম ওকে।মারা যাওয়ার পরে তাদের দুজনের অবয়ব আমার সামনে আসে।আমাকে বাধ্য করে হত্যা গুলো করাতে।
৬.
আর আমার নাম্বার কিভাবে পেলেন?আর আমাকে ম্যাসেজ দিতেন কেন?
-আপনি প্রথম যেদিন আসেন সেদিন আপনাকে দেখি।ভালোও লেগে যায়।পরেরদিন আপনি বাড়ির নীচের ছোট একটি ছেলেকে দিয়ে ফ্লেক্সিলড দিতে পাঠিয়েছিলেন।তার কাছ থেকেই নেয়া।
-কিন্তু আপনি তো নিঁখোজ?
-সবার কাছেই আমি নিঁখোজ। কিন্তু এখনো এই শহরের বুকে আমি ছদ্মবেশে অবাধে চলাফেরা করি।
আজ থেকে আমি মুক্ত।
~সমাপ্ত~
Written By -MD Rashed Hasan
(যারা ব্রাজেন বুল কি বোঝেন নাই,তাদের জন্য বলি।
প্রাচীন গ্রীসের যতগুলো শাস্তির বিধান চালিত ছিল তার মধ্যে একটি এই ব্রাজেন বুল।পিতলের তৈরী একটা গরুর প্রতিকৃতি। যার ভেতরটা ফাঁপা।পেটের সাইডে খোলা যায় এবং এর ভেতরে মানুষ প্রবেশ করিয়ে নীচে আগুন ধরিয়ে দেয়া হতো।আগুনের উত্তাপে পিতল গরম হয়ে যেতো এবং ভেতরে থাকা মানুষটা পুড়তে থাকতো।বিশেষ ম্যাকানিজমের কারণে এমন অবস্থা করা ছিলো যে ভেতরের ব্যক্তিটি চিৎকার করলে বাইরে থেকে গরুর ডাকের মতো শোনা যেতো।
এই পদ্ধতিতে প্রাচীন গ্রীসে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হতো।আর এই শব্দকে উপভোগ করে রাজসভায় রাজকীয় ভোজের ব্যবস্থা করে ভোজন করা হতো।)
গল্পের কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা ঃ
মা ও মেয়ের অশরীরী ইঞ্জিনিয়ার ছেলেটির সাহায্যে দশ বন্ধুকে হত্যা করেছে।
ছাই,উলটো হেঁটে যাওয়া,থাপ্পড় খাওয়া, গলা টিপে ধরা সবই সত্য ছিলো।
মাহিম হারিয়ে গিয়েছিলো না, কৌশলে মন্দিরে গিয়েছিলো।
গরু দিয়ে নয়,পিতলের তৈরী গরুর আকৃতি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো।
আর অমাবস্যার রাতে মা ও মেয়ে মিলে ছেলেগুলোকে বশ করে মন্দিরটাতে নিয়ে আসতো।
এরকম ইন্টারেস্টিং লোমহর্ষকর গল্প প্রতিনিয়ত আমার এই গ্রুপে পোস্ট করা হয় আপনারা পড়তে চাইলে এই গ্রুপে যেয়ে পড়তে পারেন👇
https://facebook.com/groups/441730410822557/