#প্রেমঘোর#৭৫#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
“শীত করবে না??কি জ্বর টাই না উঠেছে কতবার বলি আইসক্রিম খেও না শোনো না আমার কথা…..এখন তো তোমারি কষ্ট হচ্ছে…….”
আবারও কাঁশতে থাকে অরূপ।
রাফসা ছেলে কোলে বসিয়ে সাদ কে উদ্দেশ্য করে বললো,
“একটু ছাদে যাও না গো….”
“এত রাতে আবার ছাদে??”
“আজব তো এত রাত কোথায়??সাড়ে দশ টা বাজে…..যাবে আর কয়েকটা তুলসী পাতা আনবে……”
সাদ বিরক্তি নিয়ে বললো,
“যাচ্ছি……”
“দেখি আব্বু….একটু নেমে বসো তো ঔষধ আনবো….”
ভাঙা গলায় ছেলের জবাব,
“আম্মু আমি ঔষধ খাবো না…….”
“হায় আল্লাহ্ গলাটাও গেছে……দেখি নামো…..”
“আম্মু খাবো না……”
রাফসা আর কথা বড়ালো না….অরূপকে কোলে নিয়েই ঔষধ আনার জন্য উঠে গেলো………..
অরূপ বার বার কান্নাস্বরে বলছে,
“খাবো না আম্মু,খাবো না….খাবো না।।।।আমি ঔষধ খাবো না……..”
রাফসা ছেলেকে বুকে জড়িয় ধরেই এক হাত দিয়ে ঔষধের প্যাকেট খুলে নিলো…….বিছানায় বসে,
টি টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিতেই অরূপ দু হাতে নিজের মুখ চেপে ধরলো।
সাদ ছাদ থেকে এসে দেখে মা আর ছেলে ঔষধ নিয়ে জোরাজোরি করছে……..
“অরূপ,আব্বু খেয়ে নাও,তাহলে কাল আবার আইসক্রিম খাওয়াবো”
চোখ গরম করে সাদের দিকে তাঁকায়…………….
রাগে ছেলেকে বলছে,
“খাবে না তুমি???”
মুখ চেঁপে ধরেই মাথা নাড়িয়ে সারা দেয় অরূপ,
“উমহু উমহু……..”
“ওকে খেয়ো না,নামো আমার কোল থেকে……….নামো বলছি….”
অরূপ আরও জড়িয়ে ধরলো ওর মাকে,নামা তো অনেক দূরে।
রাগ করে কোনো লাভ নেই।একে তো বাচ্চা আর দ্বিতীয়ত ভীষণ জ্বর।
রাফসা ঔষধের জন্য আর জোর করলো না,ছেলেকে বুকে নিয়ে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসলো।
“দেখি,চোখ মুছতে দাও……..”
চোখ মুছে দিয়ে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে রাফসা।
এমন সময় ফোন আসে………..
“তোমার ফোন…..”(সাদ)
“একটু দাও না…….”(রাফসা)
রাফসা ফোন টা হাতে নিলে দেখলো ওর বাবা ফোন করেছে,
“হ্যালো,পাপা…….আসসালামু আলাইকুম…..”
ওপাশ থেকে…..”ওয়ালাইকুম আসসালাম……কেমন আছো??”
“হ্যাঁ পাপা,ভালো…..তুমি কেমন আছো??”
“এই তো,নানুভাই আর জামাইয়ের কি অবস্থা??”
“সেটা আর বলতে হয়!দুজনে মিলে ইচ্ছামতো আইসক্রিম খেয়েছে এখন ছেলের কাঁশি,জ্বর এত যে আমার শরীরও পুরে যাচ্ছে…….”
“ওয়াট দ্যা,খেয়াল রাখতে পারো না তুমি???এতো বেখেয়ালী কেন??”
রাফসা সাদের দিকে রাগী লোকে তাঁকায়,ওর জন্যই তো বাবার কাছে বকা শোনা লাগছে এতো রাতে,
“পাপা,আমি কি করলাম….ওরা তো আমার কোনো কথাই শোনে না……”
“শোনাতে হবে,বাচ্চা মানুষ তো বায়না করবেই…….ঔষধ খাইয়েছো???নাকি সেটাও করো নি??”
“………..”
“কি হলো??আন্সার কোথায়??ঔষধ দাও নি…….?”
“পাপা,ও খাচ্ছে না ঔষধ…….”
“কাঁশছে ও আবার তাই না?আর ঔষধ খাও নি তুমি???কেন তোমাকে যে ডাক্তারী পড়াতে গেলাম কে জানে???কোনো কাজ ডিডটি নিয়ে করতে পারো না………বোরিং একদম………”
রাফসার ভেতর টা ধুক করে উঠলো,আজ অনেক দিন পর নিজের যোগ্যতা নিয়ে কেউ ওকে এভাবে বললো,লাস্ট বলেছিলো কোর্টে বিবাদী পক্ষ……..আর আজ নিজের বাবা বললো!!!চোখ দুটো নিজের অজান্তেই ছলছল করছে রাফসার,অস্ফুষ্টস্বরে মুখ দিয়ে ভেসে আসলো,
“পাপা!!!!!”
ফিরে তাঁকায় সাদ,রাফসার চোখে পানি দেখে অবাক হয়।
কাছে এসে চোখের পানি আঙুল দিয়ে সরিয়ে দিয়ে,চোখের ইশারায় জানতে চায় কি হয়েছে,রাফসা কিছু বললো না,ফোন যে এখনো কানে,
ওপাশ থেকে আবারও বাবার বলা শুরু,
“নিজের খেয়াল রাখছো তো???নাকী সেটাও ভুলে গেছো???”রাফসা কিছু বলার আগেই বুঝতে পারলো ওর মা ওর বাবার কাছ থেকে জোর করে ফোন নিয়ে নেয়,
“হ্যাঁ…..মা কেমন আছিস???”
রাফসার ঠোঁট কাঁপছে,জোরে কাঁদতেও পারছে না….ঐ একটা কথাই যে তাঁকে সব থেকে বেশি কষ্ট দেয়।
“কি রে মা…..কথা বলছিস না কেনো??”
অনেক কষ্টে বললো,
“মাম্মাম আমি পড়ে কথা বলি??অরূপ আমার কোলে ঘুমিয়ে গেছে শুইয়ে দিই…..”
“হ্যালো,তুই কাঁদছিস???…..হ্যালো হ্যালো…..”
ফোন কেটে দিয়েছে রাফসা।ওর মা যে বুঝে গেছে ও কাঁদছে তাই তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দিলো।
“কি হলো???কাঁদছো কেন??”
রাফসা অরূপকে শুইয়ে দিলো,কোনো কথা বললো না সাদের সাথে……ছেলের পাশেই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো…………..
ততক্ষনাৎ ফোন টা আবারও বেজে উঠে,চোখ মুছে হাতে নিয়ে দেখে সাদাদ,ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে সাদাদ বললো,
“ভাবী,নৌশিনের তো খুব জ্বর উঠেছে….ডেসিং করার কিছুক্ষণ পর থেকেই প্রচুর জ্বর…..কী করবো এখন?”
“আমাকে কেনো বলছিস??আমি কি ডাক্তার???না নার্স?কিছুই না আমি??আসামী একজন বুঝতে পেরেছিস???”
“ভাবী,কি হয়েছে তোমার???প্লিজ এমন করে বলো না….”
“একজন ডাক্তার ডাক,আর এ জ্বর পায়ের ক্ষত আর ব্যথার জন্যই উঠেছে…..টেনশনের কিছু নেই……”
আর কিছু না বলেই ফোন রেখে দিলো রাফসা।ঘুমায় নি অরূপ প্রশ্ন করে মাকে,
“আম্মু,তোমার চোখে পানি কেনো?”
“রাফসা,কি হয়েছে কেন বলছো না??”
“আবারও কাঁশছো তো…..(সাদকে উদ্দশ্য করে বললো)তুলসী পাতা গুলো দাও তো…..”
সাদ তুলসী পাতাগুলো একটু ধুয়ে রাফসার হাতে দিতেই রাফসা সেগুলো কচলিয়ে রস করে জোর করে অরূপকে গলা চেঁপে খাইয়ে দিলো।
কান্না কি আর থামে নাকি!!!
এমন ভাবে চিল্লাছে বাড়ির সবাি সজাগ হয়ে গেছে বোধহয়………………..
“রাফসা,এমন করছো কেনো ওর সাথে??শান্ত করাও…..” আরও রাগ উঠে যায় রাফসার,
বরং রাগের চেয়ে খারাপ টাই বেশি লাগছে,
“আমি না,পারি না,আমার তো দায়িত্ববোধ নেই তাই…..মা রা কিভাবে সন্তানদের শান্ত করে আমি সত্যিই জানি না গো………না ডাক্তার হিসেবে ভালো হতে পারলাম না মা হিসেবে”
সাদ অরূপের আরও কাছে এসে অরূপের ওপর রাখা রাফসার হাতে হাত রেখে বললো,
“কি হয়েছে???বাবা কি বললেন??…..”
রাফসা চোখের পানি মুছে,অরূপের পিঠে হাত বুলিয়ে জবাব দিলো,
“আমি সত্যিই ভালো মা না,আর ডাক্তার হওয়ার যোগ্য না সাদ…….”
“না,কি বলছো তুমি এসব?কেন ই বা বলছো??”
রাফসা কিছু বলার আগেই অরূপ বললো,
“আম্মু,গলা ব্যাথা করছে……”
গলায় হাত দিয়ে বুঝতে পারলো,টনসেল বাড়েছে কি না,
“দেখেছো,গলাও ফুলে গেছে……..তোমার আব্বুর কাছে যাও একটু…….”
“কেনো??তুমি কোথায় যাবে??”
“একটা কিছু বেঁধে দিই গলায়??হুম???ব্যাথা কমে যাবে…….দিই আব্বু….”
“আচ্ছা……”
সাদ অরূপকে নিজের কাছে নিয়ে গেলে রাফসা ড্রয়ার থেকে মাফলার নিয়ে এসে অরূপের গলায় বেঁধে দিলো।তারপর হসপিটালে ফোন করে নৌশিনকে এক্সট্রা কেয়ার করার জন্য বলে দেয়।
.
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে,সাদ ঘুমাচ্ছে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলো….আর রাফসা সারা রাত জেগে থেকে এখনও ছেলের মাথায় জলপট্টি দিয়ে যাচ্ছে।
রাত ভোর সাদাদেরও একি অবস্থা,সারা রাত বসে থেকে নৌশিনের মাথায় জলপট্টি দিয়েছে আর এখন ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিচ্ছে।
অরূপের জ্বর বেশ খানিক টা কমে গেছে।কিন্তু নৌশিনের জ্বর যেনো বেড়েই যাচ্ছে।পা টাও খুব পরিমাণ ফুলে গেছে।
আর জ্বরের ঘুরে শুধু “মা, মা, মা……”জব করছে।
সারা রাত কোনো হুশ ছিলো না মেয়েটার।ডাক্তার এসে আপেক্ষ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন নি…..শুধু ধৈর্য ধরতে বলছেন।কাটা টা সেলাই করতে পারলে ভালো হতো কিন্তু পা সেলাই করার কোনো উপায় নেই।
রাফসা সাদকে নামাযের জন্য ডেকে তুলে,নিজেও নামায পড়ে নিলো……রান্না ঘরে গিয়ে অরূপের জন্য গরম গরম স্যুপ করে নিয়ে জোর করে খাইয়ে দিলো।খেতে চাইছিলো না,গলা ব্যথায় খেতেও পারছিলো না।
“দেখেছো খেতে চাইছিলে না,কার কষ্ট হতো বলো তো….এখন চুপচাপ শুয়ে থাকবে আর তোমার আব্বু কাজ করবে একদম গা থেকে কাঁথা ফেলবে না…..”
“আম্মু,স্কুলে যাবো না??”
“না আব্বু আজকে যেতে হবে না,একটু জ্বর যে এখনও আছে……”
“কালও তো গেলাম না,মিস বকবে না??”
“আমি ফোন করে বলে দিবো,আচ্ছা তুমি এখন আমাকে এটা বলো তো তোমার কালকে কয়টা আইসক্রিম খেয়েছো??”
“একটা আম্মু…..”
সাদ কাঁশি দিচ্ছে,রাফসা বুঝতে পারছে সাদ উল্টা পাল্টা কিছু বুঝাতে চাইছে অরূপকে……….
“আব্বু,মিথ্যা কথা বলবে না সকাল বেলা…….সত্যি সত্যি বলো তো কয়টা খেয়েছো……”
“আম্মুমুুমুমু……আমি খায় নি,আব্বু জোর করে খাইয়ে দিয়েছে…….”
সাদ রাফসার দিকে থতমত খেয়ে তাঁকায়,রাফসা চোখ বড় বড় করে একবার অরূপের দিকে তো একবার সাদের দিকে তাঁকাচ্ছে…………….
“তুমি!!!!!!সাদ???”
“আমি কি জানি,বায়না করছিলো ও…….”
“আব্বু,তুমি মিথ্যা বলো??”
“ঐ চুপ কর,শুয়ে থাক…..”
“এই তুমি ওকে বকছো কেন??নিজের দোষ টা ডাকার চেষ্ঠা??”
“আজব,ছেলেকে মাথায় তুলো না,মাথায় তুলো না……”
“আব্বু,আমি কিন্তু মাকে বলে দিবো…..”
“ঐ কি বলবি তুই??চুপ চাপ রেস্ট নে না হলে স্কুলে পাঠিয়ে দিবো…….”
“আম্মুমুমু……জানো কাল আব্বু ধোঁয়া খেয়েছে……হি হি হি হি হি…..বলে দিয়েছি…..হি হি হি হি…….”
রাফসা চোখ বড় করে তাঁকিয়ে আছে,অরূপ আবার বলা শুর করলো,
“আম্মু,জানো আব্বু না আমাকে কাল একাই চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে কোথায় জানি চলে গিয়েছিলো,পরে আমি একটা আইাক্রিম খেয়ে আব্বু কে খুজতে গেছি দেখি আব্বু রিসেশপনের পেছনে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া খাচ্ছে……আমি বললাম আব্বু আমিও খাবো আব্বু দিলো না……..পরে আমাকে বললো,”এটা নাকি ছোট রা খায় না……বড়রা খায়…..”পরে আমি বলেছি’আম্মুকে বলবো তুমি আমাকে ছাড়াই খেয়েছো’।পরে আব্বু আমাকে বললো কি জানো??”
“থামবি অরূপ,তোকে কিন্তু এখনি স্কুলে পাঠাবো……”
“আব্বু তুমি বলো তো কি বলছে তোমার আব্বু??”
সাদ অরূপের মুখ চেপে ধরলো এবার,”থাম…পাকনা ছেলে”
“উমমমমমম……আমমমমমমম……”
“সাদ,কি করছো,ছেলের গলা ব্যথা তো গালে লেগে যাবে…….”
“আমমমমমমমমমমমমম……..”
“সাদ,ছোট হয়ে গেলে তুমি??লাগছে তো ওর ছাড়ো……”
ছেলের মুখ ছেড়ে সাদ বললো,
“চুপ থাকবি একদম…..দুষ্টু কোথাকার…… ”
“আম্মু…….”বলেই অরূপ ওর মায়ের কোলে চড়ে বসে………
“কি বাবু,লেগেছে???”
“আব্বু পঁচা,ব্যথা পাই আমি…..”
“আল্লাহ্ না বাবা,তোমার আব্বু তো মজা করছিলো তোমার সাথে……আব্বুরা কখনো খারাপ হয় না……”
“জানো আম্মু……আব্বু পরে আমাকে বলেছিলো আমাকে অনেকগুলো আইসক্রিম খাওয়াবে যেন আমি তোমাকে না বলি…..পরে আমাকে আমার ফেবারিট তিনটা আইসক্রিম খেয়েছি তাইলে আব্বু তো খাওয়ালো…..তাই না আম্মু??”
রাফসা সাদের দিকে চোখ ঘুরিয়ে তাঁকাতেই সাদ হাত জোড় করলো ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে……….চোখ ফিরিয়ে নিলো রাফসা……….ছেলেকে বললো,
“আব্বু,এর পর থেকে আব্বু যেদিন ই ধোঁয়া খাবে তুমি যদি দেখো আমাকে বলে দিবে….আর শোনো আইসক্রিম খেয়ো না সোনা,তোমার কত শরীর খারাপ হয় দেখেছো??কত কষ্ট হয় তো??তাই না??এই যে এখনো গলাটা ফুলে আছে??তিনটা আইাক্রিম কেউ খায় বলো???”
“ওকে আম্মু…..খাবো না……”
“গুড বয়…….এখন শুয়ে থাকো চুপটি করে,আমি রান্না করবো…….”
.
সাদাদ নৌশিনের এই অবস্থা আর সহ্য করতে পারছে না
জ্বরের ঘুরে সেই রাত থেকে শুধু মা মা করে যাচ্ছে।আর পায়ের কথা নাই বললাম আর যত সময় যাচ্ছে তত বেশি খারাপ হচ্ছে…………
সাদাদের মা আর রাফসা নৌশিন আর সাদাদের জন্য খাবার নিয়ে এসে তো পুরো শকড।
“সাদাদ,তুই বললি জ্বর….বাট এটা কে কি জ্বর বলবো নাকি আমি বুঝতে পারছি না…..আল্লাহ্…..”
সাদাদেরর মা তো পা দেখে ঙ্গান হারানোর অবস্থা প্রায়।
রাফসা আবারও ডক্টরদের সাথে কথা বলে…..হাই পাওয়ার ঔষধও দেওয়া হচ্ছে কাল থেকে নৌশিনকে।কিন্তু কাজ হচ্ছে না…………
“মা,আমার মনে হয় ওর বাড়িতে একটা খবর দেওয়া উচিত…….কিভাবে মা মা করছে ও…..জানানো দরকার……”
“জানাও জানাও…..আসুক ওরা….যা হবার হবে…..সাদাদ ফোন কর আমি নিজে বলবো ভাবীকে……”
সাদাদ নিশ্চুপ…..মুখ শুকিয়ে গেছে…..ছেলে হয়ে ঠকেছে বোধহয়…..মেয়ে হলে না হয় ইচ্ছা মতো কাঁদতে পারতো ছেলে হয়েও তো সেটাও করতে পারছে না………….
শাশুড়ির নম্বর টা ডায়েল করে মায়ের কাছে দিলো শুধু।কান্না চাপা দিয়ে হাসপাতালে আসতে বললো নৌশিনের মাকে সাদাদের মা।নৌশিনের অবস্থা যে এতটা খারাপ সেটা বলার আর সাহস হয় নি……….
.
ঐ দিকে সাদ বেশ রেগে আছে রিদির প্রতি…এতো এডাল্ট একটা মেয়ে এধরনের কাজ করতে পারে!!!শরীফ চাচার মতে সেদিনের এর্লাজির ঘটনা টাও রিদির ই করা বলে জানায় সাদ আর রাফসাকে।
চিংড়ি বাটা মিশিয়ে দিয়েছিলো রিদি চটপটিতে রাফসার আড়ালে।সব কিছু শোনে কাল রাতেই সাদ রিদির সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো কিন্তু ছেলের শরীর খারাপ তাই যেতে পারে নি।সাদ অরূপকে প্রাপ্তির মায়ের কাছে রেখে নৌশিনের কাছে গেছে।অরূপের শরীর বেশ খানিক টা ভালো তাই সাদও অফিসে গেছে।কিন্তু রিদির ব্যাপারে মন শান্ত করছে না……রিদিকে কল করে নিজের অফিসে ডেকে পাঠায়……….একজন আরেক জনকে পচ্ছন্দ করতেই পারে তাই বলে একজন মানুষের সাথে এমন বাজে আচরণ করা যায় নাকি!!!!!!!
সাদাদের নৌশিনকে নিয়ে এতো টেনশনের মধ্যে এগুলো না জানানোই ভালো বলে মনে করে সাদ।তাই রাফসাকে জানিয়ে দিয়েছে সে যেন পায়ের ব্যাপারে রিদির ঘটনা টা আগেই না বলে।
প্রায় আধা ঘন্টা পর রিদি সাদের অফিসে আসে……
কেবিনে ডুকে বলেে,
“ভাইয়া,কি ব্যাপার এতো জলদি ডাকলে যে???”
“হ্যাঁ বসো…..একটু কথা ছিলো তোমার সাথে……..”
চেয়ার টেনে বসলো রিদি,বললো,
“জ্বি ভাইয়া বলো…….”
“চা বা কফি কিছু নাও……”
“না ভাইয়া সেগুল বাদ দাও না।।।।।বলো কি বলবে???কোনো দরকার??”
“দেখো রিদি,তোমার কেরিয়ার তো মাশাল্লাহ পারফেক্ট……”
“ভাইয়া!!!!”
“হ্যাঁ……তুমি নিশ্চয় পরশ চৌধুরী চিনো??”আলট্রা ফার্মা” এর মেনেজিক ডিরেক্ট?? ”
“হ্যাঁ…কেনো বলো তো??”
“কাল ওরা তোমাকে দেখতে আমাদের বাসায় আসবে……তুমি অফিস থেকে কাল ছুটি নিয়ে নাও….ছাড়ো,তোমার ছুটি নিতে হবে না আমিই তোমার বসকে বলে রাখবো……”
রিদির মাথায় বাঁশ…………..
বেশকিছুক্ষণ পর অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো “আমাকে??”
“হ্যাঁ আমি নিপা আর ওয়ালিদের(নিপার বর)সাথে কথা বলেছি ওরা তো এক মাসের মাঝেই আসবে……রাফসা ই বলতো তোমায় কিন্তু নৌশিনের এই অবস্থা তার উপর অরূপের শরীর খারাপ সব মিলিয়ে ওর প্রেসার টা একটু বেশিই তাই আমি তোমাকে বলে রাখলাম….”
“ভাইয়া আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না….আর এ বিয়ে করা আমার পক্ষে কোনো দিন সম্ভব না…..”
“মানে???আমি ওয়ালিদের সাথে নিজে কথা বলেছি রিদি….আর ওদের আসতেও বলেছি কাল….পরশকে তো তুমি ভালো করেই চিনো….দেখতে,শুনতে,টাকা-পয়সা,খ্যাতি কোনো টাই কম নেই।।।।তাহলে তোমার কি প্রবলেম??সব দিক দিয়েই তুমি পারফেক্ট কোনো কমতি নেই তোমার যেটা পূরণ করতে আরও সময় লাগবে তোমার??আর আমরা তো কাল ই তোমাকে বিয়ে দিচ্ছি না….আসুক ওরা,কথা বলো তুমি।।। দেখো পচ্ছন্দ হলে এগুবো না হলে ক্যান্সেল……”
রিদি বসে থেকে উঠে সাদকে বললো,
“ভাইয়া আমি উঠি এখন….মিটিং আছে আমার….”
সাদ স্বাভাবিক ভাবেই বললো,
“ওকে….বাট আমার কথা টা মাথায় রেখো……”
রিদি কোনো জবাব না দিয়ে হনহন করে সাদের কেবিন থেকে বেরিয়ে চলে যায়।
অফিসে না গিয়ে সোজা বাসায় চলে যায়।ইচ্ছে করছে সব কিছু শেষ করে দিতে…………
কোনো কিছু না ভেবে ফোন করে সাদাদকে,
সাদাদ কোনো ইনটেনশন ছাড়াই ফোন ধরলো,
“হ্যাঁলো রিদি বলো….”
রিদি কান্না জড়িত কন্ঠে বললো,
“আই লাভ ইউ সাদাদ…..আই লাভ ইউ…….আই কান্ট লিভ উইথ আউট ইউ……..”
সাদাদের মাথায় রাগ ধরে যায়।এ মেয়ে কেনো বুঝে না সাদাদকে সে কোনো দিন পাবে না।আর এখন সাদাদ যে মানসিক চাপে আছে তার মধ্যেও যে রিদি এাব বলবে সাদাদ ভাবতেও পারে নি…..
ওপাশ থেকে আবারও রিদি বললো,
“সাদাদ,প্লিজ মেরি মি…..সাদাদ প্লিজ শোনো না….এক কাজ করো নৌশিনকে তুমি ডিভোর্স দিয়ে দাও…..আমি না ভাইয়াকে বলে আমাদের যা কিছু আছে সব তোমার নামে করিয়ে দিবো….প্লিজ সাদাদ আমি থাকতে পারছি না তোমাকে ছাড়া……….”
“ওকে আমি সন্ধ্যায় বাসায় এসে তোমার সাথে কথা বলছি………”
“সত্যি????”
“হ্যাঁ,সত্যি……”
সাদাদ ফোন রেখে দিলো আর কথা বাড়ালো না এই মুর্হুতে নৌশিনকে নিয়ে সব চিন্তা ওর..
রিদিকে নিয়ে ভাবার কোনো ইচ্ছে নেই তার…..যা একটা বুঝা পরা করার ওর সাথে করতে হবে আজ…পাগল হয়ে গেছে সে না হলে বলে কি না সব দিয়ে দিবে বিয়ে করতে!!!
কোনো মেয়ে এতটা উল্টা পাল্টা কথা বলতে পারে সাদাদের জানা ছিলো না………
!
নৌশিনের মা মেয়ে হসপিটালে আছে শোনেই সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরেছিলেন।
ক্লিনিকে ডুকে নৌশিনের কেবিনের ভেতরে ডুকতেই মেয়েকে বিছানায় শয়নরত অবস্থায় দেখে কলিজা ধুক করে উঠেছে ওনার।আরও ভেতরে তুকেই সবার আগে চোখে পড়ে মেয়ের পা………
“ও আল্লাহ্………”বলে মেয়ের পায়ের কাছে বসে পড়েন………
ঔষধ হাতে কেবিনে ডুকে সাদাদ…………..দেখতে পান শাশুড়ীকে,নৌশিন এখনও আগের মতোই জ্বরের ঘোরে মা মা করে যাচ্ছে……………..
“ও মা…..আমার কলিজার কি হয়েছে এটা?কেমন করে হলো আপা এটা???আল্লাহ গো……মানিক আমার……..আল্লাহ্……”
কান্নায় ভেঙে পড়েন নৌশিনের মা।সাদাদ সাত্বনাদ দিতে চেয়েও পারছে না।সাদাদের মা নৌশিনের মাকে নৌশিনের মাথার কাছে বসিয়ে দেন,
“ভাবী,এমন করবেন না…….আল্লাহ্ আল্লাহ্ করুন….আমাদেরও কি কষ্ট কম হচ্ছে??বলুন…..”
“ও আপা,আমার মায়ের কি করে হলো এটা???”
“আসলে তেল পড়ে এমন হয়েছে….” কেবিনে ডুকার পথে জবাব দেয় রাফসা।
“ও মা…….সাত রাজার ধন আমার মা তো কেটেও গেছে……আমার মা তো এতো কাঁচা কাজ করে না…….”
কপালে চুমু দিতে যাবে…ঠোঁট ছোঁয়াতেই আরও বেশি অবাক হয়ে যায়।শরীর পুরো উতপ্ত লোহার মতো গরম…………
“হায় খোদা,কি হয়েছে ওর???এতো গরম শরীর???ও মা….মা…. মারে…..দেখ মা আসছি……..মা চোখ খুল মা…..”
নৌশিনও বুঝতে পারছে কি না কে জানে,কিন্তু জ্বরের তালে মা কেই ডেকে যাচ্ছে এখনও….
“মা এই তো আমি আসছি……ও মানিক আমার চোখ খোলো তুমি……কত কষ্ট পাচ্ছো তুমি…….”
কিছুতেই কান্না থামছে না নৌশিনের মায়ের।যে মেয়ে কোনো দিন একটা ফুলের টোকাও দেয় নি সে মেয়ের আজ এই অবস্থা দেখে কিছুতেই নিজেকে সংযত করেছে পারছেন না নৌশিনের মা।
রাফসা আর সাদাদের মা অনেক কষ্টে কিছুটা শান্ত করলেন।
ফোন করে নৌশিনের বাবা আর ভাইকে সবটা জানায় নৌশিনের মা।বাবা,ছেলে দুজনেই অফিসের কাজে সিলেটে ছিলো খবর পাওয়া মাত্রই সব কিছু ক্যান্সেল করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়।
.
বিকালের দিকে নৌশিনের জ্বর বেশ খানিক টা কমে গেছে।হুশও আছে এখন।মা আর শাশুড়ীর সাথে কথাও বলতে পারছে।সাদাদের দিকে চোখ গেলে বুজতে পারে যে ‘সাদাদের চোখে পানি’….নৌশিনকে দেখে সেটা আড়াল করার চেষ্ঠা করলেও পারে নি।
নৌশিনের মা সাদাদের দিকে খেয়াল করে সাদাদের মাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে…..
ওরা দুজন বাইরে বের হওয়া মাত্রই সাদাদ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা থেকে তৎক্ষনাৎ নৌশিনের কাছে ছুটে আসে…..
নৌশিনের সারা মুখে কাঁদতে কাঁদতে চুমু দিতে থাকে,
“এই কাঁদছো কেন???”
নৌশিনের গাল থেকে মুখ তুলে সাদাদ,কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,
“আমি মরে যাবো…….সত্যিই মরে যাবো তোকে ছাড়া……”
নৌশিন সাদাদের মুখ চেপে ধরলো,”চুপ…….”
নৌশিনের হাত টা সরিয়ে হাতেও বেশ কয়েকটা চুমু খেলো………..
প্রশ্ন করলো নৌশিন,”বাসায় যাও নি???”
মাথা নাড়িয়ে না করলো সাদাদ.
“কেনো??”
“তুমি এখানে আর আমি বাসায়???”
“তার মানে সারা তুমি জেগে ছিলে???”
ঔষধ হাতে একজন নার্স কেবিনে ডুকে জবাব দিলো,
“স্যার তো সারা রাত জেগে আপনার সেবা করছিলো….কি জ্বর টাই না হয়েছিলো আপনার…….নিন স্যার এই ঔষধগুলো খাইয়ে দিন ম্যাডামকে……….এখন কেমন লাগছে ম্যাডাম??”
“এই তো ভালো……”
“আসি তাহলে…..স্যার তো আছেই আপনার পাশে……”
নার্স চলে গেলে ছলছল দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে নৌশিন সাদাদের দিকে…………..
“কি দেখছো??”
“তোমাকে……”
“হুম??”
“এতো ভালোবাসো কেন আমায়??”
“জীবন যে তাই….”
“একটা কথা রাখবে??”
“বলো শুধু…..দেখো করি কি না…..”
“আজ রাত টা এখানে থাকবে না তুমি….বাসায় যাবে এখনি,ভাবী তো চলে গেছে….দুই মা থাকুক আজ রাতটা…..তুমি বাসায় যাবে গোসল করবে….ভরপেট খেয়ে নামায পড়ে ঘুম দিবে একটা….তারপর কাল সকালে ব্রেকফাস্ট করে আসবে…….”
“সম্ভব না…….”
“কি!!!!”
“পারবো না আমি….তোমার এই অবস্থা আর আমি বাসায় শুয়ে ঘুমাবো???অসম্ভব…..”
“তুমি কিন্তু বললে একটু আগেই….আমি যা বলবো করবে…..তাহলে???”
“এটা ছাড়া অন্য কিছু বলো….”
“না…..আর তুমি যদি না যাও এখন আমি কিন্তু ঔষধ,খাবার কোনো টাই খাবো না…..”
“খেতে হবে না,আমি খাইয়ে দিবো……”
“শুনবে না আমার কথা?”
“কি শুরু করলে বলো তো….আমি ঠিক আছি তো…”
“কঁচু আছেন আপনি….কাল থেকে একটা শার্ট পড়ে আছে,সারা রাত ঘুমায় নি খায় নি ঠিকমতো……এখন আবার বেশি বেশি কথা বলে….”
“হয়েছে।।।।দেখি উঠো…ঔষধগুলো দেখে নাও….”
সাদাদ নৌশিনকে ধরে উঠাতে চাইলে নৌশিন সাদাদের হাত সরিয়ে দিলো…….
“কি হলো??”
“শুয়ে থাকবো আমি….”
“থেকো….আগে ঔষধ গুলো খেয়ে নাও……”
আবার উঠাতে গেলে আবারও সাদাদকে সরিয়ে দিলো নৌশিন……..
“খাবো না আমি বললাম তো…….”
“নৌশিন,কি হচ্ছে কি…..সারা রাত কি অসুস্থ ছিলে জানো তুমি….এখনো কতটা জ্বর….প্লিজ কথা শোনো আমার…..”
“শোনবো না, শোনবো না…. ব্যাস……তুমি শোনো আমার কোনো কথা???তাহলে আমি কেনো শুনবো???”
সাদাদ কোনো কথা না বলে,নৌশিনকে ঔষধ খাওয়ানোর জন্য অনেক জোড়াজোড়ি করলো।কিন্তু নৌশিন কোনো ভাবেই খাচ্ছিলো না।তাই শেষমেষ বাধ্য হয়ে বললো,
“আচ্ছা,বেশ…..তুমি ঔষধগুলো খেয়ে নাও….আমি বাসায় যাবো….”
নৌশিনের মুখে হাঁসি ফুটলো,”প্রমিস??”
“সুস্থ থাকলে না বুঝাতাম,অসুস্থ তাই মাইর থেকে বেঁচে গেলে….দেখি হা করো এবার……”
“হুম……দাও তারাতারি……”
সাদাদ নৌশিনকে ঔষধ,খাবার খাইয়ে দিলো,জামা পাল্টে দিয়ে বসতে চাইলে নৌশিনের জ্বালায় বসতেও পাড়লো না।
বাসায় চলে আসতে হলো।
.
আর বাসায় রাফসা সবার জন্য রাতের খাবার তৈরী করছিলো,এমন সময় সাদ রান্না ঘরে ডুকে,পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে রাফসাকে……
চমকে ওঠে রাফসা,
“আরে,কি করছো??কেউ দেখবে….”
“দেখুক……”
.
“আম্মুমমমম্মু…….”
সেরে দাঁড়ায় সাদ….মুঁচকি হাঁসছে রাফসা……
“আব্বু,তুমি এখানে রান্না করো??”
“হ্যাঁ তোর মাকে হেল্প করছিলাম…..”
“ওওও……আম্মু……নতুন বউয়ের কাছে যাবো…..”
“কাল যেও….”
“না আম্মু….আমি এখনি যাবো…….চলো আম্মু….”
“এখন অনেক রাত আব্বু……কাল সকালে নিয়ে যাবো….তোমার আব্বুও যাবে…..”
“ওফফ…….আম্মু কেউ আমার কথা শোনো না…..ভালো লাগে না আমার…..”
সাদ,রাফসা দুজনেই হাঁসলো…
সাদ অরূপকে কোলে তুলে কাঁতুকাঁতু দিয়ে হাঁসাতে শুরু করলো……ড্রেয়িং রোমে ডুকতেই দেখলো সাদাদ বাসায় এসেছে।
নৌশিনের খবর টা নিয়ে সাদাদকো বললো,ফ্রেস হয়ে খেয়ে নিতে।
সাদাদ বলেছিলো আসবে,এসেছে দেখে রিদির মনে আনন্দ লেগেছে খুব।
সাদাদ ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে আসলে,রিদিও পেছন পেছন এসে সাদাদের পাশের চেয়ার টাতে বসলো।
অনেক সুন্দর করে সেজেছে রিদি।যে কোনো ছেলের নজর পড়বে,কিন্তু যার জন্য সেজেছে তার চোখ যে শুধু একজনকেই দেখে।
“সাদাদ,খাওয়া শেষ করে একটা লম্বা ঘুম দে যা….দু দিন ধরে বেশ চাপ যাচ্ছে….”
“হ্যাঁ…ভাবী…..”
“আর টেনশন নিও না….ওখানে তো তোমার মা আর শাশুড়ী আছেন….তুমি ভালো ভাবে ঘুমাও আজ….নামায পড়ে দোয়া করো ইনশাল্লাহ্ বউ মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে….”
“সেটাই তো বাবা….আর কি করার…..”
“কাকাই আমি যাবো কালকে নতুন বউয়ের কাছে…..”
“ওকে বাচ্চা যেও…..”
“ভাইয়া,আমিও যাবো…..”(প্রাপ্তি)
“ঠিক আছে যার যার যাওয়ার যেও……”(প্রাপ্তির বাবা)
.
খাওয়া শেষ করে রোমে গিয়ে নামায সেরে নিলো সাদাদ।
বিছানায় গা মিলিয়ে দিতে রাজ্যেের ঘুম চোখে জমে আসছিলো……কিন্তু দরজার শব্দে তন্দ্রা টা কেটে গেলো।।।।
বালিশ থেকে মাথা তুললেই দেখতে পেলো,হাঁসি মুখে রিদি এগিয়ে আসছে সাদাদের দিকে।
দ্রুত বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায় সাদাদ…..টি শার্ট টা পড়ে নিয়ে প্রশ্ন করে, “তুমি????”
কোনো কথা ছাড়াই রিদি জড়িয়ে ধরে সাদাদকে,
“হ্যাঁ….আমি……”……….
!
চলবে।