😏 #মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒
ইভা রহমান
Part-46
দা বটি ছুড়ি ইট যা হাতের কাছে পেয়েছে সব নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফ্রেন্ডগুষ্টি,,চোখে সবার রাগের আগুন জ্বলছে,, ঠান্ডার এই রাতে উজান কি-না ওদের বোকা বানিয়ে ওভাবে ছাঁদে আঁটকে রাখলো,,এ-ই মুহুর্তেই এর একটা হেস্তনেস্ত করতে হবে এ্যাট এনি কস্ট,,হু
সবার সামনে দরজায় হেলান দিয়ে,হাত দুটো বুকের কাছে গুঁজে নিয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে উজান,,উজানের মাঝে ডোন্ট কেয়ার ভাব থাকলেও হিয়ার চোখেমুখে ভয় নামক বস্তুটার দেখা মিলছে স্পষ্ট ,হিয়া উজানকে এতো গুলো বাঘের সামনে দাঁড় করিয়ে তার পেছনে গুটিসুটি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একপাশে,,ভয়ে খিঁচে ধরে আছে উজানের পিঠের শার্ট,,
সন্ধিঃ তোরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর মুখ কি দেখছিস,,এক কোপা দিয়ে ওর মাথা টা ঘাড় থেকে আলাদা করে দিলেই তো হচ্ছে,,
ঝিনুকঃ তা তো দেবোই আপু তার আগে ভাইয়ার সাথে হাতে হাত যে মিলিয়েছিলো- তাকে বুঝি এ-তো সহজে ছেড়ে দেবো,,এ-ই তুই এরকম চোরের মতো লুকিয়ে আছিস কেনো,,সামনে আসতে কলিজা কাঁপছে না খুব তোর,,
তুষারঃ আমরা সবাই রাগে ফেটে যাচ্ছি আর একে দেখ কিরকম বেক্কালের মতো হেঁসে যাচ্ছে,,
রুপমঃ আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না তোরা এসব কথা বাদ দিয়ে ওকে দুটো কিল বসিয়ে দিচ্ছিস না কেনো,,
সাব্বির এসে উজানকে একটা কিল বসাতে যাবে ওমনি উজান এক হাত বাড়িয়ে সাব্বির কে থামিয়ে দেয়,,
উজানঃ এক মিনিট,,
সন্ধিঃ হোয়াট?
উজানঃ তোর একাউন্টে পাঁচ আর সাব্বিরের একাউন্টে পাঁচ দিচ্ছি,,আই হোপ এবার আর কারো কোনো অসুবিধে নেই,,
সন্ধিঃ হারামি তুই ঘুষ দিচ্ছিস আমাদের,,লাগবে না তোর টাকা,,সারারাত ছাঁদে হির হির করে কেঁপে এখন তোর এই মুখের হাসি দেখেই গা রি রি করে কাঁপছে আমাদের আর তুই আমাদের টাকার লোভ দেখাচ্ছিস,,
উজানঃ তো তোরা কি ভেবেছিলি তোরা সব গুলো উজান শাহরিয়ার এর বাসর ভেস্তে দিবি, এতো সোজা,,শোন আমার থেকে এক কদম এখনো তোরা চলতে পারিসনি বুঝলি,,,সো টাকা টা ভালোয়া ভালোয় নে নাহলে আখেরে লস টা তোদেরই হবে,,
জিনিয়াঃ আপু বলছে যখন নিয়েই নেও না,এমনিতেও আজ বড় আব্বু আর বাবা সকাল সকাল উঠে পড়ছে,,বড় আব্বু আবার এসব খুব একটা পছন্দ করে না,,পরে দেখবা আম তো পাবোই না আমের আঁটিও চোখে দেখবো না,,
সন্ধিঃ আচ্ছা শোন তাহলে,, শ্রাবণ তো আমাদের এখনো পিন কতো সেটা বলে নি,,ওটা না হয় শুনে নিতে পারবো,,আর তখন কুত্তা টার মানিব্যাগে ছিলো ৭,,এখন পাঁচ নিলে ১২__হুম_________এ-ই শোন পাঁচ হবে না মেয়েদের আরো অনেক কিছু কিনতে হয়,,তুই ৮দে
উজানঃ কখনোই না,,নেভার,,আমার টাকা গাছে ধরে নি যে বললেই আমি টাকা দিয়ে দেবো,এটা যে দিচ্ছি এটা তোদের ভাগ্য,,
ঝিনুকঃ তোমার টাকা যে গাছে ধরে না তা তো আমরা তোমাদের কাবিননামা দেখেই বুঝতে পারছি ভাইয়াআআআ,,
হিয়াঃ চাচ্ছে যখন দিয়েই দিন না,,এরা সামন থেকে না সরলে আমি যাবো কিভাবে,,ফুফুরা কি ভাববে বলুন তো বাড়ির বউ প্রথম দিনেই এ-তো বেলা করে ঘুমোচ্ছে,,
উজানঃ আআআআ,,,,তোদের তিন দিলে আমার এ মাসের বেতন পুরাই শেষ হবে একটু বুঝ,,
সন্ধিঃ কিছু বললি শুনতে পারিনি,,
উজানঃ আমি ঢাকায় গিয়ে আমার নতুন সংসারটা চালাবো কি করে,,একটু বুঝ না সন্ধি,,
সন্ধিঃ আরেকটু জোরে বল শুনতে পাই নি এখনো,
উজানঃ তুই একটা ছ্যাচড়া মেয়ে,,আঠার মতো একটা জিনিসের সাথে চিপকে থাকিস, বেয়াদব,,কোন এ্যাকাউন্টে টাকা দেবো সেটা বল,,নগদ না কার্ডে?
সন্ধিঃ নগদে দে,,কার্ড আনি নাই,,আর চার্জ টাও দিয়ে দিবে ৩হাজারে ৬০টাকা
হিয়াঃ ৩হাজারে তো ৩৩টাকা হয় আপু,,আপনি না এ্যাপ দিয়ে তুলেন,,(নরম সুরে)
ঝিনুকঃ ও হো রে,,ইসস ভাইয়া বউ পাইছো একটা তোমার ২৭টাকা বাঁচানোর জন্য তোমার বউয়ের কি মিষ্টি আবদার,,
উজান হালকা হাসি টেনে ফোন বের করে সন্ধির এ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে থাকে,,
উজানঃতুষার বিয়ের পর প্রতিরাতে নেশা করে এসে তোকে পিটাবে আমি অভিশাপ দিলাম,,
সন্ধিঃ তুষার😒
তুষারঃ না না সন্ধি পাখি আমি কখনো এরকম করতে পারি বলো তুমি,,বাদ দেও তো ওর কথা,, ওর তো সবসময় বাজে গল্প
সন্ধিঃ মনে থাকে যেনো,,
তুষারঃ হুম হুম যথাযথ ম্যাডাম,,
উজানঃ টাকা নেওয়া হয়েছে না তোদের,,ভাগ এখন,,ফাস্ট
সন্ধিঃ থাকবে কে আর তোর এখানে,,তা কালকে রাতে কি কি করলি বলবি না আমাদের একটুউউউউউ,,
উজানঃ যাবি কি,, না ডাকবো মা’কে,,মা ও মা,,মা দেখো,,
সন্ধিঃ যাচ্ছি যাচ্ছি আন্টিকে ডাকার কি আছে হু,,
মেয়েদের গ্যাং চলে যেতেই ছেলেরা এবার সামনে দাঁড়িয়ে যায়
উজানঃ হোয়াট,,
রুপমঃ আমরা কি ছেলেরা পাঁচ নিয়েই ওফ হয়ে যাবো,এটা কোনো কথা,
উজানঃ যা দিছি নে,,নয়তো গিয়ে মুড়ি খা,,আমাকে ছিনতাই করলেও আর এক পয়সাও তোরা আমার থেকে বের করতে পারবি না,,ভাগ গিয়ে,,যাআআ
রুপমঃ যাচ্ছি,,তবে পাওনা থাকবে সব টা মনে রাখিস,,
সবাই প্রস্থান নিতে উজান চোখ বাকিয়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়,,হাত দুটো ঝুলিয়ে দেয় হিয়ার কাঁধে,,হিয়া ওর হাত দু’টো উজানের বুকের উপর নিয়ে এসে রাখে,,
উজানঃ এ-ই যে ম্যাডাম আপনাকে নিজের করতে গিয়ে যে আমার পকেট সব ফুটো হয়ে গেলো তার কি হবে এখন?
হিয়াঃ হুমমম বুঝলাম,,তা এখন কি দিয়ে এ-ই মাস টা চালানো হবে শুনি,,মাসের আরো দশ দিনের মতো যে বাকি আছে সে খেয়াল আছে,,
উজানঃ কেনো আপনি তো আছেন,,সেদিন জানি গুনগুনের মা বাকি বেতন টা কতো নগদে পাঠিয়ে দিলো,,
হিয়াঃ আচ্ছা,,তাহলে সাহেবের এখন আমার টাকার উপর নজর পড়েছে দেখছি,,ঠিক আছে তাই সই,সংসার টা যখন দু’জনের দুজনেই সেটাকে সাজাবো না হয়,,তবে হ্যা আপনাকে আমায় কথা দিতে হবে এরপর থেকে সব কিছু মেপে ঝুঁকে খরচ করবেন আপনি তবেই আমি আপনার সংসার গুছিয়ে রাখবো নয়তোওওও,,
উজানঃ আচ্ছা ম্যাডাম,দরকার পড়লে আমার স্যালারির সব টাকা আমি আপনার হাতে তুলে দেবো আপনার যেভাবে যা খরচ করার ইচ্ছে আপনি করবেন,,খুশি
হিয়াঃ হুমম,,পুরো স্যালারি আমার হাতে তুলে দিলে শ্রাবণকে চুপিচুপি চকলেট কিনে দেবে টা কে শুনি!
উজানঃ কেনো আপনার থেকে চুপিচুপি কিছু টাকা নাহয় ডাকাতি করে নেবো,,
হিয়াঃ তাই না,,ফাজিল একটা,,ছাড়ুন এবার আমার সত্যি দেড়ি হচ্ছে,,
উজানঃ এটাই তো সমস্যা পিচ্চি ম্যাডাম,,আপনাকে যে ছাড়তেই মন টা চায় না!!
হিয়াঃ যা অসভ্য লোক একটা,,
!
!
!
সকাল এগারোটার একটু পর, নাস্তা শেষে নিজের রুমে এসে একটা বই নিয়ে বসে পড়ছিলো সমরেশ,,এ বাড়িতে এসে একান্তে একটু বই পড়া ছিলো তার চিরচেনা অভ্যাস,,কোনো ঝামেলা নাই, কারো কোনো কথা শুনানি নেই,এ বাড়িতে আছে তার একটা অন্য রকম শান্তি___বই পড়তে পড়তে শরীর টা বালিশে এলিয়ে কখন যে চোখ টা সে হালকা বুজে দিয়েছিলো সে খেয়াল তার নেই,,কপালে হাত রেখে বই টা বুকের কাছে নিয়ে ভাবনার জগৎ এ হারিয়ে যেতেই আমাদের শ্রাবণ সোনা গুটি গুটি পায়ে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তার দাদু ভাইয়ের কাছে এসে দাঁড়ালো,,আলতো করে হাত বাড়িয়ে ডাকতে শুরু করলো সমরেশকে,,
শ্রাবণঃ দাদু ভাই,, এ-ই দাদু ভাই এ-ই উঠো নাআআআ,,,এ-ই
শ্রাবণের কন্ঠ সেই মিষ্টি দাদু ভাই ডাক শুনে সমরেশ তার ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে কপাল থেকে হাত নামালো,চোখ মেলে তাকালো শ্রাবণের দিকে,
সমরেশঃ কি চাই তোমার এখানে?
শ্রাবণঃ এ-ই যে নেও এটা মিসটি(মিষ্টি) তুমি এটা গপ করে খেয়ে ফেলো তো,
সমরেশঃ মিষ্টি কেনো?কে দিতে বললো তোমাকে এসব?
শ্রাবণঃ কেউ বলেনি তো,,তকন দাদি মনি তোমাকে যে মিষ্টি দিলো না,তোমার সাথে রাগ করলো মিষ্টি খাওয়া নিয়ে,
সমরেশঃ তাতে কি হ’য়েছে,,
শ্রাবণঃ আমি তো বুঝছি দাদি মনি তোমাকে মিষ্টি দেয়নি দেখে তোমার মন খারাপ হইছে,,তাই জন্য তো আমি তোমার জন্য মিষ্টি আনলাম,,নেও নেও এখন এটা গপ করে খেয়ে ফেলো,,
শ্রাবণের এ-ই কাজে সমরেশ বিছানা থেকে উঠে বসে,,শ্রাবণের ঔ মিষ্টি হাসি,,মুখের আধো আধো বুলি দিয়ে বলা দাদুভাই ডাক না চাইতেও একটা মানুষের পাথর মনকেও গলিয়ে দিতেও সক্ষম যেনো,,
শ্রাবণঃ বুবু যখন আমাকে চককেট খেতে দেয় না তকন আমারো খুব মন খারাপ হয়,তকন ভালো ভাইয়া কি করে জানো, আমার ইস্কুলের ব্যাগে এ-তো এ-তো চককেট কিনে দিয়ে লুকিয়ে রাখে,,বুবু যখন টিউশনে বা বাড়সিটি যায়,,বা এসে যখন গোসল করতে যায় তকন আমি চুপ করে গপ গপ করে সব চককেট খেয়ে ফেলি,,কি মজাআআ চককেট
শ্রাবণের কথায় সমরেশ হেঁসে দেয়,,
সমরেশঃ বুবু তোমাকে চকলেট খেতে দেয় না কেনো?
সমরেশের প্রশ্নে শ্রাবণ ৩২পাটি দাঁত বের করে হি করে থাকে,,
শ্রাবণঃ এ-ই যে,আমার দাঁত দেখো,,এটা এটা,,দেখছো দুইটা দাঁত পোকা খাইছে,,দেখছো?
সমরেশঃ হুম
শ্রাবণঃ ঔজন্য বুবু চকলেট খেতে দেয় না,,চককেট খেলে না-কি দাঁত এ আরো পোকা হয়ে যাবে😥
সমরেশঃ তাহলে খাও কেনো?সব দাঁত পোকা খেয়ে নিলে কি হবে জানো না,,
শ্রাবণঃ আরে বোকা,,,,ভালো বাইয়া কি বলে জানো না,,
সমরেশঃ কি বলো?
শ্রাবণঃ বলে যে এগুলো তো আমার দুদ দাঁত আমি যখন বড় হবো তকন এগুলো সব দাঁত তো আমার এমনিতেও পড়ে যাবে,,তাহলে আর পোকাকে খেতে দিলে সমস্যা কি,,তাপর তাপর যকন ওগুলো পড়ে যাবে আমি ওগুলো সব ইঁদুরের গর্তে নিয়ে গিয়ে কি বলবো জানো?
সমরেশঃ কি?
শ্রাবণঃ ইঁদুর ভাই ইদুর ভাই আমার দাঁত তুমি নেও আর তোমার শক্ত শক্ত সাদা দাঁত আমাকে দেও,,ইঁদুর ভাই ইদুর ভাই,,
শ্রাবণের এ-ই কথা শুনে সমরেশ একদম গলা ছেড়ে হাসতে শুরু করে,,এমন হাসি যে পাশের ঘর থেকে শোনা যাচ্ছে স্পষ্ট,,
!
!
জিনিয়াঃ কি ব্যাপার মা,,বাবা আজ এ-তো হাসছে যে,
বাসবিঃ দাদু ভাই কে যে পেয়েছে উনি, তাই তো ওনার হাসির মেলা লাগছে আজ,,
হিয়াঃ আমার না খুব ভয় হচ্ছে মা,আপনাকে বললাম ওকে বাবার ঘর থেকে নিয়ে আসি,,আপনি কেনো আমাকে নিষেধ করলেন,
জিনিয়াঃ ভাবি তুমি না শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো,,আমার বাবা কিন্তু বাঘ ও না ভাল্লুক ও না যে শ্রাবণ বিচ্ছুটাকে খেয়ে ফেলবে,,
হিয়াঃ এ মা না না,আমি তা বলি নি,,বাবা যে গম্ভীর আমার শুধু ভয় হয় শ্রাবণ না ওনার সাথে দুষ্টুমি করতে করতে,,
বাসবিঃ তুমি না অহেতুক ভয়ে থাকো মা,,দেখছো না ওরা কি রকম হাসছে,,কিচ্ছু হবে না,,
হিয়াঃ হুম,,
!
!
!
শ্রাবণঃ এই এ-ই তুমি এরকম করে হাসছো কেনো,,কেউ এসে যাবে তো,,
সমরেশঃ(হাসি থামিয়ে) যদি কখনো তোমার বুবু এসে দেখে তখন কি হবে?
শ্রাবণঃ দেকছিলো তো একদিন,,কি হয়েছিলো জানো,,আমি চককেট খাচ্ছিলাম আর পেছন থেকে এসে আমাকে গপ করে ধরে নিয়েছিলো ,,আমি কি ভয় পাইছিলাম
সমরেশঃ তারপর,
শ্রাবণঃ তারপর তো ঔ আমার থেকে সব চককেট নিয়ে নিলো,আর ভালো ভাইয়া কে ফোন দিয়ে এ-তো গুলোআআ বকা দিলো,,কি বলবো তোমাকে,,কি যে রাগ করছিলো ঔদিন বুবু,,
সমরেশঃ তারপর থেকে তুমি আর চকলেট খাও না,,
শ্রাবণঃ খাই তো,,শুনো শুনো
শ্রাবণ সমরেশ কে হাত দিয়ে ডেকে ওর কাছে আসতে বলে,,সমরেশ একটু ঝুঁকে বসলে শ্রাবণ সমরেশের কানে ফিসফিস করে কথা বলতে শুরু করলে সমরেশ আবার মিটে মিটে হাসি দিয়ে ফেলে,,
শ্রাবণঃ কাউকে বলবা না কিন্তু,,ভালো বাইয়া আমাকে তার পরো চুপ চুপ করি চককেট কিনে দেয়,,আমাকে বাহিরে নিয়ে গেলে আমাকে কিনে দেয় আমি বাড়িতে ঢুকার আগে সব খেয়ে ফেলি,,বুবু তো কিচ্ছু জানে না,,তুমি কিন্তু বুবুকে বলবা না হ্যা,,
সমরেশঃ আচ্ছা বলবো না,,
শ্রাবণঃ নেও নেও এখন গপ করে খেয়ে ফেলো এটা,ফাস্ট
সমরেশ শ্রাবণের থেকে মিষ্টি দুটো নিয়ে টপাটপ খেয়ে ফেলে,,শ্রাবণ পানির গ্লাস এগিয়ে দিলে সমরেশ পানি খেয়ে নিয়ে,শ্রাবণকে কোলে নিয়ে ব্যালকুনি তে দাঁড়িয়ে যায়,আর শুরু হয় দাদু নাতির মজার মজার সব গল্প,,
!
!
!
দুদিন পর আজ সন্ধিরা সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেরার জন্য,,ওদিকে আবার ভার্সিটি থেকে উজানের কাছে ফোন আসছে বারবার,,উজান তো কোনো দরখাস্ত জমা না করেই এতোদিনের ছুটি নিয়ে ফেললো,,ভাগ্যিস মকবুল স্যার ওদিকে সব টা সামলে নিয়েছিলো নাহলে সবে জয়েন করা কোন টিচার এ-তো ব্রেক নেয় শুনি,,প্লেনের টিকিট পাওয়া যায় নি তাই সবাই বড় একটা হায়েজ ভাড়া করে নিয়েছে,,হায়েজে সন্ধি,ঝিনুক,হিয়া সহ তুষার-সাব্বির-রুপম সহ উজান আর শ্রাবণের যাওয়ার কথা আছে,,
কথা মতো সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলো যাবার কিন্তু সবার প্রস্তুতির মাঝে এবার বাড়ি না ফেরার জেদে কান্না শুরু করে দেয় আমাদের ছোট্ট শ্রাবণ,,বাড়িতে গেলে যে আবার তার সেই বন্দি বন্দি একলা একলা জীবন,,এখানে যে সমরেশের সাথে তার ভাব টা সাতটা মহাসাগরের চাইতেও গভীরে গিয়ে ঠেকেছে সে কি আর হিয়া জানে!!
এদিকে শ্রাবণের জেদ দেখে হিয়া পুরো থ,,যেই ছেলে আগে হিয়ার এক কথাতে সব করতে রাজি ছিলো সে কি না এখন হিয়া আর তার ভালো ভাইয়া কে রেখে এখানে থাকার বায়না করছে,,তাও আবার সমরেশের কোলে চেপে,,হিয়া তো ভয়ে পুরো জমে যাচ্ছে এ-ই বুঝি উজানের বাবা না তাঁকে আর শ্রাবণকে এবার ইচ্ছে মতো বকা দিয়ে দেয়,,কি একটা ঝামেলা,,
সমরেশঃ তোমাদের ব্যাস্ততা থাকলে তোমরা না হয় চলে যা-ও,,শ্রাবণ না হয় কিছু দিন এখানে থাক,,তোমাদের আসতে হবে না আমি নিজে গিয়ে না ওকে দিয়ে আসবো এখন,,
সমরেশের এই কথায় উপস্থিত সবাই হতবাক,,বিশেষ করে হিয়া,,যেই লোক প্রথমদিনে শ্রাবণের প্রশ্নের উত্তরই দিতে চাইছিলো না আজ উনি নিজের মুখে কি করে!!
বাসবিঃ তুমি চাইছো যে শ্রাবণ কিছুদিন এখানে থাক!!
সমরেশঃ এতে এরকম অবাক হ’য়ে বলার কি আছে,আর শ্রাবণ তো নিজেই বলছে যে ও যেতে চাইছে না,তাহলে তোমরা কেনো খামোখা বাচ্চা টাকে জোর করছো,,
বাসবিঃ হ্যা তা ঠিক আছে,,শ্রাবণ থাকলে আমার চাইতে খুশি আর কে হবে,, রাজা,,
উজানঃ হুম বলো,,
বাসবিঃ শ্রাবণ না হয় থাক কিছু দিন এখানে,তুই আর হিয়া বরং আজ ওকে রেখে যা,,
উজানঃ আমি কি বলি এখানে,,হিয়া যদি,,
বাসবিঃহিয়া মা তোমার কোনো সমস্যা নেই তো এতে,
হিয়াঃ না মা,,কিন্তু মা শ্রাবণ এখন বলছে যে ও থাকতে চাইছে কিন্তু রাত হলে দেখবেন আমাকে দেখতে না পেয়ে একদম কান্নাকাটি শুরু করে দেবে,
বাসবিঃ কোনো কান্নাকাটি করবে না,,এই দুদিন কি ও রাতে আমার কাছে থাকে নি,কোথায় একবারো তো তখন তোমার কাছে যাবার জন্য কান্নাকাটি করেছিলো না,
হিয়াঃ আমি তো তখন ছিলাম মা বাড়িতে,,এখন যদি না থাকি দেখবেন তখনই ওর একটা না একটা ঝামেলা শুরু হ’য়ে যাবে,,আপনাদের জ্বালিয়ে শেষ করে দেবে,,তার চেয়ে বরং এবার ও আমাদের সাথে যাগ পরের বার ওনার ছুটিতে না হয় আমরা বেশিদিন এসে থেকে যাবো,,
হিয়ার মুখে আবার না শুনে শ্রাবণ আবার চিৎকার করে কেঁদে উঠে,,
শ্রাবণঃ আমি যাবো না যাবো না যাবো না,,আমি এখানে থাকবো,,দাদু ভাই আমাকে বলেছে আমরা কালকে সেদিনের মতো আবার চিড়িয়াখানা গুড়তে(ঘুরতে)যাবো,হাতি দেখবো বাঘ দেখবো,,দাদুভাইইই আমি যাবোওও না,,
হিয়াঃ কেনো জেদ করছো শ্রাবণ তুমি,,তুমি না কতো বড় হইছো বলো,,এমন কেউ করো,,দাদু ভাইয়ের তো আরো অনেক কাজ আছে বলো উনি কি করে তোমাকে আবার হাতি বাঘ দেখতে নিয়ে যাবে,,
শ্রাবণঃ না না না,,দাদু ভাই আমাকে বলেচে তার কোনো কাজ নেই,,তুই যা নাআআআ বাড়িইইই,,আমি এখানে থাকবো,,
হিয়া এবার হালকা রেগে গিয়ে উজানের কাছে নালিশ করে,,তার মতে শ্রাবণের এই জেদের এক মাএ কারণ উজান,,
হিয়াঃ শ্রাবণ কি রকম অবাধ্য হয়েছে আমার দেখেছেন আপনি,,এখন আমাকে একটুও ভয় পায় না,,
উজানঃ ও যখন থাকতে চাইছে তাহলে থাক না হয় কিছুদিন,,দুদিন পর না হয় আমি এসে নিয়ে যাবো,
হিয়াঃ আপনি বুঝতে পারছেন না,,ওকে খাওয়াতে হয়,গোসল করিয়ে দিতে হয়,রাতে আবার ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয় মা পারবে এ-তো বলেন তো আপনি,,
বাসবিঃ কি বলে রে এ-ই মেয়ে,,নিজ হাতে চার ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছি আর তোর বউ আমাকে এসব কি বলছে হুম
হিয়াঃ এ মা না না মা,,আমি সেভাবে বলি নি,,আসলে আমি,,
বাসবিঃ থাক আর কোনো কথা না,,তোমরা যাও গিয়ে দুটো দিন একান্তে একটু সময় কাটাও,,শ্রাবণ থাক আমাদের কাছে,তুমি একদম নিশ্চিন্তে থাকো ওর কোনো অযত্ন হবে না,,
সবার জোড়াজুড়িতে হিয়া একপর্যায়ে শ্রাবণকে রেখে যেতে রাজি হয়,কিন্তু হিয়ার মায়ের মন কোথাও না কোথাও গিয়ে শ্রাবণের জন্য হালকা চিন্তিত ও থাকে বটে,এদিকে শ্রাবণ তো থাকতে পেয়ে মহা খুশি,,এ বাড়িতে আসার পর থেকে যবে থেকে সমরেশের সাথে বাচ্চা টার ভাব জমে গেছে তখন থেকেই যেনো ওর আর কাউকেই লাগে না,না হিয়া না ওর ভালো ভাইয়া,,
!
!
!
গাড়ির পেছনের দিকে জানালার সাইডে বসে আছে হিয়া,,হিয়াকে জড়িয়ে উজান,উজানের পাশে রুপম,,সামনে আর বাকি সবাই,,হিয়ার এরকম গাড়ি করে বেড়ানোর অভ্যাস কোনোদিনই ছিলো না তাই হঠাৎ এ-তো দিন পর গাড়িতে হিয়ার একটা কেমন অস্বস্তি আর বমি বমি পাচ্ছে,,উজান হিয়ার অস্বস্তি বুঝতে পেরে সাইডের জানালাটা হালকা খুলে দিয়েছে,,বাতাস আসছে অনেক,,বাতাস টা গায়ে মাখতে ভালোই লাগছে হিয়ার,,উজান বুকের এক পাশে হিয়াকে ধরে সীটে হেলান দিয়ে আছে,,মাঝেমধ্যে হিয়ার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে,,গাড়িতে হালকা মিউজিক বাজছে,,কিন্তু এ মুহুর্তে সবাই নিজেদের মধ্যে গল্প করা নিয়ে ব্যস্ত গান শোনার দিকে কারো তেমন মনোযোগ নেই খুব একটা,,
উজানঃ শ্রাবণের জন্য চিন্তা হচ্ছে?
হিয়াঃ চিন্তা সবার জন্যেই হচ্ছে উজান,,মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখতে না পারলে শ্রাবণ অনেক কান্না করে,সেবার সন্ধি আপুদের বাড়িতে মনে আছে কি করলো,ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখতে না পেরে কি রকম কান্না শুরু করেছিলো,,বাড়িতেও যদি ওরকম কিচ্ছু করে তখন,
উজানঃ কিচ্ছু করবে না রে বাবা,,মা আছে না ওর সাথে,,
হিয়াঃ ইদানীং শ্রাবণ আমার খুব অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে,,আগে যা বলতাম তাই শুনতো আজকে দেখলেন কি রকম জেদ করলো,,
উজানঃ ওর আগের জীবন আর এখনকার জীবনে অনেকটা তফাৎ আছে হিয়া,,আগে ওর জীবনে শুধু তুমি ওর সব কিছু ছিলে আর এখন এখন কিন্তু শ্রাবণের জীবনে তুমি একা না,,ওর চারপাশে অনেক মানুষ আছে যারা ওকে মন থেকে ভালোবাসা দিতে চায়,,তুমি কি চাও শ্রাবণ সেই সব ভালোবাসা গুলো থেকে বঞ্চিত হোক,,
হিয়াঃ না,,!!
উজানঃ তাহলে,,দেখি এখন চুপচাপ ঘুমে যাও তো আমার বুকে,,
হিয়াঃ হুম
উজান হিয়াকে নিজের বুকে টেনে আনতেই উজানের শার্টের বোতাম গিয়ে হিয়ার গালে লাগতেই হিয়া হালকা চিৎকার করে উঠে,,
হিয়াঃ আআআআআ,,লাগলো তো,,
হিয়ার চিৎকারে উজান টুক করে হিয়ার মুখ চিপে ধরলেও সন্ধি এবার দুষ্টুমির ফোঁড়ান কাটতে শুরু করে,,
সন্ধিঃ গাড়িতে তো অনন্ত মেয়েটাকে রেহাই দে দোস্ত,,
উজানঃ একটা থাপ্পড় মারবো,,বেয়াদ্দব,,সবসময় মুখে এসব বাজে কথা,,
ঝিনুকঃ হুম ভাইয়া আমরা কিছু বললেই তো বাজে হয়ে যায় তাই না আর তুমি যে গাড়িতে উঠছি থেকে ঔ পেত্নীটাকে জড়িয়ে ধরে আছো তার বেলা,,
হিয়াঃ কেনো হিংসে হচ্ছে বুঝি তোর খুব,,তা সাব্বির ভাইয়াকে বল না ড্রাইভিং না করে তোকেও এসে এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখুক
হিয়ার কথা শুনে ঝিনুক ক্ষেপে গিয়ে সীট থেকে উঠে বসে হিয়ার চুল ধরে ইচ্ছে মতো টান মারে,,
ঝিনুকঃ বেয়াদব মেয়ে একটা ওলয়েজ আমার পিছনে লেগে থাকে,,
সন্ধিঃ আরে কুল মেরে এ্যায়ার,,সবার ভাগ্যে কি সব জুটে নাকি,,আমার টাকেই দেখো কোথায় আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকবে তা না করে উল্টে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে,,হু
রুপমঃ তুষারের বড়ই হরমোনের অভাব আছে সন্ধি,,আমার তো মাঝে মাঝে ডাউট হয় তোর বাচ্চা কাচ্চার থেকে আমরা কখনো মামু ডাক শুনতে পারবো তো,,
সন্ধিঃ কুৃত্তা তুই কি বললি😡
উজানঃ আরে তুষার না হয় হরমোন লেস কিন্তু আমাদের সন্ধি তো পুরো হরমোনের গোডাউন রুপম,,সো নো টেনশন
তুষারঃ আহ তোরা একটু থামবি,,হিয়া না-হয় বিবাহিত,ঝিনুকের সামনে কিসব কথা বলছিস তোরা এগুলো,,উজান তুই তো অন্তত অনেক ম্যাচুইউর ছিলি
রুপমঃ ব্যাটা তুই ঘুমাসনি!!
উজানঃ আরে আমার শালি সাহেবার সামনে এসব কিছু ব্যাপার না,,আমার শালি সাহেবা তো আমার ছোট বউ তাই নাআআ
সন্ধিঃ আচ্ছা তোরা একটু থাম তো,,রুপম
রুপমঃ হ্যা বল,,
সন্ধিঃ তুই তখন কোথায় যাবার কথা বললি বুঝলাম না ঠিক,,
রুপমঃ আরে বাড়িতে যাবো তাই আরকি,,
সন্ধিঃ বাড়িতে যাবি বুঝলাম কিন্তু সীট টা ছেড়ে দিবি এরকম কি যেনো শুনলাম,,
রুপমঃ ও মা,,বাড়িতে যাবো তা এখানে সীট রেখে আর কি করবো,,
উজানঃ মনে হয় গেলে আর ঢাকা আসবি না,,
রুপমঃ প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আসবো,,কেনো আস
রুপমঃ প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আসবো,,কেনো আসবো না,,
উজানঃ তুই কি বলতে চাইছিস একটু সোজাসুজি বলবি রুপম,,প্রয়োজন হলে মানে!
রুপমঃ আরে ভাই,,দেখ পড়াশোনা শেষ করে এখন কি এ-ই বেকার হয়ে এই ঢাকা শহরে পড়ে থাকবো,,নিশ্চয় না,তুই তো টিচার হয়ে জয়েন করলি,,তুষারের রেজাল্ট ও মোটামুটি ভালো ওর ও একটা না একটা চাকরি হ’য়ে যাবে,,আর থাকলাম আমি আর সাব্বির,,সাব্বিরের বাপের যা আছে ওর চাকরি না করলেও চলবে কিন্তু আমি,,আমার যা রেজাল্ট না হবে চাকরি না অন্য কিছু এ-র চেয়ে বাড়ি ফিরে বাবা-র ব্যবসা টা ধরবো,,এটাই বেটার হবে
সন্ধিঃ পড়াশোনা করেছিস চাকরি করার জন্য, নিশ্চয় সেটা বাবা-র ব্যবসা দেখার জন্য না,,
রুপমঃ তুই ওসব বুঝবি না সন্ধি,,সবার লাইফ এক হয় না,,
সন্ধিঃ তুষার তুমি ওকে কিছু বলছো না কেনো?
তুষারঃ আমি আর কি বলবো,,সেদিন জবের ভাইভা দিতে গেলাম বললো একটা সীট খালি আছে যদি জব টা কনফার্মও হয় যেতে হবে সেই সাতক্ষীরার অফিসে,,আর এটাকে না বললে সরকারি চাকরিটা আর পাবো না আর তোমার বাবাও সরকারি চাকরি ছাড়া তোমাকে আমার সাথে বিয়ে দিবে না,,
সাব্বিরঃ that’s great রুপম চলে যাক,তুই চলে যা তোর সাথে বিয়ের পর সন্ধি চলে যাক,,আমি আর উজানই বা বাদ থাকি কিসের জন্য,,আমরাও আলাদা হয়ে যা-ই
সন্ধিঃ তোদেরকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না,,উজান তুই কিছু বল না
রুপমঃ আহা তুই কাঁদছিস কেনো,,একদিন তো আমাদের আলাদা হতেই হতো এটা বাস্তব সন্ধি
তুষারঃ তুই অনন্ত বাস্তবতা শেখাতে আসিস না রুপম,,এতো বড় একটা ডিসিশন তুই কি করে একা একা নিয়ে নিলি,,
রুপমঃ আরে আমি তোদেরকে,,
এ-ই দু এক কথায় সবার কান্নাকাটি শুরু হওয়াতে উজান এবার চিৎকার করে উঠে,,উজানের গলা ভাঙ্গা চিৎকার শুনে হিয়া অবধি ভয়ে কেঁপে ওঠে,,
উজানঃ কেউ কোথাও যাবে না,,থাকতে হলে সবাই একসাথে থাকবো আর যদি সেটা না হয় তাহলে আমাদের সবার রাস্তা ঔদিনে আলাদা আলাদা হয়ে যাবে এ-ই আমি বলে রাখলাম,,
উজানের প্রতিউওরে রুপম কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়,,সন্ধি সীটে মাথা দিয়ে চোখ বুজে চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ফেলতে থাকে,,সবাই চুপ হয়ে যায়,,হাসি মজা করা পরিবেশ টাতে নিমিষে কেমন একটা নির্জনতা ছেয়ে আসে,,রাতের গভীরতার সাথে সবার নিশ্চুপ থাকা টা মনের কষ্ট টাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে থাকে,,আচ্ছা বড় হয়ে গেলে কি কর্মব্যস্ততার চাপে বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো এভাবে কোনো এক কালো গহ্বরে হারিয়ে যেতে থাকে,,একটা সময় যাদের কাছ থেকে পাওয়া গালি গুলো অমৃত শুনতে লাগতো সেটা শোনার জন্যও কেনো বছরের পর বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে হয়,,হয়তো আবার সবাই কোনো এক আয়োজনে এক হয়ে ধরা দিবে কিন্তু সেটাও তো হবে শুধু ক্ষনিকের মিলন,,তারপর তারপর কি আবার সবাই যার যার পথে পা বাড়াবে!!