প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_১৮

0
725

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_১৮
#Writer_Afnan_Lara
🌸
ওকে বাদ দে সব কিছু,এখন চল স্টেজের দিকে,আমি এখন নওমিকে রিং পরাবো
.
হুম
.
আহানা গাল ফুলিয়ে দূরে বসে আছে,শান্ত স্টেজে গিয়ে রিয়াজের পাশে সোফায় বসতেই কণা এসে হেলান দিয়ে বসে পড়লো ওর পাশে
.
শান্তর রাগ বাড়তেছে অনেক!রাগ আরও যাতে না বাড়ে তাই সে উঠে দাঁড়িয়ে নেমে চলে গেলো
যেতে যেতে বললো”সূর্য!!আমার সাথে যদি কারোর বাসায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তো আসতে বল,আমি চলে যাচ্ছি”
.
সূর্য আহানার দিকে তাকালো,আহানা চুপচাপ উঠে দাঁড়িয়ে শান্তর পিছে পিছে যাচ্ছে
এখন মাটির পথটায় দুজনে,আশেপাশের বাড়ির আলোয় পথটা উজ্জ্বল হয়ে আছে তাই তেমন অন্ধকার ও নেই,সহজেই হাঁটা যায়
আহানা শাড়ীর আঁচল ঘুরিয়ে কাঁধ ঢেকে আসতেছে
শান্ত কারে ঢুকে চুপ করে বসে আছে সেই কখন থেকে, কিছুক্ষন বাদে আহানা এসে দরজা খুলে ভিতরে এসে বসলো,সিট বেল্ট লাগানোর আগেই শান্ত খুব জোরে গাড়ী চালানো শুরু করে দিলো
আহানা গিয়ে দুম করে মাথায় একটা বাড়ি খেলো সামনে
মাথা ডলতে ডলতে শান্তর দিকে তাকালো সে
.
শান্ত সামনের ব্যস্ত নগরীর দিকে চেয়ে কার চালাতে চালাতে বললো”আমাকে দেওয়া একটা চড় তোমার উপর খুব ভারী পড়বে মিস আহানা!”
.
আহানা ব্রু কুঁচকে সিট বেল্ট লাগিয়ে নিলো
একটা বাজারের উপর দিয়ে যাচ্ছে তারা,বাজারটায় সব রিকাশা,অটোরিকশা, বাইক এসবে মিলে রুলস ব্রেক করে জ্যাম সৃষ্টি করেছে,যাত্রামুড়া থেকে একদম কাঁচপুর ব্রিজের কাছাকাছি পর্যন্ত জ্যাম
শান্ত একটু এগোচ্ছে কার নিয়ে তো আরও একটু থেমে থাকছে
পথটাতে চলায় মুশকিল হয়ে গেছে একেতো চিকন রোড তার উপর এত ভিড়!রাত ৮টা বাজে হয়ত
আহানা বাইরের দোকানগুলির দিকে চেয়ে আছে আনমনে
একটা সেলুন তার পাশে মুদি দোকান,তার পাশে ফার্মেসি
সামনেই অনেক লোকেরা মাছের বাজার নিয়ে বসেছে,তরিতরকারি ও আছে
.
বাজারটা পেরিয়ে তারা এবার কাঁচপুর ব্রিজে উঠলো,আহানা একটু নড়েচড়ে বসে মুগ্ধ চোখে শীতলক্ষ্যা নদী দেখছে,কি সুন্দর টাই লাগতেছে,লঞ্চ স্টিমারের আলোয় মনে হয় নদীটা আরও মনমুগ্ধকর হয়ে গেছে
.
এদিকে শান্ত রাগে গজগজ করতে করতে কার চালাচ্ছে,ভাঙ্গচুর করলে রাগ কমতো
মন তো চাচ্ছে আহানাকে ব্রিজ থেকে ফেলে দিতে,সম্ভব হলে শান্ত সেটাই করতো এতক্ষণে
শান্ত ব্রিজ থেকে নামতেই আবারও জ্যাম দেখে কার থামিয়ে নিলো
আহানা একবার কানের থেকে চুল সরাচ্ছে আবার শাড়ী ঠিক করছে,হাতের চুড়ির ঝুনঝুন আওয়াজে শান্তর রাগ আরও শেখরে উঠতেছে
.
শান্ত কারের জানালায় হাত রেখে সেটায় মাথা রাখলো,তাও ঝুনঝুন আওয়াজ হয়েই যাচ্ছে ক্রমাগত
হাতের উপর থেকে মাথা তুলে শান্ত চোখ রাঙিয়ে আহানার দিকে তাকালো
আহানার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ ও নেই,সে নিজের মনমত চুল নিয়ে খোঁপা করে যাচ্ছে
শান্ত আহানার হাত মুঠো করে টেনে ধরলো নিজের দিকে
.
আহানার এবার হুস আসলো,শান্ত তার হাত ধরেছে কেন,আবার কি করবে সে!
.
আহানা হাত মুচড়াতে মুচড়াতে বললো”আর কি করবেন আপনি?”
.
যাই করি না কেন,আবার চড় দেওয়ার সাহস রাখো?
.
যতবার বেয়াদবি করবেন ঠিক ততবার চড় দেওয়ার সাহস রাখি আমি
.
তোমার হাত ধরেছি তোমার হাতের এই মিউজিক ব্যান্ড অফ করতে
.
মিউজিক ব্যান্ড মানে?
.
চুড়ি,এটার আওয়াজে আমার মাথা ব্যাথা বেড়ে গেছে,এখনই খুলো এটা
কথাটা বলে শান্ত আহানার হাত থেকে টেনে চুড়ি সব খুলে ওর হাতে ধরিয়ে দিলো
.
তারপর আবার মুখ ঘুরিয়ে বসে পড়লো সে
আহানা মনে মনে ভাবলো সামান্য চড়ের জন্য এরকম করতেছে!এত মিসবিহেভ করছে আমার সাথে!
.
জ্যাম আছে এখনও,আহানা রেগে গিয়ে একদম দরজা খুলে বেরিয়ে চলে গেলো
.
শান্ত চুপ করে তাকিয়ে ওর চলে যাওয়া দেখছে
কাঁচপুর থেকে সায়দাবাদ বেশি দূর না হলেও আবার কাছেও না,আহানা একটা মেয়ে হয়ে একা এতদূর কি করে যাবে ওর কাছে তো টাকাও নেই,শান্ত নিজের মাথার চুল টেনে এখনও চুপ করে আছে
আহানা হেঁটেই চলেছে,থামাথামি নেই কোনো
.
শান্ত কারটা নিয়ে দূরের একটা ফাঁকা জায়গায় কোনোরকম পার্ক করে রেখে আহানার পিছন ছুটলো
.
আহানা ফুটপাত ধরে হেঁটে চলেছে পাশেই বিরাট বড় জ্যাম লেগে আছে
বাস,বাসের সামনে আরেকটা বাস তার সামনে কার তার পাশে বাইক,সব পেরিয়ে ফুটপাতের উপর দিয়েই আহানা হেঁটে চলেছে
শান্ত ওর হাঁটার গতি বাড়িয়ে আহানাকে শেষ পর্যন্ত ধরেই ফেললো,ওর হাত মুঠো করে ধরে নিজের দিকে ফেরালো সে
.
তোমার সমস্যা কি?
.
আমার হাত ছাড়ুন,আমি আপনার সাথে আর কোথাও যাব না,আমি একাই বাড়ি ফিরতে পারবো,হাত ছাড়ুন,অনেক হয়েছে
.
শান্ত চুপ করে কিছুক্ষন চেয়ে থেকে তারপর আহানাকে টানতে টানতে নিয়ে আসতে লাগলো
আহানা ওর শক্তির সাথে পারছেই না,নিজের আরেক হাত দিয়ে শান্তর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে সে
শান্ত আহানাকে কারের কাছে নিয়ে এসে দরজা খুলে ধাক্কা দিয়ে কারের ভিতরের সিটে ফেললো ওকে
আহানা সিটের উপর দুম করে পড়ে হাতের কুনুই ধরে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে শান্তর দিকে
.
শান্ত একটা কথাও বললো না
নিচু হয়ে আহানার শাড়ীর আঁচল ভিতরে সরিয়ে দিয়ে দরজা লাগিয়ে নিজেও ভিতরে এসে বসলো,তারপর আহানার দিকে ফিরে ওর কাছে এসে সিট বেল্ট লাগিয়ে দিলো চুপচাপ
.
এত কেয়ার দেখাতে হবে না,আপনাকে চেনা হয়ে গেছে আমার
.
তোমাকে কেয়ার দেখাচ্ছি না আমি,তোমার যদি আজ রেপ হয় বা অন্য কিছু হয় আমি আমার মায়ের সামনে আর তোমার মায়ের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো?
.
তারা যখন জানবে আপনি নিজেই আমাকে জোর করে কিস…করতে চেয়েছিলেন তখন কি ভাববে?
.
আমার কিস আর তোমার সাথে অন্যসব হওয়া সম্পূর্ন ভিন্ন ব্যাপার!
তুমি একা ৪/৫টা ছেলের সাথে পারবা না,এসব না ভেবেই ডেং ডেং করে একা অন্ধকার জায়গায় হাঁটা ধরেছেন উনি
তোমাকে তো দিনে রাতে ২৪টা থাপ্পড় মারা উচিত
.
আহানা রাগে আরেকদিকে ফিরে বসলো
শান্ত সায়দাবাদ এসে কার থেকে নেমে হাঁটা ধরলো সোজা আহানাদের বাসার দিকে অথচ যার বাসা সে এখনও কারের ভিতর,তার খবর ও নেই শান্তর
আহানা কার থেকে নেমে শান্তকে গালি দিতে দিতে পিছন পিছন আসতেছে
শান্ত বাড়ির সামনে এসে দরজায় নক করলো কয়েকবার
তারপর মা এসে দরজা খুলে শান্তকে দেখে খুশি হলেন তারপর বললেন ভিতরে আসতে,শান্ত ভিতরে আসলো না শুধু বললো ছবির ছেলেটা সে ছিলো
.
মা হেসে বললেন “জানতাম আমি,আমি তো শুধু দেখতে চেয়েছিলাম কি হয়,আহানাকে ভালো করে চিনি আমি ও এখন পর্যন্ত এসবে জড়ায়নি”
.
জড়াবেও না,ওর মত মেয়ে কারোর ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না
কথাটা বলে শান্ত চলে গেলো
আহানা এসে দেখলো শান্ত চলে যাচ্ছে,মা মুখটা ফ্যাকাসে করে তাকিয়ে আছেন সেদিকে
.
উনি কি বলেছে তোমায়?
.
বললো!,,,,,,,,,,, না থাক,আয় ভিতর আয়
.
আহানা শাড়ী পাল্টিয়ে জামা পরলো তারপর ভাবলো যেহেতু সে চাকরি পাচ্ছে না তাহলে আগে যা করতো সেটাই করা উচিত,রতন জ্বালায় তো কিছু করার নেই,চাকরি ও তো পাচ্ছি না,আগের মতন সকালে বাচ্চাদের পরাবো আর বিকাল থেকে টিউশনি
আর যাই হোক এই লোকটার অফিসে আমি চাকরি করবো না
.
শান্ত বাসায় ফিরে নিজের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ফেললো
আলমারি থেকে বিয়ারের একটা বোতল নিয়ে বারান্দায় গিয়ে চেয়ারে বসে পড়লো সে
গায়ের কোটিটা খুলে নিচে ফেলে দিলো
পাঞ্জাবির কয়েকটা বোতাম খুলে চোখ বন্ধ করে আছে সে
আজ আর ঘুমাতে বিছানায় আসেনি শান্ত,চেয়ারেই ঘুমিয়ে গেছে,হাতে বিয়ারের খালি বোতল ঝুলতেছে,সূর্যের আলো চোখে পড়তেই শান্ত জেগে গেলো,হাত থেকে বোতলটা ছেড়ে দিয়ে চোখ ডলে ঠিক হয়ে বসলো,তারপর ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে মাথার চুলগুলো টেনেটুনে উঠে দাঁড়ালো সে,আলমারি থেকে তোয়ালে নিয়ে সোজা বাথরুমে চলে গেলো,ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিয়ে ডাইনিংয়ে আসলো এবার
মা টিভি দেখতেছিলেন, শান্তকে দেখে হেসো দিলেন তিনি
শান্ত ও হাসলো,তারপর রিপাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো “নিতু কোথায়”
রিপা বললো “রেডি হচ্ছে”
শান্ত জলদি করে খাওয়া শেষ করে নিতুকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো
পথে নিতুকে তার স্কুলে নামিয়ে দিয়ে শান্ত অফিসে আসলো
ঊষা একটা লেটার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেই কখন থেকে,শান্তকে দেখে গুড মর্নিং তো বললো কিন্তু এই লেটারের রহস্যটা বলার সাহস পায়নি সে
শান্ত এই লেটারটা পড়লে অফিসের উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে যাবে এখন
ঊষা পা টিপে টিপে শান্তর অফিস রুমের সামনে এসে নক করলো,তারপর ভিতরে ঢুকে দেখলো শান্ত তার কোট খুলে চেয়ারে রেখে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে,ঊষা ঢোক গিলে বললো”স্যার আপনার নামে একটা লেটার এসেছে”
.
কে পাঠিয়েছে?
.
সসসসুহানা
.
শান্ত ল্যাপটপ থেকে চোখ উঠিয়ে বললো”রেখে যাও”
.
ঊষা মনে হয় কত বড় ধমক থেকে বেঁচে গেলো,লেটারটা টেবিলের উপর রেখে বলপয়েন্ট দিয়ে চেপে রেখে সে আর এক মূহুর্ত ও থাকলো না সেখানে
.
শান্ত এবার লেটারটা হাতে নিলো,খুলে যা দেখলো তার মেজাজ বিগড়ে ১০তলায় উঠে গেছে
হাতে থাকা পানির গ্লাস ছুঁড়ে মারলো সে
.
লেটারটা হলো Resignation এর
আহানা অফিস কেন ছাড়তেছে সেটার রিজন ও স্পষ্ট করে লিখা আছে,আহানা লিখেছে “Shanti Group of industry ” একটা ভালো নাম করা কোম্পানি বটে তবে এটার কর্মচারী এবং মেইন মালিক একজন ফালতু লোক,ব্যবহার অতি খারাপ!নারীর সাথে কেমন বিহেভ করবে তা তার জানা নেই,মিঃ শাহরিয়ার শান্তর ইমিডিয়েটলি ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন তা না হলে অবস্থার শুধু অবনতিই হবে!
.
এত বড় সাহস মেয়েটার!! আমার অফিসের এরকম বাজে একটা রিভিউ দিলো!!সাহস দেখানো ভালো তবে অতিরিক্ত সাহস অনেক খারাপ!
.
ঊষা কাঁচ ভাঙ্গার আওয়াজ পেয়ে ভয়ে পালিয়েছে ততক্ষণে,শান্তকে সে অনেক ভয় পায়,না জানি সুহানার কি অবস্থা হবে
.
আহানা ভার্সিটিতে গালে হাত দিয়ে বসে আছে,তবে চোখে মুখে চিন্তা নেই তার,শুধু হাসি আর হাসি
.
কিরে আহানা এত হাসতেছিস কেন?
.
সত্যি কথা বললে হাসি তো হাসবেই,হাহা!
.
কি সত্যি বলেছিস?আর কাকে?
.
কিছু না বাদ দে,তোর আর নওশাদ ভাইয়ার কতদূর এগোলো সেটা বল আগে
.
সে তো আমাকে লাইক করে একটু একটু
.
একটু থেকেই অনেক খানি হয়ে যাবে দেখিস
.
তুই তো কাল নাকি নওশাদ ভাইয়ার ফ্রেন্ড রিয়াজ ভাইয়ার আংটিবদলে গেছিলি,কেমন লাগলো?
.
সব চেয়ে বাজে দিন ছিল কাল
.
কেন কি হয়েছিলো?
.
কিছু না বাদ দে,চল আমরা ক্যামপাসে একটু ঘুরি
.
আহানা রুপার হাত ধরে ক্যামপাসে নামতেই সবার আগে যার দিকে চোখ পড়া উচিত তার দিকেই চোখ পড়লো আর সেটা হলে শান্ত
কালো কোট আর তার ভিতরে সবুজ শার্ট পরে আছে,পকেটে হাত ঢুকিয়ে কারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে,তাও গেটের সামনে
আহানা না দেখার ভান করে আরেকদিকে চলে গেলো

সে একটু দূরে গিয়ে আবারও তাকালো,শান্ত এখনও একি জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
গাল এমন ভাবে ফুলিয়ে রেখেছে যেন সামনে যারে পাবে তারেই হত্যা করবে
.
কয়েকটা মেয়ে শান্তর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থেমে গিয়ে ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার দেখে নিলো তারপর ফোন টিপে শান্তর ছবি বের করে মিলিয়ে নিলো
আরে এটা তো সত্যি সত্যি শাহরিয়ার শান্ত!!
ও মাই গড!
মেয়েগুলে লাফিয়ে শান্তর সামনে এসে ও মাই গড বলেই যাচ্ছে এখনও
তারপর শান্তর সাথে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো সবাই
শান্ত রোবটের মত দাঁড়িয়ে থেকে আহানা কি করছে কোথায় যাচ্ছে সেটাই দেখে যাচ্ছে
.
আহানা!
.
জি করিম স্যার বলুন!
.
তোমার ফ্যামিলি থেকে একজন এসেছে তোমাকে নেওয়ার জন্য, যাও,তোমার ছুটি দিলাম
.
কিরে কে এসেছে তোর?
.
আহানা শান্তর দিকে একবার তাকিয়ে কথাটা ইগনর করতে চাইলো পরে ভাবলো গুরুত্বপূর্ণ কিছু যদি হয়?
তাই ব্যাগ হাতে নিয়ে সে এগিয়ে আসতেছে এদিকে
শান্ত আহানাকে আসতে দেখে মেয়েগুলোর সাথে হেসে পিক তুলতে লাগলো,মেয়েগুলো তো মনে হয় খুশিতে মরেই যাবে
আহানা কপাল কুঁচকিয়ে কাছে এসে বললো”কি চাই?”
.
শান্ত কিছু না বলেই পকেট থেকে ফোন বের করে আহানার মাকে ফোন করলো,উনি রিসিভ করতেই ফোনটা সে আহানার কানে লাগিয়ে ধরলো
মা বলতেছে আহানা যেন শান্তর সাথে তাদের বাসায় আসে,শান্তর মা আর আহানার মা মিলে কি কথা বলবে ওদের সাথে তাই শান্তকে বলেছে আসার সময় যেন আহানাকে তার ভার্সিটি থেকে নিয়ে আসে
.
আহানা ঠিক আছে বলতেই শান্ত তার ফোন পকেটে ঢুকিয়ে কারে গিয়ে বসলো
.
মুখটা কেমন বেলুন বানিয়ে রেখেছে 😂কি যে লাগতেছে,এটাই তো চেয়েছিলাম
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here