প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_২৮

0
699

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_২৮
#Writer_Afnan_Lara
🌸
বাসায় আসতেই আহানা ডাইনিংয়ে বসে গেলো খাওয়ার জন্য আর অন্যদিকে তার নজর নেই
শান্ত নিজের রুমে চলে গেছে,আহানা ভাত আর ডাল দিয়েই খাবার শেষ করে ফেললো
রিপা মাংসের বাটি আনতে আনতে সে খাওয়া শেষ করে উঠে চলেও গেছে
এত খিধা লেগেছিলো যা বলার বাইরে
শান্ত ফ্রেশ হয়ে একটা ছোট বিয়ারের বোতল নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে
এতদিনের ব্যস্ততায় ভালোমতন খাওয়াই হয় নাই
ঢক ঢক করে ২চুমুক দিয়ে এদিকে ওদিকে একবার চেয়ে নিলো,আহানা বা নিতু দেখে ফেললে বিপদ
ওদের কাউকে না দেখে শান্ত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বিন ব্যাগে বসলো পা টা বারান্দার গ্রিলে উঠিয়ে
লাউডলি গান চালিয়ে চোখটা বন্ধ করে একটু চিল হতে চাইছে শান্ত
আহানা চাদর টেনে পাশের রুমে শুয়েছে একটু,কিন্তু তীব্র গানের আওয়াজে লাফ দিয়ে উঠে বসে এদিক ওদিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো গানের আওয়াজটা শান্তর রুম থেকে আসতেছে
বালিশ মাথায় দিয়ে আবারও শুয়ে পড়লো সে
কিন্তু নাহহ আওয়াজ মনে হয় কমতেছেই না বরং বাড়তেছে
এদিকে শান্তর মা বই পড়ছেন কোনো মানাও করছেন না তিনি
আর আমার নিজের মা তো রিপার সাথে রান্নাঘরে কি যেন কাজ করছে
শয়তানটা আমাকেই জ্বালায় খায় সবসময়
আহানা বিছানা থেকে নেমে ওড়না গায়ে জড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো,সোজা শান্তর রুমে এসে দেখলো শান্ত বিনব্যাগে আধশোয়া অবস্থায় কি যেন খাচ্ছে
আহানা নক না করেই হনহনিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো,বারান্দার কাছে এসেই থেমে গেলো সে
শান্ত এটা কি খাচ্ছে ভালো করে দেখে আর গন্ধ শুঁকেই বুঝতে পারলো এটা মদ
আহানা আরেকটু এগিয়ে আসতেই শান্তর নজরে পড়লো সে
শান্ত কিছুটা ভয় পেয়ে বোতলটা লুকিয়ে ফেললো তারপর হাত দিয়ে থুতনি আর মুখ মুছে উঠিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সে
.
আপনি কি খাচ্ছিলেন ওটা?
.
কারোর রুমে ঢুকতে হলে নক করে ঢুকতে হয় এই টুকু কমনসেন্স নেই তোমার?
.
আগে এটা বলুন! কি খাচ্ছিলেন
.
পাইনএপেল জুস,শুনছো?এবার বের হও আমার রুম থেকে,এখন তো মনে হচ্ছে রুম লক করে রাখতে হবে সবসময়
.
আপনি এত জোরে গান বাজাচ্ছিলেন কেন?আমি একটু ঘুমোতে চাইলাম তা আর পারলাম না আপনার কারণে
আর আপনি কিনা এখানে বসে মদ খাচ্ছিলেন?আমি আনারসের জুস চিনি না তাই না?এখনই আন্টিকে বলে দিচ্ছি আমি
.
আহানা সোজা বাইরের দিকে ছুটতেই শান্ত ওর হাত খিঁচে টান দিয়ে আবারও আগের জায়গায় নিয়ে আসলো
.
আপনাকে না বললাম আমাকে ছুঁবেন না
.
সবসময় এরকম করো কেন যখনই আমি তোমাকে ধরি
আমি কি তোমাকে বিয়ে করবো নাকি?
হাত ধরা নরমাল ব্যাপার তুমি সবসময় নেগেটিভলি নাও কেন?
বাই দ্যা ওয়ে! কি বলবা মাকে?
.
বলবো আপনি লুকিয়ে মদ গাঁজা এসব খান
.
এটা জুস,ওকে?
.
তাহলে দিন আমি খেয়ে দেখবো
.
নাহহহহ!
.
কেন না?জুসই যদি হয় তাহলে আমি খেয়ে দেখলে কি সমস্যা?
.
সমস্যা আছে,ইয়ে আসলে আমি মুখ লাগাই খাইছি,আমার থুথু ভিতরে চলে গেছে,তুমি সেটা খাবা?
.
ইয়াকককক!জীবনেও খাবো না,আপনার মতো খাচ্ছর আর দুটো দেখিনি আমি,হাত ছাড়ুন আমার
.
শান্ত মুচকি হেসে আহানার কোমড়ে হাত চেপে ওকে আরও কাছে নিয়ে আসলো
.
কি ব্যাপার?আমি বুঝতে পারতেছি আপনি মদ খেয়েছেন,কেমন নেশাখোরের মতন বিহেভ করতেছেন,ছাড়ুন আমাকে তা না হলে আমি চিৎকার!!
(না সেটা কেমনে করবো এত জোরে গান বাজতেছে)
হাত ছাড়ুন আমার
.
শান্ত দাঁত কেলিয়ে বললো”আমার মুখ লাগানো বোতলটা থেকে জুস খাবা?”
.
ইচচচচ!ছাড়ুন জীবনেও খাবো না আমি
খবিশ!ছাড়ুন
.
আহানা অনেক কষ্টে নিজেকে ছাড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে এসে দরজা লাগালো,হাঁপাতে হাঁপাতে টেবিলের উপর থেকে পানি নিয়ে খেয়ে বিছানায় পা তুলে বসে পড়লো সে
শান্তর মতন ডেঞ্জারাস ছেলে আর দুটো দেখেনি সে,একসময় এক রুপ ধারণ করে লোকটা
কখনও গুন্ডা,তো কখনও দাদাগিরি,কখনও বলদা
.
শান্ত মদের বোতলটা শেষ করে লুকিয়ে ফেলে মাউথ ওয়াস নিয়ে কুলি করতে চলে গেছে ওয়াসরুমে
.
আহানা লুকিয়ে এতক্ষণ শান্তর গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছিলো,ওর নামে বিরাট বড় একটা বিচার সে শান্তি আন্টিকে দিবে তাই তার জন্য প্রমাণ লাগবে
এরকম লুকিয়ে খাচ্ছিলো তার মানে নিশ্চয় আন্টি জানলে কেলাবে
হিহি,বাবু তোমাকে আমি কেলানি খাওয়াবো,তোমার একটা মাত্র শত্রু আমি
আহানা পা টিপে টিপে শান্তর রুমে ঢুকলো,শান্ত এখন ওয়াসরুমে
আহানা পুরো রুমে তন্নতন্ন করে খুঁজেও একটা বোতল পেলো না,কোন সিন্ধুকে লুকিয়েছে কচু পাচ্ছিইই না ধুর ধুর!
আচ্ছা গন্ধ শুঁকে তো খোঁজা যায়?
আহানা ফ্লোরে শুয়ে শুয়ে গন্ধটা ধরে ধরে বোতল পর্যন্ত পৌঁছে গেলো,একেবারে আলমারির উপরে রেখেছে,এত বড় আলমারি আমি তো নাগাল পাবো না
কি করবো এখন!এদিকে শয়তানটার বের হওয়ার সময় হয়ে গেছে
আমি বরং গভীর রাতে আসবো এখন যাই
আহানা পালালো সেখান থেকে
.
রাত ১টা বাজে ৮মিনিট
আহানা কোমড়ে ওড়না বেঁধে তার রুম থেকে বেরিয়েছে,মা গভীর নিদ্রায়,নিতুও ঘুমাচ্ছে,শান্তি আন্টিও ঘুমাচ্ছেন তার রুমে
রাস্তা ফাঁকা মানে করিডোর ফাঁকা
আহানা এবার শান্তর রুমের কাছে এসে আল্লাহর নাম নিয়ে দরজায় টোকা দিলো কারণ শান্ত বেশির ভাগ সময় দরজা আটকে রাখে
তো ভাগ্যবশত দরজাটা খোলাই আছে
আহানা তো আল্লাহকে থ্যাংক ইউ দিয়ে ভিতরে ঢুকলো
মাটির তলের গুহাকেও হার মানাবে এই রুমের অন্ধকারের পরিমাণ
গায়ে কিছুক্ষণ বাদে বাদেই ঠাণ্ডা হাওয়া এসে লাগতেছে
এসির হাওয়া,এই হাওয়া গায়ে এমন কাঁটা দেয় মনে হয় এই বুঝি ধরা পড়ে গেলাম,শীতের পরিমান বেড়ে গেছে
ওমাগো!
আহানা অন্ধকারে কিছুই দেখছে না, আসলেই সে ঠিক কোনদিকে যাচ্ছে এখন
একটু বাতির আলো ও নেই,এমন জানলে টর্চ নিয়ে আসতো সাথে করে
নিচে বসে ফ্লোর ধরে ধরে সে আলমারির দিকে না গিয়ে সোজা বেডের দিকে গেলো অন্ধকারে,বেড ধরে বুঝলো এটা বেড
তাই ওদিকে ঘুরে যেতে নিতেই দামমমম করে একটা হাত এসে আহানার ঘাড়ের উপর পড়লো
শান্ত ঘুমের ঘোরে হাত নাড়াতেই সেটা আহানার গায়ে গিয়ে পড়েছে
আহানা তো ভয়ে মনে হয় মরেই যাবে,ভাবছে শান্ত বুঝি জেগে গেছে কিন্তু না জাগে নি
শান্তির একটা নিশ্বাস ফেলে সে কিছুদূর এগোতে নিতেও পারলো না,কারণ শান্ত আহানার ঘাড়ের উপরের জামার হাতাটা মুঠো করে ধরে রেখেছে
আহানা এবার কি করবে,ঘুমের ঘোরে শান্ত এত শক্ত করে আহানার জামা ধরেছে মনে হয় চোর ধরেছে
আহানা কাঁপা কাঁপা হাতটা উপরে উঠিয়ে শান্তর হাতটা ধরলো তারপর আস্তে আস্তে সেটা ঘাড় থেকে সরালো
তারপর কপালের ঘাম মুছে আবারও একটু এগোতেই কেউ একজন ওর গলার সামনে দিয়ে হাত নিয়ে চেপে ধরে পিছন দিকে এক টান দিয়ে নিয়ে গেলো
আহানা চিৎকার করা ধরতেই শান্ত তার আরেক হাত দিয়ে আহানার মুখও চেপে ধরলো,আহানা চুপ হতেই ল্যাম্পশ্যাডটা অন করলো সে
আহানা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সামনে আয়নার দিকে তাকালো,আয়নায় স্পষ্ট শান্তকে দেখতে পাচ্ছে সে
শান্ত জেগে গিয়ে আহানাকে ভালো করে ধরেছে
যাকে বলে হাতেনাতে ধরা
আহানা কাঁপতে কাঁপতে বললো” ইয়ে আসলে ঘুমের ঘোরে হাঁটতে হাঁটতে এদিকে চলে আসলাম, এই আর কি!
অন্য কিছু না সত্যি”
.
শান্ত আহানাকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফিরালো
আহানা এত এত ভয় পেয়েছে মনে হয় এখনই কেঁদে দিবে
শান্ত সবেমাত্র ঘুমিয়েছিলো আর আহানা কিনা এই কান্ড করলো
.
তুমি ঘুমের ঘোরে হাঁটতেছিলো?
.
হুম হুম সত্যি
.
তাহলে ওড়না এমন করে বেঁধেছো কেন মনে হচ্ছে কোনো যুদ্ধে যাচ্ছো!
.
ইয়ে আমি স্বপ্নে দেখছিলাম যে আমি বাহুবলির যুদ্ধে আছি তাই বাঁধলাম মনে হয়
.
আচ্ছা,তো হামাগুড়ি দিয়ে আমার বিছনার পাশ দিয়ে কই যাচ্ছিলে?আর আমার হাতই বা ধরলে কেন?
.
আরে আপনি আমার ঘাড়ের উপর জামা টেনে ধরছিলেন ওদিকে যেতে আমার সমস্যা হচ্ছিলো তাই
(ইস কি বলে ফেললাম)
.
আচ্ছা তাই??ওদিকে যেতে প্রব হচ্ছিলো বুঝি?তা কি করে বুঝলে?তুমি তো ঘুমের ঘোরে ছিলে তাই না?
.
না মানে,হাত ছাড়ুন আমি যাই ঘুমাতে
.
না না,তা হচ্ছে না,চোরের মতো আমার রুমে তুমি এত রাতে কি করতে এসেছিলা তার সম্পূর্ণ তথ্য তো আমাকে বের করতে হবে
.
বললাম তো ঘুমের ঘোরে আসছিলাম
.
তোমাকে আমি হারে হারে চিনি,কি কুবুদ্ধি নিয়ে আসছো বলো নাহলে আজ রাত তোমাকে আমার রুমেই কাটাতে হবে
.
শান্ত আহানার হাত ছেড়ে নিজের রুমের দরজা লক করে আসলো
তারপর দেয়ালে হেলান দিয়ে বললো”বলো”
.
আহানা টেবিলের উপর থেকে পানি নিয়ে খেয়ে ধপ করে বিছানায় বসে গেলো,ওড়না দিয়ে গলার আর কপালের ঘাম মুছে বললো”আমি সত্যি ঘুমের ঘোরে এসেছিলাম”
.
শান্ত এক ধমক দিয়ে বললো”চুপ!!!অনেক মিথ্যা হইছে,তোমার যে ঘুমের ঘোরে হাঁটার রোগ নাই তা জানা আছে আমার,খালি খালি মিছা বলে লাভ নাই বুঝছো??
.
আহানা অনেক ভাবলো,এখন সত্যি বললে শান্ত ওকে কাঁচা গিলে খাবে,তাই ভালো মেয়ের মতন বিছানায় শুয়ে চাদর টেনে মুখ ঢাকলো সে
.
আরে আরে এসব কি?তোমাকে আমার বিছানায় শুতে বলছি আমি?উঠো
.
উহু!ঘুম পাচ্ছে,ঘুমাতে দেন
.
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছো তুমি,তা হবে না,উঠো!!
শান্ত আহানাকে জোর করে ধরে বসিয়ে দিলো
.
আহানা এবার কি করবে সেটাই ভাবতেছে শান্তর মুখের দিকে তাকিয়ে
.
ঠিক আছে যাও নিজের রুমে,তাও আমার রুমে ঘুমাবা না,যাও
.
আহানা সাথে সাথে বিছানা থেকে নেমে এক দৌড় দিলো,এক বাঁচা বাঁচলাম আমি,আর এ ভুল হবে না
.
শান্ত তার রুমের দরজা ভালো করে লাগিয়ে এসে শুয়ে পড়েছে আবার
.
এত বড় চান্সটা গেলো আমার,কোথায় ভাবলাম আন্টিকে দিয়ে কেলানি দিব তা আর হলো কই,উল্টো আমি ফেঁসে যাচ্ছিলাম একটুর জন্য
আহানা নিজেকে বকতে বকতে রুমে এসে শুয়ে পড়লো
কাল থেকে আর কোনো টিউশনি করাবো না,যে বেতন আসবে অফিস থেকে সেটা দিয়েই হয়ে যাবে,এত ঝামেলা বহন করতে পারবো না,এমনিতেও শয়তানটার অফিসে এত এত কাজ বাপরে বাপ

পরেরদিন ভোরবেলায় চোখ খুলে আহানা আবারও শান্তর রুমের সামনে এসে হাজির,ভেবেছিলো শান্ত এখন ঘুমে থাকবে এখনই কাজটা সেরে ফেলবে কিন্তু শান্ত তো ঠিকই ঘুমাচ্ছে কথা হলো গিয়ে শান্তর রুমের দরজা বন্ধ,শান্তর সাথেই অফিস যেতে হবে আবার ফিরার সময় তার সাথেই ফিরতে হবে তাহলে কাজটা করবো তো করবো কখন!??
আহানা মন খারাপ করে গন্ধরাজফুলের বাগানটার সামনে হাঁটা হাঁটি করছে,একটা ফুল কানে দিয়ে বাসার ছাদের দিকে একবার তাকালো সে
তারপর আবারও ঘাসের দিকে চোখ রাখতেই মাথায় ঘুরপাক খেলো এক্সিলেন্ট একটা আইডিয়া
আর সেটা হলো শান্তর রুমের বারান্দা!!
আহানা এক দৌড়ে সূর্যমুখীর বাগানটায় এসে হাজির
শান্তর রুমের বারান্দাটা একটু অদ্ভুত!নিচে দিয়ে ওয়াল,তার উপরে ২বিঘে গ্রিল,তারপর উপরে খোলা ছাদ পর্যন্ত
তো আহানা ওখানে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলো কি করে সে এই গ্রিল টপকে ভিতরে যাবে,যা করার এখনই করতে হবে,এখন বাজে ভোর সাড়ে ৫টা,শান্ত ৮টা ছাড়া জাগবে না যতদূর জানি
এ সময়ের মাঝে আমাকে কাজটা সেরে ফেলতে হবে
আহানা বারান্দার কাছা কাছি এসে গ্রিল ধরে ঝুলে রুমটার ভিতরে তাকালো
শান্ত উপুড় হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে,নির্ঘাত ঘুমাচ্ছে,জেগে থাকার চান্সই নাই এখন
আহানা এবার গ্রিল ধরে বাঁদরের মত ঝুলতে ঝুলতে ৪বার চেষ্টা করলো তাও ভিতরে ঢুকতে পারলো না,তারপর বাসায় এসে একটা মোড়া নিয়ে আবারও সেই জায়গায় উপস্থিত হলো সে
মোড়ায় পা রেখে সুন্দরমত গ্রিল টপকে ভিতরে চলে গেলো আহানা
এখন হয়ে গেলো এক সমস্যা
গ্রিলেগুলো যে প্রান্তে শেষ হয়েছে ঠিক সেই প্রান্তে একটা এ্যারো আকৃতির মশাল বানানো লোহার
আহানার ওড়না সেটাতে গেঁথে গেছে ভালোমতন
আহানা বারান্দায় নেমে সামনে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই ওড়না টান খেয়ে দুম করে নিচে পড়ে গেলো সে
তারপর পিছনে তাকিয়ে দেখলো ওড়না আটকে গেছে
ওড়না অনেক টেনেও খুলতে না পেরে ওড়না ছাড়ায় হাঁটা ধরলো সে
এবার হলো ২য় বিপদ
আর সেটা হলো শান্ত বিছানায় নেই
আল্লাহ গো!!
আমার এখন কি হবে
ওয়াসরুমের আলো জ্বলতেছে তার মানে শান্ত সেখানে
আহানা কি করবে কোথায় যাবে ভেবে না পেয়ে বারান্দার দিকে দৌড় দিলো ফের
.
দাঁড়াও!
.
ইহ রে কেলো করেছে
.
আহানা ঢোক গিলে দাঁড়িয়ে পড়লো আর পিছনে তাকালো না
আল্লাহর নাম নিয়ে এক দৌড় মেরে দিলো
গ্রিলে পা রেখে নিচে লাফ দিতে নিতেই শান্ত দৌড়ে এসে ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে ভিতরে নিয়ে আসলো
.
পালাও কই??আমি তোমাকে এমনি এমনি যাইতে দিব?
.
শান্ত আহানাকে ফ্লোরে বসিয়ে দিলো
আহানা চোরের মতো মুখ করে হাত নিয়ে গ্রিলে আটকে থাকা তার ওড়নাটা ছুটাচ্ছে
শান্ত কোমড়ে হাত দিয়ে আহানাকে দেখে যাচ্ছে
.
এবার বলো এখনও কি ঘুমের ঘোরে আমার বারান্দার গ্রিল টপকে এসেছো নাকি সজ্ঞানে এসেছো?
.
না মানে আমি আসলে
.
চুপ!!তোমার মতো মেয়ে আমি আর দুটো দেখিনি,এত সাহস তোমার কই থেকে আসে?আমার রুম থেকে কি চাই তোমার?সোজা সাপ্টা বলে দিলেই পারো আমিও দিয়ে দিব
এরকম চোরের মতন আসার কি দরকার?
.
আপনি যে মদ খান সেটার সেম্পল একটা দিলেই হবে
.
ওওওওওওও আই সি!!তাহলে এটা হলো কথা!তোমার মদের একটা বোতল লাগবে যেটা নিয়ে মাকে দেখাবে তাই তো?
.
না মানে হ্যাঁ,না না,এমনি দেখবো একটু
.
একটা শর্তে
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here