প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২৬
#Writer_Afnan_Lara
🌸
সুহানা!!তুমি যে লেটার পাঠিয়েছিলা আমি তো ধরেই নিছিলাম যে স্যার নির্ঘাত তোমাকে জেলে নিয়ে ছাড়বে
বাট এখন দেখি তুমি আবার ব্যাক করেছো,আই এম সো হ্যাপি!বাই দ্যা ওয়ে তোমার বাচ্চাগুলো কেমন আছে?
.
ইয়ে মানে!ভালো আছে সবাই
.
ওকে!! তাহলে স্যারের কাছে যাও,আমি আমার কাজে যাই
আহানা হাসি মুখে শান্তর রুমের দিকে যেতে নিতেই দেখলো তার পাশ দিয়ে নওশাদ,রিয়াজ আর সূর্য স্টাইল করে হেঁটে যাচ্ছে সেদিকে
আহানা তাই আর গেলো না,নিজের কেবিনেই ফেরত আসলো সে
.
স্যার আসবো নাকি?😜
.
শান্ত ফোন থেকে চোখ উঠিয়ে দেখলো তার পুরো গ্যাং দাঁড়িয়ে আছে দরজার ওপারে,শান্ত মুচকি হেসে ফোনটা টেবিলে রেখে দিয়ে বললো”জি স্যাররা আসেন আসেন”
.
নওশাদ দাঁত কেলিয়ে ঢুকেই টেবিলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো আর সূর্য রিয়াজ চেয়ার টেনে বসেছে ততক্ষণে
.
তা কি ভেবে আমাকে স্মরণ করতে মন চাইলো আপনাদের?
.
শুনলাম তুই নাকি ইদানিং আহানার সাথে বেশি সময় কাটাস,তা এত কিছু হলো আর আমরাই জানলাম না?
.
সময় কাটানো মানে কি আবার,তোরা তো জানিস ও আমার রিলেটিভ তো সে অনুযায়ী তো আমার সাথে ওকে দেখা যাওয়াটা স্বাভাবিক
.
জি অবশ্যই,তবে অতিরিক্ত দেখা যাওয়াটা অস্বাভাবিক, তাই না রিয়াজ?
.
হ্যাঁ তা তো বটেই
.
এটা বলতে এসেছিস তোরা?তাহলে শুনে রাখ আমার আর আহানার মধ্যে ঝগড়া ছাড়া জীবনে কিছু হয়নি আর হবেও না
.
সে যাই হোক এখন শুন মেইন কথা
.
জি বলেন দুলা সাহেব
.
হুম,বিয়ের আগে একটা ব্যাচেলর পার্টি করবো,অনলি বয়েজ,তুই রাতে আসবি,এই মাসের ৩০তারিখ রাত ১০টা টু যতক্ষন ইচ্ছা ততক্ষণ
.
সেটা আসবো,তবে মা আর নিতুর কানে যেন কথাটা না যায়
মা মদ গাঁজা এসব খাওয়া দুচোখে দেখতে পারে না আর ব্যাচেলর পার্টিতে এসবই মেইন শুনলে আমার যাওয়া বন্ধ
.
সেটা জানি,এমনকি আমাদের ফ্যামিলির লোক ও জানে না যে আমরা একটা ব্যাচেলর পার্টি থ্রো করেছি
.
দ্যাটস গ্রেট!বস তোরা,আমি কফি অর্ডার করছি
.
তা কর,আরও কথা আছে তোর সাথে
.
হ্যালো ঊষা!৪টা কফি আর “নাচোস”পাঠাও আমার রুমে
.
ওকে স্যার
.
নওশাদ শান্তর রুমের পর্দা সরিয়ে বললো”তোর রুমের এই ভিউটা জাস্ট অসাধারণ!!আমার অফিসের সামনে ইয়া বড় একটা বিল্ডিং, ভাবছি রুম চেঞ্জ করবো
.
নওশাদ!!রুম কেমনে চেঞ্জ করবি তোর অফিসের চারপাশেই তো সব বিল্ডিং
.
সেটাই,এই জন্য তোর অফিস বানানোর আগে আমি তোকে বারবার করে বলেছিলাম রোড সাইড দেখে বানা,অন্তত মন মেজাজ খারাপ থাকলে নিজের রুমের জানালার পর্দা সরিয়ে মুডটা সুইং হয়ে যাবে নিমিষেই,আমার কথা তো শুনলি না
.
শান্ত তোর কথা শুনতাম আমি বাট বাবা এমন জায়গায় জমি কিনে বসেছিলো আমার হাতে কিছু ছিলো না তখন
.
রিয়াজ বলপয়েন্ট ঘুরাতে ঘুরাতে বললো”ভাই আমি বেঁচে গেছি,উত্তরায় খোলামেলা জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে আরামসে সারাদিন কিউট পরিবেশ উপভোগ করার শান্তি!
.
তোর তো টাকা আর টাকা!
.
সূর্য!টাকা আর টাকা মানে কি,আমার সব একসাথ করলেও শান্তর সমান হবে না,শান্ত ২হাতে খরচ করে আবার আল্লাহ ওরে সেই পরিমাণ দিয়ে দেয়,ওর ব্যবসায় জীবনে আমি লোকসানের নাম শুনি নাই
.
দেখে শুনে ক্লাইন্ট সিলেক্ট করতে হয়,আমি আমার একটা ক্লাইন্টকেও ফালাছড়া করি না,আমি নিজে গিয়ে মিট করি,এই হলো টিপস বুঝেছো চান্দুরা
.
আমাদের এত ধৈর্য্য নাই ভাই রে ভাই,তা সূর্য তোর কি খবর সেটা বললি না
.
আমার আর কি,আমিও শান্তর মতন বাবার বিজন্যাস নিয়ে আছি
.
এবার বিয়ে করে নে
.
তা হচ্ছে না নওশাদ,রিয়াজ করুক তারপর তুই তার পর শান্ত,সবার শেষে আমি
.
হেহে,আমি রুপাকে কদিন ঘুরাবো,তারপর বিয়ে করবো,আমার দেরি আছে
.
শান্ত রিয়াজের হাত থেকে বলপয়েন্ট নিয়ে হাতে নাড়াচাড়া করতে করতে বললো”আহানার বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা,দেখিস আবার তোকে না ঘুরায়”
.
আহানার মত ঝগড়া পারে না তাই একটু বাঁচলাম,তবে তোর তো অবস্থা বেহাল
.
নওশাদ কি বলিস এসব,শান্ত কম যায় নাকি?গ্রামীণ মহিলাদের মতন পায়ে পা রেখে ঝগড়ায় লাগে আহানার সাথে,বাপরে বাপ একদিন আমি নিজের চোখে ওদের ঝগড়া দেখছিলাম,তারপর দেড় মাস পাগল ছিলাম
.
সূর্য নওশাদের পাশে দাঁড়িয়ে নিচে চলন্ত বাস একটার দিকে চেয়ে বললো”শান্ত বাসর ঘরেও এমন ঝগড়া শুরু করে দিবে আহানার সাথে”
.
সেটা আর বলতে!
.
থাম তোরা!আহানার সাথে বিয়েই হবে না আবার বাসরের কথা ভাবোস তোরা
.
দেখা যাবে!
.
স্যার আসবো?
.
হ্যাঁ আসো!
.
ঊষা ভিতরে এসে একটা লোককে দিয়ে কফি আর নাচোস আনাচ্ছে,এনে এনে টেবিলে রাখতেছে লোকটা
.
আহানা গালে হাত দিয়ে পুরো অফিসটা ড্যাবড্যাব করে দেখতেছে,পুরো অফিসে একটাই নাম লেখা আর সেটা হলো “শান্তি গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ”
.
স্যার!মিঃ মজনু এসেছে আপনার সাথে মিট করতে
.
হোয়াট!!তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন?আহানা কোথায়?
.
সুহানা?সে তো তার কেবিনে
.
মাই গড!মজনু আঙ্কেল যদি আহানাকে দেখে ফেলে তাহলে তুলকালাম বাঁধবে
শান্ত কফির মগ হাত থেকে টেবিলে রেখে দৌড় অফিস রুম থেকে চলে গেলো
অফিসে ঢুকতেই গেস্টদের বসার একটা সোফা থাকে,সেখানে মিঃ মজনু বসে তার ফোন দেখতেছেন তার কিছুদূরেই আহানা কেবিনে গালে হাত দিয়ে পুরো অফিস দেখতেছে,দুজন দুজনকে দেখেনি এখনও
শান্ত করিডোর পেরিয়ে কর্মচারীদের কেবিনগুলোর সামনে এসে দাঁড়িয়ে দেখলো আহানা উপরের ছাদের দিকে চেয়ে আছে আর দূরেই সোফায় মজনু আঙ্কেল ফোন টিপতেছেন
শান্ত হাঁপ ছেড়ে বেঁচে এগোতে যেতেই আহানা ওকে দেখে ডাক দিলো
.
এই যে!আমাকে যে অফিস রুমে ডেকেছিলেন?কি জন্যে?আপনি এখনও ফ্রি হোন নাই?
.
আহানার কথা শুনে মজনু আঙ্কেল মাথা তুলে সেদিকে তাকালেন
শান্ত কি করবে ভেবে না পেয়ে আহানার কেবিনে ঢুকে ওর মুখ চেপে ধরে ফেললো
ওদিকে মজনু আঙ্কেল সোফা থেকে উঠে এদিকে আসতেছেন কারণ উনি শান্তকে দেখেছেন মাত্র,উনি আজ এখানে এসেছেন শান্তর সাথে মিট করতে
.
আহানা চোখ বড় করে ইশারা ইঙ্গিতে জিজ্ঞেস করতেছে শান্ত ওকে এমন করে ধরে আছে কেন
.
শান্ত ফিসফিস করে বললো”শুনো,আমি যতক্ষন না বলবো এখান থেকে বের হবা না,ঠিক আছে?”
কথাটা বলে শান্ত আহানার মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিলো
.
কিন্তু কেন?
.
মজনু আঙ্কেল বাহিরে
.
কিহহহহ!
.
উনি তোমাকে দেখে ফেললে আমার এতদিনের প্ল্যান ফ্লপ হয়ে যাবে সো প্লিস এখানে লুকিয়ে থাকো
.
ঠিক আছে
♣
শান্ত?তুমি কোথায়?
.
শান্ত আহানাকে বুঝিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে বললো”আরে মিঃ মজনু যে,চলুন চলুন,কতদিন পর আসলেন”
.
আহানা লুকিয়ে মজনু চাচাকে দেখতেছে,এ লোকটাকে ছোট থেকেই সে দেখতে পারে না কারন উনি সবসময় ওর বাবার সাথে উঁচু গলায় কথা বলতো, বাবার সব কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতো
.
শান্ত মজনু চাচাকে নিয়ে সোফায় এসে বসলো পায়ের উপর পা তুলে
.
শান্ত আই নিড ইউর হেল্প
.
হুম বলুন,কি করে হেল্প করতে পারি?
.
কোথাকার একটা লোক আমাকে নিয়ে কেস করেছে যে আমি ৭বছর আগে কার না কার সম্পত্তি আত্নসাৎ করেছি যার কারণে সে ঐ সম্পত্তি ব্যাক নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে
আমার যতদূর মনে আছে ঐ সম্পত্তি আমার মৃত ভাই আয়াতের,সে আমার নামে করে দিয়েছিলো,তাহলে এখন কার এত সাহস আমার বিরুদ্ধে কেস করে
.
যিনি মারা গেছেন তার কোনো ছেলে ছিলো নাকি?
.
আরে না,ছিল একটা মেয়ে,সেই মেয়ে এখন কোন চুলোয় গেছে আমার কি!!তার এত সাহস হবে না আর আমি খোঁজ নিয়েছিলাম তারা সায়দাবাদে থাকে
তাহলে আমার বিরোধিতা কে করছে!!
.
ডোন্ট ওয়ারি!আপনি এক কাজ করুন আপাততর জন্য সেই সব সম্পত্তি অন্য কারোর নামে দিয়ে রাখেন নাহলে বুঝেনই তো আপনার একটা নাম আছে সমাজে,স্টেটাস আছে
.
হুম সেটাই!কিন্তু কাকে দিব তাই ভোবে পাচ্ছি না,আমার আপন মানুষ বলতে আমার স্ত্রী আর দুটো ছেলে,ঐ ছেলেগুলো আমার শত্রুকেও হার মানাবে,স্ত্রীকে দিলে ঘুরেফিরে ছেলেদের কাছেই যাবে
তাই ঠিক ভেবে পাচ্ছি না,তার উপর যে কেস করেছে সে উঠে পড়ে লেগেছে,কোর্টে একের পর এক প্রমাণ আনতেছে
.
নাম জানেন.চেনেন?
.
আরেহ না,সেই পড়েছি আরেক বিপদে,আমি নাকি তারে দেখলে খুন করে ফেলবো তাই সে আমার সামনে আসবে না আর পুলিশ ও এতে সাঁই দিয়েছে,তবে নাম শুনলাম শামসুর আলী,চিনি না জানি না,কে এই শামসুর আলী?
.
হুমমম!ভাববার বিষয়,তবে যতদূর জানি শামসুর নামের লোকেরা অনেক ডেঞ্জারাস হয়
.
সেসব বাদ,আমি তোমার কাছে হেল্পোর জন্য এলাম,অন্য বিজনেস পার্টনারদেন তেমন বিশ্বাস করতে পারি না
তোমাকে পারি কারণ তুমি এক মাসেই আমার এত উপকারে এসেছো,এত আপন হয়ে গেছো
আমার আর আমার স্ত্রীর বিবাহবার্ষিকীতে তুমি কিনা ব্র্যান্ড নিউ কার গিফট করেছিলে তুমি আমার আপন মানুষ হয়ে গেছো শান্ত!!
তোমাকে অবিশ্বাসের কথাই আসে না
.
তাহলে আপনি একটু ভেবে দেখুন কি করবেন,আমি তো আমার পরামর্শ দিলাম
.
হুম,আসি আজ তবে,ভেবে তোমাকে জানাবো
.
ওকে
.
আহানা লুকিয়ে চেয়ে আছে এখনও,শান্ত মজনু চাচাকে বিদায় দিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে গেছে,সেখানে নওশাদ রিয়াজ আর সূর্য মিলে শয়তানি করতেছে,তারপর শান্তকে দেখে বললো”কিরে কই চলে গিয়েছিলি?”
.
ক্লাইন্ট একটা আসছিলো
.
কে এসেছিলো রে?তুই যেভাবে দৌড় মেরেছিলি আমরা তো ভাবলাম আহানার কিছু হলো নাকি
.
আহানার কথা মাথায় আসতেই শান্ত আবারও ছুটলো সেদিকে
আহানা পা টিপে টিপে দরজা পর্যন্ত এসে তার চাচাকে দেখতেছে
অমি আর অর্নব জানি কেমন আছে কে জানে!ওদের একবার দেখার অনেক ইচ্ছা আহানার
চাচাকে সে দেখে নিলো ভালো করে,চাচা আগের চেয়েও একটু স্মার্ট হয়েছেন তবে মাথার কটা চুল পেকে গেছে একদম,হাতে দামি ঘড়ি,পরনে কোট, মনে হয় কোনো বিশাল বিজনেসম্যান,আর এসব তার বাবার টাকায় হয়েছে
আহানা তারপর নিজের দিকে তাকালো,হালকা গোলাপি রঙের একটা জামা তার গায়ে,মাত্র ৫০০টাকার জামাটা
আজ তারা বাবা বেঁচে থাকলে হয়ত তার ও এরকম দামী জামা থাকতো,এরকম ৫০০টাকার জামা পরে থাকতে হতো না
আহানা মন খারাপ করে ওর চাচার দিকে চেয়ে আছে,চাচা লিফটে ঢুকে গেলেন ব্যস আর দেখা গেলো না তাকে
আহানা পিছন ফিরতেই শান্তকে আচমকা দেখে ভয় পেয়ে দুম করে ফ্লেরে পড়ে গেলো
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে বললো”তোমাকে মানা করলাম না কেবিন থেকে বের হবা না”
.
আপনি বলেছিলেন চাচা গেলে বের হতে,তাই তো বের হলাম
.
কই গেছে?আমি তো দেখছিলাম তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে উনাকে দেখছিলে
.
সরি!কিন্তু উনি আমাকে দেখেননি
.
যাই হোক,আর এরকম করবা না,আমি কোনো বাহানা চাই না,উঠো এখন,অফিসের লোকেরা কি বলবে?এরকম ফ্লোরে গোল হয়ে বসে আছো কেন?আর আমি বাঘ না ভাল্লুক যে দেখেই পড়ে গেলা
.
এরকম চোরের মতন পিছনে এসে দাঁড়ালে যে কেউই ভয়ে হার্ট এটাক করবে আমি তো জাস্ট পড়ে গেলাম
.
শান্ত আর কিছু না বলেই আহানাকে তুলার জন্য হাত বাড়ালো
আহানা ওর হাত ধরে উঠে আসতেই টাইলসে পিছলিয়ে আবারও পড়ে যেতে নিতেই শান্ত ওকে টেনে ধরে ফেললো
আহানা শান্তর কাঁধে হাত রেখে চুপ করে ওর দিকে চেয়ে আছে
শান্ত ও চুপ,নওশাদ আর রিয়াজ সূর্য মিলে ওদের দুজনের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে বললো”চাই না মেয়ে তুমি অন্য কারো হও,পাবে না কেউ তোমাকে! তুমি কারো নও!!!!”
.
ওদের গান কানে আসতেই শান্ত আহানাকে ছেড়ে দিলো
আহানাও নিচের দিকে তাকিয়ে সোজা তার কেবিনের দিকে দৌড় দিয়েছে
আর শান্ত পকেটে হাত ঢুকিয়ে তার রুমের দিকে চললো
.
আরে আরে যাস কই??এত সুন্দর একটা রোমান্টিক সিন দেখালি সাথে ট্রিট ও দিয়ে যা
.
শান্ত চেয়ার টেনে বসে নাচোস মুখে দিয়ে বললো”কিসের ট্রিট?”
.
ওমা!তোর প্রেম প্রেম ভাব শুরু হলো সেটার,আর কিসের
.
কিসের প্রেম,আহানা পড়ে যাচ্ছিলো বলে ধরছিলাম আর কিছু না
.
আহানা তার কেবিনের কাঁচের দেয়ালে হেলান দিয়ে চুপ করে আছে,আজ ২সেকেন্ডের জন্য কিসের একটা ভ্রমে চলে গিয়েছিলো সে,হাত কাঁপতেছে এখনও
শান্তকে জোর গলায় বলে দিতে হবে আমাকে যেন না ছোঁয় আর
এমন ভাবে ছুঁলে আমার গায়ে কাঁটা দেয়
স্টুপিড একটা,শুধু আমাকে ছোঁয়ার বাহানা লাগে তার
.
শান্ত তার রুমের পর্দার পাশে গিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে চুপ করে
নওশাদ রিয়াজ আর সূর্য হাসির হট্টগোল শুরু করে দিয়েছে,টপিক হলো রিয়াজের বিয়ের আলোচনা
আর শান্ত আনমনে আহানাকে নিয়ে ভাবছে,আহানাকে টাচ করলেই কিরকম যেন ফিল হয় মন চায় হাত ধরেই রাখি,ভালো লাগে এক অন্য রকম
.
কিরে শান্ত?
.
হুম বল
.
শান্ত পিছন ফিরে সবার দিকে তাকালো,সবাই এবার কথা বলবে গায়ে হলুদে কিরকম মজা করবে তারা,কি গানে নাচবে সেসব নিয়ে
.
শান্ত চুপিচাপি ল্যাপটপটা অন করে গেমসে ঢুকেছে,কারণ বিয়ে নিয়ে এরকম বোরিং আলোচনা তার ভাল্লাগে না
গেমসই ভালো
চলবে♥