প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২
#Writer_Afnan_Lara
🌸
এই রুপা শুন,তুই তিয়াসাদের সাথে উঠ আমি একা ভেলায় উঠবো
.
তোর মাথা কি ঠিক আছে?একা উঠবি?জীবনে ভেলা চালিয়েছিস?নির্ঘাত পানির মাঝখানে গিয়ে পড়বি তুই,তোর কিছু হলে আমি আন্টিকে কি জবাব দিব?
.
আরে হ্যাঁ আমি কত চালিয়েছি,,আমাদের বাসার পাশের সেই পুকুরটায় অনেকবার ভেলা চালিয়েছি আমি
তুই প্লিস আমাকে একা একটা ভেলার ব্যবস্থা করে দেস না প্লিস প্লিস
.
আচ্ছা দেখতেছি,দাঁড়া
.
রুপা ম্যামের সাথে কথা বলে অনেক রিকুয়েস্ট করলো পরে ম্যাম বললো বারতি টাকা লাগবে,কারণ উনারা একটা ভেলায় ৩জন ৩জন করে বুক করেছেন,আহানা একা উঠতে চাইলে তাকে তার ভাড়াটা দিতে হবে
.
রুপা এসে আহানাকে ব্যাপারটা জানালো,আহানা নিজের হাতের পার্সের টাকা গুনে হিসেব টিসেব করে বললো “ঠিক আছে”
ব্যস একা একটা ভেলায় উঠার বন্দবস্ত হয়ে গেলো তার
বড় করে আবারও শ্বাস নিয়ে সে ভেলায় উঠে বসলো,ভেলাটা এত নড়তেছে যে তার কলিজা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে
এখন না পারছে উঠে আসতে না পারছে চালাতে
তার সাথের সবাই ভেলা চালানো শুরু করে দিয়ে সামনেও চলে গেছে এতক্ষণে
প্রতি এক ভেলাতে ৩জন করে বসেছে সবাই
আহানা ঢোক গিলে চালানো শুরু করেছে অবশেষে
একদম কিছুদূর এসে চোখ বন্ধ করে লাফটা দিয়েই দিলো শেষমেষ
সেই ছেলেটা বলেছিল সময় নষ্ট না করতে,তাই আর এক সেকেন্ড ও দেরি করলো না আহানা
চোখ খুলে দেখলো সে মরে নাই এখনও,হাত পা সব ঠিক আছে
আসলে দেবতাখুমের শুরুতে যে পানি থাকে সেটা ওতটা গভীর না,গলার নিচ পর্যন্ত,আপনি পড়লেও ডুববেন না
আশেপাশের সবাই যারা ভেলাতে করে যাচ্ছিলো তারা আহানার দিকে বোকার মতন চেয়ে আছে
আহানা নিজেও বোকার মতন সবার চাহনি দেখে যাচ্ছে পরে যখন বুঝলো তার এবারের সুইসাইডের প্ল্যানটাও নষ্ট হয়েছে তখন সবার দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলিয়ে হেসে দিলো সে
যারা এতক্ষণ চেয়ে ছিল তারাও হেসে দিলো আহানার দাঁত কেলানি দেখে
আহানা কখনও লজ্জাকর কোনো সিচুয়েশনে পড়লে নিজেই হেসে দেয় যার কারণে অন্যরাও তাকে লজ্জা দেওয়ার মত কিছু বলার সাহস করে না তারাও হেসে দেয়
তো আপাতত সে ভেলাটা ধরে পানি থেকে উঠার চেষ্টা করতেছে
গায়ের হালকা হলুদ রঙের লং ফ্রকটা ভিজে গেছে,এখন তার নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগতেছে
মরলে মরতাম আবার বাঁচতে গেলাম কেন,সুইসাইড করতে গিয়ে যারা বেঁচে যায় তারপর যে সিচুয়েশনটা তাদের সামনে আসে সেটা অনেক লজ্জাকর,যেমন এখন আমাকে লজ্জায় পড়তে হলো,এই জামা শুকাবে কখন,কিরকম বিচ্ছিরি লাগতেছে আমাকে,ধুর!
আহানা অনেক কষ্টে ভেলায় উঠে বসলো,তারপর চুলগুলো জুটি করা থেকে খুলে পিঠের উপর ছেড়ে দিয়েছে যাতে ভেজা পিঠ না দেখা যায়
সে চায় না কেউ তাকে ভেজা জামায় এরকম বিচ্ছিরি লুকে দেখুক
ওড়নাটা গায়ে পেঁচিয়ে গাপটি মেরে সে বসে আছে কি করবে সেটাই ভাবতেছে,বাকিরা সবাই তাদের ভেলা চালানোয় বিজি হয়ে পড়েছে,এতক্ষণ সার্কাস দেখতেছিলো আই মিন আহানার কাণ্ডকারখানা দেখতেছিলো
আহানা মুখটা ফ্যাকাসে করে বাঁশটা হাতে নিলো আবার
ভেলায় উঠার আগেই পানির গভীরতা চেক করা উচিত ছিল আমার,শুধু শুধু এখন এত কিছু হলো,টাকাও নষ্ট হলো আর ভিজেও একাকার হলাম
আহানা বাঁশ দিয়ে পানি বাইতে বাইতে যাচ্ছে,মাঝে মাঝে থেমে থেমে গায়ের ওড়না দিয়ে গা ঢাকতেছে
হঠাৎ গা ঢাকার সময় দুম করে মাথায় কি যেন পড়লো তার,একটা কালো জ্যাকেট,জ্যাকেটটা ভালো করে দেখে সে উপরে তাকালো
৩টা ছেলে পাশেই একটা ভেলায় দাঁড়িয়ে পাশে বিরাট পাহাড়টার সাথে লেগে ছবি তুলতেছে একজন আরেকজনের
তার মধ্যে একজনকে সে চিনতে পারলো
এটা তো সেই ছেলেটা যে সকালে ওকে বাঁচিয়েছিল
শান্ত এদিক ওদিক তাকিয়ে তারপর নিচে তাকালো
আহানা বোকার মতন হাতে জ্যাকেটটা নিয়ে ওর দিকে চেয়ে আছে
ও ইচ্ছে করেই আহানার গায়ে নিজের জ্যাকেটটা ফেলেছিলো
.
তারপর গাল ফুলিয়ে বললো”জ্যাকেটটা পরে আমাকে উদ্ধার করেন,যেমন করে শিখাইলাম তেমন করে সুইসাইড করতে পারেন নাই?
জামা শুকাইলে আমাকে খু্ঁজে বের করে আমার জ্যাকেট আমাকে ফেরত দিবেন
বাই দ্যা ওয়ে আমার চোখের সামনে কোনো মেয়ে বিপদে পড়লে আমি হেল্প করি
যাই হোক আপনার মরতে মন চায় তাই তো?
এই যে এই পাহাড়টা দেখছেন এটাতে উঠে লাফ দিয়া দেন
দুম করে পানিতে পড়বেন,নিচের পাথরের সাথে মাথা ফেটে আপনি ডেড!!
নিন! জলদি করেন”
.
আহানা জ্যাকেটটার দিকে চেয়ে রেগেমেগে শান্তর গায়ে সেটা ছুঁড়ে মারলো তারপর বললো”কি সমস্যা আপনার?? আমি যেমন ইচ্ছা তেমন করে মরবো,আপনার এত কি?আরেকদিকে ফিরে থাকলেই তো হয়,আপনাকে কে বলেছিল সকাল বেলা আমাকে বাঁচাতে!”
.
কেউ বলে নাই,আমি দেখে ফেলছিলাম
তখন যদি আমি আপনাকে দেখেও না বাঁচাতাম তাহলে আমার গুনাহ হতো
.
খুব ধার্মিক গিরি দেখাচ্ছেন,তা মাথার টুপি কই?
.
শুনেন!মাথায় টুপি পরলেই সেটা ধার্মিকতা প্রকাশ করে না
.
১০০হাত দূরে থাকেন আমার থেকে,আমাকে হেল্প করতে আসবেন না একদম,ঢং দেখায় যত্তসব
.
কি বললেন?আমি ঢং দেখাই??
শান্ত রেগে আহানাকে ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলে দিলো
তারপর বললো-“কিছু কিছু মেয়ে হেল্প পাওয়ারও যোগ্য না”
.
এই শান্ত এটা তুই কি করলি?আর মেয়েটা কে?চিনস নাকি?শুরুতেই এমন ঝগড়া করতেছিস কেন,আল্লাহ!!!
মেয়েটা মরে যাবে তো
.
কচু মরবে,এই মেয়ের হচ্ছে কই মাছের প্রাণ
১০০বার সুইসাইড করার ট্রাই করেছে একবারও মরে নাই,আজ ও মরবে না দেখিস
.
আহানা পানিতে বসে গাল ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে শান্তর দিকে
.
ওকে গাইস চলো আমরা ফিরে যাই
.
শান্ত তার হাতের জ্যাকেটটা নিয়ে আবারও আহানার গায়ে ছুঁড়ে মেরে ভেলায় বসে বাঁশ হাতে নিয়ে ভেলা বাইতে বাইতে চলে গেলো
আহানা রাগে গজগজ করতেছে,শেষে কতগুলো ছেলে ভেলা নিয়ে ওর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সিটি মারতে মারতে যাচ্ছে দেখে বাধ্য হয়ে সে জ্যাকেটটা পরে নিলো
♣
কিরে বললি না যে মেয়েটা কে?
.
কেউ না,একটা বান্দর আর কিছু না,এটাই ওর পরিচয়
.
আহানা ভেলা থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকালো শান্তকে কোথাও দেখতে পেলো না তারপর জ্যাকেটরা হাতে নিয়ে হাঁটা ধরতেই তার ভার্সিটির সবাইকে খুঁজে পেয়ে গেলো সে
.
রুপা চোখ বড়বড় করে বললো”কিরে তোর হাতে এটা কার জ্যাকেট?”
.
কারোর না
.
কারোর না মানে?এটা আবার কেমন কথা
.
যার জ্যাকেট তার নাম “কারোর না”
.
তোর মাথা গেছে,যাই হোক আগে বল এরকম ভিজেছিস কি করে?
.
ঐ আসলে ভেলা থকে পড়ে গেছিলাম আমি
.
এই জন্যই বারবার বলছি একা একা ভেলায় উঠিস না এখন হলো তো?চল এখন,আরেক জায়গায় যাবো আমরা
.
আহানা পিছন ফিরে একবার তাকালো
শান্তকে পেলে ওর মুখে জ্যাকেটটা মেরে চলে আসবো আমি,বেয়াদব একটা ছেলে,আমাকে অপমান করলো,আমি মরি তো ওর এত কি আমাকে বাঁচানোর,বেয়াদব একটা!
.
শান্ত এসে জিপে বসেছে,নওশাদ ক্যামেরা ধরেছে ওর দিকে
শান্ত “দেবতাখুম” নিয়ে কিছু তথ্য বলে যাচ্ছে দর্শকদের
হঠাৎ বাম পাশ থেকে ওর জ্যাকেটটা এসে ওর মুখের উপর পড়লো দুম করে
শান্ত এক হাত মুঠো করে রেখেছে রাগে,কাজের সময় কেউ ডিস্টার্ব করলে মানুষটাকে খুন করতে মন চায় ওর
রেগে মুখ থেকে আরেক হাত দিয়ে জ্যাকেটটা সরিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখলো আহানা মুখটা বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে
কোমড়ে হাত রেখে বললো”আমাকে খোঁচা মারলে আমিও খোঁচা মারবো,আমাকে অপমান করলে আমিও অপমান করবো,আমাকে পানিতে ভিজাইলে আমিও পানিতে ভিজাবো
এটা বলেই আহানা পিছন ফিরে চলে গেলো
.
শান্ত এখনও রাগী লুক নিয়ে সেদিকে চেয়ে আছে
.
কিরে শান্ত! লাস্টে বললো যে পানিতে ভিজাবে,কই ভিজাইলো
.
শান্ত তাচ্ছিল্য করে হাসি দিয়ে জ্যাকেটটা পরতে পরতে বললো”বললেই হলো আর কি,এসবের জন্য সাহস লাগে,শান্তকে টেক্কা দেওয়া এত সহজ না
.
আসতেছে রে,বামে তাকা
.
রিয়াজের কথা শুনে শান্ত বামপাশে তাকালো,আহানা হনহনিয়ে এগিয়ে আসছে,হাতে ওড়না
শান্ত ভেবেছিল পানি আনতে গেছে এখন দেখি ওড়না খুলে আসতেছে
আহানা শান্তর কাছে এসে হাত থেকে ওড়নাটা গুটিয়ে নিয়ে শান্তর মাথার উপর ধরে চিপে দিলো
ভেজা ওড়না থেকে এক গাদা পানি এসে সব শান্তর গায়ে
নওশাদ রিয়াজ মুখে হাত দিয়ে চেয়ে আছে সেদিকে
শান্ত আশ্চর্য হয়ে গেছে,এটা কি হলো!!
আহানা ওড়নাটা এবার ঝেড়ে গায়ে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলো আর কিছু বললো না
.
রিয়াজ বললো”এই মেয়েটার সাহস কত দেখলি তোরা!
তারপর শান্তর ক্রোধ দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে বললো”শান্ত থাক বাদ দে এসব,চল আমরা যাই”
.
শান্ত পকেট থেকে রুমাল নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললো”এরে আমি ছাড়মু না!!মেয়েটার যে জিপ আছে ওটা ফলো কর”
.
শান্ত বাদ দে না প্লস
.
না নওশাদ”! বাদ দিব না,মেয়ে হয়ে এত সাহস দেখায় আমাকে,এরে তখন না বাঁচাইলেই হইত,এর তো মরাই উচিত!
.
এবার আহানাদের জিপ যাচ্ছে আলীর গুহার দিকে,এটাকে আলীর সুড়ঙ্গ ও বলা যায়
রহস্যময় একটা গুহা,বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত গুহাটি
মাতামুহুরি ও টোয়াইন নামক একটা খালের পাশ ঘেষে গুহাটির উৎপত্তি,এই গুহা নিয়ে রহস্যের কোনো শেষ নেই,মোট মিলিয়ে ৩টি গুহা এখানে,সবগুলো একসাথে দেখতে হলে ২ঘন্টা সময় লাগতে পারে
গুহাটির আগে কিছুদূরে এসে এক এক করে সব জিপ থামতেছে
প্রথমে সিঁড়ি বাইতে হবে,তারপর পাহাড় বাইতে হবে
সবাই হাতে হাতে মশাল নিয়ে তৈরি কারণ গুহাটির ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকার
ভিতরে ঢুকলে সরু পথ ও আছে যার কারণে হামাগুড়ির ও প্রয়োজন পড়বে
আহানা ভয়ে ভয়ে ঢুকতেছে,সিঁড়ি শেষ হতেই অন্ধকার শুরু
কেমন স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ,গা গুলিয়ে আসতেছে,সবাই একজন আরেকজনের হাত ধরে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে ভিতরের দিকে
হঠাৎই আহানার হাত ধরে কেউ ওকে কিনারায় টেনে নিয়ে গেলো,মুখে হাত রাখায় আহানা জোরেও চিৎকার দিতে পারলো না
বুকের ভেতরটা ডিপডিপ করতেছে,আহানা তার হাতের মশালটা উঁচু করে সামনে তুলতেই দেখলো শান্ত মুখটা গম্ভীর করে ওর দিকে চেয়ে আছে
.
আপনি?আবার?কি হইছে,হাত ছাড়ুন আমার
.
আপনার খুব মরার শখ তাই না?
.
ততততো?
.
তো আমি আপনাকে এই চিপায় এই খুঁটির সাথে বেঁধে চলে যাবো,এখানে থাকতে থাকতে এমনিতেই মারা যাবেন,কঙ্কাল হয়ে যাবেন একদম,ইজি না?
.
বেকুবি বন্ধ করেন,আমি কেমনে মরবো না মরবো সেটা আপনি কেন ডিসাইট করবেন,হাত ছেড়ে দিন ভালো হচ্ছে না কিন্তু
.
আমার সাথে যুদ্ধে নেমে আপনিও ভালো কিছু করেননি
.
আহানা শান্তকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে মশালটা সামনে ধরলো
খবরদার!আর একবার আমাকে ধরতে আসলো পুড়িয়ে দিব
.
শান্ত মুচকি হেসে এগিয়ে আসতেছে
আহানা ঢোক গিলে পিছোতে পিছোতে পাহাড়ের সাথে লেগে গেছে একেবারে
.
সরি বলেন আমাকে তারপর মাফ করবো কি করবো না সেটা ভাববো
.
কেন বলবো??
.
কারণ আপনি আমার সাথে মিসবিহেভ করছেন
.
আপনি কি করছিলেন মনে আছে?
আমাকে পানিতে ফেলে দিসিলেন,সেটা কি করে ভুলবো?
.
আপনি আমার হেল্পকে ঢং বলছিলেন
.
তো কি বলবো,আমি মরি না মরি আপনার এত কি?নিজের চরকায় তেল দিতে পারেন না?
.
শান্ত রেগে আরও এগিয়ে আসতে যেতেই ওপাশ থেকে ম্যাম আর বাকিরা ডাক দিলো সবাইকে একজোট ও থাকতে,এমনকি কয়েকজন এদিকে আসতেছে আহানাকে খোঁজার জন্য
আহানা সুযোগ পেয়ে ততক্ষণে চলেও গেছে সেদিকে
.
শান্ত আর এখানে সময় নষ্ট করলো না,নওশাদ আর রিয়াজের কাছে ফিরে গেলো,মেয়েটা শুধু শুধু দিনটায় নষ্ট করে দিয়েছে আমার,রাগটাও কমাতে পারলাম না
.
কিরে শান্ত?কি করলি?কেলানি দিতে পারলি?
.
না,মানুষ এসে গিয়েছিল
.
বাদ দে তাহলে চল আমরাও মশাল হাতে গুহাই ঢুকি
.
হুম
চলবে♥