কাগজের_তুমি_আমি #দ্বিতীয়_অধ্যায় #১১তম_পর্ব

0
377

#কাগজের_তুমি_আমি
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#১১তম_পর্ব

ধারার উচ্ছলতা দেখে অনলের ও ভালো লাগছে। এখন তার মন ভালো থাকাটা অধিক দরকার। মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বললো,
– থাক আমি হাসপাতালে যাচ্ছি।

বলে যেতে নিলেই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ কানে ভেসে আছে। শব্দের দিকে লক্ষ্য করে অনল এবং ধারার দরজার দিকে তাকাতেই দেখে সুরাইয়া বেগম দাঁড়িয়ে আছেন ফলের প্লেট হাতে। বেশ ইতস্তত ভাবে সুরাইয়া বেগম বলেন,
– আসবো?

অনল হাসিমুখেই তাকে বললো,
– আরে মামী মা, আপনার মেয়ের ঘরে আপনি ঢুকবেন পারমিশনের কি আদৌ দরকার আছে? আসেন না। আচ্ছা আপনি কি তখন আমার কথায় রাগ করেছেন?
– না না রাগ করবো কেন?

বেশ অপ্রস্তুত ভাবেই সুরাইয়া বেগম বলেন। অনল তার ইতস্তত ভাব কাটাতেই বলে উঠে,
– আমার বেয়াদবির জন্য ক্ষমা করে দিবেন মামী মা, বুঝতে পারি নি।
– না না কি যে বলো, বেয়াদবী কোথায় করলে৷
– তাহলে ক্ষমা করেছেন তো
– আরে কি যে বলো তুমি
– তাহলে আমি আসি মামী মা, আসতে রাত হবে। ধারার দিকে খেয়াল রাখবেন প্লিজ আসি। ধারা আসলাম

বলেই বেড়িয়ে পড়ে অনল। ধারা অনলের যাবার দিকে তাকিয়ে থাকে। লোকটাকে আজকাল আর অসহ্য লাগছে না, অসহ্য লাগছে না বললে ভুল হবে। লাগছে, তবে ভালো ও লাগছে। তার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে সুরাইয়া বেগম বলে উঠেন,
– ফলগুলো খেয়ে নে, জানি তোর ফল পছন্দ না কিন্তু এ সময় ফল, দুধ, মধু এগুলো খেতে হয়।

সুরাইয়া বেগমের কথাটা যেন অমৃত এর মতো কাজ করলো। প্রায় দু সপ্তাহ পর তার মায়ের বুলি শুনছে। এর চেয়ে বেশি কিছু পাওয়া হয়তো এ জীবনে তার আর হয় নি। সে কল্পনাও করে নি তার মায়ের সাথে তার সম্পর্ক পুনরায় আগের মতো হবে। ছলছল নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছে ধারা। অনুভূতি গুলো সব গলায় আটকে আছে। কিভাবে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। আজ শুধু কেঁদে মন হালকা করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই পিছ পা না হয়ে মায়ের কোলে ঝাপিয়ে পড়ে। হু হু করে কাঁদতে শুরু করে সে। সুরাইয়া বেগম ও কাঁদছেন, মেয়েকে কতদিন এভাবে কাছে ডাকেন নি তিনি। কোনো কথা নেই শুধু অশ্রু দিয়েই নিজেদের মান অভিমান গুলোর সমাপ্তি করছে মা-মেয়ে। আসলে কিছু সম্পর্কে কথার প্রয়োজন হয় না। সম্পর্কটাই এমন হয় যে তাতে কিছু না বলেও অনুভুতির প্রকাশ করা যায়। মা-মেয়ে কতোক্ষণ এভাবে অশ্রুপাত করেছেন নিজেরাও জানে না। শুধু নিজেদের মাঝের অদৃশ্য দেয়াল ভাঙ্গতে ব্যস্ত তারা। আজ এই ঘটনা শুধু একজনের চেষ্টায় সম্ভব হয়েছে তা হলো অনল। অনলের প্রতি কৃতজ্ঞতাটা অন্য রুপ নিচ্ছে কিন্তু ধারা নিজেও সেটা বুঝতে পারছে না___

বিকেল ৪টা,
সুরাইয়া বেগম জলপাই এর আচার বানাচ্ছেন। ধারার এখন টক খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আর তার জলপাই এর আচারটা খুব ই পছন্দ। যেহেতু শীত কাল তাই সুরাইয়া বেগম ও জলপাই যোগাড় করে আচার বানাতোতে মেতে উঠেছেন। তিনি মনোযোগ দিয়ে আচার বানাচ্ছেন আর পাশে ধারা কাঁচা জলপাই লবণ দিয়ে খেয়ে যাচ্ছে। তখন হুট করেই সুরাইয়া বেগম বলে উঠলেন,
– অনল তোর অনেক যত্ন করে না রে?
– হঠাৎ এই প্রশ্ন?

সুরাইয়া বেগমের কথায় বেশ অবাক হয়েই কথাটা বলে ধারা। সুরাইয়া বেগম তখন মুখে হাসি টেনে বলেন,
– চুল আমার হুতাশে পাকে নি। অনলকে ছোট কাল থেকে দেখে এসেছি। পাঁচ বছর আগে যা হয়েছিলো তার পড়ে সে যে বিয়ে করবে এটাই আমরা ভাবতে পারি নি। কিন্তু আমাদের অবাক করে সে তোকে বিয়ে করেছে। তার উপর তোর মাথায় একটা বট গাছের মতো ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাই এই প্রশ্নটা করলাম
– মা, একটা কথা বলি?
– হু বল
– অনল ভাইয়ের কাছে তোমরা বেশি কিছু আশা করো না
– কেনো বলতো?

খুন্তিটা পাশে রেখে ধারার দিকে ফিরে সুরাইয়া বেগম কথাটা বলেন। তার প্রশ্নের উত্তর স্বরুপ ধারা বলে,
– অনল ভাই যা করছেন একটা ভালো মানুষ হিসেবে করছেন। আসলে কি বলোতো, জীবন তাকে এতোটা আশাহত করেছে যে সে এখন অন্যের জীবনের আশা হয়ে বাঁচতে চান। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সে সত্যি খুব ভালো মানুষ। নয়তো আমার মতো পাপীকে এতো সম্মান দিতো না। কিন্তু এই জিনিসটার সুযোগ নিতে চাই না। আমি তার বোঝ হতে চাই না। ফুপির জন্য সে আমাকে সাহায্য করছেন, আমার বাচ্চাকে নাম দিচ্ছেন ব্যাপার গুলো আমার জন্য মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আমি তো মরে যেতেই চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি ফেরেস্তার মতো আমার জীবনে আসলেন। সত্যি মা, আমি চাইনা তিনি আর কিছু করুক। যা করেছেন বা করবেন তাই আলহামদুলিল্লাহ। আমার আর কিছু চাই না। তুমি হয়তো ভেবেছো সে আমাকে ভালোবাসে বিধায় এতোটা সাহায্য করছে। কিন্তু সত্যি বলতে সে এখনো অতীত থেকে বের হয় নি। আমি জানি না তার অতীতটা কি, বা কেমন, তবে সেই অতীতের জন্যই সে আজ নিজের ভেতরে কুড়ে কুড়ে আছে। তাই আমি শুধু এটুকু জানি আমি তার কাছে কখনো কিছু দাবি করবো না। সে যদি কোনোদিন আমাকে বলে তার পিছু ছেড়ে দিতে আমি হাসি মুখে তা করবো। আমি তার বোঝ হয়ে চাই না। না চাই আমার বাচ্চা সেটা হোক।

ধারার কথা শুনে সুরাইয়া বেগম মুখের কোনায় হাসি টেনে বলেন,
– একটা কথা বলি?
– হ্যা বলো
– কথাটা শোন তারপর বুঝার চেষ্টা করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করিস। তোর জীবনে যেমন অনল ফেরেস্তা, অনলের জীবনেও তুই ঔষধির মতো। অনল অনেকটা পালটে গেছে। হয়তো তোর জন্য, বা বাচ্চাটার জন্য বা পরিস্থিতির জন্য। একটা সময় অনল কারোর সাথে ঠিক মুখে কথা বলতো না। বিশেষ করে, ওই ঘটনাটার পর। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা না শুধু বিছানায় সীমাবদ্ধ নয়। সম্পর্কটা বন্ধুত্বের, বোঝাপোড়ার। একসাথে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার। অনল আজ তোকে যে সাপোর্ট টা দিচ্ছে সেটা প্রত্যেকটা স্বামীর ই করা উচিত। অনল এই বিয়েটা মানে কিন্তু স্বামী হিসেবে সকল দায়িত্ব সে পালন করে যাচ্ছে। তাই তোকেও বলবো, স্ত্রী হিসেবে তোর দায়িত্বগুলো পালন কর। দেখ তুই জীবনে অনেক ভুল করেছিস, কিন্তু ভুলআনুষের জীবন আটকে রাখে না। তাই অতীতকে ফেলে এগিয়ে যা। অনল যেহেতু তোর অতীত নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না, তাই আমি বলবো তুইও ওর অতীতের মাঝে ওকে ঢুবে থাকতে দিস না। স্ত্রী না বন্ধু হয়ে ওর পাশে দাঁড়া। তোরা দুজন অপূর্ণ মানুষই পারবি নিজেদের পূর্ণ করতে। ভেবে দেখিস আমার কথাটা। মা তো তোকে খারাপ বুদ্ধি কখনো দিবো না। অনলের জীবনে বোঝা না বরং বন্ধু হতে চেষ্টা কর। একটা আলো হিসেবে ওর বেরঙ জীবনকে আলোকিত কর। চেষ্টা করে দেখ। দেখবি ঠিক পারবি।

বলেই আবার আচার বানাতে মন দেন সুরাইয়া বেগম। তার কথাগুলো অনেকটাই সুভাসিনী বেগমের সাথে মিলে যাচ্ছে। প্রতিটি কথা ধারাকে মন দিয়ে ভাবাচ্ছে। সে আসলে পারবে অনলের জীবনে বোঝা না হয়ে বন্ধু হয়ে উঠতে! সে কি পারবে এই কাগজের সম্পর্কটা সত্যিকারের স্বামী-স্ত্রীর রুপ দিতে!

রাত ১০টা,
ডাইনিং টেবিলে বসে রয়েছে ধারা। সুরাইয়া বেগমের কথাগুলো শোনার পর থেকে ধারা বেশ চিন্তা করেছে। কৃতজ্ঞতার ক্ষাতিরে হলেও অনলের প্রতি সব দায়িত্ব সে পালন করবে। নয়তো কেবল মাত্র বোঝা ব্যাতীত অনলের জন্য কিছুই হবে না। অনল এখনো বাড়ি ফিরে নি, ফোন করতে চেয়েছিলো কিন্তু অনলের ঝাড়ির ভয়ে ফোন দেয় নি। সময়ের সাথে অপেক্ষার প্রহর টা বেড়ে যাচ্ছে। হঠাৎ কলিং বেলের শব্দে ধ্যান ভাঙ্গে তার। দৌড়ে দরজা খুলতেই দেখে বিধ্বস্ত অবস্থায় অনল দাঁড়িয়ে আসে। লোকটা সেই সকালে গিয়েছে আর এখন এসেছে। লোকটার এই করুন মুখটা দেখে ধারার মনটা খারাপ হয়ে যায়। আজকের দিনটা ভালো যায় নি অনলের, হাতের উপর একটা রোগী মারা গেছে। চেষ্টা করেছিলো কিন্তু বাঁচাতে পারে নি। লোকটার বয়স চৌত্রিশের কাছাকাছি, অনলের থেকে বছর তিন বড়। অথচ যায়গায় হার্ট এট্যাক হয়ে মারা গেছে। অনলের হাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে অনেকটা ডিস্টার্ভড হয়ে যায় সে। তাই এক মিনিট দেরী না করে বাসায় চলে এসেছে সে। বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ির কলিংবেল টিপতেই ধারা দরজাটা খুলে। নীল শাড়িতে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ধারা। কেনো যেনো সামনে থাকা রমনীকে দেখে অজান্তেই তার অগোছালো দিনের স্বস্তির পরশ বয়ে গেলো। কিন্তু পর মূহুর্তে কিছু ভেবে গট গট করে ভেতরে চলে গেলো সে। তোয়ালে এবং ট্রাওজার নিয়ে ওয়াশরুমে যেতে নিলেই ধারা পেছন থেকে বলে উঠে,
– খাবার গরম করি?

কথাটা শুনে পিছনে না ফিরেই বলে,
– আমার খাওয়া নিয়ে তোর ভাবতে হবে না, আমি পরে খেয়ে নিবো।

বলে চলে যেতে নিয়েও আবার থেমে যায়, পেছন ফিরে বলে,
– তুই খেয়েছিস?

ধারা কোনো কথা না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে নাবোধক উত্তর দেয়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনল নিচু গলায় বলে,
– তুই খাবার নিয়ে আয়। টেবিলে বসে খেতে ইচ্ছে করছে না।

বলেই ওয়াশরুমে চলে যায় অনল। সে রাতে অনল তেমন কোনো কথা বলে নি ধারার সাথে। ধারা একবার জিজ্ঞেস করতে চেয়েও করে নি। তার মনে হয়েছে অনলকে এখন একটু একাকিত্ব সময় দেওয়া উচিত। রাতটা নিশ্চুপ কাটে তাদের। রাতের নীরবতা তাদের সম্পর্কের মধ্যেও বিরাজমান। এখন সকালের অপেক্ষা।

সকাল ১১টা,
অনলদের বাড়িতে চলে এসেছে অনল-ধারা। সুরাইয়া বেগম এবং সেলিম সাহেব উভয়ের ই মন খারাপ লাগছিলো কিন্তু মা-বাবার তো মেনে নিতেই হবে। মেয়ে তো বড় হলে অন্যের বাড়িতে চলেই যায়। এটাই নিয়তি। অনলের বাড়ি আসার সাথে সাথে সুভাসিনী বেগম তাকে অনলের ঘরে পাঠিয়ে৷ দেন। ধারাও কোনো অমত পোষন করে নি। রুমে যেয়ে দেখে অনল নেই, হয়তো ওয়াশরুমে আছে। আজকেও তার ডিউটি আছে। তাই ধারাও আলমারি খুলে তার কাপড় বের করে দিতে থাকে। হঠাৎ একটি ছবি কাপড়ের ভেতর থেকে নিচে পড়ে যায়। ছবিটা হাতে নিয়ে পাল্টালে দেখে………..

চলবে

[ আসসালামু আলাইকুম, কিছু কথা বলাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই বলছি। #কাগজের_তুমি_আমি #দ্বিতীয়_অধ্যায় আমি একটু ভিন্ন কাহিনী নিয়ে লিখছি। বর্তমান সময়ে একশ তে দশ শতাংশ মেয়ে এই সমস্যাটা ফেস করে। এই সমস্যায় জর্জরিত মেয়েদের জীবনে কি কি ফেস করতে হয় সেটাই নাটকীয় ভাবে উপস্থাপন করার ইচ্ছেতে গল্পটা লিখা। দশ পর্ব পর্যন্ত যেমন আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি, সাপোর্ট পেয়েছি তেমনি কিন্তু ভিন্ন মতবাদের মানুষের কমেন্ট ও পেয়েছি যেমনঃ- অনল আরো ভালো মেয়ে ডিজার্ভ করে আমি কেনো ধারাকে ওর গলাতে ঝুলাচ্ছি, আমি এই গল্পের মাধ্যমে অবৈধ বাচ্চাকে বাচানোর কথা শিখাচ্ছি, আমি বিয়ের আগের শারীরিক সম্পর্ক সাপোর্ট করি; এসব কমেন্ট পড়ে আমার মনোক্ষুন্ন হয়েছে। মানুষের ভিন্ন মতবাদ থাকতেই পারে। কিন্তু কমেন্ট এসব মন্তব্য করে বীরত্ব দেখানোর কিছু নেই। আমি কখনো তাদের কমেন্টে রিপ্লাই দেই নি। এ নিয়ে কথা বলি নি। কিন্তু গতপর্বে কয়েকটা কমেন্টে আমার লিখার ইচ্ছেটুকু কমে গেছে। ধারাকে সরাসরি বেশ্যা বলে কমেন্ট করা হচ্ছে, আমি বেশ্যাকে শাস্তি না দিয়ে ভালো একটি ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছি, আমার লেখিকা হিসেবে কর্তব্য পালন করছি না, ধারার মতো বেশ্যাকে শাস্তি দিয়ে আমি যাতে আমার লেখিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করি; এই টাইপ কমেন্ট পড়লে আমি কেনো কোনো রাইটারের ই লিখার ইচ্ছে থাকবে না। যাই হোক যারা গল্পের থিমটা বুঝেন নি বা যাদের মনোভাব এতোটা ভিন্ন টাইপ বা যাদের মতোবাদ যে আমি বেশ্যাকে নায়িকা রুপে দেখাচ্ছি তাদের বলছি, প্লিজ গল্পটা স্কিপ করেন, আমি আপনাকে জোর করে আমার গল্প পড়তে বলি নি। তাই অহেতুক বাজে মন্তব্য করে লিখার স্পিহা নষ্ট করে দিবেন না। আমি শুধুমাত্র আমার পাঠক-পাঠিকা যারা গল্পটাকে অসম্ভব ভালোবাসা দিয়েছে তাদের জন্য লিখছি। আমার কথায় কেউ মনোক্ষুণ্ণ হলে আমার কিছুই করার নেই। পরবর্তী পর্ব ইনশাআল্লাহ আগামীকাল রাতে দিবো। দয়া করে কার্টেসী ব্যাতীত কপি করবেন না]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here