প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪৩
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা টিভি অফ করে নিজের রুমে ফেরত এসেছে
তারপর বিছানায় দুম করে শুয়ে পড়তেই মাথায় আসলো এখন থেকে তাকে শান্তর সাথে এক ঘরে একই রুমে থাকতে হবে, এই ভেবে আহানা মুখ বাঁকিয়ে আবারও বসে পড়লো
বিয়ে বিয়ে করে সে এটাই ভুলে গেছে যে শান্ত তার শত্রু
এই শত্রুর সাথে কিনা এখন থেকে আমাকে এক সাথে থাকতে হবে?
অবশ্য আমাকে যে টাচ করবে না এটা সিউর,তার পরেও ওর মুখ দেখলেই ঝগড়া এসে আমাকে বলে”আমি কি বাইরে বের হবো?”
প্রতিটা দিন ডিস্টার্ব করবে আমাকে,উফ!কোথায় নিজের রুমে নিজের বাসায় সুখ করবো তা আর হলো না,সারাদিন জ্বালাবে আমাকে! এটা একদমই ভাবিনি,ভেবে কি লাভ হবে,সেদিন তো জোর করে বিয়েটা সেরে নিয়েছিলো,রতন আর সাইমন নাকি আমাকে কিডন্যাপ করবে,কচু করবে
.
আহানা পাশে তাকাতেই দেখলো ফোন জ্বলতেছে,শান্তর ফোন
বিরক্তি নিয়ে আহানা কল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে শান্ত বলে উঠলো”ওকে গাইস আজকে আমি যে গানটা গাইবো সেটা আমার সামওয়ান স্পেশালের জন্য!ইয়েস আই এম মেরিড,এবং এই গানটা আমার ওয়াইফের জন্য”
.
আহানা বুঝলো না শান্তর কথাগুলো, কাকে বলছে,তাও কানে ধরে রাখলো ফোনটা
শান্ত ল্যাপটপটা সেট করে টেবিলে রেখে গিটার নিয়ে বিনব্যাগে বসলো বারান্দাতে
♥
কথা হবে দেখা হবে প্রেমে প্রেমে মেলা হবে
কাছে আসা আসি আর হবেনা,,,
চোখে চোখে কথা হবে ঠোঁটে ঠোঁটে নাড়া দেবে
ভালো বাসা বাসি আর হবেনা,,,,
শত রাত জাগা হবে থালে ভাত জমা রবে
খাওয়া দাওয়া কিছু মজা হবে না,,,
হুট করে ফিরে এসে লুট করে নিয়ে যাবে
এই মন ভেঙ্গে যাবে জানো না,,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,
ভুলভাল ভালোবাসি কান্নায় কাছে আসি
ঘৃনা হয়ে চলে যাই থাকিনা,,,
কথা বলি একা একা সেধে এসে খেয়ে ছেঁকা
কেনো গাল দাও আবার বুঝিনা,,,,
খুব কালো কোন কোনে গান শোনাবো গোপনে
দেখো যেনো আর কেও শোনেনা,,,,
গান গেয়ে চলে যাবো বদনাম হয়ে যাবো
সুনাম তোমার হবে হোকনা,,,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,,,
যদি তুমি ভালোবাসো ভালো করে ভেবে এসো
খেলে ধরা কোনো খানে রবে না,,,,
আমি ছুঁয়ে দিলে পরে অকালেই যাবে ঝরে
গলে যাবে যে বরফ গলে না,,,,,
আমি গলা বেঁচে খাবো কানের আসে পাশে রব
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কথা হবে না,,,
কারো একদিন হবো কারো একরাত হবো
এর বেশি কারো রুচি হবে না,,,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,,,
.
আহানা মুগ্ধ হয়ে শান্তর গাওয়া গানটা শুনলো,এত ভালো লাগলো বলে বুঝানো যাবে না,যেন গানটা তার জন্যই
.
শান্ত লাইভ শো অফ করে পাশ থেকে ফোনটা নিয়ে কানে ধরে বললো”কি ম্যাডাম??শুনেছেন?কেমন লাগলো,ফিডব্যাক দিলেন না”
.
ভালো হয়েছে
.
শুধু ভালো?
.
আয় এই খুশিতে তোরে আবার বিয়ে করি
.
শান্ত হেসে ফেললো,গিটারটা রাখতে রাখতে বললো”চলো আবার বিয়ে করি,ভালোই লাগে এতবার বিয়ে করতে”
.
শুধু কি বিয়ে করতে করতেই বুড়ো হবো?জীবনে আর কিছু নাই?
.
আছে তো,ঐ যে বছরে বছরে বাচ্চা হলে রামিমকে কল করে জানাবা,সেটা আছে
.
আহানা ফিক করে হেসে দিলো,শান্ত এত হাসায় ওকে বলার বাইরে,চাইলেও মন খারাপ করে থাকতে পারে না সে
.
শুনো
.
কি?
.
বৌভাতে গোলাপি শাড়ী পরিও,গোলাপিতে তোমাকে বউ বউ লাগে
.
আমি তো বউই,আবার বউ বউ লাগার কি আছে?
.
আরে এত কথা না বলে যেটা বলছি সেটা করবা,আমি সবাইকে দাওয়াত দেওয়ায় বিজি থাকবো তাই এখন একটু ফ্রি বলে তোমাকে কল করলাম আর একটা লাইভ শো ও করে নিলাম
.
ভালো
.
তোমার কি হয়েছে বলোতো?
.
কি আর হবে?যার সাথে বিয়ে দুবার করে সেই বিয়ে বাঁচানোর জন্য এতদিন এত কষ্ট করলাম এখন মাথায় আসলো সেই লোকটা আমার জন্মের শত্রু
.
সেটা আমারও মনে আছে,তোমার মতন ধানিলঙ্কাকে বিয়ে করেছি প্রতি দিন এর শোধ আমাকে দিতে হবে
.
কাকে দেবেন?
.
আমাকে,আর কাকে?,আমি আমাকে শোধ দিব,আহারে শান্ত তোর জীবন যৌবন সব শেষ করে দিলি এই মেয়ের জন্য,আহারে আহারে
.
আহানা রেগে লাইনই কেটে দিলো,অসভ্য একটা,কখনও মুখ ফুটে আমার ভালো বলবে না খালি দোষ খুঁজতে দাও সেটা পারবে,আমাকে এখন থেকে এর জ্বালানো ভোগ করার অভ্যাস তৈরি করে ফেলতে হবে
.
আহানা আলমারির কাছে গিয়ে একটা গোলাপি শাড়ী নিলো,রিয়াজের আম্মু দিয়েছিলো এটা সেই শাড়ী
আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখতে লাগলো সে
সত্যি তো!আমাকে তো জোস লাগতেছে
এই ছেলেটার টেস্ট তো অনেক ভালো,অবশ্য আমার টেস্ট ও খারাপ না,উনি তো কম সুন্দর না বরং আমার চেয়েও সুন্দর,একদিন জিগাবো মুখে কি মাখে,আমার মুখে ২/১ব্রন উঠলেও উনার মুখে একটা গোটাও দেখলাম না,কিছু মাখলে তো সাইড এফেক্ট হিসেবে ব্রন উঠার কথা,তাহলে ব্যাপারটা কি?
নিশ্চয় বয়েজ পার্লারে যায়,সময় করে সব জেনে নিব একদিন
.
আহানা বিছানাটা ভালো করে গুছিয়ে নিচে গেলো ডিনার করার জন্য,মা কিসব প্যাকেট রেডি করতে করতে বললেন”আহানা আজ ডিনার তৈরি করিনি,আলু দুটো ভেজে খেয়ে নে,আমাদের অনেক কাজ,আমরা কাজ শেষ হলে রুটি বানিয়ে ডিম ভেজে খাবো”
.
আহানা তাই সোজা গেলো আলু নিতে রান্নাঘরে,রান্নাঘরের জানালায় শব্দ করে একটা কঙ্কর এসে পড়লো
আহানা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলো তারপর জানালার কাছে গিয়ে এদিক ওদিক তাকালো,অন্ধকারে দেখা যায় না কিছু,তারপর জানালা আটকাতে যেতেই তার চোখ পড়লো বাউন্ডারির ওপাশে শান্ত দাঁড়িয়ে হাত নাড়াচ্ছে
আহানা প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না,পরে চোখ ডলে আবারও তাকিয়ে শান্তকেই দেখলো,তড়িগড়ি করে সে রান্নাঘরের থেকে বেরিয়ে বাসার বাইরে চলে গেলো,গেট খুলতেই শান্ত কোমড়ে হাত দিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বললো”তোমাকে কতবার কল করেছি?ফোন নিজের কাছে রাখতে পারো না সবসময়?”
.
কি জন্য কল করেছেন?আর গেটে এসে কলিংবেল চাপ দিলেই হতো!
.
আরে দিসি আমি,মেবি নষ্ট
.
ওহ,কি কারণে এসেছেন বলেন সেটা
.
আমি আসলে একটা গিফট কিনবো তোমার আম্মু আর তোমার খালার জন্যে,আর গিফট চয়েস করতে একটু ঢিলা আমি
তুমি চয়েস করে দিও,মাকে তো আর যেখানে সেখানে নেওয়া যায় না,জানোই তো হুইলচেয়ারে বসে থাকে সারাদিন
.
পারবো না,আমি এমনিতেও খিধায় মরে যাচ্ছি,হেঁটে হেঁটে শপিং করার শক্তি নাই আমার
.
আচ্ছা তাহলে তোমাকে খাওয়াবো,তাহলে চলবা তো?
.
হুমম,ভাবতে দিন
.
কষিয়ে একটা চড় মেরে ভাব ছুটিয়ে দিব,কাকে ভাব দেখাও,তুমি জানো তোমার চুল আর কান টেনে তোমাকে আমি নিয়ে যেতে পারি?সময় নষ্ট করবা না একদম,চলো আমার সাথে
.
শান্ত আহানার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে,আহানা বললো “মাকেও তো বলে যেতে হবে তা না হলে টেনসন করবেন উনি”
.
আরে সেটা কল করে জানিয়ে দিব,এত কিছুর সময় নেই,চলো এখন
.
গাড়ীতে বসে আহানা পেটে হাত দিয়ে বললো”আমি ঝালমুড়ি খাবো,তারপর চটপটি,তারপর ফুচকা,সবার শেষে আইস্ক্রিম,ব্যস বেশি কিছু খাবো না,রাতে বেশি খেতে পারি না আমি”
.
এটা কম নাকি?
.
খাওয়ার খোঁটা দিলেন?ঠিক আছে খাবো না আমি
.
খোঁটা কই দিলাম,তোমাকে ফুচকার দোকান কিনে দিতে পারি আমি,খোঁটা কেন দিব,এসব কোথায় পাওয়া যাবে?
.
এহহহ,ঢং দেখলে বাঁচি না,জানেন না এগুলা কোথায় থাকে?আমার মাথায় থাকে
সব খানেই পাবেন, দেখলেই গাড়ী থামাবেন
.
শুনো আহানা,কাল বাদে পরশু আমাদের বৌভাত,উল্টাপাল্টা কিছু খেয়ে অনুষ্ঠানটা মাটি করো না
.
এগুলা খাওয়ার অভ্যাস আছে আমার,আমাকে খাওয়াতে চান না সেটা বলেন
.
আমি তোমাকে নিয়ে একটা ভালো রেস্টুরেন্টে যাচ্ছি,সেখানে যা ইচ্ছা খাবা,ওকে?
.
না ওকে না,আমি এসবই খাবো
.
ঠিক আছে,চুপ থাকো,এত চেঁচাতে হবে না
.
রোডের পাশে ফুচকাআলা দেখতে পেয়ে শান্ত কার থামিয়েছে
আহানা ফুচকা নিয়ে গপাগপ খেয়ে যাচ্ছে
শান্ত পাশেই একটা টুলে বসে আহানার মাকে কল করে জানিয়েছে সে আহানাকে নিয়ে শপিংয়ে এসেছে
আহানা একটা ফুচকা সাধলো শান্তকে,শান্ত ফুচকার সাথে দেওয়া সালাদ মুখে দিয়ে চিবাচ্ছে,আহানা তাই মুখ বাঁকিয়ে খালি ফুচকাটা খেয়ে নিলো
শান্ত পুরো তার উল্টো
যাই হোক সব খাবার এক এক করে আহানা খেয়ে পেট পুরিয়ে এখন শান্তর বাম হাত ধরে ঝুলে ঝুলে হেলেদুলে শপিংমলে হাঁটতেছে,তার হাত পা চলতেছে না
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সাথে সাথে আহানার ঘুম চলে আসে চোখে,তখন তার পক্ষে হাঁটা হাঁটি একদম সম্ভব হয় না
আশেপাশের মানুষ আহানাকে এমন করে হাঁটতে দেখে চেয়ে রয়েছে এক দৃষ্টিতে
শান্ত বললো”আসলে আমার ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট তো তাই এমন করে হাঁটতেছে”
.
কথাটা শুনো আহানার চোখের ঘুম বাপের বাড়ি চলে গেলো
খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে সে চোখ বড়বড় করে তাকালো শান্তর দিকে,তারপর সোজা হাঁটা শুরু করলো,শান্ত ইচ্ছা করে এটা বলেছে যাতে আমি উনার গায়ে ভর দিয়ে না হাঁটি,স্টুপিড!
মায়ের জন্য একটা শাড়ী আর খালার জন্য একটা শাড়ী কেনা হলো তো বটে তবে আপাতত আহানা এখন পা গুটিয়ে কারের ফ্রন্ট সিটে ঘুমিয়ে গেছে, জানালায় হেলান দিয়ে
শান্ত ওদের বাসার কাছে এসে দেখলো আহানা এখনও ঘুমে
ফিল্মের নায়কদের মতন কোলে নিয়ে হাঁটার মতন ছেলে শান্ত না,এ তো আমার মহা শত্রু,এরে তো শত্রুতামি করেই উঠাবো
শান্ত দাঁত কেলিয়ে আহানার কাছে মুখ নিয়ে ওর কানে কানে বললো”কিরে আহানা যাবি নাকি আমার লগে?”
.
আহানা হকচকিয়ে চোখ খুলে এদিক ওদিক তাকালো,মনে হচ্ছে রতনের কন্ঠর মতন লাগলো,ঘেমেও গেছে আহানা,ওড়না দিয়ে সারামুখ মুছে শান্তর দিকে চেয়ে বললো”রররররততততন,এসেছিলো?”
.
না তো!তবে মনে হয় শান্ত এসেছিলো
.
আহানা এবার পুরো ব্যাপারটা বুঝলো,দাঁতে দাঁত চেপে শান্তকে বকতে বকতে কার থেকে নেমে প্যাকেট গুলো হাতে নিয়ে বাসার ভেতর চলে গেলো সে
.
আমার ঘুমের ১২টা বাজাতে মনে হয় ডিগ্রি পাস করে রেখেছেন উনি,কখনও হাত ধরে টেনে তুলে তো কখনও আমার পাগল প্রেমিকদের কণ্ঠ শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গায়,না জানি উনাদের বাসায় থাকতে গেলে আর কি কি করবে
খোদা!!!!
.
কিরে আহানা এলি??কি কিনলি দেখি
.
আমি কিনি নাই,শান্ত ভাইয়া কিনেছে,তোমার আর খালার জন্য শাড়ী
.
শান্ত ভাইয়া কি আবার?তোর স্বামী হয়
.
ওহ তাই তো!
.
আহানা মাথা চুলকাতে চুলকাতে উপরের রুমে চলে গেলো সিঁড়ি বেয়ে
খালা এসে খিলখিল করে হাসতে হাসতে বললেন”এই মেয়ে এসব কি বলে?জামাই বাবাজি ভাইয়া ডাক শুনলে কিন্তু রাগ করবে অনেক”
.
আরে তুমি জানো না,এই মেয়ে শান্তকে প্রচুর জ্বালায়,আমার তো বিশ্বাস হয় না শান্ত ওকে কেন বিয়ে করেছে,এরে আমি এতবছর ধরে সামলিয়েছি এবার শান্ত সামলাবে
.
ছেলেটা আহানাকে পছন্দ করে তা নাহলে এরকম স্বভাব জেনেও বিয়ে করে নিতো না
.
সেটা আর বলতে,ওরা দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতেই পারে না শুধু বাহির থেকে দেখে বোঝা যায় না এই আর কি
ছোটবেলায় ও এরকম ঝগড়া করত,আমি তো ভেবেছিলাম বড় হয়ে সব ভুলে গেছে,তবে এখন দেখি সব মনে আছে,বরং আরও বৃদ্ধি পেয়েছে
.
হুমমম,ঝগড়া এরকম থাকাই ভালো,ভালোবাসা বাড়ে
আবার পানসে পানসে সম্পর্ক ভালো লাগে না আমার,এরকম ঝগড়ার ভিতরে ভলোবাসা লুকানো থাকে বুঝলে
.
হুম
♣
আহানা বারান্দার পর্দা টেনে বিছানা ঘুমাতে গিয়ে টের পেলো তার প্রচণ্ড পেট ব্যাথা শুরু হয়েছে
পেটে হাত দিয়ে বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতেছে সে
শান্ত বার বার মানা করেছিলো একসাথে সবকিছু না খেতে,আমি শুনলাম না,এখন মনে হচ্ছে উনি ঠিক ছিলেন
মাঝখান দিয়ে আমি বেশি খেয়ে ফেললাম,এখন এই খবর কিছুতেই মাকে জানানো যাবে না,মা সোজা উনাকে জানাবেন তারপর উনি হাসবেন আমাকে নিয়ে হুহ!
.
শান্ত ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে সূর্যমুখীর বাগানটার দিকে তাকিয়ে আছে,আহানাকে মনে পড়তেছে বারবার,অথচ ঘণ্টা খানেক আগেই আমি ওর সাথে ছিলাম
এত মিস করতেছি কেন?কান জ্বালাফালা করে রাখে সারাদিন তার পরেও ওকে ভাল্লাগে,ওকে কেন ভাল্লাগে তার কারণ আমার কাছে নেই,তবে ভাল্লাগে
মোটকথা এই ধানিলঙ্কাকে নিয়ে আমি সারাজীবন কাটাতে পারবো,আমাকে যে ছেড়ে যাবে না সেটা ১০১% নিশ্চিত
ঝগড়া করেই যাবে তাও ছাড়বে না
কিছু কিছু মানুষকে ভালো লাগতে আসলেই কারণ প্রয়োজন হয় না,তার এত এত গুনের মাঝে আমার কাছে তার ঝগড়াটাই ভালো লাগে,এই ঝগড়াটা না করলে আসলেই চিনতাম না এটা সেই আহানা যে ছোটবেলায় হাতের কাছে যা পেতো তা আমার মুখে মাখিয়ে দিতো,আফসোস আমাদের গায়ে হলুদ হলো না,গায়ে হলুদটা হলে ওর গালে ইচ্ছামত হলুদ মাখাতাম আমি,সব শোধ তুলতাম
ছোটবেলায় অনেক জ্বালিয়েছে,এবার আমার পালা মিসেস শাহরিয়ার আহানা!!
কি করবা তুমি??তোমাকে ২৪ঘন্টা জ্বালাবো
তোমার কল্পনার বাহিরে থাকবে সব,তুমি কি ভাবো তুমি পারো ঝগড়া করতে আর জ্বালাতে?
এবার শান্ত তোমাকে দেখাবে ঝগড়া আর জ্বালানো বিস্তারিত
বৌভাতের রাতে আমার সাথেই তো ঘুমাবা তাই না??
তোমার শোয়ার জায়গাটায় আমি চুলকানির পাউডার ফেলবো,ঘুমানো দেখিও দিব সেদিন
♣
আহানা ঘুমানোর আগে ভাবলো সে বৌভাতের দিন রাতে কি করবে
“আমি সেদিন উনার বালিশের তলায় চিনি ফেলবো ভালো করে,এত পিপড়া আসবে শান্তিতে ঘুমাতেই পারবেন না উনি
হাহাহা,আমার সাথে ঘুমানো দেখিয়ে দিব”
চলবে♥