Dangerous_Mafiya_King. Writer:_Sumaiya_Moni_😍😍. Part-18.

#Dangerous_Mafiya_King.

Writer:_Sumaiya_Moni_😍😍.

Part-18.

নিহাল মাহিরার ঠোঁটের কাছে আস্তে আস্তে এগোতে লাগলো। নিহাল এর ঠোঁট মাহিরার ঠোঁট এর মাজে এক ইন্চি ফাকা ছিল। নিহাল মাহিরার ঠোঁটে কিস করতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে মাহিরা নিহাল কে জোরে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে রুমের ভিতরে চলে গেল । নিহাল মাহিরার ধাক্কাতে কয়েক পা পিছিয়ে যায়। নিহালের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে,কিন্তু নিজেকে সান্ত করার চেষ্টা করছে ।মাহিরা রুমে গিয়ে নিজের জামা-কাঁপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে বিছানায় গুটিশুটি মেরে বসে থাকে। নিহাল নিজের রাগ কন্ট্রোল করে রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে মাহিরা বিছানায় গুটিশুটি মেরে বসে আছে।

নিহাল: মাহিরা আমার কাছে এসো।(গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা আস্তে করে হেঁটে নিহালের কাছে এলো।

নিহাল মাহিরার হাতে টাওয়াল এগিয়ে দিয়ে বললো।

নিহাল : চুলের পানি মুছে দেও।(গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে ।

নিহাল: What??? (গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা: আপনি অনেক লম্বা তাই,,,(বাকি কথা বলার আগে নিহাল মাহিরার কোমড় ধরে উচু করে ধরে)

মাহিরা একটু আবাক হয়ে যায়।

নিহাল: এবার দেও,,,(গম্ভীর গলায়).

মাহিরা ওর হাতের টাওয়াল দিয়ে নিহাল এর মাথা মুছাতে লাগলো। নিহাল চুপ করে আছে ।মাহিরার হাতের স্পর্শ নিহাল চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে।চুল মুছানো শেষ হয়ে গেছে কিন্তু নিহালের কোন খবর নেই।মাহিরার কোমড় ধরে বসে আসে।

মাহিরা: আপনার চুল মুছানো হয়ে গিয়েছে ।(মৃদ স্বুরে বললো).

নিহাল মাহিরার কথা শুনতে পায় আস্তে করে মাহিরা কে নিচে নামিয়ে দেয়।মাহিরা সেই আগের মতো বিছানায় গিয়ে বসে পড়ে।নিহাল জামা-কাঁপড় পড়ে মাহিরার হাত ধরে নিচে নিয়ে যায়।নিচে নিয়ে গিয়ে নিহাল মাহিরা কে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। নিহাল মাহিরার প্লেটে অনেক গুলো খাবার দেয় যা দেখে মাহিরার ভিশন রাগ হয়। কিন্তু কিছু করার নাই,ঠেকায় পড়লে বুড়া গরুতেও চাড় পাড়ায়।মাহিরা চুপ চাপ একে একে খাবার গুলো খেতে লাগলো। কিছুক্ষন পর মাহিরার খাবারের গতি কমে গেল।নিহাল বুঝতে পেরেছে মাহিরা আর খেতে পারছে না।নিহাল ওর হাত দিয়ে মাহিরার সামনের খাবারের প্লেট টা সরিয়ে দিল।

নিহাল: যাও হাত ধুয়ে এসো।(গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা চেয়ার থেকে ওঠে হাত ধুয়ে উপরে চলে যায় ।
উপরে গিয়ে বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পড়ে।

মাহিরা: হে আল্লাহ্ কোন জমের দুয়ারে নিয়ে এসে ফেললা। কিছু একটা উপায় বের করে দেও।(মনে মনে)

নিহাল হুট করে রুমে এসে দেখে মাহিরা চিত হয়ে শুয়ে কি যেনো বিরবির করে বলছে।মাহিরা নিহাল কে দেখে লাফ দিয়ে শোয়া থেকে ওঠে চুপচাপ বসে থাকে ।নিহাল মাহিরার হাত ধরে দাড় করিয়ে কঁপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বললো।

নিহাল: আমি বাহিরে যাচ্ছি।আসতে দেরি হবে।রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়বে। বায়।(গম্ভীর গলায়).

নিহাল রুম থেকে বেরিয়ে গেল।মাহিরা বিছানায় গিয়ে আগের নেয় শুয়ে পড়লো। নিহাল ওর আস্তানায় গিয়ে সিক্রেট রুমে যায়।সেখানের গিয়ে টেবিলে রাখা লেপটপ অন করে মাহিরা কে দেখতে লাগলো। নিহালের বাসায় সব খানে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।মাহিরা এটা জানে না। নিহাল দেখতে পাচ্ছে মাহিরা ঘুমিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর ওমর সিক্রেট রুমে প্রবেশ করলো।

ওমর: বস কিছু বলার ছিল।

নিহাল: বল.(গম্ভীর গলায়).

ওমর: বস কালকে বড় একটা প্রজেক্টের ডিল আছে রায় গ্রুপ এর সাথে।আপনাকে কালকে তাড়াতারি অফিসে যেতে হবে ।

নিহাল: ওকে।

ওমর ও নিহাল ডিল এর বিষয় আরো অনেক কথা বলতে লাগলো।

মাহিরা ঘুম থেকে ওঠে বারান্দায় এসে দাড়ালো।

মাহিরা: আম্মু,ফাহিম তোমাদের অনেক মিস করছি। কেন আমাকে একা রেখে চলে গেলে।তোমাদের সাথে আমাকেও নিয়ে যেতে।তাহলে আমাকে এতো কষ্ট সহ্য করতে হতো না। আমি যে আর থাকতে পারছি না এই লোকটার সাথে।কিভাবে থাকবো বলো যে কিনা তোমাদের,,,,(বাকি কথা বলার আগেই কান্নায় ভেঙে পড়লো মাহিরা) না না মাহিরা কান্না করা যাবে না।একবার যদি যানতে পারে আমি কান্না করেছি তাহলে আমাকে আবার শাস্তি দিবে । আমি মন খুলে কান্নাও করতে পারছি না।(হুহু করে আবার ও কেঁদে দিল মাহিরা). না কান্না থামাতে হবে। (মাহিরা চোখ মুছে ফেলে মন কে শক্ত করে।পাথরের মতো দাড়িয়ে থাকে মাহিরা)

রাতে নিহাল বাসায় এসে দেখে মাহিরা গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে।নিহাল ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে সার্ভেন্ট কে জিজ্ঞেস করে মাহিরা খেয়েছে কি না।সার্ভেন্ট রা বলে মাহিরা তার খাবার নিয়ে গিয়ে উপরে তার রুমে গিয়ে খেয়েছে।নিহাল আর কিছু বললো না।চুপচাপ খেয়ে ওপরে গিয়ে মাহিরা কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।
সকালে মাহিরা ঘুম থেকে ওঠে থেকে নিহাল বিছানায় নেই।মাহিরা হাত দিয়ে ভালো করে চোখ মুছে দেখে ৯টা বাজে।

মাহিরা: কি হলো আজ এতো তাড়াতারি নিহাল কোথায় গেল।(মাহিরা বিছানা থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে সার্ভেন্ট কে জিজ্ঞেস করলো).

মাহিরা: সার্ভেন্ট তোমাদের বস কোথায় গিয়েছে?

সার্ভেন্ট: ম্যাম স্যার তো অফিসে গিয়েছে। অন্য কম্পানির সাথে ডিল আছে তাই তাড়াতারি অফিসে চলে গিয়েছে।

মাহিরা: ওহ,,।

মাহিরা হালকা নাস্তা করে উপরে চলে যায় । বিছানায় বসে ভাবতে লাগলো কোন একটা বিষয় নিয়ে।হঠাৎ মাহিরার চোখ যায় টেবিলের উপর।সেখানে ছোট একটা চিরকুট রাখা ছিল ,সেটা আগে মাহিরা দেখে নি। মাহিরা চিরকুট হাতে নিয়ে পড়তে লাগলো।

মাহিরা: “ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিবে। আমার আসতে একটু দেরি হবে ,,” নিহাল “। এটা লিখে দেওয়ার কি আছে,ফোনে বললেই তো হতো ঢং হুহহহ।

মাহিরা বারান্দায় গিয়ে কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকলো।কিন্তু ভালো লাগছিল না বিদায় রুমে চলে আসে।

মাহিরা: ধুর আজ এতো বোরিং লাগছে কেন।আচ্ছা নিহালের আলমারি খুলে দেখি ওর আলমারিতে কি কি আছে।

মাহিরা নিহালের আলমারির কাছে গিয়ে অনেক বার ট্রাই করে কিন্তু আলমারি খুলতে পারে না।

মাহিরা: ধুর এটার ভিতরে কি এমন জিনিস রাখসে যে একেবারে জনমকার জন্য লক করে গেছে ধেতঃ।
(মাহিরা পাশের লকারটা খোলার জন্য হাত দেয় এবং সেটা সাথে সাথে খুলে যায়) ওরে এটা দেখি খুলে গেছে। ধুর এটার ভিতরে তো জামা কাঁপড় আছে।এগুলা দিয়ে আমি কি করবো।(আলমারির দরজা লাগাতে গেলে হঠাৎ করে মাহিরার চোখ যায় নিহালের একটা ব্লু রঙের শার্টের উপর ) ওয়াও শার্ট টা তো অনেক সুন্দর।(হাতে নিয়ে বললো) আচ্ছা একবার পড়ে দেখলে কেমন হয় নিহাল তো বাসায় নাই। আচ্ছা একবার পড়ে দেখি।

মাহিরা নিহাল এর শার্ট টা নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাড়ায়। ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে শার্ট টি পড়তে শুরু করে।শার্ট পরা শেষ করে নিজেকে নিজে আয়নায় দেখতে লাগলো।

মাহিরা: ওয়াও এই শার্ট টা তে আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।নিহাল এত চয়েজ আছে।

মাহিরা শার্টের হাতা বলটে,ওর চুলগুলো ছেরে দিয়ে চোখে সানগ্লাস নিয়ে সোফায় গিয়ে নিহালের মতো ভাব নিয়ে বসলো।

মাহিরা: আমিও একজন লেডি মাফিয়া হুহহহ,,,(ভাব নিয়ে বললো).

হুট করে মাহিরা গাড়ির শব্দ শুনতে পেল। বারান্দায় গিয়ে দেখলো নিহাল এর গাড়ি বাড়ির ভিতরে প্রবেস করেছে।

মাহিরা: হায় হায় নিহাল এখন এসেছে।ও না বলেছে আসতে দেরি হবে তাহলে এখন, মাহিরা বাঁচয়ে চাইলে তাড়াতারি শার্ট টা খোঁলে ফেল।(মাহিরা তাড়াতারি করে শার্ট টা খুলে আলমারির ভিতর রেখে বিছানায় গিয়ে গুটিশুটি মেরে বসে থাকে । নিহাল উপরে এসে রুমে প্রবেশ করে দেখে মাহিরা চুপটি করে বসে আছে। নিহাল ওর হাতের লেপটপ টা টেবিলের উপর রেখে গায়ের কোর্ট খুলে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে যায়।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে মাহিরা ঠিক আগের নেয়ই বসে আছে।নিহাল মাহিরার সামনে গিয়ে টাওয়াল টা মাহিরার হাতে ধরিয়ে দেয়।কিন্তু মুখে কিছু বলে না। মাহিরা বুঝতে পেরেছে নিহাল টাওয়ালটা ওর হাতে কেন দিয়েছে। মাহিরা নিহালের চুল গুলো টাওয়াল দিয়ে মুছতে শুরু করে। চুল মুছা শেষ হলে মাহিরা সরে যায়।নিহাল বিছানা থেকে ওঠে আলমারির কাছে গিয়ে দাড়ায়।মাহিরা আর চোখে নিহাল কে দেখতে লাগলো।নিহাল আলমারির ভিতর থেকে একটা শার্ট বের করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে দাড়ায় ।মাহিরা আর চোখে তাকিয়ে দেখে সেই ব্লু রঙের শার্ট টা বের করে পড়ছে নিহাল।মাহিরা একটু ভয় পেয়ে যায়।নিহাল ভালো করে বুঝতে পেরেছে মাহিরা ওকে আর চোখে দেখছে।নিহাল মনে মনে বাঁকা হাসলো।

নিহাল: মাহিরা আমি জানি তুমি এই শার্ট টা অনেক পছন্দ করেছো ।তাই তোমার পছন্দের শার্ট টা পড়লাম। আমি অফিসে বসে সব কিছু দেখেছি। মিটিং শেষ করে কেবিনে বসে লেপটপ অন করে তোমাকে শার্ট পড়া অবস্থায় ড্রেসিং টেবিলের সামনে দেখেতে পেয়েছি। তখনই অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসি।এসে দেখি তুমি শার্ট খুলে আলমারিতে রেখে চুপটি করে বিছানায় গিয়ে বসে আছো। নিজেকে খুব চালাক মনে কর তাই না।(মনে মনে বাঁকা হেসে বললো).
মাহিরা ড্রেস চেন্জ করে আসো ,(গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা: কেন? (মৃদ স্বুরে).

নিহাল: Do not like to talk more.Do what I said.go,(গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা কিছু না বলে ড্রেস নিয়ে চেন্জিং রুমে গিয়ে ড্রেস চেন্জ করে আসে।

নিহাল: নিচে ওয়েট করছি,৫মিনিট এর মধ্যে নিচে চলে আসো।(গম্ভীর কন্ঠে বলে নিচে চলে যায়).

মাহিরা হালকা সেজে ,চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে তাড়াতারি করে নিচে চলে যায়।নিচে নেমে দেখে নিহাল গাড়িতে বসে ওয়েট করসে।নিহালের লোক গাড়ির দরজা খুলে দেয়,মাহিরা গাড়ির ভিতরে গিয়ে বসে।নিহাল কিছুক্ষন মাহিরার দিকে তাকিয়ে থাকে।হালকা সাজ এ খুব সুন্দর লাগছে মাহিরা কে। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো। মাহিরা জানালা দিয়ে বাহিরে দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর ওদের গাড়ি একটা বড় resort এর সামনে এসে থামালো। resort টা ছিল সি বিচ সাথে।resort থেকে সি বিচ টা খুব ভালো ভাবেই দেখা যাচ্ছে। বডিগার্ড রা এসে গাড়ির দরজা খুলে দিল। নিহাল ও মাহিরা গাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে resort এর ভিতরে যেতে লাগলো । resort এর নাম ছিল The Snake Group ।মাহিরা বুঝতে পারে এই resort টা নিহাল এর।resort এর ভিতরে গিয়ে লিফ্ট দিয়ে ১০তলায় চলে এলো ওরা। লিফ্ট থেকে নেমে একটা বড় রুমের ভিতরে গেল নিহাল ও মাহিরা। বডিগার্ড রা বাহিরে দাড়িয়ে আছে। সেই রুমের সাথে অনেক বড় একটা বারান্দা ছিল ,সেখান থেকে পোরো বিচ টা খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায়। মাহিরা বারান্দায় দাড়িয়ে অবাক হয়ে যায় এতো সুন্দর প্রকৃতি থেকে। মাহিরার চোখে মুখে হাসির জলক দেখতে পাচ্ছে নিহাল। নিহাল বারান্দায় একটা সোফার উপরে বসে ছিল। মাহিরার চুল গুলো বাতাশে উঠছিল ,নিহাল মায়া ভরা দৃষ্টিতে মাহিরার দিকে তাকিয়ে আছে। একটা ওয়েটার এসে জুস ও কিছু ফাস্ট ফুড এর খাবার দিয়ে যায়। নিহাল জুস খেতে লাগলো।মাহিরা সামনে ওয়েটার গিয়ে‌ জুস এর গ্লাস দিয়ে আসে।মাহিরা জুস না খেয়ে বিচ দেখতে বেস্ত হয়ে পড়ে।রাতে‌ ওরা বাসা চলে আসে।আজ মাহিরার মন টা কিছুটা ভালো হয়েছে সেটা নিহাল বুঝতে পারে । রাতের খাবার ওরা সেখান থেকে খেয়ে এসেছে।নিহাল মাহিরা কে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে ।মাহিরা সেই আগের নেয় নিহালের হার্টবিট শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে মাহিরা ঘুম থেকে ওঠে নিহাল এর জন্য কফি নিয়ে আসে।নিহাল আগে থেকেই অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিল। মাহিরা নিচে এসে খাবার সার্ভ করে চেয়ারে বসে আছে।নিহাল নিচে নেমে চেয়ারের বসে খাবার খেতে শুরু করলো। খাবার খেয়ে নিহাল মাহিরার কঁপালে চুমু দিয়ে অফিসে চলে যায়।মাহিরা ঠিক আগের মতই বারান্দায় গিয়ে দাড়িয়ে থাকে ।

মাহিরা: হে আল্লাহ্ আমি যে নিহাল এর মায়ায় পড়ে যাচ্ছি। দিন দিন আমিও যে নিহাল এর প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছি। কিন্তু আমি এগুলা চাই না।নিহাল আমার ভাই ও আম্মুর খুনি।তার মায়ায় পড়তে চায় না আমি। কি করবো আমি এখন। যে করেই হোক এখান থেকে আমাকে পালাবার পথ খুঁজতে হবে। আমি এখানে নিহাল এর সাথে থাকতে চাই না।কিন্তু আমি কোথায় যাবো। আমার কাছে তো পাসপোর্ট নেই। আমি কিভাবে যাবো অন্য দেশে।(মনে মনে বলতে লাগলো).

হঠাৎ করে একজন সার্ভেন্ট এসে মাহিরা কে বলতে লাগলো,,,।
.
.
.
.
.
(কি চলবে).

(Sorry for late 😥)…