#স্নিগ্ধ_চাহনি
#পর্বঃ৪
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত
‘আফনান ভাইকে খালা বিয়ে দিয়ে দিয়েছে দোস্ত। কানাডিয়ান এক মেয়ের সাথে। ভাবতে পারছিস কেমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে খালা!’
অর্পির কথা শুনে মৃন্ময়ী মৃদু হাসলো। বিশদিন যেতে না যেতেই বিয়ের খবর! বাহ বেশ ভালোই তো। মৃন্ময়ী শাড়ির আঁচল ঠিক করতে করতে সহজ গলায় বলে-
‘কানাডিয়ান মেয়েরা কেমন হয় রে অর্পি! নিশ্চয়ই খুব ভালো তাই না!’
‘আমি তোকে আফনান ভাইয়ের বিয়ের খবর দিলাম আর তুই আমার কাছে কানাডিয়ান মেয়েদের সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিস! তুই কি কথা ঘুরানোর চেষ্টা করছিস?’
মৃন্ময়ী আবারও হাসলো। ভীষণ মিষ্টি হাসি। অর্পি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে মৃন্ময়ীর দিকে। মেয়েটার চোখেমুখে কোনো প্রকার খারাপ লাগার রেশ দেখা যাচ্ছে না। এই হাসিটা তার ভালো লাগলেও এই মুহুর্তে মৃন্ময়ীর মিষ্টি হাসি বড্ড অদ্ভুত লাগছে। প্রেমিকের বিয়ের খবর শুনে প্রেমিকার স্বাভাবিক ব্যবহার করা, মুচকি হাসা এসব নিশ্চয়ই খুব বেমানান।
‘বিয়ে করেছে এটাতো খুব ভালো খবর। খুশির সংবাদ। বিয়ে মানেই তো আনন্দ আনন্দ ভাব তা-ই না!’
‘তুই হাসছিস কেন! তোর হাসি দেখে আমার ভয় করছে। গাঁ শিউরে উঠছে আমার। প্লিজ মৃন্ময়ী বোন আমার, একটু স্বাভাবিক আচরণ কর।’
অর্পি বেশ অস্বস্তি নিয়ে কথা গুলো বলে। মৃন্ময়ী ভ্রু বাঁকিয়ে সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করল-
‘স্বাভাবিক আচরণ বলতে কেমন?’
‘আফনান ভাইকে খালা বিয়ে করিয়ে দিয়েছে এটা শুনে তোর মন খারাপ করা উচিত। রাগে শরীর জ্বলে যাওয়ার করার কথা। খালা আর ভাইকে ইচ্ছেমতো বকা দিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করার পর আবারও কান্না করা, এসব হচ্ছে স্বাভাবিক। কিন্তু তা না করে তুই হাসছিস।’
মৃন্ময়ী বেশ মনোযোগ দিয়ে অর্পির কথা শুনল। অর্পি তার মুখের নানানরকম ভঙ্গিমা করে কথা বলছে। দেখতে ভালোই লাগছে। মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে তার খালার প্রতি ভীষণ ক্ষেপে আছে। মৃন্ময়ী সরল হাসি দিয়ে অতি শান্ত গলায় বলল-
‘আফনানকে বিয়ে দেয়নি সে নিজে বিয়ে করেছে। আফনান কোনো ছোট বাচ্চা না যে তাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে যা ইচ্ছে তা করিয়ে নিবে। যে কিনা ভালোবাসি বলেও ভালোবাসার জন্য লড়াই করতে জানে না, তার জন্য কেঁদেকেটে বুক ভাসানো নেহাতই বোকামি ছাড়া অন্যকিছু নয়।’
মৃন্ময়ীর শান্ত গলায় বলা এই কথা গুলোর মধ্যে হয়তো কিছু একটা ছিল যার কারণে অর্পি আর কোনো কথা বাড়াতে পারেনি। অর্পি আহত দৃষ্টিতে মৃন্ময়ীর দিকে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটার সাথেই কেন নিয়তি এমন নিষ্ঠুর খেলা খেলে! সব সময় এই মেয়েটাই কেন আঘাত পায়! মৃন্ময়ী তো ঠিকই বলেছে আফনান ভাই নিজেই বিয়ে করেছে। উনি চাইলেই তো পারতেন খালাকে বোঝাতে। আজ না হয় কাল খালা হয়তো মেনেই নিতেন। আর না মেনে নিলেও এত সহজে হার কেন মেনে নিলেন! ভালোবাসা কি এতটাই তুচ্ছ! হয়তো না। ভালোবাসা তুচ্ছ না তবে ভালোবাসা আগলিয়ে রাখার ক্ষমতাটা সবার থাকে না। হয়তো আফনান ভাইয়েরও সেই ক্ষমতা নেই। ভালোবাসার মানুষটাই সঠিক না।
‘কিরে তুই আবার কোথায় হারিয়ে গেলি?’
মৃন্ময়ীর হাল্কা ধাক্কায় অর্পির হুশ ফিরে। অপ্রস্তুত হাসি দিয়ে বলল-
‘হারিয়ে যাইনি এখানেই আছি।’
মৃন্ময়ী কপাল কুচকে কিছুক্ষন অর্পির দিকে তাকিয়ে রইলো। ধ্রুবর পর যদি কেউ তাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে থাকে তাহলে সে হলো এই অর্পি। বন্ধুর সকল পরিস্থিতিতে কীভাবে পাশে থাকা যায় তা শুধুমাত্র এই মেয়েকে দেখেই বোঝা যায়।
অর্পি মৃন্ময়ীর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে ভার্সিটির অন্যদিকে। ২৬শে মার্চ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভার্সিটিতে বিশাল আয়োজন। স্টেজ থেকে দেশাত্মবোধক গানের সুর ভেসে আসছে। সেই গানেই এক দল মেয়ে লাল সবুজ শাড়ি পরে নাচ পরিবেশন করছে। চারপাশ ছেলেমেয়েদের হৈচৈয়ে গরম একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছেলেরা গায়ে রংবেরঙের পাঞ্জাবি জড়িয়ে হৈ-হুল্লোড় করছে। আর মেয়েরা লাল, সবুজ আর সাদা আরও বিভিন্ন রঙের শাড়ি পরে এদিক-ওদিক হাঁটাহাঁটি করছে। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে থেকে আড্ড দিচ্ছে বন্ধুদের সাথে। কেউ বা আবার সেলফি তুলছে। কিছু কিছু মেয়ে অস্বস্তি নিয়ে এক পা দু পা করে হাঁটছে আর শাড়ির কুচি ধরে বার বার নিচে তাকাচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে শাড়ি পরার অভ্যাস তাদের নেই। মৃন্ময়ী নিখুঁত চোখে সব কিছু এক পলকেই দেখে নেয়। মাঠের এ-ই দিকটায় অনেক ভিড়। ভিড়ের মধ্যে অর্পির হাত ধরে তাল মিলিয়ে হাঁটা খুবই অস্বস্তির। তবুও তারা একে অপরের হাত ছাড়ছে না। হাত ধরেই ভিড়ের মাঝে হেঁটে যাচ্ছে। কিছু কিছু জিনিস অস্বস্তির হলেও তা ভরসার হয়। ভালো লাগার কারণ কারণ হয়।
দুপুরের শেষ। আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে আছে। মেঘের আড়ালেই লুকিয়ে গেছে শান্তশীতল সূর্য। চারপাশে আধার নেমে এসেছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ একটু পর পর গম্ভীরভাবে গর্জন করে উঠছে। গাছপালাকে এলোমেলো করে দিয়ে দমকা হাওয়া বইছে। খুব সম্ভবত বছরের প্রথম বৃষ্টি শুরু হবে কিছুক্ষনের মধ্যেই। মৃন্ময়ী ফুটপাত ধরে হাঁটছে। আচমকাই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোটা পরতে লাগল। মৃন্ময়ী আকাশের দিকে তাকালো। তারপর আবার ঘাড় ঘুরিয়ে আশেপাশে দৃষ্টি দেয়। মানুষ ছুটোছুটি করে আশ্রয় খুঁজছে। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেছে প্রতিটি মানুষ। শুধু সে নিজেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একদমই ব্যস্ত হচ্ছে না। ভালো লাগছে বছরের প্রথম বৃষ্টির ফোটায় নিজেকে বিলীন করতে। মৃন্ময়ী এক হাতে শাড়ির কুচি ধরে হাঁটা শুরু করল। কিছুটা পথ যেতেই কেউ একজন তার পাশাপাশি তাল মিলিয়ে হাঁটা শুরু করেছে। মৃন্ময়ী অবাক চোখে তাকায় পাশের মানুষটার দিকে। মৃন্ময়ীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেই মানুষটা মুচকি হেসে থেমে থেমে বলল-
‘কেমন আছেন মিস মৃ-ন্ম-য়ী??’
মৃন্ময়ীর চাহনি তীক্ষ্ণ হলো। সরু চোখে পর্যবেক্ষণ করছে মানুষটাকে। কিছুটা চেনা চেনা লাগছে। বৃষ্টির ছাঁটে ভিজে আসা সাদা রঙের শার্ট গায়ে লেপ্টে যাচ্ছে। মুখের উপর বিন্দু বিন্দু পানির কণা জমে আছে। ডান গালের একদম সাইডের বড় কালো তিলটা আরও গাঢ়তর হল। খুব সম্ভবত এটা জন্মচিহ্ন। বিদ্যুৎ ঝলকের মতই মানুষটার সাথে দেখা হওয়া প্রথম রাতের কথা মনে পরল। এই জন্মচিহ্নটা মৃন্ময়ীর মাথায় খুব পাকাপোক্ত ভাবেই বসে গেছে। মুগ্ধ আবারও সন্দেহের গলায় বলল-
‘আমাকে চিনতে পারছেন না তাই তো!’
মৃন্ময়ী মুগ্ধর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নেয়। ক্ষীণ স্বরে বলল-
‘চিনেছি তো! রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া জামাই আপনি।’
মৃন্ময়ীর কথায় মুগ্ধ লাজুক ভঙ্গিতে হাসলো৷ মিহি কন্ঠে বলল-
‘এই কথাটাই মনে রাখতে হলো আপনার!’
‘সবটাই মনে আছে। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ সেদিনের জন্য।’
‘বার বার ধন্যবাদ বলতে হবে না। তা মিস মৃন্ময়ী বৃষ্টিতে ভিজে কোথায় যাচ্ছেন?’
মৃন্ময়ী সহজ ভঙ্গিতে বলল-
‘বাসায় যাচ্ছি। আপনি কেন বৃষ্টিতে ভিজিছেন?’
মুগ্ধ হাল্কা হেসে কন্ঠে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে বলল-
‘বৃষ্টি হচ্ছে, ঠান্ডা হওয়াও বইছে। বেশ রোমান্টিক একটা ওয়েদার। এই সময় বৃষ্টিতে না ভিজে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।’
মৃন্ময়ী ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে মুগ্ধর দিকে। মুগ্ধর মুখে স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের মতো কথা শুনে খানিকটা বিভ্রান্ত হলো। মুগ্ধ উৎকন্ঠিত হয়ে বলল-
‘আপনি এখানেই একটু দাঁড়ান আমি আসছি।’
কথাটা বলেই মুগ্ধ ডান পাশের কদম গাছের দিকে এগিয়ে গেল। সব থেকে নিচের ডাল থেকে কয়েক কদম ফুল ছিঁড়ে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়। মুখে বিশ্বজয়ী হাসি ঝুলিয়ে ফিরে আসে মৃন্ময়ীর কাছে। হাত বাড়িয়ে সব গুলো ফুল মৃন্ময়ীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল-
‘ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। সাদা শাড়ি পরা এক বৃষ্টিকন্যা বৃষ্টিতে ভিজছে। অথচ তার হাত খালি এটা ঠিক মানাচ্ছে না। বৃষ্টি ভেজা রমনীর হাতে একগুচ্ছ বৃষ্টি ভেজা কদম থাকবে এটাই মানানসই। নিন এই গুলো ধরুন। নিজের হাতে নিয়ে হাঁটুন।’
মৃন্ময়ী ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। মুগ্ধর কর্মকাণ্ডে সে বার বার বিস্মিত না হয়ে পারছে না। বিস্ময় ভাবটা নিজের মাঝে চেপে রেখে ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে বলল-
‘যদি না নেই তাহলে কি রাগ করবেন?’
মুগ্ধ বেশ ভাব নিয়ে বলল-
‘উহুম.. শাড়ি পরা মেয়েদের উপর রাগ করতে হয় না। আর রাগ করলেও রাগটা বেশিক্ষণ ধরে রাখা যায় না।’
মুগ্ধর কথায় মৃন্ময়ী ঠোঁট চেপে হাসল। হাসি মুখেই ফুল গুলো নিজের হাতে নিয়ে নেয়। ফুলগুলো দেখতে দেখতে বলল-
‘আপনার কথাবার্তা সাহিত্যিক মানুষের মতো। যেমন তেমন সাহিত্যিক না। ভয়ংকর রোমান্টিক ধাঁচের। আপনি নিশ্চয়ই খুব গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তা-ই রোমান্টিকতা মুখ দিয়ে খইয়ের মতো ফুটছে।’
মুগ্ধ হো হো করে হেসে উঠলো। শক্তপোক্ত বিশালাকার শরীরটা কাঁপিয়ে তুলে হাসছে। হাল্কা ভেজা চুল গুলো ডান হাতে পেছনে ঢেলে দিয়ে মুখ মুছলো। কন্ঠে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলল-
‘আমি প্রেমে নয় বিয়েতে বিশ্বাসী। প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার মতো বোকামি আমি করবো না। ভালোবাসলে ডিরেক্ট তিনবার কবুল বলে নিজের করে ফেলব।’
মৃন্ময়ী হতভম্ব। মানুষটাকে তার কাছে বড্ড বেশিই অদ্ভুত লাগছে। লোকটা ধ্রুবর বয়সী হবে হয়তো। সাতাশ আটাশের কাছাকাছি। এই বয়সে এসব উদ্ভট কথায় মানায়?? এসব কথা তো অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের মুখে মানায়। যাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে আবেগ। আবেগের বশেই এসব কথাবার্তা বলা অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদেরই অভ্যাস।
বৃষ্টির বেগ বাড়তে লাগলো। তখনই পেছন থেকে একটা রিকশা এসে তাদের সামনে থামল। রিকশার ভেতর বসে থাকা রঞ্জন উত্তেজিত হয়ে বলল-
‘আপু তাড়াতাড়ি রিকশা উঠে আসুন। বেশি ভিজলে আপনার জ্বর আসবে।’
মৃন্ময়ী হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে রিকশা উঠে রঞ্জনের পাশে বসল। বিরক্তি প্রকাশ করে বলল-
‘তোর ধ্রুব ভাইজান এখনও আমার পেছনে তোকে লাগিয়ে রেখেছে??’
রঞ্জন বরাবরের মতোই দাঁত কেলিয়ে হাসলো। মৃন্ময়ী রাগী দৃষ্টিতে কিছুক্ষন রঞ্জনের তাকিয়ে থেকে মুগ্ধর দিকে তাকায়। যথাসাধ্য বিনীত ভঙ্গিতে বলল-
‘আজ আসছি, ভালো থাকবেন।’
মুগ্ধ চোখের ইশারায় সম্মতি জানাতেই তারা চলে গেল। মুগ্ধ স্থির চোখে রিকশার দিকে তাকিয়ে আছে। কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই রিকশা তার দৃষ্টির বাহিরে চলে গেল। মুগ্ধ আবারও হাসলো। অদ্ভুত হাসি।
ধ্রুব হসপিটাল থেকে বাসায় এসে সোজা মৃন্ময়ীর রুমে চলে আসে। বিছানার ঠিক মাঝখানে গুটিশুটি হয়ে ঘুমাচ্ছে মৃন্ময়ী। দু’দিনের জ্বরে যেন একদম দূর্বল হয়ে গেছে মেয়েটা। চোখের নিচে কালি পরেছে। মুখ শুকিয়ে বির্বণ হয়ে গেছে। ঠোঁট গুলোকে যেন প্রানহীন লাগছে। ধ্রুব চিন্তিত মুখে মৃন্ময়ীর পাশে বসল। ডিউটির জন্য ঠিক মতো মেয়েটার খেয়ালও রাখতে পারছে না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মৃন্ময়ীর কপালে হাত রেখে তাপমাত্রা বোঝার চেষ্টা করছে। এখন আর জ্বর নেই। মৃন্ময়ী তার কপালে ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেয়ে পিটপিট করে চোখে মেলে তাকায়। হাল্কা ভেজা শরীরে ধ্রুবকে দেখে বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করে-
‘বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে?’
ধ্রুব গম্ভীর গলায় বললো-
‘কেন আবার বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে?’
‘আমি কি তা বলেছি না-কি! শুধু শুধু রেগে যাচ্ছো কেন?’
মৃন্ময়ী মলিন কন্ঠে কথা গুলো বলেই উঠে বসলো। ধ্রুব নরম গলায় বলল-
‘এখন কেমন লাগছে?’
‘একদম ফিটফাট সুস্থ। আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করার কিছু নেই।’
ধ্রুব চুপ করে রইলো। কিছুটা সময় পর বেশ সিরিয়াস হয়ে বলল-
‘তরূ! তোর সাথে আমার কিছু জরুরী কথা আছে। এখন বলবো!’
মৃন্ময়ী বিস্ময় নিয়ে তাকায় তার ভাইয়ের দিকে। কি কেমন কথা বলবে যে আগে পারমিশন নিয়ে নিচ্ছে। আগে তো কখনো এমন করে কথা বলেনি তার ভাই।
চলবে…
(দু এক পর্বেই শেষ হবে এই গল্প। মাথা ব্যথার জন্য রিচেক করা হয়নি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ আর ভালোবাসা।)