😏 # মেঘের_আড়ালে_রৌদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒
#Part_03 🦆হাঁস- মুরগী🐥
উজানের ডাকাডাকির এক পর্যায়ে হিয়া বেড়িয়ে এসে ওর চোখ মুছে উজান কে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে ধরলে উজান হিয়ার হাত টা ঘপ করে ধরে নেয়
🍁উজানঃ I am Sorry
🍁হিয়াঃ It’s okay____এতে আপনার কোনো ভুল ছিল না আমি যেই পানি টা আপনার গায়ে ছিটিয়েছি সেই জগের পানি টাও গরম থাকতে পারতো
🍁উজানঃ ওসব ছাড়ো তোমাকে ইমিডিয়েটলি এখন ডক্টর দেখাতে হবে,আসো আমার সাথে
🍁হিয়াঃ তার প্রয়োজন নেই আমি ঠিক আছি
🍁উজানঃ প্রয়োজন আছে কি না সেটা ডক্টর বুঝবে তুমি না
🍁হিয়াঃ ডক্টর বুঝলে হবে না আমার টা আমাকে বুঝতে হবে____আমার হাত টা প্লিজ ছাড়ুন এখন
🍁উজানঃ ছাড়বো না
🍁হিয়াঃ দেখুন কেউ ওয়াশরুমের দিকে এসে আমাদের এভাবে দেখে নিলে অনেক বাজে মন্তব্য করতে পারে,প্লিজ আপনি আমার হাত টা ছাড়ুন
🍁উজানঃ তার আগে তুমি আমার সাথে ডক্টর দেখাবা তবেই আমি তোমাকে ছাড়বো__কি চাও তুমি,আমি তোমার জন্য মনে মনে গিল্ট ফিলিংস এ শেষ হয়ে যাই
🍁হিয়াঃ একটা মেয়ের সাথে এরকম আচরণ কেনো করেন যে গ্লিট ফিলিং এ আপনাকে শেষ হতে হয়____প্লিজ আমার হাত টা ছাড়ুন,না হলে কিন্তু আমি আবার আপনাকে থাপ্পড় মারতে বাধ্য হবো
🍁উজানঃ মারো
🍁হিয়াঃ আমি কিন্তু সত্যি সত্যি আপনার গায়ে হাত তুলবো
🍁উজানঃ তুলো
🍁হিয়াঃ হাত টা ছাড়ুন না হলে এবার সত্যি কিন্তু আমার হাত টা আমি ওঠাতে বাধ্য হবো
🍁উজানঃ বাধ্য হও
হিয়া একটা দীর্ঘ শ্বাস টেনে সপাটে উজানের গালে একটা আবার মার্কা মারা চড় বসিয়ে দেয়__চড় টা সত্যি মার্কা দেওয়া টাইপ ছিলো আর ওয়াশরুম টা সুনশান বলে সেটার শব্দ যেনো আরো কানে বাজতে লাগলো___উজান দাঁত মুখ খিচে সবটা সহ্য করে হিয়াকে টেনে হিঁচড়ে রুপমের গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে গেট লক করে দেয়,আর রুপমের কাছ থেকে চাবি টা নিয়ে নিজে এসে গাড়ির গেট লক করে দিয়ে বসে যায়
🍁হিয়াঃ আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমি কিন্তু এবার চিৎকার শুরু করবোওওওওও
🍁উজানঃ সিট বেল্ট টা লাগাও
🍁হিয়াঃ আমি আপনার সাথে কোথাও যাবোওওও না__আপনি প্লিজ লক টা খুলুন
হিয়া ওর হাত দিয়ে গেট জানলা চাপড়াতে থাকে,আর সিটের মধ্যে বসেই তার কি রকম ছটফটানি উফফ
🍁উজানঃ আরে এটা মানুষের গাড়ি,তুমি এরকম করছো কেনো😡
🍁হিয়াঃ আমি বাড়ি যাবো,আমার জামা কাপড় সব ভিজে আছে প্লিজজজ আপনি কোনো অসভ্যতামি করবেন না আমার সাথে,আমি আমি কি করেছি আমাকে ছেড়ে দিন
🍁উজানঃ জাস্ট শেট আপ (ঝারি দিয়ে)___আমি এখন অবধি কোনো বেয়াদবি করেছি তোমার সাথে নিজেকে কি ভাবো ক্যাটরিনা কাইফ,তোমাকে দেখলেই সবার অসভ্যতামি করতে মন চাবে
🍁হিয়াঃ (শান্ত হয়ে)ক্যাট__রিনা কাইফ কে(বুম বুম বুম)
🍁উজানঃ তুমি ক্যাটরিনা কাইফ কে চেনো না ও মাই গোড🙄
🍁হিয়াঃ আপনি প্লিজ এসব ক্যাট ফ্যাট বাদ দিয়ে আমাকে ছেড়ে দিন আমি বাড়ি যাবোওও😡আমাকে ছাড়ুন নইলে কিন্তু আমি আপনার সব চুল টেনে ছিড়ে ফেলবো
🍁উজানঃ আমার চুল কতো Strong তুমি জানো, টানলেও না ছিড়বে না
🍁হিয়াঃ তাই নাকি দাড়ান দেখাচ্ছি আপনাকে ছিঁড়বে কি ছিঁড়বে না
বলা মাএই হিয়া উজানের চুল টেনে ধরে
🍁উজানঃ আআআ হিয়া কি করছো__লাগছে আমার__এবার কিন্তু আমি তোমার চুল টেনে ধরবো
🍁হিয়াঃ নামান আমাকে গাড়ি থেকে নামান নাহলে এই মাথার একটা চুলো আস্ত রাখবো না আমি
🍁উজানঃ ছাড়বা না তো ওয়েট
এই বলে উজান এবার হিয়ার চুল টেনে ধরে,এখন গাড়ির ভেতরে শুরু হয়ে যায় দুজনের চুলোচুলি কি এক মারাত্মক অবস্থা
হিয়াঃ আমারররর লাগছেএএএ
🍁উজানঃ এই স্লিকি স্লিকি চুল আজ একটাও মাথায় থাকবে না তোমার বেয়াদব মেয়ে😡 সিনিয়র এর চুল ধরে টানো লজ্জা করে না
🍁হিয়াঃ আপনি জুনিয়র এর হাত ধরে তাকে টানতে টানতে গাড়ি তে বসান তখন আপনার লজ্জা করে না
🍁উজানঃ বেয়াদব মেয়ে তোমাকে তো আমি
উজান হিয়ার চুল আরো জোরে টেনে ধরলে হিয়া এবার উজানের চুল ছেড়ে উজানের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি গুলো টানতে শুরু করে
🍁উজানঃ হোয়াট দা😡 দাঁড়ি কেনো টানছো আমার
🍁হিয়াঃ তাহলে আমাকে ছাড়ুন এক্ষুনি
🍁উজানঃ হিয়া আমার লাগছে
🍁হিয়াঃ ছাড়বেন কি আপনি
🍁উজানঃ না ছাড়বো না
🍁হিয়াঃ তাহলে আমিও ছাড়বো না
আবার শুরু হয় দুজনের চুল টানাটানি,আর এই টানা টানির চক্করে হিয়া ভুলে যায় ওর শরীরে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত আর উজান ভুলে যায় হিয়াকে ডক্টর দেখানোর কথা___চুলোচুলির এক পর্যায়ে হিয়ার হঠাৎ মাথা টা ঘুরতে শুরু করলে হিয়া সেন্স হারিয়ে ফেলে আসলে আজকেও সে সকালে না খেয়ে বেড়িয়েছে তার উপর ওরকম গরম পানির ধক আর এখন এই চুলোচুলি শরীর কি এতো নিতে পারে
🍁উজানঃ (হিয়াকে বুকের ডান কাধে আগলে নিয়ে) হিয়া হিয়া কি হলো হিয়া___আর ইউ ওল রাইট হিয়া____হিয়া____ওহ নো হিয়া তো ওর সেন্স হারিয়ে___শীট আমি কবে থেকে এতো ইরেসপন্সিবেল হলাম___আচ্ছা আমি তো আজ অবধি কখনো মেয়ের সাথে এভাবে কিন্তু আজ আমি এতো কথা কি করে বলে ফেললাম এই মেয়ে টার সাথে
উজান নিজের ভাবনা থামিয়ে হিয়াকে নিয়ে হসপিটালে যায়,গিয়ে হিয়াকে একটা বেডে শুইয়ে দিয়ে নার্স কে হিয়ার সাথে রেখে, ইমিডিয়েট ডক্টর দেখানোর জন্য ডক্টরের চেম্বারের কাছে পৌঁছায় আর এদিকে কেবিনের ভেতর হিয়ার তোতোক্ষনে সেন্স ফিরে আসে,হিয়া উঠে নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে বুঝতে চেষ্টা করে ও এখানে কিভাবে,পরে আস্তে আস্তে একটু আগের সব ঘটনা মনে পড়লে হিয়া বুঝতে পারে উজান ওকে এখানে নিয়ে আসে কিন্তু উজান কোথায়___হিয়া উঠে পাশে থাকা ওর ব্যাগ টা নিয়ে ওখান থেকে বেড়িয়ে আসে
🍁হিয়াঃ আমার যা হয়েছে হয়েছে আমি কেনো ওনার টাকায় ট্রিটমেন্ট করবো আজব,উনি কে আমার,আর উনি তো ইচ্ছে করে আমাকে গরম পানি টা ঢালে নাই না,উনি যে ওনার ভুল বুঝতে পেরে আমাকে সরি বলেছে এটাই অনেক আমার জন্য__আর নিজে থেকে ডক্টর দেখানোর টাকা কোথায় আমার,গিয়ে বাড়িতে ঠান্ডা পানি লাগিয়ে রাখবো কিছু ক্ষন তাহলেই হয়ে যাবে,হুহ
হিয়া বেড়িয়ে গেলে উজান ডক্টর সহ এসে দেখে হিয়া নেই,নার্স কে জিঙ্গেস করলে নার্স বলে মেয়েটা বললো ও নাকি ওর বাড়ি চলে যাচ্ছে আপনি আসলে জানিয়ে দিতে__হিয়ার এই কাজে এই মুহুর্তে উজান পুরো রেগে আছে,ডক্টর কে টাকা দিয়ে এনে এখন হিয়া নেই,
🍁উজানঃ এতো কিসের ইগো তোমার হিয়া মুনতাসীর__আমি তোমার জন্য ফাংশন ছেড়ে হসপিটালে এসে এভাবে আর তুমি কি না আমাকে___আমি বা কেনো চিন্তা করছি তোমার জন্য এতো,চুলোয় যাও তুমি তাতে আমার কি___কোটিপতি বড় লোক বাপের মেয়ে বলে এতো দেমাক__দেমাকি মেয়ে কোথাকার😡😡😡😡
উজান নিজের মন কে কন্ট্রোল করে আবার ফাংশন এর স্পটে গিয়ে সব এ্যারেন্জমেন্ট দেখতে থাকে কিন্তু মন টা তবুও কিসের জন্য জানি উজানের ভরাকান্ত হয়ে আসে থেকে থেকে
_________
পরেরদিনঃ
উজান আজ সকাল সকাল ভার্সিটিতে এসেছে যদিও ক্লাস নেই আজ তার,এসেই সবার সাথে আড্ডা দিতে ব্যস্ত এখন সে, কিন্তু বার বার তার চোখ যাচ্ছে গেট বরাবর মেইন গেটের দিকে কেনো আজ হিয়া আসতে এতো দেড়ি করছে
হিয়াকে আসতে দেখেই উজান একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে সাব্বির কে ইশারা করে বলে তাকে ডেকে আনতে,আর উজানের আদেশ মতো সাব্বির গিয়ে আবার সেই হ্যাবলার মতো ডেকে আনে হিয়াকে
🍁হিয়াঃ কি সমস্যা
🍁উজানঃ ৫ হাজার টাকা দেও
🍁হিয়াঃ জ্বী কি বললেন
🍁উজানঃ কেনো তুমি কি বধির শুনতে পারো না,না শুনতে পেলে বলো বাজারে এখন অনেক ভালো ইয়ার মেশিন পাওয়া যায়__লাগবে (বুম বুম বুম)
🍁হিয়াঃ আমার কথা আমাকে রিটার্ন দিচ্ছে বেয়াদব 😏
🍁উজানঃ কাল আমি তোমাকে হসপিটালে নিয়ে গেলাম,খরচা করে ডক্টর ডাকতে গেলাম আর তুমি কি করলে কিছু না বলে ওখান থেকে উঠে চলে গেলে,এতো ইগো কেনো তোমার,বাপ মার টাকার গরম খুব তাই না
🍁হিয়াঃ এই যে শুনুন সবাই কে না নিজের মতো ভাববেন না__আর আমি কাল একবারের জন্য আপনাকে বলি নি আমাকে আপনার অনুশোচনা মেটাতে দয়া করে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যেতে হু
🍁উজানঃ হোয়াট অনুশোচনা😏অনুশোচনা তাও আবার তোমার মতো একটা বেয়াদব মেয়ের জন্য যে কিনা কিছু না বুঝতেই সিনিয়র দের গায়ে হাত তোলে
🍁হিয়াঃ সিনিয়র রা বেয়াদবের গোডাউন হলে জুনিয়র দের মাঝে সেই ইফেক্ট আসবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি
🍁উজানঃ বাড়িতেও কি বাবা মা আর যারা সিনিয়র আছে সবার সাথে এরকম করেই পাল্টা তর্ক করো??
🍁হিয়াঃ হ্যা করি আপনার কি তাতে__আমার রাস্তা ছাড়ুন তো এবার,রোজ রোজ এই ভার্সিটিতে এসেই আপনার আর আপনার এই পেছনে লেগে থাকা বাঁদর গুলোর অত্যাচার আর নেওয়া যায় না
🍁রুপমঃ মামা দেখ আমাদের বাঁদর বললো😪😪(বুম বুম বুম)
🍁উজানঃ তোমার সাহস দেখে তো আমি____যাগ আগে ৫০০০টাকা দিবে তবেই রাস্তা ছাড়বো তার আগে না
🍁হিয়াঃ কাল ৫০০০টাকা গোচ্চা গেছে বলে খুব জ্বলছে না আর ডিবেটের দিন যে আপনি আমার ৩০০০টাকা টা ছিড়ে ফেললেন সেটার ক্ষতিপূরণ কে দেবে,নাকি ঔ টাকা টা টাকা না ঔ টা মঙ্গলগ্রহ থেকে আসছে কোনটা😏
🍁উজানঃ ওকে ৫০০০থেকে ৩০০০ আউট এখন থাকে ২০০০ ওটা রিটার্ন করো,কুইক
🍁হিয়াঃ আচ্ছা লোক তো আমি
🍁সাব্বিরঃ ভাই আপনাকে লোক বললো😪😪
🍁হিয়াঃ লোক বলবো না তা কি বলবো মাস্টার্স এ পড়া বুড়ো একটা সে নাকি আবার সবার ক্রাশবয় হু(বুম বুম বুম)
🍁উজানঃ ২০০০টাকা দিবে তবেই আজ তোমাকে ছাড়বো,অনেক ওডাসিটি সহ্য করছি তোমার আর না
🍁হিয়াঃ আমি দেবো না
🍁উজানঃ দিবে না
🍁হিয়াঃ ২০০০থেকে তিনটে শূন্য বাদ দিলেও যেই টাকা টা থাকবে আমি সেটাও আপনাকে দেবো না না না,নিজে পানি ঢেলে আবার নিজে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যায় মানে ঢং দেখলে তো গা পিওি জ্বলে যায় একবারে😏
🍁উজানঃ ঠিক আছে দিতে হবে না___সাব্বির
🍁সাব্বিরঃ হ্যা ভাই
🍁উজানঃ তখন তোকে একটা ঔ মেয়েদের পায়ে পড়া নুপুর না পায়েল কি বলে ওটাকে রাখতে দিয়েছিলাম না ওটা দে তো আমাকে
সাব্বির উজান কে একটা রুপোর নুপুর হাতে দিলে উজান ওটা নিয়ে হাতে পেঁচিয়ে হিয়ার সামনে ধরে,আর এই নুপুর টা হচ্ছে হিয়ার নুপুর,এটা ছিলো হিয়ার মায়ের রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি দুটোর মধ্যে একটা
🍁হিয়াঃ এটা আপনার কাছে আসলো কি করে
🍁উজানঃ কি করে আসলো সেটা বিষয় না আসল বিষয় টা হচ্ছে তুমি এটা এখন আমার কাছে থেকে নিবে কি করে
🍁হিয়াঃ প্লিজ ভাইয়া ওটা আমাকে ফেরত দিন ওটা আমার মায়ের
🍁উজানঃ আন্টির!!
(হিয়া কাঁদো কাঁদো চোখে মাথা নাড়িয়ে বলে হুম আন্টির মানে ওর মার)
🍁উজানঃ ঠিক আছে আন্টির যখন তখন আমি এটা তোমাকে দেবো তবে আগে ২০০০টাকা দেও
🍁হিয়াঃ দেখুন ভাইয়া আমার কাছে এখন এতো টাকা নেই আপনি আমাকে দিন আমি আপনাকে এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো টাকা টা শোধ করে দেবো
🍁উজানঃ হা হা তুমি যদি পাল্টি খাও তখন
🍁হিয়াঃ খাবো না বিশ্বাস করুন
🍁উজানঃ তোমাকে আর বিশ্বাস___শোনা এই নুপুর না ঝুপুর হোয়াট এভার তোমাকে আমি দিতে পারি তবে একটা শর্তে
🍁হিয়াঃ কি শর্তে
🍁উজানঃ সাব্বির এখন যেই নামতা টা বলবে ওটা তোমাকে কোনো রকম ভুল ছাড়া শুদ্ধ ভাবে বলতে হবে যদি বলতে পারো তো ২০০০টাকা টাও মাফ যাও
🍁হিয়াঃ সত্যি__ঠিক আছে বলুন কোন ঘরের নামতা বলতে হবে আমি বলে দিচ্ছি😊
🍁উজানঃ সাব্বির স্টার্ট
উজানের ওডারে সাব্বির নামতা পড়তে শুরু করলে উপস্থিত সবাই হেঁসে দেয়,সাথে হিয়াও ফিক করে হেসে উঠে কিন্তু এখন হিয়াকেও এই নামতা পড়তে হবে এই ভেবে হিয়ার হাত এখন কপালে হায় রে কপাল
🍁হিয়াঃ এটা কি রকম ধরনের র ্যাগিং🤔🤔
🍁উজানঃ (একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে) শুরু করো আর হ্যা চোখ বন্ধ করে
🍁হিয়াঃ ভাইয়া আমি কি করে,আমি পারবো না ভাইয়া
🍁উজানঃ ঠিক আছে না পারলে আর কি করার ২০০০টাকা দিয়েই তারপর এসে না হয় এটা নিয়ে যাইও
হিয়া এখন কি করবে,ওর নুপুর টা উজানের কাছেই বা গেলো কি করে আর নুপুর টা না নিয়ে তো সে কিছুতেই এখন যাবে না,আর পরে নিলেও ২০০০ দিতে হবে উজানকে ২০০০দেবার চাইতে তো আরো ১ভরিয়ে বাড়ি ভাড়া টাই দেওয়া বেটার,হিয়া সব কিছু ভেবে রাজি হয় নামতা পড়তে___হিয়া চোখ বন্ধ করে দাঁত মুখ খিচে শুরু করে পড়া আর উজান ওর ফোন টা বের করে ভিডিও করতে করতে ফোনের উল্টো দিকেই হেঁসে কুপোকাত🤣
🍁হিয়াঃ হিয়া তোকে পারতে হবে,মনে কর এটাতে তুই জিতলে শ্রাবণ জিতে যাবে এটা শ্রাবনের পরীক্ষার প্রশ্ন হু
হিয়া মনে সাহস এনে নামতা পড়তে শুরু করে
🍁হিয়াঃ
প্যাক ওক্কে প্যাক
প্যাক দুগুনে প্যাক প্যাক
৩ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক
৪ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক___হ্যা প্যাক
৫ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক__প্যাক প্যাক
এখন পর্যন্ত তো ঠিক আছে তাই না😪
🍁উজানঃ (পেট ভর্তি হাসি নিয়ে) হ্যা হ্যা খুব ভালো হচ্ছে🤣🤣🤣🤣Keep It up
🍁হিয়াঃ
৭ প্যাকে না না এখন তো ৬ হবে
৬ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
৭ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
৮ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
৯প্যাকে
🍁উজানঃ এই ভুল হচ্ছে ৮টা ঠিক করে বলো🤭
🍁হিয়াঃ ভুল হয়েছে না,আচ্ছা আমি বরং হাতে গুনে গুনে বলি হু🥰
৯ প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
১০প্যাকে প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক প্যাক
হুহ আমি পারছি না ভাইয়াআআ😍
🍁উজানঃ বাহ কি টেলেন্ট তোমার হিয়া
🍁হিয়াঃ এখন চোখ খুলি🥰
🍁উজানঃ হ্যা হ্যা খুলতে পারো
হিয়া চোখ খোলার আগে উজান ওর ফোন টা পকেটে ঢুকে নেয়,হিয়া প্রথমে চোখ খুলে ঝাপসা ঝাপসা দেখলেও আস্তে আস্তে সব ক্লিয়ার হয়
🍁উজানঃ মেয়ে টা এরকম কেনো একে সাহসি বলবো না বোকা,পাগলি একটা❤️❤️❤️
🍁হিয়াঃ ভাইয়া আমার নুপুর টা😥
🍁উজানঃ নেও(অনেক কষ্টে হাসি চেপে)
হিয়া ওটা উজানের কাছ থেকে ছো মেরে নিয়ে একটা ভেংচি কেটে চলে যেতে ধরলে উজান এতোক্ষণ ওর পেটে জমিয়ে রাখা হাসি টা বের করে হিয়াকে পেছন থেকে ডেকে উঠে
🍁উজানঃ এই প্যাক প্যাক মেয়ে শোনো
🍁হিয়াঃ (পেছন ফিরে) আবার কি চাই😡
🍁উজানঃ আজকে থেকে তোমার নাম হাঁসের বাচ্চা বুঝলা🦆 আমি তোমাকে এখন থেকে ঔ নামেই ডাকবো
হিয়া উজান কে কপট রাগ দেখিয়ে মুখ ঘুরিয়ে যেতে যেতে চিৎকার করে বলে উঠে
🍁হিয়াঃ আমি হাসঁ হলে আপনিও একটা মুরগির বাচ্চা🐥তাও আবার ফার্মের মুরগী বুঝলেন__দেখতে সাদা সাদা ঠোঁট গুলোও ওরকম পিংক পিংক(ফিক করে হেঁসে দিয়ে)
হিয়ার কথা শুনে উজান আরো জোরে হেঁসে উঠে,আজ অনেক দিন পর রাসেল রুপম সাব্বির সবাই উজানের এই জোরালে হাসি টা দেখলো
🍁সাব্বিরঃ বাহ দেশি হাঁস বয়লার মুরগী ❤️হাঁস-মুরগী❤️জোস তো
____🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒______
💛🧡🏵
️ #Promo_গাঁদা_ফুলের_ভালোবাসা
🏵️🧡💛
💛উজানঃ ফুলকলির ও কি Valentine লাগছে নাকি ফুল দিয়ে সেজেছিস যে___মিষ্টি লাগছে ভীষণ(ফুলকলির থুতনি টা ধরে)
🍁ফুলকলিঃ হে হে___আচ্ছা ভাইজান আজকে তো সবাই আমার কাছে ফুল কি-ইন্না ভালো বাসাবাসি করছে তা আপনি ফুল কিনে কোনো আপা কে দিয়ে ভালোবাসা বাসি করবেন না
💛উজানঃ ফুলকলি রে ফুলকলি আমার মতো রাগি,বদমেজাজি খারাপ ছেলেকে কে সহ্য করবে বলতে পারিস
🍁মিন্টুঃ ভাই আপনি খারাপ মানুষ____!! আপনার জন্য আমাগো বস্তির সব বাচ্চা দু বেলা খাইবার পায় আর আপনি কোওন আপনি নাকি খারাপ
💛ছোটঃ ভাই আছে বইলাই না এই ক্যাম্পাসের মেয়ে গুলো এখন স্বাধীন ভাবে চলবার পায়____আগে যখন ভাই আছিলো না তখন তো মোর বাপ মোক কইতো মাইয়া গুলা নাকি আইতে যাইতে চেংরা গুলোর জ্বালায় বাঁচতে পাইতো না,আর এখন মাইয়া গুলোক জ্বালা তো দূরে থাক চোখখান তুইল্লাও কেউ দেখবার সাহস পায় না___আর তাছাড়া এমনিতেও আমাগো ভাইয়ের যা চেহারা আমাগো ভাই এমনি মেয়ে পাইবো
🍁উজানঃ লাভ নেই রে ছোটওওও আমার জন্য মেয়ে দের লাইন লাগালেও এগুলো একটা কেও আমার মনে ধরে না
💛ফুলকলিঃ (দুষ্টুমি হাসি দিয়ে) ভাইজান আমি কিন্তু আজ ভোর বেলা স্বপ্নে দেখছি আপনি আজ আমার কাছে হাজার টাকার ফুল কি-ইন্না একটা আপাকে দিয়া আপার লগে এই রাস্তা দিয়ে হাটবার লাগছিলেন
🍁উজানঃ (হেঁসে দিয়ে) আমি কিনবো কোনো মেয়ের জন্য ফুল তাও আবার হাজার টাকার,হাসালি রে ফুলকলি হাসালি
💛ছোটঃ ভোরের স্বপ্ন কিন্তু সত্যি হয় ভাই,সাবধানে থাইকেন আজ
দেখা যাক এই ভালোবাসা দিবসে ফুলকলির দেখা স্বপ্ন টা পূর্নতা পায় কিনা🧡💛🏵️🍁🌼