😏 #মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒
Part-37
৭২ঘন্টা পেরিয়ে আসলেও শ্রাবণের মাঝে রেসপন্স না পেয়ে ডক্টররা এক রকম হাল ছেড়ে দিতে শুরু করে,,শ্রাবণ এখনো কোমাতে যায়নি তবে তার অবস্থার যে কোনোরকম কোনো উন্নতি হয়েছে এমনটাও না__এভাবে দিন গুলো পেরিয়ে পেরিয়ে প্রায় গোটা একটা মাসের মতো হয়ে আসে কিন্তু শ্রাবণের অবস্থা এখনো ঠিক আগের মতোই হ’য়ে আছে,,ডক্টরদের কথা মতে শ্রাবণ এ সময় ভেজিটেটিভ স্টেট এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যার ফলে তার সব কিছু কাজ করছে কিন্তু সে তার চেতানা হারিয়ে সেচ্চায় কিছু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে,,
সন্ধিঃ কি করবি ঠিক করলি কিছু,,শ্রাবণকে নিয়ে বাড়িতে শিফট করবি না ওকে এখানে রেখে,,হসপিটালের বিল গুলোও তো বাড়ছে
উজানঃ এভাবে আর কতোদিন সন্ধি,,আজ প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে হিয়া আমার সাথে কোনো কথা বলছে না,,শ্রাবণের পাশে বসে কি রকম একটা পাথর হয়ে আছে,,না ঠিক করে কিছু খাচ্ছে,না এক বেলা ঠিক করে ঘুমোচ্ছে এভাবে তো ও নিজেও অসুস্থ হয়ে যাবে একটা সময়
সন্ধিঃ শান্ত হ একটু,,তুইও তো হিয়ার মতোই এক কাজ করছিস,,কাল রাত থেকে না খেয়ে এভাবে বসে আছিস এগুলো কি ঠিক
উজানঃ তুষার কোথায়,,আসছে ও ওর আঙ্কেলদেরকে নিয়ে?
সন্ধিঃ বললো তো আসছে,,কিন্তু আমার ভয় করছে হিয়া আবার পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে যাবে না তো!!
উজানঃ ভয় পেলেও কিছু করার নেই সন্ধি,,ঔ জানোয়ার গুলোকে তো আমি এমনি এমনি ছেড়ে দিতে পারি না,,আমার তো উচিৎ ছিলো সেদিনই ঔ জানোয়ার গুলোকে
সন্ধিঃ আচ্ছা শান্ত হ,,আমরাও চাই ঔ শয়তান গুলোর একটা বড় শাস্তি হোক___আচ্ছা আপাতত ঔসব বাদ দিয়ে কিছু খাবি আয় আমার সাথে
উজানঃ হিয়া খেলো ওদিকে?
সন্ধিঃ খায় আর কোথায় ঔ দু লোকমা মুখে ঢুকিয়ে দিতেই আবার চোখ দিয়ে পানি বের করতে শুরু করলো,,জীবনে যে মেয়েটাকে আর এভাবে কতো কিছুর পরীক্ষা দিবে উপর আলাই ভালো জানেন!!
!
!
!
চাচ্চুঃ আর কিছু হলে আমাকে ফোন দিস মা,,তুই ওভাবে না খেয়ে থাকিস না
হিয়াঃ হুম
চাচ্চুঃ আচ্ছা আমি কি ঔ উজান বলে ছেলে টার এ্যাকাউন্টে টাকা কিছু পাঠিয়ে দেবো,,হসপিটালের বিল তো গত দু সপ্তাহ ধরে ঔ দিচ্ছে মনে হয়
হিয়াঃ তুমি আর কোথা থেকে দেবা চাচ্চু,,দিতে দিতে তো পুরো ৬লাখের কাছাকাছি দিয়ে ফেললে,,এতো গুলো টাকা নিয়ে আবার বাড়িতে কোনো অশান্তি বাঁধলে,,তুমি বাদ দেও ওসব,,আর বাবা-র ঔ পেছনের দিকে জমি টা যদি আর একটু বেশি তে কেউ কিনে নেয় আমাকে বলো একবার,,
চাচ্চুঃ আচ্ছা মা আমি দেখছি তুই তো ৩০বললি আমি দেখি ৩০/৪০এ বিক্রি করতে পারি কি না,,শেষের জমি তো তাই কেউ নিতে চায় না এটাই হচ্ছে সমস্যা
হিয়াঃ জানি
চাচ্চুঃ আচ্ছা মা আমি রাখছি এখন,,দোকান থেকে এসে তোকে আবার ফোন দেবো,,আর কোনো দরকার হলে আমাকে ফোন দিলেই হবে,,রাখি এখন
হিয়াঃ হুম
ফোনে চাচ্চুর সাথে কথা বলে ফোনটা রেখে দিতেই একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে হিয়ার নাম্বারে,,হিয়া গুনগুনের মা ভেবে ফোন টা রিসিভ করতেই ওপর পাশ থেকে মোটা কন্ঠে একটা ভয়ানক হুমকি শুনেই হিয়া কেঁপে ওঠে,,হুমকি টা ঠিক এরকম ছিলো যে “যদি পুলিশ কোনোভাবে এই বিষয়ে কোনোরকম মামলা তুলে তাহলে তারা যেভাবে শ্রাবণকে
পেটে ছুড়ি দিয়ে ছুরিকাঘাত করেছিলো ঠিক সেভাবেই তারা উজানকে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে খুন করে দেবে,,হিয়া চিৎকার করে করে কে বলছেন কেনো বলছেন জানতে চাইতেই ফোন টা মুহুর্তেই কেটে যায়,,আর এই খুন-ছুরিকাঘাত-রক্ত কথা গুলো শুনেই হিয়া থড় থড় করে কাঁপতে শুরু করে,,কেনো বলছে ওরা যে ওরা উজানকে খুন করে দেবে,,উজানের কোনো ক্ষতি হবে না তো,,ও তো পুলিশ কে খবর দেয়নি তাহলে কিসের জন্য তারা এসব বলছে,,
হিয়া একবার শ্রাবণকে দেখছে একবার ওর ফোনের দিকে তাকাচ্ছে,,একবার দরজার দিকে তাকিয়ে উজানকে খুঁজছে,,উজান,উজান ঠিক আছে তো,,হিয়ার চোখের সামনে ভাসতে থাকে উজানের ঔ রক্তাক্ত অবস্থা, যখন সে শ্রাবণকে নিয়ে এই হসপিটালে এসেছিলো,,তার সাদা শার্ট টা রক্ত দিয়ে একদম একাকার হয়ে মিশে গিয়েছিলো,,কপাল ফেটে এক ফোঁটা রক্ত গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিলো,,শ্রাবণের রক্তের শরীর- উজানের শরীর লেগে থাকা সেই রক্তের আবরণ,বহু বছর আগের সেই এক্সিডেন্টে নিজের মা বাবার সেই রক্তাক্ত দেহ,সব কিছু চোখের সামনে ভাসতেই হিয়া এবার একটা চিৎকার করে উঠে,,চারিদিকে রক্ত রক্ত রক্ত তার আর সহ্য হয়ে উঠে না,,শ্রাবণের মলিন মুখ টার দিকে চোখ পড়তেই হিয়া দূত এসে শ্রাবণকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে,,ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে সে,,ভয় গুলো সব এক হয়ে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়তে শুরু করে_____আর হিয়ার কান্নার এক পর্যায়ে উজান দুজন পুলিশ নিয়ে তুষার সহ রুমে আসতেই হিয়ার ভয় টা এবার চিৎকারে পরিণত হতে শুরু করে
উজানঃ আমরা আগেই কেস টা ফাইল করতে চেয়েছিলাম স্যার কিন্তু এই কন্ডিশনে আমরা সেভাবে
পুলিশঃ আমরা বুঝতে পারছি,,কিন্তু তোমাদের উচিৎ হয় নি এতোটা দেড়ি করার,,আচ্ছা আসো ভিকটিম কে দেখি আর লিগাল গার্ডিয়ান না হলে তো আমরা কেস টা তুলতে পারবো না,,তুমি সিউর তো ওর বোন এই কেস টা
উজানঃ আসলে ওকে এখনো কিছু জানানো হয়নি তাই আপনি একটু নরম হয়ে যদি ওর সাথে কথা বলতেন,বুঝতেই তো পারছেন,,আসুন_____হিয়া(অস্ফুটে)
উজানের ডাকে হিয়া শ্রাবণের বুক থেকে মুখ তুলে সামনে তাকাতেই ঘাবড়ে যায়,কথা অনুযায়ী পুলিশ এসে হিয়াকে কিছু প্রশ্ন করতেই হিয়া কেমন জানি একটা করতে শুরু করে,,বারবার ওর কানের কাছে ঔ হুমকির কথা গুলো ভেসে আসতে থাকে,,সব কিছু আর কিছুতেই সহ্য হয়ে না উঠলে হিয়া এবার চিৎকার করতে শুরু করে,,হিয়ার চিৎকার শুনে সন্ধি ঝিনুক বাহির থেকে দৌড়ে এসে হিয়াকে আগলে ধরে,,উজান এক রকম ভয় পেয়ে যায় মুহুর্তে,,
হিয়াঃ আমি যখন বলছি আমি কোনো এফআইআর করতে চাই না তারপরো কেনো আপনি আমার কথা শুনতে চাইছেন না,,আমি তো বলছি কারো উপর আমার কোনো অভিযোগ নেই,,আপনারা প্লিজ যান এখান থেকে
সন্ধিঃ হিয়া হিয়া শান্ত হও,,দেখো এটা তো হসপিটাল এখানে এভাবে কেউ চিৎকার করে না সোনা,,চুপ চুপ
ঝিনুকঃ একটু তুই আমাদের সাথে কওপারেট কর,,দেখ তুই চাস না বল আমাদের শ্রাবণের যারা এই অবস্থা করেছে তারা শাস্তি পাক
হিয়াঃ না আমি চাই না,,আমি তো বলছি কারো উপর আমার কোনো অভিযোগ নেই,,প্লিজ তুই ওনাদের চলে যেতে বল,,আমি আর এইসব চাপ নিতে পারতিছি না
উজানঃ হিয়া পাখি আমার একটু শোনো আমার কথা,,আমরা যা করছি তা তো পুরো আমাদের বাচ্চাটার জন্য
হিয়াঃ আমি আর কিচ্ছু চাই না,,যা হয়েছে সেটা আমাদের কারো হাতে ছিলো না,,এখন শুধু আমার একটাই দোয়া আমার বাচ্চা টা যেনো আবার সুস্থ হয়ে উঠে,,আবার আগের মতো হেঁসে খেলে বের হতে পারে,,সে সুস্থ না হলে এসব কেস মামল করে আমি কি করবো
উজানঃ কিন্তু হিয়া
হিয়াঃ আমি তো বলছি আপনাকে তারপরো কেনো আপনি আমার উপর কথা বলছেন
সন্ধিঃ হিয়া শান্ত হও,,আচ্ছা কেউ কিছু করবে না,,আমি আমি মানা করছি উজানকে___উজান
উজানঃ কি সন্ধি!
সন্ধিঃ প্লিজ তুই আঙ্কেলদের নিয়ে এখন যা,,হিয়ার অবস্থা তো তুই জানিসই কেনো ওকে তুই আর পেসার দিচ্ছিস,,প্লিজ যা___যা নাআ
হিয়াঃ আমি যখন বলেছি এ বিষয়ে কোনো কেস উঠবে না তখন উঠবে না,,আর এটাই আমার শেষ কথা,,আমি অনেক আপনজন হারিয়েছি এখন আবার নতুন করে কাউকে হারানোর মতো ক্ষমতা নেই আমার
উজানঃ হিয়া আমি
হিয়াঃ প্লিজ আমি হাত জোর করছি আপনার কাছে,,আপনি এনাদের কে নিয়ে ফিরে যান,,যান নাআআ
!
!
উজান সবাইকে বিদায় দিয়ে আবার হিয়ার কাছে দৌড়ে ছুটে আসে,,কারণ ওসময় ওভাবে চিৎকার করতে করতে হিয়া আবার ওর পেশার টা ফ্লট করে সন্ধির বুকে ঢোলে পড়ে যাচ্ছিলো,,উজান এসে হিয়াকে ধরতেই ডক্টর এসে হিয়াকে দেখে বললো ওকে ইমিডিয়েট এক ব্যাগ স্যালাইন দিতে হবে শরীরে কিচ্ছু নেই,পারলে শরীরে এক ব্যাগ রক্ত ইনকেট করতে পারলে ভালো হতো,,ডক্টরের কথা অনুযায়ী উজান হিয়াকে জোর করে একটা স্যালাইন দিয়ে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়,,সেদিন টা হিয়ার ওভাবেই ঘুমে কাটিয়ে যায়,,পরের দিন ভোরের দিকে আলো ফোটার কিছুক্ষণ আগে ইনজেকশনের রেশটা কাটতেই হিয়া উঠে বসে,,হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে তার হাতে ঝুলে থাকা স্যালাইন টা প্রায় শেষের দিকে,,হিয়া আস্তে করে স্যালাইন টা খুলে উঠে বসতেই ওর চোখ যায় সামনের সোফাতে ঘুমে থাকা সন্ধির উপর,,হিয়া সন্ধিকে না ডেকে উঠে ওর কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে শ্রাবণের কেবিনের দিকে হাঁটা দেয়,,ভোরের দিকে হসপিটালের পরিবেশ টা নিতান্তই শান্ত,,এক দু জন ওয়ার্ডবয় ছাড়া কারোরই দেখা পাওয়া যাচ্ছে না,,ভোরের দিকের বাতাস টা ঠান্ডা হওয়াতে গা টা কাটা দিয়ে উঠে হিয়ার,,গায়ে থাকা ওরনা টা পেঁচিয়ে শ্রাবণের রুমে আসতেই হিয়া দেখে উজান শ্রাবণের কাছে টুলে বসে মাথা টা শ্রাবণের বেডে দিয়ে ঘুমে আছে,,হিয়া কোনো শব্দ না করে শ্রাবনের কাছে এসে শ্রাবণের মুখে হাত বুলে দিয়ে উজানের এদিকে শ্রাবণের পাশে এসে বসে উজানের মাথায় হাত রেখে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে,,
হিয়াঃ জীবনে অনেক আপন মানুষকে আমি হারিয়েছি,,এই শেষমেশ বেঁচে থাকার আশ্রয় দুটোকে কোনোভাবে হারাতে চাই না আমি আর,,আমার আশেপাশে থাকলেই আপনার বিপদ,,আজ যদি সিফাতরা আপনাকে সত্যি সত্যি খুন করে দিতো আমি তো নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারতাম না,,না পারতাম নিজেকে শেষ করে দিতে না পারতাম আপনাকে ছাড়া বাঁচতে,,আমার আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াটাই সবার জন্য ভালো হবে__আমার সাথে থাকলেই আপনার বিপদ,,শুধু তো আপনি না আমার আর শ্রাবণের জন্য তো তুষার ভাইয়াও হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে ঘুরছে,,নিজের বোনের বিয়ে ছেড়ে সন্ধি আপু এখানে পড়ে আছে,,ঝিনুক ওর পড়াশোনা রেখে সারাদিন আমার সাথে___না এসব ঠিক না,,আমার মতো একটা অনাথ মেয়ের জন্য কেনো ওরা এতোটা করবে___কাল আমি শ্রাবণকে বাড়িতে শিফট করবো,,ওকে এখানে রাখার টাকা কোথায় আমার,,ডক্টর তো বললো শ্রাবণকে এখানে রাখা বাড়িতে শিফট করা সমান,,তাহলে___আপনিবা বাড়ি থেকে এতো গুলো টাকা নিতে যাবেন কেনো আপনার বাড়ি থেকে যদি কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তখন!!___আমার থেকে দূরে থাকলেই আপনার জীবনটা সুরক্ষিত থাকবে,,আমার সাথে থাকলেই আপনাকে সারাজীবন একটার পর একটা ঝামেলা সহ্য করতে হবে!!যেটা আর এখন আমি চাই না,,
!
!
!
কথা অনুযায়ী হিয়া শ্রাবণকে নিয়ে বাড়িতে শিফট করার জন্য সব ফর্মালিটি পূরণ করে নেয়,,উজান সন্ধি কারো কোনো কথা শোনার প্রয়োজন মনে কড়ে না,,হিয়া ওর মনের মাঝে ভয়টাকে এমনভাবে চেপে ধরে রাখছে যে এরপর কোন দিক টা ঠিক কোনটা ভুল কিছুই আর ওর মাথায় আসছে না,,হিয়ার এই ছেলে মানুষীতে উজান এবার খুব রেগে উঠে,,
উজানঃ হিয়া তুমি প্লিজ এসব কোনো পাগলামি করবে না,,আমার যতোদিন ক্ষমতা আছে আমি তোতো দিন শ্রাবণকে এই হসপিটালে রেখে চিকিৎসা করাবো,,আর এটা আমার শেষ কথা
হিয়াঃ আপনার শেষ কথা হলে তো হবে না ভাইয়া,,আপনি কে শ্রাবণের,, কেউ না,,তাই আমার ভাইকে আমি এখানে রেখে চিকিৎসা করাবো না বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার
উজানঃ না তোমার ব্যাপার না,,শ্রাবণ আমারো দায়িত্ব,,আজ আমার জন্য বাচ্চা টার এ অবস্থা হয়ে আছে,,আমি কিছুতেই তোমাকে ওকে এখান থেকে নিয়ে যেতে দেবো না
হিয়াঃ আমি আপনার কথা শুনতে বাধ্য নই,,প্লিজ আপনি আমাকে আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে বাধ্য করবেন না,,আমি চাই না আমার আর শ্রাবণের সাথে আপনার আর কোনো যোগাযোগ বা সম্পর্ক থাকুক
উজানঃ হিয়া!!
ঝিনুকঃ মাথা ঠিক আছে তোর,,কি বলছিস হুঁশ ঞ্জান রেখে বলছিস তো,,
হিয়াঃ হ্যা আমি স্বঞ্জানে বলছি আমি চাই না ভাইয়ার সাথে আমার বা শ্রাবণের আর কোনো সম্পর্ক থাক,,আর তোরাও প্লিজ আমাকে দয়া করা বন্ধ কর,,তোদেরো জীবন আছে,,কিছুদিন বাদে তোর ফাইনাল পরীক্ষা প্লিজ গিয়ে নিজের পরীক্ষা তে ফোকাস কর
সন্ধিঃ আর তোমার পরীক্ষা সেটার কথা তো একবারো ভাবছো না তুমি
হিয়াঃ আমি এক বছর ইয়ার ড্রপ দেবো আপু,,কিন্তু এই মুহুর্তে আমার পরীক্ষাতে বসার মন মানসিকতা কিচ্ছু নেই আর,,আমি শুধু আমার শ্রাবণকে আগের মতো সুস্থ দেখতে চাই আর কিচ্ছু না
ঝিনুকঃ আর সেজন্য তুই শ্রাবণকে নিয়ে বাড়িতে শিফট করবি,,ওটা একটা বাড়ির পরিবেশ তোর,,গাদাগাদি করে সবাই মিলে একসাথে থাকিস,,এক বাথরুম ইউস করিস,,তোর মনে হয় তুই ওখানে গিয়ে শ্রাবণের ঠিক মতো যত্ন নিতে পারবি
হিয়াঃ যা হবে দেখা যাবে,,প্লিজ তুই যা এখন আমার সামন থেকে,,আমার কাউকে লাগবে না,,আমি পারবো একা হাতে শ্রাবণকে সামলাতে,,
কিছুতেই হিয়াকে বোঝানো যাচ্ছে না,,ঔ যে মাথাতে একটা ভূত চাপছে সেটা কিছুতেই আর ওর মাথা থেকে নামছে না যেনো,,উজান না রাগতে পারছে না পারছে হিয়াকে শাসন করতে,,হিয়াকে বুঝিয়েও তো লাভ হচ্ছে না যেনো,,উজান হিয়াকে আর পাওা না দিয়ে শ্রাবণকে ধরতে যাবে ওমনি হিয়া রেগে গিয়ে আরো ক্ষেপে উঠে
হিয়াঃ খবরদার আপনি শ্রাবণকে ধরবেন না,,আমি সারাজীবন অনেক আপণজনকে হারিয়েছি প্রথমে বাবা মা,,আর এখন শ্রাবণ এর এই অবস্থা
উজানঃ হিয়া আমার কথা টা শুনো তুমি
হিয়াঃ না একদম আমাকে ধরতে চাইবেন না আপনি,,চাকু টা দিয়ে তো ওরা আপনাকেও শেষ করে দিতে পারতো,,আপনার আপনার কিছু হয়ে গেলে তো আমি বেঁচেও মরে থাকতাম,,আমার আমার সাথে থাকলেই আপনার বিপদ ওরা ওরা আপনাকে শেষ করে দেবে,,ঔ রক্ত ঔ ঔ ডক্টর না না আমি একবার নিজের বাবা মা কে হারিয়েছি কিন্তু কিছুতেই শ্রাবণকে বা আপনাকে হারানো আমার পক্ষে আর সম্ভব না,,আমি আমি তো
আর কিছু বলার আগেই হিয়ার পেশার আবার ফল্ট করতে শুরু করলে সবাই আবার ভয় পেয়ে যায়,,এ-ই এতো চাপ নিতে নিতে যদি বাই এনি চান্স হিয়া এ্যাটাক বা স্টোক করে বসে কি হবে তখন,,
সন্ধিঃ তুই যা না এখন হিয়ার সামন থেকে,,ডক্টর কি বললো তুই শুনতে পাসনি হিয়া মেন্টালি আনব্যালেন্সড হয়ে পড়েছে,,ডক্টর ওকে একটু সময় দিতে বলেছে,,তুই প্লিজ যা এখন এখান থেকে
!
!
!
হিয়ার কথার কাছে কারো আর পেরে ওঠার ক্ষমতা হয় না,,উজান ঠিক করে সে হিয়ার কথা অনুযায়ী শ্রাবণকে ডিসচার্জ করবে কিন্তু হিয়ার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখবে না,,হিয়া যে তার বাড়িতে গিয়েও থাকবে না সে এটাও খুব করে বুঝে গেছে,,এটুকু সময় সে ঠিক একটা না একটা বুদ্ধি করে সন্ধিকে ডাকে,,উজান ঠিক করে সন্ধির বাসাতে যেই ফ্ল্যাট টা খালি পড়ে আছে ওটায় শ্রাবণকে শিফট করা হবে,,হিয়া যে সেটা সহজে মেনে নিবে না তাই জন্য সে এই প্রস্তাব টা সন্ধির বাবা মাকে দিয়ে হিয়ার কাছে তুলে,,প্রথমে এক প্রকার না করলেও সন্ধির বাবার কথা হিয়া ফেলতে পারে না,,হিয়া রাজি হয়ে নিতেই উজান এই পাঁচ ছয় ঘন্টায় মধ্যে ফ্ল্যাট টাকে পরিষ্কার করে হিয়া আর শ্রাবণের জন্য নতুন একটা বিছানা একটা আরএফএলের কম টাকার মাঝে আলমারি আর একটা ছোট্ট আয়না নিয়ে এসে একটা রুমকে ঠিক মতো সাজিয়ে দেয় আর সন্ধিকে বলে হিয়াকে বলতে যে এগুলো আগের ভাড়াটিয়ার, ওরা দূরে শিফট করাতে এগুলো নিয়ে যেতে পারে নি,,হয়তো পরে কখনো এলে নিয়ে যাবে এগুলো আপাতত হিয়া ব্যবহার করতে পারে,,সব কিছু ব্যবস্থা করে এ্যাম্বুলেন্সে করে শ্রাবণকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে,,উজান হসপিটাল থেকে যা লাগে সব নিয়ে আসে, স্যালাইন বোতল স্ট্যান্ড অক্সিজেন সিলিন্ডার মানে পুরো রুম টাকে বানিয়ে দেয় ঠিক হসপিটালের মতোই,,যাতে তার শ্রাবণের কোনো কমতি না হয়,,আর এতো কিছুর পরো শুরু হয় আবার সেই হিয়ার পাগলামো
হিয়াঃ আমি এতো বোকা নই যে এসব আপনার কাজ এটা আমি বুঝবো না,,প্লিজ আমাকে দয়া করা বন্ধ করুন এবার,,আমার সাথে থাকলেই আপনার বিপদ আপনি কেনো বুঝতে চাইছেন না
উজানঃ হিয়া আমি কি করে তোমাকে আর শ্রাবণকে ছাড়া থাকবো প্লিজ একটু বুঝো তুমি
হিয়াঃ না আপনাকে আমাদের কে ছাড়া থাকতে শিখতে হবে,,প্লিজ আপনি ফিরে যান,,আপনি তো আমার সব আবদার রাখেন বলুন প্লিজ এ-ই কথাটাও আমার রাখুন আজ,,
উজানঃ আমি পারবো না তোমাদের কে ছাড়া থাকতে,,আমাকে তুমি এ-তো বড় শাস্তি দিতে পারো না হিয়া
হিয়াঃ আপনার যদি এটাকে শাস্তি বলে মনে হয় তাহলে এটাই হোক,,আপনার সামনে একটা গোটা ভবিষ্যৎ পড়ে আছে,,কতো কিছু দেখার আছে আপনার কতো উঁচুতে গিয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে কিন্তু আমার জন্য কেনো আপনি,, প্লিজ আপনি ফিরে যান,,যান না উজান
উজান এবার অঝোরে কেঁদে ফেলে,,সে যে কিছুতেই হিয়া আর শ্রাবণকে ছাড়া থাকতে পারবে না,,এদিকে হিয়া বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠে উজানকে ধাক্কা দিয়ে ওর আর শ্রাবণের রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়,,উজান হিয়া হিয়া বলে ডাকতে থাকলেও হিয়া গেট না খুলে গলা ছেড়ে কাঁদতে শুরু করে,,একদিকে উজান কাঁদছে আরেক দিকে হিয়া কিছুতেই আজ আর কারো কান্না থামছে না
!
!
!
এক সপ্তাহ পরঃ
সন্ধিঃ আয় জলদি,,হিয়া গোসলে গেছে এ-র মধ্যে টপ করে দেখে যা শ্রাবণকে
সন্ধি গিয়ে পেছন দিয়ে বাথরুমের দরজা টা লক করে দিয়ে উজানকে শ্রাবণের কাছে নিয়ে আসতেই উজান শ্রাবণকে জড়িয়ে কেঁদে উঠে,,এই এক সপ্তাহ ধরে হিয়া নিজের মনের সাথে এক প্রকার যুদ্ধ করে উজানকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে,,না নিজের চেহারা টা উজানকে দেখতে দিয়েছে না নিজের কন্ঠ টা উজানকে শুনতে দিয়েছে,,হিয়া যখন করে গোসলে যায় ঠিক ও সময় টা করে সন্ধি এসে এসে শ্রাবণের সাথে থাকে কিছুটা সময় আর প্রতিদিন ঔ ১৫/২০,মিনিট সময়ের জন্য উজান এসে এসে শ্রাবণকে দেখে যায়,,
উজানঃ এই শ্রাবণ উঠ না,,আর কতো ঘুমোবি,,তোর বোন যে আমার সাথে কথা বলছে না শ্রাবণ,,একটু উঠে তোর বুবুকে বল না আমার সাথে কথা বলতে___তুই উঠবি না খেলবি না আমার সাথে,,আমি আমি তোর জন্য একটা নতুন সাইকেল কিনছি তুই চালাবি না,,এই ছেলে শুনতে পারছিস না তুই আমার কথা,,উঠ না শ্রাবণ আর কতো কষ্ট দিবি আমাদের,,তোর বুবুকে যে আমি চোখে হারাচ্ছি,,আমার চোখ দুটো যে খুব ব্যাথা দিচ্ছে তোর বুবুকে দেখার জন্য❤️
!
!
!
এক মাস পরঃ
হঠাৎই আজ শ্রাবণের ক্যাথেটার চেঞ্জ করতে গিয়ে হিয়ার চোখ পড়ে শ্রাবণের উপর,,হিয়া খেয়াল করে শ্রাবণ চোখ খুলে তাকিয়ে আছে,,প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে যায় হিয়া,,নিজেকে স্বাভাবিক করে শ্রাবণের দিকে ঝুঁকে শ্রাবণের মুখে হাত রাখতেই হিয়া দেখে শ্রাবণ সত্যি সত্যি চোখ খুলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,মাঝে মাঝে এক কি দুবার পলকো ফেলছে___শ্রাবণকে এরকম চোখ খুলে তাকিয়ে থাকতে দেখে হিয়া খুশিতে কাঁপতে শুরু করে,,কি করবে না করবে কিচ্ছু বুঝে উঠতে পারে না সে,,মুখে হাসি চোখে পানি মনে আনন্দ সব মিলে একাকার হয়ে হিয়া দৌড়ে ছুটে গিয়ে সন্ধিকে ডেকে নিয়ে আসে,,সন্ধি এসে কোনো দেড়ি না করে উজানকে ফোন করে ডাকতেই উজান ডক্টর সহ তৎক্ষনাৎ বাড়িতে এসে পৌঁছে,,
ডক্টরঃ পেশেন্ট এখন অনেক টাই রেসপন্স করছে,,আমরা আশা করছি হয়তো দু একের মধ্যে সে আবার নরমাল লাইফে ফিরে আসতে পারবে,,সে আপনাদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছে,,এখন বাকি টা শুধু সময়ের অপেক্ষা
হিয়াঃ আপনি ঠিক বলছেন তো,,মানে শ্রাবণ আমাদের দেখতে পাচ্ছে শুনতে পারছে এসব সত্যি সত্যি সে আমাদের অনুভব করতে পারছে
ডক্টরঃ কিছুটা পুরোটা না,,তবে ওর কন্ডিশন দেখে বোঝা যাচ্ছে বাচ্চা টা হয়তো আর কিছু দিনের মধ্যে,,আপনারা ওর সাথে কথা বলুন ও চোখ খুললে ওর সামনে এসে ওকে দিয়ে কথা বলাতে চেষ্টা করুণ দেখবেন ও আরো জলদি রেসপন্স করবে
উজান দৌড়ে এসে ডক্টর টাকে জড়িয়ে ধরে
উজানঃ আপনি জানেন না আপনি আমাদের কি নিউজ দিলেন,,আমি তো ভাবতেই পারছি না আমাদের শ্রাবণ আবার,,Thank you doctor Thank you thank you thank you
ডক্টর কে বিদায় দিয়ে সবাই ছুটে এসে আবার শ্রাবণের চোখ খোলার অপেক্ষা তে থাকে,,কে কি বলবে কি করবে শুরু হয় সবার পাগলামো,,এদিকে শ্রাবণকে দেখার ফাঁকে উজান ব্যস্ত হিয়াকে আজ মন ভরে দেখতে,,অনেক দিন ধরে দেখে নি না,,চোখ ব্যাথা টা যদি এবার একটু কমে❤️
!
!
!
আজ শ্রাবণের জন্মদিন,,শ্রাবণের জন্মদিনের এ-ই দিনে উজান শ্রাবণের রুম টাকে পুরো বেলুন ফুল দিয়ে সাজিয়ে একদম জমকালো সাজে ভরিয়ে তুলেছে,,তুষারকে দিয়ে একটা ইয়া বড় কেক নিয়ে এসেছে,,যে করে হোক আজকে তাকে শ্রাবণকে দিয়ে কিছু বলাতেই হবে মানে হবে
ঝিনুকঃ আরে শ্রাবণ উঠ না,,কেক কাটবি না কেক তো গরমে গলে যাচ্ছে এবার
সন্ধিঃ কেক রাখ এই তুই আমাকে দেখতে পারছিস,,সেলফি তুলবি না,,আচ্ছা আমি ক্যামেরা ধরছি তুই একটু হাসি দে কেমন
তুষারঃ রাখ তো তোর সেলফি,,এই বুড়া দেখ আমি আজকে কি আনছি তোর জন্য গিটার হে হে,,,আজ ভালো ভাইয়া তোকে গিটারে গান শুনাবে,,,উঠ জলদি
উজানঃ দেখি দে গিটার টা আমাকে,,হেই চ্যাম্প গান শুনবি একটা,,গাবো গান একটা আমি
ঝিনুকঃ হুম হুম ভাইয়া আজ আমাদের শ্রাবণকে একটা ঝাক্কাস গান শুনিয়ে দেও দেখি
সন্ধিঃ কি হিয়া তুমি ওদিকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি দেখছো,,আসো না কথা বলো একটু শ্রাবণের সাথে
রুপমঃ আরে হিয়া আসো না তুমি না আসলে যে শ্রাবণের ভালো ভাইয়া গান ঠিক করে করতে পারে না,,আসো ফাস্ট
ঝিনুক গিয়ে হিয়াকে টেনে নিয়ে এসে হিয়াকে উজানের পাশে দাঁড় করে দেয়,,উজান একটা হাসি দিয়ে গিটারে সুর তুলে গান গাইতে শুরু করে,,গানের ফাঁকে কখনো এসে হাত বুলিয়ে দেয় শ্রাবণের মুখে,,
🍁
লক্ষীসোনা,আদর করে দিচ্ছি তোকে
লক্ষ চুমু, মায়া ভরা তোরই মুখে
কলিজা তুই আমার,
তুই যে নয়নের আলো
লাগেনা তুই ছাড়া,
লাগেনা তো যে ভালো।
রূপকথা তুই তো আমারই,
জীবনের চেয়ে আরো দামি,
তুই আমার জীবন, তুই ছাড়া মরণ,
তুই যে আমারই সাত রাজারও ধন
কলিজা তুই আমার,
তুই যে নয়নের আলো
লাগেনা তুই ছাড়া,
লাগেনা তো যে ভালো।
রূপকথা তুই তো আমারই,
জীবনের চেয়ে আরো দামি
তুই চাঁদের কণা, তুই ছানা বোনা,
তুই যে আমারই, সব সুখেরই ক্ষণ
কলিজা তুই আমার,
তুই যে নয়নের আলো
লাগেনা তুই ছাড়া,
লাগেনা তো যে ভালো
🍁
গান শেষ করতেই সবাই হাত তালি দিয়ে উঠে,, কেক কেটে শ্রাবণের মুখের সামনে ধরে যা ইচ্ছে বলে গিয়ে কি না কি করতে শুরু করে,,একটা সময় হিয়া এবার রেগে গিয়ে উজানকে এসে রাগ করতে শুরু করে,,তার এতো নিষেধ করার পরো কেনো উজান ওর একটা কথাও শুনতে চাইছে না,,কেনো কেনো কেনো!!
হিয়াঃ হয়েছে আপনার জন্মদিন পালন করা এবার আপনি দয়া করে ফিরে যান
উজানঃ আর কিছুক্ষণ থাকলে কি ক্ষতি টা হবে হিয়া,,আজ রাত টা আমি থাকি না শ্রাবণের সাথে,,দেখো ও কি রকম তাকিয়ে আছে আমার দিকে
হিয়াঃ না ও কারো দিকে তাকিয়ে নেই,,প্লিজ আপনি ফিরে যান,,আমি আপনাকে কখনোই কিছু দিতে পারবো না,,শ্রাবণ কিছু দিন পর সুস্থ হয়ে আসলে আমি ঠিক করেছি আমি শ্রাবণকে নিয়ে গ্রামে ফিরে যাবো,,আমার আশেপাশে থাকলেই যে আপনার বিপদ হতে পারে যখন তখন
উজানঃ মাথা ঠিক আছে তোমার,,গ্রামে ফিরে যাবো মানে টা কি হ্যা(রাগে)
হিয়াঃ ফিরে যাবো মানে ফিরে যাবো,
উজানঃ আর তোমার পড়াশোনা তোমার ক্যারিয়ার,,লিসেন হিয়া আমি এই এক দু মাস ধরে তোমার সব কিছু শুনে গেছি,,না চাইতেও তোমার হ্যা তে হ্যা করতে গিয়ে অনেক কিছু করে ফেলেছি কিন্তু এ-র পর তুমি কিন্তু আমাকে আর রাগিয়ে দিও না বলে দিলাম তখন কিন্তু এই আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না😡কেউ না
হিয়াঃ কি করবেন আপনি জোর করবেন আমাকে,,থাকবো না আমি এখানে কি হবে এখানে থেকে,,যেখানে নিরাপদ ভাবে বাঁচতে গিয়ে আমাকে আমার প্রিয় মানুষদের কে____
হিয়া রাগে উজানকে আর কিছু বলতে গিয়েও একটা শব্দ কানে ভাসতেই চুপ হয়ে যায়,,এই শব্দ টা ছিলো একটা বহু প্রতিক্ষিত একটা শব্দ তার কাছে,,যেনো কতো কাল ধরে সে তার এই ডাক টা শুনে না,,শব্দ টা সবার কানে পৌঁছালেই হিয়া সহ রুমের সবাই চুপ হয়ে বিছানায় শুইয়ে থাকা বাচ্চা টার দিকে তাকাতেই থমকে যায়,,হ্যা শ্রাবণ তার বুবুকে বুবু বলে ডাকছে,,কেনো সে তার ভালো ভাইয়া কে এভাবে বকছে কি করেছে কি তার ভালো ভাইয়া যে হিয়াকে তাকে এভাবে বকতে হবে,,আবার কোনো গন্ডগোল পাকাইছে নিশ্চয়
শ্রাবণঃ বুবু_____এ-ই বুবু তুই আমার ভালো ভাইয়া কে বকছিস কেনো এভাবে (ভাঙা কন্ঠে)
_________________🍁__________________