প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৭

0
803

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৭
#Writer_Afnan_Lara
🌸
কে যাবে আপনাদের বাসায়??আমি??জীবনেও না
ওহ আপনি না তুমি,তুমি তো অনেক ছোট আমার থেকে,তুই বললেও হয়
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো “আন্টি আজ আমি আসি!”
.
মা ওর হাত মুঠো করে ধরে রাখলেন যেতে দিলেন না,রিপা নাস্তা নিয়ে সোফার রুমের টেবিলে রাখতেছে এক এক করে
আহানা সোফায় এসে বসতেই শান্ত চোখ বড় করে বললো”তুমি আমাদের বাসায় আসছো কি করতে?”
.
আহানা রেগে গিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে কিছু বলতে যাবে তার আগেই শান্তর মা ওর দিকে চেয়ে চোখ বড় করলেন তাই শান্ত আর কিছু বললো না
সোজা নিজের রুমে চলে গেলো সে
শান্তর মা আহানার মাথায় হাত বুলাচ্ছেন
শান্ত নিজের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে আলমারি খুঁজে একটা ছবি বের করলো,একটা বাচ্চা মেয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে,পাশেই সারা মুখে ৩পাউন্দের কেক মাখানো একটা ভূত দাঁরিয়ে আছে,ভূতটা শান্ত আর মেয়েটা আহানা,শান্ত যেমন আহানাকে জ্বালাতো আহানাও ওকে খুব জ্বালাতো,ছবিটাতে দুজনেই বেলু
এই বেলু হওয়ার কারনটা হলো তারা ঝগড়া লাগলেই একজন আরেকজনের চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার মত অবস্থা করে ফেলতো তাই শান্তর মা আর আহানার মা মিলে দুজনকে বেলু করে রাখতো
তাহলে এই সেই মেয়েটা!!
যখন আমার সাথে ঝগড়া করতো তখনই আমার বুঝা উচিত ছিল আমার সাথে এমন করে ঝগড়া করতো এই একজনই!
এই ঝাঁঝের বোতল আবার আমার লাইফে ব্যাক করেছে তাও ম্যাচিউর হয়ে এবার তো তার জ্বালানোর লেভেল আরও হাই
অবশ্য আমিও কম না,এরে টাইট কেমনে দিতে হয় জানা আছে আমার,সবার আগে ওরে আমিই তো পানিতে ফালাইছিলাম
যাক কিছু মনে নাই ওর এটাই ভালো হয়েছে নাহলে এখন চেঁচামেচি করে কান ঝালা পালা করে দিতো
শান্ত ছবিটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ছবিটা ল্যাম্পশ্যাডের পাশে রেখে দিলো,সেদিন কেক একটু নিয়ে শান্ত আহানার জামাতে লাগিয়েছিলো বলেই আহানা গোটা কেকটা শান্তর মাথায় চেপে লাগিয়ে দিয়েছিলো,আর আমি এই শয়তান মেয়েটাকে চিনতেই পারলাম না!

আহানা নাস্তা করে বললো এবার সে চলে যাবে,রাত হয়ে গেলে যেতে সমস্যা হবে
মা রিপাকে ইশারা করলো শান্তকে ডাক দিতে
রিপা গিয়ে শান্তর রুমের দরজায় নক করলো কয়েকবার
শান্ত ঘুমিয়ে পড়সিলো এতক্ষণে
চোখ ডলতে ডলতে এসে দরজা খুলতেই রিপা বললো মা ডাকতেছে
শান্ত বাথরুমে এসে মুখটা হালকা ধুয়ে গিয়ে মায়ের পাশে বসলো
আহানা ব্যাগ হাতে নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে চলে যাবে তাই
ওকে শান্তর মা থামতে বললো,কেন বললো সে বুঝতেছে না,দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটাই ভেবে যাচ্ছে সে
শান্ত মায়ের চুলগুলো ঠিক করে দিচ্ছে আর আহানার দিকে কেমন করে যেন তাকাচ্ছে
মা এখন এই রুমে না থাকলে হয়ত আহানাকে ধাক্কা মেরে বের করতো সে
কাদা ছোঁড়ার ব্যাপারটা মাথা থেকে যাচ্ছেই না তার
একটা মেয়ের এত সাহস কি করে হয় বুঝি না আমি
.
শান্তর মা আহানার দিকে ইশারা করে হাত দিয়ে বাড়ি বানিয়ে দেখালেন মানে আহানাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলতেছেন
শান্ত চোখ বড় করে বললো”ইমপসিবল!পারবো না আমি,এর সাথে আমার শুধু ঝগড়া লাগে,আর তখন দেখলা না কেমন করে আমার গায়ে কাদা মেরেছিল,ওর সাথে তো আমার কোনো কথাই নেই,শুধু জানে তিলকে তাল করতে
ওকে আমাদের বাড়িতে আসতে মানা করে দাও,ছোটবেলায় ও জ্বালাইতো আর এখন বড় হয়েও জ্বালাচ্ছে
.
মা চোখ বড় করে হুইলচেয়ার ঘুরিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন,দরজার নিচে যে ছিটকিনি থাকে সেটাও লাগিয়ে দিলেন
শান্ত মাথার চুল টেনে নিজেকে ঠিক করে উঠে গিয়ে দরজার পাশে গিয়ে বললো”ওকে সরি মা,আমি ওকে দিয়ে আসতেছি,প্লিস রাগ করিও না,দরজা খুলো
শান্ত পিছন ফিরে দেখলো আহানা দ্রুত গতিতে হেঁটে চলে যাচ্ছে,শান্তর সাথে বাড়ির ফিরার ইচ্ছা তার ও নাই,কোনো মতে বাসায় পৌঁছাতে পারলেই হলো তার
.
এই মেয়ে দাঁড়াও
.
আহানা শান্তর দিকে তাকিয়ে মুখ বাঁকিয়ে এক দৌড় দিলো
শান্ত গাড়ীর চাবি না নিয়েই সেও দৌড় দিলো
মা আমাকে একটা দায়িত্ব দিসে আর এই মেয়ে ঢং করতেছে
এখন এর কিছু হইলে মা আর দরজায় খুলবে না,উফ কি ঝামেলা!
শান্ত দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে গেছে আহানাও হাঁপিয়ে গেছে,দুজনের মাঝে এখন দূরত্ব হাফ কিলোমিটারের মত কিংবা তার চেয়ে একটু কম
আহানা জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে পিছন ফিরে তাকালো শান্তর দিকে
শান্ত পকেট থেকে রুমাল নিয়ে মুখ মুছতেছে
.
আহানা জোরে জোরে বললো”এত ঢং কারে দেখান?আমাকে ১০০বার বাসা থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলে এখন আবার আমার পিছু নিসেন কেন?”
.
চুপ!আর একটা কথা বললে হাতের কাছে ইটের স্তুপ আছে,ছুঁড়ে মেরে তোমার মাথার খুলি উড়িয়ে দিব
.
মারুন না,আমিও দেখি,আমার হাতের কাছেও অস্ত্র আছে

১০মিনিট পর|||||
ম্যাডাম! ম্যাডাম!!দেখে যান একটু
.
মা রিপার আওয়াজ পেয়ে দরজাটা খুলে হালকা ফাঁক করে বাইরে তাকালেন
শান্ত আর আহানা দুজন দুজনের সাথে মারামারি করতে করতে এসে নিচে বসে গেলো ফ্লোরে
দুজনেই চোখ ডলতে ডলতে মারামারি করতেছে এখনও
.
মা চোখ বড় করে হুইলচেয়ার ঘুরিয়ে ওদের কাছে এসে দেখলো ওদের দুজনের সারা গায়ে বালি আর বালি
রিপা জলদি করে পানি এনে দুজনের গায়ে ঢেলে দিয়েছে তারপর টিসু দিয়েছে
আহানা চোখ মুছতে মুছতে বললো”আন্টি দেখুন না আপনার ছেলে আমার চোখে বালি মেরেছে”
.
আম্মু ওর কথা শুনবা না,আগে ও আমার গায়ে বালি মেরেছে তাই আমিও মেরেছি
.
আন্টি তার আগে উনি আমার পাশে ইট মেরেছে,ভেবে দেখুন আমার গায়ে ইটটা পড়লে আজ আমার কি হতো??
.
মা হেসে দিলেন,তার চোখের সামনে একদম শান্ত আহানার ছোটবেলাটা ফুটে উঠেছে
.
আপনারা এখনও যাননি ও মাই গড
.
কি করে যাবো রিপা??এই মেয়েটা এত ভেজাইল্লা!!আমি ভালোই ভালোই ওরে ওর বাড়িতে ড্রপ করতে চেয়েছিলাম আর সে কিনা আমার চোখে বালি মেরে দিলো
.
আপনি ভালো মানুষ তাই না?আমার চোখে কি বালি ভূতে মেরেছিলো?
লাগবে না আপনার সাহায্যের,বাই
আহানা ব্যাগ নিয়ে হনহনিয়ে বেরিয়ে চলে গেলো
মা আঙ্গুল তুলে শান্তকে ইশারা করে বললো আবার আহানাকে দিয়ে আসতে
শান্ত টিসু আরেকটা নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে গিয়ে আহানার সামনে দাঁড়ালো
.
এই কি সমস্যা তোমার?এরকম ভাব কারে দেখাও?একদম বালি দিয়ে গোসল করাই দিব
আমাকে ভাব দেখাতে আসলে,বেয়াদব মেয়ে একটা
.
আমি আপনার সাথে বাড়ি ফিরবো না ব্যস!
.
তুমি ফিরবে না তোমার ঘাড় ফিরবে
কথাটা বলে শান্ত আহানার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো গাড়ীর দিকে
.
হাত ছাড়ুন,আপনার সাথে থাকলে নির্ঘাত আমাকে মরতে হবে,আমি আমার জীবনকে জেনেশুনে মরতে দিতে পারি না
.
আমাকে বলতেছো?তোমাকে আমি হারে হারে চিনি,তুমি মরতে চাও না??আমি সেটা বিশ্বাস করবো
আর জীবনে যদি আমার বাসায় আসছো তো দাঁত ভেঙ্গে দিব তোমার
.
যাব না আমি আপনার সাথে
.
তো এটা আমার মাকে বলতে পারো নাই,তখন তো বোকার মত চেয়েছিলে
.
আন্টি মন খারাপ করবে তাই বলিনি
.
তোমরা এত ধরনের কথা কেমনে বলতে পারো??আমার মাথায় বাড়ি দাও একটা
.
দিব?
.
বেশি কথা কইলে মাঝপথে নামাই দিব তোমাকে!ইডিয়ট
.
আমি ইডিয়ট?তাহলে আপনি ইডিয়ট হোল স্কয়ার

ম্যাডাম!!
স্যার আর আহানা এখনও যায়নি,গাড়ীর বাইরে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করতেছে
.
মা মাথায় হাত দিয়ে রিপাকে ইশারা করলো যেন তাকে বাসার বাইরে নিয়ে চলে
রিপা তাই করলো
মাকে বাইরে দেখতেই আহানা আর শান্ত ঝগড়া থামিয়ে দাঁত কেলিয়ে জলদি করে কারে উঠে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো
শান্ত কার চালাতে চালাতে আহানাকে জিজ্ঞেস করলো মা চলে গেছে কিনা
আহানা উঁকি মেরে দেখে বললো “হুম,রিপা আপু নিয়ে যাচ্ছে উনাকে”
.
হুম তাহলে কই ছিলাম আমরা?
.
আমি আপনাকে কুত্তার ফ্রেন্ড কুত্তা বলছিলাম
.
ওহ হ্যাঁ
তোমার এত বড় সাহস,তুমি তো নিজেই কুত্তা,আই মিন কুত্তি আর তোমার সংস্পর্শে এসে ভালো মানুষও কুত্তি/কুত্তায় পরিণত হবে
.
তার মানে আপনি স্বীকার করতেছেন যে আপনি কুত্তা?
.
চুপ!বেয়াদব মেয়ে একটা!আর কখনও আমাদের এরিয়ার ধারের কাছেও আসবা না
.
আপনি বলার জন্য আমি বসে নেই,আমি আর জীবনেও আপনার মুখ দেখতে চাই না,কখনও ঐ ফ্লাইওভার দিয়ে ভোর ৫টার সময় যাবেন না বলে দিলাম,আপনাকে যেন আমি আর না দেখি
.
তোমার কথায় উঠবো বসবো আমি?
.
আপনার কথায় উঠবো বসবো আমি?আন্টি রিপা আপুকে দিয়ে আমাকে ফোন করলেই আমি চলে আসবো
.
ও রিয়েলি?? তলে তলে এতো?তার মানে তুমি চাও প্রতি সন্ধায় আমি তোমাকে এভাবে বাসায় পৌঁছে দিই?
.
ও এভাবে তো ভেবে দেখিনি
.
তো ভাবো!
.
এক কাজ করা যায়,আপনি অফিস থেকে দেরি করে ফিরিয়েন তাহলেই তো হয়
.
তুমি আমার মাকে চিনো না আমার মা রিপাকে দিয়ে আমাকে কল করিয়ে বাসায় আনাবে,তাও সিকনেসের কথা বলে
তুমি আমাদের বাসায় না আসলেই তো হয়,আর ফাইন আমি ভোর ৫টায় ফ্লাইওভার দিয়ে যাব না! ডিল!!!
.
ওকে ডিল!

শান্ত সায়দাবাদ আসতেই আহানা ওকে বললো গাড়ী থামাতে
.
বাসা কই?
.
জেনে কি করবেন?
.
তোমাকে এভাবে রোডে ছেড়ে দিলে মাকে কি বলবো আমি?তোমার বিশ্বাস নাই
কেউ তোমাকে রেপ/কিডন্যাপ করতে আসলেও তার সাথে ঝগড়া লাগাই দিবা তুমি,তাও যেনতেনো ঝগড়া না,একেবারে মোক্ষম ঝগড়া
বেচারা পরে পাগল হয়ে পাবনার দিকে ছুটবে
.
কি বললেন!!
ফাইন!! আমার কি!
যদি এই ছোটখাটো বস্তির এলাকায় ঢুকতে আপনার কোনো সমস্যা না হয় তো চলুন
আহানা গাড়ী থেকে নেমে হাঁটা ধরেছে
শান্ত গাড়ী থেকে নেমে পিছন পিছন আসতেছে আহানার
আহানা একটা টিনের বাড়ির সামনে এসে থেমে বললো” ওকে যান এখন!আমার বাসা এসে গেছে”
.
কিহহহ,আর ইউ সিরিয়াস?এইটা তোমাদের বাসা?
যতদূর জানি আয়াত আঙ্কেলের তো আমাদের মতনই বাড়ি গাড়ি ছিল তাহলে এখন এটা কি?
তুমি কি সত্যিই আয়াত আঙ্কেলের মেয়ে?
.
আহানা চোখ বড় করে ব্যাগ থেকে একটা পানির বোতল বের করে ছিপি খুলে শান্তর মুখে ছুঁড়ে মারলো বোতলের সব পানি
শান্ত হাত দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললো”ফাইন!প্রমান পেয়েছি আর প্রমান লাগবে না
তাই বলে পানিতে ভিজাইলা!!তোমাকে আমি!!
শান্ত এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু পেলো না পরে আহানাদের বাসার দরজায় গিয়ে নক করলো কয়েকবার
আহানার মা এসে দরজা খুলে শান্তকে দেখে শাড়ীর আঁচল টেনে মাথায় দিয়ে বললেন”কি চাই?”
.
এক মগ পানি
.
মা দিবা না বলতেছি
.
আহানা?তুই কখন এলি?আর উনি কে?
.
আন্টি আমাকে এক মগ পানি দিন
.
আহানা মাকে মানা করে যাচ্ছে মা কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে মগে পানি নিয়ে শান্তর হাতে দিলো
আহানা ততক্ষণে একটা নারকেল গাছের পিছনে গিয়ে লুকিয়েছে
শান্ত এগিয়ে এসে গাছের পিছন গিয়ে আহানার গায়ে পানি সব ঢেলে দিলো তারপর ফিরে আসলো
.
একি করলা বাবা,আমি তে কিছুই বুঝতেছি না
.
শান্ত নিজের রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললো”আর ভিজাবা আমাকে?”
.
অবশ্যই ভিজাবো
বেয়াদব একটা!
.
আহানা কি হচ্ছে এসব?আমি তো কিছুই বুঝতেছি না
.
শান্ত আহানার মাকে সালাম দিয়ে চলে গেলো
.
আহানা ওড়না দিয়ে মুখ মুছতে ঘরে ডুকে বিছানায় ধপ করে বসে পড়েছে
.
কিরে এবার তো বল কি হয়েছে আর ছেলেটা কে?
.
শান্তি আন্টির ছেলে
.
কোন শান্তি?
.
আরে রিয়াদ আঙ্কেলের ওয়াইফ
.
মা চোখ বড় করে আর এক মিনিটও দেরি না করে দরজা খুলে দৌড় দিলেন
.
আরে আরে মা কই যাচ্ছো?
.
মা কিছুটা জোর গতিতেই শান্তর সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন
শান্ত সবেই গাড়ীতে ঢুকতে যাচ্ছিলো
.
কি হয়েছে আন্টি?
.
শান্ত!!কত বড় হয়ে গেছো তুমি,আমার বিশ্বাস হচ্ছে না
আমি আবার তোমাকে দেখতে পাবো ভাবিনি কখনও
.
এসব বলতে বলতে আহানার মা কেঁদে দিলেন
.
শান্ত উনার দুহাত হাত মুঠো করে ধরে বললো” কাঁদবেন না প্লিস,বাট আমি একটা কথা বুঝলাম না আপনাদের বাড়িঘরের এই হাল কেন?”
.
সে অনেক কথা,তোমার মা কেমন আছে সেটা বলো??আর সেদিন তোমার ভাই নাকি বোন হয়েছিল?সে কেমন আছে?আহারে কতটাদিন দেখি না,কত খুঁজেছি তোমাদের,সেসময়ে তোমাদের একটা সাহায্যের আমাদের অনেক দরকার ছিল!
.
কি হয়েছিল প্লিস বলুন
.
বাবা আসো আমাদের এই ছোট্ট বাসায়,কিছু মুখে দাও
বলছি তোমাকে সব
শান্ত আহানার মায়ের সাথে ওদের বাড়িতে আসতেছে
আহানা মুড়ির বোয়াম নিয়ে বিছানার এক কোণায় বসে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে শুয়ে মুড়ি খাচ্ছে
দরজা খুলে শান্ত ভিতরে ঢুকতেই আহানা ওকে দেখতে পেয়ে ঠিকঠাক হয়ে বসে ব্রু কুঁচকে বললো”আপনি আবার??!বের হোন আমার বাড়ি থেকে”

আহানা!এটা কি রকম ব্যবহার?
.
মা তুমি জানো না উনিও আমাকে উনার বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে কতবার
.
চুপ থাক,যা চা বানিয়ে আন
.
আহানা দাঁতে দাঁত চেপে রাগে গজগজ করতে করতে বিছানা থেকে নেমে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছে
.
শান্ত চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো”চিনি দিও না”
.
আহানা দাঁত কেলিয়ে চেয়ে থেকে মনে মনে ভাবলো আজ তোরে আমি গুড় দিয়ে চা বানাই খাওয়াবো
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here