#প্রেমঘোর
#পর্ব_৭১_৭২
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
“তা তো হবেই……বাট,”
“বাট??”
“না কিছু না……..পরশু কিন্তু বের হচ্ছি আমরা…..”
“বাট কি সেটা তো বললা না…..আর আমরা যে পরশু বের হবো সেটা শুধু তুমি না আমিও জানি…….”
“আরে পিচ্চি জাস্ট এমনি বলছিলাম…….ইসসস…..আমার তো ভাবতেই কেমন লাগছে নিজের বউকে নিয়ে চার দিনের সফর!ইশশশশ বউ রে এঔ চার দিনে তুই শেষ……..”
“যাহ্…….”
নৌশিন ড্রেসিং টেবিলের সামনে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই সাদাদ হাত ধরে টেনে নিজের বুকের উপর ফেলে দেয়,
“ওহহহ….সাদাদ!!!তুমি না সব সময়……”
“হুপপপ…..একটু আগে কি বললেন আপনি???যাহ্?????হাজবেন্ডকে তুই করে বলো???”
“আরে আমি তো সেটা এমনিই বলে ফেলছি তুই করে কখন বললাম??আজিব তো…….”
“এমনি বলিস আর যেমনিই বলিস শাস্তি তো পেতেই হবে তোকে……”
“সাদাদ!!!ভালো হবে না কিন্তু….এই কথা তুমি এভাবে ধরতেছো কেন???আমি কবে তোমাকে তুই তুকারি করি???শুধু শুধু😞😞😞।।।।এখন যদি এটা নিয়ে পেচাও তাহলে আমি কালকে তোমার ব্যাগ গুছিয়ে দিবো না……সব তুমি নিজে করবে…..”
“আচ্ছা!!!আসছে আমার শাস্তিদাতা…….তা আর কি শাস্তি দিতে পারেন আপনি??”
“আমি অনেক কিছু করে শাস্তি দিতে পারবো আপনাকে,।।।।।বাট দিবো না…….ছাড়ো তো এখন….সারা দিন খুব প্রশার ছিলো……”
“ইসসসস……আজকের সারাদিনের প্রেশারে আমার আদরের মুটি বউ টা শুটকি হয়ে গেলো একদম…………
,
হা হা হা হা হা…..”
নৌশিন সাদাদের বুকে ঘুষি দেওয়া শুরু করে…..
“খারাপ,আসলেই খুব খারাপ তুমি…….”
সাদাদ উল্টো হয়ে যায়…..এতক্ষণ নৌশিনের চুলগুলো সাদাদের দুপাশে ঢেকে রেখেছিলো এখন সেই পর্দা টা আর নেই।
নৌশিনের উপর সাদাদ…..
“কি হলো???”
“নেশা ধরে গেছে বউ……প্লিজ……”
“সরো তো…..আমি চুল ঠিক করে বাঁধবো।।।এলোমেলো চুলে ঘুমানো যায় নাকি!!”
“ঠিক করে কি লাভ।।।।।এই সুঠাম দেহী পুরুষটা তো তোর সব সাজসজ্জা নষ্ট করে দেয়……”
“সেটা দেয়!!!কিন্তু আপনাকে না এখন উঠতেই হবে……”
“কেনননো???”
“আরে উঠো না………দরজা খোলা তো……”
“থাকুক না…..রাতের বেলা আমরা কি করতে পারি সবারই তো জানা তাই আসবে না……..”বলেই সাদাদ নৌশিনের গলায় মুখ ডুবায়…….”উমমউমমমমমম….উমমমমমমমম…….”
নৌশিনের চুল আকড়ে ধরে বলে,
“সাদাদ,প্লিজ দরজা টা লাগাই…..একটু সরো না…….”
সাদাদ গলা থেকে মুখ তুলে,নৌশিন আজও সাদাদের চোখে বরাবরের মতো তীব্র নেশা দেখতে পারছে……..নৌশিনেরও যে এই চাহনীতে নেশা ধরে যায়………নৌশিন আবারও বললো,তবে এই স্বর টা যেন খুব মৃদু…..নেশাকন্ঠী একদম,
“দরজা টা লাগিয়ে আসি??”
সাদাদ কিছু না বলেই নৌশিনের উপর থেকে সরে গেলো……নৌশিনও ধীরে উঠে দরজাটা লাগিয়ে,ড্রমি লাইট অন করে ঘরের বড় বাতিটা নিভিয়ে দিলো।।।।।
বিছানায় আসার জন্য পেছন ফিরতেই সাদাদকে দেখতে পায়…….খোলা,এলোমেলো চুলে মৃদু আলোয় এক অপসরীকে দেখছে সাদাদ।।।
কোনো কথা না বলেই কোলে তুলে নেয় তার প্রাণপ্রিয়াকে…………..
বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজের শার্ট টা খুলে ফেলে….শাড়ির আচল টা খুলতে যাবে সেখানে তো পিন করা……..খুলতে পারছে না সাদাদ….ব্যর্থ হয়ে মুখ গুজে দেয় গলায়……
বুজতে পারে নৌশিন….মুচকি হেঁসে পিন টা খুলে দিয়ে বলে,
“এখন পিন নেই….”
মুখ তুলে চায় সাদাদ,চোখাচোখি হতেই লজ্জায় দু চোখ বন্ধ করে ফেলে নৌশিন……সাদাদ কিছুক্ষণ পলকহীন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে….এমন লজ্জা মাখা মুখের প্রেমে পড়ে যায় আবারও…..মুচকি হেসে পিন হীন শাড়ীর আচল টা সরিয়ে নেয়……কমড়ে গোজা শাড়ির বাকী অংশ টাও নিমেষেই খুলে নিলো সাদাদ……ঘন হয়ে আসছে নৌশিনের শ্বাসগুলো….শরীরে তীব্র থেকে তীব্র শিহরণ………
সাদাদ আর অপেক্ষা করলো না……নৌশিনের আঙ্গুলের প্রতিটি ফাঁকে নিজের আঙ্গুল ডুকিয়ে দিয়ে চেপে ধরলো বিছানার সাথে…….আস্তে আস্তে ঠোঁট দুটোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে….আরও কাছে,আরও তীব্র শিহরণ….এক সময় দু জোড়া ঠোঁট এক হয়ে যায়…
দুজনেই মেতে উঠে তীব্র প্রতিযোগীতায়….ভালোবাসার প্রতিযোগীতা💜💜💜💜💜..
একটা ভালোবাসার মাতলামোতে মেতে উঠেছে দুজনেই💜💜💜💜 একটা প্রেমের ইনফিনিটিভ ঘোর জুড়িয়ে রেখেছে দুটি প্রাণকে………………………………
!
ফজরের আযান ভেসে আসছে।নৌশিন সাদাদের বুকে ঘুমিয়ে আছে।সাদাদও নৌশিনকে বুকে জড়িয়ে বেভোর হয়ে ঘুমাচ্ছে।
আযানের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় নৌশিনের।মিটমিট করে চোখ খুলে তাঁকায়।সাদাদের উন্মুক্ত বুকে মাথা রাখতে যেন পৃথীবির সব চেয়ে সুখময় কাজের মধ্যে পড়ে,নৌশিনের কাছে।সাদাদেরর মায়া ভরা ঘুমন্ত মুখের দিকে তাঁকিয়ে থাকে নৌশিন…..বেশ খানিক সময় পাড় হয়ে গেলো…………
নৌশিন খুব সাবধানে সাদাদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো।
বেশ কিছুদিন ধরে নৌশিন সাদাদকে আগে ডাকে না।নিজে উঠে ফ্রেস হয়ে নিয়ে তারপর সাদাদকে ডাকে।না হয় সাদাদ যে ওকে ছাড়তেই চায় না।বরং দুষ্টুমি আরও বেড়ে যায়।
!
নৌশিন সাওয়ার টা সেরে নিয়ে চুল মুছতে মুছতে রোমে ডুকে।
সাদাদের পাশে বসে,চুলে হাত ডুকিয়ে আস্তে করে ডাকতে থাকে সাদাদকে।রোজ রোজ সকালে সাদাদকে ডাকা নৌশিনের বিশাল বড় একটা কাজ।এক দু ডাকে সাদাদ মহাশয়ের ঘুম কখনো ভাঙে না।
আজও একই কাহিনী।ব্যর্থ হয়ে নৌশিন ভেজা চুল গুলো ধরে সাদাদের মুখের উপর ধরে……চুল থেকে টুপটাপ করে পানি পড়ছে সাদাদের চোখে মুখে………..চোখ মিটমিট করতে থাকে সাদাদ।
ঘুম ভেঙে যায় সাদাদের,চোখ খুলে নৌশিনকে দেখতে পায়….
মেরুন রঙের একটা শাড়ি পড়ে,সদ্য ভেজা কমল শরীরে দেখতে একটা ফুটন্ত গোলাপ তার সামনে বসে আছে…………
পাপড়ির উপর পরে থাকা শিশিরের মতো কালো ঘন চুল গুলো থেকে যেন শিশিরের বৃষ্টি পড়েছে।
!
সাদাদ নৌশিনকে হেঁচকা টান দিয়ে নিজের বুকে আনে।মুগ্ধ হয়ে দেখছে সাদাদ তার প্রিয়তমাকে।নৌশিনও চেয়ে আছে সাদাদের দিকে কিন্তু মেয়েটা বেশিক্ষণ তাঁকিয়ে থাকতে পারে না,লজ্জায় রাঙা হয়ে চোখ দুটো বেটে নেয়।
ছড়িয়ে থাকা ভেজা চুলগুলো কানের পাশে গুছে দেয় সাদাদ।কপালে ভালোবাসার এঁকে দিয়ে কমড়ে আরও শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরে আরও কাছে আনতে চাইলে বাঁধা দেয় নৌশিন।সাদাদের নাক টা টেনে দিয়ে বলল,
“সাহেব,নো দুষ্টুমি উঠুন…..সাওয়ার নিন…..আর নামাযের জন্য তৈরী হন……”
“হবোই তো…..বাট তার আগে……..প্লিজ(নিজের ঠোঁটে লিক করে)…..”
“জ্বি না……উঠো তো……”
চোখ দুটু বন্ধ করে সাদাদ আবারও ঘুমের ভান করে বলল,
“তাহলে,সাদাদ ঘুমাবে এখন আর উঠবে আট টায়…….নামায পড়তে পারবে না সাদাদ…..আর তার জন্য দায়ী থাকবে তার একমাত্র বিয়ে করা বউ…….কারণ সে তার বরকে সাওয়ারের জন্য ইচ্ছা করেই উঠায় নি……….”
“আরেহ……আজব…..এটা কি ধরনের কথা???…….সাদাদ,এই উঠো না প্লিজ…..নামাযের সময় চলে যাবে তো……..”
“সাদাদ ঘুমাচ্ছে……”
“ঘুমালে কথা কি করে বলছো??”
“…………”
“ওফফফ……………”বলেই নৌশিন হুট করে সাদাদের ঠোঁটে আস্তে করে একটা লিপ কিস করে দেয়।চোখ মেলে তাঁকায় সাদাদ,ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে,”কি ছিলো এটা????”
“ধ্যাত……উঠো না এবার…..প্লিজ….নামাযের সময় হয়ে গেছে……”
“আগে ডাকো নি কেন??সাওয়ার নিয়ে তারপর ডাকলে!!কয়েকদিন ধরেই তো দেখছি….নিজে আগে ভাগে উঠে তারপর আমাকে ডাকো……..হোয়াই??”
“কারণ আপনি যে খুব ভালো মানুষ তাই………”
সাদাদ এখনও আগের মতোই শুয়ে আছে….চোখ দুটো নৌশিনের দিকে……….. নৌশিনের আর কি করার!!শেষ মেষ সাদাদের দু কাধেঁ হাত দিয়ে টেনে উঠানোর চেষ্ঠা করছে নৌশিন…….কিন্তু তবুও যেন উঠাতে পারছে না বেচারী….”সাদাদ,বেশি হচ্ছে কিন্তু……প্লিজ উঠো…….”
“টেনে উঠাও……দেখি কত শক্তি আমার চড়ইপাখিটার….”
“প্লিজ জান…..এমন করে না…..উঠো।।।।নামায পড়তে হবে তো…….প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ………”
“হেয়……আস্তে….এতো প্লিজ…..,
(শুয়া থেকে উঠে বসে বলল,)গায়ে শক্তি নেই বাট মন গলানোর শক্তি ঠিকই আছে…..”
মুঁচকি হাঁসে নৌশিন,
“হ্যাঁ….সেটা আছে…..”
সাদাদের হাত ধরে বিছানা থেকে নামিয়ে বলছে,
“তোমাকে ঘুম থেকে উঠানো যে এতটা প্যারা জানা ছিলো না…….আল্লহ্ ই জানে তোমার বাচ্চাদের উঠাতে যে কত কি করতে হবে……..”
“আচ্ছা!!!!বাচ্চা হোক একবার দেখো দুজনে মিলে কি হাল কি তোমার…….”
সাদাদের চোখের দিকে তাঁকায় নৌশিন,
চোখে স্পষ্ট চোখ রেখে বলে,
“দাও না একটা এনে…………যত খুশি পারো জ্বালিও দুজন মিলে…….কিচ্ছু বলবো না……….”
সাদাদ নৌশিনের ঘাড়ের পেছনে দু হাত বেধেঁ মৃদু স্বরে বলছে,
“বলেছিলাম তো দিবো……”
“এক্সাম তো শেষ আমার…….”
“আই নো বিউটিফুল লেডি…..এখন থেকে নো প্রটেকশন…….শুধু,……..”
নৌশিন খুশিতে দিশেহারা পুরো…..”সত্যি????তুমি রাজি??”
“রাজি তো ম্যাম…..তোমাকে জ্বালানোর জন্য…….বাট ভয় হয় সোনা,তুমি তো খাও না কিছু……”
“খাবো খাবো…..প্লিজ মা হবো আমি…….”
নৌশিনের এমন বাচ্চামো দেখে মুঁচকি হাঁসে সাদাদ……….
আর নৌশিন মহাখুশিতে আর লজ্জায় মুখ লুকায় সাদাদের বুকে…..আবার পর মুহুর্তেই নিজেকে সরিয়ে নিয়ে,সাদাদকে উল্টো ঘুরিয়ে দিলো…..পিঠ ধরে ঠেলে দিয়ে বলছে,”এখন যান আগে সাওয়ার টা নিন…..একসাথে নামায পড়বো……..”
সাদাদ ই বা কি করবে!!!বাধ্য ছেলের মতো সাওয়ারেরর জন্য ডুকে যায়।
!
নৌশিন বিছানা টা সুন্দর করে গুছিয়ে নিলো এই সময় টুকুতে।সাদাদ বের হলে,ওযু করে এলো নৌশিন।দুজনে একসাথে নামায টা পরে নিলো………..এখন আর নৌশিন নামায পড়ে ঘুমায় না….পরীক্ষার আগে থেকে সাদাদ রাত দুটো অবদি পড়া আর সকালে জোর করে না ঘুমাতে দিয়ে পরিয়েছে তাই সকালের ঘুমানোর অভ্যাস টা এখন মুটামুটো চলে গেছে বললেই হয়।
নামায শেষে সাদাদ বিছানায় গা মেলিয়ে দেয়,নৌশিনকেও আবারও ঘুমাতে বলে কিন্তু নৌশিন না জানায়।কত দিন ধরে এ বাসায় এসেছে….কিন্তু সে রকম ভাবে কখনও কোনো কাজ করে নি….তাই পরীক্ষার পর থেকে রোজ সকালে কাকি শাশুড়ি আর রাফসার সাথে হাতে হাত লাগায় একটু।সকালে কাজের চাপ টা একটু বেশি থাকে,ওরা দুজনে মিলে সামাল দিতে একটু কষ্টকর হয়ে যায়।আর তার উপর তো রাফসার হাসবেন্ডের হাঁকাহাঁকি,অরূপের হাজার টা বায়না,প্রাপ্তির খাবারের তাগাদা আছেই।
.
সাদাদ বিছানা থেকে উঠে কোরআন শরীফ পাঠ করা শুরু করে।নৌশিন যায় সাদাদের জন্য কফি আনতে।
যেহেতু কোরআন পড়তে বসছে তাই আর ঘুমাবে না সাদাদ।সেজন্য কফি করা জরুরি তা না হলে সকালে সাতটার পর কফি খেতো সাদাদ।
!
নৌশিন সাদাদকে কফি দিয়ে চলে যায় আবার রান্না ঘরে।
রাফসা অলরেডি সকালের নাস্তা বানানো শুরু করে দিয়েছে।সকালে আবার এত লোকের আলাদা আলাদা খাবার বানাতে হয়।অরূপের টিফিন!!!এটাও করতে হবে রাফসার।কেউ রুটি তো কেউ পড়টা,কেউ সবজি খাবে তো কেউ গোস্ত আবার কেউ ডিম ভাজাও চায়।সকাল টা এরকম ই হরেক রকম রান্না করতে হয়……।দু জা মিলে রান্না করছে।প্রাপ্তির মা ও হেল্প করছে বউদের এটা সেটা এগিয়ে দিয়ে,কাটা কাটি করে।
এমন সময় উপর থেকে দৌঁড়ে আসে অরূপ,পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর মা কে………
রাফসা বুঝতে পারে এই কমল ছোট্ট হাতের স্পর্শ টা কার…..প্রশ্ন করে অরূপকে,
“কি আব্বু,খুদা পেয়েছে তাই না???এই তো হয়ে গেছে…..”
“না….পায় নি তো……আমি কালকে বললাম না পাপড় খাবো….করেছো??”
চুলার আঁচ টা কমিয়ে দিয়ে ছেলের দিকে ঘুরে তাঁকায় রাফসা,মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে,
“আব্বু বলেছি তো করে দিবো……তুমি যাও একটু হোম ওয়ার্ক টা চেক করো করেছো কি না সব…….স্কুলে যেতে হবে তো……আমি আজকেই তোমাকে পাপড় ভেজে দিবো…..”
“আমি তো করে ফেলেছি সব আম্মু…….তুমি তো কালকেই রাতে দেখেছো……এখন করে দাও না আম্মু…..স্কুলে তো সবাই কালকে পাপড় খেলো ঐ দাদুটার কাছে কিনে…..তুমিই তো খেতে দিলে না।।।।এখন করে দাও….আমি খাবো…..না হলে আমি কিন্তু স্কুলে গিয়ে টিফিনও খাবো না………”
“বাবু,এমন করে না…..এই সকাল বেলা….কত কাজ বলো তো সোনা….আমি তোমাকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে তারপর করে দিবো…..ওকে??”
বাচ্চাটা মন খারাপ করে,মায়ের মুখের দিকে তাঁকিয়ে বলল,
“আমার তো এখনি খেতে ইচ্ছে করছে….পরে কি আর খেতে ইচ্ছে করবে…….”
ছেলের এমন মুখ দেখে কোন মায়ের ভালো লাগে…..তাই তাড়াতাড়ি বলল,
“আচ্ছা,আচ্ছা আর মন খারাপ করতে হবে না করে দিবো…..তুমি যাও রোমে যাও আর তোমার আব্বুকে বল তোমাকে গোসল করিয়ে দিবে….তারপর আমি এসে রেডি করে দিবো……..”
“ওক্কে আম্মু……উমমমমমম্মা…….”
“ওলে বাবা….উমমমমমম্মা….যাও এখন…….”
“ওকে, নতুন বউ তুমিও খেও কিন্তু পাপড় ভাজা…খুব মজা….”
“আচ্ছা,বাবু খাবো…..তুমি যাও সাওয়ার টা করে ফেলো……”
!
সকাল সাড়ে সাত টা………….
দরকারি সব রান্না শেষ,এর মধ্যে যে কত বার সাদের জন্য রাফসাকে উপরে যেতে হয়েছে!!!গননার বাইরে,
বেচারা সব সামনেই থাকে তবুও যেন চোখে পড়ে না তার।সব কাজেই রাফসাকেই চায় ই চায় ই।
“ভাবী…..এতো তেল???পুরো পাঁচ লিটার মনে হচ্ছে……”
“লাগবে না কি???কতগুলো পাপড় ভাজতে হবে ঠিক আছে??”
“হুম…এতো পারো কি করে তুমি??”
“কই…কি এমন….. তুইও পারবি আস্তে আস্তে কর সংসার দেখবি না করলে ভালোই লাগবে না………”
“তোমার মতো আমি কোনো দিন ই পারবো না……”
এরমধ্যে রান্না ঘরে একজন সার্ভেন্ট আসে,রাফসাকে বলে,
“বড় ভাবী,ভাই বললো কালকে রাতে নাকি একটা ফাইল দিছে ঐ টা বের কইরা দিয়া আসতে……..”
বলেই সার্ভেন্ট টা নিজের কাজ করতে চলে যায়……
“আল্লাহ্…..এদের বাপ_বেটার জ্বালায় আমি শেষ……..”
“আহা….যাও না বউ মা…দেখো কি লাগে,ছোট বউ মা আর আমি তো আছি এখানে……”
“যাচ্ছি কাকি,এক কাজ করো তুমি এদিকে আসো….আর নৌশিন প্লিজ একটু অরূপের টিফিন টা ভরে দে….দেখ সব করা আছে আমি বাচ্চা টার ব্যাগ টাও গুছিয়ে দিয়ে আসছি……..”
“আরে যাও তুমি…..দেখছি বললাম তো……”(প্রাপ্তির মা)
.
রাফসা উপরে চলে যায়।ফাইল টা আলমারিতেই ছিলো,সাদ ইচ্ছে করেই নেয় নি……রাফসা না দিলে নিতোও না……..আর অরূপকে যে ওর আব্বু গোসল করিয়ে দিয়েছে এই পর্যন্তই….এখনো টাওয়েল প্যাঁচিয়ে বিছানায় বসে আছে………….সেটা কেও সামলাতে হবে এখন☺☺☺
.
খাবারগুলো টেবিলে রাখছে একজন সার্ভেন্ট……নৌশিন সাদাদের টিফিন টাও রেডি করে রেখেছে………রিদি রান্না ঘরে এসেছে নিজের রোজকার লেবু আর মধুর শরবত টা নিতে…….মেয়েটার সব কিছুতেই যেন তাড়াহুড়া……এসেই সার্ভেন্টদের সাথে রাগারাগি শুরু করে দিয়েছে……..একটু দেরী হয়েছে লেবু আর মধু দিতে তাই……..রাগে আগের শরবত টা ফেলে দিয়ে নিজেই বানাতে শুরু করলো…………….
কেউ কিছু বলে না ওর এই ব্যবহারে…সবাই জানে এই মেয়ে টা একটু এমনি…………….
বেশ কয়েকটা পাপড় ভেজে ফেলেছে প্রাপ্তির মা…………..
এর মধ্যে প্রাপ্তি কলেজে যাবে খাবারের জন্য তাড়া দিচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে পাপড়ের দায়িত্ব টা নৌশিন কে দিয়ে যায়………
চুলার আঁচ তো কমানো…কিন্তু পাঁচ লিটার ফুটন্ত তেল যে টগবগ করছে খুব……নৌশিন খুব সাবধানে কাজ করছে,ফুটন্ত তেল একবার যদি গায়ে পরে এক ফোটাতেই কাজ সারবে……….আর তারউপর যে বড় কড়াই পাপড় ভাজার!!!!!
.
.
হঠাৎ কিছু একটা পড়ার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়….তার সাথে বিশাল একটা আর্তনাদ,”আললললল্লাহ্ গোোোোোোোোো…………”
মুহুর্তেই আবারও কিছু শব্দ….কাঁচের শব্দের মতো…..সাথে আরও একটা চিৎকার,
“ও মমমমমমমমমমাাাাাাাাাাা………..”
!
#প্রেমঘোর#৭২#
অরূপকে ঠিক ঐ সময় টাতেই ওর মা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরী করে নাস্তা কারা জন্য নিচে পাঠায়।আর বাচ্চাটা তার নতুন বউয়ের কাছে যাচ্ছিলো রান্নাঘরের দিকে।এমন চিৎকার আর আতঁকে উঠার ঘটনা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায়।
.
রান্নাঘর থেকে আসা চিৎকার শোনে রাফসা,সাদ,প্রাপ্তির মা দৌঁড়ে আসে।এরমাঝে অরূপও কান্না শুরু করে দিয়েছে।
রাফসা কোনো মতো তাড়াতাড়ি করে রান্না ঘরের দিকে যেতে নিলেই নিজের ছেলেকে রান্নাঘরের দরজায় দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না করতে দেখে।
রাফসার প্রাণ যেন সাথে নেই।ছেলে যেভাবে কাঁপছে!
ছেলের কাছে ছুটে যায়…পেছনে সাদও,
অরূপকে জড়িয়ে ধরবে,তার আগ চোখ যায় রান্নাঘরের মেজের দিকে।
সারা ফ্লোরে তেল ছড়িয়ে গেছে তার উপর একটা কাঁচের বাটিও ভাঙে পড়ে আছে।আর তার পাশে হতবিম্বের মতো দাঁড়িয়ে আছে রিদি।
কিন্তু পাশেই যে নৌশিন ফ্লোরে বসে আর্তনাদ করে যাচ্ছে তার হুঁশ মনে হয় রিদি র নেই।দর্শক আয়নের মতো গরম-ফুটন্ত তেল,ভাঙা কাঁচ আর নৌশিনের পায়ের বিক্রিয়া দেখে যাচ্ছে সে।
রাফসার কি আর ছেলের প্রতি নজর দেওয়ার সময় আছে নাকি,ছেলেকে রেখেই নৌশিনের কাছে ছুটে যায়।
এত গরম তেল পুরোটাই ডান পায়ের উপর পড়ে গেছে।আর তার উপর কাঁচের বাটি টাও পায়ের উপর কড়াই সহ পরেছে।
গরম পানি পড়লেই তো জীবন চলে যায়।আর এটা পাঁচ লিটার ফুটন্ত সয়াবিন,তাহলে কি অবস্থা হতে পারে!!!
কাঁচের বাটি নিয়ে কড়াই টাও পায়ের উপর পড়ায়,পুরে যাওয়া পা টা তে ব্লেডিং ও হচ্ছে।
.
প্রাপ্তির মা চর সাদও যেন নিজেদের মধ্যে নেই।
পা টা পুরো কালো হয়ে ফুসকার মতো হয়ে গেছে আর সেটা কাঁচ ভাঙা-কড়াইয়ের চাঁপে থতলে গেছে একদম।
.
রাফসা জড়িয়ে ধরে নৌশিনকে।নৌশিন ঢলে পড়ছে একদম……..চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে………..একটু আধটু পা না পুরো পা যেটুকু শাড়ির বাইরে থাকে সব টার অবস্থা মারাত্মক।
“ও…..মা……..মা…… উহুুু।।।।।……..”কাঁদতে থাকে নৌশিন……….
সার্বেন্ট রাও ছুটে আসে……
প্রাপ্তির মা নৌশিনের কাছে গিয়ে কাঁপা গলায় বলছে,
“আল্লাহ্ গো…….মা রে তুল ওকে…..সাদ ধর ওকে……হাসপিটালে নিতে হবে……উঠা উঠা……..”
সাদ অরূপকে একজন সার্ভেন্টের কাছে দিয়ে কোনো কথা না বলেই নৌশিনকে কোলে তুলে রান্না ঘর থেকে ড্রয়িং রোমে নিয়ে আসে।
.
ছুটে আসে সাদাদের বাবা মাও……।
“আল্লাহ্ গো…….কি হলো এটা…….” এক চিৎকার দিয়েই ছেলের বউয়ের পাশে বসে পরে………..
নৌশিনের সারা শরীর ঘেমে গেছে….শুধু পুরলে না হয় কথা ছিলো এ যে পুরা জায়গাটাতে থতলে গিয়ে অনবরত রক্তও পড়ছে।
“আরে কেউ একজন সাদাদকে তো ডাকো…….”(রাফসা নৌশিনের পাশে বসে)
সাদাদ ওয়াশরোমে গোসল করছিলো সে সময় তাই বাড়ির এতো চিল্লাচিল্লি ওর কান পর্যন্ত পৌঁছায় নি।
প্রাপ্তি যায় সাদাদকে ডাকতে,বুঝতে পারে যে সাদাদ ওয়াশরোমে………
ডাকা ছাড়াই ওয়াশরোমের দরজায় থাপ্পর দিতে থাকে………
ভেতর থেকে সাদাদের আওয়াজ আসে,
“আরে সাওয়ার নিচ্ছি নৌশিন,ওয়েট করো……”
আরোও জোরে বারি দেয় প্রাপ্তি……সাদাদ ভাবে নৌশিন তাই টাওয়েল পেঁচানো অবস্থাতেই হাঁসি মুখে দরজাটা খুলে দেয়….
প্রাপ্তি হাঁপাচ্ছে…..
অবাক হয়ে প্রশ্ন করে সাদাদ,
“কি রে বোন???কি হয়েছে এমন দেখাচ্ছে কেন???”
প্রাপ্তির মুক দিয়ে কথা বের হচ্ছে না…….
সাদাদ আবারও বললো,
“কি হয়েছে বল???এনিথিং রং????”
“ভা….ভা….ভা….ববব…..”
“কি??ভালো করে বল….”
“পু রে গে….. ছে…..”
“পুরে গেছে???”
মাথা নাড়ায় প্রাপ্তি…..
“কি পুরে গেছে???”
“ভা……বী…..”
চমকে উঠে সাদাদ….”মানে???”
“ছোট ভাবী পু পু রে গেছে……”
“ওয়াট????”
“আসো তুমি “বলেই প্রাপ্তি দৌঁড়ে রোমের বাইরে চলে আসে……..সাদাদও নৌশিনের পুরার কথা শোনে সে অবস্থাতেই নিচে নেমে আসে প্রাপ্তির সাথে।
.
কিন্তু এসে যা দেখলো তারজন্য সাদাদ মোটেও প্রস্তুত ছিলো না………….
নৌশিনের পা একদম দেখা যাচ্ছে না,যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে।আর এতটুকু সময়ের মাঝে সবকিছু মিলিয়ে নৌশিনের সেন্স নেই বললেই চলে…..শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আর পা দিয়ে রক্ত…..নিতিয়ে পড়ে আছে রাফসার বুকের উপর।
সাদাদ পাগলের মতো নৌশিনের কাছে যায়….
“এই কি করে হলো এটা???”
নৌশিন মিটমিট করে চোখ খুলে সাদাদের দিকে এক নজর দেখলো শুধু……….
সাদাদ জড়িয়ে ধরলো নৌশিনকে,
“এই কিচ্ছু হবে না……সব ঠিক হয়ে যাবে…….ভাবী করো কিছু…”
কাঁপতে কাঁপতে বললো সাদাদ………
“হাসপাতাল এ নিতে হবে….কাঁচ আছে ওর পায়ে….গাড়ি বের করতে বলো কেউ…..”
সাদাদ বাবা নিজেই গাড়ি বের করার জন্য বের হয়ে যান।
পুরো বাসায় কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে।
“সাদাদ,ছাড় ওকে যা শার্ট পেন্ট টা জলদি পড়ে আয়…..”
সাদাদ যেন দিকবিদিগ শুন্য হয়ে গেছে।নৌশিনের এমন অবস্থা সাদাদ কখনো মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত না।
প্রাপ্তির রোম থেকে শার্ট আর পেন্ট নিয়ে এলে সাদাদ ড্রয়িং রোমেই সেগুলো পরে নেয়।
নৌশিনের সেন্স চলে গেছে আর অরূপ ওর বাবার কোলে থেকেও রীতিমতো কাঁপছে,সাথে কান্না তো থামছেই না।
.
সাদাদ নৌশিনকে কোলে করে নিয়ে পাগলের মতো দৌঁড়ে গাড়িতে উঠায়।
রাফসাও যাচ্ছে……অরূপকে ওর বাবা আর প্রাপ্তির মা সামলাচ্ছে।
সাদাদের মায়ের অবস্থা আরও বেশি খারাপ…..বিলাপ শুরু করেছেন তাঁর আদরের বউ মায়ের জন্য,সার্ভেন্টরা তাঁকে সামলাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
“ও জেঠি মনি…..কিচ্ছু হবে না ভাবীর দেখো……প্লিজ কেঁদো না এভাবে….তোমার তো শরীর খারাপ করবে এমনিতেই প্রেসার ঠিক নেই……..”
“আল্লাহ্ গো….ওর মা-বাবার কাছে আমি কি জবাব দিবো…..আল্লাহ্…..মেয়ে টার কত কষ্ট হচ্ছে…….. ”
কান্নায় ভেঙে পড়েছে সাদাদের মা…..ঠিকমতো কথাও বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে…….আবারও বলা শুরু করলেন…..,
“বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকেই একটা না একটা দুর্ঘটনা ওর সাথে হচ্ছেই……আমি মা হয়ে মেয়েকে সামাল দিয়ে পারতেছি না….খেয়াল রাখতে পারতেছি না………এর্লাজি হয়,বেঁহুস হলো কিচ্ছু জানানো হয় নাই ঐ বাড়িতে এখন আমি কি জবাব দিবো……..”
“ভাবী,তুমি এমন অবুঝ হইয়ো না……বুঝার চেষ্ঠা করো…..”
“কি বুঝবো…… আমি কি জবাব দিবো আমার ছেলের কাছে…….আমি তো কিছুই বুঝতেছি না…..কি কষ্ট টাই না পাইতেছে গো মেয়েটা……..একটু তেল ছিটা গেলেই তো শরীরে জ্বালা শুরু হয় আর পা টা কি হইছে…..মা আমার ঙ্গানও হারাই ফেলছে……আল্লাহ্……প্রাপ্তি শরীফ কে বল গাড়ি বের করুক…..আমি যাবো এখনি…..আমাকে নিয়ে কেন গেলো না ওরা…..আমার কোনো কথা শোনে না……….তাড়াতাড়ি যা……..”
“ভাবী,ভাবী…..শুনো বসো আগে।।।।কোথায় যাবে তুমি???গেলো তো ভাইজান,সাদাদ আর রাফসা তো আছে সাথে….আমি প্রাপ্তির বাবাকে ফোন করে দিয়েছি সে ও যাবে……তুমি চুপচাপ বসো তো……..”
“কি ব্যথা পাইতেছে গো……..দেখ ফ্লোরে কত রক্ত……..আল্লাহ্….ও আল্লাহ্ তুমি কেনো এত বড় ব্যথাটা দিলা আমার মা টা রে………”
.
মায়ের মন মানে না…..কোনো ভাবেই কেউ সাদাদের মা কে সামাল দিতে পারছে না…….
প্রাপ্তির মা জোর করে রোমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দেয়…………
অরূপকে ওর বাবা আর প্রাপ্তি অনেক সলাকলা করে আয়ত্বে আনার চেষ্ঠা করছে।।।।।কিন্তু ছেলের যে এক বুলি,
“নতুন বউ যাবো……..আম্মু যাবো……..নতুন বউ যাবো,আম্মু যাবো…….”
.
এদিকে নৌশিনকে অলরেডি ক্লিনিকে এডমিট করা হয়ে গেছে……..
ডাক্তার তো পা দেখে শকড!
পুরা টা এক ব্যাপার ছিলো কিন্তু এ যে থেতলে একদম শেষ……ঐ যে কড়াই টা পড়েছিলো পুরা পায়ের উপর তার জন্য এমন থেতানো অবস্থা….আর সব চেয়ে বড় সমস্যা পুরা জায়গাটাতে কাঁচ ও ডুকে আছে যেটা সব চেয়ে বেশি কষ্ট দায়ক নৌশিনের জন্য…………..
সাদাদের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে,ভাবতেই পারছে না একটু আগের হাঁসিখুশি মুখ টা…………কেনো এমন হলো!!
ওর কষ্ট তো সাদাদ দেখতে পারে না……..সাদাদের বাবা তো শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছেন আর ছেলেকে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন…………………
নৌশিনকে ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে তাই ডাক্তারা শুধু রাফসাকেই কেবিনের ভেতরে এলাও করেছে….সাদাদ,সাদাদের বাবা কাউকে ভেতরে ডুকতে দেয় নি বিশেষ করে রাফসা জোর টা বেশি করেছিলো যেন ওরা ভেতরে না ডুকে………..
!
চলবে….
https://www.facebook.com/groups/2837664109643809/?ref=share