প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_১৯
#Writer_Afnan_Lara
🌸
ভিতরে এসে বসার জন্য কি ইনভাইট করতে হবে?
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে সাথে সাথে এসে বসলো,শান্ত ওর দিকে তাকাচ্ছে বারবার,তাও ভালো ভাবে না এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন খেয়েই ফেলবে,আহানার একটুও ভয় লাগছে না কারণ তার ধারণা সে যেটা করেছে ঠিক করেছে,রিভিউটা সত্যি ছিল
কিছুদূর যাওয়ার পর আহানা বুঝতে পারলো এটা শান্তদের বাসায় যাওয়ার রোড না,তাহলে এটা কোথায় যাচ্ছেন উনি?
আহানার এবার ভয় করতেছে কারণ শান্ত ওর দিকে চেয়ে দাঁত কেলিয়েছে দুবার
আহানা গায়ের সুতির ওড়না দিয়ে কপালটা মুছে নিলো,সে সবসময় আত্নরক্ষার জন্য ব্যাগে একটা নেইলকাটার রাখে,যেটা দিয়ে নিজেকে সাময়িক ভাবে বাঁচাতে পারবে,তো সেটা হাতে নিয়ে বের করে রেখেছে,শান্ত আবারও কালকের মত কিছু করতে গেলে অবস্থা খারাপ করে দিবে তার
.
শান্ত কার এমন একটা জায়গায় থামালো যেখানের রোডটা সম্পূর্ণ ফাঁকা,পিপড়াও নজরে আসতেছে না,দুপাশে ঝাউ গাছ,রেডের পাশে সব ক্ষেত,দূরদূরান্তেও ক্ষেত,১০মিনিট পর পর একটা প্রাইভেট কার দেখা যায়
আহানা ঢোক গিলে গাপটি মেরে বসে আছে,নামতেছে না কার থেকে
শান্ত নেমে গিয়ে ঘুরে এসে দরজা খুলে আহানাকে টেনে বের করলো
.
এই!আপনি কি করতে চাচ্ছেন টা কি??আমাকে এখানে আনছেন কেন!
.
তোমারে দিয়ে হিউম্যান জুস বানাবো আজ
.
হিউম্যান জুস মানে!
.
শান্ত আহানাকে কারের সাথে চেপে ধরলো ভালো করে
.
আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে হাতের নেইল কাটার টা ভালো করে ধরলো,আর কিছু করলে একদম কেটেকুটে দিবে সে
.
শান্ত কপাল কুঁচকে বললো”আমার দিকে তাকাও!তোমার সাহস হয় কি করে আমার সাথে এরকম বেয়াদবি করার??চিঠি দিতে কে বলেছিল?সাহস থাকলে মুখোমুখি এসে বলতা,রিভিউ দিতে কে বলসে তোমাকে?অফিসের সবাই কি ভাবছে??তোমার এত সাহস আসে কই থেকে?
.
আহানা বুঝলো শান্ত উল্টা পাল্টা কিছু করবে না তাই নেইল কাটার যে হাতে আছে সেই হাতটা লুকিয়ে গম্ভীর গলায় বললো”যেটা সত্যি সেটাই বললাম,আর অফিসে যখন আর আসবোই না,, লেটার তো দিতেই হতো
.
তুমি যা করতেছো সব অতিরিক্ত করতেছো!একবার চড়,একবার এটা,একবার সেটা
.
আমি কি এমনি এমনি করতেছি?আপনি কিছু করেন না?আপনার সাহস হলো কি করে কাল আমাকে একা টেনে নিয়ে গিয়ে কিস করার চেষ্টা করার?
.
আমি তেমনটা করতাম না,রিয়াজ বললো কণা…..
.
কণা কি?মিথ্যা বাহানা দিবেন না একদম,একটা কথা কি জানেন,কণা আপুর সাথেই আপনাকে ভালো মানাবে
.
হ্যাঁ আর তোমার সাথে বাংলাদেশ কেন কোনো রাষ্ট্রের ছেলেকেই মানাবে না
.
সেটা আপনার দেখতে হবে না,কার সাথে মিলিয়েছি আমি সেটা ভেবে দেখুন না,একটা ফুল মেন্টাল মেয়ের সাথে আপনাকে মিলিয়েছি
কথাটা বলে আহানা মুখ বাঁকিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো
অনেক জোরে বাতাস বয়ে যাচ্ছে,আহানা ওড়না টেনে মাথায় দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে নিয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই দেখলো শান্ত কারের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,আহানার চাহনি দেখে আরেকদিকে ফিরে দাঁড়িয়ে পড়লো সে
.
আহানা আবারও সামনে তাকালো
এই লোকটা এত খারাপ!
.
শান্ত মুখ বাঁকিয়ে তাকালো এবার আহানার দিকে,আহানা হাতে একটা গাছের ঢাল নিয়ে সেটা নাড়তেছে বারবার
পরনে সুতির একটা থ্রি পিস,হলুদ রঙের
শান্ত গাল ফুলিয়ে এখনও তাকিয়ে আছে ওর দিকে
আহানা আবারও ফিরে তাকালো,তাকিয়েই দেখলো শান্ত এতক্ষণ চেয়ে ছিল ওর দিকে
শান্ত আহানার তাকানো দেখে আরেকদিকে ফিরে গেলো আবার
তারপর চুপচাপ কারে উঠে বসলো সে
আহানা ঢালটা ফেলে সেও এসে বসলো,দুজনে এবার কোনো ঝগড়াঝাটি না করে ভালো ছেলেমেয়ের মতন বাসায় ফিরে আসলো
আহানা কার থেকে নেমেই বাসার ভেতর দৌড় দিলো
এসে দেখলো শান্তর মা আর ওর মা সোফায় বসে হাসতেছেন দুজনে
আহানা উনাকে সালাম দিয়ে পাশে এসে বসলো,শান্ত আহানার মাকে সালাম দিয়ে চলে যেতে নিতেই উনি বললেন আহানার পাশে এসে বসতে
আহানা চোখ বড় করলো সাথে শান্ত ও
শান্ত শেষমেষ চেয়ার টেনে বসলো,আহানার সাথে বসার মন মানসিকতা তার নাই
শান্তর মা চোখ বড় করলেন শান্তর দিকে তাকিয়ে
আর কি করবে!! শান্ত বাধ্য ছেলের মতন চেয়ার থেকে এসে আহানার পাশে বসলো
.
শান্তর মা এবার আহানার মায়ের হাত ছুঁয়ে বুঝালেন কথা শুরু করতে
.
তো শুনো তোমরা,আমরা দুই বোন মিলে ঠিক করেছি তোমাদের ছোটবেলার এই মিষ্টি সম্পর্কটাকে একটা বৈধ সম্পর্কে রুপ দিব
আর সেটা হলো তোমাদের দুজনকে বিয়ে দিয়ে দিতে চাই,আমাদের এবার আত্নার সম্পর্কটাও গভীরতর হয়ে যাবে
.
কথাটা শুনে শান্ত আর আহানা একসাথে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো সোফার উপর থেকে
দুজনেই চিল্লিয়ে বললো”অসম্ভব!!! ”
.
শান্তর মা আর আহানার মা হা করে তাকিয়ে আছেন
.
আমি?আমি বিয়ে করবো এই খারাপ অসভ্য লোকটাকে?জীবনেও না
.
আমি?আমি বিয়ে করবো এই বেয়াদব মেয়েটাকে??কখনও না
.
আহানার মা আর শান্তর মা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন
.
আমি বেয়াদব?আপনার সাহস তো কম না,মায়ের সামনে আমাকে বেয়াদব বলেন
.
তুমি আমাকে অসভ্য বলসো সেটার কি হবে?খারাপ ও তো বলছো!তোমাকে তো আমার এখন ধরে বাসা থেকে বের করে দেওয়া উচিত,আমার বাসায় এসে আমাকেই অসম্মান করে কথা বলো তুমি!
.
এই তোমরা দুজনে থামো!আমাদের কথা বলতে দাও
.
শান্ত আহানাকে এক ধাক্কা দিয়ে দূরে গিয়ে বসলো
আহানা সেফায় দুম করে পড়ে মা আর শান্তর মায়ের দিকে তাকালো,তারা বিষয়টা খেয়ালই করে নাই
আহানার মা ফিসফিস করে শান্তর মায়ের সাথে কি নিয়ে যেন আলোচনা করতেছেন
আহানা এবার উঠে এসে শান্তকে এক ধাক্কা মারতে যেতেই শান্ত ওর হাত ধরে ফেললো
.
হাত ছাড়ুন!আপনি আমাকে ধাক্কা দিসেন কোন সাহসে?
.
বাসা থেকে ধাক্কা মেরে বের করা উচিত ছিল আমার
.
আহানা হাত ছাড়িয়ে টেবিলের উপর থেকে জুসের গ্লাস নিয়ে শান্তর মুখে মেরে দিলো
.
শান্ত মুখ মুছে আহানার চুলের মুঠি ধরে টান দিলো এবার,দুজনের মধ্যে মারামারি লেগে গেছে পুরো,অবস্থা ডেঞ্জারাস!
.
আহানার মা আর শান্তর মা ওদের দিকে তাকিয়ে দেখলো
আহানা শান্তর কোট প্রায়ই ছিঁড়েই ফেলেছে,আর শান্ত আহানার চুলের ১২/১৩টা বানিয়ে ফেলেছে
ওদের কাণ্ডকারখানা দেখে দুজনে রোবটের মত তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ ,তারপর ফিক করে হেসে দিলেন
উনাদের হাসি দেখে আহানা আর শান্ত দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়িয়ে পড়লো
.
শান্তর মা তার আঁচলের ভিতর থেকে একটা কার্ড বের করলেন,লাল রঙের একটা কার্ড,দেখে মনে হচ্ছে বিয়ের কার্ড
মা কার্ডটা বাড়িয়ে ধরলেন শান্ত আর আহানার দিকে
.
আহানা আর শান্ত দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে কার্ডটা একসাথে ধরলো,তারপর দুজনে টানাটানা করে শেষে দুজনের হাতে রেখেই কার্ড খুললো,ভিতরে লিখা আছে
শুভ বিবাহ♥
বরের নাম-শাহরিয়ার শান্ত
বধুর নাম-আহানা ইয়াসমিন
এ দুলাইন দেখে শান্ত আর আহানা চোখ বড় করে তাকালো তারপর ভ্রু কুঁচকে যে যার মায়ের দিকে তাকালো
.
আহানার মা হেসে বললেন “কার্ডটা তোমরা যখন ছোট ছিলে তখন তোমাদের বিয়ের কথা আমরা দুই পরিবার মিলে পাকা করে প্রমাণ স্বরুপ বানিয়ে রেখেছিলাম কার্ডটা,এতদিন বুবুর কাছে ছিলো এটা
তারিখ কিন্তু তোমাদের বিয়ে যেদিন হওয়ার কথা ঠিক সেদিনকার তারিখই লিখা আছে এখানে,আজ থেকে ঠিক ২মাস পরে
.
তো?
.
তো?
.
তো মানে কি?দুজনে একসাথে “তো” বলতেছিস কেন,তোদের বিয়ে ২মাস পরেই হবে ব্যস
.
আন্টি আপনারা অনেক ডিসিশন নিয়ে ফেলছেন আমাকে না জানিয়েই,এখন আমার কথা শুনুন, বিয়েটা হচ্ছে না,আমি এই মেয়েটাকে পছন্দ করি না,সে আমার ওয়াইফ হওয়ার যোগ্যই না
.
এক মিনিট!যোগ্য তো আপনি নিজে না,আমি আপনাকে জীবনেও বিয়ে করবো না
.
আর কিছু না বলে কোনোদিকে না তাকিয়েই আহানা হনহনিয়ে বেরিয়ে চলে গেলো
শান্ত নিজের রুমের দিকে চলে গেছে ততক্ষণে
শান্তর মা আর আহানার মা মুখটা ফ্যাকাসে করে বসে আছেন
এরা দেখি দুজন দুজনকে সয্যই করতে পারে না,আর আমরা এদের নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতেছিলাম
শান্তর মা চোখ মুছলেন পরে হেসে দুহাত জোড় করে দেখালেন আহানার মাকে
মানে ওরা একসাথ হবে বা একসাথ করতে হবে এরকম কিছু বুঝিয়েছেন তিনি
♣
আহানা বাসায় ফিরছিলো সামনে এসে পড়লো রতন!
ওকে উপেক্ষা করে আহানা পাশ কাটিয়ে যেতে নিতেও পারলো না কারণ রতন ওর পথ আবারও আটকে ফেলেছে
.
দেখ রতন,মেজাজ খারাপ করবি না আমার,পথ ছাড়
.
ছাড়বো না,কি করবি?
.
আহানা পা দিয়ে রতনের পা মাড়িয়ে ধরে বললো”দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারাবি তুই”
.
রতন ব্যাথা পেয়ে সরে গেলো,আহানা আর এক মিনিট ও দাঁড়ালো না,চলে গেলো সে বাসার দিকে
রতন পা ধরে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকলো ওখানে দাঁড়িয়ে
আহানার অনেক অপমান আমি সহ্য করেছি আর না,এবার এরে উঠিয়ে নিয়ে নিজের সব ইচ্ছা আমি পূরন করবো,বহুত ছাড় দিসি
বড়লোক ছেলের গাড়ীতে করে এদিক ওদিক চলা ফেরা করে,সময় থাকতে এরে এখনই আমার আয়ত্তে নিয়ে আসতে হবে
.
শান্ত নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে বিছানায় বসে পড়েছে,ল্যাম্পশ্যাডের টেবিলটার উপরে তার আর আহানার ছোটবেলার ছবিটা রাখা
শান্ত সেটার দিকে তাকিয়ে আরেকদিকে ফিরে বসলো
.
আমি?আমি ঐ মেয়েকে বিয়ে করবো?মা এটা ভাবলো কি করে!জীবনেও আমি ওরে বিয়ে করবো না,আমার লাইফ আমি কিছুতেই এভাবে নষ্ট হতে দিব না
.
আহানার মা শান্তর মা কে বিদায় দিয়ে উনিও বাড়ি ফিরে আসলেন,আহানা কাঁথা টেনে ঘুমাচ্ছে মরার মতো,যেনো কিছুই হয়নি
মা রাগ করে ঘরের সব জিনিসপাতি ধুমধাম করে এখান থেকে ওখানে রাখতেছেন
আহানা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলো মা পুরো বাড়িতে উথাল পাতাল করতেছে
.
কি ব্যাপার এমন করো কেন?
.
কথায় আছে না মানুষরে সুখে থাকতে ভূতে কিলায়,তোর হইছে সেটা!তুই আমাদের সবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে ভাঙ্গতেছিস
.
আমার জীবন,আমার জীবনের ডিসিশন ও আমারই
.
তোর কপালে রতন জুটবে দেখিস,আইতে যাইতে গায়ে খালি হাত তুলবে,তখন তোর খুব ভালো লাগবে তাই না?
.
আহানা মুখটা ফ্যাকাসে করে ওড়না গায়ে দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে চলে গেলো
বিকাল হয়ে গেছে,আহানা তাই প্রতিদিনকার মতন আগে চিত্রাকে পড়াতে গেলো
তারপর যাবে রিপার বোন রুনাকে পড়াতে,আজকে এসবে একটুও মন নেই তার কিন্তু তারপরেও টাকার জন্য করতে হচ্ছে,শরীর ও দূর্বল লাগতেছে,সকালে দুমুঠো ভাত খেয়ে যে বেরিয়েছিল আর কিছুই খাওয়া হয়নি তার
রুনাকে পড়ানো শেষ দিয়ে এবার সে গেলো সিয়াদের বাসায়,উফ এত ঝামেলা,টিউশনি সব চাইতে বিরক্তিকর!
সবার শেষে নিতুকেও পড়াতে হবে
না আমি নিতুকে আর পড়াবো না,ঐ বাড়িতে গেলেই ঐ লোকটার সাথে ঝগড়ায় পড়তে হয়
আমাকে যা তা বলে কথা শুনায় সবসময়!আর জীবনেও উনার মুখোমুখি হবো না আমি
সব টিউশনি শেষ,এখন বরাবর সন্ধ্যা ৬টা বাজে,নিতুকে যেহেতু আজ পড়াবো না তাহলে বাসায় ফিরি
নাহ!!ফিরবো না,মা সব কিছুতে বাড়াবাড়ি করে, আমি ফিরবো না আজ
ফিরবো কিন্তু দেরি করে,বুঝুক একটু আমাকে বকলে কি হয় হুহ!
.
আহানা আজ আর রিকসা নিলো না, টাকা আছে,বরাবর ৩০টাকা,ওটা দিয়ে বাড়ি ফেরা যাবে কিন্তু ঐ যে দেরি করে ফিরবে সে জন্যে আহানা হেঁটেই বাড়ি ফিরতেছে
১০/১২মিনিটেই ধুসর অন্ধকার নেমে গেছে চারিদিকে
আহানা নিচের দিকে তাকিয়ে হেঁটে চলেছে মনের ভিতর কড়া সাহস নিয়ে
♣
ঊষা কাল সকালে মিটিং নেই তাই আমি দেরি করে অফিসে আসবো
.
ওকে স্যার
.
শান্ত ফোন রেখে কার ড্রাইভ করায় মন দিলো,জলদি করে বাসায় ফিরতে হবে,আহানাকে আজ সোজা কথা বলে দিব নিতুকে যেন আর পড়াতে না আসে
.
শান্ত মোড়ে কার ঢুকাতেই ওর মনে হলো আহানাকে দেখলো সে
কিন্তু এখন তো সে নিতুকে পড়াতে যাওয়ার কথা,তাহলে কই যাচ্ছে?
ভাবতে ভাবতে শান্ত কার থামিয়ে কার থেকে নেমে আহানাকে ডাক দিলো
আহানা থেমে গিয়ে পিছন ফিরে দেখলো শান্ত গাল ফুলিয়ে চেয়ে আছে ওর দিকে
চলবে♥