নীল চিরকুট লেখনীতে- নৌশিন আহমেদ রোদেলা ৩৭.

0
1398

নীল চিরকুট
লেখনীতে- নৌশিন আহমেদ রোদেলা

৩৭.

সকালে খাবার টেবিলে বসেই অপ্রত্যাশিত এক খবর কানে এলো অন্তুর। আনিসুল সাহেব যখন জানালেন, ‘ নীরা বিয়েতে রাজি হয়েছে’ তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য বোবা বনে গেল সে। কানদুটো ঝা ঝা করে উঠল। ‘নীরা রাজি হয়ে গিয়েছে’ এই ছোট্ট খবরটা মস্তিষ্কের নিউরনগুলোতে বিষের মতো ঠেকল। এই একই খবর তিন-চারদিন আগে পেলেও খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ত অন্তু। কিন্তু আজ এই খুশিই তার কাছে ভারী এক বোঝা বলে মনে হলো। নীরাকে সে চাইত, এখন আর চায় না। কিন্তু ভাগ্যের গুঁটি ভিন্ন। সেই সাথে ভিন্ন তার চাওয়া-পাওয়ার হিসেব। নীরাকে সে বাস্তবিকই ভালোবাসে। কিন্তু সেই ভালোবাসার নির্যাসটা আজ বিদঘুটে, বিষাক্ত। নীরাকে কাছে পেতে চাওয়া মনটা এখন আর নেই। হাজারও ঘাত-প্রতিঘাতে পঁচে গলে গিয়েছে সেই কবেই। অন্তু এখন একটু শান্তি চায়। নিজেকে একটু গুছাতে চায়। কিন্তু তার এই ক্লান্ত জীবনে নীরা নামক মানবীকে আর চায় না। এই এক নীরাকে নিয়ে এতো জল ঘোলা হয়েছে যে সেই জলে নিজেদের হাসিখুশি চেহারা দেখার উপায় নেই। দুইজনের সম্পর্কটাও তো আগের মতো মসৃণ নেই। ভালোবাসা নামক পাটাতনে অপমান, অস্বস্তি, ক্ষোভ, রাগ, জেদ এতো বেশি জমে গিয়েছে যে সেই পটাতন ধোঁয়ে মুছে মসৃণ করার সাধ্য একা অন্তুর নেই। সেই চেষ্টাটাও সে করতে চায় না। তার শুধু মুক্তি চাই। মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে চায়। অন্তু নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন আনিসুল সাহেব। অন্তুর আর খাওয়া হলো না। মাথায় এক ঝাঁক চিন্তা নিয়ে খাবারের প্লেট ঠেলে উঠে এলো ঘরে। বিছানায় মাথা চেপে ধরে বসে থাকতে থাকতে নীরার চিন্তাটাও মস্তিষ্কে খেলে গেল তার। অন্তু বিয়েটা নাকজ করে দিলে বেচারী নীরাকে আবারও একবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে আগুনে । যে মেয়ের বার বার বিয়ে ভেঙে যায় সেই মেয়ের চরিত্র নিয়ে নানান কথা তো উঠবেই। অন্তুর মুখটা বিরক্তিতে তেতো হয়ে উঠে। সামনে থাকা চেয়ারটায় জোরে লাথি দিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কাঠের চেয়ার মুখ থুবড়ে পড়ে ফ্লোরে। অন্তুর রাগ কমে না। এই দমবন্ধ জীবন আর ভালো লাগে না। এতোকিছুর পর ভোঁতা হয়ে যাওয়া অনুভূতি নিয়ে নীরাকে কাছে টানা সম্ভব নয়। বিয়ে করে তাকে আগের মতো সুখী করার চেষ্টাও এখন প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে এই বিশ্রী সমাজে মেয়েটাকে একা ছেড়ে দেওয়াও কোনো পুরুষোচিত কাজ নয়। অন্তুর মাথাটা ঝিমঝিম করে উঠে। এই মানসিক চাপের মুখে নাদিমের সাথে দূরত্ব মেটানোর ব্যাপারটা সে বেমালুম ভুলে যায়। খাওয়া শেষেই নাদিমের হলে হানা দেওয়ার সিদ্ধান্তটা হাজারও চিন্তার ভাঁজে চাপা পড়ে। সব ঠিক হতে হতেও এলোমেলো হয়ে যায় সব!

“যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
আমি বাইব না
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে গো
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে”

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে রবি ঠাকুরের গানটি শুনতে শুনতেই ঘুম ভাঙল নম্রতার। সকালের আলো তখন আছড়ে পড়ছে বারান্দায়। স্বচ্ছ কাঁচের জানালায় ঝিলিক দিয়ে উঠছে ভোরের প্রথম কিরণ। নম্রতা আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসল। মোবাইল হাতে সময়টা দেখে নিয়ে অলস ভঙ্গিতে বিছানা ছাড়ল। দুইদিন হলো হল ছেড়ে বাড়ি এসেছে নম্রতা। গত দুইদিন যাবৎ এই একই গানে ঘুম ভাঙছে তার। নম্রতা জানে আগামী দুইদিনও এই একই গানে ঘুম ভাঙবে তার। নম্রতার ব্যারেস্টার বাবা সব কাজেই বিশেষ কিছু প্যাটার্ন মেনে চলেন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গান শোনার মাঝেও তার অদ্ভুত এক প্যাটার্ন আছে। নম্রতা ঘুমু ঘুমু চোখে বাড়ির টানা বারান্দায় এসে দাঁড়াল। ব্যারেস্টার নুরুল মাহমুদ কাঠের চেয়ারে বসে পত্রিকা পড়ছেন। চোখে ভারী চশমা। ঠোঁটদুটো গানের তালে তালে মৃদু নড়ছে। চেয়ারের পাশে ছোট্ট টেবিলে রাখা পুরোনো ক্যাসেট থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গাইছেন, ‘চুকিয়ে দেব বেচা কেনা মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব …. ‘ নম্রতা এলোমেলো চুলগুলোকে হাত খোপা করতে করতে বলল,

‘ শুভ সকাল বাবা।’

নুরুল সাহেব মুখ তুলে চাইলেন। আজ তাঁর মন ফুরফুরে। মেয়েকে দেখেই মনের ফুরফুরে ভাবটা ঠোঁটের কোণে ধরা পড়ল। মুখভর্তি হাসি নিয়ে বললেন,

‘ শুভ সকাল মা। আয় বোস। চা খাবি?’

নম্রতা অলস পায়ে বাবার কাছে গিয়ে বসল। বাবার গায়ে শরীর এলিয়ে দিয়ে বলল,

‘ উহু। আমি এখনও ফ্রেশ হইনি৷ তোমার মনটা কী আজ খুব ভালো বাবা?’

‘ অবশ্যই। এই চমৎকার দিনে সবারই মন ভালো থাকা উচিত।’

নম্রতা হাসল। সোজা হয়ে বসে বাবার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল,

‘ তুমি আজও মাকে ফাঁকি দিয়ে চায়ে চিনি মিশিয়ে নিয়েছ, বাবা?’

নুরুল সাহেবের চোখদুটো চিকচিক করে উঠল। খুশি হয়ে বললেন,

‘ তোর মা পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা মহিলা। এই বোকা মহিলাকে বিয়ে করাটা আমার উচিত হয়নি। আমি যখন ভার্সিটিতে পড়তাম তখন আমার এক বান্ধবী ছিল, রত্না। প্রচন্ড ইন্টেলিজেন্ট একটা মেয়ে। চোখের দিকে তাকিয়েই ফট করে বলে ফেলত, “তুমি মিথ্যে বলছ নুরুল।” ভাবতে পারছিস? আই শ্যুড হ্যাভ মেরি হার।’

নম্রতা হেসে ফেলল। চেয়ারে পা তুলে আরাম করে বসল। পত্রিকার বিনোদনের পৃষ্ঠাটা তুলে নিতে নিতে বলল,

‘ তোমার রত্না নামক ইন্টেলিজেন্ট বান্ধবীর কথা মা শুনে ফেললে কী হবে বাবা?’

নুরুল সাহেব চোখ বড় বড় করে তাকালেন। পত্রিকাটা ভাঁজ করে টেবিলের উপর রেখে চায়ের কাপে চুমুক দিলেন। ফিসফিস করে বললেন,

‘ তোর মা মারাত্মক মহিলা। রত্নার ব্যাপারটা জানলে সে আমাকে দুই তলা থেকে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না।’

‘ তাহলে বাসায় একটা ইন্সট্যান্ট ডাক্তার দরকার তাই না বাবা? ধরো, মা তোমাকে দুই তলা থেকে ফেলে দিলো আমরা তোমাকে ঘরে এনে নিজস্ব ডাক্তার দিয়েই ফিটফাট করে ফেললাম। এক্সট্রা টাকা খরচ হলো না। অ্যাম্বুলেন্স খরচও মাফ।’

নুরুল সাহেব সরু চোখে তাকালেন। চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে বললেন,

‘ তুই কী কোনো ছেলে সম্পর্কে আমায় কনভেন্স করার চেষ্টা করছিস?’

নম্রতা মাথা নেড়ে আবারও বাবার গায়ে গা এলিয়ে দিল। নুরুল সাহেব কুঁচকানো ভ্রু নিয়ে বললেন,

‘ হু ইজ দিস রাস্কেল?’

নম্রতা আহ্লাদী কন্ঠে বলল,

‘ একটা ডাক্তার।’

‘ তোর পত্রপ্রেমিকের কী হলো? গীভ আপ?’

‘ এটাই সেই। পত্রপ্রেমিক থেকে ডাক্তার।’

নুরুল সাহেব চমকে তাকালেন। পরমুহূর্তেই হেসে বললেন,

‘ ব্যাটাকে ধরে ফেলেছিস? গুড জব! গুড জব!’

নুরুল সাহেব আর নম্রতার কথার মাঝেই একরকম উড়ে এলো নন্দিতা। পাশে একটা চেয়ার টেনে বসে হাত-পা ছড়িয়ে দিল সে। ঘুমু ঘুমু কন্ঠে বলল,

‘ ধরে যখন ফেলেছ তখন চট করে বিয়ে করে ফেলো না বাপু। তোমার জন্য আমার বিয়ে আটকে আছে।’

নম্রতা উঠে বসল। অবাক হয়ে বলল,

‘ তোর বিয়ে আটকে আছে মানে? এই তোর বয়স কত? মাত্র সেভেনে পড়িস আর এখনই বিয়ে?’

‘ তো? সেভেনে পড়ি তো কী হয়েছে? তুমি জানো? দাদির বিয়ের বয়স তেরো। আর আমি ফোর্টিন ইয়ারস্ ওল্ড। এক বছর অলরেডি চলে গিয়েছে।’

নম্রতার বিস্ময় যেন আকাশ ছুঁলো। উঠে গিয়ে নন্দিতার কান টেনে ধরে বলল,

‘ তুমি একটু বেশি পেকে গিয়েছ।’

নন্দিতা বোনের থেকে কান ছাড়িয়ে বাবার কাছে আশ্রয় নিল। বাবার পাঞ্জাবির বোতামে নখ খুঁটতে খুঁটতে বলল,

‘ আমার অতো পড়াশোনা ভাল্লাগে না বাবা। তুমি আমাকে বিয়ে শাদী দিয়ে দাও তো। রোজ রোজ এই বোরিং অঙ্ক করতে বিরক্ত লাগে। রোজ করি তবুও থার্টি ফাইভ। টিচাররা আমায় আসলে দেখতেই পারে না বাবা। ইচ্ছে করে নাম্বার কম দেয়, সত্যি বলছি।’

বোনের ফাঁকিবাজি কথা শোনে হেসে ফেলল নম্রতা। নুরুল সাহেব প্রত্যুত্তরে কিছু বলবেন তার আগেই ফোন বাজল নম্রতার। গোটা পাঁচদিন বাদে ফোন দিয়েছে আরফান। নম্রতা ফোন তোলার আগেই লাফিয়ে গিয়ে খপ করে ফোন নিয়ে নিল নন্দিতা। দৌঁড়ে গিয়ে বাবার গা ঘেঁষে স্ক্রিনে ভাসা নামটা পড়ল, ‘ডাক্তার’। চকচকে চোখে ফোনটা বাবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,

‘ বাবা? ডাক্তার! ইউ শুড টেইক আ এপেয়ন্টমেন্ট ফ্রম হিম।’

নম্রতা বার কয়েক ফোন নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে হেসে ফেলল। চেয়ারে বসে বলল,

‘ গো এহেড।’

ততক্ষণে ফোন রিসিভ করে নুরুল সাহেবের কানে ধরেছে নন্দিতা। নুরুল সাহেব কিছুটা অপ্রস্তুত বোধ করলেন। ওপাশ থেকে নিরেট পুরুষালী কন্ঠ ভেসে এলো,

‘ হ্যালো ম্যাডাম!’

নুরুল সাহেব শব্দ করে গলা পরিষ্কার করলেন। গমগমে কন্ঠে বললেন,

‘ হ্যালো।’

নম্রতার বদলে কোনো পুরুষালি কন্ঠ ভেসে আসতেই থমকে গেল আরফান। কয়েক সেকেন্ড নীরব থেকে সন্দিহান কন্ঠে আবারও বলল,

‘ হ্যালো?’

‘ আমি শুনতে পাচ্ছি।’

নুরুল সাহেবের উত্তর শুনে মুখ চেপে হাসি আটকাল দুই বোন। আরফান থতমত খেয়ে বলল,

‘ আমার জানা মতে এটা নম্রতার নাম্বার। আপনি কে?’

নুরুল সাহেব ধমক দিয়ে বললেন,

‘ হু আর ইউ? নাম কি তোমার?’

আরফান হতবুদ্ধি হয়ে গেল। কলের পুতুলের মতো বলল,

‘ নিষ্প্রভ।’

‘ তুমি ডাক্তার?’

‘ জি।’

‘ তুমি ডাক্তার হয়ে আমার মেয়েকে ফোন দিয়েছ কেন? আমার মেয়ে কী হসপিটাল রিপ্রেজেনটেটিভ? ‘

আরফান কথা খুঁজে পাচ্ছে না। হঠাৎ এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কথার আগা-মাথা গুলিয়ে জগা খিচুড়ি বেঁধে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে নিজেকে শান্ত করল আরফান। জোড়াল একটা শ্বাস নিয়ে বলল,

‘ নম্রতার সাথে আমার কথা ছিল, স্যার।’

‘ আমার মেয়ের সাথে তোমার কী কথা?’

আরফান এবার বিপাকে পড়ল। কি বলবে বুঝতে না পেরে বলল,

‘ কোনো কথা নেই স্যার। রাখি, আসসালামু…. ‘

আরফানের কথার মাঝেই ধমকে উঠলেন নুরুল সাহেব,

‘ এই ছেলে? একদম ফোন কাটবে না। এমন ম্যা ম্যা করছ কেন? ম্যা ম্যা টাইপ ছেলে আমি একদম পছন্দ করি না। আর কোনো কথা না থাকলে ফোন করেছ কেন? হুয়াই?’

আরফান চুপ করে রইল। নন্দিতা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে চেয়ারে। নম্রতা নন্দিতার মাথায় একটা চাটি মেরে আহ্লাদী চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টাল। নুরুল সাহেব অল্প হেসে ফোনটা টেবিলের উপর রেখে উঠে গেলেন। নম্রতা ঝটপট ফোনটা কানে নিয়ে বলল,

‘ হ্যালো?’

পরিচিত কন্ঠস্বরে আরফান যেন প্রাণ ফিরে পেল। ফিসফিস করে বলল,

‘ আশ্চর্য! কোথায় ছিলেন আপনি?’

নম্রতা উত্তর না দিয়ে বলল,

‘ আপনি ফিসফিস করে কথা বলছেন কেন?’

আরফান কেশে গলাটা হালকা পরিষ্কার করে বলল,

‘ কোথায় ছিলেন আপনি? আপনার বাবা ফোন রিসিভ করে ফেলল আপনি খেয়াল করেননি?’

নম্রতা হাঁটতে হাঁটতে নিজের ঘরে এসে দরজা দিল। ঠোঁট টিপে হেসে বলল,

‘ খেয়াল করব না কেন? আমিই তো দিলাম।’

আরফান অবাক হয়ে বলল,

‘ আপনি দিলেন! মানে কী?’

‘ কেউ যদি আমায় সপ্তাহে একবারও মনে না করে তবে আমার মন খারাপ হয়। সেই মন খারাপের দায়ে এতটুকু পানিশমেন্ট তো ডাক্তারবাবুর প্রাপ্যই।’

‘ ব্যস্ত ছিলাম। আপনিও তো ফোন দেননি। উল্টো ফোন বন্ধ।’

নম্রতা মুখ ভার করে বলল,

‘ এতো কেন ব্যস্ত থাকেন আপনি?’

‘ ডাক্তারদের যে ছুটি নেই তাই। সবসময় অন ডিউটি। কখনও ক্লাস। কখনও রাউন্ড। কখনও পেশেন্ট। সময় কোথায়?’

নম্রতা ফুঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে বলল,

‘ তাহলে এসব ডাক্তার ফাক্তারকে বিয়ে করা যাবে না। বিয়ের পরও ব্যাচেলরদের মতো টাইম স্পেন্ড করতে হবে। কে জানে? দেখা গেল, নতুন নতুন ঔষধের নাম মুখস্থ করতে গিয়ে ডাক্তারবাবু তার বউয়ের নামই ভুলে গেল! নাহ্ আমি কোনো রিস্ক টিস্ক নিব না। আমার হাজবেন্ড অন ডিউটি চাই। পার্ট টাইম হাজবেন্ড গ্রহণযোগ্য নয়।’

আরফান হেসে ফেলল। হাস্যোজ্জল কন্ঠে বলল,

‘ তাই নাকি?’

‘ একদম।’

‘ অন ডিউটি হাজবেন্ডের স্যালারী কী হবে? লোভনীয় কিছু হলে ডাক্তারী ছেড়ে হাজবেন্ডের ডিউটি করা যেতেই পারে। স্যালারী কী লোভনীয় খুব?’

নম্রতা লজ্জা পেয়ে গেল। হেসে বলল,

‘ আপনি অসহ্য!’

‘ আচ্ছা! আমি আর কী কী?’

#চলবে….

[ ছোট হওয়ার জন্য দুঃখিত। সবাইকে রমজান মোবারক। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here