প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৪৭

0
794

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪৭
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আজকে একটু ছুঁয়ে দেখো আমাকে!!!তোমার হাড্ডি একটাও আস্ত রাখবো না
ভালোই ভালোই উনাকে সেই সন্ধ্যা থেকে ডিনারের সময় পর্যন্ত আগলে রেখেছিলাম আর উনি এখন এসে বলে আমার দাঁড়িতে সমস্যা
.
কথাগুলো উপেক্ষা করে আহানা শুয়ে পড়েছে আরেকদিকে ফিরে
শান্ত ওকে শুতে দেখে এবার নিজেও এসে পাশে শুয়ে পড়লো
রাত তখন মনে হয় ১টা কি ২টা বাজে
আহানা নিজের কোমড়ে কারোর হাতের স্পর্শ পেয়ে লাফ দিয়ে উঠে পড়লো,পাশে শান্ত ছাড়া আর কেউ নাই,তার মানে এটা ওরই কাজ
এই স্টুপিড, উঠুন বলছি,বেয়াদবি করার জায়গা পান না,আপনার সাহস হলো কি করে আমাকে ছোঁয়ার
.
শান্ত চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসে বললো”কি সমস্যা? ভূতে টূতে ধরসে নাকি?এমন চেঁচাও কেন?”
.
আপনি আমার কোমড়ে হাত দিলেন কেন,লজ্জা শরমের মাথা খাইছেন?
.
ওহ আচ্ছা আমি?কি জানি,ঘুমের ঘোরে ভুলে হাত চলে গেছে হয়ত!!সরি
সরি বলে শান্ত আবারও শুয়ে পড়লো
এদিকে আহানার সারা শরীরে কাঁটার মতন সব কিছু বিধতেছে,একেবারে কোমড়েই হাত দিলো,কি বেয়াদবি একটা ব্যাপার স্যাপার,এখন তো একসাথে শুইতেও ভয় করছে আমার,কি করবো এখন
আহানা আঁচল দিয়ে পেটটা ভালো করে ঢেকে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আরেকটু দূরে গিয়ে শুয়ে পড়েলো এবার
রাত এবার ২টার শেষ প্রান্তে,আহানা তার কানের কাছে কারোর গরম শ্বাস নিশ্বাস টের পাচ্ছে
সে মুখটা ঘুরিয়ে দেখলো শান্ত চোখ বন্ধ করে মুখটা ওর ঘাড়ের সাথে লাগিয়ে ধরে নিশ্চিতভাবে গভীর ঘুমে আছে
.
আহানা নড়তে যেতেই শান্ত আবারও হাতটা ওর কোমড়ে রেখে ঘুমের ঘোরে বললো”আহানা বাচ্চাদের মতো ছোটাছুটি করিও না,তুমি না আবার দুবার বিয়ে করা বউ?”
.
আমার কথা আমাকেই ফেরত দিচ্ছে,মাঝরাতে এভাবে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে!!তা হতে দিব না আমি
ছাড়ুন!!!
.
আহানা উঠে আবারও বসে গেলো
শান্ত হাতটা দুম করে আহানার শোয়ার সাইডে ফেললো,তার ঘুম ভাঙ্গেনি এখনও
আহানার মন চাচ্ছে শান্তকে ধরে এক ধাক্কা দিয়ে খাট থেকে ফেলতে,ঘুমের ঘোরে না জানি আর কি কি করে ফেলতো,আমার আজকের রাতের ঘুমের একদম ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে এই লোকটা,একবার কোমড়ে হাত তো একবার ঘাড়ে মুখ এনে রাখে,এত এত ঝগড়া করতো এতকাল ধরে আমি তো এর চরিত্রের কথা ভুলেই গেছিলাম,সেই শুরুতেই কিস করতে চেয়েছিলো
এই!এই!!
.
শান্ত প্রচণ্ডরকম বিরক্তি নিয়ে উঠে বসলো,,নাক আর চোখদুটো লাল হয়ে আছে,দাঁতে দাঁত চেপে সে বললো”কি হইছে?”
.
আহানা গাল ফুলিয়ে বললো”আপনি একবার আমার কোমড়ে হাত দেন তো ঘাড়ের কাছে মুখ রাখেন,এসব কোন ধরনের বেয়াদবি?”
.
শান্ত একটু এগিয়ে গেলো আহানার দিকে,আহানার মনে হইছে তাকে কেউ খুন করতে আসতেছে,সাথে সাথে সে দেয়ালের সাথে লেগে গেলো
শান্ত দেয়ালে ওর একটা হাত রাখলো আহানার পাশ দিয়ে নিয়ে তারপর বললো”আর কিছু তো করিনি তাই না?
ঘুমের ঘোরে মানুষ আরও অনেক কিছু করে ফেলে,যেমন ধরো না তুমি একদিন ঘুমের ঘোরে আমার রুম পর্যন্ত চলে এসেছিলা ঠিক তেমন,আর আমি তো জাস্ট!! ”
কথাটা শান্ত আহানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বললো
.
আহানা গায়ে কাঁথা টেনে তোতলাতে তোতলাতে বললো”সরুন এখান থেকে,ডিস্টেন্স রেখে ঘুমান,এমন করে টাচ করবেন না আমাকে,আমার ঘুম হয় না
.
কাঁথাকে লম্বা করে বালিশ বানিয়ে মাঝখানে রাখো,তাহলেই হয়
.
এই শীতে আমি কাঁথা ছাড়া থাকবো?
.
তো আমি কি করবো তুমি বলে দাও,এত চিকন একটা বেডে আমরা দুজন শুবো,একজন আরেকজনের সাথে লাগতেই পারে ঘুমের ঘোরে সেটাতে তোমার যখন সমস্যা তো তুমি বর্ডার তৈরি করে ঘুমাও আর আমাকেও ঘুমাতে দাও
.
আহানা কি আর করবে কাঁথা দিয়ে বালিশের মতন করে বানিয়ে মাঝখানে রেখে শুয়ে পড়লো ওপাশে,গায়ে সোয়েটার আছে তাও সারা শরীর শীতে কাঁপতেছে,শেষরাতে আর থাকতে না পেরে আহানা কাঁথাটা মাঝখানে থেকে সরিয়ে নিয়ে গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়লো
পরেরদিন সকাল সকাল শান্ত উঠে পড়েছে,সাজেকের সকাল দেখবে বলে,আহানাকে জাগাতে চায়নি কারণ কাল সারারাত যে ওর ঠিকমত ঘুম হয়নি তা জানা আছে তাই ওকে আর জাগালো না শান্ত,নিজে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে কটা হুডি পরে বেরিয়ে গেলো মর্নিং ওয়াকে
আহানা তার চলে যাওয়ার ১ঘন্টা বাদেই জেগে গিয়েছে তাও রিমুর ডাকাডাকিতে,তখন মনে হয় সকাল ৭টা বাজে
আহানা গলা ব্যাথা আর মাথা ধরার জন্য কথা বলতে পারছে না,গায়ে হাত দিয়ে বুঝলো তার জ্বর এসেছে,এই শান্তর জন্য এমনটা হলো,বেয়াদব,আমাকে এত কষ্ট দিচ্ছে!!
আহানা উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হলো,সবার আগে দাদির সামনে পড়তেই সে মিষ্টি হাসি দিলো
কিন্তু দাদি হাসলেন না!!!ফ্যাকাসে মুখে বললেন”নতুন বউরা সকাল সকাল তৈরি হয়ে রুম থেকে বের হয়,তুমি দেখি কালকের শাড়ীটা এখনও পরে আছো,গোসল করো নাই নাকি?রিমুকে দিয়ে আমি তোমাদের বাথরুমে গরম পানি পাঠিয়েছি,যাও গোসল করে নতুন পোশাক পরে বের হও
.
আহানাও মাথা নাড়িয়ে আবারও রুমে ফেরত যাচ্ছে,এদিক ওদিক তাকিয়ে কোথাও শান্তকে দেখলো না সে,গোসল করতে গিয়ে দেখলো পানিও ঠাণ্ডা হয়ে গেছে,তাও গোসলটা সেরে নিয়ে একটা বেগুনি রঙের সুতির শাড়ী পরে সে রেডি হয়ে নিলো,ভেজা চুল গায়ে লাগতেই শীত মনে হয় ঘাড় চেপে ধরেছে
কাঁপতে কাঁপতে আহানা হাঁটতেছে রুম থেকে বেরিয়ে
সোফার রুমের দিকে যাচ্ছিলো সে,হঠাৎ শাড়ীর সাথে লেগে পড়ে যেতে নিতেই শান্ত ধরে ফেললো ওকে
আহানা ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো আবার
.
এই মেয়েটা এত ভোরে গোসল করলো কেন,এমন ভাব করছে যেন সিরিয়াসলি সে আমার সাথে একটা সম্পর্কে আছে
গোসল করলো কেন সেটা বুঝলাম না,জ্বর বাঁধিয়ে ছাড়বে,তারপর আম্মু আমার মাথা খাবে
.
আহানা গিয়ে সোফায় বসে আছে,ওর পাশে রিমু বসে ফোনে গেমস খেলছে
ফুফু মুড়ি আর মুড়কি এনে বললেন”তা ঘুম হলো তো নতুন জায়গায়?”
.
আহানা বললো”হুম”
.
শান্ত ও এসে গেছে ততক্ষণে
.
ফুফু ব্রু কুঁচকে বললেন”তোমার শরীর খারাপ নাকি?কথা ওমন শোনাচ্ছে কেন?এত ভোরে আবার গোসলই বা করলে কেন?”
.
ফুফু একটু কথা শুনাও তো,ওকে কে বলেছে এত ভোরে গোসল করতে?জ্বর হলে তখন কি হবে?
.
জ্বর হলে কি??হয়ে গেছে অলরেডি,কপাল ছুঁয়ে দেখ
.
শান্ত চোখ রাঙিয়ে বললো”এবার খুশি তো তুমি?”
.
দাদি এসে কঠিন গলায় বললেন”নতুন বউ বাসি কাপড়ে থাকা শোভা পায় না বলেই তো আমি ওকে জোর করে গোসল করতে বললাম, এই টুকু জানো না নিলু?
.
ফুফু মাথা নিচু করে বললেন”আসলে শহুরে মেয়ে তো,জায়গা বদলালে সেখানকার পানির সাথে মিশতে সময় লাগে,এই সিজনে জ্বর হলে তো সমস্যা তাই বললাম
.
ওসব সেরে যাবে,এরকম একটু আধটু জ্বর হলে কিছু হয় না,তোমরা নাস্তা করো তো
.
মুড়ি মুড়কি খাওয়া শেষে ফুফু বললো ৮টায় নাস্তা দেবে,ততক্ষণ গিয়ে রুমে বসতে
আহানা উঠে সেদিকে ছুটতেই শান্ত ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো
.
কি?
.
যখন তোমার জ্বর তখন গোসল করলে কেন?
.
জ্বরের ভয় বেশি নাকি দাদির ভয় বেশি?আর একটু জ্বরে কিছু হয় না,চলুন না একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি
.
ধরো
.
এটা কি?
.
হুহ,আমি তো নাকি তোমার কেয়ার করি না,ভোর ৬টায় উঠে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ গিয়ে একটা লোককে দেখলাম তার বাসা থেকে বের হচ্ছে হাতে নিয়ে ১২/১৩টা চাদর,ব্যস কিনে নিলাম একটা তোমার জন্য
.
বাহ!
.
আহানা খুশি হয়ে চাদরটা গায়ে মুড়িয়ে নিলো
শান্ত ভ্রু কুঁচকে হাত দিয়ে ওর কপালটা চেক করে মুখটা কালো করে হাঁটা ধরলো,আহানা ওর পিছু পিছু আসতেছে
মাটির একটা পথ,দুপাশে বন,তারা একটা পাহাড়ের ওপর দিয়ে হাঁটতেছে,মূলত ফুফুদের বাসাটাই ওখানে
কুয়াশা আর কুয়াশা,ঠাণ্ডা পরিবেশ
আহানা এদিক ওদিক দেখতে দেখতে হেঁটে চলেছে,অনেকটা পথ হাঁটতে হাঁটতে তারা তাদের কারের দেখা পেলো যেটা পার্ক করে রাখা
শান্ত তার কারের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোন বের করে ছবি তুলছে এখন
আহানাও এসে পাশে দাঁড়ালো,চাদরটা আনাতে আহানা শান্তর প্রতি কিছুটা হলেও খুশি হয়েছে,মনে মনে ভালো লাগা কাজ করছে
শান্ত ছবি তুলতে তুলতে বললো”এভাবে কি দেখো?প্রেমে টেমে পড়লা নাকি?”
.
আহানা সাথে সাথে মুখটা আরেকদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে বললো”কিসের প্রেম?আমার প্রেম নেওয়ার মতন ক্ষমতা আছে আপনার?”
.
বুঝলাম না
.
আমি প্রেমে পড়লে সেই মানুষটাকেও প্রেমে ফেলবো,তারপর সে পারবে তো নেশা থেকে বেরোতে?
.
শান্তকে চ্যালেঞ্জ করছো?
.
কিসের চ্যালেঞ্জ! আমি তো আপনার প্রেমেই পড়লাম না,আপনি প্রেম থেকে তো দূরেই
.
শান্ত হঠাৎ ফোনটা পকেটে পুরে আহানার কোমড়ে হাত দিয়ে ওকে কাছে টেনে নিয়ে আসলো
আহানা এতক্ষণ ডায়ালগ মারতে মারতে হুট করে এমন একটা সিচুয়েশনে চলে আসবে ঠিক ভাবেনি সে
শান্তর দিকে না তাকিয়ে ডানে বামে তাকালো সে,দূর দূরান্তেও কেউ নেই,শুধু সে আর শান্ত আর তাদের সাদা কারটা
সাথে কিছু কুয়াশা ভাসমান অবস্থায় দোদুল্যমান!
.
তুমি না হয় আমাকে প্রেমের নেশায় ফেলবে কিন্তু আমার প্রেমে পড়লে তো তুমি মরেই যাবে
অবশ্য অলরেডি প্রেমে পড়েই গেছো তা নাহলে বিয়ের চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা শুনে কাউকে কিছু না বলে রিয়াজের বিয়ের থেকে একা বাড়ি চলে আসাকে আমি কি ধরে নিতাম?
.
আহানা হালকা কেশে শান্তকে হাত দিয়ে আলতো করে সরাতে সরাতে বললো”ওটা কিছু না,এমনি মন খারাপ ছিলো বলেই”
.
বলেই??চলে এলে?আবার বললে কেন আমি বললাম চুক্তিটা শেষ হলে তুমি মুক্ত,এটা বলে খোঁচাও তো মেরেছিলা,২য় বার বিয়ে কি এমনি এমনি করেছিলাম আমি?
.
শান্তর মুখে সব সত্য শুনে এই ঠাণ্ডার মাঝেও আহানার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে
শান্ত মুচকি হেসে আহানার কোমড় থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে কারের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো আবার
আহানা লজ্জা পেয়ে আরেকদিকে ফিরে হাঁটা ধরলো,কিছুদূর গিয়ে থেমে গেলো সে,তারপর মাথা তুলে দূরের একটা পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে রইলো,সত্যি কি সে সেদিন শান্তর প্রেমে পড়েই ওকে ২য় বার বিয়ে করেছিলো?
.
এই মেয়ে শুনো!
.
আহানা পিছন ফিরে তাকালো
.
এত শীতের মধ্যে আর বাইরে থাকতে হবে না,চলো এখন
.
আহানাও বাধ্য মেয়ের মতন শান্তর সাথে বাড়িতে ফিরে গেলো,টেবিলে নাস্তা দিচ্ছে ফুফু আর ফুফুর জা রা মিলে
আহানা এক কোণায় গিয়ে বসলো,কারণ সবার সাথে কাজে হাত লাগাতে চেয়েছিলো কিন্তু ফুফু দেয়নি
ফুফু শান্তকে বললো আহানার শরীর ভালো হলে ওকে নিয়ে ঘুরে আসতে,বাসায় থাকতে হয়ত বোরিং লাগবে
শান্ত রুটি মুখে দিয়ে বললো”না আজ আর ও বের হবে না,জ্বর বাধিয়ে নিয়েছে এখন আর বের হতে হবে না,পরে অসুখ আরও বাড়বে”
.
সেটা ঠিক বলেছিস
.
আহানা নাস্তা করে এসে আবারও শুয়ে পড়েছে,শরীর খারাপ লাগতেছে,সবার মাঝে বসে থাকলে ১০০টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে,ওদিকে শান্ত ফুফুর কাছ থেকে ঔষুধ নিতে গেছে আহানার জন্য
আহানা মায়ের সাথে কথা বলে নিলো,মনটা এখন একটু হালকা লাগছে এখন,শরীর খারাপের কথা আহানা জানালো না মাকে
আবার শুতে নিতেই দেখলো শান্ত দাঁড়িয়ে আছে,হাতে এক কাপ চা,ধোঁয়া ওঠা গরম
শান্ত চায়ের কাপটা ওকে এগিয়ে দিলো তারপর ওর পাশে বসে ওর কপালে হাত দিয়ে জ্বর চেক করে নিলো
আহানা তো রীতিমত শক,চোখ ইয়া বড় করে সে শান্তর কাজে অবাক হচ্ছে বারবার
.
ওমন করে কি দেখো তুমি?
.
এত কেয়ার করতেছেন তো তাই
.
তোমার শরীর খারাপ আর আমি খেয়াল না রাখলে ফুফু আম্মুকে জানিয়ে দিবে তারপর আম্মু আমার সাথে রাগ করে থাকবে
.
আন্টি ভয়ে এত কেয়ার করছেন?
.
হুম তাই নয়ত কি!
.
ওহ
.
শান্ত উঠে চলে গেলো আবার
আহানা চা শেষ করে বিছানা থেকে নেমে রুমটার পিছনের দরজাটা খুলে বাইরে বের হলো,সূর্য এখন মাথার উপরে,তাও শীত শীত আমেজ আছে,দূরে ফুফুকে দেখা যায়,উনি বড় একটা মাছ কাটতেসেন
আহানা সেদিকে না গিয়ে উল্টো দিকে গেলো,একা একা হাঁটতে মোটামুটি লাগছে,মাটিগুলো হলুদ হলুদ
আহানা কিছুদূর গিয়ে একটা দোলনা দেখতে পেলো
মেহগনি গাছ দুটোর মাঝ বরাবর লাগানো,সম্ভবত কোনো বাচ্চার জন্য বানানো,তবে কম ওজনের বড় রাও বসতে পারবে
আহানা এই সুযোগ হাত ছাড়া করলো না,গিয়ে দোলনাটায় বসে পড়লো,নিজে নিজে ঢুলতে লাগলো সে,ভালোই লাগছে,কিছু সময়ের জন্য শরীরটা ফুরফুরে লাগতেছে
.
শান্ত ঊষার সাথে কথা বলা শেষ করে ফোন পকেটে রাখতে রাখতে দক্ষিণ দিকে তাকাতেই আহানাকে দেখলো
আহানা বাচ্চাদের মতন একটা দোলনায় দোল খাচ্ছে
শান্তর মনে পড়ে গেলো ছোটবেলার কথা,তাদের বাসার বাগানটায় একটা দোলনা বানিয়ে ছিলো শান্ত আর আহানা মিলে
তারপর সারাদিন সেটাতে দুজন মিলে দুলতো
কতবার পড়ে হাত পা কেটেছে দুজনে,,একদিন তো উড়ে গিয়ে বন পরিষ্কার করার মেশিনের উপর পড়ছিলো আহানা,হাত পুরো জখম হয়ে গেসিলো তার
আহানার হাতে হয়ত দাগটা এখনও আছে,শান্ত কাছে এসে আহানার হাত ধরে ওকে দোলনা থেকে নামিয়ে নিলো
.
কি সমস্যা!
.
দেখি তোমার হাত
.
শান্ত আহানার হাত উল্টো করতেই দেখলো ছোটবেলার সেই দাগটা আছে এখনও,তবে তার পাশে আরেকটা দাগ
শান্ত কপাল কুঁচকে বললো”এটা আবার কিসের দাগ,কবে হলো?”
.
আহানা হাতটা সরিয়ে নিয়ে বললো”আপনার কি?”
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here