নেশাক্ত_ভালোবাসা #লেখিকাঃ Tamanna Islam #পর্বঃ ৪৩ ❤️✨

0
986

#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ৪৩ ❤️✨

— আজ দিন টা অন্যরকম। আকাশ টা আজ গাঢ় নীল আর সাদা রঙে বেশ রঙিন। পরিবেশে কেমন এক মুখরিত ভাব। সূর্যের রোদ আজ নেই বললেই চলে। পরিবেশ টা কেমন জানি স্নিগ্ধ-শীতলময়। আশে পাশে গাছ-গাছালি গুলো তীব্র বাতাসে খেলা করছে। গাছের পাতাতে বাতাস লেগে একটা যেনো আরেকটার সাথে খেলা করছে। আর সেগুলোর বাতাস এসে কান অব্দি পৌঁছাচ্ছে। হুট করেই আকাশ টা কেমন আবছা আবছা কালো মেঘে ঢেকে গেলো। বাতাস টা আরো জোরে বইতে লাগলো। আকাশে মেঘের গুড়গুড় আওয়াজ হলো। অর্থাৎ বৃষ্টি আসবে। এটা বৃষ্টি আসার আগ মূহুর্ত। বৃষ্টি আসার আগ মূহুর্তে যেই মন ভোলানো বাতাস বয় তার ভালো লাগাটা মুখে ব্যাক্ত করা যাবে না, যায় না আসলে।

আইরাত জানালার কাছে বসে ছিলো। আব্রাহামের একটা অনলাইনে মিটিং ছিলো তাই সে ফোনে কথা বলতে বলতে বাইরে গিয়েছে। আব্রাহামের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আইরাত তার মুখ টা লটকিয়ে জানালার কাছে বসে ছিলো। তখনই মেঘ ডেকে উঠে। আইরাত জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। দেখে চারিদিকে কেমন এক সাজ সাজ ভাব করেছে। এটা দেখেই আইরাতের মন বাক-বাকুম হয়ে গেলো। আইরাত আবার দরজার দিকে তাকায় দেখে যে এখনো আব্রাহাম আসছে না। আর ঠিক তখনই আকাশে আরেকবার বেশ জোরে সোরে মেঘ গর্জন দিয়ে ওঠে। এবার আর আইরাতকে পায় কে? আইরাত দ্রুত পায়ে বিছানা থেকে নেমে পরে।

তবে আজ আইরাতের মাঝে ফুটে ওঠেছে এক অন্যরকম আলাদা ধাচের সৌন্দর্য। আইরাত এখন সাদা ধবধবে একটা শাড়ি আর লাল টকটকে একটা ব্লাউজ পরে আছে। হাতে চিকন কিছু চুড়ি। তার হাতে গোল গোল করে মেহেদী লাগানো। ঠিক যেমনটা আগের মানুষরা লাগাতো তেমন। কিন্তু এতেও যেনো আইরাতের হাত গুলোকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। সাদা হাতে লাল মেহেদি কেমন জ্বলজ্বল করছে। আব্রাহামের মতে আইরাত কে নাকি শাড়িতে অপূর্ব সুন্দর লাগে। আর তার এই অপূর্বতা থেকে চোখ সরানো বারণ। আইরাত কে এই শাড়ি টা পরিয়ে দিয়েছে আব্রাহাম তার নিজ হাতেই। আইরাতের পায়ে এক জোড়া নূপুর রয়েছে। সেটাও আব্রাহাম তার নিজ হাতেই পরিয়ে দিয়েছে। আইরাত প্রথমে ছুটে করিডরে চলে যায়। কিন্তু করিডরের ওপরে অনেক বড়ো ছাউনি আছে যার ফলে আকাশ দেখা যায় না। আইরাত একটা ভেংচি কেটে আবার ছুটে ছাদে চলে যায়।

আইরাত যেইদিক দিয়ে ছুটে যাচ্ছে সেখানেই যেনো আইরাতের পায়ে থাকা নূপুর গুলোর আওয়াজ সব ছনছন করে বেজে চলেছে। বাজছে তার হাতে থাকা সেই চুড়ি গুলোর রিমিঝিমি আওয়াজ। আইরাত গিয়ে সোজা ছাদের একদম মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ায়। এবার যেনো আইরাত আনন্দের একটা নতুন ধারা খুঁজে পেলো। পরিবেশ টা কেমন একটু মেঘাচ্ছন্ন হয়ে এসেছে। বাতাসের বেগ টা আরো একটু ভারি হয়ে গেলো। নাকে ভেসে আসতে লাগলো এক সুমধুর মিষ্টি গন্ধ। প্রকৃতি যেনো আজ তার আপন লীলা-লাস্যে মেতে ওঠেছে। দূর আকাশে সেই পাখি গুলো তাদের ডানা ঝাপটে তাদের নীড়ে পৌছাচ্ছে। পরিবেশ টা কেমন ভারি ভারি। আগে থেকে আরো মেঘলা একটা ভাব হয়ে এলো। বেশ বুঝা যাচ্ছে যে গগন কাপিয়ে বৃষ্টি নামবে।

আইরাত হাটতে হাটতে ছাদের আরো মাঝখানে এসে দাঁড়ায়। আসলে ছাদ টা আকারে বিশাল বড়ো। কেউ এটাকে দেখে বলবে না যে এটা ছাদ। ছাদের এক পাশে অনেক গুলো ফুল রয়েছে। এমন কোন ফুল নেই যে সেখানেই নেই। তবে সবচেয়ে বেশি রয়েছে গোলাপ ফুলের গাছ। আইরাতের গাঢ় লাল গোলাপ পছন্দ দেখে আব্রাহাম নিজ হাতে গোলাপ গাছ গুলো লাগিয়েছে। বলা যায় ছাদের ওপরেই একটা ছোট খাটো বাগান রয়েছে। এবার হঠাৎ একটা দমকা বাতাস এসে আইরাতের গায়ে লাগলো। বাতাসে চুল গুলো উড়ে চলেছে। শাড়ির আচল টাও ছন্নছাড়ার মতো করে ঢেউ খেলিয়ে উড়ছে।

মুখ টা আকাশ পানে তুলে আপন মনে সেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশে তাকিয়ে ছিলো আইরাত। তখনই টুপ করে এক বিন্দু বৃষ্টি ফোটা তার মুখের ওপর পরে। সাই করে আরেক দফা বাতাস বয়ে যায়। আইরাত যেনো এখন নিজেকে এই প্রকৃতির মাঝে অনুভব করতে পারছে। সে তার দুই আখি বন্ধ করে দুই হাত দুইপাশে মেলে দাঁড়িয়ে থাকে। ঠিক তার কয়েক মূহুর্তের পর হুড়মুড় করে ঝিরিঝিরি শব্দ তুলে বৃষ্টি নেমে এলো। আইরাত চোখ দুটো মেলে তাকায়। মুখের কোণে ফুটে ওঠেছে দীর্ঘ হাসির রেখা। আইরাত সেই এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজতে লাগলো। ছাদে থাকা ফুলের গাছ গুলোতে বৃষ্টির শীতল পানি পরে সেগুলোর সুগন্ধি যেনো আরো দ্বীগুণ করে তুলেছে। বৃষ্টির পানি গুলো বেশ ঠান্ডা। আইরাত ভিজে একদম চুপচুপে হয়ে গেলো। গায়ে থাকা শাড়িটা ভিজে একদম আষ্ঠেপৃষ্ঠে লেগে ধরেছে তার সাথে। খোলা কোমড় টাতে পানির বিন্দু লেগে আছে। ঘাড়ে-গলাতেও পানির বেশ ছিটেফোঁটা লেগে আছে। চুল গুলো ভিজে একদম টপ টপ করে পানি পরছে। গলা গালের সাথে চুল গুলো কিছু লেগে ধরেছে। আকাশে এবার বিদ্যুৎ চমক দিয়ে উঠে। আইরাত পায়ে থাকা নূপুর গুলো ভিজে ওঠেছে। সে খালি পায়ে ছাদের এদিকে ওদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলো। ছাদের এদিকে ওদিকে পানি জমে রয়েছে কিছু। আইরাত সেগুলো তার পা দিয়ে হাল্কা ভাবে ছিটিয়ে দিচ্ছে। নিজের মন প্রাণ খুলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে চলেছে। আইরাতের যেনো আর কোন দিকে খেয়াল নেই সে নিজের আপন মন মতো। শাড়ি টা একটু উঁচু করে ছাদের একদিক থেকে আরেকদিকে দৌড়ে চলেছে। তবে এভাবে থাকতে থাকতেই কেনো যানি আইরাতের মনে হলো যে কেউ তাকে খুব বেশি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখছে। আইরাত ঘুড়ে তার পেছনের দিকে তাকায়। দেখে ছাদের দরজাতে আব্রাহাম তার দুই হাত ভাজ করে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আব্রাহাম আইরাতের দিকেই তাকিয়ে আছে। আইরাত তো নিজের মতো করে বৃষ্টি কে উপভোগ করে চলেছিলো কিন্তু আব্রাহাম কে তার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আইরাতের বুকের ভেতর টা কেমন ধক করে ওঠে। শ্বাস ঘন হয়ে আসে। আইরাত বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। বৃষ্টির পানি গুলো আইরাতের সারা গায়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পরছে। আব্রাহাম একদম সাদা প্যান্ট আর শার্ট পরে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ গুলো আইরাতে স্থীর। বৃষ্টির বেগ আরো বেড়ে গেলে আব্রাহাম কে কেমন ঝাপসা ঝাপসা লাগছে দেখতে। তখন আরো একবার বিদুৎ চমক দিয়ে উঠে। আইরাত এবার চমকে গিয়ে চোখ-মুখ কিছুটা কুচকে ফেলে।

আব্রাহাম এবার আর দাঁড়িয়ে না থেকে সোজা নিজের সামনে হাটা দেয়। বৃষ্টির পানিতে আব্রাহামও নেমে পরে। মূহুর্তেই আব্রাহামও ভিজে যায়। বৃষ্টি ভেজা পানিতে আব্রাহামের শার্ট টা ভিজে একদম তার গায়ে সাথে লেগে ধরে। ভেতর থেকে তার বডি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আব্রাহাম এসে আইরাতের সামনে দাঁড়িয়ে পরে। আব্রাহামের সামনের চুল গুলো ভিজে তা থেকে টপ টপ করে পানি পরছে। আব্রাহাম একবার আপাদমস্তক আইরাতকে দেখে নিলো। আব্রাহাম তার হাত টা আইরাতের গালে রাখে। আব্রাহামের শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে আইরাত কেমন যেনো কিছুটা কেপে ওঠে। আব্রাহাম এক হাত দিয়ে আইরাতের কোমড়ে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে। আইরাত তার একটা হাত আব্রাহামের বুকের ওপরে রেখে দেয়। আব্রাহাম তার মাথা আইরাতের মাথার সাথে ঠেকিয়ে রাখে। তার একটা হাত আইরাতের গালে স্লাইভ করতে করতে বলে ওঠে…..

আব্রাহাম;; তোমার ধারনাও নেই জানপাখি তোমাকে এই বৃষ্টিভেজা শাড়িতে কি পরিমাণ আবেদনময়ী লাগছে।

আইরাত;; ________________

আব্রাহাম;; এমন করে আমার সামনে প্লিজ এসো না । ঠিক থাকতে পারি না আমি। নিজের ওপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি আমি। নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগে। নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসে আমার। তোমাকে কাছে পাবার প্রবল ইচ্ছে জাগে।

আইরাত;; ________________

আব্রাহাম তার হাত দিয়ে আইরাতের গোলাপি ঠোঁট গুলো ছুইয়ে দেয়। আইরাত মাথা টা কিছুটা ঝুকিয়ে রেখেছে। আব্রাহাম আইরাতের কোমড়ে স্লাইভ করতে লাগে। আইরাত তার হাত দিয়ে আব্রাহামের শার্ট টা খামছে ধরে। আব্রাহাম দেখে আইরাতের গলায় ঘাড়ে পানি গুলো শিশির বিন্দুর ন্যায় চিকচিক করছে। আব্রাহাম এগুলো দেখে যেনো নিজের ওপর একদম লাগামহীন হয়ে গেলো। আর এক মূহুর্ত দেরি না করে আব্রাহাম আইরাতের গলায় মুখ ডুবায়। আইরাত আবেশে চোখ গুলো বন্ধ করে ফেলে। আব্রাহাম চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগলো আইরাতের ঘাড়ে। আইরাতের ভেতরে এক আলাদা অনুভূতি হচ্ছে। এক অজানা অনুভূতি যার নাম সে জানে না। আইরাত বেশ লজ্জা পায়। সে আব্রাহাম কে ছাড়িয়ে সেখান থেকে এসে পরতে চাইলে আব্রাহাম তার হাত ধরে ফেলে। তারপর আবার তাকে নিজের কাছে আনে। এক হেচকা টান দিতেই আইরাত আবার আব্রাহামের কাছে এসে পরে। আইরাতের পিঠ টা আব্রাহামের বুকের কাছে। আব্রাহাম পেছন থেকেই আবার আইরাতকে জরিয়ে ধরে তার ঘাড়ে মুখ ডুবায়। আব্রাহামের হাত গুলো আইরাতের পেটে-কোমড়ে বিচরণ করে চলেছে।

আব্রাহাম;; নিজের করতে চাই আমি তোমায়। তোমার ইচ্ছাতে, তোমার মতে। কাছে পেতে চাই আমি তোমায়। এতো টাই কাছে যেখানে তুমি আমি নামক কোন দুই উক্তি থকবে না। তুমি & আমি মিলে এক হয়ে যাবো। এতো টা কাছে পেতে চাই আমি তোমায় যেখানে কোন দূরত্বই থাকবে না। একদম না। জানপাখি হবে কি আমার…….!?

তখনই আকাশ কাপিয়ে বিদ্যুৎ গর্জন করে ওঠে আর আইরাত সাথে সাথে ঘুড়ে আব্রাহাম কে জড়িয়ে ধরে। আব্রাহামও আইরাতকে জড়িয়ে ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে ধরে। আব্রাহাম তার দুই হাত দিয়ে আইরাতের গালে ধরে তারপর ফট করেই আইরাতের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট গুলো মিশিয়ে ফেলে। তবে আইরাত এবার না করেনি, না ই আব্রাহাম কে কোন বাধা দিয়েছে। আব্রাহাম বুঝলো যে আইরাতের সম্মতি আছে। আব্রাহাম যেনো আইরাতকে আরো নিজের সাথে চেপে ধরে তার ঠোঁট জোড়া আকড়ে ধরে।

দুইজন ভালোবাসার মানুষ এই বৃষ্টিতে এক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দুইজনেই ভিজে একাকার হয়ে গেছে। তবে বাইরে যেনো বৃষ্টি আরো ভয়ানক রুপ ধারণ করলো। আব্রাহাম আইরাত কে ছেড়ে দাঁড়ায়। হাত
দিয়ে তার সামনে আসা চুল গুলো পেছনের দিকে ঠেলে দেয়। কিন্তু এবার আব্রাহাম আইরাতকে সোজা তার কোলে তুলে নেয়। আইরাত তার দুই হাত আব্রাহামের গলাতে জড়িয়ে ধরে। আব্রাহাম আইরাতকে কোলে নিয়ে সোজা ঘরের ভেতরে দিকে হাটা দেয়। রুমের ভেতরে গিয়ে আইরাতকে বিছানায় শুইয়ে দেয়। তখনই ধপ করে সারাঘরে অন্ধকার ছেয়ে আসে। রুমটাতে আবছা আলো এসে পরেছে। বাইরে যে বিদুৎ চমক দিচ্ছে মাঝে মাঝে তার আলো এসে সারাঘর কে ক্ষনিকের জন্য আলোকিত করে তুলছে। এ যেনো আলো-আধাঁরের এক অসম্ভব সুন্দর মিশ্রণ।

আব্রাহাম আইরাতকে বিছানাতে শুইয়ে দিয়ে ক্রমশ আইরাতের দিকে এগোতে থাকে। এখন আইরাতের সাথে তার মাথা একদম ঠেকে আছে। আইরাতের মাথা বালিশে ঠেকে গেলে আব্রাহাম আইরাতের দুই পাশে হাত দিয়ে আইরাতের ওপর ঝুকে পরে। আইরাতের কপালে আব্রাহাম উষ্ণ চুমুর উত্তাপ দিয়ে দিয়ে। তারপরেই আবার আইরাতের ঠোঁট গুলো আকড়ে ধরে। আজ যেনো দুজনের মাঝে কোন বাধাই নেই। আব্রাহাম আইরাতের ওপর থেকে ভেজা শাড়ির আচল টা ফেলে দেয়। নিজের গা থেকে সাদা শার্ট টা ফেলে দিয়ে আবার আইরাতের কোমড়ে ধরে নিজের দেহের সাথে আইরাতের দেহ টা লাগিয়ে নেয়। তারপর ডুব দেয় আইরাতের মাঝে। আজ আব্রাহাম তার আইরাতে মগ্ন। সে আজ তার আইরাতকে নিজের করে পেয়েছে। আইরাতের চোখের কার্নিশ বেয়ে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পরে। আব্রাহামের শূন্য পিঠ টা আইরাত খামছে ধরে। আব্রাহাম আজ তার প্রিয়তমা কে নিজের ভালোবাসার উষ্ণাতার চাদরর মুড়িয়ে নিয়েছে। আজকের এই বৃষ্টিভেজা দিনটা যেনো তাদের ভালোবাসাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এভাবেই একে-অপরের মাঝে পরিপূর্ণতা পেলো দুই ভালোবাসার মানুষ। আজ আইরাত সম্পূর্ণ রুপেই তার আব্রাহামের আর আব্রাহাম তার আইরাতের। আব্রাহাম-আইরাত মিলে এক, তাদের ভালোবাসার আজ এক নতুন অধ্যায় শুরু ❤️🥀।





চলবে~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here